যেখানে_দিগন্ত_হারায় #পার্ট_৪১ জাওয়াদ জামী জামী

0
299

#যেখানে_দিগন্ত_হারায়
#পার্ট_৪১
জাওয়াদ জামী জামী

আজ সুধার জীবনের সবথেকে খুশির দিন। ও মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। তা-ও আবার ঢাকা মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে। ওর এতদিনের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে। স্বপ্ন পূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল মেয়েটা। ওদের সব আত্মীয়স্বজনরা ভিষণ খুশি সুধার এই অর্জনে খুব খুশি হয়েছে। এত আনন্দের মাঝেও সুধা কান্নাকাটি করছে। আম্মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হত। ওর এই অর্জন আম্মা দেখতে পেলোনা। এই আফসোস ওকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে আজীবন।

আরমান দুইদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকা এসেছে। সুধা কান্নাকাটি করছিল, বিধায় ওকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আসতে হয়েছে।

” দোস্ত, তুই একবার স্যারের কাছে ফোন দিয়ে দেখ। তাকে খুশির খবরটা দে। দেখবি সে ছুটে আসবে তোর কাছে। ” তৃষা ক্লাস শেষ করেই মাশিয়ার কাছে আসে। ওর সাথে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে বাসায় ফিরে যায়। মাশিয়ার শরীর দিনদিন খারাপ হচ্ছে। তাই ভার্সিটিতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধুদের কাছ থেকে নোট সংগ্রহ করে বাসাতেই পড়াশোনা করছে।

” জানিস তৃষা, আমার জন্য সে কতটা কষ্ট পেয়েছে? তাকে আমি কুকুর বলেছি। কেন জানিস? আমি তার সংসার বেরিয়ে আসতে গেলে, সে হাতজোড় করেছে, কেঁদেছে। কিন্তু তার চোখের পানি আমার মন গলাতে পারেনি। উল্টো আমি বিরক্ত হয়েছি। তাই তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করেছি। তাকে আঘাত দিয়েছি। তোর কি মনে হয়, এতকিছুর পরও সে আমাকে মেনে নিবে? ” মাশিয়া নির্বিকার চিত্তে বলল।

” তোকে যদি স্যার ভালোবেসে থাকে তবে নির্দিধায় মেনে নিবে। শুধু তুই একবার তার কাছে নত হ। সব ভুলে ফিরে যা তার কাছে। ”

” তার কাছে নত হতে আমার কোনও আপত্তি নেই, নেই কোন লজ্জাও। আমি শুধু নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাচ্ছি। যেদিন বুঝব আমার প্রায়শ্চিত্তের আর প্রয়োজন নেই তখনই তার কাছে ফিরে যাব। আর এরমধ্যে নিজেকে তার যোগ্য করে তুলব। ”

” কিন্তু স্যার যদি ততদিন তোর অপেক্ষায় না থেকে নতুনভাবে জীবন শুরু করে? কি করবি তখন? সইতে পাইবি সেই যাতনা? আমার কথা শোন, ফিরে যা দেরি হওয়ার আগেই। ”

” সে আমাকে ভিষণ ভালোবাসে। তার চোখে আমার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা দেখেছিলাম। তার সেই ভালোবাসাকেই পুঁজি করে আমি তার বিশ্বাস ভেঙ্গেছি। নিজের অহংবোধ বজায় রাখতে সেই ভালোবাসা পায়ে মাড়িয়েছি। চরম আঘাত দিয়েছি তাকে। তারপরও আমি জানি, তার ভালোবাসা শুধু আমার জন্যই। অন্য কাউকে সে নিজের সাথে কখনোই জড়াবেনা। ”

তৃষা আর কিছুই বললনা। ও বুঝতে পারছে মাশিয়া ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। শুধু ধরতে পারছেনা, মাশিয়ার ভয়টা কিসে।

মাশিয়া মলিন মুখে তাকিয়ে আছে তৃষার দিকে। ও কাউকেই বলতে পারেনা হৃদয়ের গহীনে জমাট বেঁধে থাকা ভয়ের কারন। কখনোই কাউকে বলতে পারবেনা, প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আরমানের সাথে নোংরা খেলায় মেতেছিল। আরমানের ভালোবাসাকে হাতিয়ার করে আরমানকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করেছে। সেই রাতে ও নিজ থেকেই ধরা দিয়েছিল আরমানের বাহুডোরে। কাউকে কখনোই বলতে পারবেনা এই গোপন কথাগুলো। ও জানে, ওর এমন ছলচাতুরীর ক্ষমা নেই আরমানের অভিধানে। তাই আরমানের মুখোমুখি হওয়ার সাহস হয়না কিছুতেই।

পেরিয়ে গেছে দেড়মাস । সুধার ক্লাস শুরু হয়েছে পুরোদমে। ও নিয়মিত ক্লাস করছে। গত কয়েকদিন ধরে সুধা লক্ষ্য করছে, একটা ছেলে ওকে ফলো করছে। ছেলেটা সব সময় সুধার আশেপাশে ঘুরঘুর করে। তাকে দেখে সিনিয়র বলেই মনে হয়। তবুও সুধার ভয় কাটেনা। সদ্য মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে ও। তাই আশেপাশের সবাই ওর অচেনা। সেই ছেলেটিও তাই।

ক্লাস শেষ করে কেবলই রুম থেকে বের হয়েছে মেয়েটা। এমন সময় সেই অচেনা ছেলে এসে সুধার পথরোধ করে। তাকে দেখে সুধা ভিষণ চমকায়। ছেলেটির গায়ে এ্যাপ্রোন হাতে ট্রেথোস্কোপ। লম্বা আর হালকাপাতলা গড়নের উজ্জ্বল শ্যামবর্নের ছেলেটির মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুল। ছেলেটিকে দেখামাত্রই সুধা মাথা নিচু করল।

” হ্যালো, আমি অনিক। আপনি বোধহয় নতুন ভর্তি হয়েছেন ? গত একমাস ধরে আপনাকে দেখছি। আপনার নামটা জানতে পারি? ”

সুধা আঁড়চোখে এদিকওদিক তাকিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে। কিন্তু সেই সুযোগ ওর হচ্ছেনা। এদিকে ছেলেটা ওর উত্তরের আশায় সুধার দিকে তাকিয়ে আছে।

” আ..আমি সুধা। আমাকে যেতে দিন। ”

সুধার কথা ঠিক বোধগম্য হয়না অনিক নামক ছেলেটির। সে মাথা চুলকে জিজ্ঞেস করল,

” আমি কি আপনার পথ আটকে রেখেছি? আর আপনার নাম কি শুধুই সুধা? আগেপিছে কিছুই নেই! ”

” আমি বাসায় যাব। পথ ছাড়ুন। ” এবার সুধা কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল।

” এই কি করছেন! কাঁদবেননা প্লিজ। আশেপাশের সবাই যদি আপনাকে কাঁদতে দেখে, তবে তারা ভাববে, আমি আপনাকে খারাপ কিছু বলেছি। মেডিকেলে আমার একটা রেপুটেশন আছে। ” ছেলেটা বেশ ভ্যাবাচেকা খেয়েছে। সে এদিকওদিক তাকিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই সুযোগে সুধা ওকে পাশ কাটিয়ে চলে গেছে। কিছুদূর গিয়ে মেয়েটা দৌড় দেয়।

” যাহ্ এভাবে চলে গেল কেন! আমিতো শুধু তার নাম জিজ্ঞেস করেছি! আজব! ”

” কি হে, আইনস্টাইন? এভাবে দাঁড়িয়ে আছ কেন, বাবা? কোথাও কি কারেন্টর শক খেয়েছ? ” পেছন থেকে আরেকটা ছেলে এসে অনিক নামক ছেলেটার কাঁধে হাত রাখল।

” আর বলিসনা, বন্ধু। তোকে একটা মেয়ের কথা বলেছিলামনা? তাকে আজ নাম জিজ্ঞেস করতেই কেঁদে ফেলার উপক্রম হলো। আমিতো ভয়ই পেয়েছিলাম। নাম জিজ্ঞেস করলে যে কেউ কাঁদে এটা আজ প্রথম দেখলাম। ”

” হুররর ব্যাটা। তোর নাম জিজ্ঞেস করায় মেয়েটা কাঁদেনি। কেঁদেছে তোর চেহারা দেখে। তোর এই ফিলিপসের মত বডি দেখে মেয়েটা নিশ্চয়ই ভয় খেয়েছে। আগেই বলেছি বেশি বেশি হরলিক্স খেয়ে বডি তৈরী কর। আমার কথা শুনলে আজ কোন মেয়ে তোকে দেখে কাঁদতনা। ”

” ইয়ার্কি করছিস, বন্ধু? আমি মরছি প্রেমের অনলে। কিন্তু আমাকে সাহায্য না করে অনলে ঘৃত ছিটিয়ে দিচ্ছিস! ”

” অবশেষে আমাদের নিউটন মোহাম্মদ টমাস আলভা এডিসন হোসেন আইনস্টাইন প্রেমে পড়েছে ভাবা যায়! তোর এই প্রেমে শুধু আমি কেন পুরো মেডিকেলের স্টাফ তোকে সাথে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে তোকে সাহায্য করতে আমরা মর্গ থেকে ডেড বডি আনব। ডেড বডির মিছলে ভরিয়ে ফেলব রাজপথ। ”

বন্ধুর এরূপ কথা শুনে অনিক চোখ সরু করে তার দিকে তাকায়। ও বুঝতে পারছেনা, ওকে সাহায্য করতে ডেড বডির মিছিল করতে হবে কেন?

বাসায় এসে সুধা অস্থির হয়ে পায়চারি করছে। ছেলেটাকে সে মেডিকেলে ভর্তি হবার পর থেকেই দেখছে। ছেলেটা বেশিরভাগ সময়ই ওর আশেপাশে ঘুরঘুর করে। সুধা আর পাঁচটা মেয়ের মত নয়। ও সব সময়ই ছেলেদের এড়িয়ে চলেছে। ছেলেদের সাথে কথা বলতে ওর অস্বস্তি লাগে। এক ধরনের ভয় কাজ করে। শশীর মত ও সাহসী নয়। চট করে কারো মুখের ওপর কথা বলতে পারেনা, কারো সাথে সহজে মিশতে পারেনা। আর ছেলেদের সাথে কথা বলাকে ও ঝামেলা মনে করে। আর সেই ঝামেলার মাঝেই ও ফেঁসেছে।

” আপু, কি হয়েছে তোমার? খরগোশের মত লাফাচ্ছ কেন! ” সুধাকে পায়চারী করতে দেখে শশী বলল।

” আমি লাফাচ্ছি! এই তোর খেয়েদেয়ে কাজ নেই? পড়াশোনা নেই? আমার হাঁটাকে তোর খরগোশের মত লাফানো মনে হচ্ছে? ফাজিল মেয়ে। পড়াশোনার বেলায় কোন খবর নেই। দিনদিন উচ্ছন্নে যাচ্ছে। ”

” লও ঠ্যালা। সামান্য একটা কথার রিয়্যাকশন কেউ এভাবে দেয়, সেটা তোমাকে না দেখলে বুঝতামনা। তোমার এভাবে কথা বলার কারণ বুঝতে একটু একটু পারছি। নিশ্চয়ই কোন ছেলে তোমার সাথে কথা বলতে এসেছিল? ছেলেদের দেখলেই তো তুমি গুটিয়ে যাও। তারা কথা বলতে চাইলে অস্থির হয়ে যাও। তুমি একটা ব্যাকডেটেড রমনী সেটা কি তুমি জানো? আরে বাবা, পুরুষ হলো প্রেমিকের জাত। তারা নারীদের দেখলে ইনিয়েবিনিয়ে কথা বলতেই চাইবে। তাদের কথায় মধু ঝরবে এটাই স্বাভাবিক। এতে অস্থির হওয়ার কি আছে! দুনিয়ার সব প্রেমিক পুরুষ কি তোমাকেই দেখে? আমি কি সুন্দরী নই! আমার সাথে কেউ কথা বলতে চাইলে আমি অন্তত তাকে হতাশ করবনা। ” শশী ঢং করে বলল।

” বেয়াদব মেয়ে, আজকেই যদি ভাইয়াকে এসব কথা বলেছি, তবে আমার নাম সুধা নয়। ও পড়াশোনা বাদ দিয়ে পুরুষ নিয়ে গবেষণা করছে! আসছে পুরুষ বিশেষজ্ঞ। যা ভাগ। রুমে গিয়ে বই নিয়ে বস। ” সুধার ধমক খেয়ে শশী অপ্রসন্ন বদনে রুমে গিয়ে বই হাতে নেয়।

আটমাসের প্রেগেন্সিতেই মাশিয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওর পুরো শরীর ফুলে গেছে। সেই।সাথে দেখা দিয়েছে রক্তশূন্যতা। সেই সাথে দেখা দিয়েছে, ইন্টারনাল কিছু প্রবলেম। চার দিন ধরে ও হসপিটালে এডমিট। ডক্টর জানিয়েছে, দুই-একদিনের মধ্যেই কয়েক ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যেই সি সেকশনে নিতে হবে।

হসপিটালের বেডে শুয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছে মাশিয়া। সার্বক্ষনিক ওর পাশে কেউ না কেউ থাকছে। তৃষা, মিতুল, জয় ওরা প্রতিদিনই আসছে। ওর সাথে দুই-চার ঘন্টা কাটাচ্ছে। ওকে সাহস দিচ্ছে সবাই।

সাতদিন না পেরোতেই মাশিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বাধ্য হয়ে ওকে সি সেকশনে নিতে হয়। কল্পনা মোর্তাজা আল্লাহকে ডাকছেন। তার বড় বোন, ছোট বোন সবাই এসেছে। মিরাজ মোর্তাজা ডক্টরের সাথে আছেন। তিনি মেয়েকে সুস্থ দেখতে চান। তাই দেশের নামকরা চিকিৎসক এনেছেন নিজের ক্লিনিকে। মাহিনও বাবার সাথেই আছে। তবে দোলন আসেনি ক্লিনিকে।

যথাসময়ে মাশিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। বাহিরে সবাই আল্লাহকে ডাকছেন। ডক্টর জানিয়েছে, মাশিয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। যখন-তখন খারাপ কিছু ঘটতে পারে। প্রায় আধাঘন্টা পর দু’জন সিস্টার কোলে করে দুইটা বেবি এনে দাঁড়ায় কল্পনা মোর্তাজার সামনে।

“ম্যাম, আপনার নাতনী। ”

অবাক হয়ে কল্পনা মোর্তাজা তাকালেন ফুটফুটে দুইটা পরীর দিকে। কাঁপাকাঁপা হাতে একজনকে কোলে নিলেন। আরেকজনকে নিলেন মিরাজ মোর্তাজা। কিন্তু কল্পনা মোর্তাজা তখনো ঘোর থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন স্বামীর দিকে। তার মনোভাব বুঝতে পারলেন মিরাজ মোর্তাজা। তিনি হাসলেন।

” আমি আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু তোমাদের বলিনি। এমনিতেই মাশিয়ার শরীর খারাপ ছিল। তার উপর টুইন বেবির কথা শুনলে তোমরা চিন্তা করতে। এছাড়া ডক্টরও জানিয়েছিল, মাশিয়ার কিছু কমপ্লিকেশন আছে। টুইন বেবি ধারন ক্ষমতা ওর নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমি এটা গোপন করে গেছি। ডক্টরও তোমাদের জানায়নি। তারা চিকিৎসা করে গেছে। ”

কল্পনা মোর্তাজা খুশিতে কেঁদে ফেললেন। তিনি সিস্টারকে জিজ্ঞেস করলেন,

” আমার মেয়ে কেমন আছে? ”

” খুব ভালো নেই। ব্লিডিং কন্ট্রোল হচ্ছেনা। তবে ডক্টররা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। আপনারা আল্লাহকে ডাকুন। ”

দুইবোন এসে কল্পনা মোর্তাজাকে ধরলেন। মাশিয়ার খবর শুনে তার মাথা ঘুরে উঠেছে। মাশিয়ার ছোট খালা মিরাজ মোর্তাজার কাছ থেকে বেবিকে নেয়। আরেকজন কল্পনা মোর্তাজার কাছ থেকে নিজের কোলে নেন। এরপর তারা কল্পনা মোর্তাজাকে নিয়ে কেবিনে যান।

গত কয়েকদিন থেকেই আরমানের খুব অস্থির অস্থির লাগছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন ওর গলা টিপে ধরে রেখেছে। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করতে পারছেনা। কয়েক রাত ওর নির্ঘুম কাটিয়েছে। আজ সকাল থেকেই ওর বেশি খারাপ লাগবে। একটা অজানা অনুভূতি ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। আজ সে কলেজেও যায়নি। সকাল থেকে কিচ্ছুটি মুখে দেয়নি। চিন্তায় শুধু ঘরবার করছে। যখন ধৈর্য্যে আর কুলালোনা তখন ফোন দেয় মিরাজ মোর্তাজার নম্বরে। কিন্তু ওকে হতাশ করে দিয়ে ফোন বন্ধ দেখায়। পরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এরপর ফোন দেয় কল্পনা মোর্তাজার নম্বরে। কিন্তু কল্পনা মোর্তাজার ফোন বেজেই চলল কেউ রিসিভ করলনা।

মিরাজ মোর্তাজার ব্যাটারিতে চার্য নেই তার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। তিনি ব্যস্ত মাশিয়াকে নিয়ে। কল্পনা মোর্তাজার ফোনও পার্সের ভেতর। তিনি ব্যাগ কেবিনে রেখে এসেছেন। আরমান জানতেও পারলনা তার অংশ দুনিয়ায় আসার আয়োজন করছে। অবশেষে তারা এসেই গেছে। দুনিয়ায় এসে যারা দেখতে পেলোনা বাবার মুখ। পেলোনা বাবার কোল।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here