#হিয়ার_মাঝে ৩৪
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️
কনে বিদায় শেষে সাজানো ফুলের গাড়িতে নুবাহকে বসানো হল। কিন্তু ঝামেলা বাঁধল বরকে নিয়ে। বন্ধুমহলের সবাই জিতুকে আটকে রেখেছে। তাকে বউয়ের সাথে এক গাড়িতে বসতে দেবে না। যেই ছেলে কবুল বলার আগেও বিয়ে করবে না বলে চেঁচিয়েছে, শেরওয়ানি পর্যন্ত পরে নাই বিয়েতে। এখন সে কেনো বউয়ের সাথে যাবে। চিন্ময় জিমান দু’জনেই জিতুর দু’হাত চেপে ধরে রেখেছে। কিন্তু জিতুও নাছোড়বান্দা। প্রয়োজনেই সে রিকসায় যাবে। তাও এই হাড়বজ্জাত বন্ধুদের সাথে যাবে না। আসার সময় আকাম করে ছেড়েছে। এখন ফেরার সময়ও ফের সেই আকাম করেই ছাড়বে।
নুবাহকে গাড়িতে বসে রাখা হয়েছে দীর্ঘসময় ধরে। বরের দেখা নেই। এদিকে জিতু তার হাড়বজ্জাত বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে হাপিত্যেশ করছে। নিজমনে দোয়া পড়ছে, কেউ তো তাকে বাঁচাও, তাকে এসে জোর করে নিয়ে যাক। বিয়ে তো একবারই হয়, এই সময় কি আর সে ফিরে পাবে। তার বউটা অন্য গাড়িতে যাবে। এটা কখনও হয়। পরে না হয় এই হাড়বজ্জাতগুলোকে দেখে নেবে। কিন্তু এখন তো কেউ তাকে উদ্ধার করুক। সত্যিই তার ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভাব হয়েছে তার বাবার। গড়িমসি করছিল ছেলেকে বলতে। তাও একবার কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘বাবা, বিয়ে একবারই হয়। বাড়িতে ফেরার পর আর তোমাকে কেউ জোর করবে না। কিন্তু এখানে আত্নীয় স্বজনে ভর্তি। সবাই কি ভাব্বে, বিষয়টা নিয়ে কটুক্তিও করতে পারে বউয়ের বাবা-মাকে। কেমন ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছো, এখন দেখো জামাই বউয়ের সাথে এক গাড়িতে বসতেও চায় না। বাবা প্লিজ, অন্তত আজকের জন্য বউয়ের সাথে বস।’
মুহুর্তেই জিতুর মন প্রসন্ন হল। একদম সঠিক সময়ে এসেছে তার বাবা। পাশে থাকা জিমান চিন্ময় চুপসে আছে। জিতুর বাবার অনুরোধের আগে তারা কিছু করতে পারবে না। অগত্যা জিতুর হাত ছেড়ে দিল। জিতুর মন উচ্ছ্বসিত হলেও মুখের মাঝে গম্ভীরতার ছাপ। যেনো বাবার একান্ত বাধ্যগত সন্তান সে। তাই বাবার অনুরোধ রাখছে। চিন্ময় জিমান দুজনের প্রগাঢ় দৃষ্টি বুলাচ্ছে জিতুর উপর। জিমান আনমনে ভেবে চলেছে। জিতুকে আজ অন্যরকম লাগছে। মুখশ্রীতে বেদনার্তের ছাপ নেই। তাদের মস্তিষ্ক ভেবেই চলেছে। জিতুর মনে কিছু তো অবশ্যই চলছে। কিন্তু চিন্ময় মুখে হতাশার সুর তুলল,
‘যা, এখন ছেড়ে দিলাম। কিন্তু বাসায় তোকে ছাড়ছি না।’
পাশে থেকে সানিও টিপ্পনী মারল।
‘যা ব্যাটা জি লে আপনি জিন্দেগী, লেকিন নাটাই তো হামারা পাস হ্যা।’
লরিন দাঁত কেলিয়ে হেসে উঠল। সে সানির জবাবে বলল, ‘নাটাই দিয়ে কি করবি ব্যাটা, ঘুড়ির সূতায় তো ছিঁড়ে গেছে। সে এখন আকাশ থেকে মহাকাশে চলে যাবে।’
রকি এসে লরিনের মাথায় এক চাপড় দিল।
‘তুই চুপ কর লিলিপুট। সবে তো শুরু। আগে আগে দেখ কি হয়।’
লরিন ভেংচি কাটলো। রকির জবাবে বলল,
‘ঐ হা’রামী মাথায় মারস ক্যা, এমনিতেই লিলিপুট বলস। তুই কি আমারে আরও খাটো বানাতে চাস না’কি? এমনিতেই আমারে বিয়ে দেয় না। খাটো দেখলে এবার তো কেউ বিয়েও করবে না।’
রকি কিঞ্চিৎ মাথা নাড়িয়ে বলে উঠল,
‘হায় রে বিয়ে পাগলী, দরকার হলে তোরে কমলাপুর রেলস্টেশনের পাগলা সগীর আলীর সাথে বিয়ে দিমু। তাও বইন এত হা-হুতাশ করিস না। আর সহ্য হয় না তোর এই কষ্ট।’
লরিন দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে উঠল,
‘হা’রামী তোরে করামু ঐ সগীর আলীর মাইয়ারে।’
জুঁই পাশে দাঁড়িয়ে কিঞ্চিৎ বিরক্ত প্রকাশ করল। ‘তোদের দুইজনের ঝগড়া শেষ হলে জলদি গাড়িতে উঠে বস। পরে কিন্তু জায়গা পাবি না।’
লরিন রকি দু’জনেই ঝগড়া থামাল। তাদের মুখে বিস্ময়ের ঘোর। লরিন বলে উঠল,
‘কেনো জায়গা পাবো না। আমরা তো আলাদা গাড়িতে ছিলাম। জিতু’রাও আলাদা গাড়িতে ছিল। জায়গা হবে না কেন?’
জুঁই ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘মেরি মা, এখন তো নুবাহর বাড়ি থেকে মেহমান যাবে, জায়গা তো কমে যাবে। বুঝিস নাই।’
পাশে দাঁড়ানো সানি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল এই কথা শুনে। ‘আমাদের নুবাহ ভাবীর বোন’রা যাবে, তাই না! লাল রঙের লেহেঙ্গা পরা মেয়েটার নাম কিরে?’
জুঁই চোয়াল শক্ত করে তাকাল সানির দিকে।
‘তোরে রকি ঠিকই বলে, তোর মেশিনে সমস্যা। কিন্তু আমার মতে তোর শুধু মেশিন না, তোর চরিত্রেও সমস্যা, সানলাইট।’
মুহুর্তে চাপা হাসির রেশ ছড়িয়ে পড়ল বন্ধুমহলের মাঝে। মুবিন মুগ্ধ হয়ে জুঁইকে দেখে যাচ্ছে। মেয়েটা কথা বলে মেপে মেপে। কিন্তু যখন যা বলে একদম ফাটিয়ে দেয়। এজন্যই মেয়েটাকে এত ভালো লাগে তার। যার সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়। তার মনমানুসী। রূপে গুণে সে আসলেই অন্যান্য।
সানি মনঃক্ষুণ্ন হল। মুবিন জুঁই এই দু’জনকে সে একটু ভয় পায়। এরা মুখ খুললে তার ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যায়। লজ্জা পেয়ে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে সে। পাশে দাঁড়ানো রকি তখনও দাঁত কেলিয়েই যাচ্ছে। গাড়ি সবাইকে ভাগ করে দেওয়া হল। নুবাহর বোন নীলাভ হৃদি এরা জুঁইদের গাড়িতে বসবে। নিভান রিদান বসবে জিমানদের সাথে। নুবাহর নানু যাবে নুবাহর সাথে। এটা শুনে জিতুর মনে থাকা সব উচ্ছ্বাস মুহুর্তে ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল। নিজমনে কত কি ভেবে নিয়েছিল। বউয়ের হাত ধরে গাড়িতে মজা নেবে। তারপর বউয়ের রিঅ্যাকশন দেখবে। এখন সব আনন্দ মাটি তার।
সানির মন হতাশায় আচ্ছন্ন। ভেবেছিলে হৃদি মেয়েটা এই গাড়িতে বসবে। কিন্তু তা আর হল না। তার বন্ধুগুলো তার না হওয়া প্রেম আর হতে দিল কই। সবগুলো তার প্রেমের দুশমন।হৃদির আকাশেও বিষাদের ছায়া। মন তার নীল বিষাদে চেয়ে আছে সেই তখন থেকে। চিন্ময়ের সাথে বসার বেশ ইচ্ছে ছিল। কতবার সে চিন্ময়ের দিকে তাকিয়েছে তার হিসেব নেই। ছেলেটা এত সুদর্শন, সারাদিন চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। তার হাসি যেনো জাদুমাখানো। মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়েছিল সে দীর্ঘসময়। আজ বড্ড বেহায়া হয়ে গেছে সে। নির্লজ্জের মত চিন্ময়ের সামনে ঘুরঘুর করেছে। যতবার চিন্ময়ের সামনে পড়েছে, ততবারই লজ্জা নুইয়ে পরেছে। আঁড়চোখে তাকিয়ে দেখেছিল সেই সুদর্শন পুরুষকে। অথচ এই পুরুষ তাকায়নি।
তের বছর বয়সী ছোট্ট নীলাভের মনেও রঙিন প্রজাপতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাবতেই অধরকোণে লাজুক হাসি ফুটে উঠছে। শ্যামবর্ণা সুঠাম গড়নের সুদর্শন পুরুষ। বন্ধুমহলের সবচেয়ে লম্বাচওড়া ছেলেটা তার মনে দাগ কেটেছে। ছেলেটা তার দুলাভাইয়ের খালাতো ভাই। তাহলে তো জিমানের সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা বেশ প্রবল। সুযোগ বুঝে তার ফোন নাম্বার নিবে সে। মুখের কোণে লাজুক হাসি ঝুলছে এখনো। হিয়ার মাঝেও বসন্তের নব ছোঁয়া। আনমনে ভাবছে তার না হওয়া প্রেমিক পুরুষ জিমানকে নিয়ে।
রকি ভাবছে অন্যকিছু। নুবাহর বোন এখনো ছোট। বিয়ের বয়স হতে হতে ততদিনে সেও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। কিন্তু ঐ ইডেন কলেজের মেয়েটার সাথে প্রেমটা না হয় আর কয়দিন এমনেই চালিয়ে যাবে। এসব মেয়েদের সাথে প্রেম করা যায়, বিয়ে না। পঁচা শামুকে কে পা কাটতে যাবে।
বিশেষ কারণেই মনঃক্ষুণ্ন অনেকেই। ঢাকা শহরের ব্যস্ত সড়কের বিশাল জ্যামে পড়ে বিশ মিনিটের রাস্তা পঞ্চাশ মিনিটে পার করেছে। অবশেষে জিতুসহ বাকি’রা বউ নিয়ে ফিরেছে। সদর দরজায় ফরিদা বসে আছে আকুল ভরা নয়নে। কবে তার ছেলের বউ আসবে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছেলের গাড়ি দেখে উচ্ছ্বাস দেখা গেল তার চোখেমুখে। গাড়ির দরজা খুলে সবার আগে জুঁইরা নেমে পড়ল। ঈশিতা ফিরেছে সবার আগে। নববধূকে বরণ করতে হবে। তাই সবকিছুর আয়োজন আগেই করে রেখেছে। জিতু গাড়ি থেকে নেমে একা বাসায় প্রবেশ করতে চাইল। তার আগেই ঈশিতার কঠিন ধমক পড়ল তার উপর।
‘একা কোথায় যাচ্ছিস, বউকে নিয়ে একসাথে প্রবেশ কর জিতু।’
জিতুর মন বড্ড বিষাদময়। আজ সারাদিন সে তার নুহাহকে ভুলে বসে আছে। এমন তো কখনই হয়নি। সে কিভাবে এত দ্রুতই নুবাহতে মজে গেছে। কি করে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল। নিজের কাছে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ সে। ঈশিতার জবাব দিল বেশ তিক্ত ভাষায়, ‘পারবো না, তার কি পা নেই। সে হাঁটতে পারে না।’
নুবাহ যেনো আকাশ থেকে পড়ল। এত সময় ধরে নিজের পুরো কাঁধের ভর ইচ্ছে করে তার উপর ছেড়ে রেখেছিল। আবার নামার সময় খোঁচা মেরে বিড়বিড় করে বলল,
‘আমি ইচ্ছে করে করি নি। ভুল করে হয়ে গেছে। সর্যিই।’
সে এই জিতুকে বুঝতে পারে না। এই ভালো এই খারাপ। হঠাৎই তার গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে গেছে। এক মুহুর্তে কেমন অচেনা লাগছে। অদ্ভুত আচরণ করছে তার সাথে।
জিতু দু’কদম এগিয়ে আসতেই পেছন থেকে জারিব তার কোটের কলার টেনে ধরল। ভেবেছিল জিমান হবে। তাই চেঁচিয়ে উঠল,
‘ছাড় তো, জিমানের বাচ্চা।’
জারিব তার চেয়ে দ্বিগুণ চেঁচিয়ে উঠল,
‘বিয়ে করে বড় হয়ে গেছিস। কান লাল করে দেব বে,য়াদব। ঈশিতা তোকে বউ নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে আদেশ দিয়েছিল। আর আমি বলছি, তুই এখন বউ কোলে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করবি। জলদি কর, এমনিতেই রাত বারোটা বেজে গেছে।’
জিতুর মুখে হতাশার সুর। ‘কিন্তু, ভাইয়া আমি,,
‘অত বাহানা নেওয়ার দরকার নেই। যা বলছি, তাই কর।’ তারপর গলার স্বর ক্ষীণ করে ভাইয়ের কানে ফিসফিস করে বলল,
‘এমন ভাব করছিস, যেনো কিছুই জানিস না, হলের ভেতর তোর সব কান্ড আমি দেখেছি।’
জিতু বেশ লজ্জা পেল ভাইয়ের কথায়। কিন্তু মন তার বিষাদে নিমজ্জিত। ভাই থেকে নিস্তার পেলেও সবার সামনে কিভাবে বউ কোলে নিবে। সবগুলোই তার দিকে হা’ করে তাকিয়ে থাকবে। ভাবতেই অস্বস্তিতে ডুবে যাচ্ছে। তার উপর বউকে কোলে নেওয়া। নেহাৎ ভদ্রতার খাতিরে গাড়ির ভেতর প্রবেশ করল। সদ্য হওয়া তার নববধূর মুখের সামনে নিজের মুখ রাখল। ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘এ্যাই তোমার ওজন কত? চল্লিশ পয়তাল্লিশ হবে।’
নুবাহ যেন অষ্টম আশ্চর্য কিছু শুনছে। এটা কেমন প্রশ্ন? তার উপর কোলে, সে তো হেঁটেই চলে যেতো। জবাব দেবার মত কোন প্রশ্নই নয়, তাই সে নিরুত্তর। কিন্তু জিতু নুবাহর জবাবের অপেক্ষা করল না। সে তার এক হাত নুবাহর পিঠে রাখল, অন্যহাত হাঁটু বরাবর নিচে। আলতো হাতে গাড়ি থেকে বের করে বউ নিয়ে হাঁটা ধরল। কিছুদূর আসতেই বিড়বিড় করল,
‘কি খাও তুমি? এত ওজন কেন? দেখতেই পাটকাঠি হলেও তোমার ওজন তো হেব্বি।আমি তো ভাবছিলাম চল্লিশ হবে হয়তো।’
জিতুর স্পর্শে শীতল বরফখন্ডের ন্যায় জমে গেছে নুবাহ। লজ্জায় আড়ষ্ট পুরো তনুশ্রী। তার শরীর কাঁপুনি দিয়েই যাচ্ছে। চোখ তুলে তাকানোর কিঞ্চিৎ সাহসও নেই জিতুর দিকে। অথচো এই লোকটার বক্ষস্থলে সদ্যোজাত শিশুর মত সে লেপ্টে আছে। জিতুর ঘন ঘন নিশ্বাসের বায়ু আঁচড়ে পড়ছে তার মুখাবয়বে। হৃদকম্পনের দ্রুতই উঠানামার শব্দও সে অনায়েসে শুনতে পাচ্ছে। ছেলেদেরও কি হার্টবিট বেড়ে যায় মেয়েদের সংস্পর্শে এলে। তাদেরও অন্যরকম অনুভূতি হয়। তার জন্যই বুঝি জিতুর হার্টবিট বেড়ে গেছে, নাকি তার ভার নিতেই এমন হচ্ছে। অজানা তার কাছে এইসব। অথচো সে জিতুর একান্তই কাছে। তার উপর এই লোকের উদ্ভট প্রশ্ন। ইচ্ছে করছিল দু’চারটে কথা শোনাতে। নেহাৎ সে নতুন এই বাড়িতে। বলবে কিভাবে?
জিতু ভাবলেশহীন। কোনোরকম প্রবেশদ্বারের সামনে নুবাহকে নামিয়ে সে নিজের রুমের উদ্দেশ্য রওনা দিল। তার বক্ষস্থল পুঁড়ছে, ভীষণ জ্বালা করছে তাতে। আজ তার নুহাহ হলে কতই না স্মৃতিমধুর হত। আজকের দিন হত তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। অথচ কতটা অদ্ভুতভাবে মিলে গেছে আজকের তারিখ। এই দিনে সে প্রথমবার তার বোকা পাখির সাথে কথা বলেছিল। আর আজকেই সে বিয়ে করেছে। রুমে প্রবেশ করেই দরজায় খিল দিয়েছে সে। দু’চোখ থেকে আপনা আপনি জল গড়াচ্ছে। এই জল বন্ধ করার অভিপ্রায় নেই তার। খুব যে মনে পড়ছে তার বোকা পাখিকে।
চলবে,,,,,,,,