প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৯

0
795

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৯
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আপা আজ আসি তাহলে,আবার নাহয় একদিন আসবো
.
শান্তর মা আহানার মায়ের হাত ধরে মাথা নাড়িয়ে না বুঝালেন
আহানার মা কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললেন”আপা অনেক রাত হয়েছে,আর থেকে কি হবে?”
.
শান্তর মা বারবার মাথা নাড়াচ্ছেন
.
শান্ত তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে হাঁচি দিতে দিতে এসে বললো “থেকে যান আন্টি আমি বরং আপনার ধানিলঙ্কাকে বাসায় দিয়ে আসবো”
.
না বাবা ওকে একা রাখা যাবে না,মেয়ে মানুষ,কত বিপদ আপদ হয়,বরং আমি যাই ওকে নিয়ে
.
শান্তর মা শান্তর দিকে চোখ বড় করে তাকালেন
শান্ত অসহায় লুক নিয়ে বললো”আচ্ছা তাহলে আহানাকে নিয়েই থাকেন,কোনো সমস্যা নেই”
কথাটা বলে শান্ত নাক ডলতে ডলতে নিজের রুমে ফিরে আসলো
আহানা বাথরুম থেকে হাত ধুয়ে বাইরে বের হয়ে শুনলো মা বলতেছে আজ তারা এখানে থেকে যাবে
আহানা মনে মনে ভাবলো “গন্ডারটা তো তাহলে ভালো করে জ্বালাবে”
ওপাশ থেকে জোরে জোরে হাঁচির আওয়াজ আসতেছে
মা হুইলচেয়ার ঘুরিয়ে ড্রয়ার থেকে ঔষধের পাতা নিয়ে রিপার হাতে দিলো শান্তকে দিয়ে আসার জন্য
রিপা তখন বুয়াকে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে কি করে মাংসে ফোড়ন দিবে
তাই সে ঔষধের পাতাটা টেবিলের উপর রেখেই কাজে মন দিলো
আহানার অপরাধবোধ ফিল হচ্ছে কারণ তার জন্যই আজ শান্ত কতবার শাওয়ার নিয়েছে আর তাই এখন ওর ঠাণ্ডা লেগেছে
তাই ঔষুধের পাতা নিয়ে সে পা টিপে টিপে শান্তর রুমের সামনে আসলো
রুমের দরজা বন্ধ,বাইরের করিডোরটা সম্পূর্ণ অন্ধকার
আহানা ঢোক গিলে দুবার নক করলো দরজায়
শান্ত শুয়ে শুয়ে টিভি দেখতেছিলো,দরজায় নক হতেই বিছানা থেকে নেমে একটা টিসু দিয়ে নাক মুছতে মুছতে দরজা খুলতেই দেখলো আহানা ভূত দেখার মত চেয়ে আছে ওর দিকে
.
কি চাই?আবার কাদা লাগাতে আসছো?১০০বারে শান্তি হয়নি তোমার??তোমার কারণে আমাকে সর্দি জ্বর ধরেছে,কাল অফিসে যাওয়াটা টাফ হয়ে যাবে আমার জন্য
.
😒তো আমি কি হুদাই এসব করসি নাকি
.
তোমার সাথে ঝগড়া করার মুড নাই আমার এখন বের হও এখান থেকে
.
ধরেন ঔষুধ!আন্টি আপনাকে এটা খেতে বলেছে.আমি এমনি এমনি আসিনি এখানে হুহ!
.
শান্ত প্যারাসিটামলের পাতাটা হাতে নিয়ে সেটার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে তারপর আহানার দিকে তাকালো
ছোটবেলার সব ঘটনা শান্তর মনে থাকলেও আহানার কিছু মনে নেই
কারণ তখন সে ৪বছরের ছিল,এখন ২১বছরে পা রেখে ৪বছরের ঘটনা মনে থাকার কথা না যদিও
শান্ত তখন ৮বছরের ছিল হয়ত,তাই তার স্পষ্ট সবটা মনে আছে
.
কি?এমন করে আসামিদের মতন হাসতেছেন কেন?
.
আমার টেডি স্মাইল তোমার কাছে আসামিদের হাসির মতো লাগে?
.
অবশ্যই,ঐ যে একদল আসামি আছে না,জেলে ঢুকার সময় বলে”হেহে আমি তোমাকে ছাড়বো না,হেহে!!আমি কাল পরশু বেরিয়ে পরবো হেহে! ওরকম
.
আমার সাথে কিসের তুলনা করতেছো,তুমি নিশ্চয় যুক্তিবিদ্যায় ফেল মারতা তাই না?
এসব যুক্তি দিয়ে অন্তত পাশ করা সম্ভব নাহ
.
এক্সকিউজ মি!আমার সাবজেক্ট যুক্তিবিদ্যা না ইসলাম শিক্ষা ছিল
.
ওহ আচ্ছা তাই তো বলি যুক্তিতে এত কাঁচা কেন
.
বাই!আপনার সাথে ঝগড়া করার কোনো মুড নাই আমার
.
এই দাঁড়াও দাঁড়াও
.
আবার হাত ধরসেন আমার,আপনার চরিত্র এমন ঢিলা কেন?কথায় কথায় মেয়েদের হাত ধরেন,বেয়াদব মার্কা স্বভাব
.
ছিং মার্কা পোস্ট থেকে বেয়াদব মার্কা স্বভাব! হোয়াট এ লজিক
.
একটা হলেই হলো,হাত ছাড়ুন বলছি
.
আমি ঔষুধ খাব আর তুমি খালি মুখে বসে থাকবা?তা তো হচ্ছে না
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”তো কি করবেন এখন?”
.
শান্ত চুপচাপ পাতা থেকে ঔষুধ বের করে পানি দিয়ে নিজে খেয়ে নিলো
আহানা এখনও বোকার মতন চেয়ে আছে ওর দিকে
শান্ত আরেকটা ঔষধ বের করলো তারপর দাঁত কেলিয়ে আহানার মুখ টিপে ধরে ওর মুখের ভিতর ঔষধ ঢুকিয়ে পানিও খাইয়ে দিলো সাথেসাথে
আহানা কাশতে কাশতে দূরে চলে গিয়ে বললো”আপনি একটা বেয়াদব! আপনার অসুখ বলে আপনি ঔষুধ খাইছেন ভালো কথা,আমাকে কেন খাওয়াইলেন?আমার কোনো অসুখ নাই শুধু শুধু আমাকে ওষুধ খাওয়াইলেন কেন?
.
আমি ঔষুধ খেলে তুমিও খেতে হবে,তোমার অসুখ থাক বা না থাক,ছোটবেলা থেকে এটাই চলে আসছে
.
আহানা কথা থামিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলো,এ ব্যাপারে মা একবার ওকে বলেছিলো,ছোট বেলায় শান্ত ঔষুধ খেলে আহানা খিলখিল করে হাসতো তাই সে আহানাকে জোর করিয়ে সেম ঔষুধটা খাইয়ে দিয়ে নিজে হাসতো
.
তততততততো মানে কি,আমি কি এখন হাসতেসিলাম নাকি?
.
শান্ত মুখটা বাঁকিয়ে হাত দিয়ে থুতনি ডলতে ডলতে বললো”তাই তো!!আসলে আমার মনে হয় তুমি সেই আহানা না
সেই আহানা হলে হাসতো এখন
.
শুনুন!আমার আর কাজ নাই আপনাকে প্রমাণ দেওয়ার যে আমি আহানা নাকি অন্য কেউ!ফালতু!
আর একটা কথা আপনি ঔষধ খাওয়ার সময় হাসতাম কেন জানেন? ছোট বেলায় কেন হাসতাম জানি না তবে আজও হাসি আসছিল বাট আমি হাসিনি,কারণ হুদাই ঝগড়া বাড়ানোর ইচ্ছা আমার নাই
আপনি ঔষুধ হালকা চুষে তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলেন বলে হাসি পাচ্ছিলো,হয়ত ছোটবেলায় ও এমন করে খেতেন তাই আমি হাসতাম,আজ হাসিনি কারণ এখন আমি যথেষ্ট বড় হয়ে গেছি
.
ইহ লে কত বলো হয়ে গেছে লে!!
.
আহানা চোখ রাঙিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো রুম থেকে
এই জন্য মানুষের ভালো করতে নেই
এই লোকটা সুন্দর করে কোনো কথায় বলতে পারে না
.
আহানা ড্রয়িং রুমে আসতেই দেখলো শান্তর মা ওর মাকে আর রিপাকে নিয়ে ভিতরের রুমে আছেন
তাদের দেখা যাচ্ছে,আহানা ভিতরে ঢুকতেই ইয়া বড় হা করলো
শাড়ী আর শাড়ী,রিপা আলমারি থেকে এক এক করে বের করছে,সব সুতির শাড়ী
মা আহানাকে দেখে মুচকি হেসে বললেন”দেখ না আহানা,বুবু আমাকে এত এত শাড়ী দিচ্ছে পরার জন্য,আমি মানা করলাম উনি আমার মানা শুনেনই না
.
আহানা একটা শাড়ী হাতে নিয়ে বললো”বাহ এটা তো বেশ সুন্দর,খয়েরী রঙের সুতির শাড়ী সবসময় সুন্দর হয়”
.
শান্তর মা হাত বাড়িয়ে আহানার দিকে ধরলো শাড়ীটা
.
না আন্টি!আমি শাড়ী ঠিক করে পরতে পারি না😰কখনও পরি নাই,সবসময় থ্রি পিস পরি
.
তারপরেও শান্তর মা হাত বাড়িয়ে ধরেই রেখেছেন তাই আহানা বাধ্য হয়েই শাড়ীটা হাতে নিলো
গেস্ট রুমে আহানা আর তার মা শুবে,রিপা তাই সেই রুম রেডি করতেছে
আহানা শাড়ীটা নিয়ে সেই রুমটায় আসলো,গেস্ট রুম যেমন হয় আর কি
একটা বিছানা,একটা ওয়ারড্রোব আর ড্রেসিং টেবিল
আহানা শাড়ীটা বিছানার উপর রেখে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো
বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে সামনে তাকালো,রুমটা শান্তর মায়ের পাশের রুম বলে গন্ধরাজ ফুলের বাগানটা হালকা দেখা যাচ্ছে,
আহানা মাথা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করছে গন্ধরাজ ফুলগুলো
পরক্ষনেই ডাক পড়েছে মায়ের
সবাই খেতে বসেছে তাই আহানাকে ডাকতেছে ওর মা
মায়ের মুখে আজ কতটা দিন পর আহানা হাসি দেখেছে
মায়ের ডাকে সে ডাইনিংয়ে আসতেই দেখলো শান্ত ওর দিকে চেয়ে ব্রু কুঁচকে চেয়ার টেনে বসতেছে
.
আহানা ওর বরাবর সামনের সিটে বসলো,সেটাই খালি পেলো তাই
শান্ত লেটুস পাতার সালাদ,গাজরের স্যুপ আর মাসরুম দিয়ে একটা রেসিপি করা হয়েছে সেটা খাচ্ছে,প্রতি বৃহস্পতিবার সে এটা খায় নিয়ম করে,হেলথ ভালো থাকে
আহানা ভাতে মাংস নিয়ে নাড়িয়ে মুখে দিতে দিতে শান্তর খাওয়া দেখছে
শান্ত ফোন টিপতে টিপতে চামচ কেটে কেটে স্যুপ খাচ্ছে
নিতু আহানার পাশে বসে চামচ দিয়ে ভাত খাচ্ছে
আর মা এক লোকমা মুখে দিয়েই হাজার কথার উৎপত্তি ঘটাচ্ছেন,আসার পর থেকে ২ঘন্টা হয়ে গেছে অথচ মায়ের কথাই শেষ হচ্ছে না এখনও
.
শান্ত মাসরুম মুখে দিয়ে চোখ বড় করে আহানার দিকে তাকাতেই আহানা আরেকদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো সাথেসাথে
শান্ত যে উদ্ভট খাবার তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে তাই পর্যবেক্ষন করছিল আহানা কিন্তু তা আর হলো না,শান্ত যে লুক নিয়ে তাকালো বাবারে মারে!!
আহানা আর দ্বিতীয় বার মুখ তুলে ওকে দেখতে যায়নি
শান্ত পুরো খাবার শেষ করে উঠে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে,ঔষুধ খেলো না কারণ তখন ৮টার সময় খেয়েছিলো
মা আর শান্তর মা এখনও খাচ্ছেন,নিতু এঁটো করে চলে গেছে সেও বেশি খায়নি
আহানা নিজের খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে বিছানায় ধপ করে বসে পড়েছে,কাল তো ভার্সিটি নাই,আছে শুধু টিউশনি,যাক শান্তিতে একটু ঘুমাবো তাহলে
আহানা বালিশ টেনে শুয়ে পড়েছে
পরেরদিন ভোর হতেই অভ্যস মতন আহানা জেগে গেলো
মা পাশেই ঘুমাচ্ছেন,আহানা বিছানা থেকে নেমে পা টিপে টিপে রুম থেকে বের হয়ে এবার বাসা থেকে বের হলো
সবাই ঘুমাচ্ছে
আশেপাশে সব খানে আম গাছ খুঁজলো সে কিন্তু পেলো না
যাক বাবা ব্রাশ করবো কি দিয়ে,ধুর ধুর!
তারপর আহানার নজরে পড়লো ছাদে আমগাছের পাতা দেখা যাচ্ছে
কিন্তু আমগাছ তো এত ছোট হয় না তাহলে?
যাক গে আগে দেখে আসি ব্যাপারটা কি
আহানা এবার এক দৌড়ে ছাদে চলে আসলো,ওমা এটা দেখি মিনি সাইজের আমগাছ,টবে করা,দুটো পাতা নিলে কিছু হবে না
আহানা পাতা দুটো নিয়ে দাঁতে ঘষতে ঘষতে পুরো বাড়ি হেঁটে হেঁটে দেখছে
নিতু কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে তার রুমে
শান্তর মা নিজের রুমে হুইলচেয়ারে বসে বসেই নামাজ পড়ছেন,আহানার মাও ততক্ষণে উঠে নামাজে দাঁড়িয়েছেন
আর শান্তর রুমের দরজা বন্ধ,রুমে ঢুকলেই দরজা বন্ধ করে ফেলে,মনে হয় রুমে মণিমুক্তা লুকানো আছে,ঢং!
.
আহানা এবার বাগানের দিকে আসলো,সূর্যমুখী ফুলের বাগানটা ভোরবেলার আলোয় জাস্ট অসাধারণ লাগতেছে তা বলে বুঝানো যাবে না
আহানা পা উঁচু করে শান্তর রুমের বারান্দার দিকে একবার তাকালো,বারান্দার দরজা বন্ধ
সে এবার দাঁত কেলিয়ে বাগানটায় ঢুকে পড়লো,আহানার নিজের কাছে হাঁটতে কি ভালো যে লাগছে
দুপাশে বড় বড় ফুল আর ফুল
তার উপর জ্বালানোর মতন কেউ নেই
শান্ত গভীর ঘুমে কিন্তু তার এত সুন্দর ঘুমটা নষ্ট করলো ঊষা
ফোন করেই আগে ১০বার সরি বললো সে
.
আচ্ছা ফাইন,সরি বলা অফ দিয়ে আগে বলো কল কেন করেছো?
.
স্যার অফিসে আপনার থাইল্যান্ডের ক্লাইন্ট এসেছেন,ঐ যে নাম হলো জেমস স্টেভেন
.
এ সময়ে?
.
স্যার উনি কিসব ভাষায় বলতেছেন আমি কিছুই বুঝতেছি না,থাইল্যান্ডের ভাষা তো অনেক টাফ তাই না
.
আচ্ছা!উনাকে ফোন দাও
.
ওকে স্যার
.
শান্ত গুগল সার্চ করে অনেক কষ্টে জেমসের সাথে কয়েকটা কথা বললো,লোকটা ইংরেজী পারে কিন্তু বলবে না
শান্তকে পেরেশানিতে ফেলার জন্যই এত ঢং করছে
শান্ত ও নিরুপায়, ক্লাইন্ট তো ক্লাইন্ট হয়,এরে তো হাত ছাড়া করা মানে টাকা লস
তো কথা বলে সে যা বুঝলো সেটা হলো উনি এসময়ে শান্তর সাথে মিট করতে চান,এবং তিনি শান্তর বাসায় এসে বাঙালিয়ানা খাবার ও খেতে চান,শান্ত লজ্জায় পড়ে উনাকে বাসায় ইনভাইট করে ফেললো
ফোন রেখে চুল টানতে টানতে বিছানা থেকে নামলো সে
বাঙালিয়ানা রান্না খাবে, মন তো চাচ্ছে মরিচ বেটে খাওয়াই দি,কিন্তু না,শান্ত কুল ডাউন!আরামসে হ্যান্ডেল করো নাহলে ১০লাখের ডিল ক্যানচেল হবে
শান্ত বারান্দার দরজা খুলে বাইরে বের হতেই আহানার মুখ দেখলো
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে আম পাতা নিয়ে দাঁত খোঁচাচ্ছে আর মাঝে মাঝে কোমড় থেকে হাত নামিয়ে সূর্যমুখী ফুল ধরে ফুল নাড়াচ্ছে
.
উফফফফ!এই মেয়েটার মুখ দেখলাম সকাল সকাল
আজ সারাটাদিন আমার খারাপ যাবে!আবারও আমার বাগানে ঢুকছে
এই আহানা!
.
এ্যা!কে কে?
আহানা চমকে পিছন ফিরে তাকালো
শান্ত অগ্নি দৃষ্টিতে চেয়ে বললো”তোমার সাহস তো কম না!আবারও আমার বাগানে ঢুকছো,বের হও নাহলে এখানে এসে তোমার চুল ছিঁড়বো আমি”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে হেঁটে চলে যেতে নিতেই শান্ত বললো দাঁড়াতে
.
আবার কি?
.
এই তোমার হাতে এটা কি
.
আহানা চেয়ে বললো” আমার হাতে তো আম পাতা,কেন চোখে দেখেন না?”
.
সেটা তো দেখতেছি,কোথা থেকে নিসো এটা?”
.
কই থেকে আবার?এমন একটা এরিয়াতে থাকেন যেখানে আমগাছ নাই,ভাগ্যিস ছাদে মিনি একটা আম গাছ পেলাম,সেটার পাতা দিয়ে কাজ চালাচ্ছি আপাতত
.
কিহহহহহ!আমার আম গাছের পাতা ছিঁড়ছো তুমি!!
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here