স্নিগ্ধ_প্রিয়া #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_৩৬

0
587

#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৩৬

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

তাহলে মিসেস শীও জানলো কিভাবে? পূর্বাশা কিছুটা অবাক কন্ঠেই শুধালো – আপনি জানতেন আমি আসবো?

হাসলেন মিসেস শীও, বললেন – তোমার মনে জাগ্রত হওয়া প্রশ্নের উত্তর নিতে তুমি আসবে আমি জানতাম। আমি সেদিনের পর থেকেই অপেক্ষা করছিলাম তোমার।

একটু থামলেন মিসেস শীও অতঃপর দুটো চেয়ারের দিক ইশারা করে বললেন – এখানে বসো। আমারও তোমাকে অনেক কিছুই জানানোর আছে।

পূর্বাশা দেরী করলো না। কৌতুহলী ভঙ্গিতে সে গিয়ে মিসেস শীওর মুখোমুখি চেয়ালে। জায়ানও এগিয়ে গিয়ে বসলো পূর্বাশার পাশের চেয়ারটাতেই। যদিও সব ঘটনাই তার আগে থেকেই জানা তবে আজ কেন যেন পূর্বাশার সাথে বসে আর একবার জানতে ইচ্ছে হলো সবটা। জায়ান বা পূর্বাশা কেউ কোনো প্রশ্ন করার আগেই মিসেস শীও মুখ খুললেন। নিজ থেকেই বলতে শুরু করলেন – আজ থেকে বহুবছর আগে, তখন আমি সবে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়েছি। আমার চোখে রঙিন চশমা, বুক ভর্তি আবেগ‌ জর্জরিত। সেবছর আমাদের সাথে বাংলাদেশী কিছু শিক্ষার্থীও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যেই ছিল জাফর নামের একজন শক্তপোক্ত যুবক। স্বাভাবিকভাবেই ভিনদেশী শিক্ষার্থীদের প্রতি সকলেরই একটা কৌতুহল থাকে। কিন্তু এই ভিনদেশী অনেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমি একটু বেশিই কৌতুহলী ছিলাম জাফরের প্রতি। জাফরের অসাধারণ ব্যক্তিত্ত বরাবরই আমাকে আকর্ষিত করতো। তার গম্ভীর কন্ঠস্বর, ধারালো বাক্য, সারাদিন বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকা তার প্রতি আমায় দূর্বল করেছিল।

এইটুকু বলে একটু থামলেন মিসেস শীও আবার বলতে শুরু করলেন – জাফরের ব্যক্তিত্ত ছিল আমার ছেলে জায়ানের মতো। তবে গায়ের রং টা ছিল তোমার মতো কৃষ্ণবর্ণ। আমি যেন ঐ কৃষ্ণবর্ণ গায়ের রং এর মায়ায় পড়ে গিয়েছিলাম খুব বাজেভাবে। দিন দিন উন্মাদ হয়ে উঠলাম জাফরের জন্য। নিজেকে ধর্মান্তরিত পর্যন্ত করলাম। প্রথম দিকে জাফর আমাকে তার গম্ভীর কন্ঠে ফিরিয়ে দিলেও পরে আর পারলো না। সেও আমার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়লো। শুরু হলো আমাদের প্রেম পর্ব। দু’জন দুজনার প্রেমে এতটাই মত্ত হয়ে উঠলাম যে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা দুজন এখন বিয়ে করে নেই। পরবর্তীতে পড়াশোনা শেষে না হয় সবাইকে জানাবো আমাদের বিয়ের কথা। অবশ্য বিয়েটা করার জন্য জাফরই বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ও আসলে ভয় পেত ওর কৃষ্ণবর্ণের জন্য আমি যদি কখনও ওকে ত্যাগ করি। আমিও ওকে হারাতে চাইলাম না। বিয়ে করে নিলাম দু’জনে। আমাদের পড়াশোনা শেষ হলো। এবার জাফর সিদ্ধান্ত নিল সে দেশে ফিরবে সবাইকে সব কিছু জানিয়ে তার বাবা মাকে রাজী করিয়ে সে এসে আমাকেও নিয়ে যাবে বাংলাদেশে। তার স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলবে আমাকে। আমি তাকে বিশ্বাস করতাম ভীষন। তাই বাঁধা দেইনি তাকে। জাফর চলে গেল বাংলাদেশে। জাফর চলে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আমি জানতে পারি আমি গর্ভবতী। জাফরের অংশ আমার শরীরে বেড়ে উঠছে। তখনকার যুগে এত উন্নত প্রযুক্তি ছিল না, স্মার্টফোন ছিল না যে আমি যখন ইচ্ছে জাফরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো। জাফরের বাংলাদেশের একটা ঠিকানা আমার কাছে ছিল সেখানে চিঠিও পাঠিয়েছিলাম কয়েকটা কিন্তু সে উত্তর দেয়নি কখনও। একবার অবশ্য জাফরকে খুঁজতেও আমি গিয়েছিলাম বাংলাদেশে কিন্তু খুঁজে পাইনি তাকে।

মিসেস শীও থামলেন। দুই নয়নের কোল ঘেঁষে গড়িয়ে পড়ছে স্বচ্ছ অশ্রুকনা। ছলছল নয়নেই সে তাকালেন পূর্বাশার পানে। ধরা গলায় বললেন – জানো পূর্বাশা যেদিন সে বাংলাদেশে চলে গেল আমি তাকে এগিয়ে দিতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম। আমার হাতটা ধরে সে তখন শুধু একটা কথাই বলেছিল “আমার জন্য অপেক্ষা করো শীও।” আমি আজ পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করলাম কিন্তু সে ফিরলো না। আমি তার অজান্তে তার অংশকে পৃথিবীর আলো দেখালাম, বড় করলাম, তার শিক্ষায় শিক্ষিত করলাম কিন্তু সে আমার কাছে ফিরলো না পূর্বাশা।

পূর্বাশা এতক্ষন মনযোগ দিয়ে শুনলো মিসেস শীওর কথা। মিসেস শীওর ভালোবাসার গল্প নাড়িয়ে দিল তার ভিতরকে। একটা মানুষ ভালোবেসে এভাবে অপেক্ষা করতে পারে তার ফিরে আসার জানা ছিল না। তবে মিসেস শীওর কথাগুলো শুনে পূর্বাশা একটা বিষয় বেশ ভালো বুঝতে পারছে জায়ান এমন একরোখা, জেদী, একগুঁয়ে, বদরাগী কেন? কিছুটা তার বাবার স্বভাব থেকে পাওয়া আর কিছুটা বাবার উপরে ক্রোধ থেকে। আর এই জন্যই হয়তো জায়ান সেদিন পার্কে বলেছিল সে বাঙালিদের ঘৃনা করে। কিন্তু কথা সেটা নয়। মিসেস শীওর বলা ঘটনাগুলো কেন যেন পূর্বাশার মস্তিষ্ক তার জানা কোনো এক ঘটনার সাথে মিলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে। আচ্ছা মিসেস শীওর বলা ঘটনার সাথে যে ঘটনা মিল সে পাচ্ছে তার নামও তো জাফর! পূর্বাশা ভিতরে ভিতরে উত্তেজিত অনুভব করলো। ব্যস্ত কন্ঠে মিসেস শীওকে বলল – জায়ানের বাবা মানে আপনার স্বামীর কোনো ছবি আছে আপনার কাছে ম্যাম? আমাকে দেখাতে পারবেন?

মিসেস শীও ডান হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছলেন। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন তিনি। ডাক্তার রুমে থাকা নিজের সেল্ফ থেকে খুঁজে একটা সাদাকালো পুরোনো ছবি বের করে আনলেন। বাড়িয়ে দিলেন পূর্বাশার পানে, বললেন – এই নাও।

পূর্বাশা হাতে নিল ছবিটা। ছবিতে দৃশ্যমান ব্যক্তির দিকে তাকাতেই যেন চমকে উঠলো সে। ললাটে এসে ভীড় জমাতে শুরু করলো বিন্দু বিন্দু ঘামেরা। তবে তার ধারনাই সত্যি হলো। সেই জাফরই জায়ানের বাবা জাফর? পূর্বাশা উল্টে পাল্টে বার কয়েক দেখলো ছবিটা। তার কোথাও ভুল হচ্ছে না তো? না ঠিকই আছে, এই সেই জাফর। পূর্বাশা ব্যতি ব্যস্ত হয়ে উঠলো মুহুর্তেই। মিসেস শীওর পানে তাকিয়ে বললেন – আপনি আর জায়ান ভাই আমার সাথে বাংলাদেশে যেতে পারবেন?

এতক্ষনে মুখ খুললো জায়ান। নয়তো সে চুপচাপ বসে শুধু শুনছিলো মায়ের কথা। পূর্বাশার হঠাৎ বাংলাদেশে যাওয়ার কথা অবাক করেছে তাকে, তাও আবার তাকে এবং তার মাকে সাথে নিয়ে। জায়ান কিছুটা অবাক সুরেই বলল – হঠাৎ বাংলাদেশে যাওয়ার কথা কেন বলছো? তুমি কি আমার বাবাকে চিনো কৃষ্ণময়ী?

পূর্বাশা শীতল দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে, ঠান্ডা কন্ঠেই বলল – বাংলাদেশে ফিরে বলবো।

– কিন্তু….

– তৃষাম ভাইকে কল করতে হবে। তাকেও নিতে হবে আমাদের সাথে।

কথাটা বলেই উঠে দাঁড়ালো পূর্বাশা। মিসেস শীওর পানে তাকিয়ে কিছুটা জোর দিয়েই বলল – আপনাকে আমার সাথে বাংলাদেশে যেতেই হবে ম্যাম।

কথাটা বলেই হন্তদন্ত হয়ে মিসেস শীওর কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেল পূর্বাশা। জায়ানও ছুটলো পূর্বাশার পিছু পিছু। আবার শুধালো – তুমি কি চিনো আমার বাবাকে? চিনো আমার বাবাকে?

– আগে বাংলাদেশে চলুন তারপর বলবো।

জায়ান অধৈর্য্য হয়ে পড়লো। ব্যাকুল কন্ঠে বলল – আমার কেন যেন মনে হচ্ছে তুমি আমার বাবার সম্পর্কে কিছু না কিছু জানো। আমি আর ধৈর্য্য ধরতে পারছি না কৃষ্ণময়ী। আমার বাবাকে তুমি চিনো? সে কোথায় আছে? কেন আমাদের কাছে ফিরে আসেনি সে জানো তুমি?

পূর্বাশা থমকে দাঁড়ালো। শীতল দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। ঠান্ডা কন্ঠে বলল – কিছু কিছু কথা সময়ের আগে জানা উচিৎ নয়। হতে পারে আপনি আপনার বাবার কথা শুনে আরও অধৈর্য্য হয়ে পড়বেন, চীনের মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকার মতো স্বক্ষমতা হারাবেন তাই আমি এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আপনি দয়া করে অপেক্ষা করুন, ধৈর্য্য ধরুন।

কথাটা সম্পূর্ণ করেই পূর্বাশা আবার ঘুরে দাঁড়ালো। হুট করে মুখোমুখি হলো ইয়ানের। ছেলেটা তাদের দিকেই আসছে। পূর্বাশার হৃদয়ের ভয়ের সঞ্চার হলো। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। এই লোক তো আবার যখনই ইয়ানকে দেখে তার সাথে একটা গন্ডগোল না পাকিয়ে ছাড়ে না। আর ইয়ানও যখনই দেখে তখনই চিপকে যায় তার সাথে। ছেলেটা তো একদিকে আসছে, নিশ্চই এসে কথা বলবে পূর্বাশার সাথে। কে জানে আবার কোন গন্ডোগোল অপেক্ষা করছে তার জন্য। কিন্তু পূর্বাশার ভয় মিথ্যা বলে প্রমানিত হলো। ইয়ান এলো না তার কাছে। উল্টো পূর্বাশাকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটা তার পাশ থেকে দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে চলে গেল। বলা যায় পূর্বাশাকে দেখে এক প্রকার পালিয়ে গেছে ছেলেটা। হা হয়ে গেল পূর্বাশা। গোল গোল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ইয়ানের চলে যাওয়ার পানে। ব্যাপারটা কি হলো? ইয়ান তো তাকে এড়িয়ে যায় না কখনও সেখানে আজ পালিয়ে গেল? পূর্বাশার ইয়ানের পানে তাকিয়ে থাকার মধ্যেই তার সম্মুখ জুড়ে বলিষ্ঠদেহী এক প্রসস্ত বক্ষ দৃশ্যমান হলো। শার্টের রং দেখে বুঝতে বাকি রইলো না এটা জায়ান। বিরক্ত হলো পূর্বাশা, বিরক্তিভরা কন্ঠে বলল – এভাবে চোখের সম্মুখে এমন খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে পড়েছেন কেন? সমস্যা কি আপনার?

জায়ানের চোখ দুটো যেন জ্বলে উঠলো। থমথমে কন্ঠে সে বলল – ওদিকে কি তোমার? ইয়ানের দিকে ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

– দেখছি।

– কি দেখছো? আমার দিকে দেখো। ওই বজ্জাতটাকে দেখতে হবে কেন? ওর থেকে কি আমি কম সুদর্শন? আমাকে চোখে পড়ে না? নাকি তোমার চোখ নষ্ট।

এইটুকু বলে থামলো জায়ান আবার বলল – দেখো আমি ছাড়া এই পৃথিবীতে অন্য কোনো পুরুষকে দেখার অধিকার নেই তোমার। তুমি শুধুমাত্র আমাকে দেখবে বুঝেছো?

পূর্বাশার ছোট একটা তিন শব্দের উত্তরে জায়ানের এত কথা? কপালে ভাঁজ পড়লো পূর্বাশার। সন্দেহ জাগলো মনের কোনে। আচ্ছা এই জায়ান আবার ইয়ানকে কিছু বলেনি তো যার কারনে তাকে দেখেই ইয়ান পালালো। পূর্বাশা সুরু দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে, সন্দিহান কন্ঠে শুধালো – আপনি আবার ইয়ানকে কিছু বললেননি তো যার কারনে ও আমাকে দেখেই পালিয়ে গেল।

জায়ান নির্বিকার ভঙ্গিতে উত্তর দিল – কিছুই বলিনি।

পূর্বাশার চোক্ষুদ্বয় ছোট ছোট হলো, সন্দেহ বাড়লো তার। জায়ানের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কিছু একটা ঘটিয়েছে। পূর্বাশা কপালে ভাঁজ ফেলেই শুধালো – মিথ্যে বলছেন কেন? কি করেছেন আপনি ওর সাথে?

– মে’রে’ছি।

আঁতকে উঠলো পূর্বাশা আতঙ্কিত কন্ঠে শুধালো – কি?

জায়ান পকেটে হাত দিয়ে ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে দাঁড়ালো অতঃপর বলল – মে’রে’ছি।

কথাটুকু বলেই চোখ মুখ শক্ত করলো জায়ান। শক্ত কন্ঠে বলল – সাবধান এখন আবার ওকে মে’রে’ছি বলে ওর জন্য দরদ দেখাতে যেও না তবে কিন্তু ও আরও মাইর খাবে।

পূর্বাশা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। কটমট করে বলল – পা’গ’ল হয়ে গেছেন আপনি? ইয়ানকে মেরেছেন কেন?

জায়ানের দৃষ্টি থমথমে হলো। থমথমে কন্ঠে বলল – ইয়ান না ইয়ান ভাই বলো। আর মেরেছি বেশ করেছি, আরও মা’র’বো আরও মা’র’বো।

পূর্বাশা হতাশ হলো। এই ছেলেকে কিছু বলে লাভ আছে কি কোনো? এ তো শুনবে না কোনো কথা। নিজের যা খুশি তাই করবে। কিন্তু ইয়ানকে দেখে তো তেমন মার খেয়েছে বলে মনে হলো না। কোনো মারের চিহ্ন তো চোখে পড়লো না। তাহলে জায়ান মারলো কোথায়? নাকি তাকে এমনি বলছে জায়ান এ কথা? নিজের ভিতরে কিছুটা কৌতুহল অনুভব করলো মেয়েটা। কৌতুহলী কন্ঠে বলল – কিভাবে মেরেছেন? ইয়ান ভাইকে তো একদম সুস্থই দেখলাম। স্বাভাবিক ভাবেই তো হেঁটে গেল আমাদের সামনে থেকে।

– চাপা মা’ই’র দিয়েছি।

জায়ানের কথায় ভ্রু কুঁচকে এলো পূর্বাশারার। উৎসুক কন্ঠে সে শুধালো – চাপা মা’ই’র কি?

জায়ান শীতল দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে। স্বাভাবিক কন্ঠেই বলল – এই যেমন ধরো পা’ছা’র উপরে, মেইন পার্টে অর্থাৎ প্যান্টে ঢাকা থাকা স্থানগুলোতে, যা না কাউকে দেখাতে পরবে আর না প্রকাশ করতে পারবে।

চলবে…….

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here