-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩৯]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
একসপ্তাহ পর,
মৃত্যু! প্রতিটা প্রাণীর জীবনে শুদ্ধতম সত্য। এটা অপ্রিয় হলেও গ্রহন করতে হবে।সৃষ্টি হলে বিনাশ অনিবার্য! মাতবর মারা গেছেন আজ তিনদিন।
মাতবরের শোকে গ্রামবাসীদের না হলো কষ্ট, না ঝড়ল একফোঁটা অশ্রু! তবে উনার চ্যালারা খুব
কেঁদেছে, যাকে বলে কুমিরের কান্না! ছোট্ট রবি, বাবাকে কাফনে মোড়া দেখে ভয়ে কাছে যায় নি। মাতবরের সহধর্মিণীরা জীবন্ত লাশের মতো চুপ করে দেখছেন। মতি তো নিঁখোজ! এজন্য সকল
গ্রামবাসীরাই মাতবরের দাফন সম্পূর্ণ করলেন। তবে উনাকে শেষ গোসল করানো হয় নি। উনার শরীর ধরা যাচ্ছিল না, মাংস খসে যাচ্ছিল।সেই মাংসে পোকা কিলবিল করে বেরিয়ে আসছিল। এজন্য গোসল না করিয়ে দাফন করা হয়েছে।
যখন প্রাণ ছিল, তখন মাটিতে বসতেন না।পঁচা বা বাসি খাবার খেতেন না। শরীরে শক্তির জন্য কত কিছুই না করতেন অথচ আজ সব বিফলে।
সবার শরীরে মাটির নিচে পঁচন ধরে আর উনার মাটির উপরেই! অত্যাচার, পাপকর্ম, হিংস্রতা, লোভ, নেশা, কোনোকিছু করতেই কমতি রাখেন নি। পাপের ঘরা পূর্ণ করেই বিদায় নিলেন।শূন্য হাতে এসে শূন্য হাতেই ফিরে গেলেন। নির্ধারিত সময়টুকুতে পাপের সাগরে নিজে ডুবলেন, সাথে ছেলেকেও ডুবালেন। অদ্ভুত মানুষ এবং তাদের চিন্তা-ভাবনা!
–
পৃথিবীটা হলো রহস্য ক্ষেত্র। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রহস্যের বেড়াজালে বিশাল এক রহস্যের সৃষ্টি। রহস্যের এই খেলায় প্রকৃতিও আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে রয়েছে।তেমনি মাতবরের মৃত্যুও! উনার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। উনি স্বাভাবিভাবে মরেন নি, মেরে ফেলা হয়েছে। আর এই কাজে জড়িত সহধর্মিণীগণ।
খাবারের সাথে এক ধরনের বিষাক্ত পাতার রস খাইয়েছিলেন। ফলস্বরূপ অস্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল বেড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান।
অসুস্থ অবস্থাতেও মাতবর উনাদের অত্যাচার করতেন। নিজে মারতে না পেরে চ্যালাদের হুকুম দিতেন। উনাদের ধৈর্য্য সীমাও অতিক্রম করে ফেলেছিলেন। এজন্য দেহ আর মনে কিঞ্চিৎ শান্তির জন্য একাজ করেছিলেন।এবার উনারাও বাঁচার মতো বাঁচবেন। তার আগে এখানকার মানুষদের মুক্ত করবেন।কুৎসিত নিয়ম-কানুনের রীতি বন্ধ করবেন। রীতির নামে পাপকর্ম এবং পাপীদেরও বিনাশ করবেন। সুন্দর এই পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার সবার আছে৷ সবাই
সুস্থ একটা পরিবেশ চায়। নিরাপত্তা আর স্বপ্ন পূরণের সুযোগ চায়। মাতবরের ক্ষমতা ব্যবহার করে উনারা এসব করবেন। পাপকর্মকে ঢেকে সৎ কর্মের আবির্ভাব করবেন। ক্ষমতা এমন একটা জিনিস, সময়াসাপেক্ষে মানুষকেও অমানুষ করে তোলে। ক্ষমতার জোরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে।
এখন না আছে মাতবর; না মতি! এই ক্ষমতা অন্যজনকে দিলে আরেকটা মাতবর গড়ে ওঠার সম্ভবনা বেশি। তাই ক্ষমতা নিজেরা নিয়ে গ্রাম পরিচালনা করবেন। যে গ্রামে মেয়ে মানে পাপ, সে গ্রামে মেয়েরাই নতুন ভাবে সব গড়ে তুলবেন৷
সকল পাপকে মাটি চাপা দিয়ে সৎকর্মের সূর্য উদয় করবেন। এখন উনারাই হবেন; এই গ্রাম পরিচালিতা।
মাতবরের ক্ষমতা নিয়ে মতবিরোধ হলেও উনারা কঠোর হয়ে সামলে নিয়েছেন। উনারা চারজন নতুনভাবে নিজেদের তৈরীও করেছেন। উনাদের চোখের মণি রবি। ছোট্ট রবিকে উনারা মানুষের মতো মানুষ করবেন। নারী হচ্ছে, ভাঙ্গা গড়ার কারিগর। এক নারী ভাঙ্গে তো আরেক নারী নিঁখুতভাবে গড়ে। তেমনি এক পুরুষে কলুষিত করে তো এক নারী পাপমোচন করে। এটাও যে
সৃষ্টিকর্তার নিদারুণ এক খেলা!
দাদীমার বাড়ির উপর থেকে কাল মাটি সরানো হয়েছিল। খাট, জিনিসপত্র, সরাতে গিয়ে একটা গর্ত পাওয়া গেছে। সেই গর্ত খুঁড়ে টাকাও পাওয়া গেছে। পঁচিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা! সব টাকা গ্রাম পরিচালিকাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবার মুখে মুখে একই কথা, দাদীমা এত টাকা কোথায় পেয়েছে? কার টাকা? এখানে কীভাবে আসল? টাকাগুলো দিয়েই বা কী করা যায়?
শেষের প্রশ্নের উত্তর গ্রাম পরিচালিকারা ঘোষণা করবেন। এজন্য আজ সবাই বড় মাঠে উপস্থিত হয়েছেন,চার পরিচালিকা নিজেদের শরীর পর্দায় ঢেকে আসন গ্রহন করলেন। গ্রামবাসী উনাদের সুন্দর একটা নাম দিয়েছেন, শুভাননা।যার অর্থ সুন্দর ও শুভপ্রদ অবয়ববিশিষ্ট সাহায্যকারী।এই এক নামেই উনাদের চারজনকে ডাকা হবে।আর গ্রামবাসী সবাই অশিক্ষিত নন, কেউ কেউ দূরের স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। এক শিক্ষকই উনাদের এই নামকরণ করেছেন। তো বিচার শুরুর আগে শুভাননা’রা সবার বক্তব্য শুনে নিলেন।অনেকে
সাহায্য প্রার্থণা করলেন, তো কেউ সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে বললেন। সব শুনে শুভাননা’রা নিজেরা আলোচনা করে বললেন,
”আলো কুথায় আমলা জানি না। ছে আছবে নাকি তাও জানি না। তাই তাকাগুলো গেলামের কাজে লাগাব।”
গ্রামবাসী একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে, পরের বাক্য শোনার অপেক্ষা করল। তখন উনি আবার বললেন,
“একতা স্কুল, মছজিদ, হাকিমেল দুকান, আল একটা বাজাল কলব। যাতে পলাশুনা, নামাজ, চিকিৎছা, আল দলকারী জিনিছপত্র কিনা-বেচা কলতে পারেন। শহুলেও নিয়া যাবেন, এখানেও বেছবেন। তাহলে অন্যদেল কিনতে আল শহুলে যাওয়া লাগব না।”
উনার এই প্রস্তাবটা গ্রামবাসীর খুব পছন্দ হলো।
এমন হল খুব ভালো হবে৷ হাকিমের দোকানটা হলে, সবাই সেখানে যাবে৷ হাকিমকে গ্রাম-গ্রাম ছুটে বেড়াতে হবে না। সাথে কয়েকজন উনাকে সাহায্য করবে এবং দেখে দেখে চিকিৎসা করাটা
শিখেও নিবে। যাতে হাকিমের অবর্তমানে ওরা সেবা করতে পারে। স্কুলটাও খুব দরকার, শিক্ষা মানে জানা, বোঝা এবং কাজে লাগানো। যত জানবে তত এর মর্ম বুঝবে ও ধীরে ধীরে কাজে লাগাবে। শুভাননাগণ বাড়িতে ভেবে-চিন্তে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।এই গ্রামের যেগুলোর দরকার উনারা যেগুলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কারোর সৎকর্মের মনোবাসনা সৃষ্টি হয়,অনেক সময় অর্থের জন্য সেটা আটকে যায়। সেই মনোবাসনা যদি অটল থাকে, তাহলে
আজ অথবা কাল সৃষ্টিকর্তা একটা পথ দেখিয়ে দেন। দাদীমার বাড়ি থেকে এত্তগুলো টাকা পাবে এটা কল্পনাতীত। সৃষ্টিকর্তা ঠিকই শুভাননাদের একটা পথ খুলে দিলেন। কারণ তাদের চাওয়া ছিল; শুদ্ধ এবং অটল। উনারা এখানকার এক শিক্ষককে দিয়ে টাকা ভাগ করালেন, স্কুল, মসজিদ, দোকান আর বাজারের জন্য। এসব কাজ সম্পূর্ণ করতে শুভাননাদের হিসাব বুঝিয়ে টাকা নিতে হবে। একজন শিক্ষিত এবং বিশ্বস্ত
মানুষকে দিয়েই এসব কাজ করানো হবে। আর এই কাজ শুরু হবে আগামীকাল থেকে।
–
আজ শুক্রবার! শরীরে এনার্জি লোড নেওয়ার দিন।আহা! ঘুম আর ঘুম! সারাদিন ঘুমিয়ে পার করলেও মন্দ হয় না। আজ সকল ব্যস্ততা থেকে মুক্তি। শান্তি! শান্তি আর শান্তি! শান্তিতে আজ ছড়াছড়ি! এজন্য’ই রোদ আর মেঘ ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু সকাল নয়টার দিকে, আলো ওদের জোর করে টেনে তুলে নাস্তা করাল। ওমা, এটা কেমন অত্যাচার?তাছাড়া ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো বিরাট অপরাধ। একথা আলোকে কে বুঝাবে? সে তো
ওদের ঘুমের জান কবজ করে ফেলেছে।গতরাতে দুই ভাই বাজি ধরে গেম খেলেছে। আর এখন ভুশভুশ করে ঘুমানোর ফন্দি এঁটেছে।ওরা জানে আজ শুক্রবার! কোনো কাজ নাই; সারাটাদিন ঘুমাবে। কিন্তু হলো কই! দুজনের কারোর’ই ঘুম পুরো হয় নি। মেঘ দাঁড়িয়ে দেওয়ালে মাথা রেখে হা করে ঘুমাচ্ছে। কারণ ওর ঘুম’ই জীবন, ঘুম’ই মরণ। এছাড়া জীবনে শান্তির কী বা আছে? ঘুম তো ঘুম’ই; দাঁড়িয়ে বা বসে। এদিকে রোদ বিরক্ত হয়ে আলোর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা আজকাল বড্ড জ্বালাচ্ছে। আগে একটু-আধটু ভয় পেলেও, এখন ভয়ের ছিঁটেফোঁটাও নেই। ওর
সুখের দিনগুলো যে কই গেল? এসব ভেবে রোদ চোখ বন্ধ করতেই আলো খোঁচা মেরে বলল,
“এই! এই চোখ খুলুন বলছি।পানি দিলাম, এই দিচ্ছি কিন্তু।”
“একটু প্লিজ।”
“একটু না, এক কোণাও না, একফোঁটাও না। কী হলো, উঠুন!”
একথা বলে আলো ভেজা টাওয়াল দিয়ে ওদের মুখ মুছিয়ে চুলে চিরুণী করে দিলো।এতে ওদের
ঘুম হালকা হয়ে গেল। বিরক্ত হলেও কেউ কিছু বলল না। দু’জনের মুখ দেখে আলো হেসে চুল কাটতে পাঠাল। মেঘ আলোর গালে আদর দিয়ে বলল,
“যাচ্ছি বউমনি!”
রোদও একই রকমভাবে আদর দিয়ে মুচকি হেসে বলল,
“যাচ্ছি বউ!”
একথা বলে দু’জনে বিদায় নিয়ে চলে গেল।আর আলো চুপ করে দাঁড়িয়ে ওদের যাওয়া দেখল।
চতুর মানুষরা সুযোগ লুফে নিতে জানে; যেমন রোদ! এই মানুষটা যে এত ফাজিল বিয়ের আগে বুঝে নি। আজকাল হুট করে এসে আদর দিয়ে উধাও! সে কিছু বুঝেতে উঠতেও পারে না।এসব ভেবে আলো লাজুক হেসে রান্নাঘরে চলে গেল।
রাকা দুই সপ্তাহের ছুটিতে বাড়িতে গেছে। ওর বড় বোনের বাবু হয়েছে, তাই দেখতে। রান্নাঘরে গিয়ে আলো দুপুরের আয়োজন করতে লাগল। রবি আর সাগরকে নারকেলসহ কিছু জিনিস আনতে পাঠিয়ে। রান্না প্রায় শেষের দিকে তখন দুই ভাই ফিরে এলো। মেঘের হাতে দু’টো আইসক্রিম।সে রান্নাঘরে পা ঝুলিয়ে বসে আইসক্রিম আলোর মুখে ধরল। আলো এক কামড় নিতেই রোদ ছো মেরে নিয়ে চলে গেল। মেঘ তখন রেগে চিৎকার করে বলল,
“দাভাই, তুমি একটা ইয়ে।”
” কী য়ে?
“তুমি একটা, তুমি একটা, হ্যাঁ তুমি একটা জীবাণু।”
“তোরা হচ্ছিস ব্যাঙ, সারাদিন করিস ঘ্যাঙর, ঘ্যাঙ!”
কথাটা বলে রোদ হাসতে হাসতে চলে গেল।আর
মেঘ হেরে গিয়ে করুণ চোখে তাকাল। ওই দু’টো আইসক্রিমের বেশির ভাগ মেঘ’ই খেয়ে নিতো।
তারপর গোসল দিলে নির্ঘাত ওর ঠান্ডা লাগত।
এজন্য রোদ একটা নিয়ে চলে গেল। বাকি’টা দু’জনে ভাগ করে খাবে। সত্যিই ওটা ওরা দু’জন ভাগ করে খেলো। তারপর আলো দুইপিস মাংস তুলে দিয়ে বলল,
“মেঘবাবু লবণ হয়েছে নাকি দেখো তো?”
“আচ্ছা।”
ছোটরা এমন কিছু দায়িত্ব পেলে কেন জানি খুব খুশি হয়। মেঘও হলো! পা দুলিয়ে ফুঁ দিয়ে একটু একটু করে মাংস দু’টো খেয়ে নিলো। খাওয়ার পর ওর মনে হলো, লবণ হয়েছে নাকি খেয়াল করা হয় নি। তাই সে আমতা আমতা করে বলল,
“বউমনি, মাত্র দু’টো মাংসতে লবণ বোঝা গেল না। আরো দু’টো দাও।”
আলো হাসি চেপে রেখে আরো দু’টো মাংস তুলে দিলো। মেঘ খেয়ে কিছুই বুঝতে না পেরে বলল,
“লবণ কীভাবে দেখব?”
আলো এবার হাসতে হাসতে মেঝেতে বসে গেল।
দুষ্টুটা প্রতিবার’ই তাই করে। বউমনিকে হাসতে হেসে মেঘও হাসল। বউমনি হাসলে ওর খুশি লাগে। আলো চুলা বন্ধ করে ওকে নিয়ে উপরে চলে গেল। তারপর দ্রুত গোসল সেরে নামাজের জন্য রেডি হতে বলল। আর সে ওদের পান্জাবি বের করে বিছানার উপর রাখল। দু’জনকে মসজিদে পাঠিয়ে নিজেও গোসল সেরে নামাজ পড়ে নিলো। দুপুরে খেয়ে তিন’জনে ঘুম দিলো। বিকালে দুষ্টুমি, খুনশুটিতে সময় কেটে রাত নেমে এলো। আলো আর মেঘ যার যার পড়া সম্পূর্ণ করে রাতে খেয়ে নিলো। এদিকে মেঘ ওর রুমে গেম খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে গেছে। রোদ তখন মেঘের পাশে আধশোয়া হয়ে কাজ করছিল।মেঘ ঘুমাচ্ছে দেখে ওকে সুন্দর করে শুইয়ে, সে উঠে দাঁড়াল! মেঘের যে রুমে মন চায় তখন সে রুমে ঘুমায়। ওর জন্য সব রুম উন্মুক্ত। আর এদিকে, আলো সব গুছিয়ে এসে চুল আঁচড়াতে বসেছে। অবশেষে চুলের জট খুলতে না পেরে খোঁপা করে নিলো। জট খোলার ধৈর্য্য এখন নেই। সে উঠে মেঘের রুমের দিকে পা বাড়াতে গিয়ে রোদের সাথে ধাক্কা খেলো। রোদকে কিছু বলতে না দিয়ে আলো মেঘকে দেখে আসল। সবকিছু ঠিকঠাক দেখে বেরিয়ে আসল। উঠাতে গিয়ে দুষ্টুটার ঘুম ভাংলে আর ঘুমাবে না, তাই কেউ’ই উঠাল না।
ওদের রুমের দরজা খোলা থাকে, ঘুম ভাংলে সে ওই রুমে চলে যাবে। রোদ ওর দাভাইয়ের দায়িত্ব পালন করল আর সে বউমনির! দুষ্টটা যে ওদের প্রাণ ভোমরা। আলো ফ্রেশ হয়ে চুপ করে রোদের পাশে শুয়ে পড়ল।রোদ এক হাতে ভর দিয়ে শুয়ে বলল,
“পারমিশন কবে পাবো?”
“কীসের?”
রোদ প্রত্যুত্তর না করে ঠোঁট কামড়ে বাঁকা হাসল। আলো উত্তরের আশায় তাকিয়ে আছে। রোদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবারও বলল,
“পরবা?”
” কি?”
রোদ এবার একটু কাছে এসে আদুরে সুরে বলল,
“আদরের গয়না।”
রোদের কথায় আলো না বোধক মাথা নাড়িয়ে দুই হাতে মুখ ঢেকে নিলো৷ আর রোদ শব্দ করে হেসে উঠল।
To be continue..!!