#আমায়_রেখো_প্রিয়_প্রহরে
#পর্ব_২৬
Writer #প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী
বিকেল তিনটে। পশ্চিমাকাশে ধীরে ধীরে হেলে পড়ছে অংশুমালী। সুজানা আজ দুপুরে একটুও ঘুমায়নি। ক্লাসের নোটগুলো পুনরায় করতে গিয়ে বেলা তিনটে বেজে গিয়েছে। সাজিয়া বেগম নাশতা বানিয়ে রেখেছে যাতে মেয়ে কিছু খেয়ে বেরিয়ে পড়তে পারে।
সুজানা ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে রান্নাঘরে গরম নাশতা তাড়াহুড়ো করে মুখে দিল বিসমিল্লাহ বলে। তা দেখে মা ধমকের স্বরে বললেন,
তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে নেই সুজানা। একটু ধীরেসুস্থে খেতে হয়।
সুজানা ধীরেসুস্থে খেতে খেতে বলল
ভাইয়ের কলেজের ফর্ম ফিলাপের টাকা দিয়ে দিয়েছ?
কোথায় থাকিস তুই? কালই দিয়ে দিয়েছি। এখন কলেজ থেকে এসে খেয়েদেয়ে ঘুমোচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার অনেক চল-চাতুরী করছিল। অনেক কষ্টে ঘুম পাড়িয়েছি। এই ছেলে আর বড় হবেনা। তোর মত এত বোধবুদ্ধি ওর নেই। বুঝলি? আমার কষ্টের শেষও হবেনা তাই।
সুজানা হাসলো। বলল
এভাবে বলছ কেন আম্মা? আমাকে তো বললো তোকে কিছুদিন পর চাকরি বাকরি কিছু করতে দেব না আপা। আমি করব সব।
হ্যা, তার সাথে কথাই পারে কে?
সুজানা আবারও হাসলো। বলল
এখনও ছোট তাই। বড় হলে দেখবে সবকিছু নিয়ে ভাববে। তাছাড়া ওর মতো ছন্নছাড়ারাই জীবনটা ভালো উপলব্ধি করতে পারে।
আমি তোকে খুব কষ্টে রেখেছি। আমি বুঝি।
সুজানা বলল
আম্মা কি বলো? আমার বসে খেতে ভালো লাগেনা। তাছাড়া চেপেচিপে খরচ করতেও ভালো লাগেনা আমার।
বিয়ের পরও চাকরি করবি? তোর শ্বশুর শ্বাশুড়ি যদি চাকরি করতে না দেয়?
সুজানা গম্ভীর হলো কিছুটা।
কেন? করতে দেবেনা কেন?
অনেকেই পছন্দ করেনা বাড়ির বউরা চাকরি করুক।
মা যুগ পাল্টেছে।
পাল্টালেও। সন্তানসন্ততি হলে মায়েদের প্রথম কাজ থাকে তাদের লালন পালন করা। অনেকেই পছন্দ করেনা বাচ্চা রেখে মা চাকরি করুক। যাদের টাকা পয়সা থাকে তারা একদমই চায় না।
হুমম, আমাকে যদি মাসে মাসে বেতন দেয় তাহলে করব না।
হেয়ালী করে কথা বলছিস সুজানা।
আচ্ছা আমি চুপ থাকলাম।
এখন তো চুপই করবি। নিজের ভালোটা আর কখন বুঝবি তুই?
সুজানা উত্তর করলো না। কিছুপরেই বলল
চাকরি কেন করতে হবে আম্মা? চাকরি ছাড়াও আরও অনেক উপায় আছে যাতে সাবলম্বী হওয়া যায়। আমাদের নীলা ম্যামকে দেখো। উনি কত বড় বিজনেস ওম্যান। সাথে মডেল এবং ফ্যাশন ডিজাইনার। আর কতবড় একটা এজেন্সী উনার। সবকিছু একহাতে সামলায়। উনার বাবার যে ছেলে নেই ওটা উনি বুঝতেই দেননি। বাবার পাশে একদম ছেলের মতো ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। উনি উনার বাবার খুঁটি হতে পারলে আমি আমার মায়ের খুঁটি হতে পারব না কেন?
সাজিয়া বেগম কাজের ব্যস্ততা দেখালেন। জানতে চাইলেন
বিয়ে হয়েছে?
সুজানা চুপ হয়ে গেল। মিনমিন করে বলল
জীবনে বিয়েটা সবকিছু না আম্মা। উনি তো এভাবেই ভালো আছেন।
বিয়েটা সবকিছু না ঠিক। কিন্তু টাকাপয়সা, খ্যাতি, যশ-প্রতিপত্তিও সব না। জীবন সবকিছু নিয়ে হয়। সবকিছুর প্রয়োজন আছে সুজানা। তুই সবকিছু বুঝিস কিন্তু এটা বুঝতে তোর এত কষ্ট হয় কেন?
তুমিও আমার কথাটা বুঝতে চাওনা আম্মা। তুমি বিয়ে করে কি করেছ? যাকে বিয়ে করেছ সে তোমাকে আর দুটো বাচ্চা রেখে পরপারে চলে গিয়েছে। তুমি যদি নিজে সাবলম্বী হতে আজ তাহলে এত কষ্ট করতে হতো না তোমাকে। সেলাই মেশিন চালিয়ে পা ফোলা আর কোমর ব্যাথা বাড়াতে হতো না। চাচা, ফুপীরা তো অনেকে আছে কই তারা তো একবারও খোঁজ নেয় না আমাদের। ভাইপো ভাইঝি দুটো মরলো কি বাঁচলো। তাদের অবস্থা তো যথেষ্ট ভালো। তাদেরও তো যথেষ্ট টাকাপয়সা আছে আম্মা। তাদের ভাই মারা গিয়েছে তাই তুমি আমরা পর হয়ে গেলাম? তুমি দোষী হয়ে গেলে? সব দায় তোমার?
আমার সাথেও যদি এমন হয়? আমার ওসব ভয় করে আম্মা। আমি এত কঠিন জীবন চাই না। আমি তোমার মতো হতে পারব না কখনো। আমার সামনে বিয়ে বিয়ে করোনা প্লিজ।
কেঁদে উঠে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেল সুজানা। মা তার যাওয়ার পানে টলমলে চোখে তাকিয়ে থাকলো। মেয়েটা কি বলে গেল? এজন্যই সে বিয়ে শব্দটা শুনতে চায় না?
পেটে ধরেছে বলে মেয়ের জীবনটাও মায়ের মতো হবে? নিজেকে এতটা অভিশপ্ত মনে করে সে?
________________________
বাচ্চাদের শোরগোল আর কান্নাকাটির শব্দে পুরো বাড়ির মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে। মেঝেতে বসে দুজনেই খেলা করছিল। সে সময় টিচার চলে আসায় দুজন খেলা ছেড়ে পড়ার ঘরে একদম যেতে চাইলো না । আনিকা দুটো চড় দিতেই তখন থেকে কান্নাকাটি করেই চলেছে দুজন। অভিক ওদিকে যায়নি। গতকাল থেকে গলা ব্যাথা ছিল। আজ বিকেলেই শনাক্ত হলো গলায় টনসিল। ঠান্ডাজনিত সমস্যা ওর ছোটবেলা থেকেই।
ছেলের অসুস্থতা নিয়ে সালমা বেগমের চিন্তার শেষ নেই। দিনদুনিয়া বিষাক্ত লাগে ছেলের অসুখ হলে। এত নিয়মে নিয়মে চলে তারপরেও ম*রার অসুখ ছেলেটাকে ছাড়েনা।
কিছুক্ষণ পরপরই উনি ছেলের কাছে ছুটছেন গরম কফির মগ নিয়ে। ছেলেটাকে গরম পানি খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছেন। ছেলেটা হা ও করেনা। বাপের মতোই বজ্জাত হয়েছে। বাপের না হয় কপাল ভালো ছিল। উনার মতো ভালো বউ পেয়েছে। কিন্তু ছেলের কি হবে? ভালো বউ পাবে কোথায়? সব তো জুটে নিমকহারাম।
বাচ্চাদের কান্নার কথা শুনেও অভিক ওদিকে গেল না। ওদের প্রশয় বেড়ে যাবে। মমতাজ বেগমের বিপরীত পাশের সোফায় গিয়ে বসলো। টিভির রিমোট চেপে চেপে ডিসকভারি চ্যানেল পাল্টালো। সালমা বেগমের চোখ টিভির দিকে পড়ায় উনি নাকমুখ কুঁচকে বললেন
ছেলের রুচি দেখো। এই বেডা যে সাপ,কু**ত্তা খায় এসব দেখতে তোর ভালো লাগে অভি?
অভিক মায়ের কথায় মৃদু হাসলো। কলিং বেল বেজে উঠায় সবাই সদর দরজার দিকে তাকালো। মাথায় শাড়ির আঁচল টেনে দরজা খুলতে এগিয়ে গেলেন সালমা বেগম। দেখলেন অফিসিয়াল স্যুটবুট পড়া একজন লোক। উনি সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন
অভিক সাহেব আছেন ম্যাডাম?
হ্যা। কিন্তু অভিকে কি দরকার? ও অসুস্থ। কোনো কাজটাজ পারবেনা। বুঝলেন?
লোকটা ভ্যাঁবাছ্যাকা খেল অমন কাঠকাঠ কথা শুনে।
অভিক নিজেই এগিয়ে গেল। বলল
ম্যানাজার সাহেব! কি অবস্থা? ভেতরে আসুন। বাবা জেঠু পাঠিয়েছে নিশ্চয়ই।
হ্যা।
আসুন।
সালমা বেগমকে চোখের ইশারায় শান্ত হতে বলে ম্যানাজারকে নিয়ে সোফায় গিয়ে বসলো অভিক। ম্যানাজার মমতাজ বেগমের সাথে কথা বলা শেষ করে বললেন
এদিকে একটা কাজেই আসছিলাম স্যার আমাকে বললো আমাদের নিউ কোম্পানির জন্য যে লোগো সিলেক্ট করা হয়েছে তা আপনার বাবা আর জেঠু নাকি আপনাকে দেখিয়েছেন কিন্তু আপনার পছন্দ হয়নি।
জ্বি, ওগুলোর কালার কম্বিনেশন ভালো ছিল না। আমি চাই লোগোটা খুবই মর্ডান এন্ড ক্লিন হোক। এন্ড আইকনটা যাতে আইক্যাচিং হয়। লোগোর জন্য একবারই ইনভেস্ট করতে হয়।
ম্যানাজার ল্যাপটপ ওপেন করে বললেন
আমাদের কাছে নতুন কিছু ডিজাইন আছে আপনি যদি দেখতেন।
অভিক ল্যাপটপ তার দিকে ঘুরিয়ে একের পর এক ডিজাইনগুলো দেখতে দেখতে বলল
হুমম, বেটার দেন বিফোর। বাট নিড টু ইমপ্রুভ। আই থিংক আরও একটু বেটার করতে বললে ডিজাইনার আরও ভালো করবেন।
হ্যা। এসব জাস্ট আগের কাজ। আমরা তাহলে এই ডিজাইনারের সাথে কথা বলি? বড় স্যার বললেন যে, রিকোয়ারমেন্টগুলো যাতে আপনিই বলে দেন। উনাদের আইডিয়া নেই তাই। আপনি যেহেতু ওয়েবসাইট নিয়ে বুঝেন তাই আপনাকে,,
আমি বুঝেছি। উনাদের ফোন দিন। আমি বুঝিয়ে বলব।
ওকে।
সালমা বেগম চায়ের ট্র এনে রাখলেন। বললেন
ওর গলায় ব্যাথা ওটা আপনাকে বলেনি ওর বাবা? বাপ হয়ে ছেলের কষ্ট বুঝেনা। আজব মানুষ! চা খেয়ে নিন ম্যানাজার।
বলেই চলে গেলেন উনি। অভিক বলল
মায়ের কথায় কিছু মনে করবেন না। মায়েরা এমনি হয়।
ম্যানাজার সাহেব কানে ফোন ধরে বললেন
না না আমাকে আপনার বাবা বলেই দিয়েছেন আসার সময় যে এখানে এলেই ম্যাডামের বকুনি খেতে হবে।
অভিক হাসলো। বলল
মাকে বাবার চাইতে কে বেশি কে চেনে?
পাশ থেকে মমতাজ বেগম বললেন
তোমার বাবাই তোমার মায়ের দিওয়ানা ছিল দাদুভাই। সে এক বিশাল প্রেমকাহিনী।
অভিক আর ম্যানাজার সাহেব হেসে উঠলো। মমতাজ বেগম ফিসফিস করে বলে উঠলেন
থামো থামো। কানে গেলে বলবে বুড়ো বয়সে শয়তানে ধরেছে।
অভিক আবারও হাসলো। বলল
বাবা বেস্ট এজ এ সান, ফাদার এন্ড হাজবেন্ড।
তুমিও তেমন হও দাদু ভাই।
অভিকের ভাবনায় একজনের মুখশ্রী ভেসে উঠলো তক্ষুণি । অবশ্য উঠবে না কেন?
সে তো দিনের ৮৬,৪০০ সেকেন্ড সময় জুড়ে থাকে।
ম্যানাজার সাহেব ওপাশ থেকে নারী কন্ঠের আওয়াজ শুনতে পেল।
আসসালামু আলাইকুম। নীলা মজুমদার। কে বলছেন?
সরি ম্যাডাম সরাসরি আপনাকে ফোন করেছি বলে। আপনাদের ডিজাইনগুলো বেশ পছন্দ হয়েছে আমাদের। তবে আমাদের আরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। যদি আপনাদের ডিজাইনারের সাথে কথা বলা যেত।
হোল্ড অন প্লিজ । ফোনটা উনার কাছে পাঠানো হচ্ছে।
ঠিক আছে।
সুজানার কাছে ফোনটা নিয়ে গেল নীলা। বলল
আমাদের ক্লায়েন্ট। উনার সাথে কথা বলুন। ডিজাইন নিয়ে কিছু কথা বলতে চান।
সুজানা ইতস্তত বোধ করলো। নীলা বলল
সুজানা বি কনফিডেন্ট।
সুজানা ফোনটা হাতে নিল। কানে দিয়ে বলল
আসসালামু আলাইকুম। সুজানা আফরিদা ফ্রম এনটমটি।
ওপাশের জন্য হালকা কেশে উঠলো। সবার কাছ কিছুটা দূরে গিয়ে বলে উঠলো
মিটিংটা সামনাসামনি হোক?
সুজানা শুকনো ঢোক গিলে বলল
কে?
আপনার ক্লায়েন্ট। ষোলশহর দু নম্বর গেইট, নবকুঠিরে চলে আসুন কাল।
সুজানা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
নাকি আমাদের অফিসে? কোথায় আসতে চান?
সুজানা মিনমিন করে জবাব দিল।
বাড়িতে।
গুড। বাই ফর নাউ।
নীলা বলল
কি বললেন উনি?
সুজানা ফোনটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন
মিটিং।
গুগল মিট?
না।
ফেস টু ফেস? ওকে নো প্রবলেম। আমাদের লং-টার্ম কাজ করতে হবে উনাদের সাথে। ফেস টু ফেস করলে আপনি উনাদের কোম্পানি সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবেন। রাজন যাবে আপনার সাথে। উনাদের অফিস,,
উনি এড্রেস দিয়েছেন।
কোথায়?
উনাদের বাড়িতে।
উনাদের বাড়ি আপনি চিনবেন কি করে? আচ্ছা রাজনকে বলে দেখি।
দরকার পড়বেনা তার। আমি ওই বাড়িতে টিউশনি করেছি।
ওয়াও তাহলে তো খুব ভালো। অল দ্য বেস্ট সুজানা।
সুজানা মাথা নাড়ালো। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে কাজে পুনরায় মনোযোগ দিল। পরিস্থিতি বারবার তাকে “তার” মুখোমুখি দাঁড় করায়।
ডিউটি শেষে সুজানা বেরিয়ে পড়বে তখনি নীলা ফোন নিয়ে আবারও ছুটে এল। বলল
সুজানা ক্লায়েন্ট আবারও কথা বলতে চাচ্ছেন।
সুজানা ফোনটা নিয়ে নিল। হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে অভিক বলল,
আপনার বিকাশটা চেক করবেন। ওইদিনের কেকের পেমেন্ট করে দিয়েছি এন্ড আরও একটা কেকের অর্ডার। ওই কেকের উপরে “Abhi” লেখা থাকবে। ঠিক আছে?
জ্বি।
কি নাম?
আপনার।
আমার নাম কি?
অ……ভি।
সুজানা ফোন রেখে দিয়ে চোখ বন্ধ করে জিভের আগায় কামড় বসালো। ওপাশের জন হাসলো।
সুজানার হাত থেকে ফোন নিয়ে কানে দিল নীরা। বলল
নো প্রবলেম। আমাদের ডিজাইন কাল আপনাদের ঠিকানায় যাবেন…
কথাটা ওপাশে অভিকের কাছে পৌঁছানোর আগেই সালমা বেগম ছোঁ মেরে ফোনটা নিয়ে নিলেন। অনেকক্ষণ ছেলের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ছেলের খেয়ালই নেই । কার সাথে এত হেসেহেসে কথা বলছে?
রুক্ষ গলায় বললেন
এতক্ষণ কিসের কথা অভি? দুপুরে ভাতও খেলিনা গলা ব্যাথার কারণে। কথা বলতেও পারছিলি না। আর এখন ভালো হয়ে গেলি? এত বকবকানি কার সাথে করছিস? আবারও হাসছিস ও?
ওপাশে কাশলো নীলা। হ্যালো, বলতেই সালমা বেগম ফোনটা কানে লাগালেন। বললেন,
হ্যালো! কে তুমি?
অভিক বলল
মা মা ফোনটা দাও।
চুপ অভি। আমি কথা বলছি। হ্যা আবার বলো কে তুমি?
নীলা গলা ঝেড়ে কেশে বলল
আমি এনএমটি থেকে নীলা বলছি। নীলা মজুমদার।
সালমা বেগম অভিকের দিকে বড় বড় চোখে তাকালেন। মিনমিন করে বললেন
নীলা! ওহহ তাহলে এটা সেই মেয়েটা?
অভিক ফোনটা নিয়ে কেটে দিয়ে বলল
মা জরুরি কথা হচ্ছিল।
আচ্ছা আমি আর কখনো ডিস্টার্ব করব না তোদের।
মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেলেন উনি। অভিক মায়ের যাওয়ার দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালো। তার মা আর সুজানা এ দুই মহিলা আজব! দুজনেই তাকে জ্বালিয়ে মারে।
চলবে