স্পর্শানুভূতি #writer_Nurzahan_Akter_Allo #part_11 🍁🍁

0
677

#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_11
🍁🍁

মিষ্টুঃআপনার গোবর পোরা মাথাতে যে এসব না জানলেও চলবে।আমাকে বেশি বকাবেন না তো,,আমার পেটের খুধাগুলো সাকি সাকি গানে নাচতে শুরু করছে! আপনি কি খেতে নিয়ে যাবেন? (রেগে রেগে)

রাসেলঃহুমম চলো! আর আমি ইন্জিনিয়ার আর তুমি আমাকে বললে আমার মাথাতে গোবর পোরা।আর পেটে খুধা নাচতেও পারে আজ প্রথম শুনলাম।
(অবাক হয়ে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে)

মিষ্টুঃআসছে ইন্জিনিয়ার!চলুন তারাতারি আপনার এসব না বুঝলেও চলবে (ধমক দিয়ে)

রাসেলঃহুমম চলো 🙄

মিষ্টু বিরিয়ানী পাগলী ও একাই দুই প্লেট বিরিয়ানী খাওয়ার জন্য বললো!রাসেল হেসে বিরিয়ানী,চিকেন ফ্রাই,সালাড আর দুইটা কোল্ডড্রিংকস অর্ডার করলো।মিষ্টু খুব মনোযোগ সহকারে খাচ্ছে আর রাসেল একটু পর পর মিষ্টুর দিকে তাকাচ্ছে।মিষ্টু ভ্রু কুচকে রাসেলের দিকে তাকায় আর বলে…

মিষ্টুঃআপনি এমন কেন?(রাগি চোখে)

রাসেলঃআমি কেমন? (অবাক হয়ে)

মিষ্টুঃএকদম আমার খাওয়াতে নজর দিবেন না বলে দিলাম।আমি এমনিতেই কম খায় তার উপরে কেউ তাকালে আর খেতে পারি না।এবার তাকালে চোখ খুলে হাতে ধরিয়ে দিবো..😠

রাসেলঃহুমমম!!!!🙄
(এটা যদি কম অল্প খাওয়া হয় তাহলে বেশি খাওয়া কোনটা আল্লাহ জানে!পাগলী একটা ।মনে মনে)

রাসেল বিল পেমেন্ট করে পেছনে ঘুরতেই দেখে মিষ্টু একটা বড় আইসক্রিমের বক্স হাতে নিয়ে রাসেলের দিকে মিষ্টি হেসে তাকিয়ে আছে।রাসেলে বুঝে গেছে এই হাসির মানে এজন্য রাসেলেও মুছকি হেসে আবার আইসক্রিমের বিল দেয়।তারপর ওরা গাড়িতে বসে আর মিষ্টু আইসক্রিম খেতে শুরু করে। মিষ্টু আইসক্রিমটা হাফ সাবাড় করে দেওয়ার পর মনে হলো পাশে কেউ থাকলে তাকে দিয়ে খেতে হয়।

রাসেল তখন মনোযোগ দিয়ে ড্রাইভ করছিলো হুট করে মিষ্টু ওর মুখের সামনে আইসক্রিম ধরে! রাসেল সাথে সাথে মিষ্টুর দিকে তাকায়। মিষ্টু ইশারা করে আইসক্রিমটা খাওয়ার জন্য রাসেল কি করবে ভেবে পাচ্ছে না! পরে সাত পাঁচ না ভেবে খেয়ে নিলো।রাসেল বুঝে গেছে মিষ্টু দুষ্টু হলেও সরল মনের কারন একটা ছেলের মুখে সামনে এভাবে আইসক্রিম ধরাটার মানে টা যদি বুঝতো তাহলে ধরতো না।আর রাসেল তো ওর ভাইয়ার বন্ধু সো এখানে আনইজি ফিল করাটা কমন।বাট মিষ্টু এত জটিল করে না ভেবে ওর হিসাব মতে কেউ পাশে থাকলে দিয়ে খেতে হয় এটা ভেবেই রাসেলের মুখের সামনে আইসক্রিম ধরছে।মিষ্টু বলে উঠলো..

মিষ্টুঃএকবার দিলাম আর দিবো না কিন্ত।আপনি লোভ যাতে না দেন তাই দিলাম।আর চেয়ে লজ্জা দিবেন না।

রাসেলঃ ওকে আমাকে আর দিতে হবে না!তুমিই খাও(মুছকি হেসে)
মিষ্টুঃধন্যবাদ…

মিষ্টু শপিংমলে ঢুকে পানির জগ,কফির মগ, আর বিভিন্ন কালারের লাইট, রুমের পর্দা নিলো,বেড সীট সহ,ফাস্ট এইড বক্স সহ আরো টুকটাক জিনিস কিনলো।তারপর ওরা ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখে সব সেটা করা হয়েছে!রাসেল মুহিতকে ফোন দিয়ে ওর ফ্ল্যাটে আসতে বললো!লোক গুলোও সব গুজিয়ে দিয়ে ওদের পাওনা বুঝে নিয়ে চলে গেল।মিষ্টু সদ্য কিনে আনা জিনিস গুলো সাজাতে বিজি হয়ে পড়লো।রাসেল মনে মনে…

রাসেলঃসবাই ঠিকই বলে মেয়েরাই ঘরের লক্ষী!যে কাজ আমি একমাসে পেরে উঠতাম না সেই কাজ মিষ্টু কয়েক ঘন্টার মাঝে করে ফেললো।সত্যি মিষ্টুর চয়েজ আছে বলতে হবে! আর দুষ্টু হলেও কাজে পারদর্শী আছে…

রাসেল এসব ভাবছিলো তখন মিষ্টুর ডাকে রাসেলের হুশ আসে আর পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে মিষ্টু ওকে ডাকছে।রাসেল মিষ্টুর দিকে এগিয়ে যায়..

মিষ্টুঃএই পর্দা গুলো টানিয়ে দেন!আমি হাত পাচ্ছি না
রাসেলঃ আচ্ছা সরো আমি করে দিচ্ছি।
মিষ্টুঃআহহহ্

রাসেলঃকি হলো?

মিষ্টুঃ পর্দাতে বেধে আবার পায়ে ব্যাথা পেলাম!ইসস রে

রাসেলঃউফফ্ একটু দেখে চলবে তো!আবার রক্ত বের হয়ে গেলো। এত ছটপট করো কেন তুমি সব কাজে…

মিষ্টুঃআমি ইচ্ছে করে নি তো!আর আপনি বকছেন কেন? (মন খারাপ করে)

রাসেলঃবকা দিলাম কখন! আমি তো একটু সাবধানে চলাফেরার কথা বললাম।

মিষ্টুঃবুঝি বুঝি থাক আর বলতে হবে না।
রাসেলঃহুম বুঝলেই ভালো!তবে বেশি বোঝা ভাল না।

রাসেল মিষ্টুর পায়ের রুমাল খুলে দেওয়ার জন্য হাত দিতেই কলিংবেল বেজে ওঠে!রাসেল মিষ্টুকে নড়তে নিষেধ করে দরজা খুলে দেখে মুহিত দাড়িয়ে আছে! মুহিত ভেতরে এসে দেখে মিষ্টু বেডে বসে আছে। মুহিত চারপাশে তাকিয়ে কেমন সাজানোটা হয়েছে ঘুরে ঘুরে দেখছে।মুহিত মিষ্টুর দিকে তাকাতেই দেখে রাসেল মিষ্টুর পায়ের কাছে বসে মিষ্টুর পায়ে থেকে একটা রক্ত মাখা রুমাল খুলছে!মুহিত ভ্রু কুচকে রাসেলের দিকে তাকিয়ে আছে!রাসেল খুব সাবধানে মিষ্টুর পায়ে থেকে রুমাল খুলে তুলাতে স্যাভলন নিয়ে কাটা জায়গাতে লাগাতেই! মিষ্টু আউচ্ বলে রাসেলের শার্ট খামচে ধরে।মুহিত যে দাড়িয়ে আছে তাতে রাসেলেরও আর খেয়াল নেই…

রাসেল মিষ্টুর পা টা ওর হাটুর উপর নিয়ে বার বার ফু দিচ্ছে আর পরিষ্কার করে দিচ্ছে! তারপর কাটা জায়গা পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।মুহিত মিষ্টুর কাছে এসে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে?মিষ্টু বলে ইটের সাথে হোচট খেয়েছে! মুহিত রাসেলের দিকে তাকায় রাসেলের দৃষ্টি তখন মিষ্টুর পায়ের দিকেই ছিলো।মুহিত আর কিছু বললো না….

মিষ্টু বসে ছিলো আর রাসেল আর মুহিতকে অর্ডার করছিলো!আর ওরা দুজন মিষ্টুর কথা অনুযায়ী কাজ করছিলো আর হাসিহাসি করছিলো।
ওরা আর কিছুক্ষন পর ওখানে থেকে বেরিয়ে পড়ে আর পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যায় মিষ্টু জোরাজুরির কারনে।পদ্মার পাড় টা দেখে রাসেল মুহিতের দিকে বললো,,,

রাসেলঃ খুব সুন্দর মনোরম একটা পরিবেশ! জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর আর মন ভালো করার মত জায়গা।আর রাজশাহীতে জ্যাম নেই থাকলেও কয়েক মিনিটের!এটার জন্য আমার বেশি ভালো লাগছে..

মুহিতঃহুমম রাজশাহী শহরটা ছোট হলেও শান্তিপ্রিয় একটা শহর!

মিষ্টুঃহুমম আর বড় কথা হলো আমাদের রাজশাহীকে বলা হয় শিক্ষার নগরী!আর রাজশাহীর মানুষের একটা বড় গুন এরা সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারে হা হা হা (মিষ্টি হেসে একটু পাম দিলো আর কি)

রাসেলঃহুমম রাইট!তবে ঢাকার মত এখানকার মেয়েরাও দেখছি জিন্স আর শার্ট পড়ে ঘুরছে !এটা যদিও এখন ফ্যাশানে পরিনত হয়েছে।

মিষ্টুঃআসলে এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ আসে পড়াশোনার জন্য!আর এখানে এসে নিজ ইচ্ছে মত চলাফেরা করে।রাজশাহীর স্থানীয় মেয়েরা এটা করে না করলে এভাবে ওড়না ছাড়া ঘুরে বেড়ায় না।আর কেউ কেউ আছে বাবা গ্রামে কষ্ট করে ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে এখানে পাঠায়!আর সেইসব ছেলেমেয়েরা শহরের বাতাস গায়ে লাগিয়ে ধরা কে সরা ঙ্গান করে।

রাসেলঃহুমম তোমার কথাতে যুক্তি আছে!তোমার কথাগুলো শুনে সত্যি ভাল লাগলো।(মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে)

মুহিতঃ সত্যি বলতে কি জানিস? যারা এসব করে বেড়ায় তারাই ঠকে বেশি!মানুষকে দেখানোর জন্য নিজেকে কেন বদলাতে হবে আমি এটাই বুঝি না!যে তোমার সাথে মিশবে বা ভালবাসবে সে তোমার সত্যিটা জেনেই ভালবাসবে এখানে এত ফ্যাসালিটির কি আছে।
বিশেষ করে কিছু কিছু মেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে এমন ভাবে আসে যে মাঝে মাঝে নিজেদেরই লজ্জা লাগে। ছেলেরাও দেখি কানে দুল হাতে কি সব হাজিবাজি পড়ে এসব ঠিক ন।

রাসেলঃহুমম রাইট!এরা অতিরিক্ত ফ্যাশান করতে যায় আর কি?তবে এরা এটা বোঝে না যে এগুলো পড়লে ওদের বখাটে দেখায়।তবে মেয়েরা এসব বখাটের ছেলের প্রেমেই বেশি পড়ে। আমাদেরকে চোখে পড়ে না(আড়চোখে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে)

মুহিতঃতা ঠিক বলছিস ভাই!এজন্য আমরা আজও সিঙ্গেল হা হা হা

মিষ্টুঃআপনাদের ব্যাড লাক!এজন্য আজো কেউ মেয়ে পটাতে পারেন নি।হা হা হা

রাসেলঃতা ঠিক বলছো হা হ হা

মিষ্টুঃআর সত্যি বলতে এসব ছেলে মেয়েরাই এভাবে ঘুরবে, এরাই ঠকবে, এরাই প্রতারণা করবে,এরাই খারাপ কাছে লিপ্ত হবে,এরাই রুম ডেট করবে,এরাই অনলাইনে নোংরা ভিডিও ছাড়ে, এরাই এ্যাবোশনের জন্য সিরিয়ালে দাড়িয়ে থাকবে।আবার এরাই অনলাইনে এসে ইয়া বড় বড় ভাষণ শুনিয়ে দিবে। এমন একটা ভাব করবে মনে হয় এদের মত পবিএ মনের মানুষ আর নেই।হাস্যকর…

মুহিতঃজানিস বোন তোর ভাই বলে বলছিনা! তোর এই চিন্তা ধারা মাঝে মাঝে আমাকে সত্যি অবাক করে দেয়।মাঝে মাঝে মনে হয়ে আমিই তোর ছোট আর তুই আমার বড়বোন…
মিষ্টুঃহা হা হা

রাসেলঃ মুহিত ঠিক বলছে!আসলে প্রতিটা মানুষের মাঝে প্রতিবাদী ভাবটা রাখা উচিত অনেকে ভাবে অন্যকারো সাথে অন্যায় হচ্ছে তাতে আমার কি?আমার তো কিছু হচ্ছে না।বাট সেই বোকারা ভাবে না আজ একজনের সাথে হচ্ছে কাল নিজের সাথেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।

মিষ্টুঃবাবা রে বাবা আর উপদেশ দিতেও পারছি না আর নিতেও পারছি না।ভাইয়া কিছু খাওয়াও না….

মুহিতঃ মিষ্টু তুই বস আমি নিয়ে আসছি!
রাসেলঃচল আমিও যাবো!

মুহিতঃনা না তোর যাওয়া লাগবে না আমি নিয়ে আসছি!তুই তো কোথায় কি পাওয়া যায় সেটা জানিস না?তুই বোনের পাশে বসে থাক আমি যাবো আর আসবো…।

রাসেলঃওকে

মুহিত উঠে যায় আর একটা বৃদ্ধ মহিলা আসে আর ওদের দিকে তাকিয়ে বলে ওদের নাকি দারুন মানিয়েছে!খুব তারাতারি ওরা বিয়ে নামক পবিএ বন্ধনে বাঁধা পড়বে!রাসেল মিষ্টি হেসে ওয়ালেট থেকে টাকা বের উনাকে করে দিল।আর মিষ্টু মহিলাটার দিকে তাকিয়ে বলে…

মিষ্টুঃদাদীমা আপনি ভুল বুঝছেন!উনি আমার ভাইয়া
(রাসেলের দিকে তাকিয়ে)

বৃদ্ধাঃনিজের ভাই তো না! আমি আর কিছু বলবো না।আমার কথা মিলিয়ে নিও।হা হা হা (বলে চলে গেল)

রাসেলঃবোকা মেয়ে উনাদের কথা ধরতে নেই!এরা কত কি বলে?যা তা বলে মানুষকে ভয় ধরিয়ে দেয় এদের কথায় কান দিতে নেই।
(উনার কথায় সত্যি হোক না মিষ্টু!আমি তোমাকে অনেক ভালবাসবো।কখনও কষ্ট পেতে দিবো না।আমিও খুব করে চাই উনার কথা সত্যি হোক।আমি তোমার সাথে নিজেকে পবিএ বন্ধনে বাঁধতে চাই। মনে মনে)

মিষ্টুঃহুমম
(উনি এসব কি বললো? ইসস ভাইয়ার সামনে এসব বলে আমাকেই লজ্জা দিলো। না জানি রাসেল ভাইয়া কি মনে করলো। মাথা নিচু করে মনে মনে)

মুহিত আসতেই মিষ্টু মুহিতের দিকে বলে..

মিষ্টুঃভাইয়া এখন আজান দিবে আম্মু বকবে সন্ধ্যার সময় নদীর পাড়ে থাকলে।এখন চলো আমরা গাড়িতে গিয়ে বসি আর আজ বাসায় চলে যায়।আমার কেমন জানি লাগছে…(মুহিতের দিকে তাকিয়ে)

মুহিতঃকি হয়েছে বোন কেউ কিছু বলছে তোকে! শরীর বেশি খারাপ লাগছে তোর।

মিষ্টুঃ ভাইয়া ঠিক আছি আমি! আজকে সারাদিন আম্মুও বাসায় একা আছে এখন চলো আমরা যায়।

মুহিতঃওকে চল!হাটতে পারবি নাকি ধরবো। আমি হাতে এতগুলো খাবার এগুলো কি করবো?

রাসেলঃমুহিত খাবার গুলো আমাকে দে!আর তুই মিষ্টুকে ধরে নিয়ে আয়।ওর মুখ দেখে মনে হচ্ছে সত্যি কোন সমস্যা ওর বাট বলছে না।

মুহিতঃওকে ভাই তাই কর!

মুহিত রাসেলের হাতে খাবার গুলো দিয়ে মিষ্টুকে ধরতেই বুঝলো মিষ্টুর জর এসেছে!মুহিতের মুখে মিষ্টুর জর এসেছে শুনে রাসেলের মুখ শুকিয়ে গেছে! কেন রাসেলের খারাপ লাগছে বুঝতে পারছে না।যে ভালবাসার ভবিষ্যত বলে কিছু নেই সেই ভালবাসা পেতেই বার বার বেহায়া মনটা উতফুল্ল হয়ে উঠছে।মুহিত ধরে ধরে মিষ্টুকে নিয়ে গাড়িতে বসায় আর রাসেল ড্রাইভ করার জন্য সামনে বসে।মুহিতের কাধে মাথা রেখে মিষ্টু বসলো।রাসেল ওদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে,,,

রাসেলঃমুহিত তোর উপর আজ আমার কেন জানি বড্ড হিংসা হচ্ছে!মিষ্টু তোর কাঁধে মাথা রাখছে এটা দেখে। ইসসস আমি যদি তোর জায়গা থাকতাম!ধুরর
আমার এসব কি হচ্ছে আমি কিছু বুঝতেছি না?না মিষ্টুর থেকে আমাকে দুরে থাকতে পারবো আর না আমি মুহিতের মত বন্ধুকে হারাতে পারবো না।

দরকার হলে আমি মুহিতের সাথে সরাসরি কথা বলবো!আমি পায়ে ধরে তোমাকে ভিক্ষা চাইবো মিষ্টু।তাও আমি তোমাকে হারাতে পারবো না।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here