তোমাতেই_নৈঃশব্দ্য_প্রহরে #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্বসংখ্যা_৫

0
222

#তোমাতেই_নৈঃশব্দ্য_প্রহরে
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্বসংখ্যা_৫

” ওই মিয়া! না কিইন্নাই ফটাফট বরই খাইতাছেন ক্যান? ”

অসন্তোষের স্বরে বললেন দোকানদার। মুয়ীয বাঁ হাতে কান চুলকে বরইয়ের বাকি অংশ মুখে পুরে নিলো। চিবোতে চিবোতে দোকানদারকে বললো,

” কিনোনের লেইগ্গাই তো আইছি। কেজি কত কইরা? ”

দোকানদার চমকালেন! তাকালেন মুয়ীয পানে। সহসা বিগলিত হেসে উঠলেন উনি,

” আরে! মুয়ীয ভাই যে! আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন ভাই? ”

বরইয়ের বিচি থুথু ছিটানোর মতো করে ফেলে দিলো মুয়ীয। বরাবরের মতই রঙচটা কণ্ঠে বললো,

” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ্। তোমার কি খবর মিয়া? ”

” এই তো ভাই। আলহামদুলিল্লাহ্ আছি কোনোরম। ”

বরইয়ে চোখের ইশারা করে মুয়ীয জিজ্ঞেস করলো,

” কেজি কত? ”

” কয় কেজি নিতেন ভাই? আমি অহুনি প্যাক কইরা দিতাছি। ”

” দেড় দাও। ”

” আচ্ছা আচ্ছা। ”

বেশ ত্রস্ত ভঙ্গিতে দোকানদার মানুষটি দেড় কেজি বরই মেপে, খসখসে শুভ্র প্যাকেটের আবরণে ঢেকে দিলেন। শুধোলেন,

” আর কিছু লাগতো ভাই? ”

মুয়ীয নেতিবাচক মাথা নেড়ে দুইশো টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলো। অপর হাতে নিলো বরইয়ের প্যাকেট। দোকানদার ওর হাতে চেঞ্জ বাড়িয়ে দিলো। মুয়ীয মাথা নেড়ে বললো,

” রাইখা দে। খোদা হাফেজ। ”

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের সাহায্যে সালাম ঠুকে দিলো মুয়ীয। অতঃপর সেথা হতে প্রস্থান করলো। দোকানদার পুলকিত নেত্রে ওর গমন পথে তাকিয়ে। হাতে চেঞ্জ টাকাটা জ্বলজ্বল করছে।

পড়ন্ত বিকেল তখন। মিষ্টি এক রৌদ্রের আদর মেখে ধরনীর কোলে। বাজার সমাপ্ত করে হেঁটে যাচ্ছিল মুয়ীয। আশপাশে চলাচলরত মানুষগুলোকে বেশ সুন্দর ভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছিল। সহসা থমকে গেল পদদ্বয়। থামলো মুয়ীয। তাকালো হাতের বাম পাশের দোকানে। দাঁড়িয়ে, কিছু এক স্মরণ করলো। ভাঁজ সৃষ্টি হলো দু ভ্রুয়ের সন্ধিস্থলে। অতঃপর আর বিলম্ব না করে অগ্রসর হলো সে দোকানের উদ্দেশ্যে।

নিকষকৃষ্ণ রজনী। উন্মুক্ত জানালা গলিয়ে প্রবেশ করছে ঈষৎ শীতল হাওয়া। বিছানায় বসে উক্তি। বালিশে ঠেকে স্মার্টফোন। ভিডিও কলে সংযুক্ত সে। ভাবী নিশাতের সঙ্গে। উক্তি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে কথা বলছে ভাবীর সঙ্গে। হাতের ইশারায় বললো,

‘ বাবা, ভাইয়া কেমন আছে? ওরা কি আমায় মনে করে? ‘

বড় করুণ সে প্রশ্ন! কোনো মেয়ের মুখে এমন প্রশ্ন কখনো না ফুটে উঠুক। নিশাত বুঝে উঠতে পারলো না সে কি বলবে। সত্যি এটাই বলতে হবে যে, ‘ বোন তুই আর কোনো মিথ্যা আশায় বুক বাঁধিস না। ভুলে যা সব। যেমন করে এরা ভুলে গিয়েছে তোকে। ‘

‘ ভাবী। চুপ করে আছো কেন? কিছু বলো। ‘

সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে বললো উক্তি। নিশাত কৃত্রিম হেসে বললো,

” আরে পা^গলি! ওরা তোমায় ভুলে থাকতে পারে! আজ সকালেই তো তোমার ভাইয়া তোমার কথা জিজ্ঞেস করছিল। ”

অবিশ্বাস্য চাহনিতে তাকিয়ে মেয়েটা। সত্যিই ভাইয়া তার খোঁজ নিচ্ছিল! এতগুলো বছরে এ প্রথমবারের মতো এমন চমৎকার ঘটলো! কি করে? সে দূরে আছে বলে কি ভাইয়ার পা^ষাণ মন গলতে শুরু করেছে! আবেগে আপ্লুত মেয়েটার শরীর মৃদুমন্দ কাঁপছিল। চোখের কোলে জলকণার আধিপত্য। ঠোঁটের কিনারায় মুগ্ধময়ী হাসি। নিশাতের কান্না পাচ্ছিল একমাত্র ননদিনীর খুশিটুকু অবলোকন করে। এ হাসি, এ অকৃত্রিম খুশি… সবটার মূল উৎস ই যে মিথ্যে। নকল।

” উক্তি বোন আমার। কাঁদে না। শান্ত হও। তোমার ভাইয়া, বাবা তোমায় ভালোবাসে। খুউব ভালোবাসে। ”

এমন ভ^য়ঙ্কর মিথ্যে বলতে নিশাতের জিভে আটকে যাচ্ছিল। ঠোঁট দুটো কেঁপে কেঁপে উঠছিল। তবুও এই নিরীহ, নিষ্পাপ মেয়েটির খুশি বজায় রাখতে মিথ্যেটা বললো সে। উক্তি হাতের স্পর্শে চোখের অশ্রু মুছে নিলো। তবুও চোখে অশ্রু, ঠোঁটে খুশির আভা। চোখের ইশারায় বোঝালো, ‘ আর কাঁদছি না। এই তো থেমেছি। ‘ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে ভাবীকে প্রশ্ন করলো উক্তি,

” ভাইয়া কোথায়? ”

” তোমার ভাইয়া? সে তো… ”

নিশাত আর বলতে পারলো না। থেমে গেল অকস্মাৎ। বলা ভালো, থামতে বাধ্য হলো। কেননা পেছন হতে শুধালো এক পুরুষালি কণ্ঠ,

” কার সাথে কথা বলছো? ”

অত্যধিক মাত্রায় চমকালো নিশাত! আঁতকে উঠলো ভেতরকার কোমল সত্তা। গণ্ডস্থল শুকিয়ে খড়খড়ে চর-এ পরিণত হয়েছে। বক্ষস্থলের ওঠানামা অস্বাভাবিক। কম্পিত চিত্তে পিছু ঘুরে তাকালো নিশাত। স্বামী জাওয়াদ দাঁড়িয়ে। মুখশ্রী গম্ভীর। জাওয়াদ নিশাত পানে একপলক তাকিয়ে দ্রুত পায়ে এগিয়ে এলো। কেড়ে নিলো স্ত্রীর মোবাইলটি। তাকালো যান্ত্রিক পর্দায়। যা ভেবেছিল ঠিক তা-ই। এই অনাহুত আপদটি কল করেছে।

” কোন সাহসে কল করেছিস? ”

কাট-কাট গলায় প্রশ্নবিদ্ধ করলো জাওয়াদ। উক্তি ভাইকে ক’দিন পর দেখলো। উৎফুল্লতা বিদ্যমান মেয়েটির গোটা মুখ জুড়ে। সে ভেবেছিল ভাইয়া সত্যিই বদলে গিয়েছে। আপন করে নিয়েছে তাকে। তবে তা আর হলো কোথায়? অভাগিনী যেদিকে যায়, সেদিকেই শুধু লাঞ্ছনা। গঞ্জনা।

” কল করেছিস কেন? ”

নীরবতা সহ্য করতে না পেরে, ধমকে উঠলো জাওয়াদ। সে ধমকের আধিক্যে ঘাবড়ে গেল দু পাশে অবস্থিত দুই নারী। নিশাত এবং উক্তি। উক্তি ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে। হাত নাড়িয়ে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে কিছু বলতে যাচ্ছিল। তখনই জাওয়াদ বলে উঠলো,

” কান খুলে শুনে রাখ উক্তি। তোর বিয়ে হয়ে গেছে। যেদিন, যে মুহূর্তে তুই ওই ফ•কিন্নির স্ত্রী হিসেবে সাইন করেছিস, সেদিন সে মুহূর্ত থেকে তোর সাথে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছি। তুই না কোনোদিন আমাদের কেউ ছিলি, না এখনো আছিস। তুই আমাদের কেউ হোস না। জাস্ট অ্যা বিগ ট্রাবল। ”

বোবা-মূক মেয়েটি এমন অপ্রত্যাশিত-আশ্চর্যান্বিত ভালোবাসায় রীতিমতো বাকরুদ্ধ। আরো নির্বাক। দু চোখে শুধু কান্নার জলোচ্ছ্বাস। বুকে তীব্র বেদনা। তবুও ঠোঁটে ঝুলে এক টুকরো উজ্জ্বলতা। ভালো থাকুক ভাইয়া। মহান আল্লাহ্ ভালো রাখুক তার সকল আপনজনকে। হাতের ইশারায় সালাম জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেললো উক্তি। মোবাইলটা তখনো বালিশে হেলান দিয়ে রাখা। উক্তি বসে। দৃষ্টি নিবদ্ধ জানালা গলিয়ে উন্মুক্ত ওই বিশাল আকাশে। এই অন্ধকার রাতের মতো তার জীবনটাও ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে। সে কতই না লো’ভী? একটুখানি সুখ, ভালোবাসার লো’ভে বারবার ভুল করে ফেলে। ভুলকে বিশ্বাস করে সঠিক মনে করে ফেলে। তবুও দূরীভূত হয় না কেন এই লো’ভ? কেন এক টুকরো ভালোবাসা পাওয়ার লো’ভে ধুঁকে ধুঁকে ম•রছে সে? সবার জন্য নয় ভালোবাসা। তার মতো অভাগীর জন্য তো মোটেও নয়। উক্তি আকাশ পানে তাকিয়ে শব্দহীন হাসছে। অথচ চোখের কোল ঘেঁষে নামছে অশ্রু। গাল ছুঁয়ে, চিবুক বেয়ে সে অশ্রুবিন্দু হারিয়ে যাচ্ছে গলার ভাঁজে ভাঁজে। চন্দ্রের মোহনীয় আলো ঝলমল করছে অভাগিনী উক্তি’র ঠোঁটে লেপ্টে থাকা বেদনাবিধুর হাস্য রেখায়। এই যন্ত্রনা কি ঘরের দোরগোড়ায় উপস্থিত মানুষটির হৃদয় একটু হলেও ছুঁতে সক্ষম হলো!

নতুন এক দিনের সূচনা। পার্শ্ববর্তী কোথাও তুমুল হৈচৈ চলছে। রান্নাঘরে বঁটি নিয়ে লেগেছে সে ঝগড়া। উক্তি সবই শুনছে। পাশে উপস্থিত মানুষগুলো, যারা খেতে বসেছে তারাও শুনতে পাচ্ছে। তবে নির্লিপ্ত বদনে খাবার খাচ্ছে সকলে। এমন পরিবেশে থাকতে গেলে যখন তখন নির্লিপ্ততা বেশ প্রয়োজন। নাহলে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে উঠবে। মুয়ীয খাচ্ছে এবং ব্যস্ত ভঙ্গিতে মোবাইল স্ক্রল করে চলেছে। সাধারণত তার বেশিরভাগ ব্রেকফাস্ট কাটে বাহিরে। ঘরে খাওয়ার সুযোগ খুব কমই হয়। আজ ছুটির দিন বিধায় সকাল সকাল ঘরেই দেখা মিললো। ছোট বোন মুন্নি অমলেট একটুখানি ছিঁড়ে এক নলা ভাতের সঙ্গে মেখে নিলো। পুরে নিলো মুখে। খাবার চিবোতে চিবোতে ছোট ভাইকে প্রসন্ন কণ্ঠে বললো,

” ভাইয়া! ম্যালাদিন পর ডিম আনছো। আইজ খাইয়া বেশ মজা পাইতাছি। থ্যাংক ইয়্যু। ”

মুয়ীয আলতো করে মাথা নাড়লো। বললো না কিছুই। আড়চোখে শুধু তাকালো স্ত্রীর আদুরে অবয়বে। দৃষ্টি নত করে ডিম, ডাল দিয়ে খেতে ব্যস্ত মেয়েটা। একটুও এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। বড় তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে। বিগত ক’দিন তৃপ্তি মেলেনি যে। মোমেনা বেগম ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,

” ডিমের দাম অহন কমছে নি? ”

” না। ”

এক বাক্যে উত্তর সাড়লো মুয়ীয। মোমেনা বেগম ঈষৎ ভ্রু কুঁচকে বললেন,

” তয় আচইন্না এত্তগুলা ডিম কিইন্না আনছোছ যে? আগে তো ডিম আনোনের কথা কইলেই ছ্যাত কইরা উঠতি। দাম বেশি। দরকার নাই। এইডা। হেইডা। ”

স্ত্রী উক্তি এ পরিবেশে এখনো মানিয়ে উঠতে পারেনি। এখানকার অনাড়ম্বর খাবার ওর মুখে রোচে না। ঠিকমতো খেতে পায় না মেয়েটা। খাবারে খুব কষ্ট হয়। পাখির মতো ঠুকরে ঠুকরে এক আধটু খেয়েই রেখে দেয়। কোনো বেলাই তৃপ্তি করে ভরপেট খেতে পারে না। আর কেউ এসব লক্ষ্য না করলেও স্বামী মানুষটি ঠিক তা লক্ষ্য করেছে। তাই তো এবার বাজারে গিয়ে দুই ডজন ডিম কিনে এনেছে। বেতন পেলে পরেরবার ভালো মাছ, এক কেজি গরুর মাংস আর একটা ছোট মুরগি কিনে আনবে নে। মেয়েটা সব ছেড়েছুড়ে এখানে এসেছে। নতুন পরিবারে ঠাঁই নিয়েছে। সর্বোপরি মুয়ীয হাসান জীবিত থাকতে তার স্ত্রী খাবারের কষ্টে ভুগবে, অসম্ভব। দেহে একবিন্দু র°ক্ত অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত সে এমনটা হতে দেবে না। নিজের মানুষগুলোকে ভালো রাখার, যথাসম্ভব সুখে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

‘ গরীব সে, অপারগ-পঙ্গু নয়। ‘

ছুটির দিন আজ। শুক্রবারের শেষ দুপুর। লাঞ্চ সমাপ্ত করে সোফায় বসে জনাব কায়সার হামিদ। পড়নে শুভ্র রঙের পাঞ্জাবি, পাজামা। মাথায় অর্থ টাক। চোখে প্লাস পাওয়ারের চশমা। হাতে দেশের জনপ্রিয় এক পত্রিকা। বছর ষাটের মানুষটি পেশায় একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। বয়স হয়েছে। চেহারায় তার ছাপ পড়েছে। তবে এখনো যথেষ্ট কর্মঠ, সামর্থবান এই মানুষটি। রাশভারী গোছের মানুষটিকে পরিবারের সকলে যথেষ্ট সমীহ করে চলে।

পত্রিকায় মনোযোগী কায়সার সাহেব। সে মুহূর্তে পাশে এসে বসলো পুত্র জাওয়াদ। হাতে মোবাইল। তাতেই ধ্যানজ্ঞান দেয়া। বাপ-বেটা নিজেদের মতো করে অবসর কাটাচ্ছে। তন্মধ্যে বেজে উঠলো কলিংবেল। জাওয়াদ একপলক দরজায় তাকিয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো মোবাইলের স্ক্রিনে। একজন পরিচারিকা গিয়ে দরজা খুলে দিলো। পুরুষালি কণ্ঠে সালাম শুনে পিতা ও পুত্র ঈষৎ চমকালো! তাকালো একে অপরের পানে। এরপর একইসঙ্গে দু’জনে তাকালো দরজায়। হতভম্ব হলো সিনিয়র কায়সার এবং জুনিয়র কায়সার উভয়েই!

” তুমি! ”

ফট করে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো জাওয়াদ। তার বিপরীত দিকে এসে দাঁড়ালো অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি জনাব মুয়ীয হাসান। কপালে তর্জনী ও মধ্যমা ঠেকিয়ে সালাম ঠুকে দিলো সে। জাওয়াদ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে। নজর বুলালো ওই ছোটলোক ছেলেটার সারা অবয়বে। নাকমুখ কুঁচকে ফেললো পোশাকের হালচাল দেখে। তবে মাথা গরম হলো অতিথির হাতে বড় লাগেজ দেখে। লাগেজ! তা-ও কিনা বিয়েতে তাদের তরফ থেকে দেয়া লাগেজ! এটা এখানে কি করছে?

” কি ব্যাপার? লাগেজ হাতে বিনা নিমন্ত্রণে হাজির। এখানেই পাকাপাকিভাবে খুঁটি গাড়তে এলে নাকি? ”

বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে শুধালো জাওয়াদ। ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলে। সে মুহূর্তে…

চলবে।

[ শ্বশুরবাড়ি বিনা নেমতন্নে হাজির মুয়ীয হাসান। কি হতে চলেছে এবার? কোনোরূপ আন্দাজ?

উক্তি বোবা অথচ কানে শুনতে পায়। কি করে? এমন প্রশ্ন অনেকেরই। যথাসময়ে প্রশ্নের উত্তর মিলবে। একটু ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ রইলো।

পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য শুকরিয়া পাঠকবৃন্দ! ]

📌 আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা….

তাহিরাহ্ ইরাজের লেখা গল্প-উপন্যাস সম্পর্কিত ছোট-বড় অনুভূতি ব্যক্তকরণ, গল্প নিয়ে আলোচনা, ভুলত্রুটি শুধরে দেয়া, রিভিউ প্রদান এবং গল্পের চরিত্র-দৃশ্য নিয়ে মতামত পেশ করতে জয়েন করুন আমাদের গল্প সংক্রান্ত গ্রুপে…

গ্রুপ লিংক 🍁

https://www.facebook.com/groups/499389245208190/?ref=share

[ টাইপো কৃতজ্ঞতায় ~ রত্না আপু 💚 ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here