তোর_দিওয়ানা_শুধুই_আমি😎 #My_madness_love😍 #লেখিকা_তামান্না #সূচনা_পর্ব

0
1971

পেত্নী কইই তুই সামনে আয় বললাম। আজকে তোর চারদিনে চৌদ্দদিন বানিয়েই ছাড়মো। পেত্নীই বেডি আয় বললাম না। (রেগে ডাক দেই নিরু কোমরে হাত দিয়ে আশেপাশে তাকাতে তাকাতে)

হা হা হা তুই শাকচুন্নী একটা আমার কি করতে পারবি হাহ। আমি একজনই দশজনের উপর ভারি আর তুই শুটকি মাছ কিনা আমার সাথে লড়াই করবি। ( তামান্না দরজার সাথে গা ঠেসে দাঁড়িয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

নিরু পাশ তাকাতেই তামান্নাকে দেখতে পেয়ে তেড়ে এসে কোমরে হাত রেখে চোখজোড়া ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলে::: আচ্ছা বাবু এতো ভাব কই থেকে আছে রে তোর হুমম ! আমারে ও একটু দে না ( ইনোসেন্ট বাচ্চাদের মতো ফেস করে)

তামান্না নিরুর ফেসের দিকে তাকিয়ে :: তোরে হুমম ( মুখে এক হাত দিয়ে ভাবার ভান করে) দেখি যদি দেবার মুড থাকে তাহলে দেবো নইতো তুই জানিস( ব্রাশমার্কা স্মাইল দিয়ে)।

নিরু মুখ গোমড়া করে :: শালী তুই কিছুই দিবি না জানি শাকুচন্নী একটা। দেখিস তোর কপালে ডেবিল জামাই জুটবে।

তামান্নাও কোমরে হাত রেখে নিরুর কাছে এসে :: এহেম মিস নিরুপমা বহিপীরের এক্সট্রা বউ আমার কপালে ডেবিল জুটলে তোর কপালেও আমি ডেবিল এনে ছাড়বো যে কিনা আগে আমার সাথে লড়বে তারপর আমি নিয়ে তোর কপালে জুটাবো। (দুষ্টুমি ফেস করে মিষ্টি হেসে)

নিরু ব্যবলাকান্তের মতো তাকিয়ে :: নিরুপমা বহিপীর কই থেকে আসলো? আমি তো তাসনিম আরা নিরু।

তামান্না নিরুর কথা শুনে হাসিতে লুটিয়ে পড়ে। সে পেটে হাত দিয়ে হাসি থামাতে থামাতে বলে :: ওরে মোর গাধী বোন রে। তোরে এসব বুঝাতে গেলে টেকনিক্যাল ফর্মুলা চারশত তিন ইউজ করতে হবে।

নিরু আবারো বেকুবের মতো ফেস করে মুখ গোমড়া করে বলে ::: হুমম সবই তুমি জানো আমি মনে হয় কিছু জানি না হাহ । আমিও তোমার বোন বুঝলে তোমার মধ্যে ফুল ব্রেন থাকলে আমারো তোমার ব্রেনের হাফ ব্রেন আছে। দেখবি দেখবি??? ( টেডি স্মাইল দিয়ে )

তামান্না মুচকি হেসে:: ওইটা পরে দেখবো এখন নিচে চল খাবারের টাইম হয়ে গেল।

তামান্না আর নিরু নিচে চলে আসতেই তাদের আম্মু মানে মিসেস নাইমা ডাক দেই। তারা তাদের আম্মুর ডাক শুনে রুমে এসে নক করে।

মিসেস নাইমা:: ওহহ এসেছো তোমরা আসো ভেতরে আসো আমার দুই লক্ষি মা। ( ইনোসেন্ট ফেস করে মুচকি হেসে )

তামান্না তার আম্মুর লুক দেখে পাশে নিরুকে হাত দিয়ে টোকা দেয়। এতে নিরু তামান্নার দিকে তাকায়। সে নিরুর কানের একটু কাছে এসে…..

তামান্না::: নিরু আজকে মম এর হাবভাব কিছু ভালো টেকছে না। (সন্দেহের ভঙ্গিতে )

নিরুও তার কানের কাছে এসে বলে ::: দি মনে হচ্ছে আবারো সেইই আগের কাহিনি। তুমি রেডি থাকো কেমন হিহিহি আমি তো গেলাম।

এ বলে নিরু এক পা পিছাতে গেলেই তামান্না নিরুর এক হাত ধরে নিজের হাতের মধ্যে মুষ্ঠিবদ্ধ করে সামনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে ::: হাহ আমি তামান্না। আমার থেকে ছাড় পাওয়া এতো সহজ না। ( মুখে ডেভিল স্মাইল দিয়ে )

নিরু বেচারী এক ঢোক গিলে মনে মনে :: হায় রে মোর কপাল আগে জানতাম আর শুনতাম যে বড় বোন সিধাসাদা হয়। এখন তো দেখি বড় বোনই মিশকা শয়তানের ডিব্বা। ( তামান্নার দিকে তাকিয়ে )

তামান্না নিরুর হাত ধরেই মিসেস নাইমার পাশে গিয়ে বসে। মিসেস নাইমা ওদের দিকে তাকিয়ে একবার নিরুকে আরেকবার তামান্নার দিকে ঘুরে তার হাত ধরে আর বলে::: মা আমি না কি ভাবতেছিলাম আ…আসলে ( আমতা আমতা করে)

তামান্না মিসেস নাইমার মুখের কথাটা নিজেই বলে দে :: কে,, কোথাকার ছেলে,, কি করে,, না করে,, দেখলে ভালো হবে। এসব দিয়ে আমার কিছুই যায় আসে না। কোজ আমি হলাম দ্যা ওয়ান ডেন্জারাস গার্ল। যাকে সহ্য করা কারো পক্ষে এতো সহজ না।

মিসেস নাইমা এই উওর শুনে মুখ গোমড়া করে বলে ::: জানি আর বলবি টা কি সারাজীবন এই কথাই বলতে থাকবি আরকি। পাগল মেয়ে একটা।

তামান্না মুচকি হেসে মিসেস নাইমার গলা জড়িয়ে ধরে বলে:: ওও মাই ডেয়ার ডেয়ার লাভলি আম্মু। সারাজীবন কি আর এমন বলবো। তবে কি করার এ পর্যন্ত যতোগুলো ছেলে দেখলাম সব হাবলা টাইপ।

নিরুও সাথে সাথে বলে উঠে ::: হ্যাঁ আম্মু। যখন আপু ওই ছেলেদের মধ্যে কোনো একজনের সাথে বিয়ে করতো। তাহলে ওই পোলা বাসর রাতেই শেষ হয় যেতো।
(দাতঁ কেলিয়ে)

মিসেস নাইমা:: ধুর তোদের সাথে কথা বলে লাভ নাই। আমিও আর খুজঁবো না তামান্নার জন্যে ছেলে। যাহ নিজেদের মরজি মতো কর গা। (মুচকি হেসে)

তামান্না মিসেস নাইমার মুখে এমন কথা শুনে মনের আনন্দে বলে :: ধন্যবাদ তো দেবো না চিন্তা করো না। তবে সওয়াব বাড়িয়ে দেই তোমার। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
(চোখ টিপ দিয়ে তার আম্মুকে)

মিসেস নাইমা তামান্নার মাথায় হাত দিয়ে আস্তে করে বারি মেরে কিচেনে চলে যাই।

এখন আসেন তামান্নার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তামান্না হলো আসহান খান আর নাইমা আহমেদ এর মেয়ে। আসহান খান হলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজনেসম্যানদের মধ্যে একজন। তিনি তার কোম্পানির নাম রাখেন আদরের দুই মেয়ের নামে তারু ইনডাসট্রি। তামান্নার ‘তা’ আর নিরুর ‘রু’।

তারা দুইবোন তাসনিম মানে নিরু আর তামান্না। সে নিরু থেকে দুইবছর বড়। তবে হাবভাব বান্ধবীদের মতো। তামান্না দেখতে যেমন সুন্দর তেমন রুপবর্তী। তবে খুবই চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। ভয় বলতে সহজে তার লাগে না।

[ তবে একজন বা দুইজন আসবে যাদের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এক ভয়ানক খেলা। তা পরে জানবেন ]

তামান্নার চোখের মনিগুলো হালকা নিল বর্ণের,,কানের নিচে গলায় ছোট করে একটা গাড় কালো তিল,, হাসলে গালে টোল পরে,, চুলগুলো কোমর ছাড়িয়ে গেছে,, যে একবার তার দিকে তাকাবে সে চোখ ফেরাতে পারবে না। সে এবার অনার্স প্রথম বর্ষে আর তার বোন তাসনিম সেকেন্ড ইয়ার। সেও প্রথম বর্ষে চলে আসতো তবে এক্সাম স্থগিত থাকাই পারছে না।

এখন গল্পে ফিরে আসি।

তামান্না নিরুকে ধরে রুমে এনে হাত ছেড়ে দে আর আলমারির সামনে গিয়ে দুইটা হিজাব নিয়ে একটা নিরুর হাতে ধরিয়ে দে আরেকটা নিজে নিয়ে আয়নার সামনে এসে দাড়াঁয়।

নিরু একবার হিজাবের দিকে আরেকবার তামান্নার দিকে দেখে। তামান্নার কাছে এসে বলে ::: দিইই কোথাও যাবো? ( জানার ভঙ্গিতে )

তামান্না ::: হুমম পরে নে। বের হতে হবে।

নিরু:: ওকে। বাট…..

তামান্না নিরুকে আর কিছু না বলতে দিয়ে চল আগে তারপর দেখিস।

In London💗…





হাতে পিস্তল নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে আব্রাহাম এর ( সে একজন ব্যবসায়ী মদকর লোক) চার পাশে চক্র দিচ্ছে গায়ে হুডি পরা আর মুখে মাস্ক দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রাখা লোকটা। তার গায়ের জোর দেখে দুশমনদের তো প্রাণ যাওয়ার মতো অবস্থা।

আব্রাহাম না পারছে পালাতে না পারছে ক্ষমা চাইতে। সে ক্ষমাস্বরুপ চাইতে গেলে হুডি পরা লোকটা ওর মুখের কাছে এসে বলে ::: ক্ষমা তাদের করা যাই যারা একবার দুইবার করে। তাদের না যারা বারবার করে। (রক্তবর্ণ চোখ করে)

আব্রাহাম এক ঢোক গিলে :::: Sir please one more chance..

হুডিপরা লোকটা ভাবার ভান করে বলে::: ওকে এখন একটা চান্স দেবো কেমন তবে শর্ত আছে।

আব্রাহাম শর্ত না শুনেই সাথে সাথেই হ্যাঁ বলে দে। এতে হুডি পরা লোকটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে পাশের ঘুরে তাকাই । সে পাশে তাকাতেই এক বড় আকারের কুকুর যা বিদেশে পাওয়া যায় হিংস্র এক ধরনের পশু হুডিপরা লোকের গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।

তারপর…….

………..চলবে……..

#তোর_দিওয়ানা_শুধুই_আমি😎
#My_madness_love😍
#লেখিকা_তামান্না
#সূচনা_পর্ব

[বিঃদ্র::: এর মধ্যে দিয়ে গল্পের আরেক যাএা শুরু করলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে। সবাই লাইক এন্ড কমেন্ট করে জানান কেমন হলো। ভালো লাগলে নেক্সট দেবো। নতুন আইডিতে আপনাদের সাপোট দরকার। তাই আমাকে উৎসাহ দেওয়ার অনুরোধ করলাম। ।আপনাদের প্রিয় #লেখিকা_তামান্না। আবারো এসে গেলাম]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here