#অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা
#The_Mysterious_Love
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২৯
–“আচ্ছা পিকু! শোন একটু আগে যার সাথে দেখা হলো সেই লোকটাকে তুই চিনিস? কে বলতো?”
পিকু নামের সাদা তুলতুলে বিড়ালটি কিছু না বলে শুধু চেয়ে থাকে। ভাবনা জানে পিকু কোনো উত্তর দেবে না। ও কি তার ভাষা বুঝবে নাকি? তবুও যতই হোক বিড়ালটা তার সুখ দুঃখের সাথি। সে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আবারও বলে….
–“লোকটাকে কখনো দেখিনি ঠিকই তবে না চাইতেও উনাকে নিয়ে ভাবছি। ভাবতে ভালো লাগছে। ইচ্ছে করছে শুধু উনাকে নিয়েই ভাবতে। এই প্রথম কোনো পুরুষের সংস্পর্শে এলাম সেকারণেই কি এমন লাগছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে?”
পিকুর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আনমনে যাচ্ছিল ভাবনা। ইতিমধ্যে মায়ের কন্ঠে থেমে যায় সে।
–“বাহ! সারাদিন পর তোর সময় হলো বাড়ি ফেরার? একটু পর সন্ধ্যা নামবে। এখন বাড়ি এলি কেন? বাগানে, বাইরে, জঙ্গলে থেকে গেলেই তো পারিস।”
কথাগুলো ঝাঁঝালো গলায় আওড়ালেন ভাবনার মা। ভাবনা প্রতিত্তোরে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে তার কোল থেকে পিকু কে নামিয়ে মায়ের কাছ আসে।
পেছন থেকে মাকে জড়িয়ে ধরে আয়নার দিকে তাকায় ভাবনা। তার মা কোথাও যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। লামিসা বেগম(ভাবনার মা) চোখ গরম করে বলেন….
–“দেখো মেয়ের কান্ড। এতো রাগ ঝাড়ছি তাও কি মা হেসে যাচ্ছে। একদম হাসবি না। কারণ তুই জানিস তুই হাসলে আমি আর রাগ করে থাকতে পারি না।”
ভাবনা নিজের হাসি আরো প্রসারিত করে। এমন অপূর্ব সৌন্দর্যে ভরা মেয়ের হাসি কোন মা উপেক্ষা করতে পারে? লামিসা বেগমও হেসে দিলেন। ভাবনার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন….
–“আমারও তো চিন্তা হয় রে মা। দুপুরে কিচ্ছু খাসনি। সকালে সামান্য কিছু খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিস। এমন করলে শরীর তো খারাপ হবে।”
–“উঁহু, কে বলেছে দুপুরে খাইনি? ছোট ছোট লাল লাল চেরিফল খেয়েছিলাম তো। ইশশ…কত মিষ্টি!”
–“হয়েছে? এখন খাবার খেয়ে নে টেবিলে রাখা আছে। তারপর রাজমহলে আয়।”
ভাবনা হালকা ভ্রু কুঞ্চিত করে।
–“হঠাৎ রাজমহলে কেন মা?”
–“জানিস না? অবশ্য তুই জানবিই বা কি করে? আজ প্রিন্স এসেছে অনেকদিন পর রাজ্যে। কুইন ইরিনা আমাদের ডেকে পাঠিয়েছে। আমি যাচ্ছি। তুই আয়।”
ভাবনা মাথা দুলাতেই লামিসা বেগম বেরিয়ে পড়েন। হালকা খেয়ে তৃপ্তি ভরে রক্ত পান করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে নেয়। রক্ত পান করার পর তার গায়ের রঙ যেন আরো চকচক করছে। এটাই হয়ত ভ্যাম্পায়ারদের সৌন্দর্যের রহস্য। প্রতিটা ভ্যাম্পায়ার দেখতে সুন্দর হলেও ভাবনার মাঝে রয়েছে অন্যরকম একটা মাধুর্য যা অন্য কারো মাঝে নেই। রয়েছে মুগ্ধ করার ক্ষমতা। তার অস্বাভাবিক বড় বড় চোখ দিয়ে একবার কারো দিকে তাকালে সেই চোখজোড়ার দিকে তাকিয়েই সম্মোহিত হয়ে পড়তে পারে যে কেউ!
চুলগুলো কোনোরকমে বেনী করে ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে ভাবনা। রাজমহলে গিয়ে সবাইকে নানানরকম কাজ করার পরামর্শ দিতে থাকে। তার কাজই এটা। কুইন ইরিনার খুব ভালো লাগে ভাবনাকে। এতো মিষ্টি একটা মেয়ে ভালো না লেগে উপায় আছে?
ফুলের পাপড়ি দিয়ে ভরা একটা পড় বাটি হাতে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকে ভাবনা। নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে সে। হঠাৎ করে কাছাকাছি এসে দাঁড়ায় একজোড়া পা। কোনো পুরুষের পা মনে হচ্ছে। বেশ আগ্রহ নিয়ে মুখ তুলে তাকায় সে। অবাক নয়নে চেয়ে বলে….
–“আপনি?”
চমকে পড়ে যায় তার হাত থেকে ফুলের পাপড়ি দিয়ে ভরে থাকা বাটি। মানুষটা এখানে এই জায়গায় মটেই হজম হচ্ছে না ভাবনার। ভাবনাকে দেখে অনুভবও বেশ অবাক হয় বটে। তবে তা প্রকাশ করে না। বাঁকা হাসি টেনে পা সিঁড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে স্টাইলের সাথে দাঁড়ায়।
–“হ্যাঁ আমি। এখানে তো আমারই থাকার কথা। আর কে থাকবে?”
ভাবনা কিছুটা রাগ নিয়ে তাকিয়ে বসে পড়ে। বিরবির করে বলে….
–“শুধু শুধু লোকটার জন্য এতো কষ্ট করে নেওয়া ফুলের পাপড়ি গুলো পড়ে গেল।”
কথাগুলো স্পষ্ট ভাবে শুনতে পায় অনুভব। সে এসে নিচু হয়ে বসে পড়ে। নিচে পড়ে থাকা পাপড়িগুলো হাতের মুঠোয় তুলে ওপর দিকে ছুঁড়ে দেয়। আর শব্দ করে হেসে ওঠে। সেসব ফুলের পাপড়ি এসে পড়ে ভাবনার ওপর। মাথার চুলে, গলায় আর চোখের ভাঁজে আটকে যায় পাপড়ি। তৎক্ষনাৎ কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়ায় ভাবনা।
–“ভারি অদ্ভুত লোক তো আপনি! এসব কি করলেন?”
অনুভব এগিয়ে আসে। ভাবনা পিছিয়ে যায়। অনুভব অনেকটা এগিয়ে এসে সরাসরি হাত দিয়ে ভাবনার চোখের ওপরে। পাপড়ি তুলে সেটা দেখায় ভাবনাকে। বড় শ্বাস ছাড়ে ভাবনা। তখনই আগমন ঘটে কুইন ইরিনার। ভাবনাকে দেখে সুন্দর করে হেসে বলেন…..
–“আরে ভাবনা, কখন এলে? আমার সঙ্গে দেখা তো করলে না! (অনুভবের দিকে তাকিয়ে) অনুভব তুই এখানে কি করছিস?”
–“ইনিই প্রিন্স অনুভব?” (চোখ বড় বড় করে পাকিয়ে)
ভাবনার কথায় সায় দেন কুইন ইরিনা। সঙ্গে সঙ্গে জ্বিহ্বা কেটে তাকায় ভাবনা। প্রিন্সকে কত কিছুই না বলে দিয়েছে। সে মনে মনে ভাবে, এখন এখান থেকে কেটে পড়ায় ভালো। তাড়াহুড়ো করে করে হাতে বাটি তুলে বলে….
–“রানি মা, আমি একটু আসছে কাজ আছে।”
দ্রুত গতিতে চোরের মতো কেটে পড়ে ভাবনা। অনুভব বেশ মজা পায় তা দেখে। মায়ের দিকে তাকিয়ে সে প্রশ্ন করে….
–“মেয়েটা কে মা?”
–“সেনাপতির একমাত্র মেয়ে ভাবনা। ভারি সুন্দর না?”
ভাবনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অনুভব মুগ্ধ হয়ে বলে….
–“রুপনগরীর রাজকন্যা!”
রাতে….
ছাঁদে রাতের আকাশে তাঁরা গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ভাবনা। তার মুখে পড়ছে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো। মোহময় হয়ে পড়েছে আশেপাশের পরিবেশ। আশেপাশের বহমান ঠান্ডা হাওয়ায় মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে ভাবনা। পাশেই রয়েছে তার বিড়াল পিকু। তাঁরার দিকে আঙ্গুল দিয়ে গুনতে গুনতে চাঁদের দিকে আঙ্গুল তুলে থামে সে।
–“পিকু! প্রিন্স অনুভবকে কেমন মনে হয় তোর? ভালো না খারাপ? ইংরেজিতে এই দুটো শব্দকে কি যেন বলে? ওহ হ্যাঁ গুড ওর ব্যাড?”
পিকু ভাষা না বুঝে ভাবনার দিকে তাকিয়ে থেকে ‘মিউ মিউ’ করে ওঠে। ভাবনা এক ঝলক হেসে বলে….
–“আমার কিন্তু দুটোর মাঝামাঝি মনে হয়। তবে উনার চিন্তা মন থেকে সরাতে পারছি না আমি। এমন কিছু বলতে পারবি? যেটাতে উনাকে নিজের চিন্তা থেকে সরাতে পারব? তবে কি জানিস? উনি সত্যিই রাজপুত্রের মতো।”
পিকু আর কি বলবে? ভাবনা নিজেই বকবক করতে থাকে। তার সকল কথা অনুভবকেই নিয়ে।
একসময় এক অদ্ভুত সুর কানে ভেসে আসে তার। তার মনে জলোচ্ছ্বাস বয়ে যায়। কান পেতে শুনতে থাকে সেই সুর। মন আরো শুনতে চাইছে। কোথা থেকে আসছে সেই মন ভোলানো সুর? তাদের একতলার ছাঁদের থেকে রাজমহলের বড় ছাঁদের দিকে তাকায় সে। দূর থেকে লক্ষ্য করে একজন পুরুষের অবয়ব। ছাঁদের একদম কিনারাই কিছু একটা বাজাচ্ছে। ভাবনার ইচ্ছে করে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখতে। যেই ভাবা সেই কাজ! দ্রুত উঠে তড়িঘড়ি করে চলে আসে রাজমহলের বড় ছাঁদে। জ্যোৎস্না মাখা পরিবেশে জোনাকি পোকার নিপুনভাবে প্রাকৃতিক আলো প্রদান পরিবেশটাকে সুন্দর থেকে সুন্দরতম করে তুলছে। ছাঁদে আসতেই অনুভবের ভাইলেন এ তোলা সুর আবার আবদ্ধ করে ফেলে ভাবনাকে। অনুভব কারো অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে গভীরভাবে। এ যেন এক অসামান্য অনুভূতি। যেখানে মানুষ হারাতে চায় বার বার। শুধু মানুষ নয়। তার মতো ভ্যাম্পায়ারও আবার হতে পারে পৃথিবীর প্রতিটা জীবও।
ভাইলেন বাজানো থামিয়ে পেছন ঘোরে অনুভব। মায়াময়ী এক কন্যাকে দেখে হৃদপিণ্ড চলতে শুরু করে দ্রুত গতিতে। হৃদপিণ্ড কি বেরিয়ে আসতে চাইছে? তাকে কোনোভাবেই থামাতে পারছে না অনুভব। ভাবনা আস্তে আস্তে তার সামানসামনি এসে দাঁড়ায়। অনুভবের হাতে থাকে যন্ত্রটি দেখে নেয় সে। জিনিসটা কি জানে না ভাবনা। সে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বলে….
–“থামলেন কেন?”
–“তোমার জন্য।”
–“আমি থামিয়েছি?”
–“হয়ত আমার পুরো জীবনই থমকে দিয়েছো। তোমাকে ছাড়া যেন এই থমকে যাওয়া জীবন চলা শুরু করবে না!”
না চাইতেও পুলকিত হয়ে তাকায় ভাবনা। অনুভবের শেষ কথাগুলো তার কানে বার বার বাজছে। একটা বড় শ্বাস নিয়ে সে অনুভবের কাছে আবদার করে….
–“আবার বাজান ওটা। আমি শুনতে চাই।”
–“এসো তুমিও বাজাও ভাইলেন।”
–“আমি? কিন্তু আমি তো পারি না। ওই যন্ত্র কখনো দেখিইনি।”
অনুভব মুচকি হাসে। চাঁদের আলোতে চকচক করে ওঠে ওর দাঁতগুলো। দুই ধাপ এগিয়ে এসে ভাবনার হাতে ভাইলেন ধরিয়ে দিয়ে বলে….
–“আমি শেখাচ্ছি।”
ভাবনা হা করে তাকায়। অনুভব ওর পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ভাবনার হাতের ওপর হাত রাখে। একটু একটু করে মনোমুগ্ধকর সুর ভেসে ওঠে ভাইলেন থেকে। চোখ বন্ধ করে ভাবনা। মুখে এক অদ্ভুত সুন্দর হাসি। ঠান্ডা শিরশিরে বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায় ভাবনার লাল রেশমি চুল। অনুভবের চোখেমুখে পড়ে সেই চুলগুলো। অনুভবে নাকে চুলের ঘ্রাণ আসতেই মাতাল লাগে নিজেকে। ভাবনার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলে….
–“এই সুরে অনুভবকে অনুভব করতে শেখো ভাবনা।”
সেদিন ভাবনা অনুভব করেছিল অনুভবকে। প্রথমবারের মতো কাছাকাছি ছিল দুজন। বেড়েছিল পাগলামো। কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা জাগে সেখান থেকেই। ভালোবাসার প্রথম অধ্যায় শুরু হয় সেখান থেকেই।
সকালে নানান কাজে ছোটাছুটি করছে ভাবনা। রাজমহলে এসেছে নানানরকম সুন্দর এবং গুনী মেয়ে ভ্যাম্পায়ার। যারা ছিল প্রিন্স অনুভবকে পাওয়ার জন্য পাগল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে অস্থির হয়ে উঠেছে ভাবনার মন। খচখচ করছে তার চোখ। এমনটা কেন হচ্ছে তার রহস্য উদ্ঘাটন করতে এখনো পর্যন্ত পারেনি ভাবনা।
অন্যদিকে অতি বিরক্ত হয়েই মায়ের কথা রাখতে রাজসিংহাসনে এসে বসে অনুভব। সে গতকাল রাতেই বুঝতে পেরেছি তার পুরো মনটা দখল করে বসে পড়েছে ভাবনা। সে মন থেকে ভাবনাকে তাড়াতে ইচ্ছুক নয়। চোখমুখ জড়িয়ে বসে থাকে সিংহাসনে। একটার পর একটা মেয়ে আসছে যাচ্ছে অনুভবের কোনো হেলদোল না পেয়ে কুইন ইরিনা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। উনি যার তার সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়েও দিতে পারেন না। তার কারণটা অনেক বিশেষ। অনুভব হওয়ার কথা ছিল এই ভ্যাম্পায়ার জগতের সব থেকে শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার। কিন্তু শয়তান ওয়ারওল্ফ দের চক্রান্তে উনি শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার জন্ম দিতে পারেননি। তবে অনুভবের ঢাল হিসেবে এমন একজন মেয়ে লাগবে যে সবসময় বিপদে-আপদে দুজন দুজনের পাশে দাঁড়াবে একে ওপরকে রক্ষা করবে। এমন মেয়ে কোথায় পাবেন উনি?
একসময় অনুভব বিরক্ত হয়ে উঠে পড়ে।
–“মা, আমি বিরক্ত হয়ে পড়েছি। এসব আর নিতে পারছি না। এদেরকে যেতে বলো।”
–“তাহলে তোর পছন্দ কি অনুভব?”
কাতর গলায় বলেন কিং প্রলয়। অনুভবের নজরে তখনই পড়ে হালকা হলুদে মোড়ানো ভাবনাকে। তাকে ঠিক হলুদিয়া পাখির মতো দেখাচ্ছে। নিজের অজান্তে আঙ্গুল তুলে ইশারা করে ভাবনার দিকে। সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে। হইচই পড়ে যায়। ভাবনা নিজেও চরম বিস্ময়ের পর্যায়ে চলে যায়। প্রথমে কিং প্রলয় এবং কুইন ইরিনা হতভম্ব হলেও নিজেকে সামলে নেন। অনেক আলোচনা করেন। শেষমেশ অনুভবের পছন্দ এবং অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাবনার সঙ্গে অনুভবের বিয়ে ঠিক হয়। ভাবনা প্রথমে মত না দিলেও যখন তার মা বিয়েতে মত দেন তখন আর না করে না ভাবনা। বিয়ে ঠিক হয় দুই মাস পর। রাজ্যের সবখানে খুশির ঢল নামে। দেখতে দেখতে কেটে যায় এক মাস। তাদের ভালোবাসা প্রগাঢ় হতে থাকে। টান বাড়তে থাকে। আঁটকে পড়ে ভালোবাসার জালে!
একমাস পর হুট করেই ওয়ারওল্ফ হামলা করে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে। সেদিন মারা যায় ওয়ারওল্ফ কিং অলকের হাতে কুইন ইরিনা সহ প্রণয়ের দুটো সন্তান। শোকের ছায়া নেমে আসে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে। অশান্ত হয়ে পড়ে অনুভব। কিং প্রলয়ের বারণ করা সত্ত্বেও অনুভব নিজের হামলা করতে যায় সেই শয়তান ওয়ারওল্ফ রাজ্যে। ওর ধারণার বাইরে ছিল, সেই রাজ্যে কত কালো ছায়া ছড়িয়ে রয়েছে। সেই রাজ্যে গেলে যেকারো মাঝে শয়তান সত্তা ঢুকে পড়তে পারে। হলোও তাই প্রিন্স অরুণ বন্দি করে ফেলে অনুভবকে। সেই খবর পেয়ে আরো ভড়কে যান কিং প্রলয়। ওই জায়গা থেকে এখন কে বের করে নিয়ে আসবে তার ছেলেকে? সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভাবনা নিজে প্রস্তাব দেয় অনুভবকে উদ্ধার করার।
–“মহারাজ, আমি নিজে প্রিন্স অনুভবকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাকে অনুমতি দিন।”
কিং প্রলয় অবাক হয়ে বলে…
–“তুমি? তুমি করে পারবে? অন্তত ভয়ানক জায়গা সেটা। তুমি পারবে না।”
–“আমি পারব। উনি আমার ভবিষ্যত স্বামী। উনাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। আমি যাব সেখানে।
চলবে…..🍀🍀
বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।