#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________28
:+ওহ,,, হো,,,,তাহলে এই কারনে তুই রেগে আছিস । আরে বেটা আমাদের আগে বলবি তো । যে ওটা আমাদের ভাবি হয় ।(সাব্বির)
নিদ্র মুখে হাত দিয়ে দুই হাটুতে দুই হাতের কনুই ঠেকিয়ে বললো ।
:+কমেন্ট গুলো দেখার পর আমার মাথা গরম হয়ে গেছিল । তাই এমন করে ফেলছি । সুধু সুধু আমি আমার জানরে মারলাম ।(নিদ্র)
:+আর সুধু সুধ আমার মোবাইলটা ভাঙলি ।(সুজন)
জেক নিদ্রর পাসে বসে নিদ্রর কাধে হাত রেখে বললো ।
:+দেখ নিদ্র নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে সেখ । তোর এভাবে ভাবিকে মারা উচিত হয়নি । তোর কথা সুনে এতো টুকু বুঝলাম যে ভাবির এসব বিষয়ে কোন আইডিয়া নেই । অতএব তোকে শান্ত হয়ে ভাবিকে এসব বিষয়ে বুঝাতে হবে ।(জেক)
রাশেদ রাহুলের কোল থেকে মাথা তুলে জেককে একবার দেখে মাথা নারিয়ে বলে উঠলো ।
:+কুকুর দিচ্ছে বিরালরকে ঙ্গেয়ান । বলছে বিরাল তুই মাছ খাস না । আমি মুরগির হাড্ডি চাবিয়ে যাবো ।(রাশেদ)
রাশেদের কথা সুনে হেসে উঠলো সবাই । জেক রাশেদের দিকে চোখ গরম করে তাকালো । নিদ্র মুখে হাত রেখেই, হাতের তালু দিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো ।
:+ভাই আসবো ।(সাদমান)
হঠাৎ সাদমানের গলার আওয়াজ সুনে ক্লাবের দরজার দিকে তাকালো সবাই । দেখেল সাদমান ল্যাপটপ হাতে নিয়ে দারিয়ে আছে । রাশেদ বললো ।
:+হ্যাঁ,,,,,, আয় ।(রাশেদ)
সাদমান ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করলো । এরপর জেকের পাসে এসে দারিয়ে জেককে বললো ।
:+ভাই আমাকে ডেকেছেন কেন ।(সাদমান)
:+আমি তোরে ডাকি নাই । নিদ্র তোরে ডাকছে তুই নিদ্রর সাথে কথা বল ।(জেক)
নিদ্র চেয়ার থেকে উঠে দারিয়ে সাদমানকে বললো ।
:+আমার সাথে আয় সাদমান ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র ক্লাবের একটা রুমের দিকে হাটা ধরলো । সাদমান সুকনো একটা ঢোক গিলে জেকের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+ভাই,,,, নিদ্র ভাই কি কোন কারনে রেগে আছে ।(সাদমান)
:+রাগে তো আছে । কিন্তু এখন ওর রাগের সমাধান তুই করবি ।(জেক)
সাদমান চোখ বড় বড় করে জেকের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+ভাই,,, আমি কি করে উনার রাগ ভাঙাবো ।(সাদমান)
সাদমানের কথা সুনে সুজন সাদমানকে বললো ।
:+ভাই তুই এখন যা নিদ্রর কাছে । না হলে ও আবার আমাদের উপর মেও মেও সুরু করে দেবে । ওখানে গেলেই তুই বুঝতে পারবি তুই কি করে ওর রাগ ভাঙাবি ।(সুজন)
সাদমান আর কথা না বলে সবার দিকে একবার তাকিয়ে নিদ্র যেই রুমের দিকে গেছে সেই রুমের দিকে হাটা ধরলো । অতপর সেই রুম আসলো সে । এসে দেখলো নিদ্র একটা চেয়ারে মাথা নিচু করে বসে আছে ।
:+ভাই,,,,,।(সাদমান)
নিদ্র মাথা তুলে সাদমানের দিকে তাকালো । এরপর বললো ।
:+তোকে একটা টিকটক আইডি হ্যেক করতে হবে । ওই আইডি থেকে একটা ভিডিও ডিলিট করতে হবে ।(নিদ্র)
সাদমান অবাক হয়ে নিদ্রর সামনে এসে দারিয়ে বললো ।
:+ভাই,,, বাচ এতো টুকু । আমি তো ভেবে ছিলাম কি না কি ।(সাদমান)
:+কেন তুই এটা করতে পারবি না ।(নিদ্র)
:+কি যে বলেন না ভাই । একটা আইডি হেক করতে মাত্র আমার এক মিনিট সময় লাগবে । কিন্তু আমার আবাক লাকছে । আপনি তো আমাকে এমন সাধারন কোন কাজের জন্য ডাকতেন না । তাহলে আজ কেন । আমি কিছু বুঝতে পারছি না ভাই ।(সাদমান)
:+আসলে আমার ল্যাপটপ’টা ভেঙে গেছে এখনো কিনতে পারিনি । প্রয়োজন না পড়ায় আর কেনাও হয়নি । জেকও আজ ওর ল্যাপটপ আনেনি ।(নিদ্র)
সাদমান একটা টেবিলের উপর নিজের ল্যাপটপ রেখে বললো ।
:+আচ্ছা ভাই বাদ দেন । এখন বলেন কার আইডি হেক করতে হবে । আমার আবার মেচে যেতে হবে । আমি যাদের পরাই তাদের বসিয়ে আসছি ।(সাদমান)
নিদ্র একটা চেয়ার দেখিয়ে সাদমানকে বললো ।
:+ ওখানে আগে বস ।(নিদ্র)
সাদমান চুপচাপ বসে পরলো ।
:+আমাদের বাসার ভারাটিয়া নীলাকে তুই চিনিস ।(নিদ্র)
:+হ্যাঁ,,,, ভাই চিনি । ওই যে টিকটকার নীলা । কিন্তু কেন ভাই ।(সাদমান)
:+ওর টিকটক আইডি তোকে হেক করতে হবে ।(নিদ্র)
সাদমান অবাক হয়ে বললো ।
:+কেন ভাই । ও কি করছে ।(সাদমান)
:+বেসি কথা না বলে তুই চুপচাপ ওর আইডি হেক কর । তারপর ওই আইডি থেকে আজ যেই টিকটক ভিডিও ছারা হয়েছে সেই টিকটক ডিলিট করে দে ।(নিদ্র)
:+ঠিক আছে ভাই ।(সাদমান)
এই বলে সাদমান নিজের কাজ সুরু করলো । নিদ্র চেয়ার থেকে উঠে সাদমানের পিছনে এসে দারালো । রুমে থাকা পাখা’টা সা সা করে ঘুরছে । দুই মিনিট পর সাদমান বললো ।
:+ভাই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছি । আর কিছু করতে হবে ।(সাদমান)
সাদমানের কথা সুনে নিদ্র জোরে একটা নিশ্বাস ছারলো । এরপর কিছু একটা ভেবে শয়তানি হাসি দিয়ে সাদমানকে বললো ।
:+সাদমান ওর আইডিটা লক করে দে । যাতে ও আর এই আইডি ইউচ করতে না পরে ।(নিদ্র)
:+ভাই ।(সাদমান)
:+যেটা বলছি সেটা কর ।(নিদ্র)
:+আচ্ছা ।(সাদমান)
এই বলে সাদমান নীলার টিকটক আইডি লক করে দিলো । এমন ভাবে লক করলো যে নীলা টিকটকে ঢুকলেই ওকে টিকটক থেকে বের করে দিবে ।
:+ভাই কাজ হয়ে গেছে ।(সাদমান)
:+ঠিক আছে তুই এখন যা । আর এনে ।(নিদ্র)
সাদমানের হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললো নিদ্র । সাদমান টাকা গুলো হাতে নিয়ে নিদ্রর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো ।
:+ভাই এসব কি । আমি কি বলছি আমাকে টাকা দিতে হবে ।(সাদমান)
নিদ্র সাদমানের পাসে এসে তার কাধে হাত রেখে বললো ।
:+ভেবেনে তোর কোন বড় ভাই তোকে খুশি হয়ে টাকা দিয়েছে । এটা তোর পারিশ্রমিক হিসেবে নয় । আর এখনো তুই স্টুডেন্ট তোর টাকার দরকার আছে ।(নিদ্র)
:+কিন্তু,,,,,,,,,,।(সাদমান)
:+কোন কিন্তু না । এবার যা । তোর ছাত্ররা হয়তো বসে আছে তোর জন্য ।(নিদ্র)
সাদমান আর কোন কথা বললো না । সে সোজা রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । নিদ্রও সাদমানের পিছু পিছু বেরিয়ে আসলো । রাহুল নিদ্র আর সাদমনাকে বাহিরে বেরিয়ে আসতে দেখে বললো ।
:+কিরে কাজ হয়ে গেছে ।(রাহুল)
সাদমান একটা হাসি দিয়ে বললো ।
:+আজ প্রজন্ত কোন কাজ অসম্পূর্ণ করে ফিরেছি ভাই ।(সাদমান)
নিদ্র পিছন থেকে সাদমানকে বললো ।
:+সাদমান তুই যা । না না না । দারা দারা । তোর সেমিট্রার কবে শেষ হবে ।(নিদ্র)
:+এই তো আর মাত্র দু’মাস আছে ।(সাদমান)
:+জব চাই ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা সুনে সাদমানের চোখ ছল ছল করে উঠে । সে নিজের ডান হাত দিয়ে ঘার ডলতে ডলতে নিচের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+ভাই একটা জবের খুব প্রয়োজন । আব্বু আম্মু অনেক হিম সিম খাচ্ছে আমার পড়া লেখার খরচ চালাতে । টিউশনির টাকা দিয়ে আর হচ্ছে না ।(সাদমান)
:+ঠিক আছে,,,,,, তুই পরসু । #ANF_GROUP_OF_COMPANY তে চলে যাস । তোর জব হয়ে যাবে ।(নিদ্র)
:+ভাই,,,,,,।(সাদমান)
:+চলে যাস,,,,। আমি পাপাকে বলে দেবো ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা সুনে সাদমান সোজা এসে নিদ্রকে জরিয়ে ধরলো ।
:+থ্যাংস ইউ ভাই । আমার একটা জবের এখন খুব প্রয়োজন ছিল ।(সাদমান)
নিদ্র সাদমানের পিঠে হাত রেখে বলে উঠলো ।
:+আরে বেটা থাম এবার । তোর ছাত্ররা বসে আছে তোর জন্য তারাতাড়ি যা । আর পরসু ঠিক সকাল ১০টায় ওখানে পৌছে যাবি । আর গিয়ে আমার কথা বলবি পাপাকে ।(নিদ্র)
:+ঠিক আছে ।(সাদমান)
:+এবার যা ।(নিদ্র)
সাদমান নিদ্রকে ছেরে দিয়ে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসলো । চোখের পানি মুছে পকেট থেকে ফোন বের করে তার আম্মুকে কল করলো ।
:+হ্যালো আম্মু ।(সাদমান)
:+কেমন আছিস বাবা তুই ? খেয়েছিস এখনো ? পড়া লেখা কেমন চলছে ?(সাদমানের আম্মু)
:+আহ আম্মু আসতে । আমি ভালো আছি । পড়া লেখাও ঠিক মতো চলছে । আর এখনো কিছু খাইনি একটু পড় খাবো । সুনো আম্মু তোমাদের জন্য একটা খুশির খবর আছে ।(সাদমান)
:+খুশির খবর,,,,,,কি খুশির খবর বাবা । এই দারা দারা,,, তুই আবার বিয়ে টিয়ে করে ফেলিস নি তো । ঢাকা গিয়ে আমাদের ভুলে যাসনি তো । তোর বাবা কতো কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তোকে এতোদুর প্রজন্ত পরা লেখা করাচ্ছে । মাঠে কাজ করে মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করে তোকে এতো দুর প্রজন্ত পড়াচ্ছি আর তুই,,,,। দেখ বাবা তোর বাবা এই কথা সুনলে অনেক কষ্ট পাবে,,,,,।(সাদমান আম্মু)
সাদমান চোখের পানি মুছে বললো ।
:+ আম্মু তুমি এসব কি বলছো । আমি তোমাদের কেন ভুলে যাবো । তোমরাই তো আমার সব । আমি তো বলতে চাচ্ছি । আমি জব পেয়ে গেছি ।(সাদমান)
থমকে যায় সাদমানের আম্মু ।
:+কি,,, কি বললি বাবা । এরো একবার বল ।(সাদমানের আম্মু)
:+হ্যাঁ,,,আম্মু তুমি যা সুনছো সত্যি সুনছো । আমাদের এখান কার এক বড় ভাই তাদের কোম্পানিতে আমাকে জব দিয়েছে । এখন থেকে আর তোমাদের কষ্ট করতে হবে না আম্মু । আমি তোমাদের সব কষ্ট দুর করে দেবো । আর আব্বুকে মাঠে কাজ করতে দেবো না । কারো থেকে আর ধার দেনা করতে দেবো না ।(সাদমান)
ফোনের ওপাসে সাদমানের আম্মুর কান্নার আওয়াজ সুনা যাচ্ছে । এটা দুঃখের কান্না নয় এটা সুখের কান্না । নিজে না খেয়ে ছেলেকে এতোদুর প্রজন্ত পড়াচ্ছে সাদমানের বাবা মা । সাদমানের মা কাপড়ের আচল দিয়ে চোখের পানি মুছে বললেন ।
:+আচ্ছা বাবা তুই সত্যি বলছিস তো । নাকি আমাদের সান্ত্বনা দিচ্ছিস ।(সাদমানের আম্মু)
:+আম্মু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করছো না । আমি আগামি পরসু তাদের কোম্পানিতে যাচ্ছি জয়েন হবার জন্য । উনি নিজে আমাকে বলছে তাদের কোম্পানিতে যেতে । তার আব্বুর সাথে দেখা করতে বলছে । তাহলে নাকি আমার জব হয়ে যাবে ।(সাদমান)
:+আজ কাল মানুষের কথার দাম নেই বাবা । আগে তুই পরসু গিয়ে তার সাথে দেখা কর তারপর বলিস ।(সাদমানের মা)
:+আম্মু সব মানুষকে এক ভেবো না । কিছু কিছু মানুষ আছে তাদের কথা আর কাজ একই হয় । আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না । কিন্তু আম্মু,,,,, নিদ্র ভাইয়া এমন না । উনার কথা যেমন কাজও তেমন । আমি সপ্নেও ভাবিনি তাদের কোম্পানিতে আমার জব করার সোভাগ্যো হবো ।(সাদমান)
:+সত্যি যদি এমন হয় । তাহলে আমি নিজে গিয়ে সেই ছেলেটাকে দেখে আসবো । যে এখন আমাদের বিপদের দিনে পাসে দারাচ্ছে ।(সাদমান আম্মু)
:+আচ্ছা আম্মু এখন আমি কল রাখছি । আমাকে মেচে যেতে হবে ছাত্রদের বসিয়ে এসছি । পরে কথা বলবো আবার । আর আমার জন্য দোয়া করো যাতে আমি তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি ।(সাদমান)
:+ সব সময়ি তোর জন্য দোয়া করি । তুই আমার এক মাত্র সন্তান । তোর জন্য দোয়া করবো না তো কার জন্য দোয়া করবো । আচ্ছা এখন রাখ । আর তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে নে রাত তো কম হলো না ।(সাদমানের মা)
:+আচ্ছা আম্মু ।(সাদমান)
এই বলে সাদমান কল কেটে দিয়ে পকেটে আবার ফোন পুরে নিলো । এরপর চোখের পানি মুছে ক্লাবের সামনে থেকে পা বারালো মেচের দিয়ে । এতোখন প্রজন্ত নিদ্র দু’হাত বুকে ভাজ করে ক্লাবের দরজার সাথে হেলান দিয়ে দারিয়ে সাদমানকে দেখছিল আর তার কথা গুলো সুনছিল । নিদ্রর পাসে দারিয়ে জেক, রাহুল, সুজন, রাশেদ, সাব্বির । সুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল সাদমান আর নিদ্রর দিকে । সাদমান চলে যেতেই রাহুল বললো ।
:+খুব ভালো একটা কাজ করলি নিদ্র আজ তুই । সত্যি কাওকে উপর থেকে দেখে বুঝা যায় না । তার মনের ভিতরে কি চলছে ।(রাহুল)
সাব্বির বলে উঠলো ।
:+আমি তো এসব কোন দিনও ভাবিনি । নিদ্র তুই সাদমানের এই দিক’টা যানতি তাই না ।(সাব্বির)
নিদ্র সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বললো ।
:+এই ছেলেটাকে গত এক মাস ধরে আমি ফলো করছি । ওকে ফলো করে ওর সম্পর্কে সব কিছু যেনেছি ।(নিদ্র)
জেক অবাক হয়ে বললো ।
:+তুই ওকে ফলো করছিলি কেন ।(জেক)
নিদ্র সোজা হয়ে দারিয়ে বললো ।
:+ওকে ফলো করার একটা কারন ছিল । একদিন আমি রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলাম । তখন ওকে একটা মেয়ের সাথে রূট ব্যাবহার করতে দেখি । তখন আমার ওর উপর সন্দেহ হয় । এরপর আমি ওকে ফলো কি । আর ফলো করে যানতে পারি ও যে মেয়ের সাথে রূট ব্যাবহার করছে সেই মেয়ে ওকে ডিস্টার্ব করতো । আর এও যানতে পারি যে ও নিজে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করছে । একটা জব খুজতে খুজতে পাগল হয়েছে । কিন্তু কেও ওকে একটা জব দেয়নি । আর বোকা পাঠা আমাদের কোম্পানির ধারে কাছেও যায়নি । কারন আমাদের কোম্পানি বড় হওয়ায় । ও ভেবেছে ও ওখানে গেলে জব পাবে না । কিন্তু আমি তো পাপাকে আগেই বলে রেখেছি । যে ও যদি আমাদের কোম্পানিতে যায় তাহলে ওকে যেন একটা কাজ দেয় । কিন্তু ও আমাদের কোম্পানির ধারে কাছেও যায়নি । অবশেষে টিউশনি করানো সুরু করে । এই হলো ওর কাহিনি ।(নিদ্র)
সব সুনে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো সবাই । রাশেদ বলে উঠলো ।
:+দরজায় না দারিয়ে ভিতরে চল । ভিতরে বসে কথা বলি ।(রাশেদ)
:+আমি আর এখন ভিতরে যাবো না । বাসায় যাবো ভালো লাকছে না । আমার কিউডির ঙ্গেন ফিরেছে কিনা কে যানে ।(নিদ্র)
:+ওহহহহহহহহহহহহহহ । ভাবিইইইইইইইর কথাআআআআ মনেএএএএএএ পরছেএএএএএএএ।(সবাই এক সাথে)
সবাই এক সাথে চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+ওই তোরা থাম । বাহিরের সবাই কি ভাবে তাকিয়ে আছে দেখছিস ।(নিদ্র)
শেষের কথা নাক খুটে দাঁতে দাঁত চেপে বলে নিদ্র । নিদ্রর কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল । বাহিরে তাকিয়ে দেখলো অনেকেই তাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । নিদ্র ক্লাবের দরজার পাস থেকে বাইকের কাছে আসলো ।
:+আমি গেলাম আজ আর দেখা হবে না ।(নিদ্র)
সাব্বির বলে উঠলো ।
:+ওই থাম একটু ।(সাব্বির)
নিদ্র বাইকে উঠে বসলো । আর সাব্বির নিদ্রর কাছে আসলো । বাকিরা আবার ক্লাবের ভিতরে চলে গেল ।
:+কি হইছে ,,,, কিছু বলবি ।(নিদ্র)
:+এই নে তোর ফোন ।(সাব্বির)
সাব্বির পকেট থেকে নিদ্রর ফোন’টা বের করে নিদ্রর হাতে দিলো । নিদ্র অবাক হয়ে সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+আমার ফোন তুই কৈ পেলি ।(নিদ্র)
:+আরে সালা এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি । তুই যখন রাগ দেখিয়ে ক্লাবের মধ্যে টেবিল’টা উপরে ফেলে দিলি তখন তোর ফোন’টা উরে এসে আমার বুকের উপর পরে আর আমি ওটাকে কেচ করে নেই । তোর ভাগ্য ভালো এতোখন প্রজন্ত সুজন যানতে পারেনি যে তোর ফোন আমার কাছে আছে । যদি যানতে পারতো তাহলে তোর ফোনও ও ভেঙে ফেলতো ।(সাব্বির)
নিদ্র একটু হেসে বললো ।
:+দ্যা গ্রেট দোস্ত । আচ্ছা আমি গেলাম ।(নিদ্র)
সাব্বির আবার ক্লাবের দিকে পা বারিয়ে বললো ।
:+ওই সুন কে যেন বার বার কল করছিল তোর ফোনে । নাম্বার সেভ না থাকায় আমি কল রিসিপ করিনি ।(সাব্বির)
:+কি বলিস । আমার ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে তো কল আসার কথা না ।(নিদ্র)
অবাক হয়ে বলে নিদ্র । সাব্বির তাচ্ছল্য হেসে বললো ।
:+আমি কি যানি চেক করে দেখ । নাম্বার’টা চিনলেও চিনতে পারিস । হতে পার তোর পিছনে আবার কোন মেয়ে পরেছে । তোর তো সালা কন্যা রাশি আমাদের দিকে তো কোন মেয়ে ফিরেও তাকায় না ।(সাব্বির)
নিদ্র পকেটে ফোন ঢুকিয়ল সাব্বিরের উদ্দেশ্য একটা হাসি দিয়ে বাইক ইস্টাড দিলো । অতপর নিদ্র বাইক নিয়ে বাসার সামনে আসলো । বাইক থেকে নামতেই পকেটে ঘো ঘো ঘো আওয়াজ হতে লাগলো । নিদ্র বুঝতে পারলো ফোন’টা সাইলেন্ড করা । পকেট থেকে ফোন বের করে হাতে নিয়ে দেখলো অচেনা নাম্বার থেকে ফোন । নিদ্র ফোনে টাইম দেখলো রাত ৯.৩৯ বাজে…..নিদ্র কল’টা রিসিপ করে কানে ধরলো । ফোন কানে ধরতেই ওপাস থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ ভেসে এলো ।
:+এতোবার কল দিলাম । কল’টা ধরছিলেন না কেন,,,,।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
(।কপি করা নিষেধ।)
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]