#শ্রাবনে_প্রেমের_হাওয়া।
#লেখনীতে_ফাতিমা_তুয_যোহরা।
#পর্বঃ৪
— নাজ, তাসফিয়া তেহনুব নাজ।
— তো এই ঝড় বৃষ্টির রাতে ট্রেন স্টেশনে কি করেন? বাড়িতে যাননি কেন আপনার?
ওমরের প্রশ্নে থ’মকে গেল যেন নাজ। বুক চি’রে কান্না পাচ্ছে এখন তাঁর পর্যাপ্ত পরিমানে। এরুপ উত্তরহীন প্রশ্নের জবাব কি দেওয়া যায় জানা নেই নাজের। কিন্তু ওমরের কাছেতো এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন।
—কি হলো বলুন?
— আপনি যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ফিরে যান। আমার সম্পর্কে কিছু জানতে হবে না আপনার।
নাজের দ্রুতবেগে বন্ধ চোখদ্বয় নিয়ে আওরে চলা কথাগুলো শুনে মৃদু হাসলো ওমর।
— প্রথম দেখায় যাকে দেখে পা থ’মকে গেছে। যাকে দেখে মনের কোনে জ্বা’লার সৃষ্টি হয়েছে, তাঁর সম্পর্কেই জানব না। কথাগুলো নিজ মনেই বলে হাসতে থাকলো ওমর।
নাজের যেন এবার ওমরকে দেখে অস’স্থিবোধ করতে পারছে। কোন সময় না আবার কি জিজ্ঞেস করে বসে তাঁর ঠিক নেই। কিন্তু সত্যিই তো, কোথায় যাবে সে? এ শহরে নিজের আম্মা ছাড়া যে সেও অচল। নাজের বাবাতো সেই ছোটবেলায়ই মা’রা গেছেন। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধে যেন নাজ বারংবার হে’রে যাচ্ছে। আর পারছে না সে। সেই কাল থেকে কিছু খায়নি নাজ। পেটের ভিতর মু’চড়ে উঠছে যেন বারবার। ক্লান্ত শরীর কেমন বি’ষিয়ে গেছে নাজের।
— আচ্ছা মহারানী, বলতে হবে না আপনাকে। আর কিচ্ছুটি জানতে চাইব না আপনার কাছে আমি। কিন্তু আপনি আমার সাথে চলুন, আপনাকে বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে আসি।
—নাহ।
ভ্রুদ্বয় কুঁ’চকে ফেলল ওমর। হুট করেই নাজের রি’য়াক’শন খুব ভাবাচ্ছে যেন তাঁকে। মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে বড্ড ক্লান্ত। মা’য়ায় মো’ড়ানো মুখশ্রী যেন নাজের। যে মুখশ্রীতে না তাকালে ওমর কখনো জানতেই পারত না যে, তাঁর হৃদয়ের কম্প’নতার কারনটা ঠিক কিজন্যে।
— না বলতে? নাজ থেকে আর কোনো উত্তর না পেলে ওমর খানিকটা চুপ হয়ে গেল। কিছুটা সময় নিয়ে বললো।
— আচ্ছা, তাহলে আমার সাথে চলুন। ট্রাস্ট করতে পারেন আমাকে। ওমরের মৃদু কন্ঠের রেশ নাজের কান ঘেঁষে পৌঁছাতে এবার যেন ওমরকে দেখে ভয় পেতে লাগল নাজ। হুট করেই বেঞ্চি থেকে উঠে পরলে ভ’রকে গেল ওমর৷ ধীর কন্ঠে নাজের উদ্দেশ্যে সুধালো।
—কি হয়েছে?
—আপনি চলে যান এখন এখান থেকে। আমার কোনো হেল্পের প্রয়োজন নেই। প্লিজ আপনি চলে যান এখান থেকে। নাজের উ’দ্বীগ্ন কন্ঠস্বর শুনে ঘা’বরে গেল যেন ওমর। কি বলবে, না বলবে ভেবে পাচ্ছে না সে। নাজের শরীরও কেমন টলমল দেখাচ্ছে। যেকোন সময় পা ঢলে পরে যেতে পারে মেয়েটা। তাঁর মুখশ্রী কিরুপ শুকিয়ে একটুখানি হয়ে আছে। ওমরের মস্তি’ষ্ক কেমন ফাঁকা-ফাঁকা লাগছে এখন। দ্রুত পায়ে উঠে এসে নাজকে সামলাতে নিতে কিছু বলার আগেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে পা ঢলে পরে যেতে নিতে ওমর নাজের হাতটা শক্ত হাতে ধরে নিয়ে নিজের বুকের কাছে এনে চে’পে ধরলো নাজকে। সময়টা এত দ্রুত চলে গেছে যে, নিঃশ্বাস কেমন ঘন হয়ে উঠেছে ওমরের। ক্লান্ত চোখে নাজ পিটপিট করে তাকিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে। কথা বলার মতো শক্তি না থাকা সর্তেও মৃদুস্বরে অস্পষ্ট কন্ঠে বললো।
—চলে যান আপনি এখান থেকে। আমাকে ছুবেন না। আমি বিবাহিত নারী। নাজের অস্পষ্ট কন্ঠের রেশ যেন ওমরের কান অব্দি পৌঁছাল না। নাজের হাত স্পর্শ করেই শিউরে উাঠেছে সে। কাল রাতের জ্বরটা যেন এখনও বসে আছে নাজের শরীরে।জ্বরে রীতিমতো কাঁ’পছে যেন নাজ।
আঙুল দিয়ে নাজের গোলাপিরাঙা ঠোঁটের উপরে স্পর্শ ছুয়িয়ে রাগমিশ্রিত কন্ঠে বললো ওমর।
— চুপ, একদম চুপ থাকুন আপনি৷ ঠিকঠাক ভাবে দাঁড়াতে পারছেন না জ্বরে, আবার বড়-বড় কথা। আপনার কাছে এসব কিছু জানতে চাইছি আমি? এটা ঢাকার শহর মহারানী। রাস্তাঘাট আপনার জন্য ভালো হবে আপনি ভাবেন কিভাবে! বাড়ির ঠিকানা যতক্ষণ না বলছেন, ততক্ষণ আমার সাথেই থাকতে হবে আপনাকে। কথাগুলো বলে নাজকে পাঁ’জাকোলা করে নিলে নাজের ক্লান্ত শরীর যেন একটা আশ্রয় খুঁজে পেল। চোখদুটি আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে গেল যেন তাঁর।
ওমরের দৃষ্টি শীতল হয়ে আসলো যেন।
মনের মাঝে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করতে পারছে সে।
—আপনাকে দেখার পর যে ঝড় বইছে না আমার ভিতরে, এর তীব্রতা হয়তো আপনি কখনোও টেরটিও পাবেননা মহারানী। কথাগুলো মনের মাঝে আওরে নিয়ে মাথায় হাত ঠেকিয়ে বৃষ্টির আড়াল করে গাড়িতে এসে নাজকে সযন্তে গাড়িতে বসিয়ে দিল ওমর৷ পর্যাপ্ত পরিমান ক্লান্তি আর ক্ষুদার্থতা শরীরটা কেমন মি’য়িয়ে দিয়েছে নাজের। ক্লান্তিতে একপ্রকার জ্ঞান হারিয়েছে নাজ। নাজের মুখশ্রীর দিকে একটিবার পরখ করে ড্রাইভিং সিটে এসে বসে পরলো ওমর। বৃষ্টির রেশে তাঁর চুলগুলো কেমন ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। হাত দিয়ে ঝা’ড়ি দিয়ে গাড়িটা স্টার্ট দিতে কাধের উপর নাজের মাথাটা আলতো ভাবে হেলে পরাতে ঠোঁটের কোনে রাজ্যের হাসি এসে ভর করলো যেন ওমরের। এই প্রথম কোনো মেয়ের জন্য এতটা পিছুটান অনুভব করতে পারছে ওমর। মনের মধ্যেখানে কেমন ভালোলাগা গুলো একজোট হয়ে আছে তাঁর।
—তবে কি এটা কোনো কিছুর ইঙ্গিত মহারানী? সেই প্রথম দেখা থেকে পা’গল করেছো আমায় তুমি? উপস, তুমি বলে ফেললাম। অবশ্য তোমাকে দেখে বাচ্চাই মনে হয়। বয়সে তুমি ছোট হলেও আজ যেন এই বি’ষাদময় ওমরের পাষা’ণ হৃদয়ের আঙিনায় তুমি আপনি সমতুল্য। কথাটা ভাবতেই একগাল হাসি হাসলো ওমর।
.
মাথার কাছটাতে মৃদু ভেজা-ভেজা কিছু অনুভব করলে চোখটা কেমন ভারি পরে গেল নাজের। মাথাটাও কেমন টানটান করছে তাঁর।
পিটপিট করে তাকালে ঝাঁ’পসা চোখদুটি কেমন বুঁজে আসতে চাইছে যেন নাজের। সকালের স্নিগ্ধ হাওয়া বারান্দার জানালা ভেদ করে সো-সো শব্দে ভিতরে প্রবেশ করছে যেন। মাথার কাছটাতে একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা বসে-বসে জল পট্টি বেঁধে দিচ্ছে নাজের মাথায়। বোধহয় পুরোটা রাত বসে ছিলেন নাজের পাশে তিনি।
পরক্ষণেই নিজেকে অন্য কোনো জায়গায়,অন্য কারো বিছানায় উপলব্ধি করতে পেরে চ’মকে গিয়ে মাথায় হাত চে’পে দ্রুত উঠতে নিতে হুট করেই রুমের ভিতর ওমরের পা পরলো ঔষধ আর খাবার হাতে। খানিকটা রাগ নিয়ে গাম্ভীর্যের সহিত বললো।
— চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকো তুমি। একদম ওঠার চেষ্টা করবে না বিছানা থেকে। শরীরে কি জ্বর,আর মহারানীর যত তিরিং বিরিং।
আচমকা ওমরের বিহেভিয়ার পাল্টে যাওয়াতে নাজ যেন আকাশ থেকে পরলো। কি হচ্ছে আজ তাঁর সাথে। কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না নাজ।
খাবারের প্লেটটা টি টেবিলের উপর রেখে ওমরের কাকি আফসানা বেগমের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো ওমর।
—এখন কি জ্বরটা কমেছে কাকি?
ওমরের প্রশ্ন শুনে মিটিমিটি হাসলেন আফসানা বেগম। বললেন।
— না এখনও কমেনি। কিন্তু তুই যা খবরদারি করছিস, তাতে পাক্কা সুস্থ হয়ে যাবে। আফসানা বেগমের কথা শুনে ল’জ্জা পেয়ে গেল যেন ওমর। কিন্তু প্রকাশ না করে বাহিরে স্বাভাবিক ভাবেই বললো।
— খাবারটা রেখে গেলাম। কথাটা বলে যেতে নিতে আবারও পিছু ফিরে তাকাল ওমর। গম্ভীর চাহনিতে নাজের দিকে তাকালে, নাজ এখনও যেন হা হয়ে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। নাজের ফেস লুকিং দেখে এবার যেন ওমরের ভিষন হাসি পেল৷ তবুও নিজের হাসিটাকে চে’পে রেখে বললো।
—খাবার যেন ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া হয় মহারানী। নয়তো চিৎ করে খাটের নিচে বেঁ’ধে রাখব তোমাকে। কথাটা বলেই ওমর চলে যেতে আফসানা বেগমের হাসি আর দেখে কে। নাজকে জড়িয়ে ধরে হেসে কু’টি>কু’টি হয়ে বলতে থাকলেন তিনি।
— অবশেষে আমার ছেলেটারও উন্নতি হলো তাহলে। তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা মা, কিন্তু এই ওমর বিয়ে নিয়ে যা না’কানি-চু’বানি খায়িয়েছে সবাইছে। মেয়ে বলতেই নাকি তাঁর কাছে এলা’র্জি। আর কাল রাতে কিনা নিজে কোলে করে তোমাকে বাড়িতে নিয়ে এলো। আমিতো পুরো শ’ক খেয়ে গেছিলাম। এটাও সম্ভব। এবার তাহলে বিয়েটা হবে গা’ধাটার।তুমি হেলান দিয়ে বসো আমি খায়িয়ে দেই তোমাকে। নাজ যেন পুরো ভ্যা’বা>চ্যা’কা খেয়ে গেল আফসানা বেগমের কথার রেশ শুনে। প্রচন্ড পরিমানে খুদা লাগার কারনে কিছু বলতেও পারছে না তাঁকে। পিটপিট করে চারদিকে তাকালে বিশালাকার রুম জুড়ে জাবতীয় এক্সপেন্সিভ আসবাবপত্র চোখে পরছে। চারিদিকে যেন আভিজাত্যের ছোঁয়া। বোঝাই যাচ্ছে তাঁরা খুব বড়লোক। কথাটা মাথার ভিতর ভাসতে থাকলে রাদিফের বলা কথাটা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো নাজের। চোখের কোনে এসে জমা হলো একরাশ পানির রেশ।
—শুধুমাএ মেডেলক্লাসের অযুহাত দেখিয়ে আমাকে ডিভোর্স দিলেন রাদিফ। নাকি এর পিছনেও অন্য কোনো কারন ছিল? কথাটা ভাবান্তরে ছেদ খেতে থাকলে আফসানা বেগমের কন্ঠের রেশ শোনা গেল।
—এবার লক্ষী মেয়ের মতো হা করোতো দেখি মা।
শীতল চাহনিতে আফসানা বেগমের দিকে তাকালে তিনি নাজের মুখের সামনে এক লোকমা ভাত ধরে আছেন।
—আরে নাও। আমিও তো তোমার মায়ের মতোই নাকি? আফসানা বেগমের ধরা কন্ঠের রেশ শুনে নাজের চোখ ছলছল করে উঠলো যেন। কিছু না ভেবেই খিদের চো’টে খাবারটা মুখে নিয়ে নিল নাজ। আফসানা বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠলো যেন। দরজার পিছনে পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা ওমরের বুকে যেন শান্তি মিলল এবার। রাতে আফসানা বেগম আর রেদোয়ান সাহেবের ফোনের পর ফোন কল আসতে থাকলে শেষ মেশ নাজকে নিয়ে তাঁকে বাড়িতেই আসতে হলো। অনেকবার ডাকার পরও নাজের হুঁশ না ফিরলে কিছু খায়নি সারারাত নাজ। নাজের চেহারা দেখেও অনুভব করতে পেরেছিল সে যে, নাজ কালকেও খায়নি। সারাটা রাত ওমর নাজের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। জ্ব’লছিল যেন তাঁর মন পিঞ্জর। কিন্তু এখন যেন শান্ত হলো।
—কি ভাই। ভাবিকে নিয়ে তোর ডিরেক্ট বাড়িতে এন্ট্রি করাটা কিন্তু জোস ছিল ব্রদার। আমাদের কিন্তু ভাবিকে সেই লাগছে। হুট করেই অপু আর অর্পার কথা শুনে ভ’রকে গেল যেন ওমর। মুখে হাত চে’পে ধরে ওদেরকে থামতে বলে ধীর কন্ঠে বললো।
— আরে না। তেমনটা নয়, তোরা যেমনটা ভাবছিস, সেটা কিছুই না।
—এ্যাহ, বললেই হলো নাকি। (অপু)
অপুর কথায় সায় দিয়ে অর্পাও ভ্রু নাচিয়ে হেসে ওমরের উদ্দেশ্যে সুধালো।
—নামটা তো বলবে ভাবির।
— আরে ধুর। বলছি তো কিছু না। ভু’ল ভাবছিস তোরা।
—পরে শুনছি তোমার কথা। আগে ভাবির নামটা শুনতে চাই। ভাবিতো মাশাআল্লাহ, সুন্দর আছে৷
—উফ, চুপ কর তোরা।
— ওমর ভাই এইটা কিন্তু ঠিক না, ঠিক আছে। মাঝরাতে গাড়িতে করে ভাবিকে নিয়ে এলে। আবার কোলে চরিয়ে বিছানা অব্দি নামিয়ে দিলে। সারারাত দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিলে। আর এখনও চুপিচুপি দেখছিলে,কিন্তু স্বীকার করার বেলায় কিছুনা। বুঝি-বুঝি আমরাও বুঝি৷ যে দ্যা গ্রেট ওমর ভাই। মেয়েদের দেখলে যার নাক মুখ কুঁ’চকে যেত। কালকেও একটা মেয়েকে রিজেক্ট করেছে, সে রাতের মধ্যেই পাল্টে গেল। কি বলিস অর্পা। অপুর কথা শুনে অর্পা হোহো করে হেসে উঠলো। বললো।
—এবার তো এটলিস্ট নামটা বলো?
— তাসফিয়া তেহনুব নাজ।
—ওয়াহ। কেয়া সিন হে ব্রাদার। নাজ-ওমর, ওমর-নাজ। বেষ্ট জুটি। মানে অমাইক। অপুর কথা শুনে অর্পাও সায় দিলে ল’জ্জায় পরে গেল যেন ওমর। সত্যিই, ওর ভাই-বোনদের গ্যাংয়ের মধ্যে সব এক-একটা করে পা’গলের দলবল। কথাটা ভাবতেই নাজের কথা ভাবনায় ছেদ পরে গেলে মনের দুয়ারে কেমন ছন্দের হারে কম্পি’ত হয়ে চলেছে ওমরের।
— তোমার কথা ভাবনাতে এসে হাজির হলে আমার হৃদয় সায়রে এভাবে ঝড় বয়ে চলে কেন মহারানী….
চলবে…..
(আসসালামু আলাইকুম। গল্পটা কেমন হচ্ছে আমি নিজেও জানিনা৷ লিখতে গেলে ভাবতে-ভাবতেই প্লট চলে আসে৷ তাই আরও কয়েকটা পার্ট করে এক্সপ্লেইন সহকারে সমাপ্তি করব ইনশাআল্লাহ। হ্যাপি রিডিং 🖤)