তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________35

0
609

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________35

মাথা প্রচন্ড গরম এখন মিমির । সজিব মিমির বেডের পাসে দারিয়ে আছে । নিদ্র আর মিমি,,মিমির বেডের উপর বসে আছে সামনা সামনি । নিদ্র একবার মিমির দিকে তাকাচ্ছে আবার সজিবের দিকে তাকাচ্ছে ।

:+বলুন ভাইয়া,,,ওকে এখন কি করা উচিত ।(মিমি)

হালকা একটু জোর গলায় বললো মিমি । সজিব নিদ্রর দিকে অসহায় দিষ্টিতে তাকালো । মিমির কথা সুনে নিদ্রর ধেন ভাঙলো । সে আমতা আমতা করে বললো ।

:+এখন ওকে কি বলবো মিমি ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিমি নিদ্রর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললো ।

:+কি বলবেন মানে । এখন ওকে শাস্তি দিবেন । ও কেন আমাকে ছেরে ওই বুইরা বেডিরে ধরছে ।(মিমি)

নিদ্র মিমিকে যত দেখছে তত অবাক হচ্ছে । এই টুকু পুচকে মেয়ে আর এই টুকু পুচকে ছেলের প্রেম,,, ভাবা যায় ।

:+মিমি আমার কথা সুন,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্রকে থামিয়ে মিমি বললো ।

:+না আমি আপনার কোন কথা সুনবো না । ওহহহহ বুঝচ্ছি । ও তো আপনার ভাই , তাই এখন ওকে কিছু বলবেন না । আমি ভেবে ছিলাম আপনি ওর বিচার করবেন,,, কিন্তু না । আপনি ওর পক্ষ নিচ্ছেন । আপনারা কেও ভালো না । সবাই পচা ।(মিমি)

এই বলে মিমি দু’হাত মুঠি করে দু’চোখ ডলতে লাগলো । আর হেঁচকি তুলতে লাগলো । নিদ্র পরলো এবার মহা বিপদে । এই টুকু পুচকে মেয়ের এতো অভিমান ।

:+আচ্ছা মিমি তুমি যা বলবে ওকে তাই শাস্তি দেবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিমি চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিদ্রর হাত ধরে বললো ।

:+সত্যি ভাইয়া । আমি যা বলবো তা শাস্তি দিবেন ।(মিমি)

:+হুম । তুমি দাও ওকে শাস্তি ।(নিদ্র)

নিদ্র কথা শুনে সজিব বলে উঠলো ।

:+না ভাইয়া । তুমি ওকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলো না । প্রয়োজনে তুমি আমাকে শাস্তি দাও ।(সজিব)

সজিবের কথা সুনে মিমি সজিবের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো ।

:+ওই চুপ,,, একদম চুপ । তাড়াতাড়ি ১০০ বার কান ধরে উঠ বস করো । তারপর আমার গালে গুনে গুনে ১০টা কিস করবা ।(মিমি)

মিমি কথা সুনে নিদ্রর মাথা চক্কড় দিয়ে উঠলো । বলে কি এই মেয়ে । ১০টা কিস । নিদ্র মুখে হাত দিয়ে সজিবের দিকে এক-বার তাকালো তারপর মিমির দিকে তাকালো । সজিব মিমির কথা সুনে নিদ্রকে বললো ।

:+আমি আগেই যানতাম,,, ওকে শাস্তির কথা বললে,,, ও এগুলো বলবে । তাই তো আমি ওর থেকে শাস্তি চাইনি । আমি পারবো না ১০০ বার কান ধরে উঠ বস করতে । আর না পারবো ১০টা কিস করতে ।(সজিব)

এই বলে সজিব মিমির রুমে থাকা একটা চেয়ারে গিয়ে বসে পরলো । এটা দেখে মিমি বেড থেকে নেমে সোজা সজিবের কাছে গিয়ে সজিবের হাত ধরে টেনে চেয়ার থেকে নামিয়ে দিলো ।

:+খবরদার,,, তুমি আমার রুমের একটা জিনিসও ছুবে না । যতখন প্রর্যন্ত না তুমি আমার শাস্তি কবুল করছো । ততখন প্রর্যন্ত তুমি আমার রুমের কিছু ছুবেও না,,, বসবেও না ।(মিমি)

সজিব নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র একটা হাসি দিলো ।

:+ভাইয়া তুমি হাসছো । তোমার জন্য এখন এমন হইছে । আমি পারবো না এগুলো করতে ।(সজিব)

মিমি সজিবকে রেগে কিছু বলতে যাবে ওমনি দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো ।

:+মিমি রুমের দরজা লাগিয়ে কি করছিস । দরজা খোল ।(মিমের আম্মু)

:+খুলছি আম্মু ।(মিমি)

এই বলে মিমি আবার সজিবের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এখন আম্মু আসছে বলে বেচে গেলে । কিন্তু শাস্তি কোন মাপ নেই । ওটা তোমাকে পেতেই হবে ।(মিমি)

এই বলে মিমি সজিবের সামনে থেকে চলে গেল রুমের দরজা খুলতে । সজিব একটা জোরে নিশ্বাস ছারলো । এরপর নিদ্রর পাসে গিয়ে বসলো ।

:+তোমার জন্য হয়েছে সব ।(সজিব)

নিদ্রর চোখে চোখ রেখে বললো সজিব । নিদ্র একটা হাসি দিয়ে বললো ।

:+আরে মাত্র ১০০ বারই তো । কান ধরে উঠ বস করলেই হয়ে যাবে ।(নিদ্র)

সজিব নিদ্রর কথা সুনে অবাক হয়ে বললো ।

:+কিহহহহহ । ১০০ বার তোমার কাছে মাত্র মনে হচ্ছে ।(সজিব)

মিমি রুমের দরজা খুলে দিতেই । মিমির আম্মু লতিফা বেগম মিমির রুমে একটা খাবারের ট্রে নিয়ে প্রবেশ করলো ।

:+দরজা লাগিয়ে কি করছিলি তুই ।(লতিফা)

:+কিছু না আম্মু । ওই ভাইয়ার সাথে একটু কথা বলছিলাম ।(মিমি)

মিমির কথা সুনে লতিফা আর কিছু বললেন না । তিনি সোজা খাবারের ট্রে’টা নিয়ে নিদ্রর সামনে রাখলেন । এরপর মিমির বেডের এক পাসে বসে বললেন ।

:+কেমন আছো বাবা । ভাইয়া ভাবি কেমন আছে ।(লতিফা)

নিদ্র এক পলক লতিফাকে দেখে নিলো । এরপর মাথা নিচু করে বললো ।

:+জ্বি আন্টি ভালো । MOM,,,, পাপাও ভালো আছে । আপনারা সবাই কেমন আছেন ।(নিদ্র)

:+এই তো চলছে দিন কাল । তোমার সাথে তো আমার দেখা হয়নি । মেয়ের বিয়ে অনেক কাজে বিজি,,, বুঝতেই পারছো । সুনেছি কালও নাকি এসে ছিলে । কাজে বিজি থাকায় দেখা করতে পরিনি । কিছু মনে করো না ।(লতিফা)

দুঃখিত সুরে বললো লতিফা । নিদ্র লতিফার কথা সুনে বললো ।

:+সমস্যা নেই আন্টি । আমি বুঝতে পারছি ।(নিদ্র)

:+আ,,,,,,।(লতিফা)

লতিফা আরো কিছু বলতে যাবে তখনি দরজার বাহিরে থেকে মিমের ছোট খালা ডেকে বললো ।

:+লতু বুবু তাড়ডাড়ি আসো । দুলাভাই তোমারে ডাকতেছে ।(মিমের ছোট খালা)

এই বলে মিমের ছোট খালা চলে গেল । লতিফা তখন নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আচ্ছা বাবা তুমি নাশতা’টা সেরে নাও । আমি কাওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।(লতিফা)

নিদ্র চুপচাপ মাথা নারালো । লতিফা মিমির রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মিমিকে দেখে বললো ।

:+কিরে মিমি । তুই এখনো সাজিস’নি কেন । বর যাত্রি একটু পরই চলে আসবে । তাড়াতাড়ি মিমের রুমে গিয়ে সেজেনে,,,, যা ।(লতিফা)

এই বলে লতিফা মিমির রুম থেকে বেরিয়ে গেল দুরুত পায়ে । মিমি পিছনে ঘুরে আবার বেডের পাসে এসে দারালো । দেখলো সজিব নিদ্রর সাথে বসে আছে । এটা দেখে মিমির মাথা গরম হয়ে গেল ।

:+ওই,,,তোকে না বলছি আমার কিছু ছুবি না,,, বসবিও না । তুই আমার বেডের উপর বসছিস কেন ।(মিমি)

নিদ্র মিমির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+মিমি বাদ দাও এই বিষয়’টা । আজ তোমার বোনের বিয়ে । যাও গিয়ে সেজে গুজে আসো । ওকে পরেও শাস্তি দেওয়া যাবে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিমি সজিবের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ভাইয়ার কথায় এখন তোমাকে ছারলাম । কিন্তু শাস্তি মাপ নেই । আজ নাহয় কাল তোমাকে শাস্তি পেতেই হবে ।(মিমি)

এরপর মিমি নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ভাইয়া তুমি নাশতা’টা খাও । ওকে একটা কিছুও দেবে না ।(মিমি)

এই বলে মিমি,,,মিমির রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নিদ্র একটা সস্তির নিশ্বাস ছারলো । কি মেয়েরে বাবা,,, বড় বোন’টা যেমন,,,ছোট বোন’টাও তেমন হয়েছে । এরপর সামনে থাকা খাবারের ট্রে’র দিয়ে তাকালো নিদ্র । দেখলো দুই গ্লাস সরবত । দু’টো ছোট প্লেটে তিনটে করে ছয়’টা মিষ্টি । আরো দু’টো ছোট প্লেটে কিছু বিস্কিট আর চানাচুর । এরকম আরো কিছু ছোট প্লেটে ফল কেটে দেওয়া হয়েছে । নিদ্র সরবতের গ্লাস’টা হাতে নিয়ে মুখের সামনে ধরলো । ওমনি দরজার বাহিরে থেকে কারো হাসির আওয়াজ আসলো । নিদ্র আর-চোখে তাকিয়ে দেখলো মিমের কাজিন’রা দরজার বাহিরে থেকে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে । এবার নিদ্রর প্রছন্ড বিরক্ত লাগছে । এই মেয়েদের লাজ লাজ্জা কিছু নেই নাকি । নিদ্র কোন রকম ভাবে সরবত’টা শেষ করে গ্লাস’টা ট্রে’র এক পাসে রেখে দিলো । ইকরা মিমির রুমে আসছে অনেক হাসি খুসি ভাবে । কারন লতিফা ইকরাকে বলছে,,, মিমির রুমে যেই মেহমান আছে তাদের খাওয়া হলে যেন ট্রে’টা নিয়ে যায় । আর তাদের কিছু লাগলে তাদের যেন দেয় । ইকরা মিমির রুমের সামনে এসে দেখলো, লামিয়া,সনিয়া,সাথী, মিমির রুমের দিকে উঁকি ঝুঁকি মারছে । সেও তাদের পিছন থেকে মিমির রুমের ভিতরে উঁকি দিলো । দেখলো নিদ্র একটা বিরক্তি কর মুখ নিয়ে বসে আছে । এটা দেখে ইকরার মাথা গরম হয়ে যায় । সে বুঝতে পারছে নিদ্রর বিরক্ত লাগছে কেন । তখন ইকরা লামিয়া, সনিয়া, আর সাথীর পিছনে এসে দারিয়ে ধমক দিয়ে বললো ।

:+জীবনে কোন দিন ছেলে দেখিস’নি তোরা । না দেখলে বাহিরে উঠানে গিয়ে বসে থাক । দেখবি কতো ছেলে বাহিরে দারিয়ে আছে । সুধু সুধু একজনকে বিরক্ত করছিস কেন ।(ইকরা)

ইকরার ধমক খেয়ে লামিয়া,সনিয়া, সাথী সেখান থেকে চলে গেল । ইকরার কথার উপর কারো কথা বলার শাহস নেই । ইকরা জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে মিমির রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । ইকরা রুমে প্রবেশ করতেই নিদ্র আর-চোখে এক পলক ইকরাকে দেখে নিলো । ইকরা আসতে করে মিমির বেডের পাসে এসে বসলো । বুক দূর দূর করছে ইকরার । নিদ্রর সাথে কি করে কথা সুরু করবে ভেবে পাচ্ছে না সে । সুকনো একটা ঢোক গিলে হঠাৎ’ই ইকরা বলে উঠলো ।

:+হাই,, আমি ইকরা । মিমের আম্মু,,, মানে,,, আমার মামি আমাকে পাঠিয়েছেন ।(ইকরা)

নিদ্রর দিকে হাত বারিয়ে বললো ইকরা । নিদ্র মাথা তুলে ইকরার দিকে তাকালো । দেখলো ইকরা তার দিকে হাত বারিয়ে রেখেছে । ইকরার কন্ঠ’টা অনেক মিষ্টি । কিন্তু সে নিদ্রর মন গলাতে পারলো না । নিদ্র ইকরার হাতে হাত মিলিয়ে আসতে করে বললো ।

:+আমি নিদ্র । মেয়ে গুলোকে ধমক দিয়ে ওখান থেকে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে ইকরা ভরকে গেল । শরীরের মধ্যে কারেন্টের মতো শট লাগলো । এটা কি হচ্ছে তার । একটা ছেলে এতো’টা হেন্ডসাম কি করে হতে পারে । গলার কন্ঠ যেমন মিষ্টি তেমনি তার স্টাইলেস । ইকরা নিদ্রর হাত’টা শক্ত করে ধরে নিদ্রর দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে । নিদ্র হাত ছারানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ইকরা শক্ত করে ধরকে রেখেছে ।

:+হ্যালো । কি করছেন আপনি । কোথায় হারালেন । আমার হাত’টা ছারুন । ওই হ্যালো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথায় বাস্তবে ফিরলো ইকরা । চট করে নিদ্রর হাত থেকে হাত সরিয়ে নিলো সে । এরপর লজ্জা কিত মুখ নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো ইকরা । আর মনে মনে বললো ।

:+ইসস,,,, ইকরা তুইও না । কি করছিলি,,, কি তুই । ধুর ।(ইকরা)

আসতে করে নিজের মাথায় চাপড় দিয়ে মনে মনে বললো ইকরা । নিদ্র ইকরার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো । সজিব ইকরার দিকে একবার তাকালো তারপর নিদ্রর দিকে তাকিয়ে নিদ্রর কানের কাছে এসে ফিস ফিসিয়ে বললো ।

:+ভাইয়া,,, সামথিং ইজ রং । মনে হচ্ছে ইকরা আপুর তোমাকে মনে ধরেছে । এখানে কি রিলেশন’টা করে ফেলবে নাকি ।(সজিব)

নিদ্র সজিবের কথার পিঠে কোন কথা বললো না । কারন সে ইকরার মনের কথা পরে ফেলেছে । ইকরার মনে কি চলছে সেটা নিদ্র ভালো করেই বুঝতে পারছে ।

:+মিস ইকরা । আমি আপনাকে কিছু কথা বলছি তা মন দিয়ে শুনুন ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে ইকরা চট করে নিদ্রর দিকে তাকালো । সে ভাবতেই পারছে না । নিদ্র তার নাম মুখে নিয়েছে । হয়তো তাকে এখন বলবে আপনাকে আমার ভালো লেগেছে । ইকরা ডেব ডেব করে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো । ইকরা নিদ্রর দিকে তাকাতেই নিদ্র বললো ।

:+মন দিয়ে সুনবেন আমি যা যা বলবো ।(নিদ্র)

ইকরা সুধু মাথা নারিয়ে আবার মাথা নিচু করে নিলো । নিদ্র বলা সুরু করলো ।

:+একটা মেয়ের দু’জন বান্ধবী আছে । হঠাৎ করে ওই মেয়ে’টার বাসায় একটা ছেলে আসে । ছেলেটা মূলত সেই মেয়ের বড় চাচার ছেলে । যাই হোক । তো ছেলে’টা আসার পর ওই মেয়ের দুই বান্ধবী পরের দিন গেল ওই মেয়ের বাড়িতে । কিন্তু তারা গিয়ে সক হয়ে দারিয়ে গেল । কারন ওই সময় ওই মেয়ে’টা তার চাচাতো বড় ভাইকে খাইয়ে দিচ্ছিল । সময়’টা ছিল সকাল । ছেলেটির হাতে অনেক ব্যথা থাকার কারনে ছেলেটি নিজ হাতে খেতে পারছিল না । তাই মেয়েটি ছেলেটিকে খায়িয়ে দিয়েছিল । তো ওই মেয়েটার দুই বান্ধবী ছেলে’টাকে দেখে ক্রাশ খায়,,, বলতে পারেন ভালো লেগে যায় । পরে দুই বান্ধবী মেয়েটাকে গিয়ে বলে তার বড় চাচতো ভাইয়ার উপর তারা ক্রাশ খেয়েছে । কিন্তু মেয়েটি ক্রাশ, ভালোবাসা, ভালোলাগা,এসব বিষয়ে বুঝে না । তাই সে ছেলেটার কাছে এসে সারাসরি বলেছিল । “ভাইয়া ক্রাশ কি,,, ওটা খায় কি করে” । তখন ছেলেটি অনেক অবাক হয়েছিল । কারন মেয়েটি তখন এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছে । আর এই বয়সে সে ক্রাশ চিনেনা জেনে ছেলেটি বেস অবাক হয় । তাদের পাসেই দারিয়ে ছিল মেয়েটির মা । তখন ছেলেটি মেয়েটির মার দিকে তাকাতেই মেয়েটির মা বললো মেয়েটি নাকি বাহিরের দুনিয়ার সাথে পরিচিত নয় । স্কুল, বাড়ি আর ওর দুই ফ্রেন্ড এটাই নাকি ওর লাইফ । তাই সে এমন কথা বলছে । ছেলেটি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল এই কথা সুনে । সেদিন তখন মেয়েটি জেদ ধরে ক্রাশ খাবে বলে । তখন ছেলেটি মেয়েটিকে আর তার দুই বান্ধবীকে নিয়ে একটা পার্কে গেল ঘুরতে । সেখানে ছিল একটা ফুসকার দোকান । ওই দোকানে ফুসকা খাবে বলে জেদ ধরলো মেয়েটি । ক্রাশ খাওয়ার কথা ভুলে যায় মেয়েটি । ছেলেটি ফুসকা খাওয়াতে না করে দেয় । কিন্তু মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল ফুসকা খাওয়াতে । তো ছেলেটি আর বাধা দিলো না । মেয়েটি আর তার দুই বান্ধবী ফুসকা খেলো । এক প্লেট ফুসকা খাওয়ার পর মেয়েটির দুই বান্ধবী আর খাবে না বলে দেয় । কিন্তু মেয়েটি নিজের জন্য আরেক প্লেট ফুসকা অডার করে । ছেলেটি বসে বসে মেয়েটির খাওয়া দেখছিল । হঠাৎ মেয়েটির দুই বান্ধবীর মধ্যে থেকে একজন এসে ছেলেটিকে বললো তাদের সাথে নাকি ছেলেটির কথা আছে । কিন্তু কথা বলতে হলে একটু দুরে গিয়ে কথা বলতে হবে । ছেলেটি বুঝে গিয়ে ছিল মেয়েটির বান্ধবী কেন তাকে ডাকছে । তবুও সে যেতে চায়নি । কারন সে অন্য কাওকে ভালোবাসে । এবং তার জীবনের চেয়েও বেশি । মেয়েটির বান্ধবীর রিকুয়েষ্টে ছেলেটি যায় মেয়েটির বান্ধবী সাথে । কিছু দুরে দারিয়ে ছিল মেয়েটির দ্বিতীয় বান্ধবী । তারা গিয়ে দারালো । তখন মেয়েটি প্রথম বান্ধবী বলেছিল । “দেখুন আমারও আপনাকে পছন্দ হয়েছে (সাথে মেয়েটির দ্বিতীয় বান্ধবীকে দেখিয়ে বললো) ওর ও আপনাকে পছন্দ হয়েছে । এখন আপনি আমাদের দু’জনের মধ্যে থেকে যেকোন এক জনকে বেছে নিন “। কিন্তু ছেলেটি কোন কিছু বললো না । ছেলেটি সুধু সেখান থেকে এক পলক তার ছোট চাচাতো বোনের দিকে তাকালো । মানে মেয়েটির দিকে । মেয়েটি তখন এক মনে ফুচকা খাচ্ছিল । ছেলেটি তখন সোজা সাপটা মেয়েটির দুই বান্ধবীকে নিশেদ করে দেয় যে সে অন্য কাওকে ভালোবাসে । আর সেই অন্য মেয়ে’টা যে তার ছোট চাচাতো বোন এটা সে প্রকাশ করেনি । কারন প্রকাশ করলে তাদের বন্ধুত্ব ভেঙে যেতো । বন্ধুত্ব ভাঙার জন্তনা, কতটা ছেলেটি তা যানে । যাই হোক । মেয়েটির দ্বিতীয় বান্ধবী কিযেন মনে করে সেখান থেকে চলে গেল । কিন্তু মেয়েটির প্রথম বান্ধবী জেদ ধরে রুইলো যে । কে সেই মেয়ে যার জন্য তাকে ছেলেটি রিজেক্ট করেছে সে তাকে দেখবেই । সেদিনের পর টানা দুই দিন মেয়েটির প্রথম বান্ধবী ছেলেটির কাছে যানতে চেয়েছিল । কে সেই মেয়ে যার জন্য তাকে রিজেক্ট করছে । ছেলেটির পরে ছিল এক মুসকিলে । যদি বলে দেয় মেয়েটি আর কেও নয় তাদের বান্ধবী তাহলে মেয়েটি হয়তো বন্ধুত্ব ভেঙে দিতো । তাই ছেলেটি কিছু বলেনি । ছেলেটি তার চাচাতো বোনকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে । গত এক বছর ধরে ছেলেটি মেয়েটিকে নিজের কাছে নেওয়ার চেস্টা করছিল,,,, কিন্তু পারেনি । কারন মেয়েটির সামনে এস এস সি পরিক্ষা ছিল । ছেলেটি নিজেকে দমিয়ে রেখেছিল গোটা একটা বছর । ছেলেটির লাইফে আগে অনেক বড় একটা ঝড় বয়েছিল । সেই ঝড়ের ভায়ে ছেলেটি মেয়েটিকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল । এক বছর পর যখন মেয়েটির পরিক্ষা শেষ হয় । তখন ছেলেটি ডিসিশন নেয় । এবার যে করেই হক তার প্রিয় জিনিস সে হারাবে না । অবশেষে ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায় ঢাকায় । কিন্তু মাঝ খান থেকে একটা মেয়ের মন ভেঙে যায় । আর সেই মেয়েটাই হলো ছেলেটির চাচাতো বোনের প্রথম বান্ধবী । প্রায় এক মাস না যেতেই মেয়েটির প্রথম বান্ধবীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । আর ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে চলে এসছে মেয়েটির প্রথম বান্ধবীর বিয়ে খেতে । কিন্তু ছেলেটি যানে মেয়েটির প্রথম বান্ধবী কতটা কষ্ট পেয়েছে । কিন্তু ছেলেটির কিছু করার নেই । কারন সে তার চাচাতো বোনকে পাগলের মতো ভালোবাসে । তার জন্য সে পৃথিবী উলট পালট করে দিতেও রাজি ।
তাই আমি আপনার কাছে রিকুয়েষ্ট করছি । প্লিজ আপনার মনে যদি আমার জন্য কোন ফিলিংস থাকে । তাহলে সেটা যেরে ফেলে দিন । আর যারা আমাকে ওই নজরে দেখে তাদেরও বলে দিবেন যেন আমার থেকে দুরে থাকতে । আমি আর কাওকে কষ্ট দিতে চাই না । কারন আমি আমার চাচাতো বোনকে ভালোবাসি ।(নিদ্র)

এক দমে পুরো কথা গুলো শেষ করে নিদ্র । নিদ্রর কথা শেষ হতেই কারো হাতে তালির আওয়াজ আসে । ইকরা নিদ্রর কথা গুলো সুনে অবাক হয়ে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে ছিল । সে ভাবতেও পারেনি নিদ্র তাকে এমন কিছু বলবে । হাতে তালির আওয়াজ হতেই ধেন ভাঙলো ইকরার । আওয়াজ অনুসরণ করে নিদ্র, ইকরা আর সজিব দরজার দিকে তাকালো । তাকিয়ে একটা বড় ধরনের সক খেলো নিদ্র । কারন দরজার সামনে দারিয়ে আছে মিম । চোখ দু’টো থেকে তার অঝর ধারায় বৃষ্টি পরছে । নিদ্র মিমের থেকে চোখ নামিয়ে নিল । মিম আসতে করে মিমির বেডের পাসে এসে দারালো ।

:+ই ই ই ইকরা আ আ আপু তু তু তুমি এ এ একটু রু রু রুম থে থে থেকে বে বে বেরুবে প্লিজ । ভাইয়ার সাথে আমার কিছু কথা আছে ।(মিম)

ভাঙা গলায় বলে উঠলো মিম ।

:+মিম আমি,,,,,,,,,,,,,,,।(ইকরা)

ইকরাকে থামিয়ে মিম বললো ।

:+প্লিজ আপু । বাচ পাঁচ মিনিট । প্লিজ একটু বাহিরে যাও ।(মিম)

ইকরা আর কিছু না বলে খাবারের ট্রে’টা নিয়ে মিমির রুম থেকে বেরিয়ে গেল । মিম আসতে করে নিদ্রর সামনে বসলো । বুকের ভিতর’টা ভেঙে গুড়ো গুড়ো হয়ে যাচ্ছে মিমের । নিশ্বাস ঘন হয়ে আসছে তার । তবে আজ অনেক ভালো লাগছে । কারন সত্য’টা সে যানতে পেরেছে । নিদ্র এক পলক মিমের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফললো । বধূ বেসে বসে আছে মিম নিদ্রর সামনে । আজ মিম সে সেই মেয়েটিকে যেনে গেল । যাকে তার প্রিয় মানুষটি মন প্রান ঝুরে ভালোবাসে ।

:+কে কেমন আ আছেন আপনি ।(মিম)

ভাঙা গলায় বলে উঠলো মিম । নিদ্র মাথা নারিয়ে সাই দিলো । সে ভালো আছে ।

:+কথা বলবেনা না আমার সাথে ।(মিম)

নিদ্র মাথা তুলে মিমের দিকে তাকালো । মিম একটা হাসি দিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো ।
“চোখে তার বৃষ্টি পানি” ।
“ঠোঁটে তার হাসি” ।
“এ’রি নাম বুঝি অফুরন্ত ভালোবাসি” ।
ভালোবাসা গুলো এমন কেন হয়?? । প্রশ্ন যাগে নিদ্রর মনে । একটু ভিন্ন হলে কি হতো । যেন একজনের জন্য সুধু একজন কেই তৈরি করতো । সেই যায়গায় যেন অন্য কেও আসতে না পারে । কিন্তু এটা কেন করলেন না আমাদের মোহান প্রভূ । কেন একটা ভালোবাসার মাঝে আরেক জনকে এনে কষ্ট দেয় । নিদ্র অপলক হয়ে তাকিয়ে আছে মিমের দিকে । মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে নিদ্র বেস বুঝতে পারছে ।

:+আরে বাবা কথা বলুন । আমি আর এখন আপনাকে বলবো না ভালোবাসি । কারন আমি যেনে গেছি আপনি কাকে ভালোবাসেন ।(মিম)

ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্রর । মিমের কথা সুনে আবার মাথা নিচু করে ফেললো সে । কি বলবে সে এই মেয়েকে । যে কিনা কোন সার্থ ছারাই একা ভালোবেসে এসছে । প্রথমে নিদ্র ভেবে ছিলো মিম সার্থের জন্য নিদ্রকে পছন্দ করে । কিন্তু নিদ্রর পুরো ভাবনা পালটে দিলো মিম । এক তরফা ভালোবাসা বুঝি এমনি হয় । কেন এতো কষ্ট দেয় এই এক তরফা ভালোবাসা । নিদ্র নিজের চোখ বুঝে নিলো ।

:+মিম । আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম ।(নিদ্র)

:+প্লিজ আপনি আগে বলুন । আপনি কেমন আছেন । মাথা নারাবেন না একদম ।(মিম)

যটপট বলে উঠলো মিম ।

:+হুম,,, ভালো আছি ।(নিদ্র)

আসতে করে বললো নিদ্র । মিম একটা দীঘনিশ্বাস ছারলো ।

:+আচ্ছা,,, কিছু খেয়েছেন ।(মিম)

নিদ্র মাথা তুলে মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+হুম,,এইতো খেলাম ।(নিদ্র)

:+কাল রাতে চলে গিয়েছিলেন কেন ।(মিম)

:+মাথা’টা ব্যথা করছিল তাই চলে গেছি ।(নিদ্র)

মিম আবার একটা দীঘনিশ্বাস ছারলো । এরপর মিম বললো ।

:+এই কথা’টা আমাকে আগে বললেন নি কেন ।(মিম)

নিদ্র অবাক হয়ে মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কি কথা তোমাকে আগে বলিনি ।(নিদ্র)

:+এই যে,,, আপনি আপনার চাচাতো বোনকে ভালোবাসেন ।(মিম)

:+আমি আসলে,,,,,,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্রকে থামিয়ে মিম বললো ।

:+কি ভেবেছিলেন,,, এটা যানার পর আমি আমাদের বন্ধুত্ব ভেঙে দেবো । আমাদের বন্ধুত্ব এতোটাও সস্থা না বুঝলেন । সেই ছোট থেকে তিনজনে এক সাথে বড় হয়েছি । এতো সহজে কি করে ভুলে যাবো ।(মিম)

নিদ্র আবার মাথা নিচু করে বললো ।

:+আমি বুঝতে পারিনি । আমি ভেবে ছিলাম তুমি এটা যানার পর তোমাদের বন্ধুত্ব ভেঙে দিবে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিম নিদ্রর থেকে মুখ সরিয়ে রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আমাকে কি আপনি বোকা পেয়েছেন । যে আমি আমার বান্ধবীকে ছেরে দেবো । উলতো আমি আরো খুশি হতাম । কারন আমি আমার বান্ধবীদের অনেক ভালোবাসি । কেন করলেন আপনি আমার সাথে এমন । একটা বার বললেই তো আমি আর এতো কষ্ট পেতাম না ।(মিম)

শেষে কথা গুলো কান্না ভেজা কন্ঠে বলে মিম । মিমের কথা সুনে নিদ্র আমতা আমতা করে আসতে করে বললো ।

:+আ’ম সরি মিম ।(নিদ্র)

মিম এবার একটু হালকা জোরে হাসি দিয়ে বললো ।

:+হা হা হা । কি বললেন,,,,সরি । দিতে পারবেন আমার সেই দিন গুলো ফিরিয়ে । যে দিন গুলো আমি না খেয়ে আপনার জন্য কেদেছি । দিতে পারবেন সেই দিন গুলো ফিরিয়ে । যেই দিন গুলো আমি ব্লেট দিয়ে আমার হাত কেটেছি । আমার শরীর থেকে রক্ত খনন করেছি ।(মিম)

মিমের কথা সুনে নিদ্র চট করে মিমের দিকে তাকায় । মিম মুখ সরিয়ে নেয় নিদ্রর থেকে । মেয়েটা এমন কেন?? প্রশ্ন যাগে নিদ্রর মনে আবার । এতো’টা ভালো তাকে কে বাসতে বলছে । এক তরফা ভালোবাসা যে কখনো পূর্নতা পায় না মেয়েটা কি তা যানে না । নিদ্রর ভাবনার মাজেই মিম আবার নিদ্রর দিকে তাকালো । দেখলো নিদ্রর চোখে পানি । এটা দেখে মিমের একটু খারাপ লাগলো । সে হাতে থাকা টিসু নিদ্রর দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে বললো ।

:+আমি দুঃখিত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য । প্লিজ আপনি চোখের পানি’টা মুছে ফেলুন । আপনার চোখে পানি মানায় না । কেমন যেন লাগছে আপনাকে ।(মিম)

নিদ্র মুচকি হাসি দিয়ে মিমের কাছ থেকে টিসু’টি নিয়ে নিলো । মিম আবার বললো ।

:+আচ্ছা,,, এসব বিষয় এখন বাদ দেন । এখন যেহেতু অন্যের বৌ হয়ে যাচ্ছি তাহলে এগুলো বলে লাভ নেই ।(মিম)

নিদ্র মিমের দিকে তাকালো । এরপর বললো ।

:+ছেলে’টা নাম কি,,,,, কি করে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিম একটু চরে চড়ে বসে বললো ।

:+বিদেশি ছেলে । নাম নিলয় । আমেরিকায় থাকে । বিয়ের পর নাকি ওখানে নিয়ে যাবে । একটা বিরক্তি কর লোক ।(মিম)

শেষের কথা’টা বিরক্তি কর মুখ দেখিয়ে বললো মিম । নিদ্র একটা হাসি দিয়ে বললো ।

:+কেন,,, কি করছে সে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিম চট করে বলে উঠলো ।

:+কি করেনি তাই বলেন । যেদিন থেকে আমাকে দেখে গেছে,, সেদিন থেকে আমাকে ডিসটার্ব করা সুরু করে দিয়েছে । এই দুই/তিন দিনে পুরো জ্বালিয়ে ফেলেছে আমাকে । কল দিয়ে দিয়ে পুরো মাথা খেয়ে ফেলছে । এই দেখুন এখনো প্রায় ৬/৭টা কল দিয়েছে । বিয়ে করতে আসবে,,, এখনো নাকি তার কল করতে হবে ।(মিম)

হাতে থাকা ফোন নিদ্রর দিকে বারিয়ে দিখিয়ে বললো মিম । নিদ্র মিমের কথা সুনে জোরে হেসে উঠলো । এতোখন প্রজন্ত সজিব চুপচাপ বসে মিম আর নিদ্রর কথা গুলো শুনছিন । নিদ্রর হাসি দেখে সজিবও হেসে উঠলো । মিমও হাসছে । নিদ্র নিজের হাসি থামায় বললো ।

:+ছেলে’টা তো দেখছি, তোমার উপর পাগল হয়েছে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিম,, মিমির বেডের উপর একটু চরে চড়ে বসে বললো ।

:+ধুর,,, পাগল না ছাই । কেও কাওকে এতো বার কল করে,,, আল্লাহ মাবুদ যানে । দিনের মাঝে না হলেও ২০/২৫বার কল করে । আর কল রিসিপ না করলে তো ,,,কত বার যে কল দেয়,,, আমি গুলে শেষ করতে পারি না ।(মিম)

মিমের কথা সুনে নিদ্র আবার হেসে বললো ।

:+ছেলে’টা তোমাকে অনেক ভালোবাসবে মিম । বেস্ট অপ ফ্লাক ।(নিদ্র)

মিম নিদ্রর কথা সুনে একটা হাসি দিয়ে বললো ।

:+থ্যাংকস ইউ । বাট এখন দেখার পালা কতো’টা ভালোবাসে ।(মিম)

:+হুম ।(নিদ্র)

এরপর মিম কিছু একটা ভাবতে লাগলো । নিদ্র মিমের ভাবনা দেখে বললো ।

:+কিছু ভাবছো মিম ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে ভাবনার মাঝ থেকে বেরিয়ে আসলো মিম ।

:+আপনি নাকি তৃপ্তিকে সাজতে বারন করেছেন ।(মিম)

নিদ্র নিজের মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো ।

:+না মানে,,,,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্রকে থামিয়ে মিম বললো ।

:+ইউ লিচেন । মিস্টার নিদ্রায়ন আহমেদ নিদ্র । আমার বিয়ে আর আমার বান্ধবী সাজবে না । এটা কখনো হতে পারে না । ভয় পাবেন না,,, কেও ওকে চুরি করে নিয়ে যাবে না । যানি ও দেখতে অনেক কিউট বাট এখানে আমি থাকতে আমার বান্ধবীকে টাচ করার খমতা করো নেই ।(মিম)

মিমের কথা সুনে নিদ্র একটা হাসি দিলো । নিদ্র এবার এতো টুকু বুঝতে পারছে যে,,,মিম এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েছে ।

:+ঠিক আছে । ওকে সাজতে বলো । বাট তোমাকে বলছি,,, তুমি প্লিজ এই সব কথা কাওকে বলবে না ।(নিদ্র)

মিম অবাক হয়ে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কি কথা কাওকে বলবো না ।(মিম)

:+এই যে আমি যাকে ভালোবাসি । বিষয়’টা যানা যানি হলে অনেক বড় সমস্যায় পরবো আমি ।(নিদ্র)

গলা খাদে নামিয়ে বললো নিদ্র । নিদ্রর কথা সুনে মিম তৃচিল হেসে বললো ।

:+আমাকে কি এখনো বোকা ভাবছেন । আমি এই কথা কাওকে বলবো না । তবে আমার বান্ধবী টাকে ভালো করে দেখে রাখবেন । মেয়ে’টা এখনো বাচ্চা মেয়ে বলতে পারেন । ওকে কিন্তু কষ্ট দিবেন না । (মিম)

মিমের কথার পিঠে নিদ্র সুধু একটা মুচকি হাসি দিলো । মিম বললো ।

:+আচ্ছা,, এখন তাহলে আমি যাই । তৃপ্তি মুখ কালো করে বসে আছে । অনেক বার সাজার কথা বলেছি,,, কিন্তু বারন করছে । বলছে আপনি নাকি ওকে সাজতে বারন করেছেন ।(মিম)

এই বলে মিম,,, মিমির বেড থেকে নেমে দারালো । নিদ্র মিমের দিকে এবার ভালোকরে তাকালো । মেয়েটা লাল টুকটুকে লেহেঙ্গা পরেছে । হালকা সাজে পুরো হুর পরি লাকছে । নীলা সাজিয়েছে । নীলার সাজানি মাইন ব্লয়িং বলতে হবে । মিম লেহেঙ্গা’টা দু’হাত দিয়ে উচু করে রুম থেকে বেরুতে যাবে । ওমনি নিদ্র আবার পিছন থেকে ডাক দিলো ।

:+মিম,,,,এক মিনিট ।(নিদ্র)

নিদ্রর ডাকে মিম থমকে দারালো । এরপর পিছন ঘুরে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র মিমির বেডের উপর থেকে নেমে মিমের কাছে আসলো । এরপর পকেট থেকে একটা ছোট বক্স বের করে বললো ।

:+হঠাৎ আসা হয়েছে । তাই কিছু কিনতে পারিনি । এই ছোট সামান্য উপহার’টা তোমার জন্য । আমার পক্ষ থেকে ।(নিদ্র)

মিম হাসি মুখে নিদ্রর হাত থেকে বক্স’টা নিলো । এরপর বক্স’টা খুলে দেখলো এক জোরা সোনার কানের দুল । কানের দুল জোরা মিমের অনেক পছন্দ হয় । মিম নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এটা বুঝি সামান্য উপরহার ।(মিম)

নিদ্র একটা সজিবের দিকে আবার মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+হুম,,,,আমার কাছে তো তাই মনে হচ্ছে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিম মুচকি হেসে বললো ।

:+থ্যাংস ইউ ।(মিম)

:+ওয়েল কাম । সুভ কামনা রইলো নতুন জীবনের জন্য ।(নিদ্র)

মিম একটা হাসি দিলো । এরপর আবার পিছনে ঘুরে মিমির রুম থেকে বেরিয়ে গেল মিম । নিদ্র মিমের যাওয়ার পথে খানিক খন তাকিয়ে থকলো । এরপর একটা দীঘনিশ্বাস ছেরে পকেট থেকে ফোন বের করে মুভি চালিয়ে আবার মিমির বেডের উপর সজিবের পাসে গিয়ে বসলো ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।][

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here