তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________51

0
445

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________51

পিন্সিপেলের রুম থেকে বৃষ্টির চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছে নিদ্র । বৃষ্টি বেথ্যায় আর্তনাদ করে নিদ্রর পা জরিয়ে ধরছে । বৃষ্টির আব্বু খালেক সাহেব মেয়ের এমন অবস্থা সয্য করতে পারছে না । কিন্তু ওনার কিছু করার নেই । কারন ওনাকে তিন, চারজন ছেলে চেয়ারের সাথে চেপে ধরে আছে । খালেক সাহেব চিৎকার করে বারবার বৃষ্টিকে ছেরে দিতে বলছে । কিন্তু নিদ্র ওনার কথা কানে নিলো না । বৃষ্টিকে টেনে হিঁচড়ে পিন্সিপেল রুম থেকে বের করে নিয়ে গেল । জেক এগিয়ে এসে খালেক সাহেবের পাসে একটা চেয়ারে বসলো । আর পিন্সিপেল নিজের স্থানে বসে চুপচাপ সব দেখছে । বৃষ্টির আব্বু খালেক সাহেব এবার রেগে পিন্সিপেলকে বলে উঠলো ।

:+তাহলে এই ছিল আপনার মনে । আমাকে দিয়ে, আমার মেয়েকে এখানে এনে ওর ইজ্জ হরন করার ।(খালেক)

কথা’টা শুনে পিন্সিপেলের রাগ উঠে গেল । কিন্তু পিন্সিপেল কিছু বলার আগেই জেক পাস থেকে বলে উঠলো ।

:+আওয়াজ নিচে মিস্টার খালেক সাহেব । আপনার মেয়ের ইজ্জত অনেক আগেই কুকুরে খেয়ে ফেলছে । সেটা আর নতুন করে কেও খেতে চাইবে না ।(জেক)

জেকের শান্ত গম্ভীর কণ্ঠের আওয়াজ পেয়ে খালেক সাহেব চমাকো । আর তিনি বেশ অবাকও হলেন জেকের কথা গুলো শুনে । খালেক সাহেব জেক’কে রাগি গলায় বললো ।

:+আওয়াজ নিচে করবো মানে । তুমি আমার নাম যানো কি করে । আর কি সব আবল তাবল বলছো আমার মেয়ের নামে । নিশ্চয় আমার কোনো পুরোনো শত্রু পাঠিয়েছে তোমাদের ।(খালেক)

খালেক সাহেবের কথা শুনে জেক একটা বাকা হাসি দিয়ে খালেক সাহেবের দিকে তাকালো । এরপর শান্ত কন্ঠেই বলে উঠলো ।

:+মিস্টার খালেক সাহেব । আপানার নাম যানা এতো একটা কঠিন বেপার নয় । আপনি তো বেশ ভালো মানুষ । কিন্তু আপনার ঘড়ে কাল সাপ আসলো কি করে ।(জেক)

খালেক সাহেব বেশ অবাক দৃষ্টিতে জেকের দিকে আবার তাকালো । এরপর তিনি বলে উঠলেন ।

:+দেখো আমি যানি না তোমারা কারা । আর আমাকে এবং আমার মেয়েকে এখানে ধরে রাখার মানেও আমি বুঝতে পারছি না । তোমাদের যা বলার ক্লিয়ার করে আমাকে বলো । আমি সব সময় নেয়ের পথে চলে এসছি । অন্যায়কে কখনো আমি সমর্থন করিনি । সেটা আমার পরিবারের যে কোনো লোকই হোক না কেন ।(খালেক)

খালেক সাহেবের কথা শুনে জেক বললো ।

:+শুনে ভালো লাগলো আপনার কথা । তাহলে শুনুন আপনাকে এখানে কেন ধরে রাখা হয়েছে । আর আপনার মেয়েকে কেন ওই ভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।(জেক)

খালেক সাহেব শান্ত চোখে জেকের দিকে তাকালো । জেক চেয়ার থেকে উঠে দারালো । এরপর বৃষ্টির বেপারে একে একে সব খুলে খালেক সাহেবকে বলতে লাগলো জেক ।

খোলা একটা রুমের ভিতরে বৃষ্টিকে নিয়ে আসলো নিদ্র । বৃষ্টি কুকিয়ে এক হাত দিয়ে নিদ্রর হাত ধরে আছে । আরেক হাত দিয়ে নিদ্রর পা ধরে আছে । রুমের ভিতরে প্রবেশ করেই পা ঝারা মেরে বৃষ্টিকে নিজের পা থেকে ছারিয়ে নিলো নিদ্র । এরপর চুলের মুঠি ধরে টেনে দারাকালো । বৃষ্টি, নিদ্রর হাত নিজের দু’হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো । নিদ্র আরো শক্ত করে বৃষ্টির চুলের মুঠি ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো ।

:+তোকে বারন করেছিলাম আমার কলিজায় হাত না দিতে । তুই শুনিস নি । আমার কলিজায় আঘাত করলি তুই ।(নিদ্র)

শেষের কথা চিৎকার করে বলে, ধাক্কা মেরে বৃষ্টির চুলের মুঠি ছেরে দিলো নিদ্র । বৃষ্টি গিয়ে দেয়ালের সাথে বারি খেয়ে ফ্লোরে পরে গেল । কপালে তরল পদার্থ কিছু অনুভব করায়, কপালে হাত দিলো বৃষ্টি । চোখের সামনে হাত’টা এনে দেখলো রক্ত । সাথে সাথে হাত কেপে উঠলো বৃষ্টির । নিদ্রর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো সে । নিদ্র নিজের কোমড় থেকে বেল খুলতে খুলতে বললো ।

:+অনেক বুঝিয়েছি তোকে । বলেছি আমার সামনে আসবি না । তাও আসতি । বার বার একি কথা তোকে বলেছি । কিন্তু আজ তুই,,,,,,। এবার তোকে আমার হাত থেকে কেও বাচাতে পারবে না ।(নিদ্র)

বলেই কোমড় থেকে বেল খুলে ফেললো নিদ্র । এরপর বেল’টা একটু হাতে পেচিয়ে বৃষ্টির দিকে এগিয়ে যেতে গেলো । অবস্থা সাংঘাতিক দেখে বৃষ্টি পালাতে যাচ্ছিল । কিন্তু পারলো না । নিদ্র ছাত করে বৃষ্টির পায়ে বেল দিয়ে বারি মারলো । ফলে বৃষ্টি বেথ্যায় চিৎকার করে ফ্লোরে বসে পরলো । বেথ্যায় আর্তনাদ করে কাদতে কাদতে বৃষ্টি বলে উঠলো ।

:+প্লিজ আমাকে ছেরে দাও । আমি আর কখনো এমন করবো না ।(বৃষ্টি)

বৃষ্টির কথা যেন নিদ্রর কানে পৌঁছালো না । বৃষ্টি আকুতি মিনতি করতে লাগলো নিদ্রর কাছে । কিন্তু নিদ্র নিজের গায়ের সর্ব শক্তি দিয়ে বৃষ্টিকে বেল দিয়ে পিটাতে লাগলো । ফর্সা গায়ের চামড়া ফেটে রক্ত ঝর ঝরিয়ে বেরিয়ে আসতে লাগলো বৃষ্টির । এক একটা বেলটের বারির সাথে চিৎকার করে উঠছে বৃষ্টি ।

জেকের মুখে নিজের মেয়ের এমন সব কথা শুনে খালেক সাহেব নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেন না । বৃষ্টি এমন সব কাজ করতে পাড়ে তিনি ভাবতেও পারছেন না । সব সময় মেয়েকে কড়া শাসনে রেখেছেন তিনি । কিন্তু এই কড়া শাসনের মধ্যেও বৃষ্টি ভুল পথে পা বারিয়েছে । খালেক সাহেব রাগে গজ-গজিয়ে উঠলেন । এমন সময় একটা ছেলে দৌড়ে পিন্সিপেল রুমে এসে জেককে বললো ।

:+ভাই, নিদ্র ভাই মেয়ে টাকে মেরে ফেলবে মনে হচ্ছে । অনেক বেধম ভাবে বেল্ট দিয়ে পিটাচ্ছে । মেয়েটার গা ফেটে রক্ত ঝরে পড়ছে ।(ছেলে)

ছেলেটির কথা শুনে খালেক সাহেব চমকে উঠে বসা থেকে দারিয়ে গেলেন । শত হলেও নিজের মেয়ে । শত অপরাধ করলেও নিজের মেয়ের মৃত্যু তিনি কামনা করতে পারেন না । শাস্তি দিবে দেক । কিন্তু মেরে ফেলোক এটা তিনি চান না । জেক দৌড়ে পিন্সিপেল রুম থেকে বেরিয়ে গেল । জেকের পিছু পিছু খালেক সাহেব, পিন্সিপেল আরো অনেক ছেলে বেরিয়ে গেল । নিদ্র এখনো পিটিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিকে । বৃষ্টি বেথ্যা সয্য করতে না পেরে অঙ্গেন হয়ে গেছে । ফ্লোর রক্তে ভেসে যাচ্ছে । প্রতেক’টা বেল্টের বারির সাথে রক্ত ছিটকে বেরিয়ে আসছে বৃষ্টির শরীর থেকে । জেক এই দৃশ্য দেখে তাড়াতাড়ি নিদ্রকে জাপ্টে জরিয়ে ধরে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসলো । নিদ্র জোরে চিৎকার করে বলে উঠলো ।

:+জেক আমাকে ছেরেদে । আজ এই খা*** লাশ ফেলবো আমি । এর কতো বড় সাহস আমার কলিজায় হাত দেয় ।(নিদ্র)

বলেই আবার বৃষ্টির দিকে তেরে যেতে নিলো নিদ্র । কিন্তু জেক নিদ্রকে আবার ধরে ফেললো । নিদ্রর কথার প্রতি উত্তরে কিছু বললো না সে । সুধু নিদ্রকে টেনে রুম থেকে বের করে নিয়ে গেল । খালেক সাহেব মেয়ের পাসে গিয়ে বসলেন । উনার চোখ দু’টো দিয়ে দু’ফোটা চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো । মা মরা মেয়ে উনার । একটা মাত্র মেয়ে । আর কোনো সন্তান নেই উনার । মেয়েকে যেমন সাধীনতা দিয়েছেন । তেমন শাসনও করেছেন । খালেক সাহেব এক হাত দিয়ে আস্তে করে বৃষ্টির কপালে হাত রাখলো । এমন সময় জেক আবার এই রুমে এসে বৃষ্টির পাসে বসে খালেক সাহেবকে বললো ।

:+আপনি ওকে হসপিটালে নিয়ে যান । এভাবে বেশিখন থাকলে ও বাচবে না ।(জেক)

জেকের কথা শুনে খালেক সাহেব জেকের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বললো ।

:+ওর মরে যাওয়াই ভালো । এই জীবন রেখে ও কি করবে । যেই কথা গুলো তুমি আমাকে বলেছো । সেগুলো পাচ কান হলে, ওর জীবন এমনি তেই জাহান্নাম হয়ে যাবে । না তো ওকে সমাজের কেও মেনে নিবে । না তো রাস্তা ঘাটে ও ঠিক মতো চলতে পারবে । সবাই ওর দিকে এক অন্য দৃষ্টিতে তাকাবে । আমি বাবা হয়ে এটা কি করে সয্য করবো ।(খালেক)

বলেই খালেক সাহেব কিছু’টা কেদে উঠলেন । জেক খালেক সাহেবকে শান্তনার সুরে বললো ।

:+আমি আপনাকে একটা বুদ্ধি দিতে পারি । যদি আপনি আমার কথা শুনেন, তাহলে ওর জীবন সুন্দর হবে । ওর দিকে কেও অন্য দৃষ্টিতে তাকাবে না ।(জেক)

জেকের কথা শুনে খালেক সাহেব সরু চোখে জেকের দিকে তাকালো । জেক খালেক সাহেবের একটা হাত ধরে বললো ।

:+ওকে আপনি বিদেশে পাঠিয়ে দিন । কয়েক বছর ওখানে থাকলে ওর মন মানিসি কতার পরিবর্তন হতে পারে । আবার এমন যায়গায় পাঠাবেন না, যেন ওর মন মানিসি কতার পরিবর্তনের বদলে আরো বিগরে যায় । ওকে এমন এক যায়গায় পাঠান, যেখানে ও পড়া লেখার কারনে, ঠিক মতো খেতেও না পাড়ে । কয়েক বছর পর দেশে আসলে দেখবেন এমনি তেই ও পরিবর্তন হয়ে গেছে । আর ওকে তখন কেও ঠিক মতো চিনতেও পারবে না । ওর দিকে অন্য দৃষ্টিতে তাকানো তো দুরের কথা । বিদেশে গেলে এমনি তেই আমাদের বাঙালিদের চেহারার পরিবর্তন হয়ে যায় ।(জেক)

জেকের কথা গুলো খালেক সাহেবের মনে ধরলো । কিন্তু একটা দুর্বলতা এখনো কাজ করছে খালেক সাহেবের মনে । সেটা হলো এই মেয়েকে বিয়ে করবে কে? খালেক সাহেব নিজের চিন্তা নিজের মধ্যে রেখেই জেক’কে বললো ।

:+তুমি ভালো একটা কথা বলছো । আমার ছোট ভাই তার পরিবার হস ইতালি থাকে । ও ভিশন রাগি মানুষ । বৃষ্টি ওকে জমের মতো ভয় পায় । আমি তাহলে ওকে, ওখানেই পাঠিয়ে দেবো ।(খালেক)

খালেক সাহেবের এমন কথা শুনে জেক বললো ।

:+হুম,, তাহলে সেটাই করুন । এখন ওকে হসপিটালে নিয়ে যান । নাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে ।(জেক)

কথা’টা বলে জেক রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । এরপর পিন্সিপেল রুমে এসে জেক নিদ্রকে বললো ।

:+আমি ওর বাবাকে বুঝিয়েছি । উনি ওকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিবেন । তুই এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে’নে । ওদিকে আবার তৃপ্তির কি হয়েছে কে যানে ।(জেক)

জেকের কথা শুনে নিদ্র নিজ ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো । সে যার জন্য ফাইট করছিল, তাকেই সে ভুলে গেল । ভেবেই নিদ্র নিজের চুল গুলে খামছে ধরে পিন্সিপেল রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । নিদ্রর পিছু পিছু জেকও বেরিয়ে আসলো । নিদ্র নিজের বাইকের কাছে এসে দারালো । জেক নিদ্রর কাছ থেকে বাইকের চাবি নিয়ে, বাইকের উপর বসে, বাইক স্টার্ড দিলো । নিদ্র ডান পাসে তাকিয়ে দেখলে, বৃষ্টিকে দু’জন ছেলে খালেক সাহেবের গাড়িতে তুলছে । খালেক সাহেব গাড়ির ড্রাইভাং সিটে বসছে । নিদ্র জেকের পিছনে বাইকে উঠে বসে বললো ।

:+ক্লাবে নিয়ে চল । তারপর হসপিটালে যাবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, জেক বাইক স্টার্ড দিতেই, আদি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে এসে দারালো বাইকের সামনে । জেক বাইক ব্রেক করে বললো ।

:+তোকে তো বলতে ভুলে গেছি । এই নে,, এখানে তিন হাজার টাকা আছে । পলা পানদের কিছু খাওয়িয়ে দিস । আর পুরো কলেজে যেখানে যেখানে রক্ত লেগে আছে । সে সব যায়গা ভালো করে মুছে নিবি ।(জেক)

আদি আচ্ছা বলে সামনে থেকে সরে দারালো । আর জেক বাইক স্টার্ড দিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে গেল ।

আমেনা সমানে কল করে যাচ্ছে নিদ্রকে । সন্ধা হতে চললো এখনো বাসায় ফেরেনি তারা । চিন্তায় আমেনার পেসার লো হয়ে যাচ্ছে । নীলা আর সুমি আমেনার পাসে বসে তৃপ্তির ফোনে কল করে যাচ্ছে । তৃপ্তির ফোনে রিং হচ্ছে, কিন্তু কেও কল রিসিপ করছে না । সুমি এক প্রর্যায় আমেনাকে বললো ।

:+আন্টি আপনি এতো টেনশন করবেন না । নিদ্র ভাইয়া হয়তো, তৃপ্তিকে নিয়ে তার কোনো বন্ধুর বাসায় গেছে । ফোনে চার্জ না থাকায় হয়তো আপনাকে কল করে যানাতে পারছে না ।(সুমি)

সুমির কথা শুনে, আমেনা রাগি গলায় বলে উঠলেন ।

:+তাই বলে এক বারো কল করে আমাকে যানাবে না । আমার তো কোনো কিছু সুবিধের মনে হচ্ছে না । নিশ্চয় কিছু হয়েছে । না হলে নিদ্র আমাকে এক বার হলেও কল করে বলতো, ওরা কোথায় আছে ।(আমেনা)

নীলা জেদ করে নিজের ফোন সাইডে রেখে বললো ।

:+আন্টি আমারও কিছু সুবিধের মনে হচ্ছে না । আমার মনে হয় কলেজে,,,,,,,,।(নীলা)

নীলা পুরো কথা শেষ করতে পারলো না । তার আগেই আমেনার ফোনে কল আসলো । আমেনা তরি ঘরি করে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো নিদ্র কল করছে । তাড়াতাড়ি কল রিসিপ কর ককর্শ গলায় বলে উঠলো আমেনা ।

:+কোথায় তোরা? সেই কখন থেকে কল করে যাচ্ছি । ফোন বন্ধ কেন তোর?(আমেনা)

আমেনার ককর্শ গলার আওয়াজ শুনে নিদ্র চাপা গলায় বললো ।

:+সরি MOM….ফোনে চার্জ ছিল না । তাই তোমাকে বলতে পারিনি । আমি তৃপ্তিকে নিয়ে জেকের বাসায় আসছি । আন্টির সাথে রাস্তায় আসার সময় দেখা হয়ে গেছিল । তাই আন্টি আমাদের জোর করে উনার বাসায় নিয়ে আসছে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে আমেনা সস্থির একটা নিশ্বাস ছেরে বললো ।

:+কখন আসবি বাসায় ।(আমেনা)

:+ঠিক বলতে পারছি না । আচ্ছা এখন রাখছি পরে বলবো ।(নিদ্র)

আমেনা আর কিছু বলার আগেই নিদ্র কল কেটে দিলো । আমেনা আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল । তবে এখন শান্তি লাগছে উনার । সুমি পাস থেকে বলে উঠলো ।

:+দেখলেন আন্টি আমি বলেছিলাম না । নিদ্র ভাইয়া তৃপ্তিকে নিয়ে হয়তো তার বন্ধুর বাসায় গেছে । আমার কথাই তো সত্যি হলো দেখলেন ।(সুমি)

সুমি কথা শুনে আমেনা একটু হেসে উঠে বললেন ।

:+হুম,, তুমি ঠিক বলছিলে । ধুর ছাই আমি খামোখা এতো টেনশন করছিলাম । এখন পেসারের একটা টেবলেট খেতে হবে । না হলে হবে না ।(আমেনা)

এই বলে বসা থেকে উঠে দারালো আমেনা । নীলা আর সুমিও বসা থেকে উঠে দারালো । নীলা আমেনাকে বললো ।

:+তাহলে আন্টি আমরা এখন যাই । তৃপ্তি আসলে আবার আসবো ।(নীলা)

আমেনা সিরির দিকে পা বারিয়ে বললো ।

:+আচ্ছা যাও ।(আমেনা)

নীলা আর সুমি নিজেদের ফ্ল্যাটে চলে গেল । আর আমেনা নিজের রুমে এসে একটা পেসারের ঔষধ খেয়ে নিলো ।

————————————–

সন্ধা ৭টা বাজে…………….
হসপিটালের কেবিনের ভিতর তৃপ্তি নিদ্রর কোলে মাথা রেখে গুটি শুটি হয়ে সুয়ে আছে । আর নিদ্র তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে । একজন নার্স পাসে দারিয়ে মিটমিট করে হাসছে । তৃপ্তিকে ইনজেকশন দিতে এসেছে নার্সটি । জেক আর রাহুল জুইকে বাসায় দিয়ে আসতে গেছে । এক সাথে তারা নিজেদের বাসায় গিয়েও ফ্রেশ হয়ে আবার আসবে । হাত অপারেশন শেষ করে বিকেল চার’টার দিকে অপারেশন রুমে থেকে বের করা হয়েছিল তৃপ্তিকে । এরপর তৃপ্তির ঙ্গেন ফেরার পর, ছয়’টার দিকে কেবিনে সিফট করা হয় । নিদ্র হসপিটালে আসে সারে ছয়’টায় । যাই হোক,,,, বেডের পাসে দারিয়ে নার্স একটু খক খক করে কেসে বললো ।

:+ভাইয়া একটু যদি সাইড দিতেন, তাহলে ইনজেকশন গুলো দিয়ে যেতাম ।(নার্স)

নার্সের গলার আওয়াজ পেয়ে নিদ্র নার্সের দিকে তাকালো । তৃপ্তি চোখ দু’টো পিটপিট করে খুলে একবার নার্সের দিকে আবার নিদ্রর দিকে তাকালো । নার্সের লাজুক হাসি যেন তৃপ্তির গায়ে লাগলো । তৃপ্তি নিদ্রকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+একদম এখান থেকে উঠবে না । তাহলে মেরে ফেলবো শয়তান । এমনি তেই রাগ উঠে আছে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্র শুকানো ডোক গিলে বসে রইলো । নার্স এবার ঠোঁট টিপে হাসতে লাগলো । নার্সের ধারনা তৃপ্তি সুইসাইড করতে গেছিল নিদ্রর জন্য । যেহেতু তৃপ্তির হাত কাটা গেছে । এতে নার্সের এমন ভাবা’টা সাভাবিক । নার্স বেডের নিচ থেকে ইনজেকশন বের করে তাতে ঔষধ নিয়ে বললো ।

:+ভাইয়াকে তো ছারবেন না । তাহলে আপনার যে হাতে কেনোলা সেট করা হয়েছে । সেই হাত’টা এদিকে দিন ।(নার্স)

নার্সের কথা শুনে, তৃপ্তি একটু নরে চরে উঠে বসতে চাইলো । নিদ্র তা দেখে তৃপ্তিকে আস্তে করে ধরে উঠিয়ে বসালো । তৃপ্তি নরম শরীর’টা নিদ্রর শরীরের উপর এলিয়ে দিলো । আর মাথা’টা নিদ্রর বুকে । বাম হাত একটা বালিশের উপর । ডান হাতে কেনোলা থাকায়, ডান হাত নার্সের দিকে বারিয়ে দিলো তৃপ্তি । নার্স মুচকি হেসে কেনোলাতে ইনজেকশন লাগিয়ে ঔষধ দিতে লাগলো । ঔষধ গুলো রগ দিয়ে সিন সিন করে যাচ্ছিল । তৃপ্তি চোখ মুখ খিচে নিদ্রর বুকে মাথা ঠেকিয়ে আছে । পর পর পাঁচ’টা ইনজেকশন দিয়ে নার্স চলে গেল । যাওয়ার আগে নার্স নিদ্রকে বলে গেল । তৃপ্তির ডান হাত’টা ধিরে ধিরে একটু মালিশ করে দিতে । এতে হাতের সিন সিন অনুভূতি’টা কমে যাবে । নার্সের কথা মতো নিদ্র তৃপ্তির ডান হাত’টা উঁচু করে ধিরে ধিরে মালিশ করতে লাগলো । এতে তৃপ্তিরও একটু ভালো লাগছিল । বাম হাত’টা বেথ্যা করছিল কিছুখন আগে প্রজন্ত । কিন্তু এখন বেথ্যার ইনজেকশন দিয়ে যাওয়ায় তেমন বেথ্যা করছে না । হাত আর সিন সিন করছে না দেখে তৃপ্তি, নিদ্রকে বললো ।

:+এবার হাত’টা ছেরে দাও । আর বেথ্যা করছে না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্র আস্তে করে তৃপ্তির হাত’টা নামিয়ে বেডে রাখলো । এরপর নিদ্র তৃপ্তিকে বললো ।

:+দেখি এবার শুয়ে পর ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি আরো একটু নড়ে চড়ে, নিদ্রর গায়ের সাথে চেপে বললো ।

:+না আমি এভাবে থাকবো । তুমিও এভাবে বসে থাকবে আমার সাথে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্র মুচকি হেসে তৃপ্তির কানে কানে ফিস ফিস করে কিছু বললো । তৃপ্তি তা শুনে নিদ্রর থেকে সরে আসতে চেয়ে বললো ।

:+ছি..ছি..ওয়াক থু । যাও তাড়াতাড়ি । নাহলে আমার বেড নোংরা করে ফেলবে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র হেসে উঠে, তৃপ্তিকে নিজে থেকে সরিয়ে বেডের উপর শুয়িয়ে দিয়ে বললো ।

:+চুপচাপ শুয়ে থাক আমি আসছি ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র তৃপ্তির বেড থেকে নেমে দারালো । তৃপ্তি ডান হাত দিয়ে নিদ্রর বাম হাত ধরে আবার বলে উঠলো ।

:+ওয়াসরুমেই তো যাবে । অন্য কোথাও যাবে না তো । আমার কিন্তু ভয় করছে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির হাত নিজের হাত থেকে ছারিয়ে বললো ।

:+আমি ওয়াসরুমেই যাচ্ছি । অন্য কোথাও না ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র, তৃপ্তিকে রেখে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল । তৃপ্তি অবাক দৃষ্টিতে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো । কেবিনের ভিতরেই তো ওয়াসরুম আছে । তাহলে নিদ্র কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল কেন? এদিকে পেটে হাত দিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে রিসিপশনের সামনে গিয়ে নিদ্র একজনকে বললো ।

:+আমি একজন ডক্টর দেখাবো । একটু বেস্থা করুন ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে লোকটি নিদ্রর দিকে ভালো করে তাকালো দেখলো, নিদ্র পেটে হাত দিয়ে আছে । লোকটি বললো ।

:+আপনার কি সমস্যা ।(লোক)

নিদ্র বলে উঠলো ।

:+পেটে আঘাত লোগেছে । ডক্টর দেখাবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে লোকটি আবারো নিদ্রকে উপর থেকে নিচ প্রর্জন্ত দেখে বললো ।

:+ঠিক আছে,,, এই দিকে সোজা গিয়ে ডান পাসের কেবিনে যাবেন । ওখানে একজন ইমার্জেন্সি ডিউটি ডাক্তার আছে । ওনাকে গিয়ে দেখান ।(লোক)

লোকটির কথা শুনে নিদ্র কিছু না বলে সেদিকে হাটা ধরলো । ডান পাসের কেবিনে প্রবেশ করে নিদ্র দেখলো একটা মেয়ে ডক্টরের চেয়ারে বসে মাথা নিচু করে ফোন দেখছে । নিদ্র সাত পাঁচ না ভেবে তাড়াতাড়ি মেয়েটির কাছে গিয়ে বললো ।

:+ম্যাম,, আমার পেটে আঘাত লেগেছে । একটু ওয়াস মানে ড্রেসিং করাবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে মেয়েটি চমকে উঠে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র আবার বলে উঠলো ।

:+একটু আর্জেন্ট । আমাকে আবার কেবিনে যেতে হবে ।(নিদ্র)

মেয়েটি বলে উঠলো ।

:+সমস্যা কি সেটা আগে দেখান ।(মেয়ে)

নিদ্র কথা’টা শুনা মাত্র পরনের শার্ট খুলে ফেললো । হঠাৎ এমন কিছু নিদ্র করবে মেয়ে’টা ভাবতে পারেনি । মেয়েটা লাজুক হয়ে একটা বেল বাটনে চাপ দিলো । সাথে সাথে চার জন আসলো । দু’জন নার্স আর দু’জন ছেলে ডক্টর মনে হয় । মেয়েটি বলে উঠলো ।

:+এনার সমস্যা’টা দেখুন তো ।(মেয়ে)

একজন ছেলেকে বললো মেয়ে ডক্টর’টি । ছেলে’টা এগিয়ে এসে দেখলো, নিদ্র পেটে হাত দিয়ে দারিয়ে আছে । ছেলে বললো ।

:+পেট থেকে হাত সরান দেখি ।(ছেলে)

নিদ্র ছেলে’টার কথা শুনা মাত্র পেট থেকে হাত সরিয়ে নিলো । সাথে সাথে টিস্যু সহ কিছু রক্তের দলা কেবিনের ফ্লোরে পরলো । ডক্টর মেয়েটি বসা থেকে দারিয়ে বলে উঠলো ।

:+আরে এনার পেট দেখি অনেক কেটে গেছে । এই তোমরা দারিয়ে দেখছো কি । তারাতাড়ি এনাকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে চলো ।(মেয়ে)

মেয়েটির কথা শুনে নিদ্রকে ছেলে গুলো ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এসে একটা বেডে শুয়িয়ে দিলো । এরপর নিদ্রর পেটের কাটা যায়গা ড্রেসিং করা সুরু করলো । ড্রেসিং করার পর ডক্টর মেয়েটি এসে বললো ।

:+দেখি তোমরা একটু সাইড দাও ।(মেয়ে)

এই বলে মেয়েটি নিদ্রর কাছে এসে, নিদ্রর পেটের কাটা যায়গা দেখতে লাগলো । একটু সময় নিয়ে মেয়েটি বললো ।

:+এটা সেলাই করতে হবে । অনেক’টা কেটে গেছে ।(মেয়ে)

মেয়েটার এমন হাব ভাব নিদ্রর মটেও ভালো লাগছে না । যা করার তারাতাড়ি কর না । এমন নেকামি করে ডক্টরি করার কি আছে । নিদ্র বলে উঠলো ।

:+আচ্ছা এখানে কি ভালো ছেলে ডক্টর নেই । থাকলে তাকে জলদি ডেকে নিয়ে আসো । আমার ফাস্ট চিকিৎসা চাই ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে মেয়েটি রাগি ভাবে বলে উঠলো ।

:+এই সমস্যা কি । আমি দেখছি যে দেখতে পারছেন না । চুপচাপ শুয়ে থাকুন ।(মেয়ে)

এই বলে মেয়েটি একটা ইনজেকশন নিয়ে, নিদ্রর পেটের কাটা যায়গার চার পাসে করেয়েক বার সুই ডুকিয়ে ইনজেকশন দিলো । এতে যায়গা’টা কেমন অবশ হয়ে গেলো । মেয়েটি আর দেরি না করে, দু’জন ছেলে সহ, নিদ্রর পেটের কাটা অংশ সেলাই করে ঔষধ লাগিয়ে বেন্ডেজ করে দিলো । নিদ্র বেথ্যা সয্য করে চুপচাপ শুয়ে ছিল । এই প্রর্জায় ডক্টর মেয়েটি নিদ্রকে বললো ।

:+এবার বেড থেকে নামতে পারেন । এতোখন তো বেস তারা হুরো করছিলেন ।(মেয়ে)

মেয়েটির কথা শুনে নিদ্র ধির গতিতে বেড থেকে নেমে দারালো । এরপর শার্ট পরে নিতে নিতে আস্তে করে মেয়েটিকে বললো ।

:+ফাস্ট টাইম এমন ডক্টর দেখলাম । যে কিনা পেসেন্টকে চিকিৎসা করতে এসে, পেসেন্টের শরীরে দিকে বার বার ঘুরে তাকায় ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, ডক্টর মেয়েটি লাজুক হেসে সেই স্থান তেগ করলো । নিদ্র একটা ছেলেকে বললো ।

:+আমার ঔষধ লিখে দিবে কে??(নিদ্র)

ছেলেটি নিদ্রর কথা শুনে ডক্টর মেয়েটির কেবিনে আবার যেতে বললো । নিদ্র উপায় না পেয়ে আবার সেই কেবিনে ধিরে ধিরে আসলো । মেয়েটি চেয়ারে বসে ছিল । নিদ্র কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করে বললো ।

:+আমার ঔষধ ।(নিদ্র)

নিদ্রর গলার আওয়াজ পেয়ে মেয়েটি নিদ্রর দিকে তাকালো । খনিকেই আবার মাথা নিচু করে নিয়ে একটা কাগজ নিদ্রর দিকে বারিয়ে দিলো মেয়েটি । নিদ্র এগিয়ে এসে কাজ’টা হাতে নিয়ে বললো ।

:+এমন ভাবে ডক্টরি করলে সারছে । পেসেন্ট এমনি তেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাবে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে ডক্টর মেয়েটি হেসে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র বলে উঠলো ।

:+আপনার পেনেন্ট কি আপনিই নিবেন । না রিসিপশনে দেবো ।(নিদ্র)

:+ফোন নাম্ব,,,,,,না মানে আমার কাছেই ।(মেয়ে)

নিদ্রর কথা শেষ হতেই মেয়েটি চট জলদি বলে উঠলো । নিদ্র মাথা নারিয়ে পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে বললো ।

:+ কতো? (নিদ্র)

মেয়েটি একটু ভাব নিয়ে বললো ।

:+ডক্টর পেমেন্ট এক হাজার । ড্রেসিং, আর সেলাই দুই হাজার । মোট তিন হাজার টাকা ।(মেয়ে)

নিদ্র ওয়ালেট থেকে দুই হাজার টাকা টেবিলের উপর রেখে বললো ।

:+আপাদত এই টাকাই আছে । বাকিটা কাল দেবো ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র ডক্টর মেয়েটির কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল । মেয়েটি কিছু বললোও না । সুধু নিদ্রর যাওয়ার পানে তাকিয়ে আস্তে করে বলে উঠলো ।

:+হাও সুইট বডি ।(মেয়ে)

কথা’টা বলেই মেয়েটি নিজে নিজের মাথায় আবার থাপ্পড় মেরে বললো ।

:+কি আবল তাবল ভাবছি আমি । এটা আমার চাকরির যায়গা । আর ছেলেটা আমার পেসেন্ট ছিল । ধুর ছাই ।(মেয়ে)

বলেই মেয়েটি আবার নিজের ফোন নিয়ে বেস্থ হয়ে পড়লো ।

তৃপ্তি মন খারাপ করে শুয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে । নিদ্র সেই কখন গেছে এখনো আসছে না । এদিকে জেক আর রাহুলও এসে বসে আছে কেবিনের ভিতরে । জেক আর রাহুলকে দেখে তৃপ্তির মনে সাহস আসে । তৃপ্তি ঠোঁট উল্টে রাহুলকে বললো ।

:+ভাইয়া দেখুন তো,, নিদ্র ভাইয়া কোথায় গেছে । ভালো লাগছে না ধুর ।(তৃপ্তি)

রাহুল পাসের একটা বেডের উপর বসে ফোন দেখছিল । কেবিনের ভিতরে দুই’টা বেড । রাহুল, তৃপ্তির কথা শুনে মুচকি হেসে বললো ।

:+চলে আসবে । তুমি শুয়ে থাকো । ওহ সরি,, তোমার তো ফোন আছে । আমি তো তোমাকে ফোন’টা দিতে ভুলে গেছি । দেবো এখন ।(রাহুল)

তৃপ্তি রাহুলের দিকে তাকিয়ে একটু সময় নিয়ে বললো ।

:+না থাক,,,এখন লাগবে না । আপনি নিদ্র ভাইয়াকে ডেকে দিন ।(তৃপ্তি)

:+ডাকতে হবে না । আমি এসে গেছি ।(নিদ্র)

কথা’টা বলে কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করলো নিদ্র । তৃপ্তি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো । জেক নিদ্রর কাছে এগিয়ে এসে, নিদ্রর হাতে একটা শপিং বেগ দিয়ে আস্তে করে বললো ।

:+এখানে পেন্ট আর শার্ট আছে । ওয়াসরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে আয় ।(জেক)

নিদ্র জেকের হাত থেকে শপিং বেগ নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল । কিছুখন পর চেঞ্জ করে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । এরপর আস্তে করে তৃপ্তির বেডের পাসে গিয়ে বসলো । রাহুল বেড থেকে নেমে দারিয়ে বললো ।

:+খাওয়া দাওয়া তো করতে হবে । কিছু নিয়ে আসার প্রয়োজন । আমি আর জেক কিছু নিয়ে আসছি,, তোরা থাক ।(রাহুল)

নিদ্র রাহুলকে ইসারা করে নিজের কাছে ডাকলো । রাহুল সামনে আসতে, নিদ্র রাহুলের হাতে নিজের ঔষধের কাগজ দিয়ে আস্তে করে বললো ।

:+এগুলো নিয়ে আসিস ।(নিদ্র)

রাহুল কাগজ’টা হাতে নিয়ে জেক সহ কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল । আর নিদ্র, তৃপ্তিকে ধিরে ধিরে উঠিয়ে বসালো । তৃপ্তি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে রেখেছে । নিদ্র সুজুক মিস না করে তৃপ্তির গালে ঠোঁট জোরা বসিয়ে দিলো ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here