#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________45
:+রাহুল ভাইয়া আপনি একটু সামিয়াকে ধরুন । আমি নিদ্র ভাইয়ার কাছে যাচ্ছি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে রাহুল যেন, না চাইতেই হাতে চাঁদ পেয়ে গেলো । রাহুল তো এটাই চেয়ে ছিল । ইমন নীলাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ।
:+বাসায় যদি কোন টক জিনিস থাকে তাহলে নিয়ে এসো ।(ইমন)
নীলা আচ্ছা বলে চলে গেল । আর রাহুল সামিয়ার কাছে গিয়ে সামিয়ার মাথা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরলো। জেক তখন ইমনের পাসে এসে বসে বললো ।
:+দৃশ্য’টা অমাইক ।(জেক)
জেকের কথা শুনে ইমন অবাক হয়ে বলে উঠলো ।
:+মানে ।(ইমন)
জেক সাব্বির আর রাহুলের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+মানে হলো । নিদ্র তার প্রিয়তমাকে নিয়ে বাড়ির ভিতর চলে গেছে । আর সাব্বির তার প্রিয়তমাকে ধরে আছে যাতে তার সমস্যা না হয় । আর এদিকে আমাদের রাহুল দা চাচ্ছে নিজের লাইন ক্লিয়ার করে রিলেশনে যেতে । মানে তিনিও তার প্রিয়তমাকে ধরে রেখেছে যাতে তার সমস্যা না হয় । আর আপনার তো মিয়া নীলার সাথে অলরেডি চলছে,,,,। এটা কি আমরা বুঝি না । আচ্ছা যাই হোক,,,। আমি তাই বললাম দৃশ্য’টা অমাইক ।(জেক)
জেকের কথা শুনে ইমন নিজের মাথা চুলকে মুচকি হেসে উঠলো । সাব্বির আর রাহুল জেকের দিকে চোখ গরম করে তাকালো । জেক তখন একটা গ্লাসে কোক মানে বিয়ার ঢালতে ঢালতে বললো ।
:+আজ আমার জানু দুরে বলে,,,, এই দৃশ্য দেখ কে মেরে আখো মে আচু আ গায় আ ।(জেক)
এই বলে জেক গ্লাস থেকে বিয়ার পান করলো । পর পর দুই গ্লাস খেয়ে জেকের অবস্থা কাহিল । জেক তখন রাহুল আর সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+সালা’রা,,, এটার সাথে পানি মিসাশ নি ।(জেক)
জেকের কথা শুনে সাব্বির আর রাহুল ডানে বামে মাথা নারালো । মানে বিয়ারের সাথে তারা পানি মিসায় নি । জেক তখন মাথায় হাত দিয়ে বললো ।
:+তার মানে এরা পুরো রগ খেয়েছে । পানি মিসা’নো না ।(জেক)
সাব্বির আর রাহুল আবারো ডানে বামে মাথা নারালো । জেক এবার আর কিছু বলতে পারছে না । তার মাথা অলরেডি ঘুরা শুরু করে দিয়েছে, চোখের সামনে সব উলট পালট হয়ে যাচ্ছে । জেক হেলতে দুলতে একটা টেবিলের উপর ধপাস করে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে গান ধরলো ।
:+ও ও ও নেশা,,,।
নেশা আ আ আ আ,,,।
ও ও ও নেশা,,,।
নেশা আ আ আ আ,,,।
নেশা নেশা লেগেছে প্রেমের নেশা,,,।
আজ লাইলি নাই বলে, আমি খাচ্ছি শসা,,,।
আর আমার বন্ধু’রা তাদের লাইলি নিয়ে করছে মজা ।(জেক)
জেকের নেশা ভরা কন্ঠের গান শুনে ইমন হো হো করে হেসে উঠলো । সাব্বির, আর রাহুলও হেসে উঠলো । জেক তখন নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে নিজের গালফ্রেন্ড মানে সুজনের বোন সাথিকে কল করলো । কিছুখন রিং হবার পর সাথি কল রিসিপ করলো । কল রিসিপ করেই সাথি বলে উঠলো ।
:+হ্যালো জানু, কি করো ? খেয়েছো ? এতো রাতে কল করেছো কেন জানু । আমার কথা বুঝি খুব মনে পরছে ।(সাথি)
সাথির কথা শুনে জেক নেশা ভরা কন্ঠে বললো ।
:+খুব মনে পরছে জানু । আর রাত কোথায় জানু,, এখন তো দিন ।(জেক)
সাথি জেকের কথা শুনে বলে উঠলো ।
:+আমাদের এখানে এখন দিন ঠিক আছে । কিন্তু তোমাদের ওখানে তো এখন রাত । এতো রাতে কল করছো কেন । কম পক্ষে আমার মনে হয় তোমাদের ওখানে এখন রাত ২টা বাজে । তুমি ঘুম মিস করো কেন,,, তোমাকে না বললাম ঠিক মতো ঘুমুতে । এই এক মিনিট,,,,,, এক মিনিট,,,,,,। তুমি কি নেশা করছো । এমন ভাবে কথা বললে কেন ।(সাথি)
কিছু’টা রাগি কন্ঠে শেষের কথা বলে উঠলো সাথি । সাথির কথা শুনে জেক ভয়ান্তক নেশা ভরা কন্ঠে বললো ।
:+আপনি যার সাথে কথা বলছিলেন তার ফোন এখন বন্ধ হয়ে গেছে । অনুগ্রহ করে কিছুখন পর আবার চেষ্টা করুন,, ধন্যবাদ ।(জকে)
এই বলে জেক কল কেটে দিয়ে ফোন সুইচ অফ করে পকেটে পুরে নিলো । জেকের কান্ড দেখে ইমন হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে । সাব্বির আর রাহুলেরও একি অবস্থা । সামিয়া আর ইকরার কোন হুস নেই । তারা অঘর ঘুমে তলিয়ে গেছে । জীবনে প্রথম এমন জিনিস খেয়েছে তারা । শরীর একে বারে দুর্বল হয়ে পরেছে তাদের । আবার তাও কোন কিছু মিক্স ছারা খেয়েছে । সাব্বির আর রাহুল তাদের ধরে বসে আছে । এদিকে নীলা তৃপ্তির রুমে এসে দেখলো,, নিদ্র তৃপ্তির ওয়াসরুমের সামনে দারিয়ে আছে । আর তৃপ্তি নিদ্রর নাক কান নিয়ে টানা টানি করছে । সামিয়া আর ইকরার থেকে তৃপ্তি একটু কম খেয়েছে । তাই তৃপ্তির এখনো কিছু’টা হুশ আছে । নীলা নিদ্রর সামনে এসে দারালো । নিদ্র তখন তৃপ্তিকে ওয়াসরুমের ভিতরে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে বললো ।
:+ওকে ফ্রেশ করিয়ে দে তারাতাড়ি ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র চলে আসলো নিজের রুমে । আর নীলা, তৃপ্তির ওয়াসরুমের ভিতরে গিয়ে তৃপ্তিকে একে বারে স্নান করিয়ে দিলো । স্নান করানোর সময় তৃপ্তি নীলাকে অনেক বকা বকি করছিল । নীলা এতে অনেক বিরক্ত হচ্ছিল । নিদ্র নিজের রুমে এসে নিজেও স্নান করে নেয় । কারন শরীর থেকে বুমির বাজে গন্ধ বের হচ্ছিল । নিদ্র শাওয়ার নিয়ে চেঞ্জ করে বেরিয়ে আবার তৃপ্তির রুমে আসলো । এসে দেখলো নীলা তৃপ্তিকে বেডের উপর শুয়িয়ে দিচ্ছে আর তৃপ্তি বার বার লাফিয়ে উঠে বসে নীলাকে ধাক্কা দিচ্ছে । নীলা নিজেকে সামলিয়ে আবারো শোয়াতে যাচ্ছে আর তৃপ্তি আবারও একই কান্ড করছে । নিদ্র এবার নীলার পিছনে এসে দারিয়ে বললো ।
:+তুই যা । আমি দেখে নিচ্ছি ওকে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে নীলা চমকে উঠে পিছনে তাকালো । এরপর নীলা বললো ।
:+ওকে ঘুম পারিয়ে দিয়েন । আমার মনে হয় না ওর এতো সহজে ঘুম আসবে ।(নীলা)
এই বলে নীলা তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে গেল । আর নিদ্র তৃপ্তির বেডের পাসে বসে তৃপ্তিকে শুতে বললো । কিন্তু তৃপ্তি ঘটিয়ে বসলো অন্য কিছু । সে নিদ্রকে টান দিয়ে শুয়িয়ে দিয়ে নিদ্রকে আকরে পিষ্টে জরিয়ে ধরে নিদ্রর বুকে কামড় বসিয়ে দিলো । নিদ্র ব্যথায় কুকিয়ে উঠে তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে নিজের উপর থেকে ফেলে দিলো । তৃপ্তির এবার চোখ দু’টো বুঝে আসছে । কিন্তু সে হার মানতে নারাজ । তৃপ্তি আবার নিদ্রর গায়ের উপর উঠে বসে নেশালো কন্ঠে বললো ।
:+আ আজ তো তোকে আ আমি খে খেয়ে ফে ফেলবো স সয়তান ।(তৃপ্ত)
এই বলে হঠাৎ তৃপ্তি নিদ্রর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় । নিদ্র পুরো আবুল হয়ে গেলো । তৃপ্তি এবার নিদ্রর ঠোঁটে ছোট ছোট কামর দিতে লাগলো । নিদ্রর ব্যথা না লাগলেও কেমন যেন একটা ফিল হচ্ছে । দু’হাত দিয়ে তৃপ্তিকে আস্তে করে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় নিদ্র । কিছুখন পর নিদ্র বুঝতে পারলো তৃপ্তির শরীর নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে । কামড়ের গতি কমে যাচ্ছে । হঠাৎ তৃপ্তি ছোট একটা কামড় দিলো নিদ্রর ঠোঁটে । এরপর তৃপ্তির মাথা নিদ্রর গাল বেয়ে এলিয়ে পরলো নিদ্রর কাঁধে । নিদ্র বুঝতে পারলে তৃপ্তি ঘুমিয়ে পরছে । চেক করার জন্য মাথা কাত করে তৃপ্তির দিকে তাকাতে নিলে আবারও তৃপ্তির ঠোঁটের সাথে নিদ্রর ঠোঁট মিশে যায় । নিদ্র আস্তে করে তার মাথা একটু পিছনে নিয়ে আসলো । এতে তৃপ্তির ঠোঁটের থেকে তার ঠোঁট আলাদা হলো । নিদ্র তৃপ্তির মুখের উপর পরে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিয়ে ঘোড় লাগানো গলায় বললো ।
:+কবে তোকে একে বারে নিজের করে পাবো । কবে কোনো বাধা ছাড়া তোকে এভাবে জরিয়ে ধরতে পারবো । কবে কবে কবে,,,,কবে আসবে সেই দিন,, যেদিন আমি একে বার তোর সাথে মিশে যাবো আর তুই মিশে যাবি আমাতে । আমার যে আর তর সইছে না । খুব করে কাছে পেতে ইচ্ছে করছে তোকে ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র তৃপ্তির কপালে একটা চুমু খেয়ে তৃপ্তিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো । কিছুখন যাওয়ার পর নিদ্রর হুশ ফিরলো । সে আসতে করে তৃপ্তিকে নিজে থেকে ছারিয়ে বালিশে শুয়িয়ে দিলো । এরপর আবারো তৃপ্তির কপালে একটা চুমু খেয়ে তৃপ্তির রুম থেকে নিজের রুমে চলে আসলো নিদ্র ।
—————————————-
সকাল ১১টা বাজে………….
ঘুম ভাঙলো তৃপ্তির । সে আরমোড়া ভেঙে শোয়া থেকে উঠে বসলো । উঠে বসে তৃপ্তি বুঝতে পারলো তার শরীর পছন্ড দুর্বল । মাথা হলকা ঝিম ঝিম করছে । তৃপ্তি মাথা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে ভাবতে লাগলো কাল রাতের কথা । “সে কোক খেলো তারপর তার মাথা ঝিম মেরে উঠে ছিল । তখন সে নিদ্রর কাছে গিয়ে ছিল”,,,,,,বেস আর মনে পরছে না । টেবিলের উপরে টেবিল ঘড়ির দিকে নজর পরতেই তৃপ্তি চট করে বেড থেকে নেমে দারালো । তৃপ্তি এটা ভেবে অবাক হচ্ছে যে,, তার আম্মু আজ তাকে নামাজ পড়তে ডাকতে আসে নি । রুমের এক কোনায় নিজের বেগ পত্র গোছ গাছ হয়ে পরে আছে দেখে তৃপ্তি আরো বেস অবাক হলো । তার বেগ পত্র গুছিয়েছে কে ? তৃপ্তি সাত পাঁচ ভাবা বন্ধ করে ওয়াসরুমে চলে গেল । এরপর ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে হেলতে দুলতে বেরিয়ে আয়নার সামনে দারিয়ে নিজেকে ঠিক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । তৃপ্তি রুম থেকে বেরিয়ে নিচ তলায় নেমে দেখলো,, ইকরা সোফার উপর বসে নীলার সাথে কথা বলছে । সামিয়াকে দেখা যাচ্ছে না । তৃপ্তি সোজা নীলার পাসে গিয়ে বসলো । নীলার পাসে বসতেই,, নীলা তৃপ্তির থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো । তৃপ্তি বুঝতে পারলো না নীলা এমন করলো কেন । তৃপ্তি এবার নীলার এপাস থেকে উঠে ইকরা আর নীলার মাঝ খানে বসলো । নীলা এবারো তৃপ্তির থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো । তৃপ্তি এবার নীলার হাত ধরে বললো ।
:+কি হয়েছে আপু,, আমার সাথে এমন করছো কেন ।(তৃপ্তি)
নীলা নিজের হাত তৃপ্তির থেকে ছারিয়ে কিছু’টা হিট লাগানো কন্ঠে বললো ।
:+আমি চুন্নিবিল্লি, ডাইনি, রাখসি, ভলুকনি, ইত্যাদি । আমার সাথে মানুষে কথা বলতে আসে কেন । আমি তো ভালো না । আমি বজ্জাত মেয়ে ।(নীলা)
নীলার কথা গুলো তৃপ্তি কিছু বুঝতে পারলো না । কিন্তু এটা ঠিক তৃপ্তি বুঝতে পারছে যে,,, নীলাকে কেও কিছু বলেছে । নাহলে নীলা এগুলো বলবে কেন । তৃপ্তি সোফা থেকে দারিয়ে কিছু’টা রাগি গলায় চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+কার এতো বড়ো সাহস তোমাকে এগুলো বলার । কে বলেছে এগুলো তোমাকে । তুমি সুধু একবার বলো আমাকে । আমি এখুনি তার দাঁত ভেঙে ফেলবো ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির চিৎকার শুনে সালমা কিচেন থেকে বেরিয়ে আসেন । তা দেখে নীলার চোখ কপালে । এই মেয়ে এতো জোরে চিৎকার করছে কেন । সালমা তৃপ্তির কাছে এসে দারিয়ে বললো ।
:+কি হয়েছে এভাবে চিৎকার করছিস কেন ।(সালমা)
তৃপ্তি এবার সালমার হাত ধরে বললো ।
:+আম্মু শুন না নীলা আপু কি বলছে । উনাকে নাকি কেও বজ্জাত মেয়ে বলেছে । সে জন্য উনি আমার থেকে মুখ সরিয়ে নিচ্ছেন ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে সালমা নীলার দিকে তাকালো । নীলা চট করে বসা থেকে উঠে দারিয়ে বললো ।
:+না না না,,,আন্টি,,,সুইটি ভুল বলছে । আমি ওকে বললাম যে,,, যাওয়ার সময় আন্টির হাতের একটু তেতুলের আচার নিয়ে যাবো । কাল রাতে ওটা খেয়েছিলাম যা টেস্ট হয়েছে । এখনো জিভে লেগে আছে । আমি তাই বললাম সত্যি বলছি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তির চোখ কপালে উঠে গেল । কি বলছে এগুলো নীলা । একটু আগেই তো অন্য কথা বলছিল । তৃপ্তি আবার বলে উঠলো ।
:+আপু তুমি এগুলো কি বলছো । তুমি তো একটু আগে বললে,,,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি আর কিছু বলতে না দিয়ে নীলা আবার বললো ।
:+বললাম আমার তেতুলের আচার’টা ভালো লেগেছে ।(নীলা)
সালমা মুচকি হেসে বলে উঠলো ।
:+সাধারণ এই বিষয়’টা নিয়ে চিৎকার করার কি আছে । আমাকে বললেই তো আমি দিয়ে দিতাম । দারাও আমি তোমার জন্য তেতুলের আচার পেক করছি ।(সালমা)
এই বলে সালমা চলে গেল । তৃপ্তি নীলাকে কিছু বলতে যাবে এমন সময় নিদ্র সেখানে এসে দারালো । আর বললো ।
:+তৃপ্তি, নীলা তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে । আমাদের একটু পরেই বের হয়ে যেতে হবে । লেট করলে হবে না ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র চলে যেতে নিলে, নীলা পিছন থেকে বলে উঠলো ।
:+আমাদের সাথে আরো একজন যাবে ।(নীলা)
নিদ্র তা শুনে দারিয়ে গেল । এরপর পিছনে ঘুরে নীলার দিকে তাকালো । নিদ্রর তাকানো দেখে নীলা হাতের ইশারায় ইকরাকে দেখিয়ে বললো ।
:+ও যাবে আমাদের সাথে । ওর বাড়ি হাতিরঝিল ।ও ওখানেই নেমে যাবে ।(নীলা)
নিদ্র কিছু বলতে যাবে তখন তৃপ্তি পাস থেকে দাঁত কটমট করে বলে উঠলো ।
:+যদি বারন করে না । চুল টেনে ছিরে ফেলবো । টাকলা বানিয়ে দেবো ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তা শুনে সুকনো ঢোক গিললো । কাল রাতের কথা মনে পরে গেল নিদ্রর । যেভাবে রাখিসির মতো বুকে কামড় দিয়েছে,,,, ওরে বাবা,,,, পুরো দাগ বসে গেছে । এখনো যায়গা’টা সিনসিন করে ব্যথা করছে । নিদ্র বুঝে গেছে এখন বারন করলে পরে এর শাস্তি পেতে হবে তাকে । প্রতিবারই এমন করে এসছে তৃপ্তি । নিদ্রর মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল । সে আস্তে করে সেখান থেকে কেটে পরলো । নীলা তা দেখে মুচকি হাসলো । তবে তৃপ্তির আরালে । নীলা এবার ইকরার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তুমি তোমার বেগ পত্র গুছিয়ে তারাতাড়ি এখানে চলে আসো । লেট করো না একদম ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে ইকরা আচ্ছা বলে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল । ইকরা চলে যেতেই নীলাও সেখান থেকে নিজের রুমের দিকে হাটা ধরলো । তৃপ্তি তা দেখে দৌড়ে নীলার পাসে হাটতে হাটতে নীলার হাত ধরে বললো ।
:+আপু তুমি কেন আমার সাথে এমন করছো । আমি কি করেছি ।(তৃপ্তি)
কিন্তু নীলা কিছু বলছে না । সুধু সামনের দিকে তাকিয়ে হেটে যাচ্ছে । তৃপ্তি সমানে প্রশ্ন করে যাচ্ছে নীলাকে । যে সে কি করছে । কেন নীলা তার সাথে কথা বলছে না । কিন্তু নীলা কিছু বলছে না । নীলা নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো । আর তৃপ্তি বাহিরে থেকে মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে আসলো । নীলা রুমে এসে মুচকি হেসে নিজে রেডি হতে লাগলো । এদিকে চেয়ারম্যান বাড়ির পিছনের দিকের পুকুর ঘাটে মন খারাপ করে বসে আছে সামিয়া । একটু পর পর চোখে আসা পানি ডান হাত দিয়ে মুছে নিচ্ছে । আর ভাবছে ,,, সে কাদছে কার জন্য । তার বেস্টু চলে যাচ্ছে সে জন্য । নাকি রাহুলের জন্য । নাকি সে একা হয়ে যাবে এ জন্য । সামিয়ার পিছনে একটু দুরে দারিয়ে সামিয়ার দিকে ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছে রাহুল । আর সে ভাবছে,,,, মনের কথা গুলো কি আজও বলা হবে না । বলা হবে না কি “ভালোবাসি সিমু” । আজও কি বলতে পারবো না । হঠাৎ জেক আর সাব্বিরের আগমন ঘটে সেখানে । রাহুল অপ্রস্তুত হয়ে পরে । এই সময় এদের এখানে আসা করেনি রাহুল । জেক রাহুলের গালে একটা চড় মেরে বললো ।
:+মেয়ে’টা কাদছে, আর তুই এখানে দারিয়ে দারিয়ে তামাশা দেখছিস ।(জেক)
এই বলে জেক রাহুলের ঘার ধরে সামিয়ার কাছে নিয়ে আসলো । কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সামিয়া তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে উঠে পিছনে ঘুরে দারালো । দারিয়ে তো সামিয়ার চোখ ছানা বড়া,, রাহুল মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে তার ঠিক দু’হাত সামনে । জেক সামিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ।
:+এসব মন খারাপ টন খারাপ আমার ভালো লাগে না । যা করার তারাতাড়ি করো । হাতে সময় কম । এখনি আমরা চলে যাবো ।(জেক)
এই বলে জেক, সাব্বিরকে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । সামিয়া তখন রাহুলের দিকে ছলছল চোখে তাকালো । রাহুল মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে । কোন হেল দোল নেই । সামিয়ার এবার রাগ উঠে গেল । সে খানিক’টা চিৎকার করেই বলে উঠলো ।
:+আজও কি বলবেন না । নাকি না বলেই চলে যেতে চান । যদি তাই হয়,, তাহলে আমার পিছনে কেন ঘুরছেন । চলেই তো যাবেন । তাহলে আমাকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে ছারখার করার মানে কি ।(সানিয়া)
সামিয়ার চিৎকার দেখে রাহুল সামিয়াকে জরিয়ে ধরলো । মনে হলো সামিয়ার এই কথা গুলো শুনার জন্যই সে অপেক্ষা করছিল । সামিয়াও রাহুলকে জরিয়ে ধরে ঠুকরে ফুফিয়ে উঠলো । রাহুল সামিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।
:+”ভালোবাসি সিমু”।(রাহুল)
রাহুলের কথা শুনে সামিয়া থমকায় । এই সিমু আবার কে । তার নাম তো সামিয়া । সামিয়া কাদালো কন্ঠে বলে উঠলো ।
:+সিমু কে ?(সামিয়া)
:+মাই সিমু ।(রাহুল)
কথা’টা বলে রাহুল আরো একটু শক্ত করে সামিয়াকে জরিয়ে ধরলো । সামিয়া বুঝতে পারলে রাহুল তাকেই সিমু বলে ডাকছে । এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর রাহুল সামিয়া কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।
:+013*******8,আমার নাম্বার ।(রাহুল)
:+মনে থাকবে না তো ।(সামিয়া)
রাহুলের কথা শুনে সামিয়া বলে উঠে । রাহুল তখন বললো ।
:+এতো ভুলো মন কেন তোমার । আচ্ছা আমার ফোনে তোমার নাম্বার দাও ।(রাহুল)
এই বলে রাহুল সামিয়াকে ছারতে নিলে সামিয়া বলে উঠলো ।
:+এভাবে থাকি না আরো একটু । একটু পর তো চলে ই যাবেন ।(সামিয়া)
সামিয়ার কথা শুনে রাহুল আর ছারলো না সামিয়াকে । সে পকেট থেকে ফোন বের করে সামিয়ার হাতে দিলো । সামিয়া তখন রাহুলের ফোনে তার আম্মুর নাম্বার সেভ করে দিয়ে দিলো । আর রাহুলের বুকে মুখ ঠেকিয়ে কয়েক’টা পিকও তুললো । পিক তোলা শেষে সামিয়া রাহুলের হাতে আবার ফোন দিয়ে দিলো । রাহুল ফোন’টা পকেটে পুরে নিলো । সামিয়া বলে উঠলো ।
:+ঢাকায় গিয়ে আমায় ভুলে যাবেন নাতো ।(সামিয়া)
সামিয়ার কথা শুনে রাহুল দু’হাত দিয়ে সামিয়াকে জরিয়ে ধরে বললো ।
:+প্লাস্টিক যেমন না পুরলে তার কোন খয় হয় না । তেমনি এই রাহুল ও জীবিত থাকা প্রজন্ত তোমাকে এক মুহুর্তের জন্যও ভুলবে না ।(রাহুল)
সামিয়া দু’চোখের পানি ছেরে দিয়ে বললো ।
:+এতো ভালোবাসেন আমায় । তাহলে এতোদিন বলেন নি কেন ।(সামিয়া)
রাহুল কিছু’টা আমতা আমতা করে বললো ।
:+এতোদিন বলিনি কারন তুমি যদি রিজেক্ট করে দিতে তাহলে পাগল হয়ে যেতাম আমি । জীবন’টা থেকেও না থাকার মতো হয়ে যেতো । এই নিয়ে ভয় করতো আমার অনেক ।(রাহুল)
সামিয়া এবার একটু জোরেই কেদে উঠলো । রাহুল তখন বললো ।
:+এই পাগলি কান্না থামাও । যেতে হবে তো নাকি । বিদায় দাও আমায় । আমি তোমার মুখে হাসি দেখে যেতে চাই ।(রাহুল)
রাহুলের কথা শুনে সামিয়া আরো একটু শক্ত করে রাহুলকে জরিয়ে ধরে বললো ।
:+মন মানছে না আপনাকে ছারতে । মন চাচ্ছে এভাবে আপনাকে সারা জীবন ধরে রাখি । মিশে থাকি আপনাতে । যাতে কেও নজর দিতে না পারে ।(সামিয়া)
রাহুল একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো ।
:+হয়েছে,,, দেখি এবার ছারো ।(রাহুল)
এই বলে রাহুল সামিয়াকে নিজে থেকে ছারিয়ে নিলো । এরপর সামিয়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো ।
:+মন খারাপ করো না । খুব তাড়াতারি তোমাকে আমার ঘরে তুলবো । আমি আমার বউকে দুরে কখনো রাখবো না ।(রাহুল)
এই বলে রাহুল আবার সামিয়ার দিকে ঝুকে সামিয়ার চোখে চোখ রেখে বললো ।
:+এই যে শুনেন মিস সিমু । এখন যেভাবে দেখে যাচ্ছি । পরের বার আসলে যেন ঠিক এমনি দেখি । আমার বউয়ের যদি একটু ঘাটতি এদিক সেদিক হয়েছে দেখি তো,,,, । আপনার খবর আছে বলে দিলাম ।(রাহুল)
রাহুলের কথা শুনে সামিয়া বেস লজ্জায় পেল । লজ্জায় মাটির সাথে মিসে যেতে ইচ্ছে করছে তার । সামিয়া রাহুলকে নিজের সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাস কারিয়ে যেতে যেতে বললো ।
:+বজ্জাত লোক একটা ।(সামিয়া)
এই বলে সামিয়া সেখান থেকে এক দৌড়ে বাড়ির ভিতরে চলে গেল । আর রাহুল বুকে দু’হাত গুজে সামিয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো ।
——————————————-
বেলা ১টা বাজে…………………
বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসলো, তৃপ্তি, নীলা, ইকরা, সামিয়া, সালমা, সজিব, বজলুর, নিদ্র, জেক, সাব্বির, আর রাহুল । ইমন সকাল বেলাই ফিরে গেছে তার বাড়িতে । সে ঢাকায় ফিরবে আরো দু’দিন পর । জেক, সাব্বির, আর রাহুল বসেছে একটা গারিতে । এদিকে নিদ্র, তৃপ্তি, নীলা আর ইকরা বসেছে নিদ্রর গারিতে । তৃপ্তি, ইকরা আর নীলা বসছে পিছনে । নিদ্র বলে ছিল তৃপ্তিকে সামনে এসে বসতে । কিন্তু তৃপ্তি তা না করে জেদ ধরে পিছনে বসেছে । তার কারন নীলা তার সাথে কথা বলছে না কেন ? তা যানার জন্য । তৃপ্তি নীল কালারের বোরখা, কফি কালারের হিজাব, আর কালো নিকাব পরেছে । সালমা, বজলুর, সজিব, আর সামিয়ার থেকে বিদায় নিয়ে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে গাড়ি ড্রাইভ করে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । নিদ্রর গাড়ির পিছু পিছু সাব্বিরও গাড়ি ড্রাইভ করে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো । গাড়ি দু’টো যতোখন দেখা যাচ্ছিল ততখন গাড়ি দু’টোর দিকে তাকিয়ে ছিল সালমা, বজলুর, সজিব আর সামিয়া । সালমা তো রিতিমতো অঝোর ধারায় কান্না করছেন । আজ তার বাড়ি’টা আবার শূন্য হয়ে গেছে । সামিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির গেট থেকে বিদায় নিয়ে তার বাড়ি চলে গেছে । বজলুর, সালমাকে আর সজিবকে নিয়ে আবার বাড়ির ভিতরে চলে গেলেন । এদিকে গাড়ির ভিতরে তৃপ্তি নীলাকে বলছে ।
:+নীলা আপু তুমি কি আমার সাথে কথা বলবে না ।(তৃপ্তি)
নীলা কিছু না বলে গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখতে লাগলো । তৃপ্তি এবার নীলার গালে আলতো করে হাত দিয়ে তার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নীলার চোখে চোখ রেখে বললো ।
:+কথা বলবে না আমার সাথে । আমি কি করেছি আমাকে বলো না । আমি মাপ চেয়েছি তো তোমার কাছে ।(তৃপ্তি)
নীলা এবারো কিছু না বলে তৃপ্তির হাত নিজের গাল থেকে সরিয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখতে লাগলো । তৃপ্তি তখন মন খারাপ করে ইকরাকে বললো ।
:+ইকরা আপু তুমি কি যানো, নীলা আপু কেন আমার উপর রেগে আছে ।(তৃপ্তি)
ইকরা তৃপ্তির কথা শুনে বললো ।
:+কাল রাতে তুমি নাকি নেশার ঘোড়ে উনাকে কি সব কথা বলছো । আর উনাকে নাকি ধাক্কাও দিয়েছো । তাই উনি তোমার উপর অভিমান করে আছে ।(ইকরা)
ইকরার কথা শুনে তৃপ্তি বলে উঠলো ।
:+নেশা মানে,,,,। এই নেশা আবার কি ??(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে ইকরা অবাক দৃষ্টিতে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তুমি নেশা চিনো না ।(ইকরা)
:+না ।(তৃপ্তি)
মুখে অতভুত আওয়াজ করে না বললো তৃপ্তি ।
:+নেশা মানে ,,,,। ওই যে আমরা রাতে কোক খেলাম না । ওটা একটা ড্রিংকস ছিল,,, মানে মদ । মদ চিনো তুমি ।(ইকরা)
তৃপ্তি এবারো না বললো । কারন মদ নামক জিনিসের সাথে সে পরিচিত নয় । ইকরা অবাক হয়ে বললো ।
:+তুমি মদ চিনো না । ঠিক আছে আমি বুঝিয়ে বলছি । এই মদ খেলে মাথা ঝিম ঝিম করে । মাথা চক্কড় দিয়ে উঠে । চোখের সামনে সব ঘুরঘুর করতে থাকে ।(ইকরা)
ইকরার কথা শুনে তৃপ্তি চট করে বলে উঠলো ।
:+হ্যাঁ,,,,হ্যাঁ,,,,,কাল রাতে আমি কোক খাওয়ার পর আমার এমন লেগেছিল ।(তৃপ্তি)
এদিকে নিদ্র এদের কথা সবই শুনছে কিন্তু কিছু বলছে না । কারন তৃপ্তির এগুলো যানা প্রয়োজন । নিদ্র এক মনে ড্রাইভ করে যাচ্ছে চুপচাপ । ইকরা বললো ।
:+হুম,,,এর পরই তোমার নেশা হয়ে যায় । আর তুমি নীলা আপুকে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনিছো । নেশার ঘোড়ে উনাকে ধাক্কাও মেরেছো । এই নেশা উঠে গেলে আর মানুষের হিতাহিত ঙ্গেন থাকে না ।(ইকরা)
ইকরার কথা শুনে তৃপ্তি বুঝতে পারলো মদ কি । এটা খেলে কি হয় । তৃপ্তির মুখ এবার ছোট হয়ে যায় । সে তো আর ইচ্ছে করে এমন করে নি । তাহলে নীলা কেন তার সাথে এমন করছে । নীলা কি এসব বুঝে না । সে নাহয় এসব বুঝে না । কিন্তু নীলা তো বুঝে । তাও কেন সে তৃপ্তির উপর অভিমান করে আছে । তৃপ্তি তো আর নিজে ইচ্ছেয় খায়নি । নীলাই তো তাকে দিয়েছিল । তৃপ্তি মুখ ঘোমড়া করে বসে রইলো । নীলা আরচোখে তৃপ্তিকে দেখতে লাগলো । আর ভাবছে লাগলো,,, মেয়ে’টা বড়ো অভিমানি । যেই যানলো তার কোন দোষ নেই,,, সেই অভিমান করে বসলো । নীলা একটু ভালো করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে দেখলো তৃপ্তির চোখ দু’টো ছলছল করছে । যেন এখনি কেদে দিবে । নীলা তৃপ্তিকে এবার টান দিয়ে নিজের কাছে এনে জরিয়ে ধরে বললো ।
:+ধুর বোকা,,, আমি তো মজা করছিলাম । আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুই কি করিস । এর জন্য আবার কান্না করা লাগে ।(নীলা)
কিন্তু তৃপ্তি কিছু বললো না । নীলা তখন বললো ।
:+কিরে কথা বলছিস না কেন এখন । এতোখন তো কথা বলার জন্য পাগল হয়ে গেছিলি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে তৃপ্তি অভিমানি সুরে বললো ।
:+বলবো না তোমার সাথে কথা । ছারো আমাকে ।(তৃপ্তি)
নীলা তা শুনে বললো ।
:+সত্যি বলবি না কথা । ঠিক আছে ছেরে দিলাম ।(নীলা)
নীলা ছেরে দিতে নিলে তৃপ্তি নীলাকে জরিয়ে ধরলো ।
:+কি হলো এখন আবার ধরলি কেন ।(নীলা)
তৃপ্তি এবার একটু ভেবে বললো ।
:+বন্ধুত্ব করছি কি ছেরে দেওয়ার জন্য নাকি ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে নীলা হেসে উঠলো । সাথে ইকরা আর তৃপ্তিও । নিদ্র এক মনে ড্রাইভ করে যাচ্ছে ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিষেধ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]