#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________62
পার্কের মধ্যে বেঞ্জের উপর বসে ফুচকা খাচ্ছে লিয়া । সুজন পাসে বসে বাদামের খোসা ছিলে খাচ্ছে । লিয়া একটা ফুচকা মুখে পুরে চোখ বুঝে বললো ।
:+ঊমমম,, সেই রকমের ফিলিংস সুজন । মিস করছিলাম অনেক এটাকে ।(লিয়া)
:+আমার টেনশনে মাথা ফেটে যাচ্ছে । আর উনি ফুচকার ফিলিংসের মজা নিচ্ছেন ।(সুজন)
সুজন বাদাম চিবাতে চিবাতে এক জোরা কাপলের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বললো । তবে লিয়ার কানে কথা’টা পৌঁছে গেল । লিয়া চোখ খুলে সুজনের দিকে এক পলক তাকালো । এরপর নিজের সিনা দিয়ে সুজনের সিনায় ধাক্কা মেরে বললো ।
:+আরে চপ নিস না । আমি আছি তো । সুধু এদের থেকে কয়েক দিন লুকিয়ে চলতে হবে । কয়েক দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে ।(লিয়া)
কথা’টা শেষ করে আরেক’টা ফুচকা মুখে পুরে নিলো লিয়া । সুজন অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো লিয়ার দিকে । হঠাৎ সুজনের ফোনে টুং টুং শব্দ হলো কয়েক’টা । সুজন ফোন হাতে নিয়ে দেখলো । কয়েক’টা মেসেজ আসছে হোয়াটসঅ্যাপে । সুজন হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করার আগে’ই কল আসলো । সুজন চোখ গোল গোল করে ফোনের স্কিনে তাকালো । “সাখি” নাম’টা স্পষ্ট জলজল করছে ফোনের স্কিনে । লিয়া আড়চোখে ফোনের দিকে একবার তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো ।
:+তোর বোন কল করেছে । এভাবে তাকিয়ে থাকার কিছু নেই । কল রিসিভ কর । আর হ্যাঁ,, লাউডস্পিকারে দে । শুনি তোর বোনের রিয়েক্ট ।(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, সুজন আবার অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো লিয়ার দিকে । এরপর আবার ফোনের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে কল রিসিভ করলো । সাথে সাথে সাথির কান্না ভেসে এনো । সুজন নিজেকে সাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বললো ।
:+কি…..কি হয়েছে সাথি । কান্না করছিস কে কেন ??(সুজন)
সুজন কিছু’টা আমতা আমতা করে বলে । সাথি হেঁচকি তুলে বললো ।
:+আমার সব শেষ দা’ভাই । জেক আমাকে ধোকা দিয়েছে । আমার সাথে পতরানা করছে সে দা’ভাই । কিন্তু তুমি তো বাংলাদেশে । ওকে কিছু বললে না তুমি । তোমার তো সব যানার কথা । তুমি ওকে বাধা দাও-নি । তোমার না বন্ধু সে ।(সাথি)
সাথির কথা শুনে, সুজন কি বলবে বুঝতে পারছে না ।
:+না মানে,,,,,।(সুজন)
সুজনের এমন আমতা আমতা কথা সাথির গায়ে লাগলো । সাথি হেঁচকি তুলে চিৎকার করে বললো ।
:+বুঝচ্ছি আমি । তুমিও এর সাথে যুক্ত । নিজের বন্ধু তো, তাই কিছু বলবে না এখন । সমস্যা নেই । আমি আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশে আসছি । সবাইকে দেখে নেবো আমি । কাওকে ছারবো না ।(সাথি)
হেঁচকি তুলে কথা গুলো বলে চোখের পানি মুছলো সাথি । এরপর সুজনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল কেটে দিলো । সুজন শুকনো ঢোক গিলে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো । লিয়া এতোখন সব শুনছিল । এই প্রর্যায় লিয়া হে হে করে হেসে উঠে বললো ।
:+তোর বোন তো দেখছি বেশ জেদি । ওই সালা জেকের মধ্যে কি দেখলো তোর বোন । যে এমন পাগল হচ্ছে ওর জন্য । যাক ভালোই হলো । এবার ও দেশে আসলে, জেকের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো ।(লিয়া)
:+আমার বোনকে তুই যানিস না । ও আমার উপরে প্রর্যন্ত হুকুম খাটায় । বাসার কেও ওর উপরে কথা বলতে পারবে না । বললেই বাসার সব জিনিস ভেঙে গুড়িয়ে দেয় ।(সুজন)
হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ গুলো দেখার জন্য, হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করতে করতে বললো সুজন । লিয়া মুখ বাকিয়ে ফুচকা খাওয়ায় মন দেয় । হোয়াটসঅ্যাপে সাথির চেট লিস্টে কয়েক’টা ফটো দেখলো সুজন । প্রিয় মানুষ’টি অন্য কারো পাসে শুয়ে আছে । কিন্তু এই ছিবি গুলো সুজনের’ই তোলা । সুজন মনে মনে বলে উঠলো ।
:+যদি সে আমার না হয় । ঠিক এমন ভাবে যদি সে অন্য কারো বুকে চলে যায় । তখন আমি কি করবো । আমি তাকে ছারা কি করে বাচবো । তাকে যে এখনো বলা হয়-নি, কত’টা ভালোবাসি তাকে ।(সুজন)
মনে মনে কথা গুলো বলে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো সুজন । বুকের ভিতর কেমন যেন জ্বলে উঠলো সুজনের । আবার ভয় লাগতে সুরু করলো । এই ভয় প্রিয় মানুষ’টিকে হারানোর । বুকের ভিতর কু করে ডেকে উঠলো সুজনের । হঠাৎ লিয়ার ধাক্কায় ধেন ভাঙলো তার।
:+ওই ফোনের দিকে এমন মনোযোগ দিয়ে কি দেখছিস । আরে ওটা আমার আর জেকের ফটো । যেটা তুই তুলেছিস । তোর বোন পাটিয়েছে ।(লিয়া)
সুজন চমকে উঠে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেরিয়ে আসলো । এরপর লিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তোর খাওয়া শেষ কর তাড়াতাড়ি ।(সুজন)
সুজনের কথা শুনে, লিয়া মুখ বাকিয়ে আবার ফুচকা খাওয়ায় মন দিলো । সুজন অন্য দিকে তাকিয়ে নিরবে প্রশান্তির নিশ্বাস ছারলো ।
——————————————
বেলা ৪টা বাজে…………
আমেনা সমানে কল করে যাচ্ছে লিয়াকে । কিন্তু লিয়া ফোন তুলছে না । আমেনার প্রছন্ড বিরক্তি আবার টেনশন হচ্ছে । মেয়ে’টা সেই সকালে বাসা থেকে বেরিয়েছে এখনো ফিরে’নি । নিদ্র আমেনাকে টেনশন করতে নিষেধ করেছে । নিষেধ করে নিদ্র বেরিয়ে গেছে লিয়ার খোঁজে । এদিকে তৃপ্তি নিজ রুমে বসে সামিয়ার সাথে ফোনে কথা বলছে । সামিয়া কাদতে কাদতে তৃপ্তিকে বললো ।
:+দেখ তৃপ্তি । আমি আর কোনো ভাবেই কাওকে বিশ্বাস করবো না । তুই আমাকে রাহুলের হয়ে কথা বলতে আসবি না ।(সামিয়া)
সামিয়ার কথা শুনে তৃপ্তি সামিয়াকে শান্ত করার জন্য বললো ।
:+আমার কথা শুন সামিয়া । রাহুল ভাইয়া এমন না । আচ্ছা তুই আমাকে ফটো গুলো সেন্ড করতো ।(তৃপ্তি)
সামিয়া তৃপ্তির কথা শুনে চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+ওর ওই নোংরা ফটো আমি তোকে দেখাতে পারবো না । মেয়ে’টা ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে । আমার খুব কষ্ঠ হচ্ছে তৃপ্তি । নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমার ।(সামিয়া)
:+সামিয়া রিলাক্স, কুল ডাউন । এমন’টা সাভাবিক হয়ে থাকে । মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকে’ই যে পাবে,, এমন’টা তো নয় । কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না রাহুল ভাইয়া এমন করবে । আমি ভাইয়াকে ভালো করে বুঝেছি এখানে এসে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি কিছু’টা শান্তনা সুরে কথা গুলো বললো । সামিয়া নিজের চোখের পানি মুছে বললো ।
:+আমি যানি না তুই কোন বিশ্বাসে রাহুলের কথা বলছিস । তবে আমি তোকে সাফ জানিয়ে দিচ্ছি । রাহুলের বিষয়ে তুই যদি আর একটা কথা বলিস । তাহলে আমি তোর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেবো । লাগবে না আমার কারো । আমি একাই ঠিক থাকতে পারবো । বেস্টফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড কিছু লাগবে না আমার ।(সামিয়া)
সামিয়া কথা শুনে, তৃপ্তি অসহায় ভাবে ফোনের স্কিনে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+আমাকে দুরে ঠেলে দিচ্ছিস । ওকে আমি আর রাহুল ভাইয়ার কথা বলবো না ।(তৃপ্তি)
:+হুম,,,এখন এসব বাদ দে । আচ্ছা,, নিদ্র ভাইয়া কি বুঝতে পেরেছে কিছু ।(সামিয়া)
চোখের পানি মুছে সরু চোখে ফোনের স্কিনে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো সামিয়া । সামিয়ার কথা শুনে, তৃপ্তি ডান হাত দিয়ে নিজের ঘাড় ডলতে ডলতে বললো ।
:+না,, এখনো কিছু বুঝতে পারে’নি । তবে যানি না সামনে কি হবে । আর কতদিন এভাবে থাকতে হবে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, সামিয়া ফোন থেকে মুখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তুই এটা আমাদের আগে বলিস-নি কেন । যানিস মিম কতো কষ্ট পেয়েছে । মেয়ে’টা কয়’টা রাত না ঘুমিয়ে কেদেছে । তুই যদি আমাদের আগে বলতি, যে তুই নিদ্র ভাইয়াকে ভালোবাসিস । তাহলে আমরা কখনো’ই নিদ্র ভাইয়ার ধারে কাছে যেতাম না । সুধু সুধু মিম মাঝখান থেকে কষ্ট পেলো ।(সামিয়া)
সামিয়ার কথা শুনে, তৃপ্তি একটু হাসার চেষ্টা করে বললো ।
:+সুধু মিম না । আমার জন্য অনেকে’ই কষ্ট পেয়েছে । কিন্তু এখন আমি তাদের সেই কষ্টর ভাগিদারী হতে যাচ্ছি । ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে অন্য করো সাথে । আমি,,,,আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারবো না সামিয়া । আল্লাহ কাছে দোয়া কর, যাতে তার বিয়ের আগে আমার মরন হয় ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, সামিয়া ফোনের দিকে তাকালো । এরপর উৎকন্ঠিত হয়ে বললো ।
:+তৃপ্তি তুই এগুলো কি বলছিস ।(সামিয়া)
তৃপ্তি ফোনের স্কিন থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো ।
:+আমি ঠিক’ই বলছি । এখন রাখছি,, আমার ভালো লাগছে না এখন ।(তৃপ্তি)
:+এতো নাটক, এতো সব কিছু । এক নিমিষে শেষ হয়ে যাবে । তুই ভাইয়াকে বলছিস না কেন? যে তুই ভাইয়াকে ভালোবাসিস । এসব নাটক বাদ দিয়ে ভাইয়াকে সত্যি’টা বলে দে ।(সামিয়া)
:+আমার এই বাচ্চা বাচ্চা সভাব, তাকে ঠিক’ই গলিয়ে দেবে । আর আমি যানি ভাইয়াও আমাকে ভালোবাসে । আর তুইও আমাকে বলেছিস । এবং আমি অনেক পরিক্ষা করেও দেখেছি তাকে । সে সব পরিক্ষায় পাস করেছে । কিন্তু সমস্যা’টা অন্যখানে সামিয়া । নিদ্র ভাইয়া বিয়ে’তে রাজি না থাকলেও । আমার বড় আম্মু, বড় আব্বু ঠিক রাজি করিয়ে নিবেন ।(তৃপ্তি)
:+তাহলে তোর ৩টা বছরের সপ্ন সব শেষ করে দিবি ।(সামিয়া)
:+মানুষ না পাওয়া কিছু নিয়েও বেচে থাকতে পারে । তুই যেমন’টা রাহুল ভাইয়াকে বলেছিস । আমিও এখন তোকে সেটা বলছি । আমি নাহয়,, না পাওয়া কিছু নিয়ে’ই থাকলাম । অবশ্য তুই রাহুল ভাইয়ার থেকে কিছু পাস-নি । কিন্তু আমি ভাইয়ার থেকে অনেক কিছু পেয়েছি । যে কয়দিন বেচে আছি । তার সৃতি গুলো নিয়ে’ই নাহয় বেচে থাকবো ।(তৃপ্তি)
কথা গুলো বলে খট করে কল কেটে দিলো তৃপ্তি । এরপর চোখ দু’টো বুঝে বেডের উপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো । চোখের কোন বেয়ে পানি গড়িয়ে কানের পাসে আসে ঠেকলো ।
———————————————-
রাত ৯টা বাজে…………
নিদ্র লিয়াকে নিয়ে বাসায় ফিরলো । নিদ্রর বাইকের পিছন থেকে নেমে, লিয়া দৌড়ে বাসর ভিতরে চলে আসলো । বাহিরে দারিয়ে থাকলে, নিদ্র নির্ঘাত কানের নিচে বাজাতে বাজাতে বাড়ির ভিতরতে নিয়ে আসতো । নিজের রুমে না গিয়ে সোজা আমেনার কাছে চলে আসলো লিয়া । আমেনা সোফার উপর বসে টিভি দেখছিলেন । লিয়া আমেনার পাসে বসে আমেনাকে দু’হাত দিয়ে জরিয়ে ধরলো । আমেনা কিছু বুঝতে বা পেরে লিয়ার মুখের দিকে তাকালেন । লিয়াকে দেখে তৃপ্তি বসা থেকে উঠে নিজের রুমে চলে গেল । এতোখন আমেনার সাথে বসে টিভি দেখছিল তৃপ্তি । লিয়াকে সহ্য হয় না তার । আমেনা লিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে । লিয়ার মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট । সদর দরজার দিকে তাকিয়ে আছে লিয়া । আমেনা লিয়ার চোখ অনুসরণ করে তাকালেন । নিদ্র রেগে তেরে আছে আমেনা আর লিয়ার দিকে । আমেনা কিছু বুঝতে পারছেন না । লিয়া কাচুমাচু হয়ে আমেনাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ফিসফিস করে বললো ।
:+শাশুড়ী মা । এই যাত্রায় বাচিয়ে দাও । কথা দিচ্ছি, জীবনে আর এমন করবো না । এটা’ই আমার শেষ দুষ্টুমি ছিল ।(লিয়া)
আমেনা লিয়ার মুখের দিকে তাকালেন । নিদ্র তেরে আসতে’ই, আমেনা লিয়াকে নিজে থেকে ছারিয়ে উঠে নিদ্রর সামনে দারালেন । নিদ্রর রাগে চোখ লাল হয়ে আছে ।
:+কি হয়েছে ?(আমেনা)
প্রশ্ন করলেন আমেনা নিদ্রকে । নিদ্র দাঁত কটমট করে বলে উঠলো ।
:+তুমি আমাকে বলছো, কি হয়েছে । ওকে জিজ্ঞেস করো । ও কি করেছে আজ । মন তো চাচ্ছে ধরে,,,।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র, আমেনার পাসে কাটিয়ে তেরে আসতে চাচ্ছিল । লিয়া তাড়াতাড়ি বসা থেকে উঠে আমেনার পিছনে এসে দারালো । আমেনা নিদ্রকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বললেন ।
:+তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হ । আমি দেখছি ।(আমেনা)
নিদ্র আমেনার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+বার বার এক জিনিস ভালো লাগে না MOM । এর আগের বার,,ও এমন করেছে,। আমি কিছু বলিনি । কারন ওদের রিলেশন তখন এতো ভালো ছিল না । কিন্তু এখন ওরা যাদের সাথে রিলেশনে গেছে । ওরা একে অপরকে অনেক ভালোবাসে । একটা সংসার ভাঙলে যেমন হয় । ঠিক এমন কাজ করেছে ও । আরে এ কোনো দিন কাওকে ভালোবেসেছে? ভালোবাসলে ঠিক’ই বুঝতো ওদের কষ্ট । ইডিয়েট ।(নিদ্র)
কথা গুলো বলে হন হন করে সিরি বেয়ে উপরে উঠে গেল নিদ্র । আমেনা একটা বড় নিশ্বাস ছারলেন । লিয়া মুখ বাকিয়ে আমেনাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো । আমেনা ছোট করে লিয়ার হাত চড় মেরে বললেন ।
:+কি করেছিস তুই ।(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে, লিয়া আমেনার কাধে চিবুক ঠেকিয়ে সব বলতে লাগলো । আমেনা সব শুনে হাসবেন । না দুঃখ প্রবাশ করবেন, কিছু বুঝতে পারছেন না । তবে লিয়া খিলখিল করে হাসছে কথা গুলো বলে ।
:+কাজ’টা তুই মোটেও ঠিক করিস-নি । কাল’ই সবার কাছে আবার ফোন করে সরি বলবি । আর ওদের সব ঠিক করে দিবি ।(আমেনা)
:+আমার বয়ে’ই গেছে । আমি কারো কাছে নত হতে পারবো না । নিদ্রায়ন আহমেদ নিদ্রর বৌ কারো কাছে নত হবে না । এটা পেস্ট্রিজে লাগবে ।(লিয়া)
আমেনার কথা শুনে, এই বলে লিয়া আমেনাকে ছেরে দিলো । এরপর সিরি বেয়ে নিজের রুমের দিকে হাটা ধরলো । আমেনা একটা দীর্ঘশ্বাস ছারলেন ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিশেদ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]