#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৫৪
নিজের মেয়ের মতোই আদর করতো মেয়েটাকে। আজ সে চলে যাবে।মীম এ-র দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে,
মাঝে মাঝে আসবি কিন্তু।আমরাও অনেক মিস করবো।
বলে দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরলো।অবশেষে সবাই কিছু কথা বার্তার মধ্যে দিয়ে বিদায় পর্ব শেষ করে মীম’রা চলে গেল।
সকাল ১১ টা।নাদিম ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ আসলো প্রতিদিন এ-র মতো।এসেই মীমকে ডাকা শুরু করলো।
মীম,,, মীম, , আমার চা দাও।
আমি দিচ্ছি দারা।(রুবিনা বেগম রুম থেকে বের হতে হতে)
কেন?তুমি কেন দিবে?মহারানি কোই?ঘুম থেকে কি উঠে নাই নাকি?নাকি বাইরে গেছে?দাড়াও আজ ওর হচ্ছে।
মীম চলে গেছে নাদিম।(অসহায় মুখে)
কথাটা কানে গেতে নাদিম এ-র বুকে মনে হলো কেউ পেরেক মে*রে দিছে।এমন ব্যাথা অনুভব হলো।সাথে সাথে ওর সব মনে পরে গেল।এতোখন ওর খেয়াল ছিল না কালকের কথা।মনে পরতেই মাথাটা ঘুরে উঠলো।নিজেকে কোন রকম সামনে বলে উঠলো,
কখন গেল?
সারে ৯ টার দিকে।
আমাকে ১ বার বললো না?
আমি তোকে ডেকেছিলাম কিন্তু তুইতো উঠলি না।
নাদিম আর কোন কথা না বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে গেল। রুবিনা বেগম ডেকেছিল খেয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে কোন কথা শোনেনি।
একটা ফাঁকা মাঠের এক কোনে বসে আছে নাদিম। কিছু ভালো লাগছে না।মাথাটা ভারি ভারি মনে হচ্ছে।মাথাটা নিচ দিকে ঝুকিয়ে বসে রইলো সে।
——
ওদিকে মীম বাড়ি ফিরে গেছে।সবার সাথে আড্ডায় মেতে উঠেছে।অনেক দিন পর মীমকে দেখতে পেয়ে অনেকে তার সাথে গল্প করছে।এতোদিন কোই ছিল কি করেছে এগুলো জিগ্যেস করছে।সবাইকে আধা সত্যি বললেও সমবয়সীদের সত্যি বলেছে যে সে কাজের মেয়ে হয়ে ছিল।কারণ তারা তার ফ্রেন্ড।বাড়িতে আজ ইঁদের খুশি নেমে এসেছে।সবার সাথে গল্প করতে করতেই মীম এ-র দিন শেষ হয়ে গেল।
দিনটা কাটলেও রাতটা কাটছে না।কেমন যেন লাগছে।কি যেন নেই নেই মনে হচ্ছে।ঘুম কিছুতেই আসছে না।সারাদিন সবাই মীমকে নিয়েই মেতে ছিল।অনেক খাওয়া দাওয়া হইছে।ঘুরাঘুরি হইছে।কিন্তু এতোকিছুর পরেও মীম এ-র ভালো লাগছে না।মন ভিশন খারাপ লাগছে।
সন্ধ্যা ৭ টা।নাদিম বাড়িতে আসলো।নাদিমকে দেখে ওর মা এগিয়ে এসে বকাবকি শুরু করে দিল,
কি বেপার নাদিম সারাদিন কোই ছিলে?সেই যে গেছো আর এখন আসলে।মুখ চোখের এমন অবস্থা কেন?সারাদিন কি কিছু খাওনি?চোখ কেমন লাল হয়ে আছে।কথা বলছো না কেন?আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে।
…..(নাদিম চুপ)
আমি এখনি খাবার দিচ্ছি ফ্রেশ হয়ে আসো আর একবার যদি বলতে হয়…
চলবে,,