#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_03
In London💗…
।
।
।
।
।
হুডি পরা লোকটা ফ্রেস হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে অনেকক্ষণ নিজেকে দেখেই যাচ্ছে। তখনই এক মহিলা এসে তার রুমে নক দে। দরজায় নক পরায় তার ঘোর কাটে সে এসে ডোর ওপেন করে দেখে মিসেস এলিনা (বাসার সার্ভেন্ট ) খাবার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মিসেস এলিনা লোকটা কে দেখে মুচকি হেসে ::: Son…u haven’t eaten since morning..Please eat something….I brought some rich food…Eat them..
লোকটা মিসেস এলিনা কে কিছু বললো না শুধু মুচকি হেসে খাবারের প্লেট নিয়ে উনাকে যেতে বলে।
মিসেস এলিনাও খাবার দিয়ে চলে যাই। লোকটা খাবার টি টেবিলের উপর রেখে রকিং চেয়ারে বসে খেতে যাবে তখনই তার মনে পরতে লাগে সেই ছোটবেলার কথা। যখন সে মাএ সাত বছর ছিলো তখন তার ছোট এক পরীর মতোন বন্ধু যার হাত থেকে সে খাবার খেত।
এমন কথা মনে পরতেই সে নিজেকে সামলিয়ে নে। সে এতো গুলো খাবার থেকে কিছু খাবার খেয়ে রেখে দিয়ে হাত ধুয়ে বারান্দায় রেলিং ধরে দাড়ায়।
তখন নিস্তব্ধ জায়গায় ফুলের সুবাসে বাতাসের জোয়ারের মাঝে সে নিজেকে তার প্রিয়তমার সাথে অনুভব করতে লাগে। সে যেন এই সুন্দর পরিবেশে মিশে যেতে চাই তবে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পরতেই আনমনেই বলে উঠে…..
::::: আমি ছাড়া কাউকেই তোর জীবনে আসতে দেবো না। নেভার উইল কাম ইন ইউর লাইফ। অনলি আইম দ্যা লাভার অফ ইউর। (চোখ মুখ শক্ত করে )
পরক্ষণেই তার চোখ দিয়ে অশ্রু বের হতে চাইলেই সে তা মুছে একজনের নাম মনের মধ্যে নিয়ে চোখমুখ শক্ত করে বলে আমি খুবই শ্রীগই আসতেছি।
সে এক ডেভিল স্মাইল দিয়ে রুমের মধ্যে আসতেই আচমকা এক লোক তাকে জড়িয়ে ধরে। এতে সে স্বাভাবিকভাবেই বলে :::: পুরা জায়গায় নুন ছিটাতে আসছিস?? ( রাগে)
:::: না রে মোর দুশমন। আমি কেন তোর পুরা জায়গায় নুন দেবো। তুই ত আমার শএু তোরে ত মেরে ফেলা দরকার। ( দুষ্টুমি হেসে )
::::: হুম ভালো মেরে ফেল তখন আর তোর জন্যে থাকবো না। (মুখ গোমড়া করে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
::::: বাহ মিস্টার সালমান মোহাম্মদ দ্যা বিগ এন্ড গ্রেট বিজনেসম্যান অফ লন্ডন। তার কিনা মরার শখ হচ্ছে হাহ। ( পিঠে এক বারি মেরে)
সালমান তার দিকে ঘুরে :::: আমার মরা বাচাঁ আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তবে হ্যাঁ ভালোবাসার অধিকারটা শুধু আমার। আই হোপ বুঝেছিস ইউ অলসো মাই ডেয়ার ফ্রেন্ড মিস্টার রোয়েন হেকমাত খান।
রোয়েন মুচকি হেসে ::: হুম রে বুঝেছি আফটার অল মাই দুশমনের ভালোবাসা বলে কথা।
সালমান রোয়েনের দিকে তাকানো অবস্থায় পেন্টের পকেটে হাত গুজে সন্দেহের ভাব নিয়ে বলে::: তুই কোন মেয়েরে পটানোর চিন্তা করছিস হুমম??
রোয়েন মনে মনে ::: হায় রে বুঝে গেলো দেখি। এখন কি করি??
সালমান :: কি আমার বাড়িতে আবার কোন রাজকন্যা চোখে পরছে তোর?? ( আশেপাশে তাকিয়ে )
রোয়েন কোনরকমে কথা ঘুরিয়ে বলে :: আরে না না আমি তো খুব ভালো হয়ে গেছি। এখন আর মেয়ে পটাই না। মেয়ে পটানো,, তাদের সাথে থাকা বেডে সেডে এসব আমার মধ্যে নেই বুঝছিস?? ( দুইহাত বুকের উপর ভাজঁ করে )
সালমান তার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকায় আর বলে :: তুই কবে থেকে এসব শিখলি হুমম?? ( রোয়েনের কাছে এসে তার কাধে এক হাত রেখে )
রোয়েন ভ্র কুচকে সালমানের দিকে তাকিয়ে বলে:: মানে?? (বেকুবের মতোন)
সালমান কিছু না বলে রোয়েনের কাছ থেকে সরে দেয়ালেরর সাথে পিঠ ঠেসে এক হাত পেন্টের পকেটে গুজে দিয়ে আরেক হাত দিয়ে নিজের সামনের চুলগুলো নাড়িয়ে ঠিক করতে থাকে। আর আড় চোখে সামনের দেওয়ালে লাগানো ঘড়ির দিকে তাকায়।
রোয়েন সালমানের কান্ড দেখে বুঝার চেষ্টা করতেছে তবে বুঝতে পারছে না সে এমন কেন করতেছে।
তাই সেও সালমানের মতোন করে দেওয়ালে গা ঠেসে তার দিকে তাকিয়ে ব্রাশমার্কা স্মাইল দিয়ে বলে :: কি বললি না যে ওই কথার মানে?? (ইনোসেন্ট ফেস করে)
সালমান এবারও কিছু না বলে ঘড়ির দিকে একবার দেখে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলে:;:: স্টার্ট।
রোয়েন স্টাট শুনে কিছু বলতে গিয়েও পারলো না কেননা তখনই তার ফোনের এসএমএস এর সাউন্ড বেজে উঠতে থাকে। সে ফোন বের করে দেখে স্ক্রিনের উপর ভেসে উঠে মেসেন্জারে একের উপর এক মেসেজ আসছে। সবগুলো এসএমএস মেয়েদের….
প্রথম মেয়ে ::: হাই রোয়েন বেবি। আইম ওয়েটিং ফোর ইউ। কাম ফাস্ট। টুডে ইজ দ্যা নাইট আউট ডে ইউ। (ইংরেজ গার্ল)
দ্বিতীয় মেয়ে :::: বেবি আইম রেডি। (ইংরেজ গার্ল)
তৃতীয় মেয়ে ::: র্ডারলিং আজকে অনেক থাকতে পারবো। কেমন ( লজ্জার ইমোজি দিয়ে ) !! (বাঙালী মেয়ে)
রোয়েন বেচারা ধরা খেয়ে সালমানের দিকে তাকায়। সে রোয়েন কে লক্ষ না করে নিজের ফোন বের করে অফিসের কাজ করতে থাকে। এতে রোয়েন তাড়াহুড়ো করে নিজের ফোনের লক ওপেন করে মেসেন্জার আনএবেল করতে যাবে তখনই সালমান ফোনে কাজ করে করে বলে ::: সব ডিলিট করলেও লাভ নেই। নিজের লাইফ থেকে ডিলিট কর তাইলেই বেটার। আই হোপ ইউ উওইল আনড্যারস্যান্ড।
সালমান নিজের কথা শেষ করে বেরিয়ে যাই রুম থেকে। রোয়েন সেভাবেই ঠাই মেরে দাঁড়িয়ে থেকে বলে ::: কি দোস্ত রে বাবা। এতো বোরড ফ্রেন্ড নিজের লাইফে কখনও দেখি নি। ধুর আমারই লাইফে তো দোস্ত একজনই সালমান ( নিজের কপালে এক বারি মেরে)
এখন আসেন আপনাদের সালমান রোয়েনের সম্পর্কে জানায়।
সালমান হলো লন্ডনের টপ বিজনেসম্যামদের মধ্যে একজন। কোটি কোটি টাকায় ভরপুর তার বিজনেস। হারা নামটা তার লাইফে নেই। সে যা চাই তাই করে। যেটা তার পছন্দ সেটাই সে নিজের করেই ছাড়ে যেকোন মূল্যে।
সালমানের আপন বলতে রোয়েন ছাড়া আর কেউ নেই। তবে একসময় ছিলো বন্ধু নামক আপন ঘনিষ্টতা ছিলো দুইজনকে ঘিরে এক রোয়েন আরেকজন এক মেয়ে। তার নাম এটা পরে জানবেন গল্পে 😁। সালমান একা হলেও রোয়েন আর তার বাবা মিস্টার হেকমাত খানের সাহায্যে পরাশুনা আর নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলে। তাই এখন সে সফল এক বিজনেসম্যান। দ্যা কুল বয়,,, স্পাইক করা গাড় কালো চুলে তেল দিয়ে উৎজ্জ্বল করা,, সিক্স প্যাক বডি,,ব্রাউন কালারের চোখ দুটো যেন আকর্ষণ করার মতোন,, হালে এক টোল পরবেই যা দেখে মেয়েরা বেহুশ হবে,, স্যুট প্যান্ট ব্লেজারের সাথে পুল ফরমাল ড্রেসআপ এ হিরো লাগে। যা ফ্লিমের হিরো কেও হার মানাবে। তার মধ্যে অহংকার কম তবে রাগ শতোগুণ বেশি। তবে আরেকটা ভালোগুণ আছে মাঝের মধ্যে মজা করে কথা বলা। যদি একবার রাগে থামাতে পারে না কেউ। তার লুকে মেয়েরা বিভিন্ন বাজে প্রপোজাল দিলে হে একসেপ্ট করে না সাথে যে মেতে তাকে এই প্রপোজাল করে তার লাইফটাই আগে হেল করে তারপর নিজেই ঠিক করে দে। এতে তার হেল্পার তাকে হেল্প করে।
আবার রোয়েন সে তো কি বলবো বাবার বিগড়ে যাওয়া আদুরের দুলারি পুএ। সুদর্শন পুরুষ,, সামনের চুলগুলো ডার্ক ব্রাউন কালারের সেড করা,,সিক্স প্যাক বডি,, চোখগুলো টানাটানা কালো কালারের মণি,, একদম অহংকারে ভরা যেমন অহংকার তেমন ফ্ল্যাটার। দিনে রাতে এই মেয়ে সেই মেয়ে নিয়ে ক্ল্যাব ভির্সকো থেকে পরে থাকে।
সালমান পরাশুনা করে বিজনেস স্টাট করলেও রোয়েন কাজের ধারে কাছেও নেই। কেননা তার ATM তার বাবা। সালমান শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।]
এবার গল্পে ফেরি 😌।
in Bangladesh 💗….
।
।
।
।
।
তাসনিম আর নিলা একের পর এক টিস্যু বের করে তামান্নাকে দিচ্ছে। সেও টিস্যুগুলো নিয়ে চোখ মুখ নাক মুছতেই আছে মুছতেই আছে। তাসনিম আর নিলা একে অপরের দিকে তাকিয়ে অসহায়ের মতোন ফেস করে তামান্না কে জিগ্গেস করে…
তাসনিম:: দি হয়েছেটা করি?? সেটা তো বলবা।
নিলা::: দোস্ত আমি তোরে যতটুকু চিনি তুই এমনেই কোনোকাজে কান্নাকাটি করার মতোন মেয়ে না। সো ভালোই ভালোই বল নইতো….(বলতে গিয়ে তামান্না রক্তবর্ণ চোখে নিলার দিকে তাকায়)
তাসনিম নিলা দুইজনই চুপ হয়ে গেলো। তামান্না রাগে গজগজ করে সিটে বসা থেকে দাড়িয়ে যাই। সে আশেপাশে তাকিয়ে হাতের কাছে কিছু না পেয়ে জোরে টেবিলের উপর বারি দেই। এতে টেবিলটা জোরেই নেড়ে উঠে সাথে সাউন্ড হয়।
তাসনিম নিলা ভয়ে ঢোক গিলে। তাসনিম নিলার হাত খুব শক্ত করে পেচিয়ে ধরে। কেননা সে তামান্নার এমন রুপ আগে দেখেনি।
নিলা তাসনিমের অবস্থা বুঝতে পেরে তার কানের কাছে গিয়ে বলে :::: বোন অভ্যাস করে নাও এরকম সিন দেখার জন্য ( তামান্নার দিকে দৃষ্টি রেখে)
তাসনিম ভ্র কুচকে নিলার দিকে জিগ্গেস এর ভঙ্গিতে তাকায়। এতে নিলা আবারও বলে….
নিলা::: তোর বোনের প্রতিদিন আবার মাঝে মধ্যে কার রোগ। সে কান্না করছে যেদিন সেদিন তার পায়ের রক্ত মাথায় চড়ে বসে। সে কিসের জন্য কান্না করে ফেলে হঠাৎ কেনও না জানা আমরা। (উদাস হয়ে ঢোক গিলে)
তাসনিম ::: আমরা কেন?? যাস্ট তুমিই ত আপ্পি। (বেকুবের মতোন)
নিলা ভ্রকুচকে তাসনিমের দিকে তাকিয়ে ::: নিরুর বাচ্চি রে তুই কি তোর বোনের এই অভ্যাসের ব্যাপারে জানিস হুমম??
তাসনিম ভেবে বলে ::: না ত।
নিলা::: তাহলে?
তাসনিম ::: ওহহ বুঝতে পারছি।
নিলা এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ঢোক গিলে কাপাঁ কাপাঁ কণ্ঠে…….
এদিকে……
।
।
।
।
।
অন্ধকার রুমে চোখ বন্ধ করে ভাবনার জগৎ নিয়ে ভাবছে এক মাস্কপরা লোক। তার সাথে আছে এক বিশ্বাসী বডিগার্ড রহম। লোকটা ভাবছে আর তার সামনে রক্তাক্ত আর্ধমরা হয়ে পরে আছে আসিফ। যে লোকটা তাসনিমকে টিজ করেছিলো। তবে এর আগে টিজ করেছিলো তার প্রিয়তমা তামান্নাকে। যা সে স্বচোখে দেখে।
সে রহম কে এক বালতি গরম পানি আনতে বলে। রহমও কথা না বারিয়ে গরম পানি নিয়ে আসে। গরম পানির বালতিটা মাস্কপরা লোকটা নিয়ে আসিফের কাছে যায় আর রাগে বলে….
:::: মাফিয়া দ্যাট গ্রেটেস্ট কিং সম্রাট এর রাণীকে টিজ করেছিলি। এর পরিমাণ আজ তিলে তিলে বুঝবি।( বলেই পানি ঢেলে দে)
এতে আসিফ মারা যায়।….
………চলবে……..😉
[বিঃদ্র :: কেউ মাইন্ড করিয়েন না। এক্সাইটমেন্টের মজা নেন😁। ডেন্জারাস পার্টস Will coming soon😎 আর ”তোকে খুব ভালোবাসতে চাই” এর পার্ট সন্ধ্যায় দেবো😊 হেপ্পি রিডিং]