#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিলাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_০৫
.
ঘুম থেকে উঠে চারদিকে চোখ বুলালাম কয়টা বাজে জানার জন্য। পাশে হাত দিয়ে আমার মোবাইলটা খুঁজলাম। কিন্তু না পাওয়ায়, খানিকটা বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে ফোন খুঁজতে লাগলাম। আবারও না পাওয়ায় ভ্রু কুঁচকে এলো আমার। কি হলো ফোন কোথায় গেল আমার? ফোনের জন্য কি বাসায় চোর আসল! তাও আবার আমার ফোনের জন্য? নাকি বাসার সব কিছুই চোর চুরি করে নিয়ে গেছে, আর আমি কিছু বলতে পারি না। আচ্ছা কি কি নিয়ে গেছে বাসা থেকে? বাসার ফার্নিচার গুলো কি নিয়ে গেল তাহলে? সর্বনাশ! কয়টা চোর এসেছিল বাসায়? আচ্ছা! উনার(রিদ) সবকিছুও কি চোরে চুরি করে নিয়ে গেছে? নিশ্চয়ই নিয়ে গেছে। চোরে চুরি করতে আসলে তো সবকিছু চুরি করে নিয়ে যাবে তাই না? আহা বেচারা চোর। বড্ড মায়া হচ্ছে। চোর আর জানে না সে কার জিনিসপত্র নিয়ে গেল। এখন নিশ্চয়ই উনি চোরটাকে খুঁজে বের, ওকে চোরের চাকরি থেকেই বের করে দিবে জেল নামক শাস্তির মাধ্যমে। তখন বেচারা চোরটা কষ্টে হাত-পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করে বলবে, ‘ প্লিজ আমাকে চোরের চাকরি থেকে বের করো না। এটা আমার বাপ-দাদার দেওয়া চাকরি। আমি এই চাকরিটা ছাড়তে পারব না। প্লিজ দয়া করুণ। দয়া করুণ। টাইপ কোনো কিছু বলে চিৎকার করবে। আহা বেচারার কী কষ্ট! এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার কালকের কথা মনে পরে গেল। আরে ঐ বাজে লোকটাই তো আমার ফোন ভেঙ্গে ছিল। সবকিছু মনে পড়তেই মন খারাপে উঠে বসলাম বিছানায়। চোখ ঘুরিয়ে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৫ঃ৫১ বাজে। তার মানে সকাল হয়ে গেছে। আর আমি প্রায় সকাল সকাল উঠে থাকি। আজকেও হলো! রোজকার মতো আমি আরও একটা কাজ করি সেটা হলো বাড়ীর সামনে যে বিশাল বড় বাগানটা আছে? ওখানে ঘুরতে যায় আরকি! আমার অনেক ভালো লাগে বাগানে ঘুরতে। আজকেও যাব। তাই ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাগানের উদ্দেশ্যে,,,,
বাগানে ঘুরঘুর করছি আমি। হাত দিয়ে বাগানের ফুলগুলো ছুইয়ে ছুইয়ে দেখছি। নানান রকমের ফুল ফুটেছে বাগানে। ফুলে ফুলে রয়েছে ছোট ছোট শিশির বিন্দু যা বাগানের সৌন্দয্য আরও বাড়িয়ে তুলছে। আমি একটা সাদা গোলাপ নিয়ে মাথায় পড়তে পড়তে ভাবলাম, আমার কালো চুরিদার জামার সাথে সাদা গোলাপটা মানাবে ভাল। দু-হাত ভরতি কালো রেশমি চুড়ি সাথে পায়ে কালো একজোর পায়েল তো আছেই। আমার ভাবনার মাঝে মনে হলো কেউ আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু কে? তাকে দেখার জন্য ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে আহত হলাম আমি। তারপরও মনের সন্দেহ গেল না আমার। আমার মন বলছে, কেউ আছে আমার অদৃশ্যের আড়ালে। কিন্তু দেখতে পারছি না তাঁকে। যায় হোক! আর খুঁজার চেষ্টা না করে বাগানের সামনে থাকা অতি সুন্দরী রমণীর মাটির মূর্তিটা আছে। তার দিকে অগ্রসর হলাম। মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। মূর্তিটা যে দেয়াল উপর দাঁড়িয়ে আছে সেটার উপর উঠে দাঁড়িয়ে পড়লাম কষ্ট করে। কাজে সফল হতে পেরে একটা ক্লোজআপ হাসি দিয়ে মূর্তিটার গলায় এক হাত রেখে অন্য হাত কানে উপর রাখলাম। তাতে আমার মুখ নিয়ে কানে কানে কথা বলতে লাগলাম। কারণ আমি যখনই বাগানে আসি না কেন। তখনই এই মূর্তিটার সাথে আমার কানাকানি কথা হয় গোপনীয় ভাবে। দাদা-দাদি পর এই মূর্তিটার সাথেই আমি ক্লোজ। আমার বেস্টফ্রেন্ড ও বলা যায়। তাদের পরে আমি এই মূর্তিটার সাথে আমার সব পেটের কথা গুলো শেয়ার করে থাকি। আজও তাই করছিলাম। কিন্তু তখনই হঠাৎ করে পিছন থেকে কেউ বলে উঠে ”
—” মানুষ তো তোমার চোখে পড়ে না। কিন্তু মূর্তি ঠিকই তোমার চোখে পড়ে।
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম কথা বলার মালিকটা কে দেখার জন্য। মূর্হতে চমকে উঠলাম আমি। আরে এইতো কালকের সুন্দর পুরুষটা কিন্তুু এখানে কেন? পরনে তার কালো টি শার্ট আর টাউজার। আমার মতোই কালো কালো। আমি উনাকে দেখে চমকিত গলায় বলে উঠে…
—” এই আপনি এতো সকালে কি করছেন এখানে?
উনি বলে..
—” কাজ আছে তাই এসেছি।
কি স্বাভাবিক উনার সেই ভঙ্গি। যেন সবকিছু ঠিকঠাক। ভ্রুঁ কুচকে এলো আমার।
—“এতো সকালে কি কাজ আপনার এই বাড়িতে? দাদাজান তো এখনো ঘুমাচ্ছেন তাহলে আপনাকে ডেকে পাঠাল কখন শুনি?
উনি পুনরায় স্বাভাবিক কন্ঠে বললো..
—” আমি কখন বললাম দাদাভাই আমাকে ডেকেছে?
—” তাহলে কে ডেকে পাঠিয়েছেন আপনাকে?(ভ্রু কুঁচকে খানিকটা থেমে পুনরায় বলি) ওহ আচ্ছা বুঝেছি! নিশ্চয়ই আমার স্বামী ডেকেছেন আপনাকে? তাইতো বলি! এতো নির্দয়, পাষাণ ব্যক্তি আর কে হতে পারে। এই শীতের ভোর রাত্রে কার এতো কাজ পেতে পারে উনাকে ছাড়া।
কথা গুলো বলতে বলতে মূর্তিটাকে ছেড়ে নিচে নেমে পড়লাম। কিন্তু উনার দিকে তাকাতে কষ্ট হচ্ছিল আমার। কারণ উনি লম্বায় ৬ ফুট উচ্চতা আর আমি ৫ ফুট। আমি খাটো হওয়ার দুঃখ প্রকাশ করার আগেই উনি বলে উঠে ” পাষাণ,নির্দয় ব্যক্তি ” ( ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি উনার দিকে তাকিয়ে আবারও লাফিয়ে মূর্তির পায়ের কাছে বসে পরি দু পা ঝুলিয়ে। তার দৃষ্টি আমার পায়ের পায়েলের উপর। বিষয়টি বুঝে ইগনোর করলাম। কারণ তাকিয়ে লাভ নেই। উনি ছেলে মানুষ। মেয়েলি জিনিসপত্র উনাকে মানাবে না। বিষয়টি ইগনোর করে আমি উনার মুখোমুখি উচ্চতা নিয়ে বসে বলে উঠি…
—” এবার ঠিক আছে। আসলে আপনি অনেক লম্বা। আমার আপনার দিকে তাকাতে কষ্ট হয় তাই এখানে বসে পড়লাম। আমার যাতে আপনার সাথে কথা বলতে সুবিধা হয় তাই আর কি। আচ্ছা! আপনি এত লম্বা কেন? সকাল বিকাল কি হরলিক্স খান লম্বা হওয়ার জন্য। আসলে আমি না হরলিক্স খেতে পারি না গন্ধ লাগে। ইশ সময় মতো আমিও যদি আপনার মতো করে দুই বেলা হরলিক্স খেতাম তাহলে আজ আমিও আপনার মতো বিশাল লম্বা হতাম। ব্যাড লাক আমার! আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ড ও নিশ্চয়ই অনেক লম্বা আপনার মতো তাই না? আর আমি আহা,,,,
আমার দুঃখের মধ্য দিয়ে হঠাৎই গার্লফ্রেন্ডের কথাটা মাথায় আসতেই ঝটপট আবারও উনাকে প্রশ্ন করে বলি….
—” এই আপনি আমার কাজটা করেছেন? মানে আমার স্বামীর গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা অনুসন্ধান করেছিলেন?
আমার কথায় উনি কেমন করে যেন তাকাল আমার দিকে। হয়তো আমার এ রকম প্রশ্নের বিরক্ত হলেন তিনি। তাই আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন…
—” বললাম তো কোন গার্লফ্রেন্ড বা ভালোবাসার মানুষ নেই। তবুও কেন একই প্রশ্ন বারবার করছো?
কথাটা শুনে একরাশ কষ্ট নিয়ে বলে উঠি আমি…
—” না উনাকে যতটা উন্নত মনে করেছিলাম উনি(রিদ) আসলে ততটাও উন্নত করতে পারিনি। সাধারন একটা প্রেম করতে পারলো না ছেহহ,,,,, (মায়া কথাটা এমন ভাবে নাক মুখ ছিটকে বললো যেন রিদকে নার্সারীর বাচ্চাদের একটা অংক দেওয়া হয়েছিল। আর রিদ সেটা করতে পারেনি। এজন্য মায়ার অনেক কষ্ট হচ্ছে)
মায়ার রিয়েকশনে ভ্যাবাচ্যাকা খেল রিদ। থমথমে গলায় বললো…
—” মানে?
—” উফ! মানে জানেন না আপনি?
মায়া কথা ধমকে উঠে রিদ। চাপা স্বরে বলে…
—” তুমি জানো কত মেয়ে রিদ খানের জন্য পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ায় তার আশেপাশে। আর সে ফিরেও তাকায় না। আর তুমি কি না, তাকে ছেহ বলছ? হাউ ডেয়ার ইউ!
আমি উনার কথা শুনে চোখ পাকিয়ে তাকালাম উনার দিকে আর বললাম,,,
—” এই আপনি তো সাংঘাতিক পল্টিবাজ লোক! আপনাকে রাখলাম আমি আর আপনি গুণ-গান গাইছেন আমার স্বামীর। হাউ রুড।
রিদ কটমট করে তাকাল মায়ার দিকে। মায়া পুনরায় হতাশ গলায় বলল…
—” আচ্ছা আপনি বলুন তো একটা গার্লফ্রেন্ড রাখলে কি এমন হয় উনার? আজ উনার একটা গার্লফ্রেন্ড থাকলে এতে করে আমার আর উনার কাজটাও সহজ হয়ে যেত। এখন আমার কষ্ট করে উনার জন্য একটা মেয়ে খুঁজতে হবে। ধুর ভাল্লাগে না।
অসহায় ফেস করে উনি বলে উঠেন,,,,
—” ভালোবাসা এভাবে হয়না। তবে কিভাবে হয় তা আমি নিজেও জানিনা। কিন্তু যেদিন জানব! বুঝনো! সেদিন আমার সামনে থাকা মানুষটিকেও ভালো করে বুঝিয়ে দিব।
কথাটা বলেই রিদ পকের্টে দু হাত দিয়ে স্টং হয়ে দাঁড়ায়। ভালোবাসা শব্দটি শুনতেই মায়ার চোখ মুখ খুশিতে চকচক করে উঠে এবং ঠোঁট প্রসারিত করে হেঁসে বলে উঠে,,,
—” আচ্ছা ভালোবাসা কোথায় পাবো আম? আমার না অনেক প্রয়োজন ভালোবাসার। বলুন না কোথায় পাব আমি।
আমার এমন কথায়, উনি আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন এই মূহুর্তে আশ্চর্যজনক কোন বাণী শুনালাম আমি তাঁকে। যেটা উনি এই মুহূর্তে হজম করতে পারছেন না হুহ্। কি এমন বললাম আমি, যে উনার আমার দিকে এমন ভাবে তাকাতে হবে,,, ভালোবাসা কোথায় থাকে সেটাই তো জানতে চাইছি আর তো কিছু না তাই না? মানুষগুলো যে কবে মানুষ হবে আল্লাহ জানে। তখনই উনি বলে উঠে…
—” ভালোবাসা দিয়ে তুমি কি করবা শুনি?
আমি সাথে সাথে বলে উঠি
—” বিদুৎচুমু খাব। তাই ভালোবাসা আমার লাগবে কোথায় পাবো বলুন না।
আমার এমন কথায় উনি ভ্যাবাচেকা খেয়ে প্রশ্ন করেন…
—” মানে? কিসের কি বিদ্যুৎচুমু? আর বিদ্যুৎচুমু অর্থ কি আবার?
আমি বলি…
—” বিদ্যুৎচুমু হলো! ভালোবেসে যখন ঠোটে চুমু খায়, তখন শরীরে কারেন্ট লাগে সবার আর সেটাই হলো বিদুৎচুমু। বুঝলেন
মুহূর্তের রিদের চোখমুখ শক্ত হয়ে গেল এতক্ষণ যাবত মায়ের সাথে মজা করে কথা বললেও চুমুর বিষয়টা মেনে নিতে পারছে না। রিদ মনে করেছে মায়া অন্য কাউকে চুমু খেতে চাইছে আর তার জন্য এসব বলছে,,, রিদ যাকে এতদিন ধরে, এতো যত্ন করে সবার থেকে আগলে রেখেছে, সে এখন অন্যকে চুমু খেতে চাইছে ভাবতেই রিদ দু-হাত মুষ্টি করে নেয় রাগে। দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করে…
—“তুমি কি করে জানলে চুমুতে শরীরে কারেন্ট বয়?
—” হেনা – মনা বলেছে আমাকে ঠোঁট ছোঁয়ালে নাকি এমন হয়। তাই তো আমি দাদিকে গিয়ে খেয়ে ছিলাম কিন্তু আমার কারেন্ট লাগেনি। দাদীকে বলেছিলাম এই কথাটা। তখন দাদী আমাকে বলেছে যে, দাদিকে খেলে নাকি হবে না। ভালোবাসার মানুষকে খেতে হবে অর্থাৎ নিজের আপন মানুষকে খেতে হবে। আমি নাকি আমার স্বামীকে ছাড়া অন্য কাউকে এই বিদ্যুৎচুমু খেতে পারবোনা তাই, আমি আগে ভালোবাসা কিনে আনবো পরে উনার কাছ থেকে বিদ্যুৎচুমু নিব। এখন আপনি বলুন ভালোবাসা কোথায় পাব?
মায়ার কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রিদ। এতক্ষণ যেম রিদের দমটা গলায় আটকে ছিল। রিদ স্বাভাবিক হয়ে বলল…
—” তুমি যে রিদকে চুমু খেতে চাও? ওকি তোমাকে চুমু খেতে দিবে, তোমার মনে হয়?
—” হুম দিবে তো!
—” কিভাবে? (ভ্রু কুঁচকে)
—” টাকা দিয়ে
—” তাই? টাকা দিয়ে চুমু। ইন্টারেস্টিং! তুমি চুমু কিনতে চাও, এখন রিদ যদি রাজি না হয়ে, উল্টো তোমাকে দুটো থাপ্পড় মারে তো তুমি কি করবা শুনি? (ভ্রু নাচিয়ে)
—” এমন কিছুই হবে না। তার আগেই আমি উনার সাথে ডিল করে নিব।
—” কিসের ডিল শুনি?
—” প্রথমত্ব আমি চাকরি করে, অনেক টাকা রুজি করে উনাকে দিব। আর বলব আমাকে একটা বিদ্যুৎ চুমু দিতে। উনিও আমাকে দিয়ে দিবে না করবে না। কারণ উনি তো সারা দিন রাত 24 ঘন্টায় টাকার পেছনে পরে থাকে। উনার তো শুধু টাকা হলেই হয় তাই না। কি বুদ্ধিটা বেশ না? এরপরও যদি না মানে তো আমি উনাকে অন্য একটা শর্ত দিয়ে বলব, যে আপনি আমার থেকে মুক্তি পাবেন। যদি আমাকে একটা বিদ্যুৎ চুমু খান তো। এবার বলুন কোনটা চাই আপনার?
শক্ত গলায় রিদের কাটকাট উত্তর…
—” কোনোটাই চাই না।
—” আরে আপনি বুঝতে পারছেন না,,,
মায়া কে বলতে না দিয়ে রিদ চলে যেতে যেতে আবার পিছনে ফিরে এক পলক মায়াকে দেখে বলে উঠে,,,
—” মুক্তিটা আমার চাই না। এতদিন ছিলে তোমার সেচ্ছায়। এখন আছো আমার ইচ্ছায়। আর ভবিষ্যতেও থাকবে আমার বন্দিনী হয়ে। আমার যা চাই তা আমি সময় মতো নিয়ে নিব। তোমাকে ভাবতে হবে না। তাছাড়া বাকি রইল তোমার বিদ্যুৎ চুমু নিয়ে? সেটাও তুমি পাবে। শুধু ঠোঁটে কেন, সব জায়গাতেই পড়বে। তুমি চাইলেও বা না চাইলেও। শুধু সময়ের অপেক্ষা আছি আমি।
কথাটা শেষ করেই হন হন করে চলে যায় বাড়ির ভিতরে রিদ,,, আর এদিকে মায়া হা করে তাকিয়ে আছে রিদের চলে যাওয়ার দিকে। কি বলে গেল এই লোকটা? সব তার মাথার উপর দিয়ে গেল,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,