#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ,০৪,০৫
তাসনিম তামান্না
০৪
জারা পিটপিট করে চোখ খুলতেই সারাশরীর ব্যথা অনুভব করলো মাথা ভার ভার লাগলো জারা মাথায় হাত দিয়ে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো শুভ্র রং দেখে চমকে গেলো মুখ থেকে আপনা আপনি বেড়িয়ে এলো
-‘ আমি কি মরে গেছি?’
-‘ ম’রে’লে তাও বাঁচতাম’
চমকে পাশে তাকিয়ে দেখে শান ওর দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে জারার দিকে শানের চোখ জোরা লাল করে তাকিয়ে আছে। আঁতকে উঠে বলল
-‘ ক কি হ হয়েছে আ আমার’
-‘ ম’রি’স নি মরতে ম’র’তে বেঁচে আসিস’
তখনই শান্তি কেবিনের দরজা খুলে ভিতরে আসলো শানের কথা শুনে শানকে জোরে ধমক দিয়ে বলল
-‘ শান মুখ সামলে কথা বলো মেয়েটা অসুস্থ আর তুমি ছিঃ আমার ভাবতে লজ্জা লাগছে তুমি আমার ছেলে হয়ে একটা মেয়ে সাথে এভাবে কথা বলছে তাও আবার মেয়েটা কি না তোমার স্ত্রী’
শান মাথা নিচু করে স্থীর চোখে ফ্লোরে দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো প্রতিউত্তর করল না। জারা হাসার চেষ্টা করে বলল
-‘ মনি তুমি ভুল বুঝছো ভাইয়া তো আমার সাথে মজা করছিল’
শান্তি কঠিন কন্ঠে বলল
-‘ তুমি ছোট ছোটর মতো থাকো আর তুমি আমাকে শিক্ষাছ কোনটা মজা আর কোনটা কটাক্ষ করে বলা? তুমি চুপ করে থাকো আর শান বেরিয়ে যাও আর যেনো তোমাকে এখানে না দেখি’
শান চলে গেলো। কিন্তু বাসায় গেলো না। ফেন্ডের বাসায় গেলো। শান চলে যেতেই জারা বলল
-‘ মনি তুমি ভাইয়াকে শুধু শুধু বকলে’
-‘ চুপ একদম চুপ আগে বলবি না শান সবার অগোচরে তোর সাথে এমন বিহেভিয়ার করে তোকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছে আমরা তোর কেউ না না-কি? আমরা ম’রে গেছি?
-‘ মনি এমন করে বলো না প্লিজ আমার কষ্ট হয় তো বুঝ না কেনো?’
-‘ শোন আমাদের যদি কিছু ভাবতিস তাহলে বলতিস’।
জারা মুখটা ছোট করে বলল
-‘ সরি মনি প্লিজ কষ্ট পেও না’
-‘ আচ্ছা হয়েছে থাক আর কথা না বলে খেয়ে নে তোর জন্য স্যুপ আর পাতলা করে সুজি বানিয়ে আনছি খেয়ে নে দেখবি শরীর ভালো লাগবে’
-‘ এখন ক’টা বাজে মনি’
-‘ দুপুর ২ টা’
-‘ ওহ’
-‘ জী এবার উঠেন কাল থেকে কিছু খান নি আমরা তো সবাই ভয় পেয়ে গেছিলাম এতো জ্বর পরে তোকে ডাক্তার কাছে আনলাম তোকে স্যলাইন দিল জ্ঞান ছিল না দেখে আর টেনশনে পরে গেছিলাম ডক্টর বলল তোকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে আমার ছেলে তো তোর জন্য পাগলের মতো করছিল তখন মনে করছিলাম হয়ত তোকে মেনে নিয়ে ভালোবেসে করছে কিন্তু না সুমি বলল (বাসার মেড) শানই না-কি তোকে ছাদে রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছে তখন বুঝলাম আমার ছেলে নিজের গিলটি ফিলের জন্য করছে সারা রাত না ঘুমিয়ে তোর পাশেই বসে ছিলো জানিস!’
জারা চমকালো। কথা ঘুড়িয়ে জেদ ধরে বলল
-‘ মনি আমি বাসায় যাবো হসপিটালে থাকবো না প্লিজজ কিছু করো’
কেউ জারার জেদের সাথে পারলো না। সেইদিনই জারাকে বাসায় আনা হলো।
_________
তারপরে দিন শান বাসায় এলো। শানের উসখুসক এলোমেলো চুল, পাতলা শরীরে ঢিলা চেকের শার্ট, শার্টের হাতা ফোল্ট করা। জারা তখন বসার রুমে বসে বিরক্তি নিয়ে ফল আর দুধের গ্লাস নিয়ে বসে আছে সামনে টিভিতে জারার ফেবারিট ওয়াগি কার্টুন হচ্ছে ওয়াগি ছেনোরিতাকে বিভিন্ন ভাবে ইমপ্রেস করছে। শান জারাকে ক্রস করার সময় আর চোখে তাকালো একবার। জারার হার্ট বিট বেড়ে গেলো শ্বাস আটকে গেলো শানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলো সাথে সাথে টিভিতে দিলো। ওয়াগি আর ছেনোরিতার কিসিং সিন চলছে। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকলো টিভির স্কিনে। ঠাস করে টিভি ওফ হয়ে গেলো। জারা চোখ মুখ কুঁচকে পাশে তাকাতে আঁতকে উঠল কি করবে ভেবে পেলো না এলোমেলো দৃষ্টি দিয়ে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে গেলে টাল সামলাতে না পেরে আবার বসে পড়লো। শান শক্ত চোখে জারার দিকে তাকিয়ে বলল
-‘ তুই না-কি বাচ্চা তো টিভিতে এসব কি দেখিস বলবো মা’কে তার গুণধর বউ মার চরিত্রের কথা?’
-‘ আ আসলে ভাইয়া আ আমি বুঝতে পারি নাই’
-‘ হ্যাঁ কি বুঝতে পারিস নি তুই সবই বুঝিস শুধু না বোঝার নেকামো করিস’
শান দাড়ালো না শিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বলল
-‘ টিভি দেখা ওফ’
আরও আস্তে আস্তে কি কি জানি বলতে বলতে নিজের রুমে চলে গেলো শান। জারা মন খারাপ করে সোফায় পা তুলে গোল হয়ে বসে বাচ্চাদের মত মুখ ফুলিয়ে বিরবির করে বলল
-‘ আমার কি দোষ আমি কি জানতাম না-কি এখনি সব হবে আর এসব কার্টুন কে বানায় হ্যাঁ তাকে সামনে পেলে খবর আছে শুধু শুধু আমি একগাদা বকা খেলাম দূর তারি ছাই ভালো লাগে না কিছু আমি যে তার বউ তার কি মনে থাকে না দেখা হলেই চোখ রাঙানি আর ধমকে তেঁতো তেঁতো কথা শুধু আমার বুঝি কষ্ট হয় না? ‘
সুমি হেসে বলল
-‘ কি গো আম্মা আস্তে আস্তে কি কও পাগল টাগল হইয়া গেলে না-কি গো?’
জারা মুখ ফুলিয়ে বলল
-‘ না হয়ে যাবো দেখো সেদিন আর বেশি দূরে নাই আমাকে দেখতে পাগলা গারদে যাবে তো?’
সুমি এবারও হেঁসে বলল
-‘ দূর পাগলি মেয়ে এসব কথা কইতে নাই’
-‘ শুনো খালা তোমার সাথে আমার অনেক বুঝা পড়া আছে বুঝলে?’
-‘ কেন আম্মাজান আমি আবার কি করলাম’
জারা গম্ভীর কন্ঠে মুখ ভার করে বলল
-‘ কি করো নি সেটা বলো সব পাকিয়ে রাখছ তুমি ‘
সুমি ভয় পেয়ে দৌড়ে জারার কাছে ফ্লোরে বসে বলল
-‘ ও আম্মাজান আমি কি করছি গো?’
-‘ তুমি আমারে মেলা কষ্ট দিছো’
-‘ ও আম্মা তুমি আমার কষ্ট পাইছ? কোন কথায় কষ্ট পাইছ গো?’
-‘ তুমি মনিকে সব সত্যি বলে দিসো কেনো? জানো মনি ভাইয়াকে কতটা বকা দিসে’
-‘ তো কি করতাম আব্বাজান আম্মাজানকে কষ্ট দিসে আমার মাথার ঠিক ছিল না আব্বাজান তোমারে লইয়া কোলে কইরা যখন হসপাতালে লাইয়া গেলো তখন তোমার অবস্থা দেখে হড়বড় করে সব বলে দিয়েছি। ‘
-‘ খুব ভালো করছ আমার সাথে কথা বলবে না আমি তোমার ওপরে রাগ করেছি কাট্টি’
-‘ ও আম্মা তুমি কও আমি কি করলে তোমার রাগ পরে জাইবো?’
-‘ সত্যি রাখবা তো?’
-‘ তুমি খালি কইয়া দেখো না ‘
-‘ শুনো না এই দুধ টা নিয়ে যাও এটা খাইলে আমার মাথা ভনভন করে আর এই ফলগুলো নিয়ে যাও এগুলা চিবিয়ে খেতে গেলে মনে হয় আমি গরুর মতো ঘাস পাতা চিবাচ্ছি’
-‘ গরুর মাথায় তাও বুদ্ধি আছে তোর মাথায় তো তাও নাই তোকে গরুর সাথে তুলনা করলে গরুর অসম্মান করা হবে’
শানের কথা শুনে জারার রাগ লাগলো। রাগে কিছু বলতে পারলো না চোখ দিয়ে পানি এলো। শান সুমিকে উদ্দেশ্য করে বলল
-‘ খালা ওর সাথে ফাও কথা না বলে এদিকে এসে আমাকে খেতে দাও’
চলবে ইনশাআল্লাহ
#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [৫ পর্ব]
তাসনিম তামান্না
গানঃ
আলো-আলো আমি কখনো খুঁজে পাবো না …
চাঁদের আলো তুমি কখনো আমার হবে না (২)
হবে না হবে না……
অন্তরিক্ষে নতুন চাঁদ ওঠেছে। বাতাসে বেলি ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। চারিদিকে মিটমিটে আলোই সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। জারার রাতে ঘুম আসছিল না তাই ছাঁদে বেড়াতে এসেছিল। ছাঁদে যে শান ছিল সেটা জারা জানত না এসে দেখে শান রেলিং এর ওপরে উঠে বসে চোখ বন্ধ করে গান গাইছে। পাশেই ধোয়া ওঠা কফির মগ। জারা গান শুনতে শুনতে কখন যে শানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জারা নিজেও জানে না। গান শুনতে শুনতে স্থির চোখে নিচ থেকে বেড়ে ওঠা বড় কাঠগোলাপ গাছের দিকে তাকিয়ে ছিলো গোলাপি রংয়ের ফুলটা টুপ করে পরতেই জারা দৌড়ে গিয়ে ফুলটা তুলে নিয়ে কানের পিটে গুঁজে দিলো। কাঠগোলাপ জারার বড্ড প্রিয় এবাড়িতে আসার পর থেকে প্রতিদিনই এই গাছ থেকে ফুল নিয়ে কানের পিটে গুঁজে। শান গান শেষ করে চোখ খুলে জারাকে দেখে রেগে গিয়ে বলল
-‘ তুই এখানে এতো রাতে কি করছিস? ‘
জারা চমকে গেলো। সে-তো ভুলেই গেছিলো শান এখানে আছে। জারা শুকনো ঢোক গিলে বলল
-‘ না মানে ভাইয়া ঘুম আসছিলো না তাই…. ‘
-‘ তাই? দেখতে আসছিস পাশের বাসার তোর প্রেমিক ছাদে আছে কি না থাকলে চুটিয়ে প্রেম করতি? ‘
জারা অবাক হয়ে গেলো শান কি বলছে তার কথা জারার বোধগম্য হচ্ছে না।
-‘ মানে কি বলছেন এগুলা? ‘
-‘ জানিস না কি বলছি না-কি জেনেও না জানার ভান করছিস ‘
জারা এবার ফুঁসে ওঠে বলল
-‘ আপনি সবসময় এমন করেন কেনো ভাইয়া ‘
-‘ গলা নিচে। আর কি করি তোর সাথে তুই কি মনে করিস আমি কিছু জানি না ছাদে পাশের বাসার ছেলেটা তোর দিকে তাকিয়ে থাকে আর তুই তাকে ভাব দেখাস ‘
জারা যেনো আকাশ থেকে টপ করে পড়লো অবাক গলায় বলল
-‘ কি বলছেন এগুলা আমি মটেও এগুলা করি না আর পাশের বাসায় যে কোনো ছেলে আছে এটাই জানি না ‘
-‘ তো কি করতে আসছিস তোর চেহারা দেখাতে যা এখান থেকে জানিস না রাতে ছাঁদে ভুত থাকে ‘
জারা ভয়ার্ত চোখে চারিদিকে অবলোকন করলো। শান আবার বলল
-‘ কি হলো যা রুমে যা ঘুম না আসলে পড়তে বস তোর না সামনে এসএসসি পরীক্ষা পড়াশোনা যা অবস্থা দেখছি তুই ফেল মারবি নিশ্চিত ‘
জারা ভয় পেয়ে ও বলল
-‘ তোমার সাথে আর একটু থাকি না ভাইয়া ‘
শান জারার মুখ পানে গভীর দৃষ্টি দিলো জারা শানের থেকে মুখ ফিরিয়ে বলল
-‘ ভাইয়া তুমি ভিনদেশে গিয়ে আমাকে ভুলে যাবে? আমার কথা তোমার একটুও মনে পড়বে না? ‘
-‘ কে তুই? তোর কথা ভেবে কেনো আমার মূল্যবান সময়টা নষ্ট করবো? আর আমি সেখানে পড়াশোনা করতে যাচ্ছি তোর মতো আমার কাছে ফাও সময় নাই বুঝলি? ‘
শানের কথা শুনে জারার ছোট মনটায় বড্ড অভিমান জমলো। শান অবলিলায় কোনো কিছু না ভেবে কত সহজে কথাগুলো বলে দিলো অভিমানে জারার কান্না পেলো কিন্তু সে কাদলো না। এক বুক অভিমান নিয়ে অভিমানী কন্ঠে বলল
-‘ ভিনদেশে গিয়ে সাদা চামড়ার মেয়ের প্রেমে পড়বেন? তারা তো অনেক সুন্দর দেখতে ‘
শান ভ্রু কুচকে ঠোঁট কামড়ে ধরে কি জেনো ভেবে বলল
-‘ কাউকে ভালো লাগলে প্রেমে পড়তেই পারি এটা কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়! ‘
জারা ছোট করে বলল
-‘ ও আচ্ছা আপনি থাকেন আমি যায় ‘
কথাটা বলে হাটা দিলো শান ও জারার পিছে পিছে গিয়ে বলল
-‘ আর ইউ জেলাস? ‘
-‘ কেনো আমি আপনার কে যে জেলাস হবো? ‘
-‘ জেলাস হওয়ার মতোই কেউ একজন ‘
জারা তাড়াতাড়ি করে শিড়ি দিয়ে নামতে গেলে অন্ধকারে পা পিছলে যায় শান বুঝতে পেরে হাতে থাকা চায়ের কাপটা ছেড়ে দিলো সেটা পড়ে ঝনঝন শব্দ তুলে ভেংগে গেলো শান জারাকে দুহাতে আগলো নিলো। জারা তো ভয়ে শেষ চোখ বন্ধ করে ভাবল আজ-ই শেষ দিন কিন্তু কোনো ব্যাথা না পেয়ে চোখ খুলে দেখলো শান জারার খুব কাছে জারা শানকে ছেড়ে কয়েক শিরি দূরে দাঁড়ালো শান ধমকে উঠে বলল
-‘ এভাবে দৌড়া ছিলি কেনো? এখনি তো পড়ে যেতিস! ‘
-‘ আ আমি আসলে বুঝতে পারি নি ‘
-‘ তুই কখনো কিছু বুঝতে পারিস না জানিস না তাহলে কি পারিস? কি জানিস? যা রুমে যা আর কখনো যেন রাতের বেলা ছাদে না দেখি ‘
শানের ধমকে জারা ভয়ে দৌড় দিল শান কিছু বলতে গিয়েও বলল না।
_________________
সকালে জারার শরীর এখন দূর্বল থাকায় মনি জারাকে স্কুলে যেতে দিলো না। জারা স্কুলে যাবে না দেখে ইশা বলল
-‘ আমিও তাহলে আজ স্কুলে যাবো না ‘
জারার মুখে হাসি ফুটলো। সারাদিন বসে না থেকে তো বকবক করার মানুষ হলো কিন্তু পরক্ষণেই জারার মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেলো শানের কথা শুনে
-‘ তুই স্কুলে যাবি না কেনো? তুই ওর মতো রুগী হয়ে গেছিস? ‘
-‘ একদম উল্টো পাল্টা কথা বলবি না ভাইয়া। এমনিতেই ভালো লাগছে না যেতে প্রতিদিনই তো যায় আজ না গেলে কিছু হবে না ‘
-‘ ফাঁকিবাজ আমি প্রতিদিন ই স্কুল কলেজে যেতাম তোদের মতো ফাঁকি দিতাম না ‘
-‘ হ্যাঁ তুমি প্রতিদিন ই যেতে কিন্তু পড়াশোনা করতে না মারপিট করতে দুষ্টুমি করতে ‘
ইশা শব্দ করে খিলখিল করে হাসলো। জারা মুখটিপে হাসলো।
-‘ আম্মুউ। তোমার মেয়ের না সামনে জেএসসি পরীক্ষা আর জারা না সামনে সামনে এসএসসি পরীক্ষা তো তুমি ওদের লাই দিচ্ছো আবার আমার নামে বদনাম গাচ্ছো
-‘ বদনাম গাইলাম কই যেটা সত্যি সেটাই বললাম ‘
-‘ তোমার মেয়ে ফাজিল এটা নিয়ে সারাক্ষণ কানের কাছে প্যান প্যান করবে কার ভালো লাগে প্যান প্যান শুনতে’
-‘ কি আমি কি করি? গুন্ডা ছেলে ‘
-‘ দেখছ আম্মু? ‘
শান্তি হাসলেন কিছু বললেন না কতদিন পরে এমন হাসিখুশি দেখলেন ছেলেকে। ক’দিন পরে ছেলে পারি দিবে দূর দেশে ভাবতেই চোখে পানি চলে এলো। কিভাবে থাকবে তার ছেলেকে ছেড়ে? কখন তো এতোদিন ছেলেকে ছাড়া থাকেনি।
চলবে ইনশাআল্লাহ