বুকের_বা_পাশে 🌿🌿 #written_by_Nurzahan_akter_allo #Part_23

0
454

#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_23

তারপর সবাই দুর থেকেই তুয়ার বাবাকে দেখলো।তুয়া স্তব্ধ হয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে।একটু পর কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে প্রত্যয়সহ সবাই বামদিকে তাকালো।আর দেখতে পেলো তুয়া সেন্সলেস হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে।প্রত্যয় দৌড়ে গিয়ে তুয়াকে কোলে তুলে নেয়।আর ওর কেবিনে নিয়ে গিয়ে তুয়াকে শুইয়ে দেয়।পাশেই টেবিলের উপর রাখা পানির গ্লাস থেকে প্রত্যয় পানি নিয়ে তুয়ার মুখে ছিটা দিতে থাকে।আর হাতে-পায়ে মালিশ করতে থাকে।একটু পর তুয়ার সেন্স ফিরে আসে।আর তখন প্রত্যয়ের কলিজাতেও যেন পানি আসে।তখন তুয়ার এভাবে পড়তে দেখে প্রত্যয়ের কলিজা কেঁপে উঠেছিলো।তুয়া চোখ টিপটিপ করে একবার চোখ খুলছে আর একবার বন্ধ করছে।এত পরিমান কেঁদেছে যে চোখের পাতা ভারী হয়ে নিজে থেকে বন্ধ হয়ে আসছে।তুরাগ বাইরে থেকে সব দেখছিলো। তুয়ার সেন্স ফিরতে দেখে তুরাগ ওখান থেকে সরে গেল।

প্রত্যয় তুয়ার কেটে যাওয়া কপালটা ডেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিলো।সারাদিনের ক্লান্তি,মানসিক চাপ,টেনশন,আর এত কান্নার ফলে তুয়ার শরীর আর চলছেনা।তুয়া ওর চোখ খোলা রাখার এত চেষ্টায় করেও ব্যর্থ হলো।আর ওর দুচোখেতে ঘুম নেমে এলো।প্রত্যয় তুয়ার একটা হাত আলতো করে ধরে বললো,
–“কেন এমন পাগলামী করছিস তুয়া?এ কোন খেলায় মেতে উঠেছিস তুই ?এই খেলার পরিণতি যে খুব ভয়াবহ হবে।জানিনা কি হয়েছে তোর?কেন মেতে উঠেছিস এমন নিষ্ঠুর খেলায়?তবে আমি আছি তোর পাশে।আর সব সময় থাকবো।”

৪ ঘন্টা পর তুয়ার বাবার সেন্স ফিরে আসে।তুয়ার বাবার বুক সহ পুরো শরীরে প্রচন্ড ব্যথা রয়েছে।এজন্য উনার কথা বলতেও খুব কষ্ট হচ্ছে।তুয়ার বাবা তুয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলো।তুয়ার আম্মু কেবিন থেকে বের হয়ে তুয়ার বাহু ধরে দাঁড় করিয়ে বললো,
–“তোর বাবা তোকে ডাকছে।এখন তোর বাবা তোকে যা বলবে তুই চুপচাপ তাই শুনবি।আর যদি না করিস তাহলে তোর বাবা তো আর বাঁচবেই না।আর আমি তুরাগকে আগে নিজে হাতে বিষ খাওয়াবো।তারপর আমি নিজেও বিষ খাবো।আর এজন্য দায়ী থাকবি তুই।”

কথাটা বলে তুয়ার আম্মু তুয়ার হাত ধরে কেবিনের ভেতরে নিয়ে গেল।তুয়ার বাবা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।আর খুব আস্তে করে বললো,
–“ন নবনী ওকে বলো, প্রত্যয় আর তুয়া যদি দুজন দুজনকে ভালবাসে তাহলে যেন ওরা এখনই বিয়ে করে নেয়।” (তুয়ার মায়ের দিকে তাকিয়ে)
–“ভাইয়া আপনি আগে সুস্থ হয়ে নিন।তারপর না হয় সব হবে।” (প্রত্যয়ের আম্মু)
–“না ভাবি।আমি আর ওকে বিশ্বাস করিনা।হয়তো এখন আবার বলতেও পারে যে ও প্রত্যয়কেও ভালবাসেনা।আমি ওকে সুযোগ দিয়েছিলাম বলে ও একটা ছেলের জীবন নষ্ট করতে দিয়েছে।আমি আর ওকে কোন সুযোগ দিবোনা।ওকে এখনই আমার সামনে প্রত্যয়কে বিয়ে করতে হবে।আর না হলে আমার মরা মুখ দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” (তুয়ার বাবা)
–“আংকেল প্লিজ আপনি উত্তেজিত হবেন না।আপনি একটু সুস্থ হয়ে নিন।তারপর না হয় সব হবে।” (প্রত্যয়)
–“না।আমি যা বলছি তাই হবে।” (তুয়ার বাবা)

তুয়ার বাবা প্রত্যয়ের বাবার হাত ধরে বিয়ের ব্যবস্থা করতে বললো।তুয়া নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে।৩০মিনিটেই মধ্যে কাজীও চলে আসলো।প্রত্যয় কি করবে কিছু বুঝতে পারছেনা?কাজী এসে যথারীতি উনার লেখালেখির কাজে লেগে গেল।তুয়া এখনও মাথা নিচু করে বসে আছে।তুয়া তো চোখের পানিতে কিছু দেখতে পাচ্ছেনা।চোখের পানির সাথে জীবনটাও যেন ঝাপসা হয়ে উঠেছে।তুয়ার আব্বু বলে উঠলো,
–“তুরাগ ওকে নাটক থামাতে বলো।আর কবুল বলতে বলো।আর কবুল বলে আমাকে ধন্য করতে বলো।” (তুয়ার বাবা)
–“কি হলো শুনতে পাচ্ছিস না?তারাতারি কবুল বলে এখান থেকে বিদায় হ।” (তুয়ার আম্মু কঠিন সুরে)
–“তুয়া মা কবুল বলে দে।কাঁদিস না মা আমার, আল্লাহ যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করে।” (প্রত্যয়ের আব্বু)
–(তুয়া সাইলেন্ট)

হঠাৎ করে তুয়ার আম্মু তুয়াকে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারলো।প্রত্যয় সবার এমন রুড ব্যবহারটা যেন আর সহ্য করতে পারছেনা।প্রত্যয় কিছু বলতে যাবে। তখনই তুয়া প্রত্যয়কে অবাক করে দিয়ে কবুল বলে দিলো।প্রত্যয় শান্ত দৃষ্টিতে তুয়ার কষ্টমাখা মুখের দিকে তাকালো।এখন তুয়ার মুখে স্পষ্ট হারানোর ব্যথা আর অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু এখন পিছিয়ে যাওয়ার কোন পথই খোলা নেই।কারন তুয়া নিজে হাতে ওর সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

তারপর প্রত্যয়ও আর কিছু না ভেবে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কবুল বলে দিলো।আর ওদের বিয়েটাও সম্পূর্ন হয়ে গেল।তুয়া প্রিয়মের জীবন থেকে বিদায় নিলো।আর সারাজীবনের জন্য প্রত্যয়ের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেল।বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে তুয়ার পায়ে পড়িয়ে দেওয়া হলো অদৃশ্য এক শেকল।আর হসপিটালেই ওদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হলো।এটাও যেন ভাগ্যের পরিহাস আর নিয়তির খেলা।

আর এভাবেই তুয়ার আর প্রত্যয়ের বিয়েটা হয়ে যায়।এখানে তুয়ারও না আছে অভিযোগ আর না আছে কোন অভিমান।সবকিছু মিলিয়ে যেন তুয়াকে পাথর বানিয়ে দিয়েছে।একদিকে ভালবাসার মানুষটাকে হারানোর ব্যাথা।আর অন্যদিকে প্রাণপ্রিয় বাবা আর এর মাঝে প্রত্যয়কে নিজের সাথে জড়িয়ে নেওয়ার অপরাধবোধ।সব কিছু মিলিয়ে যেন দম আটকে যাওয়ার মতো একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কারো বসার শব্দ পেয়ে তুয়া ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলো।তুয়া দুই হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছে নিলো।আর পাশে তাকিয়ে দেখে ওর পাশে প্রত্যয় বসে আছে।প্রত্যয় কিছু বলছেনা তুয়ার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তুয়া বার বার ওর অবাধ্য চোখের পানিগুলো লুকানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু পানি গুলোও যেন আজকে থামতে নারাজ।ওরা যেন অনবরত গড়িয়ে পড়তে পারলে তারপর শান্ত হবে।প্রত্যয় তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,

–“কাঁদতে ইচ্ছে করলে আমার#বুকের_বা_পাশে মাথা রেখে যত ইচ্ছে কেঁদে নিতে পারিস।তাহলে দেখবি মনটা একটু হলেও শান্ত হবে!তুই কেন বার বার চোখের পানি লুকাচ্ছিস?তবে জানিস তুয়া? তারাই সুখী, যারা কষ্ট পেলে মন খুলে কাঁদতে পারে।কারন চোখের পানির সাথে সাথে বুকের কষ্টটাকে একটু হলেও কমানো যায়।কিন্তু যারা কাঁদতে পারে না।তাদের ভেতর ভেতর গুমরে গুমরে মরতে হয়।প্রতিনিয়ত সেই কষ্টটার দহনে দগ্ধ হতে হয়।আর এক বুক কষ্ট নিয়ে সবার সামনে হাসি মুখে দাঁড়াতে হয়।” (প্রত্যয়)

তুয়া কিছু বলেনি চুপ করে আছে।কারন প্রত্যয়ের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস ওর নেই।প্রত্যয় নিজে থেকেই বললো,
–“আংকেলের টেস্ট রিপোর্ট গুলো এসে গেছে।আমি নিজে দেখেছি টেনশনের কিছু নেই।আজকেই আংকেলকে রিলিজ করে দেওয়া হবে।আর খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো কারণে টেনশন বা উত্তেজিত না হয়ে যায়।”
–“হুম।”

তুয়া আর কথা বাড়ালো না।তাই প্রত্যয়ও আর কিছু বললো না।একটু পর প্রত্যয় মেডিসিন লিখে সাবধানে থাকতে বলে তুয়ার বাবাকে রিলিজ করে দিলো।তুয়া ওর বাবার সাথে বাসায় চলে গেল।প্রত্যয়ের পেশেন্ট দেখতে হবে তাই প্রত্যয় হসপিটালেই থেকে গেল।তুরাগ আর প্রত্যয়ের বাবা তুয়ার বাবাকে ধরে উনার বেড রুমে রেখে আসলো।তুয়া এক কোণে চুপটি করে বসে আছে।তিন্নি তুয়ার পাশে বসে কত কিছু বলছে।কিন্তু তুয়ার কোন হেলদোলই নেই।প্রত্যয়ের আব্বু আম্মু কিছুক্ষন থেকে উনারা চলে গেল।তিন ঘন্টা পর প্রত্যয় বাসায় ফিরলো।তারপর ফ্রেশ হয়ে তুয়াদের বাসায় গেল।আর প্রত্যয় বাসায় ঢুকেই বুঝতে পারলো তুয়াকে বকাবকি করছে ওর আম্মু। প্রত্যয় তুয়ার বাবার সাথে একা একা কিছু কথা বললো।তারপর যখন প্রত্যয় চলে আসবে তখন তুয়ার বাবা প্রত্যয়কে বললো।

–“প্রত্যয় আব্বু তুয়াকে তুমি সাথে নিয়ে যাও।ওর আমার বাসায় থাকার দিন শেষ। আর আমার বাসায় যেন ও না আসে।” (তুয়ার আব্বু)
–“আংকেল আমি বলছিলাম কি যে..।”
–“না আমি কিছু শুনবো না।ওকে যেতে বলো আর আজকে থেকে তোমার বাসাই ওর বাসা।আর তোমার রুমই ওর রুম। ওকে নিয়ে যাও,না হলে আমি বাসা থেকে বেরিয়ে যাবো।”
–“ব ব বাবা আমি এখানে থাকি? প্লিজ!বাবা আমাকে তুমি পর করে দিও না।তোমার অবহেলা আমি সহ্য করতে পারছিনা বাবা।” (তুয়া)
–“অবহেলা আর অবজ্ঞা করার মানে বুঝো তুমি?যদি বুঝতে তাহলে এমন কাজ করতে তোমার বিবেকে বাঁধতো।আর কথা বাড়াতে চাই না, তুমি আর আসবেনা আমার সামনে।”

তুয়া ওখানে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলো।প্রত্যয়ও আর না দাঁড়িয়ে থেকে তুয়ার হাত ধরে টেনে ওর বাসায় নিয়ে গেল।একটু পর তুরাগ এসে তুয়ার যাবতীয় জিনিস পত্র তুয়াকে দিয়ে গেল।তুয়া প্রত্যয়ের রুমের মেঝেতে বসে উচ্চস্বরে কাঁদছে। প্রত্যয় তুয়ার কান্না সহ্য করতে পারছে না।তুয়ার কান্না দেখে প্রত্যয়ের চোখ থেকে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।প্রত্যয় তুয়াকে শক্ত করে ওর বুকের বা পাশটায় জড়িয়ে রাখলো। তুয়া প্রত্যয়ের থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য প্রত্যয়ের পিঠে কিল,খামছি, বসিয়ে দিলো।কিন্তু তবুও প্রত্যয় তুয়াকে ছাড়লো না।তুয়া ছাড়া না পেয়ে প্রত্যয়ের পিঠের শার্ট খামছে ধরে কাঁদতে থাকলো।প্রত্যয়ও আর তুয়াকে কাঁদতে নিষেধ করলো না।কারন তুয়ার এখন কান্না করে মন হালকা করা প্রয়োজন।তুয়া প্রত্যয়কে জড়িয়ে ধরে ওর মনের কথা গুলো বলতে থাকলো,

—আমি খারাপ।আমি খুব খারাপ বাবা,তোমার মেয়েটা বড্ড বেশিই খারাপ। আমি তোমাকেও কষ্ট দিয়ে ফেললাম বাবা।আমি না পারলাম কাউকে ভাল রাখতে।আর না পারলাম কারো মুখে হাসি ফোঁটাতে।বাবা তোমার মেয়ে ভালবাসার যুদ্ধে হেরে গেছে।আমি আমার ভালবাসা আগলে রাখতে পারিনি বাবা।আমি পারলাম না কারো জীবনের আলো হয়ে জ্বলতে।নিজের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে ওর জীবনটা আমি কানায় কানায় পরিপূর্ণ করতে পারলাম না।আমি ব্যর্থ হয়েছি বাবা।আমি ভালবাসার যুদ্ধে হেরে গেছি।ওর সাথে আমি অভিনয় করিনি।আমার ভালবাসাটা পবিত্র ছিলো।এজন্য বাঁধ্য হয়েই নিজের হাতেই আমার ভালবাসার ইতি টানলাম!ভালবাসার মানুষটাকে ছেড়ে আমিও যে একটুও ভালো নেই বাবা।এই কষ্ট আমি কাকে দেখাবো বাবা,এই অসহ্য যন্ত্রনার কথা কাকে বলবো?আমি যে আর সহ্য করতে পারছিনা বাবা।তুমিও আমাকে পর করে দিলে? আমি কিভাবে বাঁচবো তোমাদের ছেড়ে?আমিও ক্লান্ত হয়ে গেছি।এই দুইটা মাস এত ভয়ে আর আতংকে থাকতে থাকতে আমিও বড্ড বেশি ক্লান্ত হয়ে গেছি।(তুয়া)

তুয়া এই কথা গুলো বলে সেন্স হারিয়ে ফেললো। প্রত্যয় তুয়াকে ওর বুকে থেকে সরিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো।প্রত্যয় তুয়ার চোখের পানি মুছে দিলো।আর তুয়ার কপালে একটা আদর দিলো।সাথে সাথে প্রত্যয়ের চোখের পানি তুয়ার কপালে পড়লো।তুয়ার এমন আর্তনাদে প্রত্যয়েরও যেন নিজেকে সামলানো কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে তুয়া বলা প্রতিটা কথার মাঝে লুকিয়ে রয়েছে, অজানা এক রহস্য।এখানে গভীর কোন রহস্য না থাকলে তুয়া এমন কাজ কখনোই করতো না।তবে রহস্যটা তুয়া না পারছে কাউকে বলতে আর না পারছে সহ্য করতে।এখন শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে।তুয়া কবে সেই রহস্যের কথা নিজে থেকে বলবে?কারন প্রত্যয় যদি তুয়াকে এখন কিছু জিজ্ঞাসা করে তাহলে তুয়া কিছু তো বলবেই না। বরং নিজেকে আরো গুটিয়ে নিবে।আর এটা প্রত্যয় কখনোই চায় না।এখন তুয়ার স্বাভাবিক হওয়ার আর নিজে থেকে কিছু বলার অপেক্ষা করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

To be continue….!!

(আপনাদের কি গল্পটা ভালো লাগছে?নাকি গল্পটা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখবো?আসলে গল্পে আপনাদের রেসপন্স খুব কম!এজন্য আমিও বুঝতে পারছিনা,আপনাদের কেমন লাগছে গল্পটা🙄)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here