অবাধ্য_পিছুটান #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_১৯

0
707

#অবাধ্য_পিছুটান
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_১৯

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

মেয়েটার কাটা হাত খানা ধরে বিচলিত কন্ঠে বলল,

-“কি হয়েছে দেখি।”

তুর্যের আকস্মিক স্পর্শে কিছুটা অপ্রস্তুত হলো পৃথা। সে নিজের হাতটা সরিয়ে নিতে চাইলো ছেলেটার হাত থেকে। আমতা আমতা করে বলল,

-“কিছু হয়নি।”

হাত নিয়ে পৃথার মোড়ামোড়িতে বিরক্ত হলো তুর্য। চোখ গরম করে সে তাকালো মেয়েটার পানে। চুপসে গেল পৃথা, আর নিজের হাত টানাটানি করলো না। তুর্য কিছুটা সময় নিয়ে বিচলিত ভঙ্গিতে পর্যবেক্ষণ করলো পৃথার হাতের আঙ্গুলটা। অতঃপর হুট করেই কিছু না বলে কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেল।

ক্ষানিক সময় অতিবাহিত হতেই আবার হন্তদন্ত হয়ে ফিরলো হাতে প্রাথমিক চিকিৎসার একটি বাক্স নিয়ে। পৃথার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,

-“হাতটা দাও তাড়াতাড়ি। ঔষধ লাগাতে হবে।”

পৃথা অবাক হলো। সামান্য একটুই তো কেটেছে। বেশি কাটার আগেই হাতটা সরিয়ে ফেলেছিল মেয়েটা। এই টুকু কাটায় আবার কি ঔষধ লাগাবে? তাছাড়া এসব ঔষধ পথ্যের পুরো বিপরীতে চলাচল পৃথার। এই ঔষধ নামক পদার্থটা দুই চোক্ষে সহ্য করতে পারে না। তার উপর এই ঔষধ কাটা স্থানে লাগলে জ্বলবে। পৃথা নিজের হাতটা দিলো না বরং আরও গুটিয়ে নিল। ঢোক গিলে বলল,

-“এসবের আবার কি প্রয়োজন? একটুই তো কেটেছে।”

তুর্য তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো পৃথার পানে অতঃপর নিজে থেকেই মেয়েটার হাতটা টেনে নিল নিজের দিকে। বাক্স থেকে ঔষধ বের করতে করতে বলল,

-“তা আমি বুঝে নেব। ছোট মানুষ তুমি, এত বুঝতে হবে না তোমাকে।”

তুর্য নিজ দায়িত্বে পৃথার হাতে ঔষধ লাগাতে শুরু করলো। সাথে সাথেই হাত জ্বলে উঠলো মেয়েটার। হাতটা একটু টেনে কন্ঠে ব্যথাতুর ধ্বনি তুলে বলল,

-“আহহহ লাগছে।”

তুর্য নিজের হাত থামিয়ে দিল। ঔষধ লাগানো বন্ধ চোখ তুলে তাকালো পৃথার পানে। মেয়েটা কেমন চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে, গোলাপীরাঙা নরম কোমল ওষ্ঠজোড়া কাঁপছে তিরতিরিয়ে। পৃথার ব্যথায় যেন ব্যথা পাচ্ছে তুর্যের হৃদয়। কষ্ট হচ্ছে ছেলেটার, বুকের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে চলছে ক্রমশ। তুর্য আর ভাবলো না। নিজের ব্যগ্রতা নিয়ে ওষ্ঠ গোল করে ফু দিতে শুরু করলো পৃথার হাতে। পিটপিট করে আঁখিদ্বয় মেলে তাকালো পৃথা। নিজের সম্মুখের পরিস্থিতি অবলোকনে আশ্চর্য হলো ভীষণ। গোল গোল চোখে সে তাকালো তুর্যের পানে। তুর্য আলতোভাবে পৃথার হাতে ফু দিচ্ছে আর ঔষধ লাগাচ্ছে। তুর্যের মুখ থেকে নিঃসৃত বায়ুর স্পর্শে যেন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েটার শরীরের প্রতিটি লোমকূপ। শিরদাঁড়া বেয়ে নামতে শুরু করেছে শীতল রক্তস্রোত। এ কেমন অনুভূতি? এ কেমন ভালো লাগা? হৃদয়টা যেন প্রশান্তিতে ছেয়ে যাচ্ছে পৃথার। সকল ব্যথা যেন সুখে পরিনত হচ্ছে এই মুহূর্তে। এমন কেন হচ্ছে? তবে তাদের এই সুখকর মুহূর্তটা বোধহয় সহ্য হলো না কারো। আরুশ এসে উঁকি দিল রান্নাঘরের দরজায়। মিহি কন্ঠে ডাকলো,

-“স্যার।”

আরুশের ডাকে ধ্যান ভাঙলো পৃথা এবং তুর্য উভয়েরই। হঠাৎ তুর্যের হাতে নিজের হাত থাকা অবস্থায় আরুশকে এভাবে দেখে অপ্রস্তুত হলো পৃথা। ছিটকে দূরে সরে গেল সে। তুর্য বিরক্ত হলো। দাঁতে দাঁত চেপে তাকালো আরুশের পানে।‌ কটমট করে বলল,

-“আসার আর সময় পেলি না বেয়াদব?”

ঢোক গিললো আরুশ। আমতা আমতা করে বলল,

-“আমি আপনাকে বিরক্ত করতে চাইনি স্যার‌। কিন্তু জরুরী একটা কথা ছিল তাই না এসেও পারলাম না।”

তুর্যের কপালে ভাঁজ পড়লো। হতে পারে আরুশ সত্যিই কোনো জরুরী কথা বলতে এসেছে। কালই তো গো’লা’গু’লি লাগলো। কিন্তু সেসব কথা তো আর পৃথার সামনে বলা যাবে না। তুর্য নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে বলল,

-“আমার রুমে অপেক্ষা কর। আসছি আমি।”

-“রুমে যেতে হবে না স্যার। এখানেই বলছি।”

তুর্যের কপালের ভাঁজ গাঢ় হলো। এখানে বলার মতো জরুরী কথা? তবে কি হতে পারে‌? থমথমে কন্ঠে তুর্য প্রশ্ন করলো,

-“কি কথা?”

এলোমেলো দৃষ্টি ফেললো আরুশ। আগ্রহী কন্ঠে বলল,

-“স্যার আমার খাবারটাও কি আপনি রান্না করবেন? নাকি আমি বাইরে খেয়ে নেব?”

তুর্যের মেজাজ বিগড়ালো ভীষণভাবে। এটা আরুশের জরুরী কথা? বউয়ের সাথে কত সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করছিলো, তার মধ্যে এই উদ্ভট জরুরী কথা বলতে এসেছে বেয়াদবটা? তুর্য ব্যস্ত হয়ে আশেপাশে তাকালো। হাতের কাছে একটা কাঠের খুন্তি পেয়ে তা তুলে নিল অতি দ্রুত। গভীর ক্রোধে সে খুন্তিটা ছুঁড়ে মারলো আরুশের পানে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

-“তোর তিন দিনের খাবার বন্ধ। ব্যাটা মীর জাফরের বংশধর।”

আরুশ দ্রুততার সাথে খুন্তিটা ক্যাচ ধরলো। বোকা বোকা কন্ঠে বলল,

-“তিন দিন আমি না খেয়ে কিভাবে থাকবো স্যার? শুকিয়ে শুঁটকি হয়ে যাবো।”

তুর্যের ক্রোধ এবার আকাশ ছোঁয়া। এই ছেলেটা যে বোকা নয় তা সে জানে। বোকা হলে তো আর তার সাথে কাজ করার সুযোগ পেত না। কিন্তু ছেলেটা তার সম্মুখে এলেই কেমন বোকা বোকা কথা বলে। তুর্য চেঁচিয়ে উঠলো। ধমকের সুরে বলল,

-“আমার চোখের সামনে থেকে দূর হ আহাম্মক। তোকে যেন আমি আমার চোখের সামনে না দেখি।”

তুর্যের ধমকে কেঁপে উঠলো আরুশ। দেরী না করে চট জলদি সে বেরিয়ে এলো তুর্যের ফ্ল্যাট থেকে। তুর্য এই মুহূর্তে যে পরিমাণ রেগে আছে তাতে তাকে কাঁচা চিবিয়েও খেয়ে ফেলতে পারে। জান বাঁচানো ফরজ। আগে নিজের প্রাণ বাঁচানো তারপর অন্য কিছু। অবশ্য আজকের মতো যতটুকু প্রতিশোধ নিয়েছে এতটুকুই যথেষ্ট। সব সময় তাকে শুধু মীর জাফরের বংশধর, মীর জাফরের বংশধর বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। এবার সেও মীর জাফরের বংশধরের মতোই তুর্যের প্রেমে ব্যাগড়া দিয়ে এসেছে। আহহ এতদিন পর একটু শান্তি লাগছে আরুশের প্রাণে।

আরুশ চলে যেতেই তুর্য আবার আগের রূপে ফিরে এলো। তবে এবার সে ঐ সবজি টবজি বাদ দিয়ে নামলো বিরিয়ানি রান্নার কর্মে। যে সবজির জন্য তার বউয়ের হাত কাটলো আজ সে সবজি সে খাবেই না। পৃথাকে আর কোনো কাজে হাত লাগাতে দিল না তুর্য। মেয়েটা আগ বাড়িয়ে কোনো কাজে হাত লাগাতে গেলেও ধমকে থামিয়ে দিল। হুংকার তুলে বলল,

-“হাত কেটে শান্তি হয়নি? এবার গলা কা’ট’তে চাইছো নাকি?”

তুর্যের এমন তর্জন গর্জনে আর কোনো কাজে হাত লাগালো না পৃথা। শুধুমাত্র উঁকিঝুঁকি মেরে বার কয়েক তাকালো বিরিয়ানি রান্নার পানে। তুর্য রান্নার কাজ সামলাতে সামলাতেই পৃথাকে বলল,

-“খিচুড়ি, বিরিয়ানি, গরুর মাংস, পায়েস এগুলো শিখে রেখো। আমার প্রিয় খাবার এগুলো।”

পৃথা ভ্রু কুঁচকালো। কপালে ভাঁজ ফেলে শুধালো,

-“আপনার প্রিয় খাবারের রান্না শিখে আমার কাজ কি?”

তুর্য ঠোঁট কামড়ে হাসলো। পৃথার পানে একটু ঝুঁকে বলল,

-“ভবিষ্যতে আমাকে রেঁধে খাওয়াবে। তোমার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য জ্বীহ্বা আমার উতলা হয়ে পড়েছে।”

পৃথা মুখ বাঁকিয়ে বলল,

-“ঐ উতলাই হবে শুধু খেতে আর পারবেন না।”

তুর্য হাসলো একটু খানি। পৃথার কথার জবাব দিন না আর। কিছুটা সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে রান্না শেষ করলো সে। অতঃপর একটা প্লেটে নিয়ে রান্নাঘরেই পৃথাকে বিরিয়ানি ধরিয়ে দিল। উদগ্রীব কন্ঠে বলল,

-“ঝটপট খেয়ে বলো তো কেমন হয়েছে।”

পৃথা নিজেও ভীষন উদগ্রীব হয়ে উঠেছিল তুর্যের রান্নার স্বাদ নেওয়ার জন্য।‌ সে মেয়ে হয়ে এখনও রান্না জানে না অথচ একটা ছেলে হয়ে তুর্য রান্নাতে পটু। ছেলেটা কেমন রান্না করে সে বিষয় আগ্রহ তো জাগবেই। পৃথা দেরী করলো না। ঝটপট হাত ধুয়ে হাত লাগালো বিরিয়ানিতে। এক লোকমা মুখে দিতেই চমকে গেল মেয়েটা। বাহ! দারুন স্বাদ তো। একদম রেস্টুরেন্টের মতো। পৃথা লাফিয়ে উঠলো। তুর্যকে বাহবা দিয়ে বলল,

-“আপনি এত ভালো রান্না করতে পারেন জানা ছিল না। আপনার ভবিষ্যৎ স্ত্রী নিশ্চই অনেক ভাগ্যবতী।”

তুর্য হতাশার নিঃশ্বাস ফেললো। বিরিবিরিয়ে বলল,

-“কিন্তু সেই ভাগ্যবতী নারীই তো আমার কাছে ধরাই দিতে চাইছে না।”

পৃথা শুনলো না তুর্যের বলা কথাগুলো। সে মনোযোগ দিল বিরিয়ানিতে। খেতে খেতে হঠাৎ মেয়েটার মনে পড়লো সময়ের কথা। সেই কখন সে এ বাড়িতে এসেছে। নিশ্চই বাড়ির মানুষ চিন্তা করছে। কিন্তু কল তো দিল না কেউ। নাকি দিয়েছে কিন্তু সে টের পায়নি। পৃথার চিন্তা হলো। এতক্ষন সে বাড়ির বাহিরে। বাবা, ভাইরা যদি আবার বকাবকি করে। মেয়েটা কোনো রকমে নাকে মুখে বিরিয়ানি শেষ করে উঠে দাঁড়ালো। হাত ধুয়ে তড়িঘড়ি করে তুর্যকে বলল,

-“আমি এখন আসি। অনেকক্ষণ বাসা থেকে এসেছি বাবা বকবেন।”

কথাটা বলেই ব্যস্ত পায়ে কক্ষ ত্যাগ করলো পৃথা।‌ তুর্যও এলো পিছু পিছু। মেয়েটা ততক্ষণে বসার কক্ষের সোফায় সোফা থেকে কাঁধ ব্যাগটা তুলে কাঁধে ঝুলিয়েছে। তুর্য ওষ্ঠ ফাঁকা করলো কিছু বলার জন্য। তবে তাকে থামিয়ে দিল পৃথা। “আসছি” বলে তড়িঘড়ি করে হাঁটা ধরলো দরজার দিকে। তবে দরজা পর্যন্ত যেতেই কি মনে করে থমকে দাঁড়ালো। পিছু ফিরে আমতা আমতা করে বলল,

-“তাড়াতাড়ি খেয়ে নিবেন।”

কন্ঠে তোলা বাক্যের সমাপ্তি ঘটিয়ে আর এক সেকেন্ডের জন্যও দাঁড়ালো না পৃথা। তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেল। তুর্যের ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠলো। যাক তার বউ অন্তত তার খবর রেখেছে। মনে রেখেছে তার খাওয়ার কথা। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি আর কি চাই?

২৩.
দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায়। আকাশের সূর্যটা হেলে পড়েছে এক কোনে। রক্তিম বর্ণ ধারন করে সে প্রায় ডুবু ডুবু। তুর্য ড্রইং রুমে বসে বসেই ল্যাপটপে কি যেন করছিলো। এর মধ্যেই কোথা থেকে হন্তদন্ত হয়ে হাজির হলো আরুশ। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,

-“স্যার সর্বনাশ হয়ে গেছে।”

তুর্য আরুশের পানে তাকালো না। ল্যাপটপের পানে দৃষ্টি রেখেই বলল,

-“দুপুরে তুই আমার যে সর্বনাশ করেছিস এর থেকে বেশি সর্বনাশ হয়েছে?”

আরুশ বিচক্ষণ ভঙ্গিতে মাথা নাড়লো। কন্ঠে জোর দিয়ে বলল,

-“আলবাত হয়েছে। সর্বনাশে সর্বনাশে বিধ্বংসী সর্বনাশ হয়ে গেছে স্যার।”

তুর্য ভ্রু কুঁচকে তাকালো আরুশের পানে। থমথমে কন্ঠে প্রশ্ন করলো,

-“কি হয়েছে?”

-“আপনার শ্বশুর কোনো এক শিয়ালের সাথে আপনার মুরগির বাচ্চার মতো বউয়ের বিয়ে ঠিক করেছে।”

তুর্য চমকালো, থমকালো। কি বলল আরূশ এটা! পৃথার অন্য কারো সাথে বিয়ে? যে মেয়েকে অন্যকারো সাথে সে কল্পনা পর্যন্ত করতে পারে না তার বিয়ে? তুর্যের বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠলো। সে ভেবেছিল পলাশ শিকদার বা পৃথার পরিবার তাকে মানবে না, ঝামেলা করবে কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত যাবে এ কথা সে কল্পনাও করেনি। তাছাড়া পৃথার সাথে তার তালাক হয়নি। তালাকহীনা একটা মেয়ের বিয়ে ঠিক কিভাবে হলো?তুর্যের চোয়াল শক্ত হলো। চোখ দুটো রক্তিম বর্ণ ধারন করলো মুহুর্তেই। হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে দাঁড়ালো সে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

-“কোন রাজাকারের এত সাহস আমার বউকে বিয়ে দিবে? আমি তুর্য চৌধুরী আজ এই মুহূর্তে আমার শ্বশুরের বিরুদ্ধে বউ মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিলাম।”

থামলো তুর্য। আবার বলল,

-“এবরের সংগ্রাম বউ পাওয়ার সংগ্রাম।
এবারের সংগ্রাম বউ মুক্তির সংগ্রাম।
বেহায়া যখন হয়েছি বেহায়া আরও হবো। তবুও বউকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। তোদের যার কাছে যা আছে তা নিয়েই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড় আরুশ।”

তুর্যের কথা শুনে আরুশ তড়িঘড়ি করে নিজের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকালো। দুই পকেট তন্ন তন্ন করে খুঁজে পকেটের পাতলা কাপড় বাইরে বের করে রাখলো। অসহায় কন্ঠে বলল,

-“আমার কাছে আপাতত কিছুই নেই স্যার।”

চলবে…..

__

NOTE : এই পর্বে আমি বেশ কিছু সংলাপ দিয়েছি শুধুমাত্র আপনাদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে। মুক্তিযুদ্ধের সংলাপ বিকৃত বা অবমাননার মানসিকতা নিয়ে আমি কোনো কাজ করিনি। তবুও আপনাদের কারো কোনো সমস্যা হলে বলবেন আমি তৎক্ষণাৎ সংশোধন করে দেব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here