তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________27

0
669

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________27

তৃপ্তিকে কোলে তুলে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো নিদ্র । লিফট থেকে নেমে তৃপ্তির দু’চোখের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির রুমের দিকে হাটা ধরলো সে । তৃপ্তি চোখ দু’টো বন্ধ থাকায় নিদ্রর বুকে চিন চিন বেথ্যা হচ্ছে । নিকাবের উপর দিয়ে তৃপ্তির সারা মুখে চুমু খেতে খেতে হেটে যাচ্ছে নিদ্র । আর মনে মনে বলেছে ।”চোখ খোল জান আমার “। আমেনা নিজের রুমে এসে ছিলেন ফরহাদকে কল করবে বলে । আজকে নিদ্রর রাগ’টা তিনি মেনে নিতে পারছেন না । ফরহাদের সাথে কথা শেষ করে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন আমেনা । রুম থেকে বেরিয়ে “থ” হয়ে দারিয়ে গেল তিনি । এটা কি দেখছেন তিনি । নিদ্র তৃপ্তিকে কোলে তুলে তৃপ্তির সারা মুখে চুমু খেতে খেতে হেটে আসছে । আর তৃপ্তির চোখ দু’টো বন্ধ । নিদ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে আরো বেস অবাক হলেন আমেনা । দেখলেন ছেলের চোখ দিয়ে টুপ টুপ করে পানি পরছে । আমেনাকে প্রতাখান করে আমেনার সামনে দিয়ে নিদ্র তৃপ্তিকে কোলে নিয়ে হেটে চলে যাওয়ার সময় আমেনা বলে উঠলো ।

:+নিদ্র এসব কি হচ্ছে । তুই ওকে এভাবে কোলে নিয়েছিস কেন । আর এসব কি করছিস তুই,,, ছিঃ,, । ও না তোর চাচা তো বোন হয় । আর ও এভাবে চোখ বন্ধ করে আছে কেন ।(আমেনা)

আমেনার কথা সুনে দারিয়ে গেল নিদ্র । তৃপ্তিকে আরো শক্ত করে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো সে । গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো নিদ্র ।

:+MOM… ও আমার বোন নয় । ও আমার বৌ । তোমার এক মাত্র ছেলের বৌ ।(নিদ্র)

বলেই কাপা কাপা ঠোঁটে তৃপ্তির কপালে একটা চুমু খেলো নিদ্র । আমেনা চোখ বড় বড় করে নিদ্রর দিকে তাকালো । তিনি যেন নিজের কান আর চোখে এসব দেখে বিশ্বাস করতে পারছেন না । আমেনা কঠিন গলায় বললো ।

:+এসব তুই কি বলছিস,,,, নিদ্র ।(আমেনা)

:+আমি ঠিকই বলছি MOM…গত ১ বছর ধরে,,,,,।(নিদ্র)

বলতে গিয়েও থেমে গেল নিদ্র । আমেনা নিদ্রর দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো ।

:+গত ১ বছর ধরে মানে । গত ১বছর ধরে কি । থেমে গেলি কেন ।(আমেনা)

:+না কিছু না ।(নিদ্র)

:+দেখ নিদ্র এটা কোন দিনও সম্ভব নয় । তোর আব্বু বা তোর চাচা এটা কোন দিনই মেনে নেবেন না । কারন তৃপ্তি তোর চাচা তো বোন,,,,,।(আমেনা)

আমেনা আর কিছু বলার আগে নিদ্র চিৎকার করে বলে উঠলো ।

:+যাস্ট স্টপ,,,, MOM…আমি একবার যেহেতু বলে দিয়েছি ও আমার বৌ । সেহেতু ও আমার বৌ’ই হবে । এখানে কেও বাধা দিতে আসলে আমি কারো বাধাই মানব না । আমার জানের দিকে যে নজর দিবে আমি তার চোখ তুলে ফেলবো ।(নিদ্র)

নিদ্র চিৎকারে কেপে উঠলো আমেনা । চোখে তার পানি টল মল করতে সুরু করছে । নিদ্র যতই রাগ করুম না কেন আমেনাকে কখনো ধমক দিয়ে কথা বলেনি নিদ্র ।

:+নি,,,নিদ্র তু,,,তুই আমাকে,,,,,,,।(আমেনা)

আমেনাকে থামিয়ে নিদ্র আবার কাঠ কাঠ গলায় বললো ।

:+আপাদত এই বেপারে তুমি কাওকে কিছু বলো না MOM…আমি ওকে আমার নিজের মতো করে গরে তুলবো । তারপর যা করার আমিই করবো ।(নিদ্র)

দু’পা সামনে এগিয়ে গিয়ে বলে নিদ্র ।

:+নিদ্র,,,,,,,,,।(আমেনা)

পিছন থেকে বলে উঠলো আমেনা । নিদ্র আবার দারিয়ে কঠিন গলায় বললো ।

:+আমি যা বলছি তাই করো MOM…নাহলে তুমি তোমার ছেলেকে হারাবে ।(নিদ্র)

এই বলে আর এক মূহুর্তে সেখানে দারিয়ে না থেকে তৃপ্তির রুমের দিকে হাটা ধরলো নিদ্র । নিদ্রর কথা সুনে দু’পা পিছিয়ে গেলেন আমেনা । দেয়ালের সাথে গিয়ে ঠেকলো তার পিঠ । ধিরে ধিরে দেয়াল ঘেঁষে বসে পরলেন তিনি ফ্লোরে । দুই চোখ দিয়ে পানি পরতে সুরু করলো । মুখে হাত দিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলেন আমেনা । ছেলের এমন কথা সুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছেন না তিনি । আজ এমন ব্যাবহার ছেলের থেকে আসা করেন নি আমেনা । নিদ্র তো কখনো তার সাথে এমন ব্যাবহার করেনি । তবে আজ কেন এমন করলো । শান্ত ভাবে কি বলা যেতো না । “MOM… আমি তৃপ্তিকে ভালোবাসি । আমি ওকে ছারা থাকতে পারবো না”। নিদ্রর শেষ কথা সুধু বার বার কানে বাজতে লাগলো আমেনার ।”নাহলে তুমি তোমার ছেলেকে হারাবে “। শাড়ির আচল দিয়ে চোখের পানি মুছে উঠে দারালো আমেনা । আর মনে মনে বললো ।

:+যাই হয়ে যাক । আমি আমার ছেলেকে হারাতে পারবো না । ওর যেহেতু তৃপ্তিকে পছন্দ হয়েছে । সেহেতু তৃপ্তিই ওর বৌ হবে । এই বেপারে আমি আর কিছু বলবো না । ওর যা ইচ্ছে ও করুক । কিন্তু ওর আব্বু আর চাচা মেনে নেবে তো ।(আমেনা)

নিদ্র তৃপ্তির রুমে এসে তৃপ্তিকে কোল থেকে বেডের উপর সুয়িয়ে দিলো । এরপর আসতে করে মুখের উপর থেকে নিকাব’টা সরাতেই দুই পা পিছিয়ে গেল নিদ্র । বাম গালে সজোরে চড় পরায় গাল’টা ফুলে টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে তৃপ্তির । পরিমান থেকে অনেক’টা ফুলে গেছে গাল’টা । পাঁচ আঙুলের ছাপ পরে আছে তাতে । স্পস্ট তা বোঝা যাচ্ছে । ঠোটের কোন বেয়ে রক্ত এসে থুতনিতে থেমেছে । জমাট বেঁধে গেছে রক্তের কনা গুলো । নিদ্র চিৎকার করে উঠলো ।

:+MO….MO…MOOOOOOOOOOOOOOOM।(নিদ্র)

আমেনা চোখের পানি মুছে নিচে যাবার জন্য পা বারাতেই নিদ্রর চিৎকার সুনতে পেলেন তিনি । তৃপ্তির রুমের দরজা খোলা থাকায় তিনি চিৎকার’টা সুনতে পান । তরিঘরি করে তৃপ্তি রুমে আসেন আমেনা । আমেনা তৃপ্তির রুমে এসে দেখলো, নিদ্র তৃপ্তি মাথা কোলে নিয়ে বসে পাগলের মতো ব্যাবহার করছে ।

:+চোখ খোল জান আমার । প্লিজ চোখ খোল । এই প্রমিজ করছি । কান ধরছি,, আর কখনো তোকে মারবো না । প্লিজ চোখ খোল । খোল না চোওওওওখ । আমি ডাকছি যে সুনতে পারছিস না নাকি ।(নিদ্র)

চিৎকার দিয়ে উঠে নিদ্র । কেপে উঠে আমেনা । এক দিষ্টতে ছেলের দিকে খানিক খন তাকিয়ে থাকেন । এরপর তৃৃপ্তির দিকে চোখ যেতেই আতংকে উঠেন তিনি । তাড়াতাড়ি তৃপ্তির বেডের পাসে এসে বসলেন আমেনা ।

:+নিদ্র এসব কি করে হলো । ওর এমন অবস্থা করলো কে ।(আমেনা)

:+আ, আ, আমি ক, ক, করছি MO..MOM ।(নিদ্র)

ভাঙা গলায় বলে নিদ্র । আমেনা তৃপ্তির হাত নিজের কাছে এনে হাতের পালস চেক করেন ।

:+এটা তুই কি করলি । ও তো অঙ্গেন হয়ে গেছে । কি করে হলো এসব । কি করেছিস তুই মেয়েটার সাথে ।(আমেনা)

:+আ, আ, আমি,,,,,,,,,,,।(নিদ্র)

এরপর নিদ্র আমেনাকে সব বললো । সব সুনে আমেনা ঠাস করে একটা চড় মারলো নিদ্রর গালে ।

:+সুধু একটা ভিডিওর জন্য তুই মেয়ে’টাকে এভাবে মারলি ।(আমেনা)

নিদ্র মাথা নিচু করে গালে হাত দিয়ে বললো ।

:+কমেন্ট গুলো দেখার পরে । আমার মাথা ঠিক ছিল না MOM । নিজের রাগকে আর কন্ট্রোল করতে পারিনি । কি থেকে কি করে ফেলছি আমি নিজেও যানি না ।(নিদ্র)

আমেনা কোন কথা না বলে রাগ দেখিয়ে সেখান থেকে উঠে চলে যান । নিদ্র তৃপ্তির মাথা কোলে নিয়ে বসে বসে চোখের পানি ফেলতে লাগলো । কিছু সময় পর আমেনা একটা কাগজের টুকরো নিয়ে নিদ্রর সামনে এসে দারালো ।

:+যা,,,, তাড়াতাড়ি গিয়ে এই ইনজেকশন’টা নিয়ে আয় ।(আমেনা)

নিদ্রর দিকে কাগজের টুকরো’টা এগিয়ে দিয়ে বললো আমেনা । নিদ্র তৃপ্তির মাথা কোল থেকে বালিসে রেখে কোন কথা না বলে তাড়াতাড়ি আমেনার হাত থেকে কাগজের টুকরো নিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । আমেনা ছেলের যাওয়ার দিকে খানিক খন তাকিয়ে থাকলেন । এরপর তৃপ্তির গায়ের বোরকা, নিকার, হিজার খুলতে বেস্ত হয়ে পরেন তিনি । মোট কথা তৃপ্তিকে ফ্রেশ করতে উঠে পরেন আমেনা । আমেনা একজন নার্স ছিলেন । এক দিন ফরহাদের আব্বু অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তার পরিবার তাকে একটা হসপিটালে নিয়ে যান । সেই হসপিটালের একজন নার্স হিসেবে কাজ করছিলেন আমেনা । ফরহাদ আমেনাকে সেখানে দেখে পছন্দ হয়ে যায় । তারপর ফরহাদের আব্বু সুস্থ হবার পর। ফরহাদ তার আব্বুকে বলে আমেনার কথা । ফরহাদের কথা মতো ফরহাদের আব্বু আমেনার পরিবারের সাথে কথা বলেন । তারপর আমেনাকে বিয়ে করে নিয়ে আসেন ফরহাদ । বিয়ের পর আর আমেনাকে কোন হসপিটালে জব করতে দেন নি ফরহাদ । বিয়ের পাঁচ বছর পর ফরহাদের আব্বু মারা যান । তৃপ্তিকে ফ্রেশ করে তৃপ্তির মাথার পাসে বসে তৃপ্তির মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন আমেনা । কিছু সময় পর নিদ্র হাতে ইনজেকশন নিয়ে দৌড়ে তৃপ্তির রুমে ঢুকলো ।

:+MOM…… ইনজেকশন ।(নিদ্র)

হাফাতে হাফাতে ইনজেকশন’টা হাত বারিয়ে ধরলো নিদ্র আমেনার দিকে । আমেনা ছেলের দিকে তাকালেন । ঘেমে পুরো শরীর ভিজে গেছে নিদ্র । কপাল থেকে ঘাম টুপ টুপ করে পরছে । আমেনা নিদ্রর হাত থেকে ইনজেকশন নিয়ে নিলো । এরপর ইনজেকশন’টা একবার দেখে ঔষধ সিরিজে নিয়ে তৃপ্তির হাত পুস করে দিলেন ।

:+MOM…..ওর কিছু হবে না তো ।(নিদ্র)

:+এখন তুই এখান থেকে যা । আর ওর ধরে কাছেও এখন আর আসবি না তুই ।(আমেনা)

ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে আমেনা । নিদ্র চোখ নামিয়ে নেয় আমেনার থেকে । গলা খাদে নামিয়ে নিদ্র বললো ।

:+প্লিজ MOM… একবার বলো ও ঠিক হয়ে যেবে তো ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,, এখন ঠিক হয়ে যাবে । ১ ঘন্টা পর ঙ্গেন ফিরবে । এবার তুই এখান থেকে বের হ ।(আমেনা)

:+MOM…..।(নিদ্র)

:+আবার কি ।(আমেনা)

কাঠ কাঠ গলায় বলে উঠলো আমেনা ।

:+ওর গাল’টা এমন ফুলে গেল কেন । এতোটা তো ফুলার কথা না ।(নিদ্র)

:+ওর এলার্জি আছে তাই ওর গাল’টা এতোটা ফুলে গেছে । এবার তুই এখান থেকে যাবি ।(আমেনা)

দাঁতে দাঁত চেপে বললো আমেনা । নিদ্র তৃপ্তির দিকে একবার আর আমেনার দিকে একবার তাকিয়ে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । আমেনা ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ছারলেন । এরপর আবার তৃপ্তির পাসে বসে তৃপ্তির মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন তিনি ।তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে নিদ্র সোজা নিচে বাইকের কাছে আসলো । এরপর আবার ক্লাবের দিকে রওনা দিলো ।

:+নীলা এখন আর কেদে কি হবে । বেচারি সুধু সুধু তোর জন্য একটা চড় খেলো । এখন ও কি অবস্থায় আছে কে যানে ।(সুমি)

নীলা নাক টানতে টানতে বললো ।

:+আমি কি যানতাম নাকি । যে নিদ্র ভিডিও’টা দেখে এমন রেগে যাবে । আর আমরা কি কোন খারাপ ভিডিও বানিয়েছি তুই বল । এখন লোকে যদি খারাপ কমেন্ট করে তাহলে আমার করার কি আছে । যদি যানতাম নিদ্র ভিডিও’টা দেখবে তাহলে কি আর সুইটিকে নিয়ে আমি ভিডিও বানাতাম ।(নীলা)

:+আব,,,,আমি তো তোকে বলছিলাম । আমার কথা তো তুই সুনিসনি । তখন বলেছিলি “যা হবে আমি দেখে নেবো তুই ভিডিও কর” ।(সুমি)

:+সব আমারই দোষ কেন যে ওকে নিয়ে ভিডিও বানাতে গেলাম । সুইটি নিশ্চই অনেক বেথ্যা পেয়েছে । সালার নিদ্রর হাত যেই শক্ত । আমি নিজেই ওর একটা চড় খেয়ে টাল সামলাতে পারিনি । আর সুইটি কি করে সামলাবে । আল্লাহ তুমি সুইটিকে ঠিক রেখো । আজকের পর থেকে আমি আর কখনো সুইটিকে নিয়ে টিকটক বানাবো না ।(নীলা)

চোখে পানি মুছে বলে নীলা । সুমি নীলার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললো ।

:+নীলা তুই নিদ্র ভাইয়ার হাতে চড় কবে খেলি ।(সুমি)

নীলা ফুপাতে ফুফাতে বললো ।

:+সেই অনেক আগে । প্রায় দের মাস হবে । আমি যখন নিদ্রকে প্রপোজ করতে গিয়ে ছিলাম তখন নিদ্র আমাকে রিজেক্ট করে । এরপর আমি রেগে গিয়ে ওকে কিস করতে গিয়েছিলাম । তখন নিদ্র আমাকে রেগে একটা চড় মেরে ছিল । তারপর থেকেই আমি ওকে আরো বেসি করে জ্বালাতে সুরু করি ।(নীলা)

:+বাহ,,,, বাহ,,,,, ভালো । নিদ্র ভাইয়ার রাগের সমন্ধে যানার পরও তুই এমন করলি । এখন যদি তৃপ্তির কিছু হয় তখন কি হবে । চড় তো আর আসতে মারছে বলে মনে হয় না । যেভাবে তৃপ্তি চড় খেয়ে হুমরি খেয়ে ছাদের ফ্লোরে পরে গিয়েছিল । দেখে তো আমার এখনো হাত,পা কাপছে ।(সুমি)

:+আল্লাহ তুমি সুইটিকে ঠিক রেখো । আমি আর কখনো ওকে নিয়ে ভিডিও বানাবো না ।(নীলা)

নিদ্র ক্লাবের সামনে বাইক পার্ক করে পাসের একটা দোকানে চলে যায় । সেখানে ফ্রিজ থেকে একটা ঠান্ডা পানির বতল কিনে নিজের মাথায় ঢালতে সুরু করলো । ক্লাবের ভিতর থেকে নিদ্রর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল জেক,রাহুল,সাব্বির,সুজন আর রাশেদ ।

:+ওর আবার কি হলো । এমন ঘেমে নেমে আছে কেন । কিছুখন আগে রাগ দেখিয়ে চলে গেল । আর এখন কৌ থেকে ঘেমে নেমে এসছে ।(রাশেদ)

রাহুল সবার দিকে একবার তাকিয়ে বললো ।

:+কিছু বুৃঝতে পারছি না । কোথাও গিয়ে আবার কাওকে পিটিয়ে এলো নাকি । এভাবে ঠান্ডা পানি মাথায় ঢালছে কেন ।(রাহুল)

:+রাখ তোদের ঠান্ডা পানি আর ঘেমে নেমে । আমার ফোন ভাঙছে কেন । আগে সেটার বিচার হবে । আমার প্রিয় ফোন ।(সুজন)

একটু রাগ দেখিয়ে বললো সুজন । জেক সুজনের পাসে বসে বললো ।

:+রাগ কইরেন না সমন্দি বাবু । আমি একখান নতুন ফোন আপনারে কিনা দিমুনে ।(জেক)

:+সর সালা,,,,, তোর কাছে আমার বোইনের বিয়া দিমু না ।(সুজন)

:+আপনার দিতে হইবো না সমন্দি বাবু । আপনার বোন আমার টানে এমনি এমনিই চইলা আইবো ।(জেক)

সাব্বির একটু বিরক্তি হয়ে বললো ।

:+তোরা দুলাভাই আর সমন্দি অন্য কোথাও গিয়া ঝগড়া কর । এখানে এখন ঝগড়া করা যাইবো না ।(সাব্বির)

রাশেদ বলে উঠলো ।

:+নিদ্রর কি হয়েছে সেদিকে তোর খেয়াল নেই । তুই তোর ফোন নিয়ে বেস্ত । সালা তুই বন্ধু না ওন্য কিছু ।(রাশেদ)

:+দেখ রাশেদ বন্ধুত্বের কথা এটার মাজে টানবি না ।(সুজন)

:+হয় আমি তো,,,,,।(রাশেদ)

:+ওই তোরা চুপ করবি । নিদ্র আসছে এখন ওর কাছ থেকেই যানা যাবে ও এমন রেগে আছে কেন ।(রাহুল)

রাহুলের কথা সুনে সবাই চুপ হয়ে গেল । নিদ্র পানির বতল থেকে অরধের পানি মাথায় ঢেলে বাকিটা খেতে খেতে ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করলো । সবার দিকে একবার তাকিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলো সে । এরপর কেও কিছু বলার আগেই নিদ্র জেকের উদ্দেশ্য বললো ।

:+জেক তাড়াতাড়ি সাদমানকে কল করে ক্লাবে আসতে বল । আর সাথে অবশ্যই পর ল্যাপটপ নিয়ে আসতে বলবি ।(নিদ্র)

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো নিদ্রর দিকে ।

:+হঠাৎ এখন আবার সাদমানকে ডাকছিস কেন নিদ্র । কিছু কি হয়েছে ।(জেক)

নিদ্র চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে মাথা পিছনের দিকে এলিয়ে দিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো ।

:+বহুত কিছু হয়েগেছে জেক । তুই তাড়াতাড়ি সাদমানকে কল কর ।(নিদ্র)

:+কি হয়ে,,,,,,,।(জেক)

জেক আর কিছু বলার আগেই নিদ্র চিৎকার করে বলে উঠলো ।

:+এতো প্রশ্ন করছিস কেন । কল করতে বলছি কল কর । আর না পারলে বল যে পারবো না । তবুও এমন প্রশ্ন এখন করিস না । মাথা এমনি তেই গরম আছে ।(নিদ্র)

জেক আর কিছু বললো না । চুপচাপ সাদমানকে কল করে ক্লাবে আসতে বললো । বাকিরা সুধু নিদ্রর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো । নিদ্রর রাগ দেখে সুজন নিজের ফোনের কথা বলতেই ভুলে গেছে ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here