ভয়_আছে_পথ_হারাবার ফারিশতা রাদওয়াহ্ [ছদ্মনাম] ৩৮,,

0
345

#ভয়_আছে_পথ_হারাবার
ফারিশতা রাদওয়াহ্ [ছদ্মনাম]

৩৮,,

সকালবেলাটায় তিলোর মিষ্টি কন্ঠের ডাকে অরিকের ঘুম ভাঙে। নিজের উপরই অরিক হেসে ওঠে, এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে সাথে সাথে একটা আসক্তি। খুব ধীরে সেটা কখনোই না। এতো দ্রুত যে অভ্যাস পরিবর্তন হতে পারে অরিকের জানা ছিলোনা। ও জানতো অন্তত একুশ দিনের নিয়মিত কর্মকান্ডের প্রয়োজন হয় একটা কাজকে অভ্যাসে পরিণত করতে।
আর তিলোর কন্ঠ! ভার্সিটিতে প্রথমদিন শোনা গানটাতেও এমনটা শোনা যায়নি৷ তিলো ঠিকই বলেছিলো, তাদের কন্ঠ পাল্টে যাচ্ছে। কারণটা তাদের প্রকাশভঙ্গিমা এবং আলাদা আবেগ মিশিয়ে ফেলা কথাগুলোতে। তিলোর কন্ঠটা অরিকের কানে গানের ধুয়া৷ সমতল রেখা থেকে আলতো করে উঠিয়ে নেওয়ার মতো, যেন পুকুরের পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে একটা পাথরের টুকরা লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে।

অরিক সাড়া না দিয়ে ওর ডাক শোনায় মনোযোগী হলো। তিলো কয়েকবার ডেকে ওর সাড়া না পেয়ে বিরক্তিতে জোরে এক ধাক্কা দিতেই অরিক ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো। বিষয়টা যে একটু বাড়াবাড়ি ছিলো অরিক সেটা বুঝতে পেরে অপরাধীর দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালে তিলো রুক্ষ কন্ঠে বললো,
-তোমার কফি নাও। খবিশ কোথাকার!

অরিক প্রশ্নাতুর দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
-খবিশ বললে কেন?

-কি ভয়ংকর! মুখ না ধুয়ে খাও কি করে? ছিহঃ!

অরিক মৃদু হেসে বেডসাইড টেবিলের উপর থেকে কফি মগটা তুলে একচুমুক খেয়ে তিলোর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
-এবার তুমি খেয়ে দেখো।

-জি না। এসমস্ত নোংরামি তুমিই করো। আমি তোমার এঁটো খাবো না।

-আমি জানতাম, এতে প্রেম উসকে ওঠে।

-তোমার কি মনে হয় না, এটা যথেষ্ট।

অরিক কাঁধ নাড়িয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে ‘কি জানি’ ধরনের একটা ভঙ্গিমা করলো কেবল। তিলো মাথা নাড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো সকালের নাস্তা তৈরির উদ্দেশ্যে।

সকালবেলা আকাশটা মেঘলা দেখে সানজিদ কফি হাতে ছাদে এসেছিলো। ওর কাছে বৃষ্টির থেকেও মেঘলা আকাশ আর ঝড়ো হাওয়াটা বেশি ভালো লাগে। প্রকৃতি এখন নিজের মর্জিতে স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়েছে। এই সময়ে এমন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই। তবে এখন মানুষই নিজের কাজ দিয়ে তার নিয়মের বধ্য শিকলটা ভেঙে দিয়েছে। হুট করেই সকাল থেকে আকাশটা গম্ভীর, একজন গম্ভীর প্রফেসরের মতো যার নাকের ডগায় মোটা ফ্রেমের চশমা থাকলেও সে তার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকা স্টুডেন্টদের দিকে চশমার ওপর থেকেই তাকায়। মেঘ ডাকছে।
সানজিদ রাস্তার দিকে তাকাতেই বাড়ির সামনে একটা অটো এসে থামতে দেখলো। উপর থেকে স্পষ্ট বোঝা না গেলেও তাদের চলার ভঙ্গিমায় বোঝা যাচ্ছে এরা কারা। পাঁচ তলার এ ব্লকে বাস করা দম্পতির গতমাসেই একটা ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। এরা যে সেই ফ্ল্যাটেরই অতিথি সেটা সানজিদের বোধগম্য হলো। সবাই নেমে গেলে একজন ভাড়া দিতে দাঁড়িয়েছে। হয়তো খুচরা নেই। অটোওয়ালার সাথে বাকবিতন্ডা হচ্ছে।

-মেয়েটা তো দারুণ দেখতে!

আচমকা কন্ঠটা শুনে সানজিদ পাশে তাকিয়ে রোৎশীকে আবিষ্কার করলো। রোৎশী এই এলাকার কিছু চেনে না। নিজের ভারী শরীরের উপর বিরক্ত হয়ে সে নিয়মিত সকালে হাঁটাহাঁটি করে। কিন্তু এখানে এসে হচ্ছে না। তাই ছাদেই এসেছিলো হাঁটতে। সানজিদকে এখানে দেখে ওর পাশে দাঁড়িয়ে ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে নিচে তাকালো। তখনই সেই ঝলমলে লাল সাটিনের সালোয়ার কামিজ পরা মেয়েটাকে দেখতে পেলো। তার গায়ের উজ্জ্বল বর্ণ এখান থেকেই প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। হাই হিল পড়া, খুব উগ্র লিপস্টিক দেওয়া, দুহাত ভর্তি সস্তা চুড়ি, পায়ে রূপার নূপুর। তার হেলেদুলে হেঁটে চলা আর ঝকমকি ভাবটা রোৎশীর এই বয়সের রঙিন চশমার ভেতর থাকা চোখজোড়ায় গিয়ে বিঁধেছিলো। মেয়েটা দেখতে আসলে খুবই সুন্দর।
সানজিদ ওর কথায় মৃদু হাসলো। এখনো রোৎশী মানুষ চেনে না। রোৎশী সানজিদের কোনো উত্তর না পেয়ে আবারও জিজ্ঞাসা করলো,
-সে কি এখানেই থাকে?

রোৎশী খানিকটা আতঙ্কিত। সানজিদ এমনভাবে নিচে তাকিয়ে ছিলো যেন, সে মেয়েটাকে চেনে বা হয়তো তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে। রোৎশীর বিষয়টা ভালো লাগেনি। সে সানজিদকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলো কোনোপ্রকার পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই।
সানজিদ ওর দিকে না ফিরে বললো,
-সে আসলে গল্পের চরিত্রগুলোর মাঝে জগাখিচুরি পাকিয়ে দেয়।

রোৎশী ভ্রু কুঁচকে বললো,
-কেন?

-সে মজনু হলেও লায়লা হতে পারে। রোমিও আসলে জুলিয়েটও হতে পারে। অ্যান্টনি হতে পারে ক্লিওপেট্রা।

রোৎশী সেভাবেই সানজিদের দিকে তাকিয়ে আছে। সানজিদ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে একপেশে হেসে বললো,
-সে বৃহন্নলা। আপনি তাকে মেইল বা ফিমেইল যেকোনো চরিত্র দিতে পারেন।

রোৎশী চোখ বড় বড় করে বললো,
-সে হিজড়া?

সানজিদ ওর এই কথার কোনো উত্তর দিলো না। রোৎশীর এখন নিজেকে বোকা মনে হচ্ছে। সত্যিই একটা বোকামি করেছে সে। পাশাপাশি স্বস্তিও পেলো এটা ভেবে যে, সানজিদ তখন আসলে মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখছিলো না।

-কিন্তু তার মেয়ে রূপটা খুব সুন্দর।
রোৎশী মুগ্ধ কন্ঠে বললো।

সানজিদ রেলিঙের উপর হেলে দাঁড়িয়ে বললো,
-তা ঠিক। সে আসলেই সুন্দর। আসলেই মেয়ে হলে তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি বেঁধে যেতো কিছু পুরুষের মাঝে।

রোৎশী হয়তো সানজিদের এমন কথায় খানিকটা ব্যথিত হলো। কিন্তু তারপরও স্বস্তি যে সে মেয়ে নয়। মাথা থেকে বিষয়টা ঝেড়ে ফেলে রোৎশী সানজিদের সাথে ভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করলো। তার আর হাঁটা হলোনা। ওদের কথার মাঝেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। সানজিদ দ্রুত দৌড়ে ছাদের মাঝে থাকা দোলনার ছাউনির নিচে গিয়ে দাঁড়ালো। রোৎশী গেলোনা। বাড়িতে থাকলে ওর মা ওকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেয় না। এখানে সেই বাঁধা নেই। সে দুহাত দুদিকে ছড়িয়ে মুক্ত পাখির ভঙ্গিমায় বৃষ্টির ফোঁটা গুলো অনুভব করছে চোখ বুজে। তার প্রসস্থ শরীরটাকে ধন্যবাদ। একটু বেশি বৃষ্টির পানি তার শরীরে লাগছে। বাকি ফোঁটাগুলো যেন অপচয় হচ্ছে। সানজিদ ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ওকে ডাকলো। ওর ঠান্ডা লেগে যাবে, জ্বর আসবে, বিভিন্ন কথা বলে চলেছে। রোৎশীর সেদিকে খেয়াল নেই। এখন সে বৃষ্টিবিলাসে মগ্ন। সে তো আর পথ হারিয়ে ফেলার ভয়ে নেই।
সানজিদ বিরক্ত হয়ে নিজেই ভিজে এসে ওর হাত ধরে টেনে ছাউনির নিচে নিতে গেলে রোৎশী চমকে ওঠে কারো স্পর্শ পেয়ে। সে অবাক হয়ে গিয়েছে বিধায় ওকে যে বৃষ্টির থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটা টের পেয়েও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারছে না। ছাউনির নিচে পৌঁছে সানজিদ ওর হাত ছেড়ে বললো,
-নিচে চলুন। ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলবেন তো।

রোৎশী একদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তার সামনে দাঁড়ানো শ্যামবর্ণের উঁচোলম্বা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। তার বলিষ্ঠ পেশিবহুল হাতে টিশার্টটা সেঁটে আছে। ভিজে গিয়েছে কিছুটা। খাড়া খাড়া কদমফুলের মতো চুলগুলোতে পানির ফোঁটা চিকচিক করছে। সানজিদ কিছুটা ‘ডার্ক হ্যান্ডসাম’ যাকে বলে সেরকম। রোৎশী নিজের দৃষ্টি সংযত করলো। তার মতো ভারী শরীরের মেয়েদের আসলে স্বপ্ন দেখায় বাঁধা আছে।

সানজিদ তখনও ওর হাতটা ধরেছিলো। রোৎশীর ফর্সা গোটা গোটা হাতটায় সানজিদের কৃষ্ণ বর্ণের হাতটা একটা তফাৎ সৃষ্টি করেছে যেটা চোখে লাগার মতো। অনেকটা সাদা কাগজে কালো কালির লেখা। তবে সানজিদ এতোটাও কালো নয়। চাপা শ্যামলা। পড়াশোনা শেষ করে সবে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো একটা পদে ঢুকেছে।

রোৎশী নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
-কিছু হবে না। আমার অভ্যাস আছে। বাড়িতে আম্মু না থাকলে প্রায়ই ভিজি।

-এসব হঠাৎ বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

-তাও। জ্বর হলে ভাইয়াকে বলে ডাক্তারের কাছে যাবো। ভাইয়া কিছু বলে না। এখন আসছি।

কথাটা বলে রোৎশী আবারও ছাউনির বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করলো। তার ভেতর আজ অন্যরকম আনন্দ। বৃষ্টিবিলাসের আনন্দ ছাপিয়ে সেটা ওর সারা শরীর মন গ্রাস করে ফেললো। বৃষ্টির প্রতি ফোঁটার সাথে সেই শিহরণ বয়ে চলেছে প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
সানজিদ হতাশ হয়ে ছাউনির ছাদ থেকে স্টেইনলেস স্টিলের শিকল সমেত ঝুলতে থাকা দু তিনজন বসার উপযোগী দোলনাটায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসলো। কোন আকর্ষণে সে ঘরে ফিরে যাচ্ছে না, সেটা ওর নিজের কাছেই পরিষ্কার নয়। পকেটে ফোনটা কম্পন সৃষ্টি করতেই সানজিদ সেটা বের করে স্ক্রিনে সোহা নামটা ভাসতে দেখেও আজ রিসিভ করার কোনো তাড়না অনুভব করছে না। একটা সময় ছিলো যখন রাতের পর রাত এই ফোনটার জন্য সে নির্ঘুমে কাটিয়েছে। কিন্তু আজ সেটা যেন বড়ই বিরক্তিকর! নিজের এই আমূল পরিবর্তনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে সানজিদ। পরক্ষণেই কিছু একটা বুঝতে পেরে সোহার ফোনটা কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে সামনের দৃশ্যে চোখ রাখলো। মোটাসোটা সাদা একটা মেয়েকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখাটা দৃষ্টিকটু নয়!

সানজিদ জোরে বলে উঠলো,
-আর কয়দিন থাকবেন এখানে?

রোৎশী রেলিঙে হাত রেখে উল্টো ঘুরে থেকেই উত্তর দিলো,
-আজ বিকালে চলে যাবো।

সানজিদের মনটা সকালের আকাশটার মতোই কালো মেঘে ছেঁয়ে গেলো। তারপরও কন্ঠ স্বাভাবিক রেখে বললো,
-শহরটা ঘুরে দেখবেন না? আর কয়েকদিন থাকুন।

-আরেহ্। পরেরবার এসে দেখবো। সামনেই সেমিস্টার ফাইনাল। এমনিতে ভাইয়ার বিয়ের জন্য ফাঁকি দিয়েছি। আর সম্ভব না।

সানজিদ মৃদুকণ্ঠে ‘ও আচ্ছা’ বলে আর কিছু বললো না। রোৎশী চাচ্ছিলো সে কিছু বলুক। কিন্তু তাদের মাঝে আর কথা হলোনা। রোৎশী নিজেও কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছে না বলার জন্য। আর লজ্জায় নিজে থেকে বলতে পারছে না। সানজিদও বললো না।

ভিজে গিয়ে লেপ্টে থাকা ওড়নাটা সে বারবার নামিয়ে নিচ্ছে। এরপরও স্বস্তি পাচ্ছে না। তাই খুব তাড়াতাড়িই নেমে এলো নিচে। দুজনের মাঝেই একটা অতৃপ্তি থেকে গেলো। সে তৃপ্তময়তার রাস্তা খুঁজতে মরিয়া দুটো সত্তা। হয়তো অতৃপ্তিতে ক্লান্তিব্যঞ্জকতা গ্রাস করে ফেললেই রাস্তার মাথায় সরু আলোকরেখার দেখা পাওয়া যাবে।

তিলো টেবিলে নাস্তা সাজাতে সাজাতেই কলিং বেলটা বেজে উঠলো। রাফি গিয়ে দরজা খুলে দিতেই ভেজা কাপড় দ্রুত ঘরে ঢুকে রোৎশী নিজের জন্য অস্থায়ী রুমটায় ঢুকে গেলো। রাফি ও যেতে যেতেই বললো,
-আবার ভিজলি তুই, মুটি। জ্বর হলে বুঝিস কেমন লাগে! আমি আর তোকে ডাক্তার দেখাবো না।

রোৎশী একবার থেমে গিয়ে মুখ ভেংচিয়ে বললো,
-লাগবে না আমার।

বলে আবারও রুমে ঢুকতে উদ্যোত হলো। রাফি দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেলে দরজা আটকে দেওয়ার আগেই একটা অল্পবয়সী ছেলে এসে একটা পার্সেল বাড়িয়ে দিলো তার দিকে। রাফি সেটা হাতে নিয়ে দেখলো, অরিকের নেইম-প্লেট সেটা। ওর পূর্ণ পরিচয় যেটা ও দরজার পাশে বেলের উপরে লাগাবে। সেদিন এটা ছিলোনা বলেই তিলোর আবারও নিচে গিয়ে খোঁজ করা লেগেছিলো। তিনতলার কোনো ফ্ল্যাটেই একটাও লাগানো নেই। সেই ঘোরেই অরিকও এতোদিন লাগানোর প্রয়োজনবোধ করেনি। তবে এখন মনে হয়, প্রয়োজন।

বিকালে প্রায় সবাই যে যার নিজস্ব অবস্থানে ফিরে গেলো। গমগমে ফ্ল্যাটটা এখন পুরো ফাঁকা। অরিকও বাইরে গিয়েছে। তিলো সারা বাড়ি গড়াগড়ি খাওয়ার যোগাড়। বিরক্ত হয়ে গিয়েছে ও একা হয়ে গিয়ে। নাসীরা পারভীনকে ফোন করলে ওনি অভিমানে ঠিকমতো কথাও বললেন না। অগত্যা নিজের বন্ধুদের একে একে ফোন করে সময় কাটিয়ে দিলো।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here