#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_40
🍁🍁
রাসেলঃ মুহিত আমি হয়তো তোর মত করে ভালবাসতে পারবো না তবে বিশ্বাস কর ভাই আমি আমার সবটুকু দিয়ে মিষ্টুকে ভাল রাখার চেষ্টা করবো।আর সত্যি কথা বলতে আমি মিষ্টুকে এখন নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি এটা তুই তো জানিস!তুই একদম চিন্তা করিস না মিষ্টু আমি সব সময় আগলে রাখবো!আমার শেষ নিঃশ্বাস চলা অবধি..
তারপর দুই বন্ধু দুজনকে জড়িয়ে ধরে!
–
ওদিকে রাত্রি মিষ্টুর কথা শুনে সাথে সাথে ফেনী থেকে রাজশাহীতে চলে আসে।তারপর দুইবোন মিলে গল্প জুড়ে দেয়।আর মুহিত রাসেলকে নিয়ে শপিংমলে যায় আর মিষ্টু মুহিতের বিয়ের ড্রেস সহ বিয়ের জন্য অনেক কিছু কিনে!রাসেল অনেক বারণ করেও মুহিতকে থামাতে পারে না।রাসেল বিল পেমেন্ট করতে চাইলেই মুহিত করতে দেয় না!ওরা শপিং শেষ করে বাসায় যায়!তারপর মিষ্টুকে ড্রেস গুলো দেখায় মুহিত!রাসেল আর মিষ্টু দুজনেরই ড্রেসের ডিজাইন এক রকম!দুজনেটাই ড্রেসটা কলাপাতার কালারের উপর গোল্ডেন পাথর আর সুতার কাজ করা।
–
মুহিতরা বাসায় ফিরে আসে তার মিষ্টু আর ওর আম্মুকে ওদের শপিং গুলো দেখায়। তখন মিষ্টু তো ওর ড্রেসটা দেখে তো খুশিতে লাফানো শুরু করছে!তারপর ওরা সবাই কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে রাতের ডিনার করে নিলো।তারপর রাসেল মিষ্টুকে বাই বলে চলে কারন ওখানে সবাই উপস্থিত ছিলো এজন্য আর কিছু বলতে পারে নি।রাসেলের মুখ দেখে সবাই মুচকি মুচকি হাসছে শুধু! রাসেল ওর বাসায় আয়ানরাও ওদের বাসায় চলে গেল…
–
রাসেল ওর বাসায় পৌঁছে মিষ্টুকে ফোন দেয় সাথে সাথে!রাসেল সারাটা রাত না নিজে ঘুমিয়েছে আর না মিষ্টুকে ঘুমাতে দিয়েছে।তারপর দুজন মিলে ফজরের আজানের একটু পরে ঘুমিয়ে যায়!মুহিতের আম্মু সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট বানায় আর ড্রাইভারকে দিয়ে রাসেলের বাসায় খাবার পাঠিয়ে দেয়!ওদিকে রাসেল তো সারারাত প্রেমালাপ করে এখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে! আর ড্রাইভার গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই আছে বাট কোন রেসপন্স নাই।
–
ড্রাইভার আর উপায় পেয়ে মিষ্টুকে ফোন দিয়ে বললো যে রাসেল ডোর ওপেন করছে না!আর উনি অনেকক্ষণ হলো বাইরে দাড়িয়ে আছে।মিষ্টু ড্রাইভারকে ওখানে আর একটু ওয়েট করে বললো আর নিজে রেডি হয়ে নিলো আর কলেজে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে পড়লো।মিষ্টু রাসেলের ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে ড্রাইভারের থেকে খাবার নিলে আর উনাকে চলে যেতে বললো! আর এই কথা কাউকে বলতে নিষেধ করলো।আর মিষ্টু রাসেলকে কল দিতেই আছে তিনবারের বেলায় রাসেল ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে..
–
রাসেলঃহুমম বউ বলো..
মিষ্টুঃতোমান বউয়ের মায়েরে বাপ!তারাতারি দরজা খোলো নইতো আজকেই তোমাকে কিমা বানাবো বলে দিলাম..( দাঁতে দাঁত চেপে)
রাসেলঃহুমম!তুমি দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছো কেন?আর কখন আসলে (অবাক হয়ে হুড়োমুড়িয়ে উঠে দরজা খুলে)
মিষ্টুঃমহিষের মত ঘুমাও কেন?ড্রাইভার কাকা এত ডাকলো শুনতে পাও নি। (রেগে গিয়ে)
রাসেলঃদরজা খুলছিলাম না বলে ভয় পেয়ে তুমি সোজা চলে এসেছো এখানে!বা বা রে এত ভালবাসা কই রাখি বলো তো(দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃকেন তোমার ডান পকেটে?
–
মিষ্টু রেগে রুমে ঢুকে আর রাসেল দরজা আটকায়।মিষ্টু সামনে পড়ে থাকা হ্যংগার নিয়ে রাসেলকে তেড়ে মারতে আসে।রাসেল মিষ্টুকে ধরে ফেলে আর পেছনে থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আর হাত থেকে হ্যাংঙগারটা ফেলে দেয়।মিষ্টু রাগে ফোস ফোস করছে কারন এই রাসেল গাধাটার জন্যই ওকে আবার এখন এখানে আসতে হলো।মিষ্টু রেগে রাসেলকে বলে ওকে ছেড়ে দিতে! বাট রাসেল মিষ্টুকে আরো জাপটে ধরে আর মিষ্টুকে কোলে তুলে নেয় আর বেডে গিয়ে শুইয়ে দেয় আর মিষ্টুকে বেডের সাথে চেপে ধরে…
–
মিষ্টুঃছাড়ো বলছি! আর খালি গায়ে কেন তুমি??লাজ -লজ্জার মাথা খাইছো(দাঁতে দাঁত চেপে)
রাসেলঃকই আমি খালি গায়ে ? থ্রী কোয়াটার প্যান্ট পড়ে আছি তো ….তুমি চাইলে এটাও(দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃ রাসেল্য!!!!!!!!!! (রেগে গিয়ে)
রাসেলঃএত রাগ করে না বউ!সারারাত কথা বলে এখন ঘুমাচ্ছিলাম!আর ঘুমালে আর হুশ থাকে তাই বুঝতে পারি নি!আর এজন্যই দরজা খুলতে পারি না। আর তুমি তো জানো আমি ঘুমানোর সময় খালি ঘুমাতেই বেশি পছন্দ করি….(গলাতে আদর দিয়ে)
মিষ্টুঃহুমম সব বুঝলাম!আমাকে এখন ছাড়ো! আমি বাসায় যাবো!আর খাবার দিয়ে গেলাম খেয়ে নিও।
রাসেলঃজি না ম্যম! আপনি এখন কোথাও যাবে না!আপনি এখন আমার সাথে ঘুমাবেন।আমার তো ঘুম পুরা হয়নি,তাই আপনাকে নিয়েই আমি এখন ঘুমাবো ব্যস্।এসেছেন নিজ ইচ্ছায় বাট যাবেন আমার ইচ্ছায় বুঝলেন…(মিষ্টুর নাক টেনে)
মিষ্টুঃআমাকে সবাই খুঁজবে তো!আর আজকে আমাদের গায়ে হলুদ আপনি কি ভুলে গেছেন নাকি?আমাদের তো একসাথে গায়ে হলুদ হবে!(রাসেলের নাক টেনে)
রাসেলঃহুমম! আর আমি এত জেনে কি করবো হুম?আমি আমার বউকে কাছে পেয়ে গেছি আর কিছুর দরকার নাই! কবে কি সেটা আমার মনে রেখেও লাভ নেই..তুমি মনে রাখো তাহলেই হবে।
মিষ্টুঃএই তোমার এত ওজন কেন? আমি তো চেপ্টা হয়ে যাবো!উফফ্ ওঠে না আমি ব্যাথা পাচ্ছি তো..(রাসেলে সরানোর চেষ্টা করে)
রাসেলঃআমার ওজন মাএ ৭৫! তোমাকে তো আমার ভরই দিলাম না!তাও এই কথা বলছো..এবার কেমন বলো! বলো “বলো!আমি একম হালকা তুলোর মত না! (মিষ্টুর উপর নিজের ভর দিয়ে)
মিষ্টুঃওহহহ আম্মু গো!কেউ আমাকে বাঁচাও গো। আমি একটা হাতির নিচে চাপা পড়ছি! আল্লাহ গো এবারে মত বাঁচাও আমি এই হাতির ধারে কাছেও আর আসবো না (চিৎকার করে)
রাসেলঃ না তো হবে না ম্যম!আজকে গায়ে হলুদ কালকে বিয়ে সো রেডি থাকবেন।কারন হাতি নাকি সিংহ বোঝানোর সময় হয়ে গেছে!আর ধারে কাছে ঘেঁষবে না মানে কি?এই কথা আর বলবে??? (আবার ভর দিয়ে)
মিষ্টুঃ না না আমি আর জীবনেও এই কথা বলবো না!তাও উঠো রে!মাগো মা আমি শেষ (এবার কেঁদে দিবে এমন অবস্থা)
রাসেলঃএই কাজ ভুলেও করবে না সোনাবউ!যদি করো তো বিয়ের বাধ দিয়ে সবার সামনে থেকে তুলে আনবো বলে দিলাম।আমি সব মানতে রাজি আছি শুধু তোমার থেকে দুরে থাকতে দিতে রাজি না…
মিষ্টুঃহুমম এবার ওঠো না!আমাকে বাসায় যেতে হবে তো..
রাসেলঃ এমন ছটফট করো কেন? একটা রাত তোমাকে দুরে রেখে আমার সব এনার্জি শেষ! এখন তো একটু মাএ একটু এনার্জি নিয়ে ছেড়ে দিবো সোনাবউ…(গলায় লিক করে)
–
রাসেল মিষ্টুর গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়!মিষ্টু রাসেল চুল খামছে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলে! মিষ্টু তো রাসেল কে দুরে সরাতে চাচ্ছে বাট এক চুল পরিমানও নড়াতে পারে নি।।রাসেল মিষ্টুর দুইহাত বেডের সাথে চেপে ধরে আর একবার মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়!মিষ্টু ছটফট করতে করতে একটা সময় থেমে যায়…এই প্রথম রাসেল মিষ্টুর ঠোঁট টার্চ করছে! দুজনেই একটা ঘোরের মাঝে চলে যায়।রাসেল প্রায় ১৩ মিঃপর মিষ্টুর ছেড়ে দেয়! তাও মিষ্টু রাসেলের ঠোঁটে কামড় দিয়েছে তাই!মিষ্টু রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আর রাসেল নেশাভরা চোখে তাকিয়ে আছে।
–
মিষ্টু তখন রেগে রাসেলকে বলে…
মিষ্টুঃবিয়ের আগে এসব করতে লজ্জা লাগে না!ম
রাসেলঃহুমম বিয়ে করেছি! আমি আমার বউয়ের সাথে যা ইচ্ছে করবো কোন শালার কি হুম?
মিষ্টুঃআর সারারাতে এত খুধা লাগছে খাবার কিছু না খেয়ে! সকাল সকাল আমার ঠোঁটের উপর হামলে পড়লে!এত অত্যাচার করো কেন আমার ঠোঁটের উপর? (নিজের ঠোঁটে হাত বুলাতে বুলাতে)
রাসেলঃ এই খুধা তো অনেক আগেই লেগেছে!নিজেকে কনট্রোল করছি এতদিন এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।এজন্য আজকে একটু সুধা পান করলাম!এই একটু এনার্জি নিলাম তোমার ঠোঁট থেকে আজকে দিনটা পার করার জন্য!আর আমার বউ আমি অত্যাচার করবো তাতে তোমার কি???
মিষ্টুঃ তাই বলে এভাবে! উফফ রে কি জলছে এখন আমার ঠোঁট মনে হচ্ছে কেটে গেছে(কাঁদো মুখ করে তাকিয়ে)
রাসেলঃ দাও জালা কমিয়ে দিচ্ছি আরেকবার করে(দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃআরেক বার করলে আর জলবে না তোমাকে কোন গাধা বললো শুনি! (সন্দেহের চোখে তাকিয়ে)
রাসেলঃ বিষে বিষে বিষক্ষয় কথাটার মানে জানো?বিষে যেমন বিষেকে ক্ষয় করে তেমন আমিও…. (মিষ্টুর কানে কানে ঘোর লাগা কন্ঠে বললো)
মিষ্টুঃধ্যাত!অসভ্য একটা
–
মিষ্টু রাসেলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো!তারপর মিষ্টু উঠতে চাই রাসেল মিষ্টুকে উড়তে না দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো!আর রাসেল বকবক করতে করতে একটা সময় সত্যি ঘুমিয়ে গেল!মিষ্টুও রাসেলের বুকে মাথা দিয়ে পরম শান্তিতে নিদ্রার দেশে গমন করলো…
–
আজকে সন্ধ্যায় ওদের গায়ে হলুদ বাট ওরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছে!(আগে বিয়ে পরে অনুষ্ঠান হলে যা হয় আর কি)।ওরা সকাল ১০ঃ৩০ টার দিকে দুজনেই ঘুম থেকে উঠে আর ব্রেক ফাস্ট করে নেয়!তারপর রাসেল মিষ্টুকে বাসায় পৌঁছে দেয়! মিষ্টু রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলে..
মিষ্টুঃযেখানেই যাও সাবধানে যাবে।আর দেখা হচ্ছে সন্ধ্যায়… (মিষ্টি হেসে)
রাসেলঃহুমমম (তুমিও সাবধানে থেকো কেমন।চোখ টিপ দিয়ে)
মিষ্টুঃতুমি আসলেই একটা….
রাসেলঃহুম হুম বলো! বলো!আমি কি? (দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃতুমি আসলেই একটা জীবানু (কথা বলে দৌড় চলে যায়)
চলবে…
(আজকে দুইটা পার্ট দিলাম তোমাদের কথা ভেবে!আর ওদের বিয়েতে নিজ দায়িত্ব উপহার নিয়ে তোমরা সবাই চলে এসো কেমন! তোমাদের সবার দাওয়াত রইলো।আর আমার মানে (আলোমনির)জন্য আসার সময় কালো মিষ্টি আনবে মনে করে😋😋! ভুলো যেও না যেন)