রণরঙ্গিণী_প্রেমরঙ্গা |৭৫| #ঊর্মি_আক্তার_ঊষা

0
641

#রণরঙ্গিণী_প্রেমরঙ্গা |৭৫|
#ঊর্মি_আক্তার_ঊষা

হসপিটালে যাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি অর্পণ। তবে যাওয়ার আগে ফিরোজার কাছে তার আর ইরার বিয়ের কথাটা ঠিক কীভাবে বলবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না! সকাল থেকে বেশ কয়েকবার বলার জন্য উসখুসও করছে। স্বস্তি মিলছে না তার। অর্পণ সোজা তার মায়ের ঘরে চলে এসেছে। মেহরাব শিকদার হয়তো ছাদে গিয়েছেন। যেদিন তিনি হসপিটালে না যান সেদিন নাস্তা করার পর ছাদের গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেন। এই সুযোগে অর্পণ তার কথাটা বলে দেবে৷ ফিরোজা তখন নিজের ঘরেই ছিলেন। অর্পণ কোনো রকমের ভণিতা ছাড়াই তার মাকে বলল‚

“মা তোমাকে আমার কিছু বলার আছে৷”

“হ্যাঁ বাবা বল— কী বলবি?”

“আমি আর ইরা বিয়ে করতে চাইছি। সবাইকে রাজি করানোর ভার তোমার উপর।”

“মায়ের কাছে সোজা বিয়ে করার কথা বলছিস? ছেলে আমার বড়ো হয়ে গিয়েছে৷ তা হুট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলি যে?”

“তার একটা কারণ অবশ্যই আছে৷ তবে মা আজ আমি সেসব কিছু বলতে পারছি না। তুমি বাড়ির সকলের সঙ্গে কথা বল। আঙ্কেল আন্টির সঙ্গেও কথা বল।”

“আচ্ছা যখন সময় হবে তখন আমাকে বলিস৷ আর হ্যাঁ আমি আজই সবার সঙ্গে কথা বলছি।”

এই বলে আলমারি থেকে একটা গহনার বাক্স বের করলেন ফিরোজা৷ অর্পণের বউয়ের জন্য গহনা গড়িয়ে রেখেছেন তিনি। একটা একটা করে বের করতে শুরু করলেন। গহনার বাক্সের ভেতরে আরও দুটো বক্স। ফিরোজা মনে প্রাণে ভূমিকে নিজের মেয়ের জায়গা দিয়েছিলেন। শুরুতে যখন ভূমি এ বাড়িতে বউ হয়ে আসে তখন এক জোড়া ঝুমকা আর একটা চেইন বানিয়ে রেখেছিলেন৷ ভূমি এ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন দুয়েকের মাঝেই গহনা গুলোকে আনা হয় স্যাকরার কাছ থেকে। এত কিছুর মাঝে কখনো এগুলো দেওয়ার সুযোগই হয়নি উনার৷ হবে কী করে? তার আগেই তো ভূমির ওই খবর! তবুও ভূমির এই জিনিস গুলো নিজের কাছে যত্ন করে আগলে রেখেছেন৷ অর্পণ দুটো বাক্স দেখে জিজ্ঞেস করল‚

“এখানে দুটো বক্স কেন মা?”

“একটায় ইরার জন্য গহনা আছে।”

“আরেকটায়?”

“ভূমির জন্য। ওর জন্যও আমি এক জোড়া ঝুমকা আর একটা চেইন বানিয়ে রেখেছিলাম।”

অর্পণ জানে তার মা ভূমিকে ঠিক কতটা স্নেহ করেন! অর্পণ তার মাকে আশ্বাস দিয়ে বলল‚

“এগুলো আরও কিছুদিন যত্ন করে তুলে রাখ মা৷”

নিজের মনের কথা মুখে পুরোপুরি ভাবে বলতে পারল না অর্পণ। সে ভাবতে লাগল যখন তার মা সব সত্যিটা জানবেন তখন কেমন প্রতিক্রিয়া করবেন? সে জানে মেহরাব শিকদারের রূপটা সামনে এলে তার মা ভীষণ কষ্ট পাবেন। কিন্তু কিছুই করার নেই। সত্যিটা সবার সামনে আসা খুবই জরুরি।

সবে নাচের স্কুল থেকে বের হয়েছে মৃত্তিকা। নাচের স্কুলটা পড়েছে শাহবাগের দিকে৷ ❝নৃত্য প্রকৌশল একাডেমি❞ নামক একটা প্রতিষ্টানে। যা তার বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে। মৃত্তিকার অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার৷ নাচ নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবার। টানা পাঁচ ঘণ্টা সময় এখানেই অতিবাহিত হয়েছে তার৷ সুযোগে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিয়েছিল৷ তনুজাকে প্রমিজ করে এসেছিল যে‚ সময় মতো খাবারটা খেয়ে নেবে৷ সেও কল করে তনুজা আর সুদর্শিনীর খবরাখবর নিয়েছে৷ রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্তিকা৷ এই সময়টাতে রিকশা পাওয়া যায় না বললেই চলে৷ সেদিনও এখানেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল৷ অবশ্য ওই সময়টা বাসের আনাগোনা থাকে৷ কিন্তু এখন বা আরও ঘণ্টা খানেক পরও এখানে আর বাস পাওয়া যাবে না৷ বিরক্ত হয়ে বারবার ফোন ঘড়িতে সময় দেখছে মৃত্তিকা৷ এরই মাঝে পাশ থেকে কেউ একজন ডেকে উঠল তাকে৷ মৃত্তিকাও সেখানটায় তাকাল। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুশফিকা আর তার বর অর্থাৎ রিফাত। দুজনেই তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মৃত্তিকার পড়নে হাফসিল্কের ম্যাজেন্টা রঙা শাড়ি আর ডান কাঁধে ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ৷ তাকে এভাবে দেখে মুশফিকা জিজ্ঞেস করল‚

“ভূমি তুমি কোথায় যাচ্ছ?”

প্রায় এক বছরেরও অধিক সময় পর ভূমিকে দেখছে সে। মুশফিকার কণ্ঠেও কিছুটা উচ্ছ্বাস। তবে মৃত্তিকা তা এড়িয়ে বলল‚

“এক্সকিউজ মি! আপনার হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে৷ আমি ভূমি নই— মৃত্তিকা।”

বোকা হেসে মুশফিকা বলল‚ “তুমি আমার সঙ্গে মজা করছ তাই না?”

“কী আশ্চর্য! আমি আপনার সঙ্গে মজা করতে যাব কেন? আমরা কী একে অপরকে চিনি? কখনো কী আমাদের দেখা হয়েছিল?”

এবার মুশফিকার স্বামী রিফাত এগিয়ে এসে বলল‚ “চল মুশফি। আমাদেরই হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।”

মৃত্তিকার দিকে তাকিয়ে রিফাত আবারও বলল‚ “আপনি কিছু মনে করবেন না৷ আপনাকে একজন চেনা মানুষের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছে ও৷”

“ইটস ওকে!”

রিফাত এবার মুশফিকার হাত ধরে নিয়ে চলে গেল। যাওয়ার আগেও মুশফিকা তাকিয়ে ছিল মৃত্তিকার দিকে৷ ওরা চলে যেতেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচল মৃত্তিকা৷ তবে মুশফিকার সঙ্গে এমন ব্যবহার করে তার বড্ড অনুশোচনাবোধ হচ্ছে৷ এমন ভাবে কথা না বললেও পারত কিন্তু সে চায় না তার বেঁচে থাকার কথাটা এখনই কেউ জেনে যাক৷ যতদিন না সবকিছু হাতেনাতে প্রমাণ দেবে ততদিনে নিজের পরিচয় সে লুকিয়েই রাখবে৷ কারো সামনে আসতে দেবে না৷ ব্যাগ থেকে ফোন বের করে অর্পণের নাম্বার কল লাগাল। ওদিকে অর্পণও তার ফোনকল সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ করল। ভূমি জিজ্ঞেস করল‚

“ভাইয়া তুমি কোথায় আছ?”

“কেন বোন— তোর কী কিছু দরকার? কোনো বিপদ হয়েছে কী? আমি এক্ষুনি আসছি।”

“তুমি ব্যস্ত হয়ো না৷ আমার একটা কথা বলার ছিল।”

“কী কথা?”

“কিছুক্ষণ আগে মুশফিকা আপুর সঙ্গে দেখা হয়েছে৷ উনার স্বামীও সাথেই ছিল। তো আমাকে ভূমি বলে ডাকছিল। নিজেকে আড়াল করতে উনার সঙ্গে কিছুটা মিসবিহেভ করে ফেলেছি।”

“এখন কী রিগ্রেট ফিল হচ্ছে?”

সঙ্গে সঙ্গে মৃত্তিকা জবাব দিল‚ “হুম— হুম!”

“অনুশোচনাবোধ করার কিছু হয়নি। মাঝে মাঝে কিছু সত্যি লুকতে গিয়ে যদি মিথ্যে বা মিসবিহেভ করতে হয় তাহলে সেটা অন্যায়ের মাঝে পড়ে না৷”

“আরেকটা কথা।”

“এত সংকোচ করছিস কেন? নির্দ্বিধায় বল বোন।”

“আজ কী উনি হসপিটালে গিয়েছেন?”

মৃত্তিকার কথা বুঝতে না পেরে অর্পণ জিজ্ঞেস করল‚ “উনি কে?”

“ডক্টর মেহরাব শিকদার।”

“না। মা আজকে উনাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেননি।”

“আমি তাহলে হসপিটাল আসছি।”

“আচ্ছা আয়। চিনে আসতে পারবি? আমি গিয়ে কী নিয়ে আসব তোকে?”

“আমি একাই আসতে পারব ভাইয়া। তোমার বোন এখন আর আগের বোকা ভূমি নেই।”

ক্ষীণ হেসে অর্পণ বলল‚ “ওহ হ্যা আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম৷” একটু থেমে সে আবারও বলল‚ “সাবধানে আসিস?”

“হুম!”

ফোনটা ব্যাগে রেখে একটা রিকশা ডাকল মৃত্তিকা৷ উদ্দেশ্য হসপিটালে যাবে। যেহেতু মেহরাব শিকদার হসপিটালে নেই তাই সেই সুযোগে কিছু তথ্য বের করা যাবে৷ অর্পণের সাহায্যে মেহরাব শিকদারের কেবিনে ঢুকতে খুব বেশ বেগ পেতে হবে না তাকে। মনে মনে এক বড়োসড়ো পরিকল্পনা এঁটেছে সে৷ এখন থেকেই মেহরাব শিকদারের ধংসলীলা শুরু হবে। তার পাপের সম্রাজ্যেই তার ধ্বংস অবধারিত। যেমনটা সে একদিন মেহরাব শিকদারের কাছে ওয়াদা করেছিল। সেদিনের তার ওয়াদার প্রত্যেকটা শব্দ আজও তার মনে রয়েছে। মেহরাব শিকদারকে শাস্তি দেওয়া না অবধি এই কথাগুলোকে সে ভুলতে পারবে না৷

“যেভাবে আপনি আমার আম্মাকে খু’ন করেছেন— তার থেকে কঠিন মৃ’ত্যু আমি আপনাকে দেব৷ বাঁচতে কে না চায়? আপনিও বাঁচার জন্য একটু একটু করে তড়পাবেন। কিন্তু আমি আপনাকে এমন মৃ’ত্যু দেব যে‚ আপনার ❝কাঁটামুকুট❞ এর প্রত্যেকটা কামরা কেঁপে উঠবে৷ সেখানেই আপনার মৃ’ত্যু শিরোধার্য। আপনার ধ্বংসোন্মুখ ক্রমশ এগিয়ে আসছে৷ যতদিন ইচ্ছে হয় নিজের পাপ আরও বাড়িয়ে নিন। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে মেহরাব শিকদারের মতো পাপকৃৎ-কে একদিন না একদিন এই আমার হাতেই ম’রতে হবে। আপনার ধ্বংসেই আমি হব রণরঙ্গিণী।”

অন্যদিকে…

মাধুরীর শত বারণ অগ্রাহ্য করে বাড়ি থেকে বের হয়েছে প্রলয়৷ বাড়িতে বসে থাকতে ভাল্লাগছিল না তার৷ ছেলের জেদের কাছে হার মেনে রাজি হতেই হয়েছে মাধুরীকে৷ কালো রঙা গাড়িটি থেকে নেমে ল্যাবের ভেতরে প্রবেশ করল প্রলয়৷ আজ সে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডিএনএ আবারও টেস্ট করাবে। কাল অর্পণকে তার কেন যেন সন্দেহ হয়েছিল! মনে হচ্ছিল সে তাকে মিথ্যে বলছে৷ কারণ অর্পণ সবসময় তার চোখে চোখ রেখে কথা বলে। কিন্তু কাল সে প্রতিনিয়ত দৃষ্টি আড়াল করছিল৷ প্রলয় আজ দেখবে কী করে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে৷ রিপোর্ট যতই নেগেটিভ আসুক না কেন— তার মন অনুভব করে ওই মেয়েটাই ভূমি! কিন্তু ক্রমাগত এভাবে অস্বীকার করার যৌক্তিকতা খুঁজে পায়নি সে৷ এমনিতেই প্রলয়কে সবাই চেনে আর মান্যগণ্য করেন। তারউপর এই ল্যাবের একজন কর্মকর্তা তার ভালো বন্ধু। বন্ধুত্বের সুবাদে এখানে ডিএনএ টেস্ট করতে দিয়েছিল সে। বিশ্বাস করেই দিয়েছিল৷ তবে সন্দেহ বসত আজ তাকে আবার আসতে হলো৷ নিজের ভাবনার মাঝেই প্রলয় ল্যাবের ভেতরে প্রবেশ করল৷ সোহেল আজ ল্যাবে আসেনি। প্রলয় এ কথা আগে থেকেই জানত। সে ইচ্ছে করেই আজ এসেছে। এবার নিজ দায়িত্বে সব করবে সে। ফোনে একবার নিজের মুখটা দেখে নিল প্রলয়। না মাস্কের জন্য তাকে চেনা যাচ্ছে না। প্রলয় সামনে যেতেই রিসেপশনিস্ট ছেলেটা জিজ্ঞেস করল‚

“হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ স্যার?”

প্রলয় নিজের চশমা ঠিক করে স্বাভাবিক স্বরেই বলল‚ “এখানে একটা ডিএনএ টেস্ট করতে দিয়েছিলাম। রিপোর্টটা আজ দেওয়ার কথা ছিল।”

ছেলেটা লিস্ট চেক করতে নিয়ে প্রলয়কে জিজ্ঞেস করল‚ “আপনার নাম?”

প্রলয় তার মুখ থেকে মাস্কটা খুলল। ওমনি ছেলেটা তাকে চিনে ফেলল। শশব্যস্তভাবে জিজ্ঞেস করল‚

“স্যার আপনি ব্যস্ত হবেন না। আপনি আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দিন আমি এক্ষুনি রিপোর্ট নিয়ে আসছি।”

সায় জানাল প্রলয়। ছেলেটা ব্যস্ত হয়েই যেন ছুটল প্রলয়ের কাঙ্ক্ষিত রিপোর্ট নিয়ে আসার উদ্দেশে। মিনিট পাঁচেকের আগেই ছেলেটা চলে এলো৷ প্রলয়ের হাতে একটা সাদা কাগজ এগিয়ে দিল৷ প্রলয় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকেই রিপোর্ট খানা খুলল৷ যেন জ্বলজ্বল করে “পজিটিভ” লেখাটা ভাসছে। অতি আনন্দোচ্ছ্বাসে প্রলয়ের চোখ জোড়া টলটল করছে৷ যেকোনো মুহূর্তে যেন অশ্রুবর্ষণ শুরু হবে৷ তার এটা ভেবে আনন্দ লাগছে যে‚ তার ভূমি কন্যা বেঁচে আছে৷ আবার এটা ভেবে রাগ লাগছে যে‚ অর্পণ তাকে ইচ্ছে করে ভুল রিপোর্ট দিয়েছে৷ প্রলয় বুঝতে পেরেছে যে‚ অর্পণ হয়তো ভূমির সত্যিটা জেনে গিয়েছে৷ কিন্তু এর পেছন কী কারণ থাকতে পারে সেটা সম্পূর্ণই তার অজানা৷ জানার আগ্রহ তড়তড় করে বাড়তে শুরু করল৷ অতি উচ্ছ্বসিত হয়ে পকেট থেকে এক হাজার টাকার দুটো নোট ছেলেটার হাতে ধরিয়ে দিয়ে প্রলয় সেই ল্যাব থেকে বের হয়ে গেল। প্রলয়ের এহেন কাণ্ডে ছেলেটা যারপরনাই অবাক হলো৷ কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই প্রলয়ের। সে এখন সোজা ভূমির সঙ্গে দেখা করতে যাবে। তার ভূমি কন্যা যে এতদিন অভিমান পাহাড়কে আকাশসম বানিয়েছে৷ অভিমান ভাঙাতে বেশ বেগ পেতে হবে তাকে৷ তবে তাই সই! পুনরায় ভূমি কন্যা আর তাদের সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সে যেকোনো বাজি ধরতে পারে। অবারিত দুঃখ যন্ত্রণাকে আপন করে নেবে। যতটা দুঃখ তার ভূমি কন্যা সহ্য করেছে। তার থেকেও অধিক দুঃখকে সে আপন করে নেবে৷

“আল্লাহ আপনাকে শত কোটি শুকরিয়া— আমার ভূমি কন্যাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ জীবনে নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে ভুল বোঝার মতো অন্যায় আমি দ্বিতীয়বার করব না। নিজের সন্তানকে খুব ভালোবাসব৷ একজন ভালো বাবা হব। মানুষকে তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়। আমার ভূমি কন্যা কী পারবে আমাকে সে সুযোগটা দিতে? আমাকে যে দ্বিতীয়বার ওর বিশ্বাস অর্জন করতেই হবে! বউ বাচ্চা নিয়ে একটা ছোটো পরিবার তো আমারও প্রাপ্য।”

চলবে?…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here