#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#বোমান্স_পার্ট 👀
In Bnagladesh💗….
।
।
।
।
নিরু গালে এক হাত রেখে কানে এক হাত দিয়ে ধরে আছে আর তার পাশেই নিলা ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর তাদের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে কলেজের বেস্ট ক্রাশ প্রফেসর নীল তার মুখে শয়তানি হাসি। সে নিরুকে এভাবেই দাড়িয়ে থাকতে বলছে। তবে নিলাকে এখনো কিছু বলে নি।
নীল নিরুর সামনে এসে বলে :: নিরু বোন কেমন লাগছে?? ইউগো টা! ( ব্রাশমার্কা স্মাইল দিয়ে )
নিরু মুখ গোমড়া করে বলে :: তোমরা সবাই খারাপ পচা আমার মতোন ছোট মেয়েকে এভাবে দাড়িয়ে শাস্তি দিসছো কেনো?? আমার মান সম্মান ডোবাই দিলা এখন কিভাবে সবার সামনে যাবোওওওও (এক প্রকার চিৎকার দিয়ে )
নীল:: ওরে আমার বোন রে এখানে কেউ নেই যে তোকে দেখছে আর দেখলেও আমি তারে বুঝাই বলবো তোর এভাবে দাড়ানো সিক্রেট কথাটা কাউকে না জানায়। ওকেএ !! এখন তুই স্বাভাবিক হয়ে যা।
নিরু স্বাভাবিক হওয়ার কথা শুনতেই সাথে সাথে হয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
নীল নিরুর পাশ কাটিয়ে বলে:: নেক্সট নি….নিলা (দুষ্টুমির ফেস করে টেডি স্মাইল দে)
নিলা তখনই এক ঢোক গিলে নিলো। নীল তার সামনে এসে গালের মধ্যে হাত রেখে ভাবার ভান করে বলে :: হুমম মিস নিলা চন্দ্রবর্তীকে কি রেগিং দেওয়া যায়।
আসলে শিক্ষকরা যে রেগিং করবে এমন নিয়ম নেই। আর এটা ঠিকও নয়। কারণ শিক্ষক হলো শিক্ষাদাতা মহান গুরুজন। তারা শিক্ষা দেই,, তা নিয়ে মজা করে না। রেগিং যাস্ট ফান তবে অনেকে এই বিষয়টা খুবই জটিল আর খারাপের দিক নিয়ে করে যেমন কোনো মেয়ে বা ছেলেকে টিজ করতে বলে,, যে কারো সাথে মিস বিহেভ করতে বলে এমন । আবার অনেকে ভালো দিক নিয়ে যেমন কি সামান্য কিছু হেল্প করতে বলে,, দূবল ছাএ-ছাএীদের সাহায্য করতে বলে এমন ।
তেমনেই নীল কলেজের প্রফেসর তবে তামান্নার জন্যে বেস্ট ফ্রেন্ড,,, নিরুর জন্যে ভাইয়ু আর নিলার জন্যে কি আর বলবো ভবিষ্যৎ বর। সে এমনেই তাদের সাথে মজা করছে গাছের ধারে দাড়িয়ে।
নিলা বাচ্চাদের মতোন ফেস করে আমতা আমতা করে বলে :: জান আমি কি বলছিলাম??
নীল :: না তুমি বলছিলে না আমি বলছিলাম যে….
নিলা কিছু না ভেবেই নীলের শার্টের কলার ধরে তার দুই গালে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে নীলের ঠোঁটজোড়ার সাথে নিজের ঠোঁটজোড়া মিলিয়ে দে। পাচ সেকেন্ড পর নিলা নীলকে ছেড়ে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে ফেলে। নীল মুচকি হাসি দে নিলা বেচারি তো লজ্জায় কি করবে বুঝছে না। নিরু ওদের সিন দেখতেই চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলো।
নীল নিলার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে :: ডোন্ট ওয়ারি তোমার ননদ কিছুই দেখেনি।
নিলা মুচকি হেসে লজ্জামাখা ফেস করে ফেলে। নিরু চোখজোড়া বন্ধ অবস্থায় তাদের কে উদ্দেশ্যে করে বলে :: তোমাদের রোমান্স শেষ হলে আজ্ঞে আমি কি চোখজোড়া খুলিতে পারিবো?? ( মুচকি হেসে)
নীল নিলা স্বাভাবিক হয়ে বলে :: আজ্ঞে হ্যাঁ।
নিরু চোখজোড়া খুলে কোমরে হাত দিয়ে নীলের সামনে এসে বলে :: নীল ভাইয়ু এখন তোমাকে কে বাঁচাবে?? হুমম ( দুষ্টুমির ফেস করে টেডি স্মাইল দিয়ে)
নীল নিরুর কথা বুঝতে না পেরে বলে ::: মানে?? (বেকুবের মতোন)
নিরু চোখ দিয়ে ইশারা করে পাশে তাকাতে বলে। নীল পাশে তাকাতেই তামান্নাকে দেখে ভয়ে ঢোক গিলে।
তামান্না দুইহাত বুকের উপর গুজে চোখজোড়া ছোট করে না জানার ভান করে বলে ::: নীল জানিস আমি শুনছি কোন এক প্রফেসর যেনো রেগিং করছে।
নীল এ কথা শুনে মনে মনে :: ধুর এখন কি করি। এতো আমাকে আস্ত গিলে খাবে।
তামান্না:: কি হলো বল??
নীল আমতা আমতা করে বলে ::: আসলে আমি বলছিলাম কি??
তামান্না তার ডান হাত দেখিয়ে থামতে বলে আর তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলে ::: এসব রেগিং আসল রেগিং না। আসল রেগিং আজ তোমরা দেখবে। (ডেভিল স্মাইল দিয়ে )
নিলা:: আসল রেগিং?? কিসের??
তামান্না অন্যকিছু না বলে শুধু একটুকু বলে :: Just follow me and see what i will do right now!!
তামান্না তাদের নিয়ে গেটের ভেতর ঢুকতেই সিনিয়র দুই মেয়ে আর এক ছেলে তাদের পথ আটকায়। তামান্না তাদের কে পাওা না দিয়ে চোখ ঘুরিয়ে ভাব মেরে নিরু নিলা নীলদের সামনে এগোতেই মেয়েদের মধ্যে একজন নিরুকে ডাক দেই।
নিরু নিজের নাম শুনতেই মনে মনে বলে ::: সবাই শুধু আমাকেই পাই কেন গুরর ঘাটে চড়ানো জন্যে। (বিরক্ত হয়ে পিছে ফিরে)
নিরু মেয়েটার সামনে গিয়ে বলে ::: জ্বী আপু কিছু বলবেন?? (জানার ভঙ্গিতে )
মেয়েটা :: হুমম। তেমন কিছু না তোমাকে দিয়ে রেগিং করাবো।
নিরু শুনে বিড়বিড় করে বলে :: আবার?? না জানি এ বজ্জাত মেয়ে কি রেগিং দে।
মেয়েটা ভেবে তার সাথে একটা ছেলে যে কিনা তার বান্ধবীর বফ তাকে কিস করতে বলে। নিরু একথা শুনে ভয়ে কাপাকাপি শুরু করে দে। তামান্না তখনো নিশ্চুপ ভাবে দাড়িয়ে শো দেখতে ছিলো তাদের।
তার বান্ধবী তাকে উদ্দেশ্য করে বলে :: হানিন এ কি বলছিস দোস্ত??সে আমার বফ।
হানিন শয়তানি হেসে বলে :: ধুর বাল কিসের বফ। দেখ সুমনা তোর এই বফ তো আমার চাকর। সব মেনে মজা দে আমাকে ( তার বফের দিকে তাকিয়ে ) রাতে রাতে হুম হুম।
সুমনা বাধ্য মেয়ের মতো দাড়িয়ে রয়েছে কেননা তার বলার সাধ্য নেই। তার ভালোবাসার মানুষটার নামে এসব কথা সে শুনছে যা সে তারই বান্ধবী না বান্ধবী বললে ভুল হবে দুশমনের চেয়েও জঘন্য মেয়েটার সাথে তার বফ রাত কাটিয়ে ছিলো।
তার বফ ফারুকও শয়তানি হাসি দিয়ে নিরুর দিকে তাকিয়ে আছে। নিরু তো ভয়ে কিছু বলছেই না। সে একবার পিছে ঘুরে তাকিয়ে দেখে নীল নিলা দাঁড়িয়ে আছে তবে কিছু বলছে না। তাদের সাথে তামান্নাকে না দেখে তার তো বেহুশ হবার মতোন অবস্থা। সে এক ঢোক গিলে হানিনকে বলে….
নিরু:: আ….আপু এটা আমি পারবো না প্লিজ। আমি….
হানিন তাকে স্টোপ করিয়ে নিরুর গালে থাপ্পর দেবে তখনই তার গালেই জোরে সরে ঠাসসসসসসস করে থাপ্পড় দিয়ে নিচে ফেলে দে তামান্না।
নিরু পাশ হয়ে নীল নিলার কাছে চলে আসে। তারাও তামান্নার পাশে এসে দাড়ায়। তবে সে তাদের কে কিছুই না করতে বলে।
হানিন নিচে পরে যাওয়ায় পাথরের সাথে লেগে গালে আঘাত পাওয়ায় ঠোঁটের কোণা ফেটে রক্ত বের হয়। সে দাড়িয়ে তামান্নার সামনে এসে বলে ::: How dare you?? তুমি জানো তুমি কাকে মেরে ছো?? (ভাব মেরে )
তামান্না নিজের চোখ রাঙিয়ে বলে ::: কোটিপতি বাপের বিগড়ে যাওয়া মেয়েকে। Am i right ms hanin? (টেডি স্মাইল দিয়ে)
হানিন :: ইউউউ ( নিজের হাত দিয়ে তামান্নাকে মারতে যাবে ওমনেই তামান্না হানিনের হাত ধরে পিঠের পিছে ধরে তার একহাত দিয়ে তার চুল মুষ্ঠিবদ্ধ করে জোরে চেপে ধরে। )
হানিন ব্যথায় কুকড়িয়ে উঠে সে সুমনাকে উদ্দেশ্য করে বলে ::: দোস্ত প্লিজ কিছু কর। দেখ মেয়েটা তোর দোস্তের সাথে কি করছে ।
সুমনা তামান্নার দিকে আসতেই সে বলে উঠে ::: এমন ভুল করো না সুমনা। যে দোস্ত দোস্তের মযাদা দিতে জানে না তাকে দোস্তের মযাদা কি তা বুঝানো দরকার। হানিন তোমার ভালোবাসার মানুষকে ইউজ করেছে যা তুমি জানোই না। আর তোমার সেই ( হানিনকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলে) বফ তার দেহের চাহিদা মেটিয়েছে তোমারই দোস্ত হানিনকে দিয়ে।
তামান্না হানিন কে আবারো জোরে থাপ্পড় দে ঠাসসসস। এতে হানিন ফারুকের কাছে এসে পরে। তামান্না তাদের সামনে এসে ব্যাগ থেকে কাপর মোড়ানো একটা পাতলা যন্ত্র বের করে ফারুক হানিন এর ট্রাগ করে। আর বলে :: তোরা এখনই বিয়ে করবি।
সবাই শুনে চোখজোড়া বড়বড় করে ফেলে। নীল কিছু বলতে যেয়েও পারলো না নিলা তাকে থামিয়ে বলে :: তামান্না যা করতেছে ভালোই করতেছে। এই মেয়েদের সাথে এমনই হওয়া উচিত।
নীলও আর কিছু বললো না। তামান্না নিরুকে বলে পাশেই এক মসজিদ আছে সেখানে গিয়ে ইমাম সাহেবকে নিয়ে আস আর উনাকে শুধু একটুকু বলিস যে তামান্না কাবিন নামার পেপারস নিয়ে আসতে বলছে। আর হ্যাঁ শুনন মসজিদের ডান পাশে মিষ্টির দোকান আছে। সেখান থেকে দুই পেকেট মিষ্টি নিয়ে আসবি।
নিরু দৌড়ে মসজিদে গিয়ে ইমামকে তামান্নার কথা বলতেই। তিনি মুচকি হেসে কাবিন নামার পেপারস নিয়ে নিরুর সাথে সেখানে এসে হাজির হয় সাথে মিষ্টিও কিনে নিয়ে আসে।
In London……💗
।
।
।
।
।
সম্রাট গাড়ি পার্ক করে গোডাউনের মধ্যে ঢুকতেই তার গার্ডস দরজা খুলে দে। সে ভেতরে আসতেই দেখে সোহেল পাচঁজন ছেলেকে চেয়ারের সাথে বেধে রেখেছে।
সোহেল সম্রাটকে আসতে দেখেই তার ডান হাতের মধ্যে একটা ফাইল ছিলো যা সে আর তার দুই স্টাফ মিলে ক্যালেট করলো। সম্রাট সোহেলের হাত থেকে ফাইলটা নিয়ে সেখানে থাকা টেবিলের উপর পায়ের উপর পা রেখে বসে ফাইলটা নিখুঁতভাবে চেক করে।
তখন সোহেল গার্ডস দের দিকে তাকায়। তাদের এক গার্ডসকে ইশারাকে বসের গোডাউনের সিক্রেট ডোর ওপেন করে রাখতে। যখনই গার্ডটা সোহেলের ইশারা বুঝতে পারলো তখনই সে গিয়ে ডোর ওপেন করে আসলো।
সম্রাট ফাইলের সব ডিটেলস পরে চোখমুখ লাল হয়ে যায় তাকে দেখে এমন লাগছে যেনো এখনই অগ্নিসংযোগ শুরু হবে। সম্রাট ফাইলের দিকে নজর রেখেই গম্ভীর কণ্ঠে সোহেলকে বলে….
সম্রাট ::: কবে কখন কিভাবে হয়ছে??? (শান্ত ভাবে )
সোহেল এক ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলে ::: আ..আসলে স্যার আমি আর দুই স্টাফ মিলে সেই দিকে গিয়েছি হেলিকপ্টার করে। আর এদের কে আমরা তুলে এনেছি রুমপুর চট্টগ্রাম হাসপাতালে থেকে।
সম্রাট চট্টগ্রাম শুনে অবাক হয়। সে অবাক হয়ে বলে ::: সেখানে এদের কোথায় পেলি সব বল!!
সোহেল সব খুলে বলে যা সে আর দুইস্টাফ মিলে জেনেছে::: স্যার ওখানের হাসপাতালের ডক্টরস আপনাকে চেনে। (সম্রাট শুনে নিজের মাথা উপরে নিচে নাড়িয়ে হ্যাঁসূচক কণ্ঠে বলে হুমম)
তারা আমাকে এসময় অফিসে কল দেই যে এখানে কিছু রেপিস্ট নিহত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এরা শুধু রেপার না এরা সেখান থেকে মেয়ে বহন করে তাদের দিয়ে ব্যবসা করায়। তাদের সাথে অশ্লীল কাজে যুক্ত থাকে। তখনই ডক্টরে বলে তারা গতকাল এক মেয়েকে রেপ করতে গলিতে নিয়ে গিয়েছিলো।
সম্রাট ফাস্টে থেকেই রেগে আছে রেপের কথা শুনে সে তো অগ্নিখন্ডে নিক্ষিপ্ত হলো। সে দাড়িয়ে নিজের শাটের হাতা আরো ফোল্ড করে নে। সোহেল সম্রাটের কান্ড দেখে বুঝে গেলো যে কি হবে এখন। সে নিজের ভয়কে কোনোমতে দমানো চেষ্টা করছে। আর মনে মনে বলে….
সোহেল ::: ও খোদা আজকে ভাইয়া এমন রাগা রাগছে। সরি ভাইয়া না এটা আমার ভাইয়া হতেই পারে না। কোজ এই রকম রূপ শুধু একজনের। সে আর কেউ তো না আমার বস। উফফ কি যে বলি আমাদের মাফিক কিং সম্রাট ( ভয়ার্তভাবে মনে মনে ভেবে এক ঢোক গিলে )
সম্রাট সোহেলকে চুপ থাকতে দেখে তার সামনে অসে। সোহেল তখনো অন্যমনস্ক ছিলো। সম্রাট তার মুখের উপর তুড়ি বাজায়। এতে সোহেল নড়েচড়ে উঠে। সে সামনে তাকাতেই সম্রাটকে তার মুখোমুখি দেখে অবাক হয়ে বলে :: কি হলো ভাইয়া থুক্কু বস!!
সম্রাট মুচকি হেসে সোহেলকে বলে :: তুই কেন ভয়ে কুচুমুচু হচ্ছিস তোরে কে কি করবে?? হুমম ( বাঁকা হেসে)
সোহেল::: আ…আরে না বস আমি কেন ভয় পাবো। আমি ব্রেইব বয় তোমার মতোন।
সম্রাট :: হুম তো বাকি ইতিহাসগুলোও বল। আটকে গেছিস কেন??
সোহেল আবারো বলা শুরো করে :: জ্বী স্যার ঐ সময় এই পাচঁজন যখন মেয়েটা কে রেপ করতে যাবে ( সম্রাট সোহেলের বাকি কথা বুঝতেই পারছে তাই সে হাতজোড়া মুঠিবদ্ধ করে রাগে ফুলছে )
তখনই হঠাত কোথার থেকে এক মাফিয়া গার্ল চলে আসে সেখানে। (সম্রাট এ কথা শুনে তার মুঠিবদ্ধ করা হাতজোড়া খুলে শান্ত হয়ে অবাক নয়নে সোহেলের দিকে জানার ভঙ্গিতে তাকায় আর বলে)
সম্রাট::: মাফিয়া গার্ল??
সোহেল :: জ্বী বস।মাফিয়া গার্ল। সে এসে এদের আধমরা করে ফেলে আর যতোটুকু শুনেছি মেয়েটাকে সেই লেডিটা একটা কার্ড ও দিয়েছিলো।
সম্রাট::: কার্ডটা কোথায়??( গম্ভীর হয়ে )
সোহেল উদাস ফেস করে বলে :: বস কার্ডটা মেয়েটার কাছেই। আমরা তার বাসায় এখনোও যায় নি।
সম্রাট আর কিছু বললো না। সে রাগের মাথায় টগবগ করছে যা কেউ না দেখলেও তার সামনের পাচঁজন ছেলে ঠিকই দেখতে পারছে। তারা একে অপরের দিকে তাকাতাকি করছে আর ভয়ে এক দুই বার শুকনো ঢোক গিলছে।
এদিকে……..
রোয়েন এক হামি দিয়ে উঠে দেখে তার শরীরে একটাও জামা নেই আর সে বেডের এপাশ তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। সে তাওয়াল মুড়ে পুরো রুম খুজে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে বিড়বিড় করে বলে ::: কে ছিলো?? যেই বা ছিলো বেড পার্টনার হলো তাও টাকা ছাড়া?? ধুর যাই হোক (ডোন্ট কেয়ার ভাব করে)
সে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে গেলো। মাঝপথে সে গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে ডানহাতে ফোন ধরে সালমানকে কল দে। কারণ রাতে যাওয়ার টাইম। সে পেকিং শেষ করলো কিনা জানার জন্যে। তবে ফোন যাচ্ছে না দেখে সে ফোন রেখে দে আর সালমানের বাসার দিকে রওনা দে।
In Bangladesh💗…..
।
।
।
।
।
সব নিয়মকানুন মেনে ফারুক হানিন এর বিয়ে হয়ে যায়। তামান্না ইমাম সাহেব কে সালাম জানিয়ে মিষ্টি খেতে দে। তিনি মিষ্টি কে চলে যায়। তামান্না টিস্যু দিয়ে হাত মুছে ডাস্টবিনে ফেলে হানিন আর ফারুকের সামনে এসে ব্যাগ থেকে কাপর মোড়ানো জিনিসটা বের করে সেটা ফুল খুলে দেখায় সেটার মধ্যে চুইংগাম। সে একটা পিস খুলে মুখে চাবিয়ে চাবিয়ে বলে ::: কি ভেবেছিলে এটা গার্ন?? (ব্রাশর্মাকা স্মাইল দিয়ে)
ফারুক আর হানিন তো অবাক তারা ভেবেই নিয়েছিলো যে তামান্নার হাতে গার্ন।
তামান্না::: বাই দ্যা সোজা কথায় আসি।(সে সুমনার হাত ধরে তাদের সামনে এসে বলে ) মিট মাই বেস্ট ফ্রেন্ড সুমনা। সুমনা শুনে নয়নভরা চোখে তামান্নার দিকে তাকায়। কেননা সে বুঝছে তামান্না সব থেকে আলাদা। সে বন্ধুত্ব কখনও ভাঙবে না।
তামান্না সুমনার দিকে তাকিয়ে বলে ::: কি তুমি আমার বেস্টফ্রেন্ড তাই না??
সুমনা মুচকি হেসে নিজের মাথা নাড়ায়। তামান্না ও মুচকি হেসে হানিন এর কিছুটা কাছে এসে বলে::: বন্ধু স্বার্থপরতার জন্যে হয় না,, বন্ধু সেই যে বিপদের নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।
তামান্না :: যাক সব কাজকর্মে নিজের বিবেক ইউজ করতে হয়। যা তোদের মতোন গাধা-গাধীদের নেই। তুই আজকে খুব ভালো কাজই করলি আমার বোন (ইশারা করে নিরুকে দেখিয়ে) কে ডাক দিয়ে। এতে সুমনার সামনে তোর আর তোর নিউ কলড জামাই এর আসল রুপটা বেরিয়ে আসলো। সাথে আমি( এক্সাইটেট হয়ে বলে) নিউ বেস্টু পেয়েছি। যাস্ট লাইক মাই নিলা। (নিলার দিকে তাকিয়ে সে দেখে মুচকি হাসি দে)।
তামান্না নিজের ব্যাগ কাধে ঠিকভাবে জড়িয়ে হানিন আর ফারুককে বলে :::সো নিউ কাপল তোমাদের বিয়েটা হলো। তোমাদের লাইফটা আমি উজ্জ্বল করে দিয়েছি। কেননা আজ আমার এখানে আসার কথাই ছিলো না (মুখ বাকিয়ে)। কিন্তু কি করার সবই ভাগ্য। তোমাদের বিয়ে করানোর দায়িত্ব আগে থেকে আমার উপর ছিলো মনে হয় (গালে এক হাত রেখে ভাবার ভান করে ) তাই আরকি করলাম। সুখী পরিবার হবে তোমাদের এ দোয়া দিলাম। আমিন!!!
নিরু শুনে আমিন !!! (ঠোটে দুই আঙুল মিলিয়ে জোরে শিস বাজালো)
তাদের সাথে সবাই বলে ::: আমিন!!!
সবাই একের পর একের তাদের দিকে তাকিয়ে দোয়া দিয়ে চলে গেলো। তামান্না বাকিদের নিয়ে কলেজের ভেতর যাই তার ফেলে যাওয়া নোটস ক্যালেট করতে।
………….চলবে…………..😈
[বিঃদ্র::: নেন সবারের জন্য বড় পাট দিয়েছি। এখনো অনেক এক্সাইটমেন্ট বাকি। সবেমাএ শুরু এনজয় এভরি ওয়ান😁। আর আজকের পার্টটা কেমন লাগলো জানাবেন 😇। আর আজকে “#তোকে_খুব_ভালোবাসতে_চাই” এর পার্ট দিতে পারছি না তার জন্যে দুঃখিত।
তবে আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন 😕😕Ans দেবেন কিন্তুু নইতো মাফিয়া লেডিকে কল দেবো😜।
1.#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
2.#তোকে খুব ভালোবাসতে চাই💖
এই দুইটার মধ্যে কোনটার পাট আগে চান?? কারণ আমার স্টাডি চলছে তাই বিজি থাকবো🙏। সেজন্য প্রতিদিন একটা গল্পের পার্ট দিতে পারবো। সবাই এই পাটটা কেমন হলো জানাবেন এন্ড ভোট দেন কোন গল্প আগে😁😁]