হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৫৪

0
659

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৫৪
🌿
🌺
🌿
—“” মেঘরাজ আমার দিকে এভাবে না তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখো তোমার জন্য সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে….””(ফারহা)

মেঘ ফারহার কথা শুনে সামনে হুইল চেয়ারে বসা মানুষ টিকে দেখে মেঘের চোখ মুখের রং মুহূর্তে পালটে গেল কপালের রগ দুটো রাগে যেন ফুলে উঠলো …….ফারহা আর কিছু বলার সাহস পেল না কারন মেঘ নিজেই সেই মানুষটার কাছে ধিরে ধিরে এগিয়ে যেতে লাগলো…………

—“” মে,,,ঘ তু,,,ই এখানে…..”””(মেঘ কে দেখে ভয়ে জেরিন তোতলাতে তোতলাতে বললো)

—“” কেন আমাকে দেখে বুঝি তোমার ভালো লাগেনি ছোট দাদী ..???””(তাচ্ছিল্যের সুরে বললো মেঘ)

জেরিন মেঘের কথা শুনে রাগে ফোস ফোস করতে লাগলো ,,,,,

—“”” তোর সাহস কি করে হয় আমাকে এভাবে তুলে আনার ??? তুই ভুলে যাচ্ছিস আমি কে তোর কি হই????””(রাগে ফোস ফোস করতে করতে বললো জেরিন)

জেরিনের কথা শুনে মেঘ গা কাপিয়ে হাসতে লাগলো …. মেঘের হাসির শব্দে পুরো রুম কম্পিত হতে লাগলো…. ফারহা দুরে দারিয়ে মেঘ আর জেরিনের কথা শুনছিলো ,,,কিন্তু হঠাৎ করে ফারহার নজর পরলো আশিকুরের উপর … আশিকুর খাচার দরজা খোলার চেষ্টা করছে…. ফারহার ঠোটের কোনে এক ঝলক হাসি ফুটে উঠল …. ফারহা ধিরে ধিরে মেঘের পাশে গিয়ে দারায়……. মেঘ ফারহা কে পাশে দারাতে দেখে জেরিনের উপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ফারহার দিকে তাকিয়ে ফারহার গাল দুটো আলতো করে ধরে বলে…….

—-“” আ’ম সরি প্রেয়শী ,,, আমি তোমাকে ভূল বুজেছি… তোমাকে বুজতে পারিনি জান ,,, যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসি তাকে সন্ধেহ করেছি ছিঃ,,,,,,,,এখন নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে,,,,, আমাকে প্লিজ ক্ষমা করো প্রেয়শী ….””

—“” হুসসস (মেঘের ঠোটের উপর আঙ্গুল দিয়ে থামিয়ে দিল ফারহা ) আর একটা কথাও বলবে না মেঘরাজ ,,,, আমি এই মেঘ কে চিনি না ,,, আমার রাক্ষস বর টা কোথায় লুকিয়ে রেখেছো তুমি হ্যা???… আমি তোমাকে নয় ,,!!! আমি আমার রাক্ষস বর টা কে চাই যে কিনা তার রোমান্টিক টর্চার করে সারাক্ষন,,, হুট হাট করে চুমু খাওয়া আমার সব আবদার রাখা ,,, চোখে হারানো বর টা চাই এই বর টা চাই না আমার …(মুখ ফুলিয়ে)

ফারহার কথা শুনে মেঘের শিরদারায় ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল … মেঘ ভাবতে পারছে না তার প্রেয়শী তাকে এতোটা ভালোবাসে ….. ফারহা কে মেঘ বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কপালে আলতো করে চুমু দেয় মেঘ……..

—“” জান আজকের পর থেকে তুমি তোমার পুরনো রাক্ষস বর টা কে খুজে পাবে আই প্রমিস ইউ ,….”””(ফারহা কে বুকে জরিয়ে ধরে বললো মেঘ)

—“” মেঘরাজ মনে আছে আমেরিকা জাবার আগে তোমার কাছে চেয়েছিলাম??? এখন আমি তা চাইছি আশিকুর কে আমার হাতে তুলে দেও….??””(ফারহা)

—“” তোমার হাতে তুলে দিবো মানে !!! কি করতে চাইছো প্রেয়শী??? আমি চাই না তোমার হাতে এই জানোয়ারদের রক্তে রঙ্গিন হোক তাই এই ভাবনা বাদ দিয়ে অন্য কিছু চাও…””(মেঘ)

—“” বুজতে পেরেছি মেঘরাজ তুমি সহজে মানবে না আমাকে অন্য কিছু করতে হবে…..””(মনে মনে বললো ফারহা)

– ফারহা মেঘ কে ছেড়ে দারিয়ে ,,, মেঘের কোমর থেকে গান বের করে নিজের মাথায় ঠেকিয়ে ধরে ফারহা তা দেখে মেঘ ঘাবড়ে যায়……

—“”” প্রেয়শী কি কি করছো লেগে যাবে গান নামাও প্লিজ প্রেয়শী …”””( ভয়ে ভয়ে বললো মেঘ)

—“”” নাহ মেঘরাজ ,,, আমি গান সরাবো না যতক্ষণ না তুমি আশিকুর কে আমার হাতে তুলে দিচ্ছো ততোক্ষন আমি গান সরাবো না ,,, তুমি আশিকুর কে আমার হাতে তুলে দিবে নয় তো আমি নিজেকে শুট করে দিবো নাও চয়েজ ইজ ইউর’স…??””

—-“” প্রেয়শী তুমি তো কখনো এতো হিংস্র ছিলে না ,,, তোমার মধ্যে সব সময় এক স্নিগ্ধতা বিরাজমান করে ,,, তোমাকে এটা মানায় না প্রেয়শী প্লিজ গান টা আমাকে দিয়ে দেও… বলে ফারহার দিকে এগোতে নিলে ফারহা দু পা পিছিয়ে যায়….””

—“” স্টপ মেঘরাজ !!! আর এক পা যদি এগোয় তাহলে আমি সত্যি নিজেকে শুট করে দিবো ,,,,,”””

—“” না না আমি আর এগোবো না প্লিজ ডোন্ট ডু দিস প্রেয়শী আমি আশিকুর কে ছেড়ে দিচ্ছি…..””

মেঘের কথা শুনে আশিকুরের মুখে বিজয়ের হাসি ফুটে উঠল ,,,,

—“” ওহ গড এ্যাট লিস্ট ফারহা আমাকে নিজের বাবা ভেবে মেঘের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছে ৷ একবার ছাড়া পাই তারপর ফারহা কে ও শেষ করে দিবো ……..আর মোহনা ও মরলে ওর সব সম্পত্তি আমার নামে হয়ে যাবে ,,, উফফফ ভাবতেই কি আনন্দ হচ্ছে আমার ….”””(আশিকুর)

মেঘের ইশারায় জ্যাক আশিকুর কে খাচা থেকে বের করে ,,, ফারহার সামনে দার করায় ,,, আশিকুর ফারহার কাছে এসে ফারহা কে জরিয়ে ধরতে নিলে ফারহা আশিকুরের দু উরুর মাঝ বরাবর এক লাথি মারে ,,, আশিকুর লাথি খেয়ে বসে পরে …. আংশিক ফারহার এমন কান্ডে মেঘ আসলাম জ্যাক হতোবাক হয়ে যায়…….

—“” ইউ ব্লাডি বিচ তোর সাহস কি করে হয় আমাকে টার্চ করতে আসার ,,,, আমি কিচ্ছু ভুলিনি নি ,,,আমার সামনে আমার মাম্মাম কে তুই ,,, বলতে বলতে থেমে যায় ফারহা…তারপর আবার বলতে শুরু করে…. মেঘরাজ আমি কথা দিচ্ছি তোমার সব কথা আমি মেনে চলবো কিন্তু আজ আমাকে অনুমতি দেও এই জানোয়ার টাকে নিজের হাতে শেষ করার….???

—“”” কিন্তু!!!!”””

—“” কোন কিন্তু নয় তুমি হ্যা অথবা না বলবে …??””(কঠিন গলায় বললো ফারহা)

মেঘ কি বলবে বুজতে পারছে না কিন্তু আজ যদি তার প্রেয়শীকে না বলে তাহলে প্রেয়শী হয়তো সেটা মানবে কিন্তু এর জন্য প্রেয়শী যদি আবার দুরে সরে যায় ??? একটু একটু ভয় মেঘের মনে দানা বাদচ্ছে… মেঘ সব দ্বিধা দুরে সরিয়ে দিয়ে ফারহা হ্যা বলে ….. মেঘের মুখে হ্যা শুনে ফারহার ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠল ….. মেঘের গান টা কোমরে গুজে পাশে পরে থাকা রড টা তুলে নিয়ে স্বজোড়ে আশিকুরের মাথায় বাড়ি মারে ,,,; আশিকুর যন্ত্রনায় ছটপট করতে লাগলো আর মোহনা খাচায় বসে আশিকের নাম ধরে চিৎকার করে কান্না করছে ,,,, জেরিন শান্ত চোখে সব টা দেখছে…….

—“”” এই এই হাত দিয়ে আমার মাম্মামের গলা টিপে ধরে ছিলিস তাই না….”” বলে ফারহা আশিকুরের হাতে ধাড়ালো ছুড়ি দিয়ে এক কোপ দেয় সাথে সাথে আশিকুরের শরীল থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়…. আশিকুর গলা কাটা মুরগির মতো ছটপট করে চিৎকার করতে লাগলো যে চিৎকার শুনে ফারহার কান জুরাচ্ছে…. ফারহা ছুড়ি টা দিয়ে আশিকুরের বুক বড়াবড় ঢুকিয়ে দিয়ে এক টানা দশ থেকে বারো বার বুকে ছুড়ি মাড়তে থাকে ….. ফারহার তাতেও সন্তস্টি হয় না … আশিকুরের গলায় পোচ দিয়ে দেহ থেকে গলা আলাদা করে দেয় …. ফারহার এমন ভয়ঙ্কর রুপ দেখে মেঘ সহ্য করতে না পেরে ফারহার হাত থেকে ছুড়ি টা ছিনিয়ে নিয়ে দুরে ছুড়ে মারে … তারপর ও ফারহা আশিকুরের মৃত্য দেহ কে আরো ক্ষত বিক্ষত করার জন্য কোমর থেকে গান বের করে আশিকুরের মৃত্য দেহের উপর শুট করে … !! মেঘ দ্রুত ফারহার হাত থেকে গান টা ছিনিয়ে নিয়ে বলে…….

—“” প্রেয়শী কাম ডাউন ,,, যাস্ট সি ,, আশিকুর আর বেচে নেই ও মৃত্য ..””(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে ফারহা শান্ত হয়ে আশিকুরের দিকে তাকায়…. মাথা হাত বিচ্ছিন্ন দেহ ,,,, বুক টা ছুড়ির আঘাতে ছিন্ন বিন্ন হয়ে আছে ,,, আশিকুরের রক্তে ফারহার হাত দুটো লাল রঙে রঙিন হয়ে আছে …. আশিকুর যে মরেছে এটা দেখে ফারহা এক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে …. আসলাম একটা চেয়ার এনে ফারহা কে বসিয়ে দেয় …. জ্যাক পানি নিয়ে আসে ফারহার হাতের রক্ত ধুয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু ফারহা জ্যাক না বলে ….. জ্যাক বা মেঘ কেউ আর ফারহা কে ঘাটালো না………

জ্যাক আশিকুরের শরীলের টুকরো গুলো পুলে ফেলে দেয় সাথে সাথে ব্লাকডাইমন্ড (কুমির) আশিকুরের মৃত্য শরীলের উপর ঝাপিয়ে পরে….. পুলের পানি টকটকে রক্তে লাল হয়ে আছে…… ফারহা যখন আশিকুরের দেহ থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলে তখনি তা দেখে মোহনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ,,, ফাহিমের মুখে ভয়ের ছাপ.. আর জেরিন সে এখন তার শান্ত দৃষ্টিতে সব টা দেখে যাচ্ছে তার মুখে না ভয়ের ছাপ আর না কোন বেচে থাকার আকুতি ……..

মেঘ আসলাম কে বলে ফারহা কে বাড়িতে দিয়ে আসতে এই অবস্তায় ফারহার এতোটা মানুষিক চাপ নেওয়া ঠিক না …. মেঘ নিজে যেতে চেয়েছিল কিন্তু মেঘ চায় আজই তার মম ড্যাডের ক্ষুনি কে শাস্তি দিতে….

আসলাম ফারহা কে নিয়ে বেরিয়ে যায় ….. আর এদিকে মেঘ জেরিনের দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে তার দিকে এগিয়ে গেল……

—“” মেঘ তুই আমার এক ছেলে আর জামাই কে মেরেছিস ,,,; মেনে নিলাম কিন্তু আমার বাকি দুই ছেলে মেয়ের দিকে হাত বাড়াবি না ,,,, যদি বারাস তাহলে তোকে আমি নিজের হাতে শেষ করে দিবো ,,, যে ভাবে আমার প্লান এক্সিকিউট করে আমার ছেলে মেয়েরা তোর মম ড্যাড মানে মেহবুব আর মেহরিমা কে মেরেছে ঠিক সে ভাবে………””” (জেরিন)

জেরিনের কথা গুলো যেন আগুনে ঘি ফেলার মতো কাজ করল ,,,, মুহূর্তে মেঘের চোখ মুখ আরো হিংস্র রুপ নিলো… আগুন চোখে জ্যাকের দিকে তাকাতে জ্যাক খাচা থেকে ফাহিম কে বার করে ইতু মিতুর খাচায় ছুড়ে মাড়লো ….. ইতু মিতু ফাহিমের উপর ঝাপিয়ে পরলো… ইতু মিতুর থাবা খেয়ে ফাহিম সেন্সলেস হয়ে গেলে ইতু মিতু সে ভাবেই ফাহিমের শরীলের মাংস ছিড়ে খেতে লাগলো…. এটা দেখে জেরিন সহ্য করতে পারলো না ,,,, হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দারিয়ে মেঘের গলা চেপে ধরে …. মেঘ জেরিন কে ধাক্কা মারে ,,, জেরিন টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে মুখ থুপরে পরে….. মোহনা জেরিন কে পরে যেতে দেখে মম বলে চিৎকার করে ওঠে……….
.
🍁
🌺
🍁

ফারহা রক্ত মাখা হাত নিয়ে বসে আছে আদিলের সামনে ,,,, আদিলের দু-চোখ পানিতে টলমল করছে যেন যে কোন সময় বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরতে পারে আদিলের বুজতে বাকি নেই যে তার বোনের হাতে এটা কার রক্ত ,,,, এই রক্ত যে তার বাবা মায়ের এটাই ধারনা করে নিলো আদিল,,, আদিল মুখ ঘুড়িয়ে চোখের পানি মুছে নিয়ে ফারহার পাশে বসে পরলো……

—“” আপু এই সব কি হ্যা তুই না অসুস্থ আর এই অসুস্থতা নিয়ে রং নিয়ে খেলা করছিস যেখানে আর কিছু মাস পর তোর বাচ্চারা খেলা করবে….”””(আদিল)

আদিলের কথা শুনে ফারহার চোখ বেয়ে পানি পরতে নিলে ,,, আদিল যত্ন সহকারে সে চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে………

–“” আমি জানি আপু তোর হাতে এই রক্ত লেগে থাকার কারন ,,,, আমি জানি তুই যা করেছিস একদম ঠিক করেছিস ,,,, আদিলের কথা শুনে ফারহা কিছু বলতে যাবে তার আগে আদিল বলে ওঠে…. চুপ বাচাল মেয়ে আগে আমার কথা শোন ,,, যখন মামু প্রথম আমাদের বাড়িতে এসেছিলো সে দিন রাতেই আমি সব টা জানতে পারি তোর আসল পরিচয় ,,, তুই কে কার মেয়ে ইভেন মেঘ জিজুর বিষয় টাও তারপর আমি জিজুর সাথে মিট করি জিজুর কাছে বাকিটা সব জানি তুই বিশ্বাস কর আপু সে দিন থেকে মোহনা বা আশিকুর নামে আমার কোন বাবা মা ছিলো তা ভুলে গেছি আমি মনে করি তুই আমার বাবা তুই আমার মা তুই আমার সব … আর তাই মামু আর মামনির স্বরযন্ত্রের হাত থেকে তোকে বাচাতে জিজুর সাথে যোগাযোগ করতে হয় ,,, জিজু কে খুজতে প্রথমে অনেক কষ্ট করতে হয় কিন্তু এদিন তোর কলেজে গিয়েছিলাম এক বন্ধুর প্রয়োজনে তখন দেখি কিছু লোকেরা তোর উপর নজর রাখছে…ব্যাস. আমি তাদের সাথে কথা বলে জিজুর ফোন নাম্বার নিয়ে নিলাম ,,তারপর থেকে ওনাকে মোহনা আর ফাহিমের সব বাকি খবর গুলো আমি দিতাম….. আর একটা কথা তুই কখনো গিল্টি ফিল করবি না ,,, কারন তুই যা করেছিস ঠিক করেছিস তোর জায়গায় আমি থাকলে আমি ও এমন টাই করতাম ,,,, এখন এরকম পেতনির মতো বসে না থেকে ফ্রেস হয়ে আয় তারপর দু ভাই বোন মিলে কেরাম খেলবো.. দেখবো আজ কে জিতে তুই না আমি…. “”

আদিলের কথা শুনে ফারহা হেসে ফেললো … ফারহার মুখে হাসি দেখে আদিল ও হেসে ফারহার নাক টেনে দিলো….

— “”বুচি ,, বসে না থেকে ফ্রেস হতে যা আমি কেরাম বোর্ড নিয়ে আসছি…””

– এতোক্ষন আফিফ মিহু আসলাম দারিয়ে আদিল আর ফারহার কথা শুনছিলো… নিজের বোন না হয়ে ও যে এতো ভালোবাসা এতো বিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলো দু-ভাই বোনের খুনসুটি …. কিন্তু শুধু ফারহা কে নিয়ে কেরাম খেলবে বিষয় টা মিহু আফিফ মেনে নিতে পারলো না ,,, প্রতিবাদ জানালো…..

—“” এই মিস্টার ভাবি আমার আর আপনি একা ভাবির সাথে খেলবেন তা হবে না আমরাও খেলবো হু..””(মিহু)

—“” রাইট মিহু ,,, আদিল আমি মিহু আর তুমি আর ফারু আমরা একসাথে কেরাম খেলবো ,,,,শুধু যে তোমরা দুজন খেলবে তা হবে না…”””(আফিফ)

—“” হয়ে গেল ,,, ওকে ঠিক আছে , তাই হবে..””(আদিল)

মিহু ফারহা কে ধরে নিয়ে রুমে গিয়ে ফ্রেস করিয়ে এনে ফ্রুট জুস খাইয়ে দিয়ে বেড রেস্টে থাকতে বলে…..

—“” ভাবি কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে নেও তারপর না হয় আমরা গেম খেলবো ওকে….””

ফারহা আর কথা না বাড়িয়ে হ্যা বলে চোখ বন্ধ করে ফেলে………
.
🌿
🌺
🌿
.
—“””জ্যাক সব রেডি তো..???”””(মেঘ)

—“” ইয়েস কিং ,,, আপনার কথা মতো সবটাই এরেন্জ করা হয়েছে ..””(জ্যাক)

–“” তাহলে আর দেরি কেন ,,, অপরেশনে বেরিয়ে পরা যাক….”””(মেঘ)

—“” ইয়েস কিং ,,, দলের সবাই রেডি আছে ,,, এখন আপনার পারমিশন পেলে সবাই বেরিয়ে পরবে….””(জ্যাক)

—“” হ্যা ,, সবাই কে গাড়ি নিয়ে বের হতে বল ,,, অপারেশন শেষ করে ,,, জেরিন চৌধুরী আর আর মোহনা কে দেখছি……”””(মেঘ)

মেঘের কথা মতো জ্যাক দল বল নিয়ে বেরিয়ে পরে ,,, মেঘ তার বুলেট ফ্রুফ কার নিয়ে বেরিয়ে পরতে …. সূর্য সামিরা কে কল করে……….
.
🍁
🌺
🍁
#চলবে………………. 🙄

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here