#হাতটা_দাও_বাড়িয়ে
#অরিত্রা_অর্নি
#পর্ব_৩
#রাজনীতি_রিলেটেড
“রাফিয়া দাড়িয়ে আছে ভার্সিটির সামনে অপেক্ষা করছে রিপার জন্য ।প্রায় অনেক্ষন ধরেই দাড়িয়ে আছে একা একা রিপা আসলেই ভার্সিটির ভেতরে যাবে । হটাৎ ই রাফিয়া খেয়াল করে অনেকগুলো বাইক এক সাথে আসছে অনেক হইচই হচ্ছে । রাফিয়া বুঝতে পারছে না চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে বাইকগুলো ভার্সিটির গেটের দিকেই আসছে রাফিয়া দেখে আহিল সবার সামনের বাইকটা তে । রাফিয়া দেখে তাকিয়ে থাকে ।
আহিল একটু কাছে আসতেই রাফিয়াকে দেখতে পায় । রাফিয়া ওর দিকেই তাকিয়ে আছে । রাফিয়াকে দেখেই আহিলের মুখে মুচকি হাসি ফুটে উঠে । রাফিয়া ভ্রু কুঁচকে আহিলে কে দেখে যাচ্ছে । একটু কাছে আসতেই আহিল বাইক থাকায় রাফিয়ার সামনে । রাফিয়া একটু সরে দাঁড়ায় ।
_ আরেহ ধানিলঙ্কা তুমি ।
_কে ধানিলঙ্কা ?
_ তুমি , আবার কে ।
_ অসভ্য ( বিরক্তি নিয়ে আস্তে করে বলে রাফিয়া )
_প্রচুর ।
_ কি ?
_ প্রচুর অসভ্য আমি । তা এইখানে দাড়িয়ে আছো কেনো ?
_ওইটা কি আপনাকে বলতে হবে ।
” আহিল মুচকি হেসে বাইক থেকে নেমে রাফিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায় । পাঞ্জাবির হাতা ঠিক করতে করতে বলে ”
_ আমি সব সময় শুনেছি মেয়ে মানুষদের নরম হতে হয় । কিন্তু আমার ধানিলঙ্কা মেয়ে খুব পছন্দ । এই লাইক ইউর অ্যাটিটিউড বেইবি ,,,,,,,( বলে চোখ মারে আহিল তারপর বাইকে নিয়ে ভার্সিটির ভিতরে চলে যায় )
” রাফিয়া কি বলবে বুঝে উঠার আগেই আহিল বাইক নিয়ে চলে যায় । রাফিয়ার প্রচুর বিরক্ত লাগছে এই রিপা ও আসছে না
একটু পরেই রিপা চলে আসে । রাফিয়া রেগে আগুন হয়ে আছে ”
_ সরি রে একটু দেরি হয়ে গেলো । তুই এমন রেগে আছিস কেনো ?
_ কতক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি আমি । তোর জন্য আমার এই পরিস্থিতিতে পড়তে হলো
_ কি হইছে বলবি তো।
_ ওই মাস্তান লোকটা এই ভার্সিটিতে কি করে উনাকে ঢুকতে কেনো দেয় ।
_ তুই কি আহিল ভাইয়ের কথা বলছিস ?
” রাফিয়া কিছু বলে না ”
_উনি আসবে না কেনো । ভার্সিটি ই তো উনাদের । আর উনি এই ভার্সিটির ই স্টুডেন্ট ছিলেন অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন
তুই আস্তে আস্তে ই বুঝতে পারবি । তুই উনাকে যেমন ভাবিস আহিল ভাই তেমন না উনি অনেক ভালো ,,,,
_ হইছে বইন চুপ কর । কতো ভালো তাই তো দেখেছি ই আমি মাস্তান একটা ।
_ তোকে কেউ বুঝাতে পারবে না । চল ভেতরে যাই।
” রাফিয়া আর রিপা ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে । আজ ওরা এসেছে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু হবে দুইদিন পড়ে থেকে । রাফিয়া মনে মনে এই ভার্সিটিতেই ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে
ভার্সিটিটা অনেক বেশি সুন্দর । ভেতরে শত শত ছেলে মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । কেউ ভর্তি হতে এসেছে তো কি এইখানকার স্টুডেন্ট ।
রিপা আর রাফিয়া নিজেদের কাজে চলে যায় । কাজ শেষে দুইজনে ভার্সিটির কেন্টিন যায় কিছু খেতে । কিন্তু ঐখানে গিয়ে রাফিয়া আর রিপা দুইজন ই অবাক হয় ।
আহিল একটা ছেলেকে সামনে বসিয়ে ধমাকাচ্ছে । আহিলের পেছনে দশ থেকে বার জন ছেলে দাড়িয়ে আছে ।
রাফিয়া দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে । রিপা ই দাড়িয়ে আছে পাশে ।
আহিল ছেলেটার কলার চেপে ধরে ।এক পর্যায় ছেলেটাকে ছেড়ে দেয় আহিল এই মুহূর্তে প্রচন্ড রেগে আছে ও ।
ঘুরে দাড়াতেই রাফিয়াকে দেখতে পায় । আহিল আসা করেনি রাফিয়া এইখানে আসবে । ও তো এসেছিল ওই ছেলেটার জন্য । রাফিয়া একটু একটু করে হেঁটে আহিলের সামনে এসে দাঁড়ায় ।
_ আমি শুনেছি আপনি নাকি অনেক ভালো মানুষ । মানুষের ক্ষতি করেননা । এই আপনার ভালো মানুষই। ভার্সিটিতে ঢুকে একটা ছেলেকে ধরে বাজে ব্যাবহার করছেন বাহ্। দেখলো রিপা কি বলেছিলাম
তুই তো মানতেই চাস না ।
” রাফিয়ার কথা শুনে পেছন থেকে একটা ছেলে এগিয়ে আসতে চাইলে আহিল হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেয় । নিজেই একটু ঝুঁকে রাফিয়ার দিকে ”
_ মানুষ এত বোকা হয় । তুমি যেনো আমার কি বলো মাস্তান । তুমার ওই বোনকে জিজ্ঞেস করে শুনে নিও ও আমায় কি বলে
শোনো মেয়ে তুমি বেশি উড়ছো। আমি আহিল আবার কারো বেশি উড়া পছন্দ করি না । তুমায় আমি রেডি থাকতে বলেছিলাম না । বেশি বাড়াবাড়ি করলে রেডি হওয়ার সময় ও কিন্তু পাবে না ।
_ আপনি আমায় হুমকি দিচ্ছেন ?
_ কোনো সন্দেহ আছে ।
_ আমি আপনাকে দেখে নিবো।
_ অনেক সময় পাবে । দেখে নিও ।
_ কি বলতে চেয়েছেন ?
” আহিল কোনো উত্তর দেয় না । রাফিয়াকে রেখে রিপার সামনে গিয়ে দাড়ায় ”
_ কেমন আছো রিপা ?
_ জি ভাইয়া ভালো ।
” মুচকি হেসে আহিল বেরিয়ে যায় । পেছনে সবাই বেরিয়ে যায় দাড়িয়ে থাকে শুধু রাফিয়া আর রিপা । বাইরে এসে আহিল বাইকে উঠে বসে শাওন এসে ওর সামনে দাঁড়ায় ”
_ তুই কি করছে চায়ছিস বল তো । মেয়েটা তোকে এত কিছু বলছে তুই সহ্য কেনো করছিস ।
_ কিছু একটা তো করতে চেয়ছি। করলে জানতে তো পারবি । প্রশ্ন না করে দেখে যা শুধু ।
” আহিলের এমন সহজ উত্তর শাওনের পছন্দ হয় না ”
_ সামনে নির্বাচন আহিল ।
_ আমার বউ দরকার ।
” আহিলের এই কথা শুনে শাওন কি বলবে ভেবে পায় না । জীবনের প্রথমবার আহিলের মুখে এমন কিছু শুনলো ও ”
” অন্যদিকে রাফিয়া এখনো সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে । ভেবেছিল আহিলকে সবার সামনে কথা শুনিয়ে মনটাকে শান্ত করবে কিন্তু উল্টো ওকেই কথা শুনতে হলো । রিপা গিয়ে রাফিয়ার কাঁধে হাত রাখে ”
_ বলেছিলাম কিন্তু শুনিসনি । নিজের দুঃখ নিজে টেনে আনলি । তোর কপালে ভীষণ দুঃখ আছে রাফিয়া ।
চলবে ,,,,,,