তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________33

0
601

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________33
(বোনাস পর্ব)

নিদ্র ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচ তলায় নামলো । নিচ তলায় সোফার উপর বসে নিজের ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলছিল সালমা । নিদ্র গিয়ে সিঙ্গেল একটা সোফায় বসে পরলো । সালমা কথা শেষ করে ফোন কেটে দিলো । নিদ্র সোফার উপর দু’পা তুলে ফোনের দিকে তাকিয়ে সালমাকে বললো ।

:+কা-রো কি আসার কথা ছিল । চাচি আম্মা (নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে নিদ্রর দিকে তাকালো সালমা । এরপর একটা হাসি দিয়ে বললেন ।

:+আমার ভাইয়ের ছেলে গত কাল ডুবাই থেকে দেশে ফিরছে । তার’ই আসার কথা ছিল আজ । কিন্তু এখন আর আসবে না । আগামী কাল মিমের বিয়েতে আসবে ও । ওর বন্ধুর সাথে’ই মিমের বিয়ে দিচ্ছে ।(সালমা)

নিদ্র আর চোখে সালমাকে একবার দেখে বললো ।

:+তোমার ভাইয়ের ছেলের নাম কি ।(নিদ্র)

:+ওর নাম নিরব । তোমার সাথে তো কখনো দেখা হয়নি । এবার দেখা করিয়ে দেবো ।(সালমা)

:+ওকে । কিন্তু বাড়িতে যে কাওকে দেখছি না । এই সন্ধায় কোথায় গেলো সবাই ।(নিদ্র)

মোবাইল থেকে মাথা তুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে সালমাকে বললো নিদ্র । সালমা মুখে হাসি রেখে বললো ।

:+তৃপ্তি সজিব আর নীলা মিমদের বাড়িতে গেছে ।(সালমা)

:+বাহ । আমাকে একটা ডাকও দিলো না ।(নিদ্র)

:+তুমি ঘুমিয়ে ছিলে । তাই তোমাকে ডাক দেয়নি ।(সালমা)

:+ওহ ।(নিদ্র)

:+আমিও এখন ও বাড়িতে যাবো । তুমিও চলো ।(সালমা)

নিদ্র সোফা থেকে দারিয়ে বললো ।

:+দারাও আমি চেঞ্জ করে আসছি ।(নিদ্র)

:+এভাবেই তো ঠিক আছে । আবার চেঞ্জ করা লেগবে কেন ।(সালমা)

:+চাচি আম্মা । এই সন্ধায় ও বাড়িতে যাবো এভাবে ।(নিদ্র)

কপাল চুল্কাতে চুল্কাতে বললো নিদ্র । সালমা একটা হাসি দিয়ে বললো ।

:+সমস্য কি । তোমাকে এমনি তেই অনেক সুন্দর লাকছে । ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসো । আমি বাহিরে ওয়েট করছি ।(সালমা)

:+থ্যাংস ইউ চাচি আম্মা । আর একটু ওয়েট করো আমি এখুনি আসছি ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র নিজের রুমে চলে গেল । আর সালমা বাড়ির ভিতরে সব কিছুতে এক বার চোখ বুলিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো ।

:+মি মি মিম,,,হা হা হা,,,সা সা সামিয়া,,,হা হা হা,,, পি পি প্লিজ তোরা থাম,,, হা হা হা । আমি আ আ আর পা পা পাসছি না,,, হা হা হা । এ এ এবার কা কা কান্না করে দে দে দেবো কি কি কিন্তু ।(তৃপ্তি)

মিমের বেডের উপর গরা-গরি দিতে দিতে বলছে তৃপ্তি । হাত দু’টো তার পিছনে সামিয়ার ওলনা দিয়ে বাধা । কিন্তু মিম আর সামিয়া তৃপ্তির গায়ে শুর-শুড়ি দিয়েই যাচ্ছে । তারা তৃপ্তির কথা সুনছেই না । মিম বলছে ।

:+সালি তুই কান্না কর । আর যাই কর । আজ তোকে ছারা হচ্ছে না ।(মিম)

সামিয়া বলছে ।

:+আমরা একদিন কথা না বললে । কি করতি তুই মনে আছে । সেই যায়-গায় আজ প্রায় এক মাস হতে চললো আমাদের সাথে কথা বলিস নি তুই । নাম্বার দিয়েছিলাম তাও কল করিস’নি । তোকে কি করা উচিত ।(সামিয়া)

তৃপ্তির গায়ে শুর-শুড়ী দিতে দিতে বললো সামিয়া ।

:+পি পি প্লিজ সা সা সামিয়া থা থা থাম । আ আ আমার ক ক কথা সু সু সুন,,,হা হা হা ।তো তো তোদের,,, হা হা হা,,, না না নাম্বার,,,হা হা হা । আ আ আমি হা হারিয়ে,,,হা হা হা,,, ফে ফে ফেলে ছি ছিলাম ।(তৃপ্তি)

এবার সামিয়া আর মিম থামলো । হাফাতে হাফাতে তৃপ্তির পাসেই সুয়ে পরলো তারা । ঘামে পুরো ভিজে গিয়েছে তিনো জনের শরীর । তৃপ্তি জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে । হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি পরতে সুরু করছে তার । কিন্তু সেদিকে কোন খেয়াল ছিলনা মিম আর সামিয়ার । মিম বেড থেকে নেমে রুমের ফেন’টা ফুল ইস্প্রিডে ছেরে আবার তৃপ্তির পাসে এসে শুয়ে পরলো । তৃপ্তি এখনো হাফাচ্ছে । সামিয়া চুপচাপ তৃপ্তির পাসে চোখ বুঝে সুয়ে আছে । হঠাৎ মিমের কিছু একটা মনে পরলো । মনে পরতেই তার আবার মন খারাপ হয়ে গেল । তবুও নিজেকে ঠিক রেখে সে তৃপ্তিকে বললো ।

:+তৃপ্তি,,,,,।(মিম)

:+সর সালি কথা বলবি না ।(তৃপ্তি)

ঝাড়ি মেরে বললো তৃপ্তি । কিন্তু মিম দোমে গেলো না । সে তৃপ্তিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো ।

:+আমার একটা কথা যানার আছে বলবি প্লিজ ।(মিম)

তৃপ্তি অবাক হয়ে মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কি কথা ।(তৃপ্তি)

:+তো তো তোর নি নি নিদ্র ভা ভা ভাইয়া কি কি কি আ আ আসছে তো তো তোর সা সা সাথে ।(মিম)

বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল মিমের । এবার সামিয়া চোখ খুলে উঠে বসে মিমের দিকে তাকালো । কিন্তু তৃপ্তি চট করেই উওর দিলো ।

:+ওই শয়তান আবার আসবে না । আমাকে তো ওই শয়তান’ই নিয়ে আসছে ।(তৃপ্তি)

সামিয়া মিমের উদ্দেশ্য বললো ।

:+মিম তুই,,,,,,,,,,।(সামিয়া)

মিম সামিয়াকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিলো । এরপর বড় একটা ঢোক গিলে নিজের শান্ত করে বললো ।

:+সামিয়া আমি আর তাকে আগের মতো চাই না । কিন্তু শেষ বারের মতো তাকে একবার দেখতে চাই । সুধু একবার । তার কাছ থেকে সুধু শেষ বারের মতো যানতে চাইবো কে সেই মেয়ে । যার জন্য সে আমাকে রিজেক্ট করলো । কি খামতি ছিল আমার মাঝে ।(মিম)

:+তুই কি বলছিস বেস্টু । কাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাস ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে মিম তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে ঠুকরে কেদে উঠলো । কান্না’টা যেন হওয়ারই ছিল কিন্তু বুক ফেটে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে না ।

:+কাওকে না বেস্টু । কাওকে না ।(মিম)

তৃপ্তি সামিয়ার উদ্দেশ্য বললো ।

:+সামিয়া আমার হাত খুলে’দে না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা মতো সামিয়া তৃপ্তির হাতের বাধন খুলে দিলো । তৃপ্তি মিমকে দু’হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+তোর কি হয়েছে বল তো বেস্টু ।(তৃপ্তি)

মিম কান্না থামিয়ে চোখের পানি মুছে তৃপ্তির থেকে নিজেকে আলগা করে বললো ।

:+আমার কিছু হয়নি । তোদের ছেরে চলে যাবো তাই মন’টা খারাপ লাকছে ।(মিম)

:+না কিছু তো একটা হয়েছে । তুই বলে ছিলি । তুই অনেক দুর প্রজন্ত পড়া লেখা করবি । কিন্তু এখন তুই বিয়ে করে ফেলছিস ।(তৃপ্তি)

:+এটা সমস্য না বেস্টু । বিয়ের পরও আমার স্বামী আমাকে পড়াবে বলছে ।(মিম)

চোখের পানি মুছে বললো মিম । হঠাৎ করে মিমি দরজা খুলে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো সাথে নীলাও ।

:+হয়েছে আপনাদের কাতু-কুতু খেলা ।(মিমি)

এই বলে হাসতে হাসতে মিমের বেডের পাসে এসে বসলো মিমি । নীলা দারিয়ে রইলো । সামিয়া আর মিম নীলার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো । মিম বললো ।

:+এটা কে মিমি ।(মিম)

:+আমি বলছি ।(তৃপ্তি)

এটা বলে তৃপ্তি বেড থেকে নেমে নীলার হাত ধরে মিমের বেডের পাসে নীলাকে বসিয়ে বললো ।

:+ইনি হচ্ছেন নীলা আপু । ঢাকা থেকে আমার সাথে এসছে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে নীলা তৃপ্তির দিকে চোখ পাকি বললো ।

:+আমি তোর কি হই ।(নীলা)

:+ওহ আমার ফ্রেন্ডও হন উনি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে মিম আর সামিয়া বললো ।

:+ওওওওও ।(মিম আর সামিয়া)

:+আর আপু । এই হচ্ছে আমার কলিজার বেস্টু । মিম আর সামিয়া ।(তৃপ্তি)

দু’হাত দিয়ে মিম আর সামিয়ার গলা জরিয়ে ধরে বললো তৃপ্তি । নীলা বললো ।

:+আর বলতে হবে না । আমি দেখেই বুঝে গেছি ।(নীলা)

মিম নীলার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো ।

:+কাওকে দেখেই কি সব বুঝা যায় ।(মিম)

:+না বুঝা যায় না । কিন্তু তোমাদের দেখে আমি বুঝে গেছি । কারন এ প্রজন্ত হাজার বার তোমাদের নাম তৃপ্তির মুখে সুনেছি ।(নীলা)

এটা সুনে মিম আর সামিয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠলো ।

:+তাহলে আমাদের কথা মনে রেখেছে । আমরা তো ভেবে ছিলাম, ঢাকা গিয়ে আমাদের ভুলেই গেছে ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথা সুনে নীলা সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তোমাদের ভুলবে কে,,,ও । আমার হাসি পাচ্ছে এ কথা সুনে । আমি যত বার ওর কাছে আসতাম । ততবার ও তোমাদের কথা নিয়ে গল্প ঝুরে দিতো । আর পরসু তো ও কান্নাই করে দিয়েছিল প্রায় । আমি,,,,,।(নীলা)

নীলাকে থামিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+আপু প্লিজ থামো ।(তৃপ্তি)

মিম আর সামিয়া তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে কেদে উঠলো ।

:+আরে আরে কি করছিস তোরা । প্লিজ কাদিস না আমার ভালো লাকছে না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে মিম আর সামিয়া নিজেদের শান্ত করলো । মিম বললো ।

:+আচ্ছা বেস্টু তারপর বল । এই কয়দিন ঢাকা তোর দিন কেমন কাটলো ।(মিম)

সুরু হয়ে গেলো তৃপ্তির মুখের গল্প । ঢাকা তার দিন কি ভাবে কেটেছে ।

————————————–

সন্ধার পর থেকেই সুরু হয়ে গেছে সাজ গোছ, হৈ হুল্লোড় । বাড়ির উঠানে গা হলুদের পেন্ডেন খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে । নিদ্র সালমার সাথে এসেছে অনেক খন হয়ে গেছে । উঠানের এক কোনায় সজিবকে কোলে নিয়ে চেয়ারে বসে আছে নিদ্র । ঠিক বসে আছে না । তারা ফোনে তামিল মুভি দেখছে । অপর পাসে গালে হাত দিয়ে নিদ্রর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিমের দুই কাজিন । তাদের মন চাচ্ছে নিদ্রকে এখনি গিলে খেতে ।

:+একটা মানুষ এতো’টা কিউট হয় কি করে ।(মিমের ফুফাতো বোন লামিয়া)

:+আমি তো ফিট বোইন ।(মিমের খালাতো বোন সনিয়া)

বুকে হাত দিয়ে লামিয়ার গায়ে ঢুলে পরে বললো সনিয়া ।

:+আসতে আসতে আমিও কিন্তু আছি ।(মিমের ছোট খালাতো বোন সিমা)

:+তুই আছিস তো কি হয়েছে । তুই এখনো ছোট । যা ভাগ এখান থেকে ।(সনিয়া)

কপট রাগ দেখিয়ে বললো সনিয়া । সিমা মন খারাপ করে বললো ।

:+হুম যাচ্ছি ।(সিমা)

এই বলে সিমা ওখান থেকে উঠে চলে আসলো মিমের রুমে । মিমকে সাজাচ্ছে নীলা আর মিমের ফুফাতো বড় বোন ইকরা । মিমের আরো কিছু কাজিন আছে তারা মিমের বেডের উপর বসে আছে । তৃপ্তি আর সামিয়া এক পাসে বসে তাদের মতো কথা বলছে । সিমা এসে বেডের উপর মিমের মেঝো চাচার মেয়ের গায়ে উপর ঢলে পড়ে বললো ।

:+ক্রাশ খাইছিরে বোইন সাথী ।(সিমা)

সিমার কথা সুনে সিমার দিকে তাকালো সবাই । ইকরা বললো ।

:+এসব কি কথা সিমা । এখানে তোর বড় আমরা আছি ।(ইকরা)

সিমা সাথীর গায়ের উপর থেকে উঠে বসে বললো ।

:+আরে আপু সুন না । ছেলে’টা না সেই রকম দেখতে । তুমি দেখলে তুমিও ছেলেটার উপর ফিট হইয়া যাবা ।(সিমা)

:+সিমা এবার কিছু বেসি হয়ে যাচ্ছে ।(ইকরা)

সিমা এবার রাগ দেখিয়ে বললো ।

:+হ আমি তো বেসি করি । আর তোমার ছোট বোন লামিয়া যে ওখানে বসে ছেলে’টার দিকে হা করে তাকিয়ে তাকিয়ে ঢোক গিলছে ।(সিমা)

:+কিহহহহ ।(ইকরা)

:+হ্যাঁ,,,হ্যাঁ,,,,হ্যাঁ,,,,।(সিমা)

:+চল তো দেখি ছেলে’টা কে ।(ইকরা)

:+আমরাও দেখবো ।(মিমের চাচাতো বোন’রা)

ইকরা নীলার উদ্দেশ্য বললো ।

:+আপু আপনি একটু মিমকে দেখুন আমি এখুনি আসছি ।(ইকরা)

এই বলে ইকরা সিমা আর মিমের চাচাতো বোন’রা মিমের রুম থেকে বেরিয়ে আসলো ।

:+ছেলে’টা কে হবে বলে তোর ধরনা মিম ।(সামিয়া)

এতোখন প্রজন্ত তৃপ্তি সামিয়া মিম নীলা এদের কথা চুপচাপ সুনছিল । এরা সবাই রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই সামিয়া এই কথা বললো । সামিয়ার কথা সুনে মিম বললো ।

:+আমি যা ধারনা করছি তুইও কি তাই ধারনা করছিস ।(মিম)

সামিয়া গালে হাত দিয়ে বললো ।

:+হুমমম । তবে এবার বাহিরে গিয়ে দেখতে হবে সেই কিনা ।(সামিয়া)

:+তুই গিয়ে দেখে আয় যা ।(মিম)

:+ঠিক আছে আমি দেখে আসছি ।(সামিয়া)

এই বলে বসা থেকে উঠে দারালো সামিয়া ।

:+আমিও যাবো তোর সাথে ।(তৃপ্তি)

:+না তোর যাওয়ার দরকার নেই । তুই এখানে বসে থাক ।(সামিয়া)

:+ওকে তাড়াতাড়ি আয় ।(তৃপ্তি)

সামিয়াও মিমের রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নীলা কিছু বুঝতে না পেরে মিমকে বললো ।

:+এ’নি প্রবলেম মিম ।(নীলা)

:+না আপু তুমি সাজাও ।(মিম)

মিমের কথা সুনে নীলা আর কিছু বললো না । সে চুপচাপ মিমকে সাজাতে লাগলো । আর বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে লাগলো । সামিয়া বাহিরে এসে দেখলো মিমের সব কাজিন’রা নিদ্রর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । নিদ্রকে দেখে সামিয়ার ধারনা সঠিকে প্রমানিত হলো । সামিয়া আর নিদ্রর দিকে তাকিয়ে না থেকে মিমের কাজিন দের কাছে গেল । মিমের কাজিন মোহলে সবার বড় ইকরা । সামিয়া ইকরার কাছে গিয়ে দারিয়ে বললো ।

:+আপু আপনিও এখানে দারিয়ে আছেন । আর ওদিকে যে লেট হয়ে যাচ্ছে ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথায় হুস ফিরে ইকরার । হুস ফিরতেই লজ্জা বোধ করে সে । কাজিন মোহলে সবার বড় হয়ে এভাবে একটা ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকা সত্যি লজ্জার বিষয় । তবুও ইকরা নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তুমি যাও,,,, আমি আসছি ।(ইকরা)

সামিয়া আর কথা বারালো না । সে চুপচাপ সেখান থেকে মিমের রুমে চলে আসলো । মিমের রুমে এসে সামিয়া সোজা মিমের কাছে গিয়ে মিমের কানে কানে বললো ।

:+যা ভেবে ছিলাম সে-টাই ঠিক । নিদ্র ভাইয়া এসছে ।(সামিয়া)

সামিয়ার ফুস ফুসানি দেখে নীলা এবার বললো ।

:+এই তোমরা কি ফিস ফিস করছো সেই কখন থেকে । আমাকেও একটু বলো আমিও সুনি ।(নীলা)

সামিয়া সোজা হয়ে দারিয়ে বললো ।

:+না আপু তেমন কিছু না । মিমের কাজিন’রা যে ভাবে বাহিরে ছেলে’টার দিকে তাকিয়ে আছে । মনে হচ্ছে কাচা চিবিয়ে খাবে ।(সামিয়া)

:+ওহ । তা ছেলে’টা কে চিন তুমি ।(নীলা)

সামিয়া তৃপ্তির দিকে একবার আবার নীলার দিকে একবার তাকিয়ে বললো ।

:+চিনবো না কেন । উনি তো নিদ্র ভাইয়া । তৃপ্তির বড় চাচুর ছেলে ।(সামিয়া)

এটা সুনে তৃপ্তি এক লাফে বসা থেকে দারিয়ে বললো ।

:+কিহহ । ভাইয়া এখানে আসছে ।(তৃপ্তি)

সামিয়া অবাক হয়ে বললো ।

:+হ্যাঁ,,,কেন ।(সামিয়া)

:+আমি তো ভেবে ছিলাম আসবে না ।(তৃপ্তি)

নীলা মনে মনে বললো ।

:+লাইলি এখানে মজনু আবার না এসে থাকবে নাকি ।(নীলা)

মনে মনে বললো নীলা । মিম নীলাকে বললো ।

:+আপু লেট হচ্ছে তাড়াতাড়ি করুন । আম্মু আবার বকা দিবে ।(মিম)

সামিয়া অবাক হয়ে মিমের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির পাসে বসে পরলো । মিমের সাভাবিক আচরন সামিয়া মানতে পারছে না । অতপর মিমের সাজ শেষ হলো । গায়ে হলুদের স্টেজে উঠানো হলো তাকে । স্টেজে উঠেই মিমের চোখ উঠানের কোনে নিদ্রর উপর পরলো । দেখলো নিদ্র তার দিকে তাকিয়ে আছে । মিম মিষ্টি একটা হাসি দিলো । নিদ্রও মিমের হাসির পরিবর্তে মিমকে হাতের ইসারায় বুঝিয়ে দিলো । বিউটিফুল লাকছে তাকে । মিম মুখে হাসি রেখে স্টেজে রাখা সোফায় বসে পরলো । বুকের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে মিমের । এক তরফা ভালোবাসা কেন এতো কষ্ট দেয় ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here