শবনম (পর্ব ২৬) সায়লা সুলতানা লাকী

0
289

#শবনম (পর্ব ২৬)
সায়লা সুলতানা লাকী

শবনম বাড়িতে এসে প্রথম ধাক্কাটা খেল রান্নার সময়টাতে মায়ের পাশে এসে বসে । পাঁচ ছয়টা বাটি,বোল আর খালি পাতিল রাখা সামনেই। প্রথমেই শবনম এগুলোর কারন বুঝল না। মায়ের কাজে সাহায্য করতে করতে গেরুয়া চাদর গায়ে একজন পুরুষ মানুষ ঢুকল বাড়ির ভেতর তারও হাতে একটা গামলা। মুখটা কাচুমাচু করে “মাসী” বলে ডেকে তার গামলাটা শবনমদের ঘরের দরজার সামনে রেখে আবার জলদি প্রস্থান করল। শবনম কিছু একটা জিজ্ঞেস করবে ঠিক তখনই ওর মা বলে উঠলেন
“গেরামে যে কত কিছিমের মানুষ থাকে তা এই দুর্দিন না আইলে টেরই পাইতাম না। যাতো শবনম ওই বেডার গামলাডা লইয়া আয়। আবার কেউ দেখলে চিল্লাচিল্লি শুরু করব। আর ওইহানে এমনে থাকলে কুত্তায় মুখ দিব। কুত্তায় কী আর বুঝব কোনডা কীয়ের পাত্র?”
“ও আল্লাহ, এরা এইহানে কী করে? কী চায় মা আপনের কাছে? এরাতো কোনদিন হেগো আখড়া ছাইড়া বাইর অইত না হেরা দেহি অহন আমগো ভেতর বাড়ি পর্যন্ত মাড়ায়। আপনে আইতে দিছেন? দাদি থাকলে আপনেরে গাইল্যাইতো।”

“ঠেকলে বিলাই মান্দার গাছে উডে। আর এরাতো মানুষ। বাঁচনের লেইগ্যা যেইহানে ঠাঁই পাইব ওইহানেই যাইব। অহন কতা কইস না যা জলদি হাত চালা। আমার ভাত অইয়া গেছে।”

শবনম আর কথা বাড়ায় না, উঠে ওই গামলা নিয়ে আসে। এতক্ষণে মায়ের ধান সিদ্ধ দেওয়ার হাঁড়িতে ভাত রান্নার কারন বুঝল। ভাতের মাড় দিয়ে ভরে ফেলল সবগুলো খালি পাত্র এরপর সব গুলোতে কয়েক চামচ করে ভাতও দিল। এরপর চুলার পেছন থেকে একটা শিশি থেকে কয়েক ফোঁটা করে পানি দিল সবগুলো পাত্রে। এবার শবনম আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল
“ওমা এইডা কী দেন?”
“আর কইস না, লবনের যে দাম। হাডে বলে লবন নাই। বস্তার তলায় পড়া লবন আনছে তোর বাপে, তাতে দুইন্যার ময়লা,মাডিছাডি মিলাইন্যা। আগের দিন অইল বেবাক ফালাই দিতাম। অহন কী আর ফালান যায়? হের লেইগ্যা লবন গুলাইয়া ছেইক্যা লইছি। হুদা মাড় গিলবো কেমনে? হের লেইগ্যা কয়েক ফোডা দিয়া দিলাম।”
এবার শবনমের চোখ ভিজে গেল গ্রামের এই হাল দেখে। মুহুর্তের মধ্যেই যার যার পাত্র সে এসে নিয়ে গেল। সাধনার জ্যাঠী এসে আবদার করল কয়েকটা কাঁচা মরিচের জন্য । শবনমের মা ইশারা করল গাছ থেকে নিয়ে যেতে। কৃষ্ণচুড়া কাচা মরিচ, কালো রঙের। শবনমের দাদির খুব প্রিয় ছিল। তাই এগুলো সারা বছর ওদের ঘরের পেছনে লাগানো হত। কেউ ওখানে হাত দিতে সাহস পেত না। সময়ে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়।শবনমদের বাড়িরও অনেক কিছুতে পরিবর্তন এসেছে।
এরই মধ্যে ওই সন্নাসীও এসে তার গামলাটাও নিয়ে গেল। শবনমের বাবা বাড়িতে ঢুকতেই তাকে যেতে দেখে ভেতরে এসে বললেন
“এইডা কী করলা শবনমের মা তুমি? যারে তারে বাড়িতে ঢুকতে দেও, যারে তারে….”
কথাটা শেষ করতে না দিয়ে শবনমের মা বলে উঠলেন
“যারেতারে দেহেন কই? আমিতো দেহি বেবাক মানুষ। বেবাক একই। বাঁচনের ইচ্ছা কী কেবল আপনের একলাই আর কারো নাই?”
“আহা চ্যাতো ক্যা? বুঝো না কেল্লাইগ্যা কই? দিনকাল বড়ই খারাপ। কোন সময় যে কী অয় কওনতো যায় না।”
“বেবাকের যা অয় আমগোও তাই অইব। এই জীবনেতো আর কম কিছু দেখলাম না। অত কিছু অহন আর ভাবি না। লন খাইয়া লন। কতা বাদ দেন।”
শবনমের মা কথাকে আর বাড়তে দিলেন না। শবনম চুপচাপ বসে মায়ের কথা শুনছিল আর নিজের কথা ভাবছিল। ঢাকায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করে যাচ্ছে একা। আর ভাবছে এরচেয়ে বুঝি আর কোন পরীক্ষা নাই জীবনে অথচ এখানেতো মানুষ শুধু মাত্র বাঁচার জন্য লড়ছে। এই পরীক্ষার কাছে ওর পরীক্ষাতো বড়ই নগন্য।

শবনম যা যা রেশন এনেছিল তা বিলাতে সবুজের কয়েক মিনিট লাগল বলে মনে হল। বাড়িতে বসেই ছোট ছোট বস্তায় সাজিয়ে বের হয়েছিল। আগেই ঠিক করা ছিল কাদের ঘরে দিবে এখন শুধু তা পৌঁছে দিয়ে এল। সবুজের মুখে একেক বাড়ির করুন কাহিনি শুনে শবনমের মন ভেঙে গেল।

দুদিনের মাথায় ওরা আবার ফিরে এল ঢাকায়। সবুজের জন্য সময় খুবই কম। তাই পড়াশোনায় কোনরকম গাফিলতি করতে চাচ্ছে না। ফেরার আগে শবনম ওর মাকে বলে এল তিনি যা করছেন তা যেন অব্যহত রাখেন। শবনমও প্রতিমাসের রেশন সবটাই বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে এই বাবদ ব্যবহারের জন্য ।এতে তার একটু সহজ হবে কাজটা বিপদ পর্যন্ত চালিয়ে নিতে।

হঠাৎ করেই গ্রামে গিয়ে খালের পানিতে অবাধে গোসল আর ফেরার পথে সবটা সময় মামার সাথে খোলা বাতাসে বসে থাকার জন্যই কী না ছন্দা আর স্বপ্নার ঢাকায় ফেরার পর পরই ঠান্ডা জ্বর শুরু হল। শবনম রাতে শুতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল তাই মেয়েদের যে শরীর একটু একটু গরম হচ্ছে তা টের পায়নি। সকালে ওদের ঘুমে রেখেই অফিসে চলে আসে। সারাদিনে আর কোন খবরতো জানতে পারেনি। যখন বাসায় ফিরল তখন দেখল ছমিরনের মায়ের বেতাল অবস্থা। ওদের দুজনেরই খুব জ্বর। পাশের বাড়ির খালা এসে ওদের ঔষধ খাইয়ে গেছেন। ওই খালার বাড়িতে একজন নার্স ভাড়া থাকেন। তার কাছ থেকে ঔষধ এনেছিলেন। তিনি ছিলেনও অনেকক্ষন ওদের পাশে। নার্সের নাইট ডিউটি তাই সন্ধ্যার আগেই চলে যাবেন তাকে আর পাওয়া যাবে না। তাই খালা বলে গেছেন ওদের মা ফিরলে যেন ফার্মেসী থেকে ঔষধ আনিয়ে রাখে রাতের জন্য।
একথা শুনে তার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধে মনটা সিক্ত হল শবনমের। এখন বাসায় ইলেকট্রিসিটি নাই। ছমিরনের মা একটা হারিকেন ধরিয়ে নিয়ে এল। শবনম দুই মেয়ের শরীর মুছিয়ে জামা কাপড় পালটে দিল। জ্বরে একেবারে গা পুড়ে যাচ্ছে। কোন উপায় না পেয়ে বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটা ফার্মেসী আছে ওখানে চলে গেল ঔষধ আনতে।
সারারাত আর ঘুম হল না। দুই মেয়ের পাশেই জেগে রইল। সকালে আর মন টানল না অফিসে যেতে কিন্তু ছুটিতো আর নেওয়া হয়নি আর মাত্রই ছুটি কাটিয়ে এসেছে, এখনই আবার এমনি এমনি কামাই দিলে পরে যদি চাকরীর ক্ষতি হয় তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই অফিসে গেল। এখানে এসেও তেমন কোন সুবিধা হল না সারাক্ষণ বাসার জন্যই মনটা অস্থির থাকল। ছমিরনের মাকে বলা আছে শরীর বেশি খারাপ হলে যেন আশেপাশের খালাদেরকে ডেকে আনে বাসায়। কিন্তু তারপরও মন মান ছিল না। দুপুরেও তেমন কিছু মুখে তুলতে পারল না। যেমন খাবার এনে ছিল বাটিতে তেমনভাবেই রেখে দিল। একটা সময় নিজের অসহায়ত্ব দেখে টয়লেটে গিয়ে কেঁদে ফেলল। গনি চাচা আজ অফিসে নেই, থাকলে হয়ত ওর মুখ দেখে এর কারন জানতে চাইত। কারো সাথে মন খুলে দুটো কথাও বলতে পারছে না। কেমন এক ছটফটানির মধ্য দিয়ে দিনটা অতিবাহিত হল। অফিস ছুটি হতেই আজ দ্রুত বেরিয়ে পড়ল। বাসায় এসে মেয়েদের পাশে দুইজন খালাকে দেখে ইচ্ছে করছিল তাদেরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কিছুক্ষণ কিন্তু সংকোচ বোধ তা করতে দিল না। তারা দুজন ছন্দা আর স্বপনার সাথে বসে গল্প করছিলেন আর পান চিবোচ্ছিলেন। ছমিরনের মায়ের সাথে শবনমের মা তাদের জন্য পানের যাবতীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে দিয়েছিলেন। ছমিরনের মা সেই গুলোই বের করে দিয়েছিল তাদেরকে ডেকে এনে। শবনম তাদের পাশে বসতেই তাদের একজন বললেন
“মাগো, পুরা বাড়িটা খালি না রাইখ্যা, তুমিতো ওইখানে দুইটা ঘর তুইল্যা ভাড়াও দিতে পারো তাতে তোমার মেয়ে দুইটা আর একলা থাকে না। ভালো দেইখ্যা ভাড়াটিয়া রাখলে তারাই তোমার ঘর দোয়ার দেইখ্যা রাখব।”
তার কথাটা শবনমের মনে ধরল। ও তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলল বিষয়টা নিয়ে ও ভাববে।
রাতে সবুজ বাসায় আসতেই শবনম ঘর তোলার কথা বলল তখন সবুজ এক বাক্যে প্রথমই মানা করল। পরে বোঝাল যে ভাড়াটিয়া ভালো হলেতো ভালোই আর যদি খারাপ হয় তবে এই খারাপদের কাছে কী এক মুহুর্তের জন্যও মেয়েরা নিরাপদ থাকবে? কোনো একটা বিপদ ঘটে গেলে তখন শুধু কপাল চাপড়ানোই যাবে মেয়ে আর পাওয়া যাবে না। বিপদ শুধু তাই না, ঢাকা শহরে কিছু কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় যারা ভালো সেজে বাসা ভাড়া নেয় এরপর আর ভাড়া দেয় না। এরপর ভংছং করে বাড়িওয়ালাকে ঠকিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। শবনম মেয়ে মানুষ ও ওসব ঝামেলা কুলাতে পারবে না। তাই আপাতত ঘর তোলার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বলল। বর্তমান সমস্যার জন্য না হয় ও ছুটি নিয়ে বাসায় থাকবে দুই একদিন।

সবুজের কথায় শবনম কিছুটা ভয় পেল। ওর যুক্তি ফেলে দেওয়ার মতো না। তাই আর ঘর তোলার কথা বলল না। আজও সারারাত ঘুমোতে পারল না। যদিও আজ জ্বর একটু কম তবুও মেয়েরা একটু নড়লেই ওর ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। দিনের বেলা নাকি হাসপাতাল থেকে ফিরেই নার্স খালায় এসেছিল ওদের দেখতে। থার্মোমিটার দিয়ে জ্বরটাও মেপে গেছেন। ওদের শরীর হাত মুখ মুছিয়ে দিতে বলেছিলেন, ছমিরনের মাও তাই করেছিল। রাতেও শবনম তাই করে দিল একবার। সকালের দিকে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়েছে ছন্দার, স্বপ্নারটা এখনও একটু একটু গা গরম আছে। এই অবস্থাতেই রেখে শবনম আজও অফিসে এল।

কাজের চাপে নিজের ক্লান্তিটা টের পায়নি তবে দুপুরের লাঞ্চ টাইমে যখন বসে ছিল তখন কেমন যেন এক ঝিমানি শুরু হল। বারবার চোখ লেগে আসছিল। আর ওর এই অবস্থা দেখে শহিদ আর অন্যরা খিকখিক করে হেসে উঠল ওদের হাসির শব্দে শবনম চোখ টেনে মেলল। ওকে চাইতে দেখে শহিদই প্রথম টিপ্পনি কাটল।
“কিরে শবনম, তোরে সারারাইত কে জাগাইয়া রাখে? শুনছিতো তোর স্বামী নাই, তাইলে আবার কে জাগায়, কে আইল? কারে ঠিক করলি?”
“আরে শহিদ ভাই যে কী কন না? যার একজন নাই তার দরকারে দশজন লাইনে দাঁড়ায়। জিগাইয়্যা দেহেন ওর দরকারে আমরা লাইন পামুনি?”
“আহা! সারারাতই কাম করছোস, একটুও ঘুমাইতে দেয়নাই বেচারিরে। কামডা ঠিক করে নাই।”
শেষ কথাটা শেষ হতেই সবাই একসাথে খিকখিক করে হেসে উঠল
ইদানীং শবনম এমনিতেই চুপ থাকে কারো সাথে তেমন একটা মুখ নাড়ায় না। আজ রাগে দুঃখে ভেতরটা মনে হল জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোন কথা বলার আগেই কেঁদে ফেলল। কিছুক্ষণ পর আঁচল টেনে চোখ মুছে ওদের দিকে তাকাল।
শবনমের কান্না দেখে সবাই চুপ করে গেল এরপর যে যার পথে সরে পড়তে চাইল কিন্তু শবনম আর তা হতে দিল না। নিজের থেকেই সবাইকে ডাকল ওর কাছে
“আহেন, আপনেরা আহেন কে কে আমার দরকারে লাইনে দাঁড়াইতে চান আহেন। তবুওতো মুখ ফুইট্যা জিগাইছেন আমার দরকারে লাইনে দাঁড়ানের কতা কইছেন ভাই। আমি অইলাম দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অভাগী, কেউ দরকার ছাড়া দুইডা ভালো কতা কয় না। দরকার কী হেইডা নাইলে পরেই বুঝলাম তবুওতো কইছেন আমার দরকারে…. আহারে মানুষের মন.. এক্কেবারে আজব এক কারখানা, ভালো অইলে হেয় সাক্ষাৎ ফেরেশতা, আর খারাপ অইলে পুরাই শয়তানের আখড়া। হুনতে চান আমি ঝিমাই ক্যা? তয় হুনেন, আমার মাইয়া দুইডার জ্বর। গেল দুই রাইত চোক্ষের পাতা দুইডা এক করতে পারিনাই। মাইয়াগো জ্বরের মধ্যে ঘরে পরের কাছে রাইখ্যা মা অইয়া আমি এইহানে ডিউটি দেই আমার ভিতরডা কেমন করে তা আপনেরা বুঝবেন কেমনে? আমার যেই একজন আছিল হেয় বড় ফেরেশতার মনের মানুষ আছিল। হেয় আমারে কোনো রাইত জাগায় রাখত না, বড় আদর সোহাগ দিয়ে ঘুম পারাইত। জীবনে বহুত আদর সোহাগ পাইছি তার কাছ থেইক্যা। হের জায়গায় দশ জন ক্যা হাজারজন দাঁড়াইলেও কাম অইব না। যেই বেডারা কামের লেইগ্যা বৌগো হারারাইত জাগায় রাহে তারা আমার চোক্ষে কোন পুরুষ মানুষই না।এক একটা খবিশ।
আমার ছন্দার বাপের মতো মানুষ আল্লাহ দুইন্যা থেইক্যা উডায় লইয়া গেছে।”
“এত চ্যাত দেখাস কেন? আমরা সবাই তোর লগে একটু মশকরা করছি। এত তিতা কথা শুনাস কেন? আমগো ঘরেও বৌ আছে। আমরা তোর দরকারে লাইনে দাঁড়ানের মানুষ না।”
“ভাইগো আপনেরা আমার চ্যাত দেহেন, আমার কষ্টডা দেহেন না?”
“মাইয়া মানুষ হইয়া চাকরি করবি পুরুষ মানুষের সমান সমান দাঁড়াইয়া বেতন তুলবি তাইলেতো কিছু সমস্যা হইবই। এই সব বইল্যাতো আর বেশি সুবিধা পাওন যাইব না। শুধু শুধু এগুলো শুনাইস না। বড় শখ না তোগো পুরুষের কাম করনের। তাই কর, আর কথা বাড়াইস না।”
খুব একটা ভাব নিয়ে কথাটা বলে শহিদ চলে গেল। ওর পেছন পেছন অন্যরাও চলে গেল। শবনম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওদের ব্যবহার আর কথাগুলোকে হজম করার চেষ্টায় বসে রইল।

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here