#তুমি_আছো_তুমি_রবে
#পর্বঃ১১ #রেহানা_পুতুল
ঝিনুক বন্ধ ছাদের ভিতরে দুজনকে দেখেই হতভম্ব হয়ে গেলো। ফুল না নিয়েই ছাদের গেট থেকে ছুটে পালিয়ে আসলো বাসায়।
আরশাদ ঝিনুক বলে জোরে ডাক দিলো। ঝিনুক থামলোনা। মারিয়ার দিকে চেয়ে হুংকার দিয়ে বলল,
তুই আমার জীবনে অভিশাপ। গেট অফ করলি কেন?
মারিয়া ছলছল চোখে ছাদের সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে রইলো। এমন কিছু তার ও প্রত্যাশার বাইরে ছিলো। আহত কন্ঠে বলল,
আমি দেখেছি ঝিনুককে নিয়ে আরিশা তার রুমের দরজা অফ করে দিলো। তাই সিউর ছিলাম ছাদে এখন আসার কেউই নেই। আর তোমাকে ভালো করে বোঝানোর জন্যই গেট লাগিয়ে দিয়েছি।
ভাবি হাঁপাচ্ছো কেন? তুমি না ছাদে ফুল আনতে গিয়েছিলে? ঝিনুকের বেসামাল অবস্থা দেখে জানতে চাইলো আরিশা।
ছাদে ঢুকিনি। গেট থেকেই ফিরে এসেছি। ধড়পড় গলায় বললো ঝিনুক।
আরিশা ঝিনুককে কিছু না বলে তার মাকে ডাক দিলো চেঁচানো কন্ঠে।
কিরে বাড়িতে কি ডাকাত পড়েছে নাকি? মেজাজ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন জোবেদা বেগম।
মা আসোতো ছাদে যাই। ভাইয়া কই?
ছাদে কি?
ছাদে ভূত। কয়মাস আগে যে আমি আর সালেহা বললাম কানেতো নাওনি। এখন ভাবিও ছাদে ভূত দেখে ভয়ে পালিয়ে এলো।
ওমা! কি বলিস। ইন্টারকমে ফোন দে নিচে। গার্ড়কে আসতে বল। সবাই মিলে একসাথে যাই। আরশাদ, মারিয়া কই?
জোবেদা বেগম বড় খতমের দোয়া পড়তে লাগলেন জোরে জোরে। আরিশা ভূত ভূত বলে সারাবাড়ি এক করে ফেলছে।
ঝিনুক রেগে যাচ্ছে। সে কি একবার ও বলেছে ভূত দেখেছে। অবশ্য আরিশার ও দোষ নেই। তাদের দেখা পূর্বের ঘটনার সাথে মিল পেয়েছে বলেই সে আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করেনি।
আরশাদ বাসায় ঢুকলো। মারিয়া দ্রুত বারান্দায় চলে গেলো।
আরশাদ তুই কই ছিলি? ছাদে নাকি ভূত দেখেছে ঝিনুক। চলতো বলে জোবেদা বেগম, নিচের গার্ড, আরিশা ছাদের দিকে পা বাড়ালো।
আরশাদ চড়া মেজাজ নিয়ে, রহিম চাচা আপনি নিচে চলে যান। রহিম চলে গেলো আচ্ছা বলে। ছাদে আমিই ছিলাম।
শুনে জোবেদা বেগম, আরিশা থেমে গেলো।
বুঝলামনা। আরিশা বলে ভূত। তুই বলছিস তুই ছিলি। মারিয়া কই?
মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ছাড়া এই মুহুর্তে আরশাদের হাতে ভিন্ন কোন অপশন নেই।
তা আমি কি জানি। আরেহ আম্মু। ঝিনুক ছাদে গিয়েছে। সেতো জানেনা আমি ছাদে। ছাদের ভিতরের লাইট অফ ছিলো। ও অন্ধকারে আমাকে দেখে ভূত মনে করলো। দেখনা গায়ে কুচকুচে কালো শার্ট। আবার আমার গায়ের রঙ ও ফর্সা নয়।
জোবেদা বেগম কায়মনোবাক্যে পুত্রের সাজানো কথা বিশ্বাস করে নিলো।
আরশাদ নিজের পরিহিত শার্টের দিকে চেয়ে মনে মনে কৃতজ্ঞতার সহিত উচ্চারণ করলো,
একখন্ড বস্র তুমি। রয়েছে তোমার ও বড় শক্তি। তোমার জন্যই আপাতত বেঁচে গেলাম। পরে কি হবে জানিনা।
জগতের সকল মায়েরা এমনি। সন্তানের প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস। তিনি আরিশার মুখের পানে তাকিয়ে
অভিমানী স্বরে বললেন,
তোদের নিয়ে আর পারিনা। আমার প্রেসার হাই করে দিলি। নিজের রুমে চলে গেলেন একরাশ বিরক্তি নিয়ে।
আরিশা ভাইকে বললো, তোমাকে কালো শার্ট পরে ছাদে যেতে কে বলছে। যাও ভাবির কাছে। আমার রুমে আছে।
তুই যা। আমি আসছি। আরিশা চলে গেলে আরশাদ চুপে চুপে বারান্দায় গেলো। মারিয়াকে অনুরোধ করলো,
মারিয়া সত্যিটা আম্মু , ঝিনুক জানেনা। তুমি তোমার কোন সমস্যার কথা বলে চলে যাও। তোমাকে আমার একদম সহ্য হচ্ছেনা। ঝিনুক ও আর তোমাকে নেকনজরে দেখবেনা।
মারিয়া ত্যাড়ামি করে বলল,নাহ যাবনা। আমার খালার বাসায় আমি যতদিন ইচ্ছা থাকবো। ওই ছোটলোকের মেয়ের জন্য তুমি আপন খালাতো বোনকে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছো? বাহ আরশাদ বাহ! যেই খালাতো বোনের সাথে তোমার বছরের পর বছরের অজস্র স্মৃতি। যাকে ছাড়া তুমি একসময় ভালো ও থাকতেনা।
আরশাদ ক্ষেপা বাঘের মতো গর্জন করে উঠলো, তুই যা বললি তা আমি অস্বীকার করছিনা।
পৃথিবীর সব খালাতো, মামাতো,ফুফাতো, চাচাতো ভাইবোনদের সাথে সবারই বহুস্মৃতি জড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে কারো সাথে বন্ধুর মতো ঘনিষ্ঠতাও থাকে। এটা নিতান্তই একটা স্বাভাবিক বিষয়। এটাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করা হাস্যকর। তুই এখন আমাদের বাসা থেকে যাবি কিনা বল।
মারিয়া চরম অপমানিতবোধ করলো। হনহন পায়ে খালার রুমে ঢুকলো । ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলো, এখন চলে গেলেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাবে। বরং থেকে গেলেই সব স্বাভাবিক থাকবে। চার আনার মেয়েটা কি ভাবলো, তাতে মারিয়ার কিছুই যায় আসেনা।
আরশাদ আরিশার রুমে গেলো, দেখছে ঝিনুক গাল ফুলিয়ে থম মেরে বসে আছে। আরিশা ঝিনুককে আদরমাখা সুরে বলছে,
ভাবি তুমিওনা ছেলেমানুষী করো। নিজের জামাইরে চিনলানা? কালো শার্ট গায়ে ছিলো বলে অন্ধকারে জলজ্যান্ত একটা মানুষকে রিতীমতো ভূত বানিয়ে দিলে। নাকি ভূতে তোমার এলার্জি?
ঝিনুক মুখ খুললোনা। শুধু পলকহীন দৃষ্টিতে একবার আরিশাকে দেখলো। সারামুখে বিষাদের গাঢ় প্রলেপ।
আরিশা বলল,আমাকে দেখে লাভ নেই। এই যে কালো ভূতটাকে দেখো। আম্মুর কাছেও ধমক খেলাম।
ঝিনুক আমাদের রুমে আসো। আরশাদ ডাকার পরেও ঝিনুক নড়লোনা। পাথরের মূর্তির ন্যায় সেঁটে আছে বিছানার সাথে। দুহাত দিয়ে চাদর খামচে ধরে আছে।
সেটা আরশাদের নজর এড়ালোনা। টের পেলো বোমা যে কোন সময় ব্রাস্ট হতে পারে। কোলে করে নেওয়ার জন্য এমন করছো নাকি?
ভাইয়া তাই করো। কোলে তুলে নিয়ে যাও। ভূতের ভয় তাড়িয়ে দাও ভাবির অন্তর থেকে।
আরশাদ হাত বাড়াতেই ঝিনুক উঠে দাঁড়ালো। কোন হেলদোল দেখালোনা। লুকানো অসহিষ্ণু হৃদয় নিয়ে নিজেদের রুমে হেঁটে চলে গেলো। গিয়েই নিজেদের রুম লাগোয়া ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। গেট বন্ধ করে দিলো। বাথটাবের পাড়ে বসে রইলো। টুং করে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসার শব্দ হলো।
‘পেট ব্যথার ট্যাবলেট এনেছি। বেড়সাইড টেবিলের উপর রাখা আছে।রোজ সকালে একটা আর রাতে একটা। ভরা পেটে খেতে হবে। তাতেও না উপশম হলে গাইনী ডাক্তার ভিজিট করতে হবে। ‘
মেসেজ পড়ে ঝিনুকের মাঝে বিশেষ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলোনা। আরশাদ উপর দিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে। নয়তো ঝিনুক ভুলটাকেই সঠিক বলে বুঝবে।
কিন্তু ভিতরটা তার দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ঝিনুকের প্রতি কিছু ভুল আচরণের মাশুল দিতেই তার প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেখানে আজ যোগ হলো আরও একটা বাজে কাণ্ড।
নিজের মাথা নিজেরই হাতুড়ি দিয়ে ফাটিয়ে ফেলতে মন চাচ্ছে। পারলে মারিয়াকে খুন করে ফেলতো এখন। তার জন্যই ঝিনুকের চোখে সে এখন লম্পট, ক্যারেক্টারলেস। ঝিনুকের বের হওয়ার অপেক্ষা করছে। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলো। ঝিনুক বের হচ্ছেনা দেখে ওয়াশরুমের সামনে গিয়ে ডাকলো। ঝিনুক জবাব দিচ্ছেনা। বালতিতে জোরে পানি পড়ার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
আরিশা মায়ের রুমে গিয়ে,
এই যে মারিয়াপু তুমি কোথায় ছিলা এতসময়?
আমিতো আন্টির রুমেই আছি এতক্ষণ ধরে।
আরে তার আগে কই ছিলে? একটা মজার ঘটনা ঘটে গেলো। তুমিতো উপভোগ করতেই পারলেনা। এক্কেবারে জি হরর সিন!
শুনেছি আন্টির কাছ থেকে সব।
বাইরে থেকে জামান খান প্রবেশ করলেন। ফ্রেস হয়ে বসলেন। মারিয়ার থেকে তার পরিবারের খোঁজখবর নিলেন।
জোবেদা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বললেন, পরশের সাথে ওই বিষয়টা চূড়ান্ত আলাপ করে আসলাম।
কোথায় করলে? বাসায় ডাকতে উনাকে?
বাসায় কেন এজন্য ডাকবো। উনি বেশী ছোট হয়ে যেতেন তাহলে। আমার অফিসে ডেকেছি। অফিসিয়াল আলাপ আলোচনা অফিসেই হওয়া উত্তম।
কি বললো উনি?
বারবার বলতে পারবোনা। মারিয়া আরশাদকে ডাক দাওতো । তাহলে জনে জনে জানাতে হবেনা আমার।
আমি যাচ্ছি বলে আরিশা উঠে গেলো।
ভাইয়া আব্বু আসছে। তোমাকে ডাকে। আরশাদ নারভাস হয়ে গেলো। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। কেন ডাকছে এই অবেলায়?
গেলেই শুনবে। আসো। আরশাদ বোনের সাথে বাবা মায়ের রুমে গেলো।
বাবা ডাকছো নাকি?
হুম বোস। তোর শ্বশুরকে তোর বলা প্রস্তাব দিলাম আমার হয়ে।
আরশাদ আড়চোখে মারিয়াকে দেখে নিলো। বিব্রতকর লাগছে তার কাছে। মারিয়ার বিষয় বাসার কেউই জানেনা। সবার কাছে মারিয়া তাদের অতি নিকটজন। পরিবারের সবকিছুই জানে। তাই মারিয়ার সামনে বলতে তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই।
মারিয়াকে এখান থেকে এখন সরানোর ও পথ নেই। নিরুপায় হয়ে আরশাদ জিজ্ঞেস করলো,
কি বলল উনি শুনে?
উনি জানালো, আমিও মনে মনে এমন কিছুই ভাবতেছি ভাইজান। তিনমাস পর চাকরিটা ছেড়ে দিব। এতে আমাদের দুই পরিবারের জন্যও ভালো হবে। এই তিনমাসে আমি গ্রামের জমি বেচে টাকা যোগাড় করবো। আর বাকি টাকা আপনি আমাকে দিবেন ধার হিসেবে। আমি ব্যবসার লাভ থেকে মাসে মাসে শোধ করে দিবো। তাতে আমিও মনে শান্তি পাবো।
আরশাদ শ্বশুরের পৌরুষত্বে খুশী হলো। মনে মনে স্মরণ করলো। ঝিনুক হয়েছে বাপকা বেটি। প্রখর আত্মসম্মানবোধ।
উনি সুন্দর বলছে বাবা।
আরশাদের কথায় সায় দিলো তার মা ও আরিশা।
আমি কি বলছি শোন।
কি বলছ?
বলছি ঠিকাছে আপনি যেমনটি চাইবেন ঠিক তেমনটিই হবে। তবে আমার একটা আবদার,
আপনার বিক্রিত জমি আমি কিনে নিতে চাই আপত্তি না থাকলে।
উনি চমক খেলেন। চোখমুখে ভরা কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
আমার জেলার, আমার গ্রামের,আমার বাড়ির পাশের ধানিজমি দিয়ে আপনার কি কাজে লাগবে?
বললাম তা সময় হলে জানবেন।
আমাদের ও জিজ্ঞাসা তুমি কি করবে সেখানে জমি কিনে?
এটা থাক তোদের সবার জন্য সারপ্রাইজড় হিসেবে।
মারিয়া চোখ বড় করে খালু ঠিক আছেনতো?
আছি মেয়ে আছি। খুব ঠিকাছি। জীবনের খেলাঘরের লেনালেনা খুব প্যাঁচগোছে জড়ানো মা। স্মিত হেসে বললেন জামান খান।
সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। একে অপরের চোখাচোখি হলো। এ যেন রহস্যে ঘেরা গোলকধাঁধা।
আরশাদ উঠে গেলো নিজের রুমে। দেখে খালি রুম। বারান্দায় উঁকি মারলো। ঝিনুক বারান্দায় পাতা চেয়ারটাতে বসে আছে। দৃষ্টি বাইরের দিকে। আরশাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেনা।
ঝিনুক সন্ধ্যায় মশা আসে রুমের ভিতরে। বাবা রাত জাগতে পারে। তবুও মশার কামড় খেতে পারেনা। উঠে আসো দরজা বন্ধ করে দিয়ে।
শ্বশুরের কথা শুনেই ঝিনুক চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। এই মানুষটার জন্য ঝিনুক সব করতে পারে। যে কিনা তাকে নিজের পিতার স্নেহ দিয়ে আপ্লুত করে নিত্যক্ষণে।
ঝিনুক রুমে এসেই শান্তভাবে পড়ার টেবিলে পড়তে বসে গেলো। পড়ার চাপ অধিক। সামনে ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরিক্ষা।
আরশাদ যেন ভুল ভাঙ্গানোর অনুকূল পরিবেশটাই পাচ্ছেনা। তবুও ঝিনুকের পাশে গিয়ে আবেগমাখা কন্ঠে,
ঝিনুক জানি তুমি আমাকে কড়াভাবে ভুল বুঝেছো। শুধু বলব, সব দেখাই দেখা নয়। সে দেখার মাঝেও অনেক কিন্তু থাকে। অনেক সত্যি লুকিয়ে থাকে। সব কিন্তু আর সব সত্যি না জেনে কাউকে ভুল করে ভুল বোঝা অনুচিত। তুমি চাইলে আমি ক্লিয়ার করতে পারি বিষয়টা।
ঝিনুকের মন চাচ্ছে রুম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। কিন্তু বেরিয়ে গেলেই মারিয়াকে দেখতে হবে তার। রাতে আরিশার রুমে মারিয়া ঘুমাবে। নয়তো আরিশার সাথেই ঘুমাতো ঝিনুক। এই পুরুষের সাথে এক রুমে এক বিছানায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ঘুমাতে তার বড় অরূচি হচ্ছে। ঝিনুকের ভাবান্তর দেখে আরশাদ অনুনয় করে বলল,
কিছু একটা বলনা। এভাবে চুপ করে আছো কেন?
ঝিনুক দুই আঙ্গুল দিয়ে দুকান বন্ধ করে রাখলো। যেন আরশাদের কন্ঠ ও তার কর্ণকুহুরে না পৌঁছাতে পারে।
আরশাদ আঁচ করতে পেরে আক্ষেপের নিঃশ্বাস ফেলে সরে গেলো। ঝিনুক পড়া নোট করতে লাগলো।
রাতে ঝিনুক রুমের ভিতরে থাকা সোফায় ঘুমিয়ে গেলো । যদিও ঘুম এলোনা তার দুচোখ জুড়ে। বিনিদ্র রজনী পার করছে। হৃদয়টা ছারখার হয়ে যাচ্ছে বেদনায়। যে মানুষটার প্রতি তিলতিল করে অনুরাগ জমতে শুরু করলো তার মনের চিলেকোঠায়। সে কি করলো এটা। এখন অপেক্ষা কেবল ভোর হওয়ার । তারপরেই ঝিনুক…
চলবেঃ ১১
( পেইজে লাইক ও ফলো এবং শেয়ার দিয়ে, মন্তব্য করে লেখিকাকে অনুপ্রাণিত করার বিশেষ প্রত্যাশা রইলো। ভালোবাসা অবিরাম।💗)