বন্ধ দরজায় তুমি🖤পর্ব-৩৪

0
985

#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 34…….

—- ” তোমাকে যে ডকুমেন্টস, প্রোপার্টির শেয়ার, আদার্স যে পেপার দিয়েছিলাম সেগুলো কমপ্লিট হয়ে গেছে? ”
—– ” ইয়েস স্যার। সবকিছু শেষ। আমি কালকের মধ্যে সবকিছু কমপ্লিট করে পাঠিয়ে দেব। ”

কথাটা শুনে থমকে যায় তীব্র৷ পেপারস থেকে চোখ তুলে ল্যাপটপের স্কিনের দিকে তাকায়। এতক্ষন বিছানায় বসে ভিডিও কলে কথা বলছিল রিদ্ধর সাথে। সব কাজ কমপ্লিট হিয়ে গেছে কথাটা যেন তীব্রের বিশ্বাস হলো না। হাতে থাকা কফির মগটা পাশে রেখে পেপার গুলো দেখতে দেখতে বলল,
—–” ব্যাপার কি বলত? এত তাড়াতাড়ি আমি না চাওয়া সত্ত্বেও কাজ কমপ্লিট করার কথা না৷ তাহলে,,,? ”

কথাটা শুনে মনে হলো রিদ্ধ লজ্জা পেয়ে গেল, ” আসলে স্যার… ” রিদ্ধকে মেয়েদের মত ন্যকামি করে লজ্জা পেতে দেখে বুঝতে পারল আবহাওয়া ভালো না। যেকোন সময় ওর উপর বাঁজ পরার মত কোন কনফিউশান না হলেও মারাত্তক কোন ঝামেলা পরতে পারে। সো ঝামেলা এড়ানোই ভালো। এতে কোন প্রকার ঘি না ঢালাই তীব্র উত্তম মনে করল৷ তাই প্রসঙ্গ ঘুরানোর জন্য বলল,
—- ” ওইখানের সবকিছু ঠিক আছে৷ ”
—- ” ইয়েস স্যার। শুধু আমি বাদে। “— খুব দ্রুত।

গতিবিধি ভালো না। তীব্র শুনেও না শোনার ভান করে বলল,
—– ” হসপিটালের জন্য বারতি যে সকল….”
—– ” স্যার এগুলা সব দেখ নিব। কিন্তু আপনি তো আমার কথা শুনবেন নাকি? ”

বোঝা গেল রিদ্ধ আজ ছাড়ছে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই ও কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু তীব্র পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু আজ পেয়ে বসেছে।
—— ” আর কি ?সব তো হয়েই গেল। এখন আমাকে যেতে হব। ”

ল্যাপটপ অফ করতে যাবে তখনি রিদ্ধ চিতকার করে বলে উঠে,
—– ” স্যার আপনি যদি আমার কথা না শোনের তবে কিন্তু… ”

কথাটা শুনে তীব্র ল্যাপটপ অফ করতে গিয়েও গেল না। মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে দুহাত গুজে বলল,
—– ” যদি না শুনি তবে…. ”

রিদ্ধ বেশ চিন্তায় পরে গেল। কিন্তু কী বলবে ভেবে পেল না। কিন্তু কিছু একটা বলতে হবে। কিন্তু এই লোকটাকে ইমোশনাল কথা বলে লাভ নেই। আর ভয় বা কি নিয়ে দেখাবে? নিজের গার্লফ্রেন্ডের মত তো আর এটা বলতে পারে না যে কথা না শুনলে ব্রেকয়াপ করে দিব। তবে যদি এটা বলতে পারত বেশ হত। কিন্তু ওনি তো আর গার্লফ্রেন্ড না। তবে বলতে পারে স্যার চাকরি করব না। কিন্তু তাতে খুব ভালো করেই জানে তীব্রের উত্তর হবে, as your wish. ” নাহহ তাইলে চাকরির সাথে বিয়ের স্বপ্ন ও শেষ।

—– ” রিদ্ধ। ( ধমক দিয়ে ) কি ভাবছ? না শুনলে কী? ”

বেশ চিন্তার ব্যাপার ,কী বলবে?
—– ” ব..বলে দিব! হ্যা আমি বলে দিব ”

কিঞ্চিৎ ভ্রু কুচকালো তীব্র।
—– ” আজকাল নেশা করো নাকি তুমি? কী বলবা? কাকে বলবা? আর কেন বলবা?”

তখনি যেন পাতলু মার্কা উপস্থিত বুদ্ধি রিদ্ধর মাথায় হানা দেয়। ও একটা ক্যাবলা হাসি দিয়ে তীব্রের দিকে তাকায়। ওর মতি গতিভালো না বোঝাই যাচ্ছে। আবার ভ্রু কুচকায় তীব্র….
—– ” কিহ? ”

তীব্র কফির মগে ছিপ দিতে নেয়। তখনি বেশ দম নিয়েই রিদ্ধ বলে,
—– ” আপনি যে একটা মেয়েকে বিয়ে করছিলেন সেটা বলে দিব। ”

রিদ্ধের এমন কথায় তীব্রের মুখের কফিটা পরে যায়। একটুর জন্য তা বিছনায় না বাইরে ফেলতে পারে। এটা রিদ্ধের কেমন ব্লাকমেইল ছিল। ও একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে সেটা বলে দিবে? লাইক সিরিয়াসলি। ও রাগী চোখে ল্যাপটপের স্কিনে রিদ্ধের দিকে তাকায়,
—– ” what nonsense! তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? মানে আমি একটা পুরুষ হয়ে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছি তা তুমি বলবা? তা কাকে বলবা? আর কেন বলবা? মানে আমি মেয়েকে না কি ছেলেকে বিয়ে করব? ”

—- ” স্যার আপনি ব্যাপারটা বুঝেন নাই। আমি অন্যকাউকে না আপনার ছেলে তাইয়্যানকে বলব যে আপনি একটা মেয়েকে বিয়ে করছিলেন। ”

বলেই একটা ক্যাবলা হাসি দিল রিদ্ধ। আরও অবাক হয়ে তীব্র জিজ্ঞেস করল, ” মানে। ”
—— ” তেমন কোন মানে নেই স্যার। মানেটা খুব সিমপাল। আপনি তাইয়্যানকে সব সময় বলেন মেয়েদের থেকে দুরে থাকবা। মেয়েরা খুব ডেঞ্জারাস। ”

—– ” তো… ”
—— ” তো বুঝলেন না। ( বিষদ হাসি দিয়ে৷) সে যখন জানতে পারবে তার বাবা তাকে মেয়েদের থেকে দুরে থাকতে বলে অথচ সে নিজে একসময় একটা মেয়েকে বিয়ে করছে। ভাবতে পারছেন কি হবে? ”

রিদ্ধর কথায় তীব্র বোকা বনে গেল। কিছুই বুঝল না।
—— ” বলতে কি চাইছো? ”
—— ” এটাই ভাবুন তো। যে বাবা মেয়েদের থেকে দুরে থাকতে বলে তার অতীত জীবনের মেয়েকে বিয়ে করার কথা জানতে পেরে আপনাকে ভুল বুঝবে? ”

—— ” আমার সাড়ে ৫ বছরের ছেলে আমাকে এরজন্য ভুল বুঝবে? ” অবাক হয়ে গেল।
—- ” জি স্যার। ব্যাপারটা ভাবুন। ”
—– ” ভাবছি। তোমার মাথায় সমস্যা হইছে তাও বুঝতে পারছি। আরে বোকা ও যখন বড় হবে তখন তো বুঝবেই ওকে একটা মেয়ে জন্ম দিয়েছে। আমি তো ওকে পেটে ধরিনি? একটা মেয়েই ওর মা। আর ওই মেয়েটার সাথে লিভ এন্ড রিলেশনে যেহেতু ছিলাম না সেহেতু তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আর বিয়ে মানে কি? অবশ্যই একটা মেয়ে আমার বউ? ”
একদমে বলে ফেলল তীব্র।
—- ” যাক বাবা আমি তো ওর বড় হবার কথা ভাবিনাই। সে যাই হোক। বড় হওয়ার কথা বাদ দেন। এখনের কথা বলেন। এখন তো বুঝব না। ”

—– ” রিদ্ধ। ” — বেশ রেগে গম্ভীর ভাবে বলল।

—– ” স্যার। এসব বাদ দেন। এখন যেটা বলছি সেটা শুনুন না প্লিজ। ”

বোঝা গেল তীব্রকে ছাড়বে না। আর এমনিতে তাইয়্যানের সাথে ওর যোগাযোগ ভালো। রিদ্ধ আংকেল বলতে পাগল। তখন কি বলে বসবে ঠিক নেই।

—– ” হ্যা বলো। ”
—– ” স্যার আমার বিয়ে। ”

কথাটা শুনে অবাক হলো তীব্র। কারন বিয়ের কথাটা বলে রিদ্ধর মুখ কালো হয়ে গেল। আর তীব্রের অবাক হওয়ার কারন এর আগে ৩ বার রিদ্ধ বিয়ের কথা বলেছে। কিন্তু হয়নি। কারন বড় না বেশ সিমপাল। যা রিদ্ধর ব্যপারে চিপপাল চিপমাল হয়ে যায়। ওনার বিশ্ববিখ্যাত ব্রেকয়াপে নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত গার্লফ্রেন্ড সন্দেহের বশে দুবার বিয়ে ভেঙে দিছে।

এখন এই সমস্যা সমাধান করার জন্য রিদ্ধ সিমপাল একটা পথ বের করে যে ও ওর গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করবে না। তাই এবার ও নিজেই ব্রেকয়াপ করে। যাই হোক এমন সন্দেহবাদী মেয়েকে তো আর সারাজিবন পোহানো যাবে না। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। ও যখন ওর গার্লফ্রেন্ডকে এসব বলে তখন সে আর ওয়েট না করে পুলিশের কাছে যায়। ধোকা দেওয়ার অপরাধে ওর নামে জিডি করে। বেচারাকে বাধ্য হয়ে পুরো এক রাত কলাবে থাকতে হয়েছিল। শুধু যে তাই হয়েছে ঠিক তা নয় পরদিন আবার সেই মেয়েই ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। এই বলে এবারের মত মাফ করে দিয়েছে। তারপর নিজেই আবার বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এইবার বেকে বসে রিদ্ধ নিজেই। তাই সেভাবেও বিয়েটা ভেঙে যায়। এইবার নিয়ে রিদ্ধর বিয়ের প্রস্তুতি ৪নাম্বার। টেনশন হওয়ার কথা।

তীব্র কিছুক্ষন চুপ থাকে। তারপর বেশ গম্ভীর গলায় বলে,
—– ” সেইম। নাকি অন্য কেউ? ”
—— ” এখনো জানিনা। “- -মুখটা ভার করে।
—— ” কেন? ”
—– ” মা শুধু বলেছেন বিয়ে করাবেন। কিন্তু কার সাথে বলেনি। ফের যদি ঝগড়া হয়।তাই আমিও জানতে চাইনি। ইচ্ছে আছে বিয়েই করব না। কিন্তু তাও পারছি না, ওনাদের জালায়। ওনাদের এখন বউয়ের মুখ দেখত হবে। ”

বেশ হাসি পেল তীব্রের। তবুও ওকে দেখানোর জন্য মুখ ভার করে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল। নিরবতার রেশ কাটাতে তীব্র বলল,
—– ” এখন আমি কি করতে পারি? ”

কিছুক্ষন নিরব থেকে তীব্র বলল,
—- ” স্যার আপনি আমার জন্য শুভ। প্লিজ আমার বিয়ের উপলক্ষে ২দিনের জন্য হলেও প্লিজ আসুন। তাছাড়া তাইয়্যান ও তো নিজের দেশটা দেখেনি। ”

—– ” ভেবে চিন্তে কথা বলো। আমি ওখানে গেলে কী হতে পারে তা ত তুমি জান রিদ্ধ।”
—– ” স্যার আপনি যেমন ভাবছেন তেমন কিছু না। বরং ভালো হবে।”
—— ” কার ভালো? ”
—– ” স্যার আপনার একবারের জন্য দেশে এসে সব কিছুর পরিস্তিতি দেখা উচিত। তুরের জন্য আপনি আসছেন না। কিন্তু আপনার আরো কাছের মানুষ আপনার পথ চেয়ে বসে আছে। তায়ান ভাইয়া এমন কোনদিন নাই যে আপনার কথা জানতে চায় না। আমি তবুও বারবার ওনাকে ইগনোর করি। মিথ্যে বলি। তোয়া ভাবি প্রায় প্রায় কল করে তাইয়্যানের কথা জানতে চায়।”

—- ” ৬ মাস নিজের সন্তানের মত রেখেছে জানতে চাইতেই পারে। ” একটু গম্ভীর হয়ে।

—– ” স্যার একবারের জন্য হলেও আসুন। তাইয়্যানের ও তো নিজের দেশটাকে দেখানো দরকার৷ তাছাড়া ও যদি এখানে আসে তাহলে….. ”

—– ” ওখানে গেলে অনেকেই ভালো থাকবে না রিদ্ধ। ”
—- ” স্যার তাইয়্যান আসলে সবাই একটু ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারবে। আপনার এসে দেখা উচিত। আপনি যাবার পর সাথে কি নিয়ে গেছেন? তুরের হয়ত আপনার যাবার কষ্ট নেই। কিন্তু আপনি যাবার পর তুরের সাথে থাকা প্রত্যেকটি মানুষের জীবন বিষিয়ে গেছে। ”
—- ” মানে… ”
—– ” যদি দেশে আসেন তবে নিজেই দেখে নিয়েন। তবে প্লিজ স্যার আমি চাই আপনি আমার জন্য হলেও একবার আসুন। অন্তত আমার বিয়ের জন্য। বিয়ের পর নাহয় চলে যাবেন।”

—– ” তুর কী চাইবে? ”
—– ” কী আসে যায়? তুরের সাথে তো আপনার দেখা হচ্ছে না। আর এমনিতে ও ছেলের কথা ওর মনে নেই। আর আপনি আসলেও সেই তুরকে পাবেন না। যাকে রেখে গেছেন। তাই আপনি আসলে ওর সত্যি কিছু আসে যাবে বলে আমার মনে হয় না। তবে হ্যা কিছু মানুষ হয়ত হাফ ছেড়ে বাঁচবে। ”

—– ” মানে? কী বলতে চাও…?”

ঠিক তখনি দরজা খুলে গেল। তীব্র দরজার দিকে তাকাতেই ….
—- ” পাপাই… ” বলেই বিছানায় তীব্রের কাছে এসে হাত বাড়াতেই তীব্র হাসির রেখা ফুটিয়ে নিজের দুহাত বাড়িয়ে দিল। ছেলেটি তীব্রের হাত ধরে বিছানায় উঠে তীব্রের কোলে বসল। হ্যা তাইয়্যান তীব্রের ছেলে। কোলে বসে সে পাজেল মিলাতে ব্যস্ত। তীব্র ছেলের গালে চুমো খেতেই রিদ্ধ বলে উঠল,
—- ” হে চ্যাম্প! কেমন আছ?”
—- ” ফাইন। তুমি। ”
—- ” আমিও। তবে একটু প্রব্লেমে আছি।”

—– ” কি প্রব্লেম? আমাকে বলো আমি এখুনি সলভ করে দিব। এইটার মত। ”

রিদ্ধ রীতিমতো অবাক! এইটুকু ছেলে এইটুকু সময়ে পাজেল মিলিয়ে দিল। আবার ভাবল কার ছেলে? মানুষটাই তো পাজেল।

_— ” আসলে আমি না বিপদে পরেছি। ”

—– ” কি বিপদ? ” আরেকটা পাজেল দেখতে দেখতে।

—- ” গার্লস। জানো আমি না একটা মেয়েকে বিয়ে করছি।”

কথাটা যেন তাইয়্যানের কাছে একটু অদ্ভুত মিনে হলো। খেলা ছেড়ে এবার রিদ্ধর দিকে তাকাল।
—- ” রিয়েলি? ” কিছুটা অবাক হয়ে।
—- ” হ্যা চাম্প। আমার বাবা মা মিলে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আর আপনার বাবাই ত আপনাকে বলেছে ওল গার্লস আর ডেঞ্জারাস। ”

—– ” হুমম। কিন্তু তোমার বাবা কেন বুঝে না। ”
—- ” কারন তিনি জানে না। তাই স্যারকে বলছি আমার বিয়েতে এসে তাকে বুঝাতে কিন্তু সে আসতেই চায় না। ”
—- ” পাপাই তুমি আংকেলকে কেন হেল্প করছ না? গার্ল যদি ওনাকে মারে?”

তীব্র এবার শান্ত কন্ঠে ওকে সামলাতে বলল,
—- ” না পাপাই কিছু না। আংকেল মজা করছে। ”
—- ” স্যার আপনি কি আসবেন না আমার বিয়েতে। ”
—- ” রিদ্ধ। ”
—- ” আচ্ছা রিদ্ধ আংকেল আপনি একটা মেয়েকে বিয়ে করবেন।

—– ” ( তাহলে কি ছেলেকে বিয়ে করব নাকি? ) কেন তাইয়্যান? ”
—- ” আচ্ছা পাপাই বলে গার্লসরা ডেঞ্জারাস কেন হয়? ”

কিছুক্ষন ভেবে বলল,
—- ” আসলে কি জানো? [কিছুটা ভাব নিয়ে] মেয়েদের অনেকের কাছে বাঘ মনে হতেই পারে। কিন্তু আমার মত সাহসীরা তাদের কাছে যেতে পারে। বাট আমার নার্ভাস লাগছে তাই ডাকছি তোমাদের।”
_– ” কেন? ”

—- ” কারন মেয়েগুলা খালি খামচি মারে। ”
—- ” ও তাই। আচ্ছা বাবাই তুমি বুঝি এইজন্য গার্লসদের ভয় পাও? ”

তীব্র চুপ কি বলবে বুঝতে পারছে না। রিদ্ধকে মন চাচ্ছে কাচা চিবিয়ে খেতে। কিন্তু তাইয়্যানের জন্য কিছু বলতে পারছে না।

—- ” এরকম কিছু না বাবাই। আংকেল উল্টো পাল্টা কথা বলছে। ” রাগী চোখে। কিন্তু রিদ্ধ দমবার পাত্র না। সুযোগ পেয়েছে তীব্র কে দেশে আনার আর সেটা হচ্ছে তাইয়্যান।
—– ” একদম না। স্যার আমার চেয়েও ভিতু তাই আসতে চাইছে না। আর তোমাকেও দিচ্ছে না। তুমি যদি ভয় পাও।”

—- ” আমি ব্রেভ বয়। তাই না পাপাই? ”
—- ” তাইতো। ” ছেলের গালে চুমো দিয়ে।
—- ” তাই আমি অবশ্যই রিদ্ধ আংকেলকে হেল্প করতে ওনার বিয়েতে যাব। ”

তাইয়্যানের কথায় রিদ্ধ হেসে দিল। আর তীব্র বকা বনে গেল। বুঝতেই পারল ছেলে তার, তার চেয়েও বেশি ডেঞ্জারাস। ছেলে একগুয়ে যদি ভুত উঠে দেশে যাওয়ার নিতেই হবে। তাই মন ভুলানোর জন্য বলল,

—- ” কিন্তু বাবাই তুমি ওখানে গিয়ে কী করবে? ”
—- ” গার্লরা যদি রিদ্ধ আংকেলকে খামচে দেয় আমি তাদের মেরে দিব। ”

—- ” ছিহ বাবা এসব বলতে হয় না। ব্রেভ ভয় গার্লসদের মারে না। তোমার টয়না ( তাইয়্যানের তোতা পাখি ) যদি তোমাকে কামরে দেয় তখন তুমি কি করো? ”
— ” আদর করি।? ”
—- ” ঠিক তাই। মেয়েদের ও কখনো মারতে হয় না। ”
—- ” কেন? ”
—- ” কারন মেয়েরা আদর করার জিনিস। ”

—- ” আচ্ছা যে মেয়ে আমাকে মারবে তাকেও আদর করে দিব। আর রিদ্ধ আংকেল আমি তোমার কাছে যাব। আর কেউ যদি তোমাকে মারে তবে তুমি আদর করে দিও। আর আবার যদি কিছু বলে তখন আমি দেখব। ”

এইটা শুনে তীব্র মাথা চুলকালো। আর রিদ্ধ হেশে গড়াগডি খাচ্ছে। এটা দেখে তীব্র ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়ে বলল,
—- ” না বাবাই আমরা দেশে যাব না। ”
— ” কিন্তু কেন? আমরা তো অনেক জায়গায় গিয়েছি। ”
-_– ” তুমি বললে আমরা সব জায়গায় যাব কিন্তু বাংলাদেশে না। ”

এটা শুনে তাইয়্যানের মন খারাপ হয়ে গেল। ও তীব্রকে ছাড়িয়ে বাইরে চলে গেল। তীব্র বুঝল ছেলে রাগ করেছে। কিন্তু বলবে না। একা একা বসে কাঁদবে। একদম ওর মত হয়েছে৷ স্বভাব, চরিত্র, অনুভুতির প্রকাশ সব। কিন্তু চেহারা অনেকটা মায়ের মত; সেই সিগ্ধতা। তীব্র নিজের কাজ করতে করতে কখন সময় পেরিয়ে যায় বুঝতে পারে না। কাজ শেষ হলে দেখে ৯টা বাজে। রাত হয়ে গেছে। কিন্তু তাইয়্যান কোথায়? ও তাইয়্যানকে খুজতে গিয়ে দেখে ও সুইমিং পুলে পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছে। তীব্র একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে। তারপর নিজেও তাইয়্যানের পাশে বসে। তাইয়্যান কোন রিয়েক্ট করে না।

কিছুক্ষন নিরবতা পালন করে তীব্র শান্ত কন্ঠে বলে,
—- ” রাগ করেছ? ”
মাথা নাড়ায়। রাগ করেনি সে।
—- ” তাহলে? কথা বলছ না যে? ”

কিছুক্ষন চুপ থেকে তাইয়্যান মুখ ভার করে বলে উঠে,
—– ” সরি পাপা। ”

ছেলের কথায় অবাক হয় তীব্র।
—- ” সরি কেন? ”
—- ” তোমার কথা শুনিনি তাই। ”

কথাটা শুনে তীব্র ওকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে,
-_- ” আমি সরি বাবা। ”

তারপর আর কেউ কিছু বলল না। কিছুক্ষন পর বুঝল তাইয়্যান ঘুমিয়ে গেছে। তীব্র ওকে কোলে তুলে বুকের মধ্যে নিয়ে রুমে যায়। তারপর ওকে বুকে নিয়ে মাথায় হাত বুলাতে বলাতে ভাবতে থাকে, ” আর কতদিন ওকে নিজের দেশ থেকে দুরে রাখবে। এখন অবুঝ তাই হয়ত মায়ের ব্যাপারে জানতে চায় না। কিন্তু যখন জানতে চাইবে তখন। আর তুর তো নিজের ছেলের কথা মনে নেই। মাতৃত্বের টান হয়ত অবচেতন মনে অনুভব করে।

কিন্তু হয়ত মনে পরে না। কিন্তু তাইয়্যানের তো এখানে ও ছাড়া কেউ নেই। যদি তীব্রের কিছু হয়ে যায়। তাহলে? কে দেখে রাখবে তাইয়্যানকে? ও তো পাপাই ছাড়া দুনিয়ায় কিছু বোঝে না। ওর ভালো মন্দ কিছু হয়ে গেলে তাইয়্যান যে একা হয়ে পরবে।

সেদিনের কথা…

হঠাৎ করেই তীব্র সিজনাল জ্বর হয়। জ্বরটা একটু বেশি ছিল। তাই বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেনি। যদিও ঘরে মেইড ছিল কিন্তু তারা কেউ তাইয়্যানকে খাওয়াতে পারেনি। ছেলেটা পুরো রাত কান্না করতে করতে তীব্রের বুকের উপর ঘুমিয়ে পরেছিল। সকালে উঠে ছেলেকে এমন ভাবে দেখবে আশা করেনি। ওনা থাকলে আপন কেউ নেই তাইয়্যানের। তাই ওর জন্য হলেও তীব্রকে দেশে ফিরতে হবে। নিজের জন্য না ছেলের জন্য৷ তাহলে তো তুরকে দেওয়া প্রমিস ভাঙবে না। তাই না। তাছাড়া তুরের তো এটা জানা উচিত ওর ছেলে আছে। তখন না অসুস্থ ছিল এখন তো সুস্থ্য। ও তুরের কাছে স্বামীর অধিকার না থাকলেও তাইয়্যানের তো মায়ের অধিকার আছে। তুর নিজের সন্তানকে তো ফেলে দিবে না। তাছাড়া তাইয়্যানকে শুধু ওর উপর ডিপেন্ডেবল করানো যাবে না। তাহলে ও না থাকলে ছেলেটা একা হয়ে পরবে। যাই হোক এবার তীব্র দেশে ফিরবে।

কথাগুলো ভেবে তাইয়্যানের কপালে চুমো দিল। তাইয়্যান ঘুমের মাঝেই হেশে দিল।

———————————★————————–

সকালে ঘুম থেকে উঠে তীব্র তাইয়্যানকে ডাকে,
— ” পাপাই। ঘুম থেকে উঠো। ”
—- ” আরেকটু না। স্কুল তো অফ।” ঘুম কন্ঠে।
—- ” তাইত উঠতে বলছি। ”

তাইয়্যানের কোন সাড়া না পেয়ে তীব্র ওকে কোলে তুলে নেয়। এটা দেখে তাইয়্যান কান্না জুড়ে দেয়।
—-“কোন লাভ নেই। ”

তারপর তাইয়্যানকে ব্রাশ করিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিজেও শাওয়ার নেয়। বাবা ছেলে অন্যরকম খেলায় মেতে উঠে।

ফ্রেশ হয়ে নাস্তা রেডি করে তাইয়্যানকে ডাকতে ও খাবার নিয়ে হাজির। ছুটির দিন সব কাজ নিজেরাই করে। তীব্র এক প্লেটে দুজনের খাবার রাখে। এখানে একটা গেইম আছে। দু গ্লাস দুধ রাখা। যে আগে দুধ শেষ করতে পারবে তাকে অন্য জনকে খাইয়ে দিতে হবে। গেইমের মুল উদ্দেশ্য তাইয়্যানকে দুধ খাওয়ানো। ও দুধ খেতে চায় না। তাই প্রতিদিনের মত এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাইয়্যান পাপাইয়ের হাত থেকে খাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি দুধ সাবার করে। আর তীব্র হেরে গিয়ে প্রতিদিন মুখ গোমরা করে খাইয়ে দেয়। প্রতিদিন যে তাইয়্যান জিতে যায় না নয়। মাঝে মাঝে তীব্রও জিতে যায় । সেদিন তাইয়্যান ওকে খাইয়ে দেয়। আর জিতে গেলে তীব্রের খুশির সীমা থাকে না। আর তাইয়্যান ভেংচি দিয়ে বলে,
-_-” প্রতিদিন হেরে যাও তাই আজকে ইচ্ছে করে হেরে গেলাম। ”

ছেলের মুখে এই কথা তীব্রকে না হাসিয়ে পারে না। যাই হোক আজ কে যেতে সেটা দেখার বিষয়। গেইম শুরু হয়ে গেলে বরাবরের মত আজ তীব্র হেরে যায়। তাইয়্যান দুধের গ্লাস সাবার করে তীব্রকে বলে,
—— ” জিতে গেছি এবার। ” ডোরেমনের জিসানের মত হাসি দেয়। তীব্র নিজের দুধের গ্লাস দেখে দুঃখী মুখ করে বলে,

—- ” আজকে হেরে গেলাম। কিন্তু কাল ঠিকি জিতে যাব। দেখে নিও। ”

— ” যেদিন আমি চাইব সেদিন। ”

এটা শুনে তীব্র নিজেও মুখ গোমরা করে। আর তাইয়্যান একটা সানগ্লাস চোখে দিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলে, ” খাওয়াও। খাওয়ার সময় নো সাউন্ড। ” তীব্রের বেশ হাসি পায় ছেলের এমন এটিটিউড দেখে। কিন্তু হাসে না। খাইয়ে দেয় তার নবাবকে। কিন্তু অর্ধেক খাওয়ার পর যখন দেখে তীব্র খায়নি তখন তাইয়্যান এক টুকরো খাবার নিয়ে তীব্রের মুখের কাছে দেয়। তীব্র ওর দিকে তাকিয়ে বলে,
—– ” আমি তো হেরে গেছি। ”
—– ” যেদিন তুমি জিতবে শোধ করে দিও। ”

তীব্রের মুখে হাসি ফুটে উঠে। দুজন দুজনকে খাইয়ে দেয়। তীব্রের কাছে জীবনের শ্রেষ্ট পাপ্য তাইয়্যান। যেই ভালোবাসার খোজে ও ছটফট করেছে। ছোটবেলা থেকে কাতর হয়েছে তা সম্পুর্ন হয়েছে ছেলের কাছে। ওর হয়ত কিছু চাই না। কিন্তু ছেলেকে যে দিতে হবে ওর আপন জনদের কাছে। খেতে খেতে তীব্র বলে,
—– ” তাইয়্যান। ”
—- ” হুমম। ”
—– ” বাবাইয়ের উপর সত্যি রাগ করোনি। ”
—– ” না। ”
—– ” তোমাকে নিয়ে যাব না তারপরেও। ”
—– ” হুমম। ” অন্যদিকে তাকিয়ে আলাদা ভাব নিয়ে পা দুলাতে দুলাতে।
—– ” এখন যদি বলি তোমাকে নিয়ে যাব। ”
—– ” এই জন্যই রাগ করিনি। ”

কথাটা শুনে তীব্রের হাতের চামচ প্লেটে পরে যায়। তারপর রাগী চোখে ওর দিকে তাকাতেই তাইয়্যান একটা ক্যাবলা হাসি দেয়। তীব্র বেশ রেগে জিজ্ঞেস করে,
—— ” মানে? ”

তাইয়্যান চেয়ার থেকে নামে। তারপর বলে,
—- ” আমি জানি পাপাই আমার কথা রাখবে তাই রাগ করি নাই। ”
—- ” তাইয়্যাননন….. ”

আর তাইয়্যানকে কে পায় ও দৌড় দেয়। সাথে তীব্র। বুঝে গেছে এই ছেলে একদিন ওকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাবে। বাপের চেয়ে বড় ফাজিল…..

———————————★—————————-

,
,
,

কিছুক্ষন আগেই ফ্লাইট ল্যান্ড করেছে। তীব্র কমপ্লিট ব্লাক ড্রেস আপ। টি-শার্ট তার উপর জ্যাকেট চোখে সানগ্লাস। আর তাইয়্যান ডাংগ্রিস পরে আছে। সাথে বাবাকে কপি করে চোখে সানগ্লাস। তীব্রের হাত ধরে স্টাইলে হাটছে। কিছুক্ষন বাদে বাবার হাত ছেড়ে নিজেও ভাব নিয়ে আগে হেটে চলেছে। তীব্র সানগ্লাস নামিয়ে ছেলের কৃতি কলাপ দেখে মাথা নাড়ল। এই ছেলে বড় হলে মহা বিপদ।

তীব্র নিজের কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পরল। আর তাইয়্যান হাটতে হাটতে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেল। মেয়েটা পরেই কান্না করে দিল। এটা দেখে তাইয়্যান ভয় পেয়ে গেল।এমনিতে মেয়ে তার উপর কান্না করছে। ও তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে উঠাতে চাইল কিন্তু পারল না। মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখল ওর চেয়েও একটা ছোট মেয়ে। ৩ বছর হবে।।হাটু পর্যন্ত ফ্রক পরা। মেয়েটাকে কার্টুনের পুতুলের মত লাগল। হঠাৎ কি মনে করে মেয়েটার গাল টেনে ধরল। এটা দেখে মেয়েটি আরো জোরে কান্না করে ওর হাতে খামচে দিল। তখনি ওর রিদ্ধর কথা মনে পরল যে মেয়েরা নাকি খামচে দেয়। ও রেগে গেল,
—- ” এই তুমি আমাকে খামচি দিলে কেন? ”

মেয়েটি ছোট তাই কথা বাধছে।
—- ” তুমি আ.মাকে ফেলে দিলে কেন? আবাল আমাল গাল টানলে… ”

—- ” তাই তুমি আমাকে খামচি দেবে? ”

মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল। এটা দেখে তাইয়্যান দৌড়ে পাপার কাছে গেল।

—- ” কি হয়েছে? ”
—- ” পাপাই একটা মেয়ে আমাকে খামচি মেরেছে। ”

ছেলের কথায় তীব্র আকাশ থেকে পরল।
—– ” তুমি কি করেছ? মারোনি তো। ”
মাথা নাড়িয়ে গাল ফুলিয়ে না জানাল। স্বস্তি পেল তীব্র।

—- ” ভালো করেছ বাবা। তোমাকে বলেছিলাম না মেয়েরা মারলে কিছু বলতে হয় না। কারন মেয়েরা কিউটি হয়। তাই ওদের আদর করতে হয়। মেয়েরা আদর করার জিনিস। ”

—– ” ঠিক আছে। ”
—– ” গুড।”

তীব্র আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাইয়্যান দৌড় দেয়। তীব্র ডাকে কিন্তু থামে আ।
—– ” তাইয়্যন কই যাচ্ছ। ” নিজেও ওর পিছে যায়।

তাইয়্যান সেই পিচ্চি লাল মেয়েটার কাছে যায়। মেয়েটি গাল ফুলিয়ে ওকে দেখছে কেন জিজ্ঞেস করলে তাইয়্যান ওর গালে কিস করে। এটা দেখে তীব্রের মাথায় হাত। মেয়েটা কাদতে কাদতে ওর মার কাছে গিয়ে বলে,
— ” আম্মু ছেলেটা না আমাল গালে কিস কলেছে। ”

তীব্র মেয়েটার আম্মুকে ভালো ভাবে দেখতেই থমকে যায়। কারন সে তোয়া। মেয়ের কথায় তোয়া অবাক।
—– ” কোন ছেলে আবার তোমাকে কিসি করল। ”
—- ” ওই ছেলেটা। ” তাইয়্যানকে দেখিয়ে দিয়ে।

তোয়া ওর কাছে গেলে তাইয়্যান হিরোর মত ভাব দেখায়। এটা দেখে তোয়া কিছুটা ভ্রু কুচকে বলে,
_– ” এই যে লিটেল হিরো আপনি আমার মেয়েকে কিসি করেছেন কেন? ”

তাইয়্যান বেশ মুড নিয়ে বলে,
—- ” ও আমাকে খামচি দিয়েছে তাই।”

তাইয়্যানের কথায় তোয়া কনফিউজড।
—– ” খামচি মেরেছে বলে কিসি। ”

—– ” পাপাই বলেছে মেয়েরা আদর করার জিনিস। তাই মারলে তাকে কিসি করতে হয়। মারতে না। ”

ওর কথায় হেসে উঠে তোয়া।
—– ” যেমন বাবা তেমন ছেলে খুবই ডেঞ্জারাস। যাই হোক মেয়ের মা রিক্স নিব না। তা তোমার বাবা কই। ”

তখনি তীব্র সামনে এসে দাড়ায়।
—- ” তাইয়্যান আমাদের লেট হচ্ছে। ”

ওকে দেখে থমকে যায় তোয়া। একবার তীব্র আরেকবার তাইয়্যানের দিকে তাকায়। তোয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই তীব্র বলে,
—– ” তোমার মেয়ে? ”

মাথা নাড়ায় তোয়া।
—- ” কী নাম? ”
—- ” তাসরিয়া ইবনাত তীর। ”
—- ” তাইয়্যান। ” হালকা হেশে।

তোয়া গিয়ে তাইয়্যানকে বুকে জড়িয়ে ধরে। তাইয়্যান বুঝতে না পেরে বাবার দিকে তাকায়। তোয়ার চোখে পানি।
—– ” ভালো আছেন তাই না। ”
—- ” হুমম। তবে চিন্তা করো না কাউকে ডিস্টার্ব করব না। চল তাইয়্যান। আমাদের লেট হচ্ছে। ”

তোয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যেতে চায়।
-_– ” ভাইয়া আমার কথা শুনুন। ”

——————————– ★————————-

[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]
আজকের জন্য হেসে নেন। কাল কি হবে কে জানে? বাচি না মরি এমনি যা অবস্থা…….
Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here