#রাগী_টিচার_যখন_রোমান্টিক_হাসবেন্ড
#পর্ব_৩৩
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
–আসসালামু আলাইকুম কাকা।কেমন আছেন।
–অলাইকুমুস আসসালাম।আরে আয়ান বাবা যে,আজ’ও তোমার ছাত্রীর সাথে ফুচকা খেতে এসেছ।
আয়ান একটু লজ্জা পেয়ে বলল।
–কি কাকা যখন ছাত্রী ছিলো।তখন বউ’মা বানিয়ে দিয়ে ছিলেন।আর এখন বউ’মা হয়ে গেছে,আর আপনি ছাত্রী বানিয়ে দিচ্ছেন।
–সত্যি কথা বলছো আয়ান বাবা।তুমি বিয়ে করেছ।
–হ্যাঁ কাকা সত্যি বিশ্বাস না হলে ওরে জিগান।
–কি মা আয়ান বাবা সত্যি কথা বলছে।
–জ্বী মামা সত্যি কথা বলছে উনি।
–কি আমার কথা মিলল তো,আমি বলেছিলাম না।কার ভাগ্যে কে আছে।তা কেউ বলতে পারে না।
–হয় গো মামা আমার জীবন টা শেষ হয়ে গেলো।কালকে আপনি আর আমি কচু গাছের সাথে গলায় দড়ি দিমু।
রহিম মামা শুধু হাসল।
–কাকা দুই প্লেট ফুচকা বানিয়ে দিন।
–দুই প্লেট-ই কি আমার।
–না আমি একটা খাব।শুধু নিজের কথা ভাবো।জামাইয়ে কথা ভাবো না কেমন বউ তুমি।
–ভালো বউ আমি,সেজন্য জামাইয়ের হয়ে একাই দুই প্লেট খেয়ে দিব।
–তোমার সাথে কথা বলে পারা যাবে না।
শখ আর কোনো কথা বলল না।
–মামা আর কতক্ষণ লাগবে।
–কি মা জামাইয়ে ডাকে কাকা বলে।তুমি ডাকো মামা বলে।
–হলে-ই হয়।কাকা,মামা একটা।
তারপরে আয়ান আর শখ ফুচকা খেতে শুরু করলো।
–বাপরে কি ঝাল।বলল আয়ান।
–আয়ান বাবা তুমি ঝাল খাচ্ছো কেনো তোমার না….
–আরে কাকা একদিন খেলে কিছু হবে না।
–ছেলে মানুষ হয়ে ঝাল খেতে পারেন না।হাহাহা।
–তুৃমি জানো পারি কি না দেখবে।বলেই আয়ান ঝাল বেশি করে নিয়ে খেতে শুরু করলো।আয়ানে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে তা-ও খেয়ে-ই চলছে।খাওয়া শেষে আয়ান বিল মিটিয়ে দিলো।
–খাওয়া হয়েছে চলো এবার রাত হয়ে গেছে।
–আয়ান বাবা তোমাদের দুই জনকে খুব সুন্দর মানিয়েছে।
–ধন্যবাদ কাকা।আজ আসি পরে আবার আসবো।বলে-ই বাসায় উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
–ঝাল খেয়ে আপনার মুখ বন্ধ হয়ে গেলো নাকি স্যার কোনো কথা বলছেন না।
আয়ানের সমস্যা হচ্ছে শখকে বুজতে না দিয়ে কোনো কথা না বলে হাঁটতে থাকল।বাসায় এসে শখকে বলল।
–জলদি পানি নিয়ে আসো যাও।
–ঝাল খেতে পারেন না।খেতে গেলেন কেনো।
–কথা কম বলো আর যাও।
শখ শয়তানি বুদ্ধি এনে বলল।যাচ্ছি।
তারপরে গ্লাসে করে পানি এনে দিলো আয়ান তাড়াতাড়ি করে না দেখে-ই পানি দিয়ে ঔষধ খেয়ে নিল।
এতে আয়ানের ঝাল কমার বদলে দিগুণ বেড়ে গেলো নিমিষেই আয়ানের চোখ লাল হয়ে গেলো।এখনি চোখ দিয়ে পানি পড়ে যাবে।
–তুমি পানির মধ্যে কিছু মিশিয়েছ।আস্তে করে বলল।
আয়ানের দিকে তাকিয়ে শখ কিছু’টা ভয় পেয়ে গেলো।হঠাৎ করে আয়ান উঠে দাঁড়াল। এক টানে শখে নিজের কাছে নিয়ে এসে শখের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।হঠাৎ আয়ানের এমন আক্রমণে শখ জমে বরফ হয়ে গেছে।শখ তার চোখ বন্ধ করে নিলো।পুরো শরীল অবশ হয়ে আসছে শখের।আয়ানকে যে,ধাক্ক দিয়ে সরিয়ে দিবে,শরীলে এতটুকু পাচ্ছে না শখ।এদিকে আয়ান শখের ঠোঁটের সাধ নিতে ব্যস্ত,শখ হালকা সরে আসলে,আয়ান আরো শক্ত করে কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে লাগল।আয়ানের ঝাল কিছুটা কমলে,আয়ান এবার শখের ঠোঁটে ছেড়ে,গলায় নেমে আসলো পাগলের মতো চুমু খেয়ে-ই যাচ্ছে। শখ দুই হাত দিয়ে তার বোরকা খামচে ধরে আছে।শখ আয়ানে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে হাঁপাতে শুরু করলো।জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে শখ।আয়ান আবার শখের কাছে এসে শখের সারা মুখ চুমু তে ভরিয়ে দিচ্ছে।শখ যে,দূরে সরে যাবে তাও উপায় নেই। আয়ান শক্ত করে ধরে আছে শখকে।আয়ান আবার শখের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।
দরজায় নক পড়তে-ই আয়ান শখকে ছেড়ে দিলো।এখন বেশ কিছু-টা কমে গেছে আয়ানের।
দরজার ওপাশ থেকে আয়ানের মা বলল।
–আয়ান বাবা খেতে আসবি না।তোরা কোথায় গিয়েছিলি।আমি তোদের রুমে এসে খুঁজে পেলাম না তোদের। আয়ান নিজেকে সামলে নিয়ে দরজা খুলে দিলো।
–আম্মু ভেতরে আসো।আমি শখকে নিয়ে একটু বেড়িয়েছিলাম।মাত্রই আসলাম।
–না ভেতরে যাব না।তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়।তোর বাবা তোদের জন্য অপেক্ষা করছে।একসাথে খাবার খাবে।
–আচ্ছা আম্মু তুমি যা-ও দুই মিনিট এ আসছি।
আয়ানের আম্মু চলে গেলো।শখ এখনো আগে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।আয়ানের দিকে তাকাতে’ই বেশ লজ্জা লাগছে।এখানে যদি পালানোর জায়গা থাকতো,তাহলে শখ দৌড়ে গিয়ে সেখানে লুকিয়ে পড়তো।
–কি হলো এখনো যা-ও নাই ফ্রেশ হতে।এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে আছো। আরো লাগবে নাকি।আমি কি আসবো।বিছানায় বসতে বসতে বললো।
শখ চিৎকার করে বলে উঠলো।
–না,যাচ্ছি যাচ্ছি অসভ্য লোক একটা।
বলেই বিরবির করতে করতে ফ্রেশ হতে চলে গেলো শখ।
সবাই মিলে খেতে বসেছে।আয়ান মাছের তরকারি নিতে গেলে আয়ানের মা বলে উঠলো।
–আয়ান মাছের তরকারি নিস না।আজ একটু ঝাল পড়ে গেছে রে সোনা।তুই খেলে তোর সমস্যা হবে।তোর আবার ঝালে এলার্জি।
আয়ানের মায়ের কথা শুনে শখ বড় বড় করে আয়ানের দিকে তাকালো,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।উনার ঝালে এলার্জি আমাকে বলেন নাই কেনো।আমি তো ওনার পানিতে এতগুলো মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়েছিলাম।এই জন্য-ই উনি এত পাগলামি করছিলেন।ইস আগে যদি যানতাম।বেশ খারাপ লাগছে এখন শখের,না জেনে কতটা কষ্ট দিয়ে ফেললাম।
–আমার ঝাল খেতে কোনো সমস্যা নেই আম্মু।বউ থাকতে ঝাল খেতে কিসের সমস্যা।আস্তে করে চোখ টিপ মেরে শখকে বলল।শখ লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল।
–অসভ্য লোক একটা। যা-তা বলে।সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে, যে যার রুমে চলে গেলো।শখ এসে দৌড়ে বিছানার এক কোণে শুয়ে পড়ল। আয়ানকে এখন তার বেশ লজ্জা লাগছে।
আয়ান এসে দেখে শখ শুয়ে পড়েছে। এত সকালে ঘুমানোর মেয়ে তো শখ না।
–আমি জানি তুমি ঘুমা’ও নাই। এমন করছো কেনো।শখ কোনো কথা বলছে না।
আয়ান গিয়ে আধশোয়া হয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর শখকে টেনে নিজের বুকে শুইয়ে দিল।
–শখ তোমাকে আজকে একটা গল্প শোনাবো।আমি একটা,মেয়েকে ভালোবাসতাম।
এবার শখ লাফ দিয়ে উঠে বসে আয়ানের জীবনে শখ ছাড়া অন্য মেয়ে ছিল ভাবতে’ই বুকের ভেতর টাই ব্যাথা অনুভব করলো শখ।
–আমি ছাড়া আপনার জীবন অন্য মেয়ে ছিল স্যার।তাহলে আমাকে বিয়ে করলেন।তাকেই করতেন।মন খারাপ করে বলল।মাথা নিচু করে বসে আছে শখ।
–হ্যাঁ তাকে-ই বিয়ে করেছি তো।
–মানে।
–আগে আমার বুকে মাথা রাখবে তারপরে বলবো।
শখ বেশ আগ্রহ নিয়ে আয়ানের বুকে শুয়ে পড়ল। আয়ান শখকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল।
–সেদিন আমি কলেজে আমার চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় জন্য কথা বলতে যাচ্ছিলাম।সেদিন হুট করে কোথায় থেকে একটা মেয়ে আমার গাড়ির সামনে এসে পড়ল।আমাকে কি কথা-ই শোনাচ্ছিল মেয়ে’টা।ইচ্ছে করছিলো,ওখানেই শেষ করে দেই।গাড়ি থেকে নেমে-ই মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণের স্তব্ধ হয়ে যায়।খুব ভালো লাগলো মেয়েটিকে আমার,আগে কখনো কোনো মেয়েকে এত ভালো লাগে নাই। কোনোদিন সেভাবে তাকাই’ও কোনো মেয়ের দিকে।মনে মনে বললাম মেয়েটি কে,মেয়েটির সবকিছু আমার জানতে হবে।কিন্তু মেয়েটির সামনে নত হওয়া যাবে না।তাই আমি’ও বেশ ভাব নিয়ে মেয়েটির সাথে ঝগড়া শুরু করে দিয়ে রেগে কলেজে চলে গেলাম।স্যারকে গিয়ে বললাম।চাকরি’টা করবো না।স্যার আমাকে বলল আগে ক্লাসটা করে আসো,তারপরে কথা বলছি।ক্লাসে এসে দেখি সেই মেয়েটি।মনে মনে বললাম। না এই চাকরি ছাড়া যাবে না।কিন্তু মেয়েটি আমার সাথে বেয়াদবি করেছে।শাস্তি পেতে-ই হবে।শুরু হয়ে গেলো,মেয়েটিকে শাস্তি দেওয়া।আস্তে আস্তে মেয়েটির প্রতি আরো দুর্বল হয়ে পড়লাম।জানতে পারলাম মেয়েটির বয়স সতেরো চলে।মনটা গেলো খারাপ হয়ে তার মানে আমাকে আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।এদিকে বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে।সেজন্য রাগ করে বিদেশে চলে যেতে চাই ছিলাম। কিন্তু মেয়েটি এসে আমার সবকিছু উল্টা পল্টা করে দিলো।মেয়েটিকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না।চাকরি টাও ছাড়লাম না,মেয়েটির জন্য। বাসায় থেকে প্রচুর পরিমাণে চাপ দিচ্ছিল বিয়ের জন্য। না পেরে রুহি আপুকে বলে দিলাম।পরে রুমি আপু সবাইকে ম্যানেজ করে নিলো।অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষ হয় না।মেয়েটি কোনো ছেলের সাথে কথা বললে,আমার ভেতর টা পুরে ছারখার হয়ে যেতো।বজ্জাত মেয়ে সেটা বুজতো না।আয়াশ নামের একটা ছেলের সাথে মেলামেশা শুরু করে দিলো,ইচ্ছে করছিলো দু’জনকে শেষ করে ফেলি।তবু্’ও নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে থাকি।জানতে পারলাম মেয়েটি আমার স্যারের মেয়ে,অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে গেলো,মেয়েটির আঠারো বছর পূর্ণ হলো রুহি আপুকে বললাম বিয়ের কথা বলতে।রুহি আপু বলল।মেয়েটি বলল মরে যাব।তবু্ও ওনাকে বিয়ে করবো না।বিশ্বাস করো বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছিলাম।দুইবছরের অপেক্ষা কি তবে এভাবে শেষ হয়ে যাবে।বিশ্বাস করো আত্মাহত্যা যদি মহাপাপ না হতো সত্যি মরে যেতাম সেদিন।খুব কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে নিলাম।তার বড় বোনের সাথে বিয়েতে রাগে রাজি হয়ে গেলাম। আমি’ও দেখতে চাই ছিলাম।সে কি করে আমাকে অন্য কারো পাশে সয্য করে।কারন এটা বুঝে গিয়েছিলাম তার মনে আমার জন্য একটু হলে-ও জায়গা তৈরি হয়েছে।এতে রুহি আপু আমাকে বেশ সাহায্য করেছে।বিয়ের দিন যতো এগিয়ে আসছিলো।ইচ্ছে করছিলো কোথাও পালিয়ে যাই।তার কোনো উপায় নেই।বিয়ের আগের দিন মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চাই ছিলাম। কিন্তু মেয়েটি আমারে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।তাই রাগে আর মেয়েটির কাছে যাই নাই।সেদিন সারারাত ঘুম কান্না করছি জানো।জীবনে কোনোদিন কোনো মেয়ের জন্য কান্না করি নাই।কাজী সাহেব মুনতাহাকে কবুল বলতে বলছিল।তখন মনে হচ্ছিল। আমার ভেতর থেকে জান টা বের হয়ে আসছে।ভালোবাসলে বুঝি এমনি অজানা সব কষ্ট পেতে হয়।তখনি শুভ আসে।সবকিছু দেখার পড়ে ভাবলাম আমি নিজের ভালোবাসার মানুষকে না পাই।কিন্তু শুভকে তার ভালোবাসার মানুষকে হারাতে দিব না।তাই তোমার আম্মুকে বুঝিয়ে ওদের বিয়ের জন্য রাজি করালাম।পরে আমার চলে আস ছিলাম স্যার যখন তোমার সাথে বিয়ের কথা বললো।বিশ্বাস করো নিজেকে সবথেকে খুশি ব্যক্তি মনে হচ্ছিল। অভিমান করে,বলছিলাম বিয়ে করবো না।রুহি আপু বুজতে পেরে।আমাকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।তুমি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছো শুনে আরো বেশি খুশি হই।কিন্তু তা প্রকাশ করি না।মনে মনে ভাবলাম যা করেছো তার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে।আমি তোমাকে শাস্তি দিতে পারি নাই বিশ্বাস করো।তোমার কিছু হলে আমার কলিজাতে লাগে।মুনতাহা তোমাকে সেদিন তোমাকে পার্কে মেরেছিল।সে,আমার কলিজাতে আঘাত করেছিল।সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারি নাই।চলে আসছি।সব শেষ আমি তোমাকে পেয়েছি।এর জন্য আমি আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করি।এই জন্যে-ই সবাই বলে আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।আল্লাহর ওপরে সব সময় ভরসা রাখতে হয়।সবাই খালি হাতে ফিরিয়ে দিলে-ও তিনি কোনোদিন কাউকে খালি হাতে ফেরান না।অপেক্ষা শুধু সময়ের।বলেই আয়ান থামলো।
কথা গুলো বলতে বলতে কখন যে চোখে পানি চলে আসছে আয়ান নিজে’ও জানে না।শখ আয়ানে কথাগুলো শুনে কান্না করতে শুরু করে দিয়েছে।তার আর বুজতে বাকি নেই,মেয়েটি কে।যে মানুষ’টা তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।আর সে সেই মানুষটাকে এতটা কষ্ট দিয়েছে। এখন খুব আফসোস হচ্ছে শখের।আয়ানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে শখ।
–প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন।আমার জন্য আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আপনাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি।
–দূর পাগলি ভালোবাসায় যদি কষ্ট না থাকে তাহলে সেটা কিসের ভালোবাসা হলো।তুমি আমার সাথে থাকলে একটু ভালোবাসলে আমি সব কষ্ট ভুলে যাই।
–আমি আপনাকে এত কষ্ট দিয়েছি,তবুপ আপনি আমাকে এত ভালোবাসেন কেনো।
–আমি তোমাকে এত বকাবকি করি অপমান করি।তা-ও তুমি আমাকে কাছে থাকো কেনো।আমাকে ছেড়ে চলে যা-ও না কেনো।
–জানিনা।
–আমি’ও জানিনা।
–কথা দিলাম আপনাকে আর কখনো কষ্ট পেতে দিব না।আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। আপনাকে ভালো রাখার।
–আমাকে কোনোদিন ছেড়ে যাবে না।সারাজীবন আমার পাশে থেকো,আমার আর কিছু লাগবে না।আমি এতেই খুশি।শখ একটা জিনিস দেখবে।
–কি।
–ওয়েট দেখাচ্ছি। বলেই ফোন বের করে শখের বিভিন্ন ছবি দেখাতে লাগলো আয়ান।
–একি এসব তো আমার ছবি।আপনি পেলেন কোথায়।আর এই ছবি বা কে তুলে দিয়েছে। আপনার ফোনে তো আমার ছবি দিয়ে ভরা।
–হ্যাঁ আমি সব সময় ফলো করতাম।আমার যখন খুব ভালো লাগতো।আমি তোমার ছবি তুলতাম।
–এটা তো ফুচকা খেতে যাওয়ার সময় এটা কে তুলল।এটা আপনাদের বাসায় এটা কে তুলল।
–বাসার টা আমি তুলেছি।রাস্তার টা শুভ তুলে দিয়েছে। শুভ সবকিছু জানে।ও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।
–মানুষ কতটা ভালো হতে পারে।আপনাকে না দেখতে কেউ বুজতে পারবে না স্যার।সত্যি আমি খুব ভাগ্যবান আপনার মতো একজন মানুষ পেয়েছি।
–বেশি পাম দিও না,ফুলে ফেটে যেতে পারি।(শখ কান্না করছিলো শখকে হাসানোর জন্য বলল)
–আপনার মনে হয়,আমি পাম দিচ্ছি।আপনার সাথে কথা নেই।
–না বললে নেই। এখন আর আমার ভয় নেই।
–আপনি সেই বাজে লোক।
–আমি জানি।
–কচু জানেন আপনি।
–তুমি না রাগ করছো।কথা বলবে না।
–আমার জামাই আমি যা ইচ্ছে খুশি কমু তাতে আপনার কি।
–শখ জানো এই জন্য তোমাকে আমার বেশি ভালো লাগে।তুমি রাগ করে বেশিক্ষণ থাকতে পারো না।আবার বেশিক্ষণ কথা না বলে’ও থাকতে পারো না।এটা আমার খুব বেশি ভালো লাগে।
চলবে…..