#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন-০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_০৬
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
ফিহা রাগান্বিত হয়ে বলে…. আপনি আমার কাছে আসলেন কেন। আপনার তো সাহস কম না। আপনি আপুর দেবর বলে সব মাপ নাকি।সিয়াম ভাই আপনি এখান থেকে যান প্লিজ। এইভাবে কার রুমে পারমিশন না নিয়ে ঢুকবেন না।
সিয়ামঃ এমন করছো কেন পরী। তোমায় কতদিন দেখি নাই তাই মন ভরে দেখতে আসলাম।আর তুমি আমার সাথে এইভাবে কথা বলছো।
ফিহাঃ আপনার দেখা হয়ে গেলে আমার সামনে থেকে যান প্লিজ। আর আমাকে পরী বলে ডাকবেন না একদম বলে দিচ্ছি।না হলে খুব খারাপ হবে।
সিয়ামঃ এইভাবে বলছো কেন পরী।
ফিহাঃ আবার ও পরী বলছেন।আপনার কোন কারনে আমকে পরী মনে হয়।এইসব ফালতু নাম ধরে আমায় ডাকবেন না (কিছুটা চিৎকার করে বললো)।
সিয়ামঃ যাচ্ছি পরী রাগ করো না। ভালো থেকো।আমি আজ সিলেট চলে যাব।তাই তোমায় একবার দেখার জন্য এসেছি।বলে চলে গেল।
ফিহাঃ অসভ্য ছেলে একটা।পরী নামটা শুনলেই গা কেমন জ্বলে ওঠে। কেমন জানি বিষের মতো লাগে।
মাকে বলবো এখনই বাড়ি যাব। এইখানে আর এক মুহূর্ত থাকার ইচ্ছা নাই।
ফিহাকে বর্ন জোর করেও রাখতে পারলো না। শেষে রাতের বেলাতেই দুজন বর্নের শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসলো।
………………
ফিহা নিজের রুমে খাটে আরাম করে শুইয়ে,,,,,, আহ্ কি শান্তি। যতক্ষণ ওই বাড়িতে থাকতাম এই অসভ্য ছেলে আমার পিছনে ঘুর ঘুর করতো।আল্লাহ বাঁচাইছে।
ফিহা মোবাইল হাতে নিতেই ঝিনুকের কথা মনে পরলো।ফিহা কিছুক্ষণ ঝিনুক এর সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পরলো।
★
ফাহাদের বাবা অনিক চৌধুরী অফিসের কাজে এতদিন বাহিরে ছিলেন।
আজকে তিনি বাড়িতে ফিরলেন।
খাবার টেবিলে বসে সবাই খাবার খাচ্ছে।
ফাহাদ খাবার না খেয়ে খাবারের প্লেটে আঙুল দিয়ে আঁকিবুঁকি করছে।অনিক চৌধুরী তা লক্ষ্য করলেন।
অনিক চৌধুরীঃ ফাহাদ খাচ্ছো না কেন কোনো সমস্যা।
ফাহাদ একটা মলিন হাসি দিয়ে বললো না,,,,আমি ঠিক আছি বাবা।
ফারিন বাম হাত দিয়ে ফাহাদের ডান হাতের কনুইয়ে চিমটি দিল।
ফাহাদঃ আহ্।
ফারিনের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালো।
ফারিন মিটমিট করে হাসছে আর খাচ্ছে।
ফাহাদ ফারিনকে এইভাবে খেতে দেখে বিরবির করে বলে,,,,রাক্ষসী একটা।
ফারিন এই কথা শুনে ন্যাকা কান্নার ভাব করে বলে,,,,দেখো বাবা ফাহাদ আমাকে রাক্ষসী বলেছে।
ফাহাদঃ তুমি যে আমায় চিমটি দিলে।
মিসেস মেহেরঃ তোমরা দুজন ঝগড়া বন্ধ করে খাবার শেষ কর।
ফাহাদ কিছু খাবার খেয়ে বাকি খাবারে পানি ঢেলে চলে আসলো।
কিছুতেই খাবার খেতে পারছিনা।
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে কাল ফিহুপাখিকে দেখার জন্য সকাল সকাল ভার্সিটি চলে যাব।
★
ফজরের সময় আজানের ধ্বনিতে ফিহার ঘুম ভেঙে যায়।
ফিহা অযু করে নামায পড়ে। নামায শেষ করে ফিহা তার নিজের হাতে বানানো ছোট্ট ফুল বাগানে
যায়।বাগানে গিয়ে ফিহা যা দেখলো এতে ও ভীষন রাগান্বিত হলো…………..
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]