তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________43

0
459

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________43

বিকেল ৪টা বেজে ২৫ মিনিট……………
বজলুর –তৃপ্তি, সামিয়া, আর ইকরাকে নিয়ে বাড়িতে গেছেন । আর জেক, সাব্বির, রাহুল*- নিবরকে ধরার জন্য উস খুস করছে । কারন নিরব এখান থেকে পালিয়ে গেছে । প্রায় ঘন্টা খানিক আগে নিবর দেশ থেকে পালানোর জন্য ঢাকা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে । কিন্তু নিরব তো আর যানে না যে,,, ঢাকা তেই তার যম দারিয়ে আছে । নিলয়ের (মিমের স্বামীর) থেকে নিরবের বেপারে সব শুনে,, নিরবের একটা পিক নিয়ে নিয়েছে জেক । সেই পিক ওয়াসআপ এ পাঠিয়ে দিয়েছে রাশেদের কাছে । আর সব কিছু খুলে বলেছে জেক রাশেদকে । সব শুনে রাশেদ আর সুজন পুরো রাগে আগুন হয়ে আছে । তারা এখন অপেক্ষায় আছে কোন সময় নিরবের গাড়ি ঢাকা শহরে ঢুকবে । আর কোন সময় তারা নিরবকে ইচ্ছা মতো কেলানি দিবে । কিন্তু নিদ্রকে যারা মেরে ছিল তাদের এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি । এদিকে ইমন নিদ্রকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ঔষধ লিখে দিচ্ছে । আর ইমনের পাসে দারিয়ে আছে একজন নার্স,, জিনি ঔষধ গুলো বুঝে নিচ্ছেন । কেবিনের ভিতরে এখন সুধু নীলা আর সালমা আছেন । নীলার তো গা জ্বলে যাচ্ছে নার্সকে দেখে । কারন নার্স ইমনের গায়ের সাথে ঘেষেঁ ঔষধ গুলো বুঝে নিচ্ছে । নীলা এখন উস খুস করছে কখন ইমন কেবিন থেকে বেরিয়ে ডক্টরের কেবিনে যাবে । আর কখন সে ইমনকে কয়েক’টা কথা শুনাতে পারবে । এদিকে ইমন নীলাকে আরো জ্বেলাশ ফিল করানোর জন্য সে নার্সের সাথে ঘেঁষে দারিয়ে কথা বলছে । অতপর সেই কাংখিত সময় আসলো । ইমন কেবিন থেকে বেরিয়ে নিজের ডক্টরি কেবিনের ভিতরে গেছে । নীলা তখন সালমাকে বললো ।

:+আন্টি আপনি একটু বসুন,, আমি আসছি ।(নীলা)

নীলার কথা শুনে নিদ্র নীলার দিকে তাকালো । সালমাও তাকালো । নিদ্র বুঝার চেষ্টা করলো নীলার মনে ঠিক কি চলছে । নিদ্রর তাকানো দেখে নীলা সালমাকে বললো ।

:+আন্টি আমি ডক্টরের সাথে দেখা করে আসছি ।(নীলা)

নীলা এই বলে তাড়াতাড়ি কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল । আর সজিব সালমার কোল থেকে নেমে নিদ্রর মাথার কাছে গিয়ে,, নিদ্রর কানে কানে ফিস ফিস করে বললো ।

:+দুলা’ভাই,,,,, পরি মনে হয় প্রপোজ একসেপ্ট করে নিয়েছে ।(সজিব)

সজিবের কথা শুনে নিদ্র ভ্র-কুঁচকে সজিবের দিকে তাকালো । সজিব আবার বললো ।

:+হ্যাঁ,,,আমার তাই মনে হচ্ছে । কারন যেই ছেলে’টা তোমাকে আর আমাকে চিকিৎসা করতেছে । সেই ছেলে’টাই পরিকে প্রপোজ করেছিল ।(সজিব)

সজিবের কথা শুনে নিদ্র বুঝতে পারলো ছেলে’টা আসলে ইমন । ইমন ছেলে টাই নীলাকে প্রপোজ করেছে । নিদ্র একটা হাসি দিলো । সজিবও তা দেখে হেসে উঠলো । সালমা সজিবকে, নিদ্রর কানের কাছে ফিস ফিস করতে দেখে বললো ।

:+অসুস্থ হয়েছিস । এখনো দুষ্টুমি যায়নি না ।(সালমা)

সালমার কথা শুনে সজিব সালমার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+দুষ্টুমি কোথায় করলাম আম্মু । আমি সুধু ভাইয়ার সাথে একটু কথা বলছি ।(সজিব)

:+হ্যাঁ,,,,আমার যানা আছে আপনি কতো ভালো মানুষ । এখন এদিকে আসুন ঔষধ খেতে হবে ।(সালমা)

সালমা একটু হাসার চেষ্টা করে সজিবকে বললো । সজিব নিজের মাথা চুলকাতে চুলকাতে নিজের বেডের উপর গিয়ে আবার বসে পরলো । নিদ্র ভাবছে তৃপ্তির কথা,,,, ওকে বাড়িতে না পাঠালে কি হতো না । ওকে দেখে দেখে তো তার দিন’টা ভালোই কাটছিলো । একটু পর সালমাও চলে যাবেন সজিবকে নিয়ে । কারন ইমন বলে দিয়েছে । সজিবের এখন কোন সমস্যা নেই । তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে । তিন দিন পর সজিবের কপালের শেলাই কাটা হবে । তাই জেক,, সাব্বির আর রাহুল,,,, সালমাকে বলে দিয়েছে, সজিবকে নিয়ে বাড়িতে চলে যেতে । তারা নিদ্রকে দেখে রাখবে । সালমা প্রথমে আমতা আমতা করলেও পরে মন স্থির করে নেন তিনি তাই করবেন । এদিকে নীলা ডক্টরের কেবিনে এসে দেখলো ইমন একটা চেয়ারে বসে ফোন চালাছে । নীলা কেবিনের ভিতরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিলো । ইমন তা দেখে একটা শুকনো ডোক গিলে নীলার দিকে তাকালো । নীলার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে । নীলা লম্বা লম্বা পা ফেলে ইমনের টেবিলের সামনে গিয়ে দারালো । এরপর টেবিলের উপর দু’হাত ঠেকিয়ে ইমনের চোখে চোখ রেখে বললো ।

:+খুব শখ যেগেছে না,, মেয়েদের সাথে ঘেষা ঘেষি করার ।(নীলা)

ইমন চোখ দু’টো ছোট ছোট করে নীলার দিকে তাকালো । নীলার যেন এতে রাগ আরো বেরে গেলো । নীলা খপ করে ইমনের শার্টের কলার চেপে ধরে বললো ।

:+হারামি, লুচ্চা, তোর যদি এতোই মেয়েদের সাথে ঘেষা ঘেষি করার ইচ্ছে । তাহলে কেন আমাকে প্রপোজ করেছিলি ।(নীলা)

এই বলে নীলা ইমনের শার্টের কলার ছেরে দিয়ে একটা চেয়ারে ধপাস করে বসে পরলো । এরপর দু’হাতের তালু দিয়ে মুখ ঢেকে কাদতে লাগলো নীলা । আর বলতে লাগলো ।

:+এই কারনে মানুষ বলে । প্রথম দেখাতে কখনো কাওকে মন দিতে নেই । তাহলে সে আপনার মন নিয়ে ঠিক খেলা করবে । সে আপনাকে সত্যি কারে কখনো ভালোবাসবে না ।(নীলা)

নীলার কান্না আর কথা গুলো শুনে ইমন শখ খেলো । তার মানে তার নীল পরি তাকে একসেপ্ট করে নিয়েছে । ভেবেই ইমনের কেমন কেমন যেন লাগছে । এতো সহজে তার নীল পরি তাকে একসেপ্ট করে নিবে,, এটা কখনো ভাবেনি ইমন । ইমন নিজের চেয়ার থেকে উঠে দারিয়ে নীলার সামনে এসে হাটু গেরে বসে বললো ।

:+এই যে মিস । আপনার তো আমাকে কল করার কথা ছিল । আপনি তো আমাকে কল করেন নি । তো আমি কি করে বুঝবো যে আমি আপনাকে জয় করতে পেরেছি ।(ইমন)

নীলা তা শুনে মুখ থেকে হাত সরিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো ।

:+কাল থেকে কি রকম পেসারে আছি দেখতে তো পারছেন আপনি । কি করে কল করবো । যাও ভেবে ছিলাম বাড়িতে গিয়ে একটা কল করবো । কিন্তু তাও আর হলো না । ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে । তার উপর নিদ্রর বন্ধুদের সাথে আবার হসপিটালে চলে আসতে হয়েছে । চিঠি টাতে কি লিখা আছে তাও আমি যানি না । কারন সেটা এখনো খুলে দেখা হয়নি । যেভাবে পার্সের মধ্যে রেখে ছিলাম, ঠিক সেই ভাবেই পরে আছে ।(নীলা)

নীলার কথা শুনে ইমন ক্লিয়ার হয়ে গেল তার নীল পরি তাকে ভালোবেসে ফেলছে । ইমন এবার সাহস করে নীলার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো ।

:+আমি যে আপনাকে এতো সহজে জয় করতে পারবো,, এটা আমি কখনো ভাবিনি যানেন ।(ইমন)

এই বলে ইমন নীলার কোলে মাথা রাখলো । নীলা একটু নরে চরে ঠিক হয়ে বসলো । ইমন বললো ।

:+কি যেন বলে ছিলেন আপনি । ও হ্যাঁ,,, আপনার মন নিয়ে আমি খেলা করবো । এটা যদি আপনি ভেবে থাকেন, তাহলে ভুল ভাবছেন । কারন এই ইমন খান কখনো কারো মন নিয়ে খেলা করতে যানে না । তাকে সেই শিক্ষা কখনো দেয়নি তার আব্বু, আম্মু ।(ইমন)

এই বলে ইমন নীলার ডান হাত নিজের বাম হাত দিয়ে ধরে দেখতে দেখতে বললো ।

:+আপনার কাছে আমার সুধু একটাই চাওয়া । আমার আম্মুকে কখনো কষ্ট দিবেন না প্লিজ । ছোট থেকে আমার আম্মু অনেক কষ্ট করে এসেছে । যানেন আপনাকে আমার আম্মু’ই চুজ করেছে । আম্মু সুধু আপনাকে দেখে বলেছিল “দেখ ইমন মেয়ে’টা দেখতে কতো মিষ্টি” । আম্মুর সেই কথা শুনে ফাস্ট টাইম আমি কোনো মেয়ের দিকে অন্য নজরে তাকিয়েছি । সেই নীল বোরখা ওয়ালিকে আমার আম্মু আমার মনে সিল করে দিয়েছে । অনেক ভেবে চিন্তেও তাকে আমার মন থেকে আর বের করতে পারছিলাম না । তাকে হারিয়ে ফেলবো ভয়ে তাড়াতাড়ি বন্ধুদের কাছে বিষয়’টা শেয়ার করি ।তখন বন্ধুরা জোর করে প্রপোজ করতে পাঠিয়ে দেয় । সত্যি বলছি আমি নিজেরও যানি না আপনাকে যেই চিঠি দিয়েছি তাতে ঠিক কি লিখা আছে । কারন আমার বন্ধুরা আমাকে চিঠি’টা লিখে দিয়েছিল । আর আমি যা যা আপনাকে বলে ছিলাম । সব আমার বন্ধুদের সেখানো কথা ছিল ।(ইমন)

কথা গুলো বলে ইমন দম নেয় । নীলা চুপ হয়ে বসে ইমনের কথা গুলো শুনেছে । এই পর্যায় নীলা ইমনের মাথায় হাত রেখে বললো ।

:+আম্মুকে অনেক ভালোবাসেন তাই না ।(নীলা)

ইমন একই ভংগিতে উওর দিলো ।

:+হুম,,,অনেক ।(ইমন)

নীলার এখন কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে । সে ইমনকে আস্তে করে বললো ।

:+আচ্ছা এখন আমাকে ছারুন । আমি এখন যাই ।(নীলা)

ইমন সেই কথা শুনে বললো ।

:+আরো একটু থাকুন না । ভালোই তো লাগছে ।(ইমন)

নীলা এবার ইমনের মাথার চুল গুলো নারাতে নারাতে বললো ।

:+ঢাকায় যাবেন কবে ।(নীলা)

ইমন নীলার ডান হাত’টাকে নিজের বাম গালের সাথে চেপে ধরে বললো ।

:+এখন আর যাওয়া হচ্ছে না । ভেবেছিলাম আগামি কাল চলে যাবো । কিন্তু আপনাদের রুগির লোকেরা,,, মানে নিদ্রর বন্ধুরা আমাকে যেতে দিবে না । তারা বলছে আমাকে এখানে ততদিন থাকতে হবে,, যতদিন না প্রজন্ত নিদ্র সুস্থ হচ্ছে । আর ঢাকায় আমার সব কিছু ওরা সামলে নেবে । আর এমনি তেও আমি এখন আর যাবো না ঢাকায় ।(ইমন)

নীলা ইমনের শেষের কথা শুনে ভ্র-কুঁচকে ইমনের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এখন আর ঢাকায় যাবেন না মানে,,, কেনো যাবেন না ।(নীলা)

:+এখন ঢাকা যাবো না । কারন আমার নীল পরি এখানে থাকবে আর আমি ঢাকায় থাকবো । এটা কখনো হবে না । আমি আমার নীল পরিকে একে বারে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবো ।(ইমন)

নীলা ইমনের কথা শুনে একটু লজ্জ পেল । পরক্ষনে আবার নীলা চমকে উঠলো । ইমন এটা কি বললো । তাকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবে মানে । নীলা এবার ইমনকে আস্তে করে বললো ।

:+বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবেন মানে ।(নীলা)

ইমন একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো ।

:+হুম,, বিয়ে করেই আপনাকে ঢাকায় নিয়ে যাবো ।(ইমন)

নীলা এবার চট করে ইমনের থেকে দুরে সরে এসে দারিয়ে বললো ।

:+তাহলে আমার আব্বু, আম্মুর কি হবে । আমাকে নিয়ে তাদের অনেক সপ্ন । আমি আমার আব্বু, আম্মুর সপ্ন ভাঙতে পারবো না । আমি তাদের এক মাত্র মেয়ে । আমি এই বিয়ে করতে পারবো না । তাদের পারমিশন বেতিত আমি কিছু করতে পারবো না ।(নীলা)

ইমন বসা থেকে উঠে ঠিক হয়ে দারিয়ে বললো ।

:+কি বলছেন আপনি এসব । আপনার আব্বু, আম্মুর থেকে পারমিশন নিয়েই তো আপনাকে বিয়ে করবো ।(ইমন)

নীলা এবার চোখ দু’টো ছোট ছোট করে ইমনের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তাহলে আপনি কেন বলছেন যে । আমাকে এখানে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবেন ।(নীলা)

:+হ্যাঁ,,আপনার আব্বু,,, আম্মুর থেকে পারমিশন নিয়ে আপনাকে বিয়ে করবো । আমার আম্মুকে পাঠাবো আপনার আব্বু,, আম্মুর সাথে কথা বলার জন্য । তারপর আপনাকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যাবো ।(ইমন)

নীলা এখন বুঝতে পারলো ইমন তাকে গ্রামের মেয়ে ভাবছে । নীলা হেসে উঠলো । ইমন নীলার হাসি দেখে বললো ।

:+হাসছেন কেন ।(ইমন)

নীলা নিজের হাসি কিছু’টা আটকে রেখে বললো ।

:+আপনি কি আমাকে গ্রামের মেয়ে ভেবেছেন ।(নীলা)

:+হ্যাঁ,,, কেন আপনার বাড়ি গ্রামে না ।(ইমন)

নীলা হাসতে হাসতে ইমনের সামনে এসে দারিয়ে বললো ।

:+না,,, আমার বাড়ি গ্রামে না ।(নীলা)

ইমন এবার একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে বললো ।

:+তাহলে আপনার বাড়ি কোথায় ।(ইমন)

নীলা আবার চেয়ারে বসে পরলো । এরপর নিজের বেপারে ইমনকে আস্তে আস্তে সব খুলে বললো । ইমন সব সুনে মাথায় হাত দিয়ে একটা চেয়ারে বসে পরলো । সে ভেবেছিল নীলা হয়তো গ্রামের ভোলা ভালা সাদা সিদ্ধে মেয়ে । কিন্তু একি হয়ে গেল ।

:+তাহলে আপনাকে প্রতি নিয়োত ট্রিপমেন্ট করতে হবে আমাকে । হায় আল্লাহ শেষে কি না একটা মেন্টের বউ জুটলো আমার কপালে ।(ইমন)

উপরের দিকে তাকিয়ে বললো ইমন । নীলা রাগে গজগজ করতে করতে বলে উঠলো ।

:+এই,, কি,,, বললেন,,, আপনি,,,,।(নীলা)

ইমন একটা শুকনো ঢোক গিলে বললো ।

:+না মানে,,, যারা টিকটক করে তাদের নাকি মেন্টালি সিক বলে শুনছি । মানে তারা নাকি পাগল ।(ইমন)

ইমনের কথা গুলো শুনে নীলা আরো রেগে গিয়ে বললো ।

:+কি,,, আপনি আমাকে পাগল বললেন । যান আপনার সাথে ব্রেকাপ । লাগবে না আমার ভালোবাসা । লাগবে না আমার কারোর ।(নীলা)

রাগে পুরো আগুন হয়ে গেছে নীলা । কথা গুলো বলে চেয়ার থেকে উঠে দারালো নীলা । এরপর কেবিন থেকে বেরোনোর জন্য পা বারাতে নিলে । ইমন এসে নীলাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো । নীলা কেপে উঠে দারিয়ে গেল । শরীর যেন সামনের দিকে চলতে নারাজ । পুরো হিম হয়ে দারিয়ে গেল নীলা । ইমন নীলার ঘারে নাক ডুবিয়ে দিয়ে ঘোর লাগানো কন্ঠে বললো ।

:+পাগল হন,, আর যাই হন । একবার যেহেতু মনের মাঝে সিল হয়ে গেছেন । সেহেতু ছেরে দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না ।(ইমন)

ইমনের কথা শুনে নীলার আবার মুড খারাপ হয়ে গেল ।

:+আপনি আবারও আমাকে পাগল বললেন ।(নীলা)

কাপালো কন্ঠে বললো নীলা । যেন এবার কেদেই দিবে । ইমন কিছু না বলে নাক ডুবিয়ে দিলো নীলার খোলা চুল গুলোতে । নীলা কাদালো কন্ঠে আবার বললো ।

:+সামান্য একটু ভিডিও করি বলে । আমি পাগল হয়ে গেলাম ।(নীলা)

ইমন নীলার কানের কাছে মুখ নিয়ে ঘোর লাগানো কন্ঠে বললো ।

:+পাগল আপনি হন নি । পাগল এবার হয়েছি আমি । আপনি আমাকে পাগল করে দিচ্ছেন ।(ইমন)

নীলা ইমনের কথা শুনে বেস লজ্জ পেয়ে গেল । লজ্জায় যেন মাটির সাথে মিসে যেতে ইচ্ছে করছে নীলার । চট করে ইমনকে ধাক্ক দিয়ে নিজে থেকে ছারিয়ে কেবিন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গেল নীলা । ইমন সুধু তাকিয়ে রইলো নীলার যাওয়ার পানে ।

—————————————-

রাত ২ টা বেজে ১২ মিনিট………….
কেবিনের ভিতরে পুরো পিনপিন নিরোবতা । রাহুল আর সাব্বির ঘুমিয়ে আছে সজিবের বেডের উপর । কারন সজিব এখন নেই । সন্ধায় নীলা,সজিব আর সালমা বাড়িতে চলে গেছে । ইমন তাদের নিয়ে গেছে । জেক একটা চেয়ারে বসে নিজের ল্যপটপে গেম খেলছে । নিদ্র নিঃশব্দে ঘুমোচ্ছে । হঠাৎ জেকের ল্যপটপে কল আসলো । জেক তাকিয়ে দেখলো রাশেদ কল করছে । জেক তাড়াতাড়ি কল রিসিপ করলো । সাথে সাথে নিরবের রক্তাক্ত শরীর ভেসে উঠলো জেকের ল্যপটপে । জেক বললো ।

:+কি করে ধরলি ওকে রাশেদ ।(জেক)

অপর পাস থেকে রাশেদ বললো ।

:+তোদের কথা অনুযায়ী আমি আর সুজন এয়ারপোর্টের সামনে ছেলে পেলে নিয়ে দারিয়ে ছিলাম । রাত ১টায় সালা এয়ারপোর্টে আসে । তখনি ধরেছি ।(রাশেদ)

:+রাশেদ ,,মেরে ফেছিস নাকি ওকে । এমন রক্ত পরছে কেন ।(জেক)

অপর পাস থেকে রাশেদ বললো ।

:+আরে না জীবিত আছে এখনো । তবে বেশিখন জীবিত থাকবে কিনা যানি না ।(রাশেদ)

রাশেদের কথা শুনে জেক অবাক হয়ে বললো ।

:+বেশিখন জীবিত থাকবে কিনা যানি না,, মানে ।(জেক)

:+মানে আমি সালাকে এখন মেরে ফেলবো ।(রাশেদ)

চট করে রাগালো কন্ঠে বলে উঠে রাশেদ । জেক রাশেদকে বললো ।

:+না না । রাশেদ আমার কথা শুন ।(জেক)

রাশেদ অপর পাস থেকে আবার বললো ।

:+আমি কোন কথা শুনবো না । সালার এতো বড় সাহস । আমাদের বন্ধুর গায়ে হাত দেয় ।(রাশেদ)

জেক এবার রাশেদকে বুঝ দিয়ে বললো ।

:+রাশেদ আমার কথা শুন । সালাকে এখন তুই কিছু করিস না । আগে নিদ্র সুস্থ হোক । তারপর নিদ্রর হাতে ওকে মারাবো । এদিকে যেই ছেলে গুলা নিদ্রকে মেরেছিল সব কয়’টাকে কুপিয়ে যমের দরজায় পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের ছেলে পেলেরা । এখন একে নিদ্রর জন্য রেখেদে । ক্লাবের গোপন রুমে সালাকে ফেলে রাখ ।(জেক)

:+কিন্তু জেক,,,,,,।(রাশেদ)

রাশেদকে থামিয়ে দিয়ে জেক আবার বললো ।

:+আমি যা বলছি তাই কর । আমরা ঢাকায় ফিরে ওর বেবস্তা করবো । এখন তুই কোন ভুল ভাল ডিসিশন নিস না । আমাদের জন্য ওয়েট কর ।(জেক)

:+ঠিক আছে । তাহলে সালাকে এখন ক্লাবের গোপন রুমে ফেলে রাখি ।(রাশেদ)

রাশেদের কথা শুনে জেক বললো ।

:+হুম রাখ । তবে খেয়াল রাখিস আবার মরে টরে যেন না যায় । আর শুন পোলা পানদের পাঠিয়ে দিয়েছি ঢাকায় । ওদের আর এখানে কোন কাজ নেই । তাই ওদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি ।(জেক)

:+বুঝচ্ছি,,,আচ্ছা রাখছি তাহলে ।(রাশেদ)

:+হুম,,, ভালো থাকিস,, বায় ।(জেক)

এই বলে জেক কল কেটে দিলো । এরপর চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো । ঘুমে চোখ বুঝে আসছে জেকের । সুধু রাশেদের এই কল’টার জন্য এতোখন অপেক্ষা করছিল সে । চেয়ারে গা এলিয়ে দিতেই ঘুমের দেশে তলিয়ে যায় জেক ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here