#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১৮
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]
ঝিনুক অনেক করে বলেছে থাকতে কিন্তু ফিহা মানতে নারাজ। ফিহা বাড়ি চলে এসেছে। মাকে ছাড়া ফিহা থাকতে পারে না কোথাও।
ফিহা বাড়িতে এসে সাওয়ার নিয়ে ঘুমাতে যাবে তখনই মোবাইল বেজে উঠল।
ফিহা মোবাইল হাতে নিয়ে ব্রু কুঁচকে…. অপরিচিত নাম্বার। ধরবো কি।
ফিহা ফোন রিসিভ করলো না।
আবারও একই নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
ফিহা রিসিভ করলো…
ফিহাঃ হ্যালো।
——- পেত্নী কেমন আছো।
ফিহা অবাক হলো কন্ঠস্বর শুনে।
ফিহাঃ আপনি আপনি কি করে আমার ফোন নাম্বার ফেলেন।
ফাহাদঃ এখন ফোন নাম্বার পাওয়া কোনো ব্যাপার না।আর আমার জন্য তো আরো সহজ।
ফিহা রাগ দেখিয়ে…. কিভাবে ফেলেন।
ফাহাদঃ তোমার সামনে থেকেই নিয়েছি।
ফিহাঃ মানে….
ফাহাদঃ কিছু না।
তো পেত্নী কি করছো।
ফিহা রেগে….একদম পেত্নী বলবেন না বলছি।কোন দিক থেকে আপনার আমাকে পেত্নী মনে হয়।
ফাহাদ হাসতে হাসতে…..
সব দিক থেকেই তোমায় আমার কাছে পেত্নী মনে হয়।
ফিহাঃ আপনি কিন্তু….
ফাহাদঃ আমি কিন্তু কি হুম। তোমার কান দুটো পেত্নীদের মতো ইহা লম্বা লম্বা। আর দাঁত দুটো আমার দু-তিন আঙুলের সমান।আচ্ছা তুমি পেত্নী হয়ে মানুষের খাবার কি করে খাও।
ফিহা এবার প্রচুর রেগে গিয়ে বললো…… দেখুন আমি কোনো পেত্নী-টেত্নী নই।আপনি পেত্নীর জামাই।
আপনার চৌদ্দ গুষ্টির বংশ পেত্নীর বংশ।
ফাহাদঃ বাবা পেত্নী দেখি রাগও করতে পারে।
ফিহা রেগে ফোন কেটে দিলো।
…………….
ফিহাঃ এই বজ্জাত টাকে ভালো বলাই ভুল।সবসময় আমার পিছনে পরে থাকে জগড়া করার জন্য।
ফিহা ফাহাদকে কিছুক্ষণ বকাবকি করতে করতে ঘুমিয়ে পরলো।
★
ফাহাদ বিছানায় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
আমার চৌদ্দ গুষ্টি নাকি পেত্নীর বংশ।পাগলি একটা।
ফাহাদ মোবাইলে ফিহার ছবি দেখছে।
হাসপাতালে ফিহা যখন ঝিনুককে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে ছিলো ফাহাদ তখন লুকিয়ে লুকিয়ে ফিহার ছবি তুলেছিলো।
ফাহাদ ছবির দিকে তাকিয়ে…… আমার পাখিটা এখন খুব রেগে আছে। রাগলে গাল দুটো লাল টমাটোর মতো লাগে।আমার কাছে থাকলে কামড় বসিয়ে দিতাম।
ফিহার ছবি বুকের বাম পাশে চেপে ধরে…..এই হৃদয়ের মাঝে শুধু তোমার বসবাস ফিহুপাখি। আর কিছুদিন অপেক্ষা করো।তারপর তুমি একেবারের জন্য আমার হয়ে যাবে।
আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি ফিহুপাখি।
★
অনিক চৌধুরী অফিসে দরকারি ফাইল দেখছিলেন।
তখনই কেউ বলে উঠলো… আসতে পারি মিস্টার অনিক চৌধুরী।
অনিক চৌধুরী সামনে তাকাতেই অবাক হলেন….আরে আফজাল সাহেব জে আসুন আসুন। তো কি মনে করে আসলেন।
আফজাল সাহেবঃ আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে এসেছি।
অনিক চৌধুরী ব্রু কুঁচকে…. আমার সাথে আপনার কি এমন গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।বলুন।
আফজাল সাহেবঃ আমার মেয়ে জেরিন আপনার ছেলে ফাহাদকে অনেক ভালোবাসে।আমি চাই আমার মেয়ের……..
অনিক চৌধুরী আফজাল সাহেবকে থামিয়ে দিয়ে বললেন…. অনেক দেরি করে ফেলেছেন আফজাল সাহেব।
আফজাল সাহেবঃ দেরি করে ফেলেছি মানে।
অনিক চৌধুরীঃ আমার ছেলের বিয়ে আমি ঠিক করে ফেলেছি।
আফজাল সাহেবঃ তাহলে ভেঙে দিন এই বিয়ে। আমার মেয়ে আপনার ছেলেকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আমার মেয়ে আপনার ছেলেকে ছাড়া বাঁচবে না।
যত টাকা লাগে আমি দিবো।তবুও আমার মেয়ের জন্য আপনার ছেলেকে দিয়ে দেন।
অনিক চৌধুরীঃ আমার অনেক টাকা আছে আফজাল সাহেব ।আপনি আমার ছেলেকে কিনে নিতে চাইছেন নাকি।
আফজাল সাহেবঃ আমি তেমনটা বলতে চাইনি।আমি আসলে আমার মেয়ের…..
অনিক চৌধুরীঃ দেখুন প্রথমেই বলে দিয়েছি ছেলের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। সরি। আপনি এখন আসতে পারেন।
আফজাল সাহেব অপমানবোধ করলেন।তিনি চলে আসলেন সেইখান থেকে।
★
বাড়িতে এসে জেরিনকে সব ঘটনা খুলে বললেন।
জেরিন সব শুনে রাগান্বিত হয়ে রুমের সব ভাংচুর শুরু করলো।
জেরিনঃ যে করেই হোক আমার ফাহাদকে চাই। চাই মানি চাইই বাবা।
দরকার হলে পথের সব কাটা সরিয়ে দিবো।
কোন মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে সব তথ্য আমাকে এনে দেও বাবা ।
ওই মেয়েকে মেরে ফেলার ব্যাবস্থা করো।
আফজাল সাহেব জানেন মেয়ে তার কথা শুনবে না। তিনি মেয়ের কথায় সায় দিলেন।
চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]