#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-২৪ (বিশেষ পর্ব)
৪৪।
প্রহর চুপচাপ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ দুটি লালচে আকাশের মাঝেই স্থির। হঠাৎ মায়ের কন্ঠ শুনে সে পেছন ফিরে দেখলো, মা তার ঘরে এসেছে। মাকে দেখে সে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘরে ঢুকলো। ঘরে ঢুকে দেখলো মিসেস মাসুমা আকতার বিছানার চাদর ঠিক করছেন।
মিসেস মাসুমা ছেলেকে দেখে বিছানায় বসলেন, আর ইশারায় ছেলেকেও বসতে বললেন।
প্রহর মায়ের পাশে বসে মেঝের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। মিসেস মাসুমা ছেলের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
“তুই কি রাগ করেছিস? আমি তোকে যখন থেকেই বলেছি, এই সম্পর্কটা আগাবে না, তখন থেকেই তুই চুপ করে আছিস। কথাও বলছিস না।”
প্রহর মলিন মুখে বললো,
“শুধু কি ওর বাবা-মা আলাদা হয়ে গেছে এটা শুনেই তুমি সম্পর্কটা আগাবে না বলছো?”
মাসুমা আকতার মাথা নেড়ে বললেন,
“বাবা, তুই আমাদের একটা মাত্র ছেলে। তোর বিয়ে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। আর আমার ছেলের তো কোনো কিছুর অভাব নেই। ভালো চাকরি আছে, দেখতেও একদম রাজপুত্রের মতো। তাহলে বিয়ে করার সময়ও তো ভালো ঘর দেখে বিয়ে করা উচিত,।তাই না?”
“আমি ওকে পছন্দ করি। আমার ওকে খুব ভালো লাগে।”
“আমি শুধু তোর জন্যই মেয়েটার খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু মেয়ের বাবার কোনো পরিচয় পেলাম না। শুনেছি, মেয়ের বাবা ভালো চরিত্রের ছিলো না। তাই তার বাবা-মার তালাক হয়ে গিয়েছিলো। আরো শুনেছি, মেয়ের দাদার এইডস হয়েছিলো। এতোকিছু জানার পর ওই ঘরে সম্বন্ধ করাটা ঠিক হবে না, বাবা। বংশ-পরিচয় আর পিতার রক্ত, এসব অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
“মেয়েটা তো অনেক ভালো, তাই না? মেয়ের সম্পর্কে কিছু জেনে নাও নি?”
“হ্যাঁ, শুনেছি৷ সে নাকি খুব চঞ্চল স্বভাবের। আর পড়াশোনায়ও মনোযোগ কম। ওর কলেজের শিক্ষকই আমাকে বললো।”
প্রহর অবাক হয়ে বলল, “চঞ্চল!”
“হ্যাঁ, তোর সাবিলা আন্টি আছে না? আমার বান্ধবী ছিলো? সে মারিয়ার কলেজের শিক্ষিকা। ও-ই বললো মারিয়া সম্পর্কে।”
প্রহর চোখ বন্ধ করলো। সাথে সাথেই তার মায়াবিনীর চেহারাটা ভেসে উঠলো। প্রহর মনে মনে বললো,
“না, মায়াবিনী একদম শান্ত, একদম পুকুরের স্থির পানির মতো। মায়াবিনীর মাঝে নদী বা সমুদ্রের বৈশিষ্ট্য সে দেখে নি।”
চোখ খুলে প্রহর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“হয়তো তোমার ভুল হচ্ছে। আমি ওকে কাছ থেকে দেখেছি। ও মোটেও চঞ্চল নয়। আর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ নেই কে বলেছে? ও প্রচুর বই পড়ে। আমি তো ওকে বাতিঘরেই দেখেছি। মা, সত্যিই তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে। তুমি বাইরের মানুষের কথায় কান দিও না। তুমি নিজে গিয়ে দেখে এসো। ও অনেক লক্ষ্মী একটা মেয়ে।”
প্রহরের অস্থিরতা দেখে মাসুমা আকতার ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
“আমি দেখবো। তুই ভাত খেয়ে নে।”
“ক্ষিধে নেই।”
“কেন, বাবা?”
“মা, তুমি একবার নিজে গিয়ে দেখো। তুমি ওর সাথে দেখা করো। তোমার ওকে খুব পছন্দ হবে।”
এদিকে স্বস্তিকা জেদ ধরে বসে আছে। হয় মাফিনের সাথে তার আক্দ হবে, নয়তো মাফিন জানিয়ে দেবে, এই সম্পর্ক শেষ। স্বস্তিকা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চায় না। মাফিনের খাপছাড়া ব্যবহার সে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
স্বস্তিকা তার আম্মিজানকে বলল,
“আম্মিজান, আপনি আর আব্বা ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে আসুন। এনগেজমেন্ট কোনো বৈধতা নয়।”
“মা, তুমি এতো তাড়াহুড়ো করছো কেন?”
“আম্মিজান, আপনি বুঝতে পারছেন না কেন! উনি আমার সাথে ঠিকভাবে কথা বলেন না। উনি খুব একরোখা স্বভাবের মানুষ। দেখা যাবে, হঠাৎ একদিন বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে যাবেন। তারপর মানুষ আমাকে নিয়েই উল্টোপাল্টা কথা রটাবে। তাই বলছি, হয়তো তিনি এই সম্পর্কটা শেষ করে দিক, নয়তো আমাকে বিয়ে করুক। শুধু আক্দটা করে ফেলতে চাইছি৷ অনুষ্ঠানটা না হয় পরে হবে।”
স্বস্তিকার মা, ফাতেমা জান্নাত মেয়েকে আশ্বস্ত করে বললেন,
“আমি আরিয়ার সাথে কথা বলে দেখছি।”
ফাতেমা জান্নাত এবার সরাসরি স্বামী রিয়াজ তালুকদারকে নিয়ে মাফিনদের বাসায় চলে গেলেন। এরপর আরিয়া, মাফিন ও পরিবারের বাকী সদস্যদের উপস্থিতিতে নিজেদের মতামত রাখলেন। স্বস্তিকার বাবা-মার সামনে মাফিনের ‘না’ করার মতো উপায় ছিলো না। আর মারিয়াও ভাইকে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলো, তার জন্য যাতে স্বস্তিকা ভাবীর সাথে কোনো অন্যায় করা না হয়।
শেষমেশ দুইদিন পরই স্বস্তিকা আর মাফিনের আক্দের তারিখ ঠিক করা হলো। এদিকে আক্দের তারিখ ঠিক হয়েছে শুনার পর থেকে স্বস্তিকার মনের আনন্দের সীমা যেন বাঁধ ভেঙে উঠেছে। সে দু’দিন আগে থেকেই সাজসরঞ্জাম নিয়ে আয়নার সামনে বসেছে। তার রূপচর্চার কোনো কমতি হচ্ছে না।
অন্যদিকে মারিয়ার বিয়ে নিয়ে যতো ধরণের আপত্তি ছিলো তা হঠাৎ কোনো অজানা কারণেই চলে গেলো। সে হঠাৎ আরিয়া ফেরদৌসকে এসে বলে দিলো, তার বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই, তবে একটা শর্তও আছে। আর তা হলো, বিয়ের পর সে এক বছর শ্বশুড় বাড়ি যাবে না, আর এই এক বছরে তাকে পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণ করানোর দায়িত্ব আরিয়ার।
মেয়ের এমন শর্ত শুনে আরিয়া ফেরদৌস অবাক হলেন। সাথে মাহাথি আর সূচনাও অবাক হলো। কিন্তু মাফিনের প্রচন্ড রাগ হলো। সে বলল,
“ভ্রমণ করতে চাইলে আমি তোকে ভ্রমণ করাবো। তার জন্য বিয়ে করতে হবে নাকি?”
মারিয়া বলল,
“মায়ের কি জেদ! দেখছো না? বিয়ে তো আমাকে দিয়েই ছাড়বে। তাই হাতে সময় থাকতে আমারগুলো আমি আদায় করে নিচ্ছি।”
মারিয়ার কথা শুনে মাফিন বোনকে রুম থেকে বের করে দিয়ে বলল,
“এই বাসার সবাই পাগল। তোদের সংস্পর্শে এলে, আমিও পাগল হয়ে যাবো। যা, বের হ আমার ঘর থেকে।”
এদিকে মহুয়া সব শুনে মারিয়াকে বলল,
“তুই বিয়ে করে ফেললে আমি একা কিভাবে থাকবো?”
“কেন? বাসায় দু’দুইটা ভাবী আছে এখন।”
“আমার রাতে একা ঘুমানোর অভ্যাস নেই। ভয় লাগবে। ভাবীরা তো আর আমার সাথে ঘুমাবে না।”
“তাহলে মায়ের সাথে ঘুমাবি।”
মহুয়া ভীত চোখে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত কন্ঠে বলল,
“না, না। তখন আরো ভয় লাগবে।”
“তাহলে আমিই থাকবো।”
“তুই তো শ্বশুড়বাড়ি থাকবি।”
“সমস্যা নেই। বরকে বললে, রাতে বাসায় নিয়ে আসবে। আবার সকালে উঠে শ্বশুড়বাড়ি চলে যাবো।”
মহুয়া কপাল চাঁপড়ে বলল,
“তুই বিয়ের সম্পর্কটাকে কি ভেবেছিস? এতো সহজ না, বুঝলি! বিয়ের পর যখন তখন বাবার বাড়ি আসা যায় না। আর রাতে আমার সাথে এসে থাকলে বরকে সময় দিবি কখন?”
“কেন দিনে দেবো।”
“তার চাকরি থেকে ফিরতে ফিরতে যদি রাত হয়ে যায়?”
“চান্দু, তুই কথাগুলো এতো প্যাঁচাচ্ছিস কেন?”
“আমি প্যাঁচাচ্ছি না। বিয়ে নামক সম্পর্কটাই অনেক প্যাঁচালো। আমি একটা উপন্যাসে পড়েছি, বাঙালী মেয়েদের যেই বয়সেই বিয়ে হোক না কেন! বিয়ে মানেই দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া। আর তোর তো এসব নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। মা, কি বুঝে তোকে বিপদে ফেলছে কে জানে!”
“মা ভাবছে, বাবা যেমন জোর করে মাকে বিয়ে করেছে। নিবিড়ও আমাকে ওভাবে বিয়ে করে ফেলবে।”
“জোর করে বিয়ে করবে মানে কি? এতো সোজা? একদম পুলিশে ধরিয়ে দেবো।”
“মা, তো আর পারে নি বাবাকে পুলিশে দিতে।”
“ওই সিচুয়েশনটা ভিন্ন ছিলো।”
“চান্দু, প্লিজ আর কিছু বলিস না। আমি এতো চাপ নিতে পারবো না। আমার বিয়ে করতেও সমস্যা নেই, না করলেও সমস্যা নেই। কারণ আমার জীবনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি, আমি এবং আমি নিজেই। প্রথম আমি হলো আমার স্বপ্ন, পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করা, দ্বিতীয় আমি হলো আমার পরিকল্পনা, আর এই মুহূর্তে আমার পরিকল্পনায় আছে কাশ্মীর যাত্রা। আর তৃতীয় আমি হলো আমার সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়িত রূপ, যা বিয়ের পরই সম্ভব হবে। আর যে যাই বলুক, নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই আমি বিয়েতে হ্যাঁ বলেছি।”
“মারিয়া, বিয়ে করলেই কি তুই নিশ্চিত ভ্রমণ করতে পারবি?”
“মিতু বলেছে বিয়েই একমাত্র সমাধান। আর বিয়ের পর আমি মধুচন্দ্রিমায় কাশ্মীরে যাবো।”
মহুয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“তাহলে তোর মাথায় এই বিয়ে নামক পোকা মিতু ঢুকিয়ে দিয়েছে!”
“পোকা নয়, কেঁচো। যা আমার মস্তিষ্ক উর্বর করে উত্তম সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।”
মহুয়া বিরক্তির সুরে বলল,
“মেজো ভাইয়া ঠিকই বলেছে। এই বাসার সবাই পাগল হয়ে গেছে।”
দুইদিন কেটে গেলো। আর চলে এলো স্বস্তিকা আর মাফিনের আক্দের দিন। এই দুইদিনে মাফিন একদমই স্বস্তিকার সাথে কথা বলে নি। তবে এ নিয়ে স্বস্তিকার কোনো মাথা ব্যথা নেই। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, আক্দের পর মাফিনকে কিভাবে মানসিক অত্যাচার করবে।
বাদামী বর্ণের একটা কাতান শাড়ি পরে বসে আছে স্বস্তিকা। হাতে দুইটা সোনার চুড়ি, আর গলায় সোনার হার। কবুল বলার পরই সে স্টেজে উঠে বসেছে। আশেপাশের সবাই বউয়ের ছবি তুলতে ব্যস্ত। কিন্তু প্রশ্ন হলো বর কোথায়?
প্রায় বিশ মিনিট পর মাফিন স্টেজে উঠে স্বস্তিকার পাশে বসলো। মাফিনকে দেখে স্বস্তিকা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“আপনি এতোক্ষণ কোথায় ছিলেন?”
মাফিন সোজাসুজি উত্তর দিলো,
“কাজ করছিলাম।”
“আজ আমাদের আক্দ অনুষ্ঠান। আর আজও আপনি কাজ করছিলেন? বড় ভাইজান কি করছিলো তাহলে?”
মাফিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে স্বস্তিকার দিকে তাকিয়ে বলল,
“তোমার কথাবার্তায় যা মনে হচ্ছে, তুমি খুব অসামাজিক একটা মেয়ে।”
স্বস্তিকা আহত দৃষ্টিতে মাফিনের দিকে তাকিয়ে রইলো। আজই তাদের বিয়ে হলো, আর আজই মাফিন তাকে এমন কথা বললো?
স্বস্তিকা মলিন মুখে বললো,
“আপনি যখন তখন মুখে যা আসে বলে ফেলেন।”
“হ্যাঁ, আমি লুকোচুরি করা পছন্দ করি না। আর মানুষের মন রক্ষা করে চলার মতো স্বভাব আমার নেই। আমার যা অপছন্দ তা আমি মুখের উপর জানিয়ে দেই।”
“আর তাই আমার আপনাকে খুব ভালো লাগে।”
স্বস্তিকার কথা শুনে মাফিন তার দিকে তাকালো। স্বস্তিকা আবার বলল,
“আমার কথা বলার ধরণ আসলে ওরকম ছিলো না। হয়তো আমি গুছিয়ে কথাটি বলতে পারি নি, তাই আপনার মনে হলো আমি অসামাজিক। আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি, আজ আপনার একটু রিল্যাক্স থাকা উচিত ছিলো। কাজের চাপ থাকলে অন্য কাউকে সেই কাজটা দিয়ে দিতে পারতেন। বেশি চাপের মধ্যে থাকলে, শরীর আর চেহারার উপর তার প্রভাব পড়ে।”
“দেখো স্বস্তিকা, আমি ওতোটাও বোকা নই যে কারো কথার ধরণ বুঝতে পারবো না। তুমি তখন কি বোঝাতে চেয়েছিলে, আর এখন কেন এভাবে বলছো, তা আমি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। এর আগেও আমি তোমার কথার ধরণ লক্ষ্য করেছিলাম। শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি। তুমি চাইলেও আমাকে ইনফ্লুয়েন্স করতে পারবে না। তুমি চাইলেও আমাকে তোমার মতো অসামাজিক বানাতে পারবে না৷ আমি আমার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করে যাবো। এখন যেহেতু তুমি আমাকে বিয়ে করেই ফেলেছো, তাহলে এখন তুমি ভালো স্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি, দায়িত্ববান ভাবী, সৎ পুত্র বধূ আর ভালো জা হওয়ারও চেষ্টা করবে।”
স্বস্তিকা চুপ করে মাফিনের কথাগুলো শুধু শুনেই গেলো। আর মনে মনে বলল,
“হয়তো আমি কোথায়, কখন, কি বলতে হয়, তা জানি না। তাই আজ আপনার মনে হচ্ছে আমি অসামাজিক কথাবার্তা বলছি। কিন্তু আমি তো আমার কথাটির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছিলাম, আমি আপনার জন্য অনেক চিন্তা করি। কিন্তু আপনি সেটা না বুঝে, বুঝলেন এর উল্টোটা।”
এদিকে মাফিন মনে মনে ভাবছে,
“আমি জানি, স্বস্তিকা অনেক সরল মনের মেয়ে। কিন্তু আমি এটাও জানি ও খুব দায়িত্বজ্ঞানহীন। ওর মধ্যে হয়তো আমার স্ত্রী হওয়ার গুণ আছে। কিন্তু মায়ের পুত্রবধূ হওয়ার মতো কোনো গুণ নেই। ও মোটেও সাংসারিক মেয়ে নয়। আর এর মাধ্যমেই আমি মাকে বুঝিয়ে দেবো, সবসময় তার চিন্তাভাবনা বা তার পছন্দই সঠিক হবে, এটা যুক্তিযুক্ত নয়। এখন একমাত্র স্বস্তিকাই পারবে, মায়ের ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে।”
চলবে-