অর্ধ_নক্ষত্র ।৩। #লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

0
103

#অর্ধ_নক্ষত্র ।৩।
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

ধরণীতে সূর্যের তেজ খুব বেপরোয়া ভাবে বেড়েই চলেছে।এই অসহ্য গরমে ঘরে এসি চালু থাকা সত্ত্বেও জাহরার শরীর জ্বালা করছে।সাথে ভোর বেলা থেকে শুরু হওয়া তার মায়ের উগ্র মেজাজের অনর্গল বলতে থাকা কথাগুলো শুনে আরও বিরক্ত লাগছে তার।

জাহরা ভ্রু কুঁচকে দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখে নেয়।এখন আটটা বেজে ত্রিশ মিনিট।সোফায় পড়ে থাকা ব্যাগটি হাতে তুলে নিয়ে উঁচু স্বরে বলে,”মা আমি হাসপাতাল এর জন্য বেরোচ্ছি।”

জাহরার কথা শুনে তার মা মায়া রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।জাহরার হাতে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে মেজাজ দেখিয়ে বলে,”তুইও মেহরার মতো দুপুরের খাবার রেখে চলে যাবি নাকি।নিয়ে যা।”

জাহরা চাপা নিশ্বাস ছাড়ে দ্বিরুক্তি না করে ব্যাগটি হাতে নিয়ে বেরিয়ে যায়।আর কথা বাড়িয়ে বিরক্ত হতে চায় না জাহরা এমনিতেই আজ বাড়ির গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল যেতে পারবে না সে।কারণ ড্রাইভার চাচা গত পরশু থেকে অসুস্থ।এখন এই রোদে দাঁড়িয়ে থেকে রিকশার খোজ করে রিকশা করেই যেতে হবে জাহরাকে তাই তার মেজাজ ঠিক রাখা প্রয়োজন।

জাহরার মা মায়ার সকাল সকাল উগ্র মেজাজের কারণ হচ্ছে তার বড় মেয়ে মেহরা।মেহরার ভোর বেলা একটি ফোন আসতেই সে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।মেহরা ফোনে কথা বলার সময় পাশেই দাড়িয়ে ছিল তার মা।মায়া স্পষ্ট শুনতে পান একজন পুরুষ বলছে,” মেহরা সাফওয়ান এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।”

‘সাফওয়ান’ তার অপছন্দের একটি নাম তা শোনা মাত্রই রেগে বো ম হয়ে যান মায়া।তার উপর মেহরা দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ায় দুপুরের খাবার নিয়ে যেতে ভুলে যায়। মেহরা দুপুরে বাইরের খাবার খেতে পারে না বলেই বাড়ি থেকে দুপুরের জন্য খাবার নিয়ে যায় কিন্তু আজ নিয়ে গেলো না খাওয়াও হবে না মেহরার জানে তার মা।এইসব কারণেই বড্ডো রেগে আছেন সে।

.
জাহরা রিকশা নিয়ে হাসপাতাল চলে আসে।হাসপাতালে প্রবেশ করা মাত্রই ফাইজ পাশে এসে দাঁড়ায় পকেটে দুই হাত গুজে বলে,”এইযে তোমার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে আমার।”

জাহরা তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো বলল,”কী কথা?আর গত কাল আমাকে আপনি করে বলছিলেন আজ তা তুমি তে কী করে কনভার্ট হলো মিস্টার ফা জিল।”

ফাইজ রেগে গেলো।নিজের রাগ কে দমিয়ে বলল,”তুমি আমার একমাত্র বেয়াইন তার উপর পুচকি একটা মেয়ে,বয়সে কিছুটা ছোট হবে আমার থেকে তাই ভাবলাম তুমি করেই বলি।আর চলো আমার সাথে।গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তোমার সাথে,এক রোগীর বিষয়ে।”

জাহরা রোগীর কথা শুনে ফাইজ এর সাথে যাওয়া নিয়ে দ্বিরুক্তি করলো না ফাইজ এর সাথে হাঁটা ধরলো। জাহরা ক্ষীণ রাগ দেখিয়ে বলল,”আর শুনুন আমাকে একদম পুচকি বলবেন না আপনি’ই অতিরিক্ত খাম্বা।”

ফাইজ ঠোঁট টিপে হাঁসলো জাহরার হাতের খাবারের ব্যাগটি দৃষ্টিগোচর হতেই জিজ্ঞেস করলো,”ঐটা কি খাবারের ব্যাগ?”

জাহরা ছোট করে বলল,”জি।”

“ওইগুলো ভাবির মা মানে তোমার মা আরেহ ধুর, ইয়ে মানে আন্টি রান্না করেছে তাইনা?”

জাহরা আড় চোখে তাকিয়ে বলল,”হ্যাঁ।”

“আরশমান থেকে শুনেছি ভাবির মা মানে আন্টি অনেক ভালো রান্না করে।”

“আপনি আসলে কী বলতে চাইছেন বলুন তো?”

ফাইজ আড় চোখে খাবারের ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বলে,”বলছিলাম আজকে আমি তোমার সাথে লাঞ্চ করি আমাকেও একটু খাবার দিও ঐখান থেকে।”

“আশ্চর্য কী সোসা আপনি।আমি আমার থেকে একটু ও দিবো না আপনাকে।”

ফাইজ বাঁকা হেঁসে বলে,”না দিলে নেই তোমার ঐ খাবারের ব্যাগ আমি ছিনিয়ে নিবো।তখন একটু কী পুরোটাই আমার।”

জাহরা অবাক স্বরে বলল,”কী সাংঘাতিক লোক আপনি!”

“পুরোই তোমার মত।”

জাহরা প্রতুত্তর করার জন্য হাঁটা থামিয়ে দিলে।ফাইজ পেন্টের পকেট থেকে দুই হাত বের করে নিজেও দাড়িয়ে যায় জাহরা কে প্রতুত্তর করতে না দিয়ে চোখের ইশারায় সামনের “২০৩৮”নম্বর রুম দেখিয়ে বলে,”কোমড়ে গামছা বেঁধে দুজন মিলে পরবর্তীতে নাহয় ঝগড়া করবো নে এখন ভিতরে চলো।”

জাহরা ভ্রু কুঁচকে তাকালো বিড়বিড় করলো,”ফাজিল লোক।”রুমটির ভিতরে প্রবেশ করে অবাক হলো সে।রুমটির এক পাশের গোল টেবিলে গোল হয়ে চেয়ার টেনে বসে আসে দুজন পুরুষ।জাহরার চোখে দুজনকে বিদেশী মনে হলো কারণ তারা একজন দেখতে অত্যাধিক সাদা চামড়ার মানুষ এবং অন্যজন পুরোই কালো।দুজনেরই চোখের লেন্স দুটি হালকা আকাশী রঙের।

জাহরা মুহূর্তের মধ্যে দুজনকে দুটো নাম দিয়ে ফেললো বিড়বিড় করে বলল,”সাদা বিলাই,কালা বিলাই।”

ফাইজ জাহরার ফিসফিসিয়ে বলা কথা শুনতে পায়।তার মত ফিসফিস করে নিজেও বলে,”আরেহ নাহ সাদা টা হচ্ছে ডক্টর স্টিভ এবং কালা টা হচ্ছে ডক্টর হ্যাভেন ওনারা দুজনই আমাদের মত অনকোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার)।তুমি আনইজি ফিল করো না ওনারা আমার পরিচিত।আর তোমার সম্পর্কে ওনাদের বলেছি আমি।”

জাহরা জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বলে,”আমার বিষয়ে সব জানলেন কী করে আপনি?”

“আমার যাকে প্রয়োজন হয় তার চৌদ্দ গুষ্টির ইনফরমেশন আমি কয়েক মিনিটেই বের করে নিতে জানি।”

জাহরা ভ্রু কুঁচকে বলে,”কী ফাজিল লোক ভালো করে কথাই বলতে জানে না।”

.
ফাইজ জাহরাকে নিয়ে স্টিভ ও হ্যাভেন এর পাশে চেয়ার টেনে বসে পড়লো।

স্টিভ ও হ্যাভেন একসাথে হেঁসে বলে,”হ্যালো ডক্টর ঝাড়ু।”

জাহরার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো চরম বিস্ময় নিয়ে বলল,”হোয়াট ঝাড়ু ডা আবার কে?”

ফাইজ মিটমিট করে হেঁসে বলল,”কেনো তুমি।”

জাহরা চোখ গরম করে তাকালো ক্ষীণ স্বরে বলল,”আপনি আমার সম্পর্কে এই বলেছেন ওনাদের!”

ফাইজ জাহরার এহেন কথা এড়িয়ে বলল,”আমাদের হাতে সময় নেই আসল কথায় আসি।আমাদের হাসপাতালে একজন রোগী এসেছিল কয়েকদিন আগে।সে আর্থিক ভাবে তেমন সচ্ছল না।তার ব্রেইন ক্যান্সার ধরা পড়েছে।তার ব্রেইন ক্যান্সার এর বিষয়টি অন্যদের থেকে খুবই আলাদা এবং বিরল।তার হাতে কয়েক মাস সময় আছে।আমি রোগীটিকে সুস্থ করতে চাই।আমরা চারজন রোগীটির এই বিরল রোগের বিষয় নিয়ে যদি এক সাথে বসি আলোচনা সাপেক্ষে কোনো না কোনো পথ বের হবেই।”

জাহরা ভাবনায় পড়ে গেলো।হ্যাভেন বললেন,”Of course, we have done a lot of work with you, Faiz. We can do this too, just collect all his reports and then we will discuss this again together. (অবশ্যই, আমরা তোমার সাথে অনেক কাজ করেছি, ফাইজ।আমরা এটিও করতে পারি, শুধু তার সমস্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করুন এবং তারপর আমরা এটি নিয়ে আবার আলোচনা করব।)

জাহরা তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে শক্ত কণ্ঠে বলল,”আমি কখনও আপনাদের সাথে কাজ করি নি তবুও আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।আমরা পারবো ইন-শা-আল্লাহ।”

ফাইজ অমায়িক হাঁসলো বোধ হলো মাথার উপর থেকে একটি চিন্তার বোঝা কমেছে।

.
আরশমানের হাতে চায়ের কাপ,অল্প সময় পরপর চায়ের কাপে ঠোঁট স্পর্শ করে একের পর এক চুমুক দিয়ে যাচ্ছে।এবং তার বাদামি নেত্রের
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি টিভির পর্দায়।তার পাশেই বসে আছে তার বাবা আমজাদ খান সে তার সকল প্রকার মনোযোগ দিয়ে রেখেছেন টিভির পর্দায়।মনোযোগ সরালেই বোধ হয় বড় সড় এক স র্বনাশ হয়ে যাবে।

আজকের সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ ,খোলা মাঠের এক কোনায় সাফওয়ান চৌধুরীর লা শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাফওয়ান চৌধুরী কে খুব নৃ শংস ভাবে ছুরির আঘাতে হ ত্যা করা হয়েছে।তাকে হ ত্যা করেছেন তারই এক বিশ্বস্ত লোক আসিফ ভূইয়া।সাফওয়ান চৌধুরীর বাড়ির সামনের সড়কের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে কয়েকদিন আগেই সাফওয়ান চৌধুরীকে কি ডন্যাপ করেন আসিফ ভূইয়া।আসিফ ভূইয়া কে সকালেই পুলিশ এয়ারপোর্ট থেকে আ টক করেন।আসিফ ভূইয়া পালিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন।পুলিশের কাছে ধরা পড়া মাত্রই আসিফ ভূইয়া নিজে থেকেই স্বীকার করেন তিনি সাফওয়ান চৌধুরী কে গত কাল রাতে নিজ হাতে খু ন করেছেন।কারণ হিসেবে এখন অব্দি আর কিছুই বলেন নি তিনি।

আরশমান চায়ের কাপ শব্দ করে তার সামনের সেন্টার টেবিলে রেখে টিভির পর্দা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তার বাবার দিকে তাকায়।কিন্তু তার বাবা তার আগের থেকেই তার দিকে তাকিয়ে আছে।

আরশমান ভ্রু কুঁচকে বলে,”তাকিয়ে আছো কেনো?”

আমজাদ খান নাক কুঁচকে বলেন,”উফ আমি এক জটিল গণ্ডগোলের পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছি রে আরশমান।”

আরশমান আড় চোখে তাকালো অতঃপর ভরাট কণ্ঠে বলল,”তোমার নাকে সমস্যা আছে বাবা।অপেক্ষা করো ফাইজ কে বলব এসে যেনো তোমার নাকের চিকিৎসা করে দিয়ে যায়।”

“তোর বাবার নাকের ফুটো দুটো বড় বড় তো তাই যত্তসব গন্ধ তার নাকেই ভেসে আসে।”,বাক্যটি কানে ভেসে আসা মাত্রই তড়িৎ গতিতে পাশ ফিরে তাকায় আরশমানের বাবা।রেগে মেগে বলে উঠেন,”হিনা তুমি আর তোমার ছেলে আমার পিছনেই লেগে থাকো কেনো?”

আরশমান তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,”মা তুমি বরং আরেকটা বিয়ে করো তারপর থেকে আমরা বাবার পিছনে না লেগে তোমার নতুন স্বামীর পিছনে লাগবো।”

আরশমানের বাবা চোয়াল শক্ত করে আরশমানের দিকে তাকিয়ে বলেন,”হারামজাদা আমি বেঁচে থাকা সত্ত্বেও তুই আমার বউকে আরেকটা বিয়ে করার বুদ্ধি দিচ্ছিস।”

আরশমান দায়সারা ভাব নিয়ে বলল,”ঠিক আছে তাহলে তুমি পরলোক গমন করার পর বুদ্ধি নয় বরং একেবারে মা কে আরেকটা বিয়েই করিয়ে দিবো।”,

আরশমানের মা ঠোঁট টিপে নিঃশব্দে হাঁসলো।আরশমানের বাবা সোফার বালিশ ছেলের দিকে ছুঁড়ে মারলেন,আরশমান বালিশটি এক হাতে ধরে ফেললো।আরশমানের বাবা বলল,”তুই আমার বউকে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস কেনো রে?ঠিক আছে দাড়া তোর আর মেহরা মায়ের বিয়ের তারিখ আরো পিছিয়ে দিচ্ছি আমি।”

আরশমানের ভ্রু কুঞ্চিত হলো।গম্ভীর কণ্ঠে বলল,”আমার আর আমার বউয়ের বিয়ের ডেট নিয়ে ছিনিমিনি একদম খেলবে না বাবা।নাহলে তোমার বিজনেস নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দিবো আমি।”

আরশমানের বাবা পায়ের উপর পা তুলে বললেন,”কী আর পারিস।তুই শুধু আমার ব্যবসায় লাল বাত্তি টাই জ্বালাতে পারিস।”

আরশমান উঠে দাড়ালো বাড়ির সদর দরজার দিকে হাঁটা ধরলো বলল,”সমস্যা নেই এইবার রংবেরঙের বাত্তি জ্বালিয়ে দিবো তোমার বিজনেসে।”

আরশমানের বাবা আড় চোখে তাকালেন ছেলের দিকে উচুঁ কণ্ঠে বললেন,”কোথায় যাচ্ছিস?”

“আমার বউ কে সামলাতে যাচ্ছি বাবা।বউ টা আমার খুবই নরম হয়তো কেঁদে কেটে এতক্ষনে বন্যা বানিয়ে ফেলেছে।”

.
জুনায়নার সাথে যোগাযোগ করে তার বলা জায়গায় চলে আসে আরশমান।গাড়ি থেকে নেমে দাড়ায়।ফাঁকা মাঠ কেউ নেই।ফাঁকা মাঠে সুদূরে দাড়িয়ে থাকা মেহরা ও জুনায়না কে দৃষ্টিগোচর হয় আরশমান এর।জুনায়নার সাথে আরশমানের চোখাচোখি হতেই জুনায়না এগিয়ে আসে মুখ ফুলিয়ে বলে,”এই
হা রমাজাদা সাফওয়ান মরার আর সময় পেলো না ব্যাটা ওর জন্য আজকে আমি আমার জানের সাথে দেখা করতে যেতে পারি নাই।আর শুন তোর রূপসী কষ্ট শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে যা গিয়ে সামলা ওকে।

আরশমান এগিয়ে যায় মেহরার দিকে।মেহরার কাছে এসে নরম কণ্ঠে ডাকে ,”মেহরা।”

মেহরা পাথরের মত দাড়িয়ে আছে উত্তর দেয় না আরশমান কে,চোখের কার্নিশ ঘেঁষে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছে।নেত্র দুটো লাল রঙ ধারণ করেছে।হাত খোপা করা চুল গুলো উন্মুক্ত হয়ে উড়ছে।আরশমানের বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো।বড় বড় পায়ে মেহরার সামনে এসে মেহরা কে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে ব্যাস্ত কণ্ঠে বলল,”এই মেহরা এই কী অবস্থা করেছেন নিজের।”

মেহরা বিড়বিড় করে বলল,”সাফওয়ান এইভাবে চলে গেলো কেনো?”

আরশমান শুনতে পারলো বলল,”মেহরা এইসব কী বলছেন?”

আচমকা মেহরা হেঁচকি তুলে শব্দ করে কাদতে শুরু করলো আরশমান মেহরা কে ছেড়ে দিলো। ছাড়তেই মেহরা মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো চিৎকার করে বলে উঠলো,”আমি ভালো বাসতাম ওই মানুষটাকে কেনো কেনো এমন হলো?কেনো এমন নৃ শংসের মত
খু ন করা হলো ওকে?”

মেহরার চিৎকার আরশমানের বুকে তীরের ন্যায় গিয়ে বিধলো।আরশমান মেহরার সামনে হাঁটু ভাঁজ করে বসে মেহরা কে নিজের বুকে টেনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,”প্লিজ মেহরা থামুন।ওই মানুষটা কখনোই আপনাকে ভালো বাসেনি।দেশ দ্রো হী ছিলো ওই সাফওয়ান।”

মেহরা নিজের থেকেই আরশমাকে জাপটে ধরলো কাঁদতে কাঁদতে বলল,”কিন্তু আরশমান আমি তো ভালোবেসেছিলাম।এমন করে মা রলো কেনো আইনের হাতে তুলে দিতো।”

#চলবে

কোনো প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here