চিত্ত_চিরে_চৈত্রমাস,পর্বঃ উনিশ

0
664

#চিত্ত_চিরে_চৈত্রমাস,পর্বঃ উনিশ
#মম_সাহা

(৪৭)
রাতের কালো আকাশে যেন বিরহের ছাপ। তারাদের নিশ্চুপতা রাতকে করেছে আরও গম্ভীর। চিত্রা ছাঁদের গাছ গুলোতে সযত্নে পানি ঢালছে। সচারাচর রাতে গাছে কেউ পানি ঢালে না কিন্তু মন খারাপ দূর করার জন্য, সচারাচরের কাজ গুলো থেকে বেরিয়ে অন্য রকম কিছুই করা উচিৎ।

চিলেকোঠার ঘর থেকে বাহার ভাইয়ের গুনগুনিয়ে গাওয়া গানের শব্দ আসছে। চিত্রা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। হাসতে খেলতে থাকা জীবনটার কি নিদারুণ পরিবর্তন হয়ে গেলো এই এক মাসের মাঝে! সময় বদলাতে সত্যিই সময় লাগে না।

“শুনলাম তোমার নাকি হক মেরে খাওয়ার সময় ফুরিয়েছে?”

শক্ত, গম্ভীর পুরুষালী কণ্ঠে থমকালো চিত্রা। গম্ভীর কণ্ঠ হলেও কণ্ঠের মাঝে ঠাট্টার সুর। চিত্রা তপ্ত শ্বাস ফেললো, ক্লান্ত কণ্ঠে বললো,
“বাহার ভাই, ভাঙা মানুষকে আর না ভাঙলেও তো পারেন। আমি ক্লান্ত।”

চিত্রার কথায় বাহারের তেমন পরিবর্তন দেখা দিলো না। তবে উচ্চস্বরে হাসির শব্দ ভেসে এলো। চিত্রা সেই শব্দ শুনে হতাশার এক শ্বাস ফেললো। এহেন সময়ে এমন উদ্ভট উচ্চারণ বাহারের থেকেই আশা করা যায়। মানুষটা তো বরাবরই এমন, রাগ করে আর লাভ কি!

চিত্রাকে চুপ থাকতে দেখেও হেলদোল দেখালো না বাহার। বরং বেশ স্বাভাবিক কণ্ঠে বললো,
“বুঝলে মেয়ে, এ জীবনে এত দ্রুত ক্লান্ত হলে চলবে না। তোমার তো সবে বাস্তবতা শুরু। যত্নে গড়া ননীর পুতুলের ন্যায় শরীরটাকে এখন বহু ঘাত-প্রতিঘাতের লড়াই চালাতে হবে। তৈরী তো!”

“এসিড তো কেবল হাত পুড়িয়ে ছিলো। বা’হাতটা এখন প্রায় অকেজো, কে জানতো বাস্তবতা নামক এসিড আমায় পু*ড়াবে!”

চিত্রার কথায় চরম বিধ্বস্ততার আভাস। দীর্ঘশ্বাসের হাহাকারে নিস্তব্ধতা ভয়ঙ্কর হলো। বাহার ছাঁদের রেলিঙের উপর উঠে বসলো। লোকটার কি কোনো ভয়ডর নেই! এমন গা-ছাড়া ভাব নিয়ে কীভাবে থাকতে পারে মানুষ?

“তোমার আম্মু কোথায় যেতে পারে বলে মনে হয় তোমার?”

“আমি তো জানিনা। বুঝ হওয়ার পর আম্মুকে কোথাও যেতে দেখি নি তার কলেজ ছাড়া। কীভাবে বুঝবো বলুন?”

“চিন্তা করো না, ফিরে আসবে সে।”

“আপন মানুষের ভয়ঙ্কর পরিবর্তন দেখার আগেই ফিরুক সে। আমার বড্ড ভয় লাগছে, বাহার ভাই। মানুষের বদল কেমন ভয়ঙ্কর!”

চিত্রার কথায় বাহার হাসলো। স্বচ্ছ চোখের পাতায় দেখা দিলো অগাধ জলরাশির আনাগোনা। বাহার ভাইয়ের চোখে এই জলরাশিরা বড্ড বেমানান। বাহার ভাই হলো পাহাড়, যে পাহাড় মাথা উঁচু করে বাঁচে, সে পাহাড়ের বিধ্বস্ততা মানায় না।

নিচ থেকে দোয়েল ছুটে এলো ছাঁদে। চিত্রা এবং বাহারের মাঝে তখন নিরবতা। কি যেন ভাবনা ওদের। সেই নিরবতার জালকে ছিঁড়ে দিয়ে আগমন ঘটালো দোয়েল। ধীর কণ্ঠে বললো,
“চিত্রা আপা, বড় চাচী আপনারে নিচে যেতে বলছে। রাতের রান্নার আয়োজন আপনাকে করতে বলেছে। বড় চাচীর নাকি শরীর ভালো লাগছে না।”

চিত্রা তাজ্জব হয়ে তাকিয়ে রইলো দোয়েলের পানে। দোয়েলের বলা কথা টা তার বিশ্বাস হলো না। মনে হলো সে ভুল শুনেছে হয়তো। যে মেয়ে এক গ্লাস পানি তুলে খায় না, সে কিনা এত গুলো মানুষের রান্না করবে!

চিত্রা হতভম্ব অবস্থা দৃষ্টি এড়ায়নি বাহারের। সে পা ঝুলাতে ঝুলাতে বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে বললো,
“মেয়ে তুমি ঠিকই শুনেছো। এত অবাক হচ্ছো যে! এখন তোমার বড় চাচীর কোমড় ব্যাথা বাড়বে, মাথা ব্যাথা বাড়বে, শরীরের অসুস্থতা বাড়বে সাথে বাড়বে তোমার প্রতি তার অদৃশ্য, অকারণ হিংস্রতা। সাবধানে থেকো মেয়ে। পৃথিবীতে সকল মানুষই খারাপ। তবে কেউ কেউ প্রশংসা পাওয়ার লোভে, সুযোগের অভাবে তার খারাপ গুণটা দেখাতে পারে না। তোমার বড় চাচী সুযোগ পেয়েছে এখন, এবার খোলশ বদলানোর পালা।”

চিত্রা কেবল শুনে গেলো বাহার ভাইয়ের কঠিন থেকে কঠিন সত্যি কথা গুলো। সত্যিই মানুষ তবে খোলশ বদলায়!

(৪৮)

সময়টা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। ভ্যাটিকান সিটিতে আজ অবনী বেগমদের শেষ দিন। এইতো, একটু পর তারা নিজেদের গন্তব্যে রওনা দিবে। এরপর ভুলে যাবে সে এই ভ্যাটিকান সিটিকে। এই ভিনদেশ অবনী বেগমকে দান করেছে অগাধ বিশ্বাস ভাঙার যন্ত্রণা। এই ভিনদেশকে সে আর মনে করবে। সে আর ফিরে চাইবে না এ দিকে। ভুলে যাবে সব, যা আছে মিছে কলরব। ভুলে গিয়ে যদি ভালো থাকা যায় তবে ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।

এয়ারপোর্টে অপেক্ষারত অবনী। অধীর আগ্রহ তার উড়ে যাবার। এ দেশে আর যে টিকছে না মন। অনুভূতিদের ভোঁতা যন্ত্রণায় দিবানিশি যে জ্বালাছে, তা আর সে নিতে পারছেন না। এ দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে সমাপ্তি টানবে সে যন্ত্রণার।

এয়ারপোর্টের ফর্মালিটি মিটিয়ে আমজাদ সওদাগর এসে বসলেন অবনী বেগমের সাথে। চেরিকে অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে রেস্টের জন্য। প্লেন ছাড়তে এখনো প্রায় ঘন্টা দেড়েক দেরি আছে।

অবনী বেগম তাকালো আমজাদ সওদাগরের দিকে। লোকটা কি নিয়ে যেন কয়েকদিন যাবৎ চিন্তিত। কেমন অস্বস্তি দেখা যায় মানুষটার মুখ জুড়ে।

অবনী বেগমকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমজাদ সওদাগর বিব্রত বোধ করলো। কিঞ্চিৎ হেসে বললো,
“কিছু বলবে?”

আমজাদ সওদাগরের প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন ছুঁড়লো অবনীও,
“তুমি কিছু বলতে চাও?”

অবনীর প্রশ্নে আমজাদ সওদাগরের অস্বস্তি বাড়লো। সে যে কিছু একটা বলতে চায় তা তার মুখ দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। অথচ বলতে পারছে না। অবনী বেগম হয়তো আন্দাজ করতে পারলো আমজাদ সওদাগরের না বলা কথাটা। অতঃপর ক্ষীণ হাসলো। ভারী কণ্ঠে বললো,
“আজ তোমাকে একটা সত্যি কথা বলি, আমজাদ? অনেক বছরের পুষে রাখা মিছে এক আবরণ আজ ছিঁড়ে ফেলি?”

আমজাদ সওদাগর অবাক হলেন অবনী বেগমের কথায়। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন,
“কি কথা?”

“এই যে, আমি তোমার মেজো ভাইয়ের প্রাক্তন এই কথাটার পিছের ইতিহাস জানাতে চাচ্ছি।”

আমজাদ সওদাগর বিস্ফোরিত নয়নে অবনী বেগমের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এমন সময় এ কথাটা সে আশা করেন নি। আর এ বিষয়ে তাদের পরিবারে কখনো খোলামেলা আলোচনা হয় নি, তাই এমন আলোচনা যে কস্মিনকালেও হতে পারে তা তার ভাবনার বাহিরে ছিলো।

অবনী বেগম আমজাদ সওদাগরের হতভম্বতা দেখে কিঞ্চিৎ হাসলো। বেশ আরাম করে বসে বললো,
“তোমাদের পরিবারে এসেছিলাম মনের পুষে রাখা ক্ষোভ নিয়ে তোমাদের ধ্বংস করে দিতে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে তোমাদের প্রতি বেড়ে গেলো মায়া আর আমার ক্ষোভ যে কতটা ভিত্তিহীন ছিলো তাও বুঝতে শুরু করলাম। তবে হয়তো আজ এসব কিছু বলা অহেতুক। তবে মনে হচ্ছে জীবনের এ পর্যায়ে এসে এ সত্যিটা তোমার জানা উচিৎ। কিছু অনুশোচনা তোমাদেরও থাকা উচিৎ ভুল ভাবার জন্য।”

আমজাদ সওদাগরের অবাকের পাল্লা ভারী হলো। বিষ্মিত কণ্ঠে বললো,
“কী বলতে চাচ্ছো?”

“যা বলতে চাচ্ছি তা শোনার জন্য তুমিও প্রস্তুত হও। আমার জীবনের মুমূর্ষু সেই অতীত,

সময়টা গ্রীষ্মের মাঝামাঝি। আমাদের গ্রামে তখন ডাকাতের প্রকোপ বেড়েছে। দিনের বেলা তো কাঠফাটা রোদ আর রাতে হতো তুমুল ঝড়। চারদিকে পানি বেড়েছে, সেই পানি দিয়ে আসতো জলদস্যু। তাই গ্রামে বড় বড় পুলিশ অফিসার আসে, টহল বসানো হয় জায়গায় জায়গায়। তখন আমি ছিলাম পনেরোর কিশোরী। এগ্রাম ও গ্রাম দাপিয়ে বেড়াতাম। একদিন দুপুরেই কাঠফাটা রোদ্দুরে দেখা হয় আমার জীবনের সর্বনাশা পুরুষের সাথে।

কিশোরী মন তখন সেই অপরিচিত পুরুষটার সান্নিধ্যে এসে কেমন কেঁপে উঠলো! সেই প্রথম আমি অনুভব করলাম বিশেষ কিছু যা কখনো আমি এর আগে অনুভব করি নি। এক দুপুরে সেই অপরিচিত পুরুষকে প্রথম দেখে আমি ভয়ে কেঁদে দেওয়ার উপক্রম। লোকটা কি সুন্দর করে আমাকে কাঁদতে না করলো! কি সুন্দর তার কথা! কিন্তু ভয়টা এতই জেঁকে ধরেছিলো যে রাতে গা কাপিয়ে জ্বর এলো আমার।

ঘরে আব্বা একা মানুষ, আমার তখন ধুম জ্বর। মধ্যরাতে বাবা-মেয়ের তখন বেহাল অবস্থা। তখন গ্রামে তো তেমন ডাক্তার ছিলো না। জ্বরে আমার দাঁতের সাথে দাঁত লেগে আসার উপক্রম। বাহিরে তুমুল ঝড়। তন্মধ্যেই বাহির থেকে গাড়ির শব্দ পাওয়া গেলো যা তুমুল বৃষ্টির ছাঁট পেরিয়ে শোনা গেলো। বাবা ছুটে বাহিরে গেলেন, আমি তখন প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো অবস্থা। ঝাপসা চোখে দেখলাম দুপুরের সেই অপরিচিত পুলিশ অফিসারটা হন্তদন্ত হয়ে আমাদের ঘরে এসেছে। পাশে আরেকজন অফিসারও। দ্বিতীয় বার লোকটিকে দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।

যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমাদের সদরের হসপিটালে আমি ভর্তি। চারপাশে রোদের ঝিলিক। জানতে পারলাম পুরো একটা রাত আমি অবচেতন ছিলাম। আমাকে সেই পুলিশ অফিসারই হসপিটালে নিয়ে এসেছে গাড়ি দিয়ে। সারা রাত সে এখানেই ছিলো। বাবাকে অনেক সাহায্য করেছে। কিন্তু জানিনা আমার কেন যেন লোকটাকে ভয় লাগতো, কেমন একটা অনুভূতি হতো নিজেও বুঝতাম না। এই লম্বা চওড়া লোকটাকে দেখলেই বুকে ভয় হতো। হসপিটালে আমি তিনদিন ছিলাম, লোকটা তিনদিন রাতেই এসে দেখে যেতো, আমি তখন ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করতাম। যেন তার চোখে চোখ পরলে আমি শেষ হয়ে যাবো। আমার পনেরো বছরের জীবন তখন ততটাও মজবুত ছিলো না।

তিনদিন পর বাড়ি ফিরলাম। শরীর সুস্থ হতেই আবার আমার ছুটোছুটি শুরু। গ্রাম চড়ে বেড়ানোও শুরু। কিন্তু যখন পুলিশের গাড়িটা দেখতাম তখনই লুকিয়ে থাকতাম।

একদিন দুপুরে পুকুরে নেমেছি আমাদের গ্রামের আরও ছেলেমেয়েদের সাথে, বাবা পাশের মাঠ থেকেই চিৎকার চেঁচামেচি করছে যেন উঠে যাই পুকুর থেকে। কিন্তু কে শুনে করা কথা? আমি তো আমার দুষ্টুমিতে মত্ত। হুট করেই তখন সেই চিরপরিচিত গাড়িটা এসে থামলো। ছেলেমেয়ে সব পুকুর থেকে উঠে দৌড়। আমার আবার তৎক্ষনাৎ মাথায় বুদ্ধি আসে কম, যতটুকু বুদ্ধি এলো ততটুকু কাজে লাগিয়েই আমি পুকুরে ডুব মারলাম। কিন্তু কতক্ষণ আর শ্বাস আটকে রাখা যায়? আমারও হলো বেহাল দশা, দম আটকে দ্রুত উঠে গেলাম। উঠতেই চোখ পরলো পুলিশবাবুর দিকে। সে বুকে হাত গুটিয়ে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। প্রথম দেখার পর আবার আমাদের দ্বিতীয়বার সরাসরি চোখে চোখ রাখা হলো। মানুষটার মুখটা দেখলেই আমার যেন কি হয়ে যেতো। আমাকে এমন তাকিয়ে থাকতে দেখে সে ধমক দিলো। তার রাশভারী কণ্ঠে শরীরের প্রতিটা নিউরন কেঁপে উঠলো। বাবা ছাড়া আমি কারো ধমকে ভয় পেতাম না, অভিমান তো করবো দূরের কথা, অথচ আমি ভয় পেলাম লোকটার ধমকে। অভিমান করে উঠে গেলাম পুকুর ছেড়ে। বাবার পর এই দ্বিতীয় পুরুষ যার উপর আমার অভিমান হলো।

এরপর দিন গড়াতে লাগলো, লোকটা আর তার বন্ধুকে দেখতাম প্রায়ই। আমাকে দেখলেই পুলিশ বাবু তার রাশভারী কন্ঠে ডাক দিয়ে এটা ওটা বলতেন। কি সুন্দর হাসতেন! আমি কেবল অপলক তাকিয়ে দেখতাম। বাবা বলতো আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে এক রাজপুত্র, আমি মনে মনে ভাবতাম পুলিশ বাবু সে রাজপুত্র হলে খারাপ হবে না। আবেগের গাছে তখন ভালোবাসার ফুল ফুটলো। ওরা দুই বন্ধু গ্রামে বেশ সুনামও কামালো। ওরা আসার পর কমে গেলো ডাকাতির প্রকোপ।

উনার সাথে আমি প্রথম মানসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয় এক ঘটনায়। আগে তো দূর থেকে দেখতাম, হাসতাম, সে ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক হয়ে গেলো সহজ সরল। আমার এক বান্ধবীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে চাইলে সেই মানুষ প্রতিবাদ করেন। আমার বান্ধবী আবার পড়াশোনা করতো। পুলিশ বাবু আমার বান্ধবীর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে মানুষটার প্রতিটা কাজে আমি মুগ্ধ হতাম। আমার সাথে তার সম্পর্ক একদম কাছ থেকে কাছের হয়ে গেলো। মাঝে মধ্যে এটা-সেটা রান্না করে পুলিশ বাবু আর তার বন্ধুর জন্য নিয়ে যেতাম। দু বন্ধু কত তৃপ্তি করে খেতো! এমন করে বছর পেরুলো। পুরো গ্রাম জেনে গেলো আমাদের সম্পর্কের কথা। সবাই জানতো পুলিশ বাবুর সাথেই আমার বিয়ে হবে। কিন্তু,,,,”

কথা থামালো অবনী বেগম। আমজাদ সওদাগরের তখন হাত-পা কাঁপা-কাঁপি অবস্থা। যে সত্যের মুখোমুখি সে আজ হয়েছে, তা না জানতে পারলে যে নিস্তার নেই। সে উত্তেজিত কণ্ঠে বললো,
“কিন্তু কী?”

অবনী বেগমের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হলো বুক। চোখে টলমল করে উঠলো সেই অতীত। বাবার বি*ষ খাওয়া শরীর যা কাঁদায় মাখামাখি হয়ে পড়ে ছিলো মাঠে। কি বিভৎস সে স্মৃতি! কি বিশ্বাসঘাতক মানুষ!

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here