-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩৮]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
গভীর রাত! নিস্তব্ধ রজনীতে আঁধারের রাজত্ব।
আঁধার যেন পৃথিবীকে অন্ধকার করে’ই তৃপ্ত হয়। দূর আকাশের চাঁদটা মিটিমিটি আলো ছড়াচ্ছে। তারা নেই! মেঘের আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছে। হয়তো মেঘের সাথে লুকোচুরির শখ জেগেছে; তাই চাঁদকে একা ফেলে’ই চলে গেছে।স্বার্থছাড়া সবাই অদৃশ্য! তারাদের মতো মানব জাতিই তার উদাহরণ!
কথায় আছে, রাত যত গভীর হয় পাপ তত বেড়ে যায়। অদ্ভুতভাবে, পাপ ঢাকতে মানুষ রাতকেই বেছে নেয়। কেন? এর উত্তর অজানা। তবে রাত নিকষ কালো বিধায় পাপকর্ম রাতকেই কলুষিত করে। যাতে আঁধারের মাঝে সব পাপ ঢাকা পড়ে যায়।ঘন জঙ্গল আঁধারে ভয়ংকর রুপ নিয়েছে। কেমন যেন শরীর শিউরে ওঠা অন্ধকার। আজ এখানে গড়ে ওঠেছে জঙ্গিদের আস্তানা।মশালের
আলোয় ওরা ফুত্তিতে মগ্ন। কারণ এক জঙ্গির ছেলে বয়সন্ধিকালে পা দিয়েছে।তাকে এখন বন্য শকূর শিকার ও নারীদেহের প্রতি উন্মোদনা বাড়াতে হবে। তাকে বুঝতে হবে, সে পুরুষ! আর পুরুষের তুষ্টিসাধন নারীর দেহে। এই খুশিতে ওরা বন্য শুকুরের পঁচা মাংস পুড়িয়ে খাচ্ছে আর হইহল্লা করছে। পঁচা মাংস আগুনে পুড়ে বিশ্রী গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই গন্ধে ওরা উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে।একপাশে অর্ধনগ্ন মেয়েরা গল্প করে পরক্ষণে’ই খিলখিল করে হেসে উঠছে।যেন না হাসাটা ঘোর অপরাধ। অদূরে বসা পুরুষেরা ওদের কামনার দৃষ্টিতে দেখছে। পুরুষদের আকৃষ্ট করতে শকুরের কলিজার তৈরী জিনিসটা ঠোঁটে লাগাচ্ছে। যাকে বলে, বাক্যহীন আহ্বান! জিনিসটা দেখতে ঠিক
আচারের মতো হলেও গন্ধ’টা খুব’ই বিশ্রী।যুবতী মেয়েদের এমন কাজে মাঝবয়সী মহিলারা দূরে বসে হাসছেন। যেন এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।কেন করবে না? শরীরটা তো চাহিদা মিটানোর জন্যই।এমন অসুস্থ চিন্তা-ধারার মানুষ উনারা।
যদিও এদের প্রতিটা কর্মে বেহায়াপনা স্পষ্ট। যার মাত্রাও তারা অতিক্রম করে ফেলে। সেসব বলা সম্ভব না! এদের লাজ-লজ্জার বালাই নেই’ই। যা আছে, বেহায়াপনা, যৌনতা,আর নারীদেহের পিপাসা। এর মধ্যে একজন যুবক উঠে যুবতীর হাত ধরে নিয়ে জঙ্গলে চলে গেল। আর বাকিরা খিলখিল করে হেসে বলল,
“ভোলের (ভোরের) আগে আছিছ।”
“আছ্ছা।”
–
মতি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে শুয়ে কাতর হয়ে কাতরাচ্ছে। ওর করুণ দশা! তার সহ্যশক্তি
যেন লোপ পেয়েছে। সে একটা সময় মেয়ে তুলে এনে ধর্ষণ করত। তাদের অমানবিক অত্যাচার করে প্রাণনাশ করত। অসহায় মেয়ের আতনার্দ ওর কাছে মধুর মনে হতো। সাথে ওর পুরুষত্বের জোর বৃদ্ধি পেতো। মেয়েরা যত ছটফট করত, সে হিংস্রতা তত বাড়িয়ে দিতো। নারীদেহ পেলে সে যেন হিংস্র জন্তুতে পরিণত হতো। তার না থাকত হুশ আর না দয়ামায়া! কত রকমভাবে কতশত মেয়েকে মেরেছে তার হিসাব নেই৷ করেই বা কী হবে? কার্যসিদ্ধি হলেই হলো। আর অন্যের কষ্ট অনুভব করা সময় তার কখনোই ছিল না। তবে সঙ্গমের সময় যে মেয়েদের রক্তক্ষরণ হতো না, তাকে সে বেশি কষ্ট দিয়ে মারত। সে ভাবত, এই মেয়ে সতী না। নিশ্চয়ই যেঁচে পুরুষের কাছে দেহ সপে দিয়েছিল।এসব মেয়েদের বাঁচার অধিকার নেই! এরাই পুরুষ জাতিকে বিনাশ করবে। এসব ভেবে সে মেয়েগুলোর জন্য নিজে শাস্তি নির্ধারণ করত। তন্মধ্যে একটা, গনধর্ষণ। এটাই উপযুক্ত শাস্তি! গণধর্ষণের ফলে রক্তক্ষরণে যতক্ষণ না মেয়েটা রক্তশূণ্য হয়ে মারা যাচ্ছে, ততক্ষণ ওরা থামত না। মেয়েগুলো সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু ভিক্ষা চাইত। চিৎকার করে কেঁদে মরার আঁকুতি মিনতি করত। ওদের কান্না দেখে মেয়েগুলোকে সে বেশি আঘাত করত।তবে এমনভাবে আঘাত করত, মরবে না তবে মরার মতো ছটফট করবে।
তখন মতি উৎফুল্লের সুরে বলত,
“আহা, ছুক (সুখ) মানেই বেডি’ল শলীল।”
ঘন্টা পেরিয়ে দিন আর দিন পেরিয়ে মাস। মাস পেরিয়ে বছরের আগমন। সময় বসে নেই। গুটি গুটি পায়ে চলতেই আছে। তেমনি মানুষের পাপ কর্মগুলোও। পাপের ঘরা পূর্ণ হলে পাপ মোচনের সময়ও এসে যায়। সঠিক সময়ে কার্যসিদ্ধি করে
প্রকৃতি সন্তোষপ্রদ। এটা প্রকৃতি আর পাপের এক অনবদ্য খেলা।এজন্য হয়তো আজ খেলার গুঁটি পাল্টেছে। ভুল চালে লন্ডভন্ড হয়েছে; জীবনের পাসা। এখন মতির না আছে গলার জোর আর না পুরুষত্বের! জঙ্গি মেয়েদের খপ্পরে শক্তি শেষ।
সে ছিল নারীর দেহের পাগল আর জঙ্গি মেয়েরা পুরুষের। দুই দল’ই কেউ কারো থেকে কম নয়।
এটা সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার হলেও, ওদের কাছে নিছক একটা ব্যাপার।রোজ সন্ধ্যার পরপর প্রতি ঘন্টায় জঙ্গি মেয়েরা মতির কাছে আসে। ওকে উত্তেজিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। যখন লাভ হয় না, তখন প্রচুর মারে। মার খেয়ে মতি অবচেতনও হয়ে যায়। গত কয়েকদিন যাবত না খেয়ে থাকার ফলে ওর করুণ অবস্থা। মারের সাথে জঙ্গি মেয়েদের অমানবিক অত্যাচার।সে সহ্য শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তাছাড়া শক্তিশালী পুরুষে ক্ষেত্রেও প্রতি ঘন্টায় পনেরোজন মেয়েকে সামলাতে সম্ভব নয়। সামলাতে পারে না বলেই; মারের উপর মার। কেন পারবে না? সে তাহলে কেমন পুরুষ? এমন পুরুষ মরে যাওয়াই ভালো। এসব শুনে মতি ডুকরে পেরে কেঁদে উঠে, ওর যে পুরুষত্বের অহংকার শেষ। যে নারীকে সে পায়ে
মিশে মারত, সেই নারী জাতিই ওর দিকে আঙুল তুলছে। এরচেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? ছিঃ!
মতি এবার সঠিক জায়গায় এসে পড়েছে।সে তো ভুলে গিয়েছিল, বাবারও বাবা থাকে। এতদিন মেয়েদের ধর্ষণ করে প্রাণ নিতো। অথচ আজকে মেয়েদের কাছে’ই হার মানছে। শরীর, পুরুষত্ব, এবং যৌবনেরও ক্ষয় আছে। এই শরীরের জোর সারাজীবন এক থাকে না। একথাটা মতি ভুলেই গিয়েছিল। তবে হাস্যকর হলেও; এরা প্রায় সবাই মাত্রারিক্তভাবে যৌনসংগমে আসক্ত।আরএদের শরীর, মন, ও মস্তিষ্কজুড়ে যেন সর্বদা কামস্পৃহা ঘুরপাক খায়। এটা আদৌ মানসিক রোগ নাকি শয়তানী মনবাসনা, জানা নেই। মতিকে আজও মেরে, একটা মেয়ে ক্ষোভ নিয়ে বলল,
“এতাকে মেলে ফেলাই উছিত। ছালা’ল শলীলে ছক্তি’ই নাই।”
ওদের মধ্যে একজন গালে হাত দিয়ে আফসোস নিয়ে বলল,
“শহলের ওই ব্যাডাকে পছন্দ হইচিল আমাল। ইচ! ওলে পেলে খুব ভালো হতো লে।”
মেয়েটার কথা তার পাশের জন কিছু বুঝল না। সে কার কথা বলছে? এই অবধি শহরের অনেক ছেলেকে বলি হতে দেখেছে, ঘনিষ্ঠও হয়েছে। তাই সে বুঝতে না পেরে কৌতুহলবশত’ই জিজ্ঞাসা করল,
“কুন শহুলের ব্যাডা লে?”
“ওই যে ছুতু বাছুল’ও ছিল ছাতে। ওতা ওল ছুতু ভাই। ওলে বলি দেওয়াল কতাও চিলো, আমি কাচে গিচেছিলাম তাই বুমিও কলেছিল। বাছুরটা প্রেচ্ছাব করচিলো না তাই তুই মেলেওচিলি।ওই ব্যাডার কথা বলচি।”
“ওহ, এবাল বুজেচি।”
এই দু’জন এতক্ষণ রোদ’দের কথা বলছিল।ওরা সেদিন ভাগ্যগুনে বেঁচে গিয়েছিল। কারণ মেঘকে বলি দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে খবর এসেছিল, ওদের একজনকে বিষধর সাপে কামড়েছে। তার অবস্থা খুব খারাপ, সাপের বিষ শরীরে ছড়িয়ে নীল হয়ে যাচ্ছে। আর ব্যাক্তিটা জঙ্গি প্রধানের ছোট ভাই। না গেলে পরে ওদেরকেই বলি হতে হবে। এজন্য মেঘের অর্ধ শরীর মাটিতে পুঁতে চলে গিয়েছিল। ফিরে এসে বলি সম্পূর্ন করার জন্য। আর জঙ্গি মেয়ের মুখে থুথু দেওয়ার জন্য রোদকে ওরা খুব মেরেছিল। রোদ ওদেরকে শরীরের স্পর্শ করতে দিচ্ছিল না, বার বার নড়ে চড়ে বাঁধা দিচ্ছিল।
ইচ্ছের বিরুদ্ধে করা স্পর্শগুলো খুব অস্বস্তিকর।
সেটা ছেলে/মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে’ই।রোদের তখন ঝরঝর করে অশ্রু ঝরছিল, মনে মনে আল্লাহর নাম জপে যাচ্ছিল। সে বার বার নড়ে ওদেরকে বলছিল,
“এমন করবেন না প্লিজ! কী পেলে ছাড়বেন? বলুন, আ আমি তাই দিবো।”
“তোল শলীল চাই আমাদেল।”
কথাটা বলে ওরা আবারও রোদের শরীরের সঙ্গে ঘেষে দাঁড়াল। কেউ ওর শরীরে হাত বুলাচ্ছে তো কেউ ঠোঁটে। পঁচা গন্ধে রোদ বমি করার আগেই ওরা সরে গেল। খালি পেটে বমিও আসছে না।
শুধু ইয়াক! ইয়াক! করছে। রোদের আচরণে ওরা রেগে শার্টের বোতাম খুলতে যাচ্ছিল।তখন স্থান ত্যাগের আদেশ আসল। উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে একজন রেগে জোরপূর্বক রোদের ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াল। রোদ ছটফট করলে স্বজোরে চুল আর বুকে খামচে ধরল। পরপর বেশ কয়েকজন একই কাজ করে সরে গেল। ততক্ষণে ব্রেণের খুব
চাপ পড়াতে রোদ অবচেতন হয়ে গেয়েছিল।সেই সাথে, এই দৃশ্যটা ওর মনে দাগ কেটে গেয়েছিল।
মেয়েটাকে আফসোস করতে দেখে নিজেও হতাশ হয়ে বলল,
“জীবনে পুথুম আমাদেল থেকে ব্যাডা মানুষ ছাল(ছাড়) পেলো। থাক, মুন খালাপ কলিস না।”
“ওই ব্যাডার ঠুট’টা অনেক বেছিই সুন্দল চিলো।এজন্য জোল কলে আগে ঠুটেই আদল কলতে গেচিলাম। আল ওই বাছুলটাও বলো(বড়) হলে ভাইয়েল মুতোনই হবে!”
“হুম।”
রোদকে ঘনিষ্ঠভাবে না পেয়ে দু’জনে আফসোস করতে থাকল। হঠাৎ ওদের চোখ গেলো মতির দিকে। একজন মাঝবয়সী মহিলা মতিকে ডেকে জাগানোর চেষ্টা করছে। তখন একজন পুরুষ উপস্থিত হয়ে বললেন,
“কী হয়েচে ওল?”
”মলে নি, হুছ নাই।”
“ওল আব্বা ওলে মেলে( মেরে) ফেলতে বলেচে। শুনেচি ধর্লণ(ধর্ষণ) কলা ওল নেছা।তাই আমি আমাদেল বেডিদেল জন্য ওলে এনেচি।”
একথা শুনে ওই মহিলা মতির পুরো শরীরে চোখ বুলিয়ে বললেন,
“আমাদেল বেডিদেল মজা দিতে পালে না।এলে শেছ কলে দে।”
এসব বলতে বলতে উনারা স্থান ত্যাগ করলেন
।আর মতি ধীরে ধীরে চোখ খুলতেই ওর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে গেল। ওর বাবা ধরে আনতে বলেছ? কেন? নিজের ছেলের সঙ্গে এটা করতে পারল? কষ্ট হলো না, বিবেকে বাঁধল না? মতির একথা শুনে মস্তিষ্কে শূন্য লাগছে। অবশেষে এই ছিল ভাগ্যে? বাবার মন মতো চলতে গিয়েই সে অমানুষ হয়েছে, ধর্ষণ করেছে, পাপকর্মে লিপ্ত হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, মায়েদের গায়ে হাত তুলেছে, বিশ্রীসব গালি শিখেছে।
ওর মা ওকে এসব করতে নিষেধ করেছিলেন, এসব পাপ এটাও বুঝিয়েছিলেন। একথা মতি বাবাকে বলে দিয়েছিল। তখন মাতবর ওর মাকে কাজের লোক দিয়ে গনধর্ষণ করিয়ে মেরে ছিলেন।উনার লাশ’টা কী করেছিলেন, জানা নেই! মতিকে এই বুঝিয়ে ছিলেন, ‘বেডি মানে পাপ।’
সে বাবার কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিল।আর
তখন থেকেই ওর মনে মেয়েদের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। মতি আকাশের দিকে তাকিয়ে জীবনের হিসাব মিলাতে লাগল। হঠাৎ ওর মস্তিষ্কে একটা ঘটনা নাড়া দিলো। প্রথম যাকে ধর্ষণ করেছিল, তার বয়স ছিল মাত্র নয়। সঙ্গমের জন্য শরীরটা ছিল অপরিপক্ব। মতিও তখন আনাড়ি! অন্য বাবা’রা ছেলেকে ভালো কিছু শেখায়, আর ওর বাবা শিখিয়েছিল, ধর্ষণ করা। ধর্ষণের কষ্ট’টা কীভাবে দ্বিগুন বাড়ানো যায়? মাতবর ওকে এটা দেখিয়েছিলেন। মতি লজ্জা পেলেও কিছু বলে নি। বরং বাধ্য ছেলের মতো উপভোগ করেছিল। মেয়েটা অপরিপক্ব থাকায় মাতবর ব্রেড ব্যবহার করেছিলেন। মেয়েটা তখন আতনার্দ করে বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো। তখন মাতবর ওর কাঁধ চাপড়ে হেসে বলেছিলেন,
“পুলুষ(পুরুষ) মানুছের মুনে দয়া-মায়া থাকতে নাই। কাপুলুষ’লা এই ছময় দয়া দেখায়। বেডি মানুছ যত ছতপত কলবে পুরুষ মানুছ’লা তত
খুছি হয়। তুই সু-পুলুষ হবি বাপ।শুন, খবলদার মুনে দয়া-মায়া আনবি না।”
মতির কানে এখন ওই কথাগুলোই শুধু প্রতিধ্বনি হচ্ছে। বাবার কথামতো এতদিন এসব করেছে।অথচ সেই বাবা ওকে মেরে ফেলতে বলেছে৷ এত কিছু করে ওর প্রাপ্তির খাতা শূন্য। মাতবর নিজে বাঁচতে ছেলেকে ওদের হাতে তুলে দিয়েছে। জঙ্গি এক মেয়েকে মাতবর উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এটা পরীক্ষা করতে; এই মেয়েদের কত দম।আর একথা জঙ্গি প্রধান জানার পর, মাতবরকে হত্যার হুকুম দিয়েছিলেন। রাতে জঙ্গিরা হত্যা করতে আসলে মাতবর নিজের দোষ ছেলের উপর চাপিয়ে বলেছিলেন,
” আমাল ব্যাডা এই কাজ কলেছে। ওলেই ধলে নিয়ে যান।”
এজন্য জঙ্গিরা মতিকে তুলে এনে বন্দি করেছে।
আর ওর পুরুষত্বের জোর দেখতে প্রতি ঘন্টায় অত্যাচার করছে। মতি আজ আফসোস করছে, খুব আফসোস! সে ঠকেছে; তাও বাবার কাছে।
আজকে ওর পাপবোধ আর অনুশোচনা হচ্ছে।
নিজের প্রতি খুব করুণাও হচ্ছে। এসবভেবে সে মনে মনে আওড়ালো,
“তুমালে আব্বা দাকতেও আমাল ঘৃণা লাকচে। কু্ব আপছোছ হচ্ছে, তুমাল লক্ত আমাল এই শলীলে, ছিঃ!”
To be continue….!!