হে_সখা #অক্ষরময়ী ত্রয়োবিংশ পর্ব

0
73

#হে_সখা
#অক্ষরময়ী
ত্রয়োবিংশ পর্ব

মানুষ স্বভাবতই কৌতুহলপ্রবণ। জানার আগ্রহ মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে গুহা থেকে বিলাস বহুল বহুতল ভবনে। তবে জানার আকাঙ্ক্ষা সবসময় সুফল বয়ে নিয়ে আসে না। এই যেমন রেহবারের কথাই ভাবুন। বিয়ের এক সপ্তাহ পরেই মা-ভাই বিদেশে রওনা দিলো। সেই থেকে গুলিস্তা এই বড় বাড়িটিতে একাই দিন কাটিয়েছে। দিনের কয়েক প্রহর মালা সাথে থাকলেও রেহবারের কর্মব্যস্ত জীবনের কারনে গুলিস্তাকে একা একাই থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়েছে। রেহবার অবশ্য তখনো জানতো না, একলা থাকার অভ্যাস গুলিস্তার আজন্ম আয়তব করা। কিন্তু এখন যেইনা গুলিস্তার মানসিক অবনতি সম্পর্কে জেনেছে, ওমনি গুলিস্তাকে নিয়ে ওর চিন্তার শেষ নেই। গত কয়েকদিন বেচারা অফিসেই যায়নি। কিন্তু ওয়ার্ক ফ্রম হোম কয়দিন সম্ভব! আজকে বাধ্য হয়ে অফিসে যেতেই হচ্ছে।
শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা গুছিয়ে নিচ্ছিলো রেহবার৷ আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে। ইতোমধ্যে গুলিস্তার পাসপোর্টের আবেদন করা হয়ে গিয়েছে। সনামধন্য একজন সাইকোলজিস্টের খোঁজ পেয়েছে রাহিল। আজ রাতে রেহবারের সাথে অনলাইন মিটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই যাচ্ছে শুধু পরিবর্তন নেই গুলিস্তার আচরণে। এজন্য অবশ্য রেহবার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছে। আগে নিজের কাজগুলো নিজে করার চেষ্টা করতো। যতোটা সম্ভব গুলিস্তার উপর হতে কাজের প্রেসার কমানোর প্রয়াস। কিন্তু আজকাল সে বড্ড অলস হয়ে গেছে। সে কোনো কাজে গলা ছেড়ে ডাকতে শুরু করে, ফুল, এই ফুল…
গুলিস্তা বিরক্ত হলেও প্রকাশ করে না। বিনাবাক্যে আদেশ পালন করে৷ যে রেহবার একজন অর্গানাইজড পার্সোন ছিলো, সে এখন পুরোই এলোমেলো। গোসল করতে গিয়ে তোয়ালে নিতে ভুলে যায়, চেঞ্জিং রুমে দাঁড়িয়ে দ্বিধায় ভুগে কোন শার্টটি পরবে, সামনে পরে থাকা হাতঘড়িটিও খুজে পায় না, অফিস থেকে ফিরে গাড়ির চাবি কোথায় রেখেছে জানে না। সবকিছুতেই এখন তার ফুলের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। শাওয়ার নিয়ে বাথরুমের দরজাটি হালকা খুলে একটু উঁকি দিয়ে বাইরে তাকালো। গুলিস্তাকে ডাকতে যাবে তখনি চোখের সামনের দৃশ্য দেখে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। দরজার সামনে গুলিস্তা নিজেই দাঁড়িয়ে আছে তোয়ালে হাতে। অপ্রস্তুত হেসে হাত বাড়িয়ে তোয়ালা নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। ‘মেয়ে চালাক হয়ে গেছে দেখছি।’

শরীরের নিম্নভাগে একটি তোয়ালে পেচিয়ে অন্য একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে রেহবার বের হলো। চেঞ্জিং রুমে আরেক চমক অপেক্ষা করছিলো। সেখানেও রেহবারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে গুলিস্তা। সকালের ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে গিয়ে কিছুক্ষণ পরপর ‘ফুল, এই ফুল’ ডাকের কারনে রান্নায় মনোযোগ দেওয়া যায় না। তাই তো আজ দ্রুত ঘুম থেকে উঠে রান্নার কাজ শেষ করে ঘরে এসে বসে ছিলো। রেহবারের উন্মুক্ত শরীরের দিকে নজর পরতেই গুলিস্তা মাথা নিচু করে নিলো। তা দেখে রেহবারের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি উঁকি দিয়েছে। গুলিস্তার হাতে তোয়ালে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
– চুলগুলো মুছে দেও।

রেহবার বসেছে টুলের উপর। ওর পেছনে খানিক দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়ে ভেজা চুল মুছে দিচ্ছে গুলিস্তা। খানিক পরপর রেহবার পেছনে দিকে ঝুকে গুলিস্তার গায়ের উপর হেলান দেওয়ার চেষ্টা করছে। উদরে রেহবারের উন্মুক্ত পিঠের ছোয়া পেতেই গুলিস্তা খুব সাবধানে সরে যায়। তা বুঝতে পেরে রেহবার আবার একটু হেলে যায়। এবারও গুলিস্তা সরে গেলে রেহবার একটু বেশি ঝুকে গিয়ে মাথা ঠেকালো গুলিস্তার বুকে। চকিতে সরে গিয়ে গুলিস্তা তোয়ালে ছুড়ে দিলো রেহবারের দিকে। হড়বড়িয়ে বললো,
– হয়ে গেছে।

চেঞ্জিং রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে নিলে পেছন থেকে রেহবার বললো,
– আরে আমার কাপড়চোপড় বের করে দিয়ে যাও।

ঝড়ের বেগে হাতের কাছে যা পেলো সেখান থেকে একটি শার্ট, স্যুট প্যান্ট বের করে টুলের উপর রেখে ছুটে বেরিয়ে এলো গুলিস্তা।
নাস্তার টেবিলে খাবার খেলো নীরবে। খাওয়া শেষে গুলিস্তা উঠে যেতে নিলে রেহবার নতুন আদেশ জারি করলো।
– চট করে রেডি হয়ে নেও। আমার সাথে অফিসে যাবে।

গুলিস্তা তার জীবনকালে এতো অবাক মনে হয় কখনো হয়নি। কথা বলতেই ভুলে গেলো। অফিস যাবে মানে! অফিসে ওর কি কাজ? দিনদিন এই লোকের মতিভ্রম হচ্ছে নাকি। বগুড়া থেকে ফেরার পর থেকেই কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে। সারাক্ষণ গুলিস্তার আশেপাশে ছায়ার মতো ঘুরতে থাকে। গুলিস্তার ভীষণ অস্বস্তি হলেও, কিছু বলে না। উনার বাড়ি, উনি সেখানে খুশি থাকবে। কিন্তু এবার অত্যাচারের মাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলো না! গুলিস্তা অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
– অফিস! আমি যাবো?
– হ্যাঁ। আমার সাথে তুমিও যাবে।
– আমি তো কোনো কাজ জানি না।
– কাজ জানতে হবে না। যাও তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নেও। দেরী হয়ে যাচ্ছে।

গুলিস্তার মাথা ভনভন করছে। অফিসে কতো লোকজন থাকবে! ওখানে গুলিস্তার কী কাজ? রাগে, দুঃখে কান্না পাচ্ছে। ফাজলামি পেয়েছে নাকি! যখন যা মন চাচ্ছে হুকুম জারি করছে। ও অফিসে গেলে বাড়িতে কে থাকবে, দুপুরের রান্না করা এখনো বাকি। তাছাড়া একজন এসএসসি পাস মানুষকে দিয়ে অফিসের কি কাজ হবে? কতোশত প্রশ্ন গুলিস্তার মাথায় উঁকিঝুকি দিচ্ছে৷ এসব ভাবতে ভাবতে সিড়ি বেয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো। ঝটপট রেডি হয়ে নিচে নামতে রেহবার কিছু না বলে ওর হাত ধরে ঘর ছাড়লো। বাড়ির সদর দরজায় ঝুললো বড় একটি তালা।

বহুতল ভবনটির চতুর্থ ফ্লোরে রেহবারের অফিস। সব মিলিয়ে অর্ধশত মানুষের কর্মসংস্থান এই ফ্লোরটিতে৷ গুলিস্তাকে নিয়ে আসার খবর এই মধ্যেই লিতুনকে জানানো হয়েছে৷ অফিসের সবাই সতর্ক হয়ে নিজ আসনে বসে থাকলেও আড়চোখে তাকাচ্ছে বস এবং তার স্ত্রীর দিকে। অফিসে প্রবেশ করা মাত্রই গুলিস্তার হাঁটু দুটো কেঁপে উঠলো। চারপাশে এতো মানুষজন! তাদের সামনে দিয়ে তাকে হেঁটে যেতে হচ্ছে৷ তীব্র নার্ভাসনেসের কারনে শরীরের ভার ধরে রাখা দায়। মনে হচ্ছে এখনি পরে যাবে৷ তখনি একটা শক্ত হাত ওর হাতে হাত রাখলো। আলোর দিশারী হয়ে রেহবার ওকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গুলিস্তা নিচের দিকে তাকিয়ে কোনো রকম হেঁটে চললো। কোথায় যাচ্ছে কিছু জানে না।
– ভেতরে এসো।
রেহবারের ডাকে সামনে তাকিয়ে দেখলো ওরা কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে।

রেহবারের কেবিনটি বেশ ছিমছাম, পরিপাটি৷ মাঝখানে ডেস্ক এবং চেয়ার রাখা। একপাশে কেবিনেট। সেখানে কিছু ফাইল গুছিয়ে রাখা। অপরপাশে ওয়াশরুম ও কিচেন স্পেস৷ দেয়ালে কিছু পেইন্টিং ও দেয়াল ঘড়ি দেখা যাচ্ছে৷ গুলিস্তা খেয়াল করে দেখলো রেহবারের ডেস্কের ঠিক অপরপাশে একটি সোফা সেটও রয়েছে৷ সেখানে বসতে গেলে রেহবার ওকে থামিয়ে দিয়ে নিজের ডেস্কের সামনের চেয়ারে বসতে বললো।
যথাযথ নিয়মে অফিসের কার্যক্রম চললেও সেখানে একমাত্র ব্যতিক্রম ব্যক্তিটি গুলিস্তা। অনেকেই কৌতুহলী চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছে, এই ব্যাপারটি ওকে অস্বস্তি বোধ করাচ্ছে। লিতুনকে কাজের শিডিউল বুঝিয়ে দিয়ে রেহবার নিজেও কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। কাজের ফাঁকে গুলিস্তাকে লক্ষ্য করছিলো। ওর উদ্দেশ্যে ছিলো গুলিস্তা ধৈর্য্যের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। চুপচাপ অফিসে চলে এলেও দীর্ঘক্ষণ এভাবে বসে থাকা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ওর ধৈর্যের পরীক্ষা কর‍তে গিয়ে রেহবার নিজেই হেরে গেলো। মেয়েটা ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে। একজন মানুষ কতোটা নার্ভাস হলে এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় দরদর করে ঘামে! এই ভেবে রেহবারের খানিকটা খারাপ লাগলো। সামনে থাকা পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বলল,
– পানি খাও। গরম লাগছে? এসির টেম্পারেচার কমিয়ে দিবো?

পানি পান করে গুলিস্তা উল্টো হাতে কপালের ঘাম মুছে মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি জানালো।
সামনে থাকা ল্যাপটপটি সরিয়ে রেহবার খানিকটা ঝুঁকে গুলিস্তার কপালে দু আঙ্গুল দিয়ে টোকা দিলো। ব্যথা পেয়ে কপালে হাত দিয়ে গুলিস্তা অবাক চোখে তাকাতেই রেহবার হেসে বললো,
– মাথার মধ্যে কি চলছে? কিছু জানতে ইচ্ছে করলে প্রশ্ন করো। আমি বাঘ না ভাল্লুক যে তোমাকে খেয়ে ফেলবো? এতো ভয় পাও কেনো?

এদিক ওদিক তাকিয়ে গুলিস্তা জবাব দিলো,
– কিছু চলছে না।
– অবশ্যই কিছু চলছে৷ কি কি প্রশ্ন আছে করে ফেলো দেখি।

গুলিস্তার মনে অনেক অনেক প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে। কোনটা রেখে কোনটা আগে বলবে? প্রশ্ন করা উচিত হবে কিনা তাও জানে না। গুলিস্তার কথা যদি রেহবারের অবান্তর মনে হয়, তবে কি সেও মায়ের মতো রেগে যাবে? ইতস্তত বোধ করলেও অনেকক্ষণ পর খানিকটা ভয় নিয়ে প্রশ্ন করলো,
– আমি বাড়ি ফিরে যাই?
– বাড়িতে একা কি করবে!
– দুপুরের রান্না করতে হবে।
– আমরা মাত্র দুজন মানুষ। দুজনে বাইরে আছি। রান্নার কি দরকার! বাইরে খেয়ে নিবো।
– এখানে বসে থেকে কি করবো?
– বসে থাকতে ইচ্ছে না করলে হেঁটে বেড়াও। ওখানে কিছু বই রাখা আছে, বই পড়ো। কিচেন থেকে আমার জন্য কফিও করে আনতে পারো।

ইচ্ছা না থাকলেও মাথা নেড়ে সায় দিতে হলো। কয়েকটা দিন গুলিস্তার ভীষণ বাজে কেটেছে৷ অস্বস্তিতে গাট হয়ে রেহবারের সামনে বসে থাকতে হয়েছে৷ মাঝেমধ্যে রেহবার ওকে দিয়ে টুকটাক কাজও করিয়ে নিয়েছে। নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছিলো। ক্লায়েন্ট তাদের ডিমান্ড ও প্রেফারেন্স মেইল করেছে। ল্যাপটপটি গুলিস্তার দিকে এগিয়ে দিয়ে রেহবার বললো,
– এখানে যে কোটেশনগুলো রয়েছে এই নোটপ্যাডে লিখে ফেলো।

গুলিস্তা মুখ হা করে তাকিয়ে রইলো। রেহবার সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে৷ সে চাইলে লিতুনকে দিয়ে কাজটা করাতে পারতো, তা করলো না।
গুলিস্তা অনেকক্ষণ নিজের দাঁতে ঠোঁট কামড়ে নিজেকে ধাতস্থ করে নিলো। কম্পিত হাতে নোটপ্যাড কলম তুলে নিয়ে লিখতে শুরু করলো। কখনো লেখা বাঁকা হলো, বানান ভুল হলো, লেখার সৌন্দর্যও হারালো৷ পরপর কয়েকবার চেষ্টার পর যখন লেখা শেষ হয়েছে, বারবার রিভিশন দিয়ে নিলো।
নোটপ্যাডের লেখাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে রেহবার। অবিশ্বাস্য কন্ঠে বললো,
– তোমার হাতের লেখা চমৎকার। আর আমার হাতের লেখা দেখো, কেমন আঁকাবাঁকা। কী যে লিখি, মাঝেমধ্যে আমি নিজেই বুঝি না৷

রেহবারের চোখে মুখে মুগ্ধতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলেও সেটা প্রকাশ করার মাধ্যম জানা নেই। তবুও ভালো লাগায় ভেতরটা বুদ হয়ে রইলো। সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না রেহবারের পরবর্তী আদেশে।
– ডানদিকের ডেস্কে যে ভদ্রলোক বসে আছেন, উনি এই প্রজেক্টের মূল দায়িত্বে আছেন৷ উনাকে এই কাগজটি দিয়ে এসো।
– আমি যাবো!

গুলিস্তা মনে হয় আকাশ থেকে নিচে পরে গেলো। এতোদিন তাও রেহবারের আগেপিছে ঘুরে কোনোরকমে দিন কেটে গেছে। এখন বাইরের পরিবেশের মুখোমুখি কীভাবে হবে! রেহবার মনে হয় গুলিস্তার বিস্ময়কে তেমন পাত্তা দিলো না। ব্যস্ত হয়ে বললো,
– যাও, নিয়ে যাও। ফিরে এসে এই ফাইলগুলো গুছিয়ে রাখবে।

শাড়ির আঁচলে গলার ঘাম মুছে গুলিস্তা চারপাশে নজর বুলিয়ে নিলো। কী বোর্ডের খটখট শব্দ ছাড়া অন্য কোনো শব্দ কানে আসছে না। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত। গুলিস্তাকে দেখে কয়েকজন সামান্য হেসে নীরব অভ্যর্থনা জানালো। তা দেখে হকচকিয়ে গিয়ে অন্য পাশে তাকালো গুলিস্তা। প্রজেক্ট হেড গুলিস্তা দেখে নিজের চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলো।
– আপনি কষ্ট করে আসতে গেলেন কেনো ম্যাম! আমাকে বললে আমি নিজে চলে আসতাম৷

গুলিস্তা কোনো জবাব দিলো না। কাগজটি ডেস্কের উপর রেখে উল্টোদিকে ফিরে রেহবারের কেবিনের দিকে ছুটে গেলো। প্রজেক্ট হেড অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো বুঝতে পারছে না। অতল গহ্বর থেকে উনাকে উদ্ধার করলো লিতুন। রেহবার ওকে গুলিস্তা সম্পর্কে হালকা কিছু ধারণা দিয়েছে। গুলিস্তা চরমভাবে সোশ্যাল এনজাইটিতে ভুগছে। পরিচিত অপরিচিত কারো সাথেই সহজে মিলেমিশে যেতে পারে না। নোডপ্যাডে লিখিত কোটেশনগুলো উনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার কাজটি লিতুন সামলে নিলো। রেহবার ওকে আগেই মেইল পাঠিয়ে দিয়েছিলো।

(চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here