#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৫৩
🌿
🌺
🌿
—“” এভাবে হবে না অন্য পথ নিতে হবে …প্রেয়শী আমি জানি তুমি জেগে আছো ,,, এখন যদি তুমি খাবার টা খেয়ে ফিনিশ না করো তাহলে সহজ শাস্তি দিতাম তা দিবো না ,,, কঠিন শাস্তি দিবো …. তাও এই মাঝরাত্রিতে ..!!!””
—“” হায় হায় কই কি রাক্ষস টা ,, সত্যি সত্যি মনে হয় আমাকে শাস্তি দিবে ,,, আর খিদেও তো ভিষন লেগেছে .. বরং উঠে পরি পরে না হয় দুটো কিসি দিয়ে রাক্ষস টার রাগ ভাঙানো যাবে…””(ফারহা)
ফারহা উঠতে যাবে ঠিক তখনি ফারহা মনে হলো কেউ ওর দু ঠোট জোড়া কামড়ে ধরেছে … ফারহা ভর্য়াথ চোখে তাকিয়ে দেখে অন্য কেউ না মেঘ ওর ঠোট জোড়া নিজের ঠোটের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে………..
—“”” উমমম উমমম,,, আল্লাহ গো রাক্ষস টা আবার তার রং দেখানো শুরু করে দিছে … এখন মুই কিতা করতাম…”””
ফারহা মেঘ কে সরানোর ট্রায় করতে থাকে কিন্তু এক চুল ও সরাতে পারলো না উলঠো ফারহা যেন আরো দূর্বল হয়ে পড়লো… ফারহার হাত আলগা হয়ে যেতে মেঘ বুজতে পেরে ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে দেয়ালে ঘুশি মারে দুবার ,,, !! ফারহা মেঘ কে আটকানোর জন্য বেড থেকে উঠে মেঘের হাত ধরে ফেলে……
—“”” ওয়াট আর ইউ ডুয়িং মেঘরাজ …??? হাতে কতোটা লেগেছে দেখেছো ..!!! কেন এতো কষ্ট দিচ্ছো নিজেকে??? “””(ফারহা)
—“”” নিজেকে কেন কষ্ট দিচ্ছি প্রেয়শী তা হয়তো তোমার থেকে বেশি কেউ জানে না …”””(মেঘ ফারহার থেকে দুরে সরে গিয়ে বললো মেঘ)
-মেঘ এভাবে ফারহার থেকে দুরে সরে যাওয়ায় ফারহা মনে মনে ভিষন আহত হয় … মেঘের দিকে না তাকিয়ে ফারহা বলে…..
—“”” মেঘরাজ তোমাকে আর আমার জন্য কষ্ট পেতে হবে না আর না দুরে যেতে হবে কাল তুমি সবটা তোমার কাছে পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে ..!!! কেন আমি তোমাকে না জানিয়ে আমেরিকা গিয়ে ছিলাম….!!!””(ফারহা)
– দু-ফোটা চোখের পানি আপনা আপনি ফারহার চোখ থেকে বেরিয়ে এলো ….. ফারহা মেঘের আড়ালে চোখ মুছে মেঘ কে খেতে বলে ,,, ফারহা ব্যালকনিতে চলে যায় … ফারহা ভাবে ও ওখানে থাকলে হয়তো মেঘ রাগ করে খাবার টাই খাবে না…..ফারহার শরীল দূর্বল থাকায় বেশিক্ষন দারিয়ে থাকতে পারলো না ডিভানে বসে চোখ বন্ধ করে রইল…. কিছুক্ষণ পর ফারহা অনুভব করলো ওর মুখের উপর তরল জাতীয় কিছু পরছে ফারহা ঘাবড়ে গিয়ে চোখ মেলে দেখে মেঘ ওর মুখের উপর ঝুকে তাকিয়ে আছে … ফারহার বুজতে বাকি রইল না মুখের উপর তরল টা মেঘের চোখের পানি ছিলো……!!! মেঘ ফারহার কে কোলে নিয়ে বেডে বসিয়ে দিয়ে নিজ হাতে ফারহা কে খাইয়ে দেয় ফারহা ও কিছু না বলে চুপচাপ খেয়ে নেয় সাথে মেঘ কে ও খাইয়ে দিয়ে প্লেট সরিয়ে রাখে…..
—“”” আ’ম সরি প্রেয়শী ! তোমার সাথে আমার এভাবে রুড বিহেব করা ঠিক হয়নি তোমাকে হার্ড করেছি আমি ,,, আসলে …” বাকিটা বলতে না ফারহা বলে উঠলো …
—“”” হুসসস আমার কাছে তোমাকে ক্ষমা চাইছে হবে না …. তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এর থেকে ও রুড বিহেব করতো ,,,তখন !!!! মেঘরাজ আমি কাল তুমি সব টা জানবে তখন দেখবে আমার প্রতি তোমার এই নারাজি থাকবে না ট্রাস্ট মি…..”””
—“” আমি জানি না কাল তুমি কি জানাবে আমাকে কিন্তু তুমি যাই করো না কেন তোমার আর আমার ছোট্ট প্রিন্সেসের কোন ক্ষতি না হয় …””(গম্ভির গলায় বললো মেঘ)
মেঘ ফারহা কে আর কিছু না বলে মেঘ ফারহা কে বুকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে এতো দুরে জার্নি করে মেঘ অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পরে ফারহা কে বুকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে……
.
🍂
🌺
🍂
*পরের দিন……..
—“” মোহনা কিছু একটা ভাব কি করে এই মেঘ ফারহার হাত থেকে বাঁচা যায়…””(ফাহিম)
—“” ভাইয়া এই খাচায় বন্দি হয়ে কোন কিছু কি ভাবা যায় বলে তোমার মনে হয় ???””(মোহনা)
—“”” জান কিছু তো করো না হলে ফাহাদের মতো অবস্তা হবে আমাদের…”””(আশিকুর)
—“” স্যাট আপ আশিক তোমার জন্য বেশি সমস্যায় পরেছি আমরা কে বলে ছিলো আইরিন কে ফারহার সামনে ধর্ষন করতে হ্যা??? আন্সার মি আশিক??””
মোহনার কথা শুনে আশিক মুখটা কাচুমাচু করে রইল ,,,, ততোক্ষনে জ্যাক এসে দারায় ওদের সামনে……
—“” তো মিস্টার চৌধুরী’স কেমন আছেন আপনাদের আপ্পায়ন ঠিক মতো হচ্ছে তো…….””” মোহনা আর ফাহাদ কে উদ্দেশ্যে করে বললো জ্যাক….
—“” চুপ কর হা** বা** একবার আমাকে খাচা থেকে বার করে দেখ ,,তারপর তোদের কি অবস্তা করি..!!””(মোহনা)
—“” ওহ মাই গড ,, কি করবেন ??গলা কাটবেন?? নাকি হাত পা কাটবেন উপসস খুব সন্মান দিচ্ছি আপনি বলে তাই না মিসেস আশিকুর???””
মোহনা দাঁত কটমট করে জ্যাকের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে… জ্যাক একটা শয়তানি হাসি দিয়ে ইতু মিতুর খাচার দিকে এগোতে থাকে…..
—“” উফফ মেঘরাজ আর খেতে পারছি না আমি থামো প্লিজ এবার…””(বিরক্তি নিয়ে বললো ফারহা )
—“” যাস্ট স্যাটআপ প্রেয়শী ,,আর একটা বারতি কথা বলবে না …চুপ চাপ দুধ টা খেয়ে নেও তারপর মেডেসিন খেতে হবে তোমাকে….”””
ফারহা মেঘের কোল থেকে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু মেঘ ফারহার কোমর এক হাত দিয়ে চেপে ধরায় ফারহা উঠতে পারলো না …. ফারহার কে এভাবে মোচরা মুচরি করতে দেখে মিহু আদিল আফিস মুখ টিপে টিপে হাসতে থাকে .. যেটা দেখে ফারহা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো … রেগে মেগে ফারহা মেঘের গাল চেপে ধরে পুরো দুধটা মেঘ কে খাইয়ে দিলো….
আংশিক এমন ঘটনায় মেঘ মিহু আদিল আফিফ হা করে ফারহার কান্ড দেখছে,,,,,মেঘ ফারহার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকাতে ফারহা আমতা আমতা করে মেঘের গালে টুক করে একটা চুমু দিয়ে একটা কিউট ফেস করে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে…. হঠাৎ করে ছোট বোন স্যালকের সামনে এমন ঘটনায় মেঘ হতবম্ব হয়ে গেল ,,,, ড্যাব ড্যাব করে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে মেঘ ,,, ফারহার কিউট ফেস দেখে মেঘের ইচ্ছে করছে এখুনি ফারহা কে আদর করে দিতে কিন্তু পারছে না কারন ফারহার উপর রাগ করে আছে এটা বোঝানোর জন্য কিন্তু ফারহা আর তা হতে দিলো কই ,,, আদুরে চুমু আর এখন কিউট ফেস করে তাকানো তা দেখে মেঘের রাগ আরো আগে ফুস করে উরে গেছে……
—“” উহুম উহুম ,,,কাশি দিলো মিহু…ভাই রোমান্স টা রুমে গিয়ে করলে হতো না ,,, এখানে আমাদের মতো বাচ্চাদের সামনে রোমান্স করে আমাদের না পাকালে নয় কি???””(দাঁত বের করে দিয়ে বললো মিহু )
মিহুর কথা শুনে ফারহা বিষন লজ্জা পেয়ে যায় কারন ও ভুলেই গেছিলো সামনে ভাই ননদ দেবর বন্ধু বসে আছে ….লজ্জায় লাল হয়ে হুট করে মেঘের কোল থেকে উঠতে যায় তখনি মেঘ ফারহার কোমর খামচে ধরে বলে…..
—“” ডোন্ট ইউ ডেয়ার প্রেয়শী ,,আদার ওয়াইজ আমি তোমাকে কি কি করবো তা তুমি ভাবতেই পারবে না ,,, পুরো দুধ টা খেয়ে গ্লাস টা খালি করো এন্ড রাইট নাও….””রাগি ফেস করে বললো মেঘ ,,,, মেঘের কথা শুনে ফারহা ভয়ে এক নিশ্বাসে পুরো দুধ টা খেয়ে গ্লাস খালি করে ফেলে….মেঘ ফারহার অবস্তা দেখে হাসি পাচ্ছে ভিষন কিন্তু এখন তা হাসা বারন নয় তো ফারহা উলটো রাগ করবে……
—“” পুরো দুধটা খেয়েছি তো ,,এবার তো ছাড়ুন ওরা দেখছে তো??””(ফারহা)
—“” হ্যা ওরা তো দেখেছে তোমার আমাকে চুমু খাওয়ার দৃশ্যটা তাই না গাইস…””(মেঘ)
—“” ইয়েস জিজু…””
—“” দিলে তো মিহু আদি আর আফিফের সামনে আমার প্রেস্টিজ টা পান্সার করে শান্তি হলে… এখন দয়া করে রুমে চলো তোমাকে আমাকে রেডি হতে হবে….””(ফারহা)
—“” ভাবি কোথাও যাবে না তুমি ডক্টর তোমাকে বেড রেস্ট নিতে বলেছে ..””(মিহু)
—“” ননোদিনী আমি তোমার ভাইয়ের সাথে যাবো আর আসবো সত্যি বলছি তারপর বেড রেস্ট নিবো …””
—“” প্রেয়শী তোমাকে যেতে হবে না কোথাও তুমি বাড়িতে থাকবে…””
—“” তা হয় না মেঘরাজ!! আমাকেযে আজ বের হতেই হবে আর তুমি আমার সাথে যাবে প্লিজ মেঘ না করো না … “”
—“” ওকে ফাইন চলো..””
মেঘ ফারহা কে নিজ হাতে রেডি করে দিয়ে ফারহা কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো……..
🌿
🌺
🌿
—“”” সামিরা বেবি তিন্নি কোথায় ওকে কোথাও দেখছি না যে …??””(আগুন)
—“” ওকে আর বাবা মা কে ,,, এই বাড়ির পিছুনে যে ছোট্ট ঘর টা আছে ৷ ওখানে আটকে রেখেছি…””(সামিরা)
—“” বাট হুয়াই বেবি!! মেয়েটা তো শুনলাম তোমার বোন তাহলে কেন এমন বিহেবিয়ার করছো???””(আগুন)
—“” বোন মাই ফুট ,,, টাকার কাছে এই ভাই বোনের সম্পর্ক তুচ্ছ আমার কাছে… বুজতে পেরেছো জান!!! বাই দ্যা ওয়ে আমরা বিয়ে করছি কবে ???”””(সামিরা)
—“” নেক্টস উইকে ,, তুমি তোমার ড্যাড কে আমাদের বিয়েতে থাকতে বলো ….আর আমার ড্যাডকে ও”””(আগুন)
—“” এই রে এখন কি হবে !! আঙ্কেল কে তো আমি নিজ হাতে শুট করে মেরেছি তাহলে এখন কি করে মরা মানুষ কে আগুনের সামনে দার করাই???নাহ কিছু তো একটা ভাবতেই হবে !! কোন ভাবে একবার বিয়ে টা হয়ে গেলে আর কোন প্রব্লেম থাকবে না কিন্তু এখন আগুন কে মিথ্যে বলতে হবে…” হ্যা হ্যা আসবে তো তোমার আর আমার ড্যাড আমাদের বিয়ে এটেন্ড করবে কথা দিলাম…””(সামিরা)
—“” দেখি মিস সামিরা খান্না আর কতো নিচে নামতে পারো তুমি ,!!! মৃত মানুষ কে কি করে আমার সামনে এনে দার করাও কিন্তু তার আগে তিন্নি আর ওর বাবা মা কে ছাড়াতে হবে সামিরার হাত থেকে……. ” “ওকে জান এ্যাজ ইউর উইস…”(আগুন)
🍂
🌺
🍂
ফারহা মেঘ কে নিয়ে মোহনা ফাহিম আশিকুর যেখানে আছে সেখানে নিয়ে আসে … মেঘ কপাল কুচকে ফারহা কে জ্বিগাসা করে…..
—“” প্রেয়শী এখানে আশার কারন কি ?? এখানে তো…..”বাকি টা বলতে না দিয়ে ফারহা বলে উঠলো…
—“” মেঘরাজ আমার দিকে এভাবে না তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখো তোমার জন্য সার্প্রাইজ অপেক্ষা করছে….””(ফারহা)
মেঘ ফারহার কথা শুনে সামনে হুইল চেয়ারে বসা মানুষ টিকে দেখে মেঘের চোখ মুখের রং মুহূর্তে পালটে গেল কপালের রগ দুটো রাগে যেন ফুলে উঠলো …….ফারহা আর কিছু বলার সাহস পেল না কারন মেঘ নিজেই সেই মানুষটার কাছে ধিরে ধিরে এগিয়ে যেতে লাগলো…………
.
🍁
🌺
🍁
#চলবে……………………..
[বিঃদ্রঃ স্টিকার কমেন্ট না করে গঠন মূলক কমেন্ট করুন ]