তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_09

0
361

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_09

In London💗…..





সম্রাট সোহেলকে ইশারা করে গার্ডস দের দরজার বাইরে দাড়াতে বলে। সোহেল সম্রাটের ইশারা বুঝতে পেরে গার্ডস কে বাইরে যেতে বলে। সম্রাট আর সোহেল পাচঁ জন ছেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সম্রাট চোখজোড়া রক্তবর্ণ করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সোহেল তাদের দিকে একবার তাকিয়ে সম্রাটের দিকে একবার তাকিয়ে নে।

সোহেল মাথা এপাশ ওপাশ করে জিমুতে থেকে মনে মনে বলে::: আমি বুঝি না বস আমাকেই কেন এসবের মধ্যে রাখে?? (উদাস হয়ে ) কাকে কিভাবে মারতে হবে?? তাতে কি কি ইউজ করা লাগে সবই দেখি আমাকে দিয়ে আনায় আর করায়?? আমার যে তখন অবস্থা এতো কাহিল হয় !! হে আল্লাহ রহম করো আমার মতোন ভিতুর উপর। (নিজে নিজেই টেডি স্মাইল দিয়ে)

সম্রাট এপাশ ঘুরে দেখে সোহেল অন্যদিকে ফিরে আসে। সে বাকাঁ হেসে তার পাশে গিয়ে দাড়ায়। সোহেল দেখে কিছু বলতে যাবে তখনই সম্রাট তার পাশে দেওয়ালের মধ্যে তার ডান হাত স্পর্শ করে। তার হাতের স্পর্শ দেওয়ালে লাগতেই সে দেওয়ালের পুরো অংশ দরজার মতোন করে খুললে যায়। সোহেল চোখজোড়া বড় করে হা করে তাকিয়ে থাকে। সে ভেবেছিলো তাকে এমন মারাত্মক কিছু করতে বলবে !! যেটার মধ্যে তার মৃত্যু হবে ভয়ে।

সোহেল ভেবে অবাক চোখে সম্রাটের দিকে তাকায়। সে বাকাঁ হেসে সেই দরজা খুলে। খুলার সাথে সাথে সোহেল সহ পাচঁজন ছেলে খুবই ভয় পেয়ে যায়। কারণ সেই দরজার আড়ালে সব ধরনের মারাত্মক মারার পিটানোর সামগ্রী।

সোহেল সম্রাট থেকে একটু দূরে এসে দাড়ায়। সম্রাট সেখান থেকে এক ধারালো অস্ত্র যেটার উপর অংশ ছুড়ির মতোন লোহার বানানো বিদেশি অস্ত্র। যা সে তার হাতের সাথে বেধে নিয়ে ছেলেদের সামনে এসে দাড়ায়। তারা সম্রাটের হাতে ধারালো অস্ত্র টা দেখে ভয়ে চুপসে যায়। তাদের মধ্যে একজনকে সম্রাট বলে…..

সম্রাট:: তুই দেখি বল তো?? ( তজনী আঙুল দিয়ে ইশারা করে )

একজন::: স্যার প্লিজ আ….আমি কিছু করি নি। আমাকে এরা ফোরস করছিলো (ভয়ে মিথ্যা বলে)

সম্রাট এতে যাস্ট নিজের মাথা নাড়ায়। সোহেল সম্রাটের এভাবে মাথা নাড়ানো দেখে মনে মনে :: বস মিথ্যা একদম পছন্দ করে না। এরা তো আজ কোবরা আর ড্রাক এর খাবার হবেই।

আরেকজন :::: স্য…..স্যার এ মিথ্যা বলছে আমি কিছুই করি নি।

সম্রাট এবার রেগে এক চেয়ারের উপর পা দিয়ে চেপে রেখে তার অস্ত্র বাধা হাত দিয়ে তাদের মুখ বরাবর পান্স মারে। পান্স মারার সাথে সাথেই তাদের সবার মুখের অধেক অংশ কেটে ছিলে যায়। এতে তাদের দাতের অগ্রভাগ দেখা দিতে লাগে। সম্রাট মেরে হাতজোড়া তাদের মুখ থেকে নিতেই সেই অস্ত্র দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরতে লাগে।

সম্রাট তাদের পাচঁজনের চেয়ার গোলাকার ভাবে সাজানো থাকায়। তাদের চারপাশে ঘুরে বলে…..

সম্রাট::: তোরা জানিস এই মাফিয়া কিং সম্রাট সব ক্ষমা করে তবে যারা সরাসরি মিথ্যা বলে তাদের কে কেমন যেনো সহ্য হয় না (নিজের কপালে বাম হাত দিয়ে চুলকান দিয়ে রাগের কণ্ঠে গর্জান দিয়ে উঠে) আর তোরা তো শুধু মিথ্যে না,,, সাথে রেপ ও করিস। জানিস এর শাস্তি কি??

এ বলে সম্রাট সাথে সাথে তাদের চেয়ারের উপর লাথি দে। এতে পাচঁ চেয়ার একসাথে নিচে পরে যায়। পাচঁজনই ব্যথায় কুকড়িয়ে উঠে। তাদের কুকড়ানো দেখে সোহেল চোখ ঘুরিয়ে আস্তে করে হামি দিয়ে নিজের পকেটে থেকে ফোন আর ইয়ারফোন বের করে কানে লাগিয়ে ফোনের মধ্যে থেকে মিউজিক বক্সে ঢুকে “Let me love you” সং দিয়ে শুনতে থাকে।

সম্রাট তাদেরকে মারার সেই অস্ত্র দিয়ে মেরে আবারো সেই মারার সামগ্রী দরজার সামনে এসে রেগে একটা ধারালো আয়নার মতোন দেখতে ছুড়ি বের করে তাদের সামনে এসে তাদের হাত বরাবর চালান দে। এতে তাদের পাচঁজনের হাত তাদের অস্থিজোড়া থেকে আলাদা হয়ে ফ্লোরে পরে যায়। সম্রাট নিজের হাত থেকে সেই ধারালো অস্ত্র আর ছুড়ি রেখে হাত ধুতে ধুতে সোহেলকে ডাক দে। সোহেল তো গান শুনায় সে সম্রাটের ডাক শুনতে পাই নেই। সম্রাট পাশে মুখ ঘুরিয়ে দেখে সোহেল চোখজোড়া বন্ধ করে গানের তালে অপরপাশে তাকিয়ে নিজের মাথা নাড়াচ্ছে।

সম্রাট ধীর পায়ে হেটে তার কানের কাছে এসে শুনে দেখে সে ” let me love you” সং শুনতেছে। সে চোখ ঘুরিয়ে সেই দরজার মধ্যে সেলফ থেকে একটা কাচি নিয়ে সোহেলের কানের কাছে এসে ইয়ারফোনের সংযোগ তার কেটে দে। সোহেল কানে গান শুনতে না পেয়ে ইয়ারফোনটা খেয়াল করে দেখে সেটা কেটে দেওয়া হয়েছে। সে অবাক হয়ে পাশ ফিরতেই সম্রাটকে দেখে এক ঢোক গিলে বলে……

সোহেল:::: ব…..ব….বস। আ…আমি কলে কথা বলছিলাম তাই। তুমি কি ডেকেছিলে?? (আমতা আমতা করে হাসার ট্রাই করে)

সম্রাট মুখ গোমড়া করে দুই হাত বুকের উপর গুজে বলে ::: “Let me punch you”…কেমন হবে এটা?? (ভাবার ভান করে )

সোহেল নিজের মাথা নাসূচক নাড়ায়। সম্রাট সোহেলের ফেস দেখে হাসতে থাকে আর বলে ::: একটা কাজ কর আমার কোবরা আর ড্রাককে এই খানে খাবারের জন্যে (ছেলেদের দিকে তাকিয়ে ডেভিল স্মাইল দিয়ে ) আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে।

সম্রাট সিক্রেট সামগ্রীর ডোরটা দেওয়ালের মধ্যে স্পর্শ করে লক করে আড়াল করে দে। সোহেল রুম থেকে বের হবে তখনই তার নজর পরে তাদের মধ্যে একজন ছেলের উপর যার পিঠে একটা কার্ড।

In Bangladesh💗…….





নীল তামান্না আর নিলাকে লাইব্রেরীর মধ্যে ওয়েট করতে বলে নিজের কেবিনে যায়। নিরু সে তো মহাখুশি কেননা আজকে সে তামান্নার করা কাজে সুন্দর একটা সিটি বাজিয়েছে। যা সে চুরিচুপে সবার আড়ালে তার এক বান্ধবী কে দিয়ে ভিডিও করছে। নিরুর খুবিই শখ ছিলো। এমন কোনো মুমেন্টে সিটি বাজাবে। যা আজ পূরণ হলো। সে ভিডিও টা দেখছে আর নিজে নিজে প্রারুড ফিল করছে।

নিলা তামান্নার হাত ধরে বলে সিটের মধ্যে বসায় আর বলে::: দোস্ত আজকে যে ফাটাফাটি কাজটাই না করলি। বেইব আইম সো প্রারুড অফ ইউ। (মুচকি হেসে)

তামান্না শুনে মুচকি হেসে বলে :: উহুহ পাম আরকি । আমি তো তেমন কিছুই পারি না। কিন্তু এটা ঠিক হানিন ফারুক মিলে সুমনার সাথে ( সুমনা নিরুর সাথে ভিডিও টা দেখছিলো আর দুইজন মিলে হাসাহাসি করছিলো। তামান্না তারদিকে মুখ গম্ভীর করে দেখে নিলার দিকে তাকিয়ে বলে) যা করছে তার ফল একদিন না একদিন বের হওয়ার কথা ছিলোই যা হলো। যাক সঠিক টাইমে সব হয়ে গেল। আমি আর তুই আরেকটা বেস্টু পাইছি। তুই কি বলিস?? (মুচকি হেসে)

নিলা তামান্নার হাতজোড়া ধরে বলে :: তুই সবসময় যা করেছিস আমাদের ভালোর জন্যেই করেছিস। আর সুমনা খুবই ভালো মেয়ে। তাকে বেস্টু বানাতে আমার আপত্তি কেন থাকবে?? হুমম (চোখজোড়া ছোট ছোট করে জানার ভঙ্গিতে )

তামান্না দুষ্টুমি হেসে বলে :: কেন মানে কি তোরে টাইম কম দেবো সুমনা কে বেশি করে দেবো। উহহ (ভাব মেরে)

নিলা শুনে ইমোশনাল ফেস করে বাচ্চাদের মতোন ঠোটজোড়া এক করে বলে ::: যা পচা তুই লাগবে না আমার কাউকে। যখন আমি মরে যাবো তখন বুঝবি।উহুহ।

তামান্না একথা শুনে রেগে নিলার পিঠে এক বারি দে। এতে নিলা বেচারি আউচচচচচচ। কি করলি হারামি?? মারলি কেন??( আশ্চর্য হয়ে )

তামান্না রেগে বলে :: তুই মরার কথা বললি কেন?? হুমম খবরদার যদি আবার মুখ থেকে বের করিস !! আবার বের করলে কিন্তু আমার চেয়ে বারো কঠোর আর কেউ হবে না। গোট ইট!!

নিলা জানতো না তামান্না এ বিষয়টা সিরিয়াসলি নিয়ে নেবে। সে তার হাত চেপে বলে :: আরে ইয়ার আমি তো যাস্ট এমনেই বললাম। তেমন কিছুই না। সরি রে দোস্ত ( নিজের কান ধরে )

তামান্না মুচকি হেসে ::: হুমম। আর বলবি না কোজ এটা বলে কি পাবি?? মরতে তো সবাইকে হবেই। কারণ কুরআনের লেখা আছে ” প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে” (সূরা আল ইমরান আয়াত-185)।
সেখানে মরার কথা না বলে এরকম বল যে যতো পারিস মরার আগে যেন ভালো ইমানদার বান্দী হয়ে পরকালে যেতে পারিস।

নিলা :: হুমম তুই আছিস না আমাদের কে শাস্তি দিয়ে ঠিক করার জন্যে।

তামান্না:: না সবাইকে আল্লাহই শাস্তি দেবে উনিই রহম করবে। আমি তোদেরকে ভুল হলে বা করলে শুকনো কাঠ আছে না কি যে নাম???(মুখে হাত দিয়ে ভাবার ভান করে দুষ্টুমি হেসে) ওহহ হ্যাঁ মনে পরছে শুকনো বাঁশের কোড়াল দিয়ে বাঁশ দেবো !!! কেমন??? ( দাতঁ কেলিয়ে হেসে )

নিলা ::: হারামী যে তুই। নীলও এসে যোগ দিয়ে বলে….

নীল :: একদম আস্ত হাতি একটা। তামান্না শুনে দাড়িয়ে নীলের সামনে এসে কোমরে হাত রেখে বলে :: আমি হাতি?? তো তুই কি? হুমম !! তুই তো আমেরিকান বিলাই।

নীল হেসে বলে :: আমাকে কোন এন গেলে মিউউউ আই মিন ক্যাট লাগে?? নাকি আমি ফর্সা তাই (ভাব মেরে )

তামান্না রেগে :: তবে রে। সে নীলের পিঠে ধপাস করে বারি মেরে দে। নীল ব্যথা পেয়ে আউচচচ। আস্ত শয়তান।

তামান্না শুনে বাচ্চাদের মতোন ফেস করে বলে ::: ছি ছি আমি শয়তান না। আমি মানুষ। আল্লাহর ইবাদত করে হুমম।

নীল নিলা শুনে বেকুবের মতোন তামান্নার দিকে তাকায় থাকে। তামান্না ওদের ফেস দেখে মুচকি হেসে বলে :: বাবু খাইছো?? হিহিহিহি

নিলা নীল শুনে কাশতে শুরু করে। তামান্না সাথে সুমনা তাসনিম হু হা করে হাসতে থাকে। তামান্না নিলাকে উদ্দেশ্য করে বলে :: কি তোর মনের কথা নীলকে বলে দিলাম আরকি।(ব্রাশমাঁকা স্মাইল দিয়ে)

নিলা আনমনেই বলে উঠে:: আমি এখন এটাই বলতে চাছিলাম।

নীল শুনে চোখজোড়া বড়বড় করে নিলার দিক তাকিয়ে বলে ::: বাবু তুমি তো কিছু দাও নেই। তাই খাবো টা কি?? হুমম (দুষ্টুমির ফেস করে )

নিলা লজ্জামাখা ফেস করার আগেই তামান্না বলে :: নিলা বাসায় গিয়ে লজ্জা পাইস। এখন চল সবাই।আমার নোটস ও ক্যালেট করা শেষ।

নীল:: হ্যাঁ চল আমারও কেবিনে কিছু ফাইল ঠিক করার কাজ ছিলো। করা শেষ তাই চলে আসলাম। এখন চল।

নীল সবাইকে তার কার দিয়ে বাসায় নামিয়ে দে। নিলাকে বাসায় সবার শেষে ছাড়তে চেয়েছিলো নীল। তবে তামান্না জোরাজোরি করলো যে তামান্না আর তাসনিমকে লাস্টে ছাড়তে।

নীল তাই করলো সবাই কে ছেড়ে লাস্টে তামান্নার বাসার সামনে আসে। তামান্না নিরুকে ভেতরে যেতে বলে। আর নীলের দিকে তাকিয়ে তার হাতে একটা বক্স ধরিয়ে বলে ::: বাসায় গিয়ে খুলবি এখন কিছু জিগ্গেস করবি না। দেখে আমাকে ফোন দিবি। আল্লাহ হাফেজ বাই বাই।

নীল আবারো ব্যবলাকান্তের মতোন একবার বক্সের দিকে তাকায় আবার তামান্নার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে কার স্টাট দিয়ে চলে যায়।

তামান্না গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুকবে তখনই তার নজরে পরে গেইটের মধ্যে রাখা একটা বক্সের উপর যা সুন্দর করে তার ফেভারিট ব্লো কালারের কাপর দিয়ে মোড়ানো উপরে লাইট ওয়াইট কালারের সেড। সে আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পাই না। সে মনে মনে বলে ::: এটা তো দেখতে খুবই দামী বক্স লাগছে !! কিন্তু আমাদের বাসার সামনে কে রাখলো। (সে সেটা পাশে একটা ডাস্টবিন ছিলো তার উপর রেখে দিলো)। যার হবে সে এসে এখানে থেকে নিয়ে যাবে।

সে ভেতরে চলে গেলো। তামান্নার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে একজন লোক কারের মধ্যে বসা অবস্থায়। সে যখন দেখলো তামান্না বক্সটা সেখানেই রেখে দিলো। এতে সে রেগে বলে ::: শিটটটট এ তো বক্সটা নিলোই না। থাক কালকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। কারণ আমি জানি কালকে তোমাদের স্পেশাল ডে। (ডেভিল স্মাইল দিয়ে)

………….চলবে………..😈

[বিঃদ্র::: নেন আজকের ডেন্জারাস উপহার আপনাদের সবাইকে😁। পরে কেউ ভয় পাইয়েন না। সবেমাএ শুরু সামনে পরবেন কি কি😜।হেপ্পি রিডিং 😊]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here