সে -পর্ব 7

0
234

#সে
#পর্ব_৭
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
___________________
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে। আকাশের বোধ হয় মন খারাপ। কিন্তু পরিবেশ সুন্দর। মেঘলা আকাশ দেখতে মন্দ লাগে না। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে বাইরে যেতেই রাজ্যের যত আলসেমি লাগে। স্কুলে যাওয়াটা ভীষণ মিস করছি। এখন ক্লাসে পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি হতো। গান গাওয়া হতো। তাই স্কুলে থাকাকালীন বৃষ্টি হলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। আমার স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এখনও মন থেকে ভয়টা পুরোপুরি দূর করতে পারিনি। বাড়িতেই চলছে পড়াশোনা।
‘নবু আপা এই ছড়াটা শিখাইয়া দিবেন?’
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি বই হাতে রাজ্জাক দাঁড়িয়ে আছে। আপনাদের তো বলাই হয়নি, বাবা রাজ্জাককে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। আমি তো আগেই বলেছিলাম আপনাদের, এমনটাই হবে। মনে আছে? ঘরের কাজ মা একাই করে। যত বকাঝকাই করুক না কেন, কাজের বেলায় সে একদম ঠিকঠাক। সবার সব কাজ মায়ের পছন্দও হয় না।
আমি বারান্দায় ছিলাম এতক্ষণ। ঘরে এসে রাজ্জাককে নিয়ে বিছানায় বসে জিজ্ঞেস করলাম,’আজ স্কুলে যাসনি কেন?’
‘মা বারণ করছে। কইছে বিষ্টির মইধ্যে ইস্কুলে যাওন লাগব না।’
‘তুই আমার মাকে মা বলিস নাকি?’
‘হ। ক্যান আপনি জানেন না?’
‘না। এখন জানলাম। তুই তাহলে আমার ভালোবাসায় ভাগ বসাতে চলে আসছিস?’
‘হেহেহে।’
‘দাঁত কেলিয়ে হাসবি না। শোন, তুই আমার ভাই হবি এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কারণ সবার মতো আমারও ইচ্ছে হয় যদি একটা ভাই-বোন থাকত আমার! কিন্তু শোন, খামু, যামু, বিষ্টি এভাবে কথা বলবি না। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলবি।’
‘আমি তো পারি না।’
‘আমি শিখিয়ে দেবো।’
‘আইচ্ছা।’
‘আইচ্ছা না, বল আচ্ছা।’
‘আচ্ছা।’
‘আচ্ছা শোন, তোর ব্যাপারে তো তেমনকিছু জানিই না আমি। তোর বাবা-মা নেই?’
‘নানীর কাছে শুনছিলাম আমি হওনের পর নাকি আম্মায় মারা গেছে। পরে আব্বা আরেকটা বিয়া করছে।’
‘তুই কোথায় থাকতি?’
‘নানার বাসায়। নানা-নানী মরার পর মামা-মামির কাছে আছিলাম।’
‘উনারা তোকে স্কুলে পড়ায়নি?’
‘না। আমি তো ফেলাস্কে (ফ্লাস্কে) কইরা চা বেঁচতাম। পরে একদিন আপনার আব্বার লগে দেহা হয়। আমারে অনেক প্রশ্ন করে। পরে আমার লগে বাসায়ও যায়।’
‘তাহলে কি বাবা তোকে দত্তক এনেছে?’
‘দত্তক কী?’
রাজ্জাকের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি হেসে ফেললাম। আহারে মাসুম বাচ্চা! ওর চুলে হাত বুলিয়ে বললাম,’তুই বুঝবি না। আমি যা বোঝার বুঝে ফেলেছি। এখন পড়। কোনটা পারিস না দেখি?’
.
.
ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে করতে বাবার আসার অপেক্ষা করছিলাম। রাজ্জাককে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার আছে। বাবার বাড়ি ফিরতে প্রায় দশটা বেজে যায়। খাওয়ার সময় কথার প্রসঙ্গ তুলে বললাম,’স্কুলে রাজ্জাকের নাম কী দিয়েছ বাবা?’
বাবা ভাতের লোকমা মুখে তুলে বললেন,’ওর নামই। রাজ্জাক।’
‘স্কুলে গিয়ে ঠিক করিয়ে আসবে। আমি ওর নতুন নাম রেখেছি। তোমার নামের সঙ্গে মিলিয়ে আদিব। আকিকাও দিয়ে দিও।’
‘বলিস কী রে!’
‘যা শুনেছ তাই বলেছি। দত্তক আনতে পারবে আর নামের জন্য আকিকা দিতে পারবে না?’
বাবা এবার হোহো করে হেসে উঠলেন। সঙ্গে মা’ও মুচকি হাসলেন। বাবা হেসে হেসেই বলল,’ধরে ফেলেছিস তাহলে।’
‘জি আজ্ঞে।’
_______________
প্রাইভেট টিচার আজ এতগুলো হোমওয়ার্ক দিয়ে গেছে। এগুলো সব কাল বিকেলের মধ্যে কমপ্লিট করতে হবে। তাই ভাবলাম জেগেই যখন আছি তখন অর্ধেক এখন করে রাখি। বাকিটা সকালে করব। লিখতে লিখতেও আলসেমি লাগে। আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝি না, পড়তে বসলেই কেন এত ঘুম আসবে? সারাদিন পড়ে রয়েছে, রাত পড়ে রয়েছে তখন তো ঘুম আসে না। শুধু পড়তে বসলেই ঘুমের যত বাহানা। বিরক্ত লাগে!
চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে চুপ করে বসেছিলাম। কিছুক্ষণের জন্য লেখা স্থগিত রেখেছি। হাত ব্যথা করছে। বইয়ের লাইনে চোখ বুলাচ্ছিলাম তখন নজর যায় জানালার দিকে। এক মুহূর্তের জন্য আমার চোখ যেন আটকে গেল! আমি সোজা হয়ে বসে জানালা দিয়ে তাকাই। না, ভুল তো দেখছি না। এবার চেয়ার ছেড়ে উঠে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। স্পষ্ট আমি রুদ্রকে দেখতে পাচ্ছি। মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অর্ধবৃত্ত চাঁদের মৃদু আলোতে আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি। কালো প্যান্টের দু’পকেটে হাত পুরে জানালার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। অনেকটা দূরে এবং উঁচু জায়গায় দাঁড়ানোর ফলে সে আমায় দেখতে পেয়েছিল। আমার শুষ্ক ঠোঁটের কোণে শিশিরবিন্দু হয়ে হাসি ফোঁটায় রুদ্রর এহেন উপস্থিতি। আমি হাত নাড়িয়ে ইশারা করে বললাম,’আমি আসব?’
রুদ্রও ইশারায় ঘাড় নাড়িয়ে বলল,’আসো।’
গলায় একটা ওড়না ঝুলিয়ে দ্রুত আমি নিচে নেমে পড়ি। অবশ্যই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে নামতে হয়েছে। বাড়ির নিচে এসে দেখি রুদ্র দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমায় দেখেই সেই ভুবনজয়ী হাসি হেসে বলে,’হাঁটবে?’
আমি কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে সায় দিলাম। দুজনে চুপচাপ হাঁটছি। নাহ্, আমি চুপ থাকলেও রুদ্র চুপ নেই। কথা বলছে সে। আর আমি? আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনছি।
আমরা এখন যাচ্ছি টং দোকানে চা খেতে। রুদ্রর ভাষ্যমতে বাদলা দিনে চা পান করার অমৃত খাবার আর কোনোটাই নয়। অধিকাংশ মানুষের চা পছন্দ হলেও আমার কেন জানি ততটা ভালো লাগে না। কারো কারো কাছে চা এতটাই পছন্দের যে পারলে বালতি ভরে খেতে পারবে। আর আমার বিষয় হচ্ছে, মুডের ওপর ডিপেন্ড করে। আপনাদের অদ্ভুত এবং অবাক লাগতে পারে। কিন্তু সত্যি এটাই। এক সময় অবশ্য প্রচুর চা খেতাম। ছোটোবেলায় আরকি। যদিও এখনও আমি ছোটোই! কিন্তু আরও ছোটো থাকতে মোটামুটিভাবে গ্লাস ভর্তি করে চা খেতাম। একথা আমায় মা জানিয়েছে।
আজ যেখানে রুদ্র চা খাওয়ার অফার করেছে সেখানে না করার তো প্রশ্নই আসে না। এখন আমরা হাঁটছি কাদাভর্তি রাস্তায়। এখানে, ওখানে পানি জমে রয়েছে। অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে হাঁটার পরেও আমার পা কাদার মধ্যে পড়ে যায়। ছোটোবেলা থেকেই আমার শুচিবায়ু রয়েছে। গা ঘিনঘিন করছে এখন। আর এক কদমও আগাতে ইচ্ছে করছে না। রুদ্র তখন আমায় নিয়ে পাশে থাকা মুদি দোকানে যায়। পানির বোতল কিনে হাতে দিয়ে বলে,’পা ধুয়ে নাও।’
আপনারা হয়ত ভাবছেন, হাঁটার দরকার কী? রিকশা নিলেই তো হয়। আসলে আমরাও রিকশা খুঁজেছি। পাইনি। বৃষ্টির দিনে খালি রিকশা পাওয়া আর চাঁদ পাওয়া আমার কাছে সমানই মনে হয়। রুদ্র কাকে যেন ফোন করেছে। এই সুযোগে আমি ভালো করে পা ধুয়ে নিয়েছি।
‘হয়েছে?’ ফোনে কথা বলা শেষ করে জিজ্ঞেস করল রুদ্র। আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,’হ্যাঁ।’
‘এখানেই একটু দাঁড়াও। পরিচিত এক রিকশাওয়ালা চাচাকে ফোন দিয়েছি। সে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এসে পড়বে।’
‘তাকে কেন ডাকতে গেলেন?’
‘খেয়াল করলাম তুমি কাদাপানির মধ্যে হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছ না।’
‘এজন্য রিকশা ডাকতে হবে?’
‘হবে।’
আমি হাসলাম। কিছু্ক্ষণ মৌন থেকে বললাম,’আপনার বউ যে হবে সে অনেক লাকি।’
কথাটা আমি খোঁচা মেরেই বললাম। আমি আসলে শুনতে চাচ্ছি, আমার এই কথায় সে কী বলে! কিন্তু অদ্ভুত! রুদ্র কিছু বলল না। শুধু হাসল। আমি জিজ্ঞেস করলাম,’হাসছেন যে?’
‘তোমার কথা শুনে হাসলাম।’
‘হাসির কী বললাম আমি? সত্যিই তো বললাম।’
‘আচ্ছা।’
‘আবার আচ্ছা কী?’
‘এত খুঁত ধরো কেন পিচ্চি?’
‘কথার উত্তর না দিলে জিজ্ঞেস করব না?’
আমার এই কথার জবাব দিল না রুদ্র। একটা ফাঁকা রিকশা সামনে এসে দাঁড়ানোর পর রুদ্র বলল,’রিকশায় উঠো।’
চাইলে রিকশায় বসেও আমি প্রশ্নটি আবার করতে পারতাম। কিন্তু এক প্রশ্ন বারবার করাটা কেমন যেন দেখায়! আমার নিজের কাছেও আনইজি লাগবে।
আঁকাবাঁকা রাস্তায় ছোটো ছোটো গর্তগুলো এখন পানি দ্বারা পূর্ণ। তাই হঠাৎ হঠাৎ রিকশায় ঝাঁকুনিও লাগছে।
‘সামলে বসো।’ বলল রুদ্র।
আমি রিকশা ধরেই বসে ছিলাম। রুদ্রর প্রতি বিয়েরদিন আমার প্রচুর রাগ থাকলেও এখন আর সেটা নেই। সময়ের সাথে সাথে রাগও কমে গেছে। আবার এমনও হতে পারে, প্রিয়মানুষের ভুল-ত্রুটি, দোষগুলো আমাদের চোখে পড়লেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। বেমালুম ভুলে যাই আমরা। মাঝে মাঝে রুদ্রকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে কেন সে আমায় মিথ্যে বলেছিল। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারি না। কী করে জিজ্ঞেস করব? সেই অধিকার যে আমার নেই।
.
রিকশা এসে থামে টং দোকানের সামনে। রুদ্র রিকশাওয়ালা চাচাকে বলল,’চাচা আসেন চা খাই।’
‘না, বাবা। তুমরা খাও।’
‘আরে আসেন তো।’
দোকানদারও রুদ্রর পরিচিত। রুদ্রকে দেখেই এক গাল হেসে বললেন,’এতদিন পর এই চাচার কথা মনে হইল?’
দোকানের ভেতর থেকে একটা চেয়ার উনি আমাকে আগে দিলেন। বাকি দুইটা চেয়ার দিলেন ঐ চাচা আর রুদ্রকে। রুদ্র চেয়ারে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে বলে,’সময় পাই না চাচা। কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়।’
‘হ, বাজান বুঝি। তাও সময় কইরা একটু আইবা। আমার ভালো লাগব।’
‘আচ্ছা চাচা সময় পেলেই আসব। এইযে আজ সময় করে চলে এলাম।’
দোকানদার চাচা পান খাওয়া লাল দাঁতগুলো বের করে হেসে বললেন,’এল্লিগা অনেক খুশি হইছি বাজান। চায়ের লগে কি বিস্কুট দিমু?’
‘আমি খাব না। নবনী বিস্কুট খাবে?’ রুদ্র জিজ্ঞেস করল।
আমি বারণ করলাম। গরম চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার সাহস নেই। গরম চা আমি খেতে পারি না। কিন্তু রুদ্র কী সুন্দর করে ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে! সেই দৃশ্য আমি লিখে বর্ণনা করতে পারব না। গল্প হচ্ছে এখন তাদের তিনজনের মধ্যে। আমি নিরব শ্রোতা হয়ে তাদের কথা শুনছি। মাঝে মাঝে গভীর দৃষ্টিতে রুদ্রর হাসিমাখা মুখটি লক্ষ্য করছি। আমি ভীষণভাবে ফেঁসে গেছি। আটকে গেছি আমি রুদ্রর মায়ায়, রুদ্রর প্রেমে। এই ঘোর, এই ধ্যান আমার কাটবে না। আমার রুদ্রকে চাই। একান্ত আপন মানুষ হিসেবে। সে শুধু আমার হবে। অন্য কারো সঙ্গে আমি তাকে ভাগ করতে পারব না। করব না। সে হবে একান্তই আমার প্রিয় ব্যক্তিগত মানুষ।
‘এই পিচ্চি?’ চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল রুদ্র। ধ্যানে ফিরে আমি হকচকিয়ে উঠি। আশেপাশে তাকিয়ে একটু লজ্জাবোধও করি। রুদ্র হেসে বলে,’উঠি এবার?’
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,’হুম।’
ইশ! এতক্ষণ রুদ্রর দিকে তাকিয়ে কত কী ভাবলাম। রুদ্রও নিশ্চয়ই খেয়াল করেছে। আমি চুপচাপ রিকশায় উঠে বসলাম। রুদ্র দোকানদার চাচাকে বলল,’চাচা সময় পেলে একদিন বাসায় আসিয়েন। আমিও সময় পেলে আসব।’
‘আইচ্ছা বাজান।’
হালকা বাতাস, ঠান্ডা ওয়েদার, পাশে প্রিয় মানুষ। ইচ্ছে করছে সময়টা এখানেই থেমে থাকুক। আজ একটা টাইম-মেশিনের খুব শখ হচ্ছে। থাকলে বেশ ভালোই হতো। ঘড়ির কাঁটা টুপ করে থামিয়ে দিতাম। থমকে যেত সময়। গল্প করতাম আমরা অহরহ। কিন্তু সময় ফুরাতো না। আফসোস…এটা কখনও হওয়ার নয়।
রুদ্র নিজের চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে বলল,’নবনী কাল থেকে তুমি স্কুলে যাবে।’
‘না।’
‘না কি আবার? সামনে তোমার এস.এস.সি পরীক্ষা। ভালো রেজাল্ট করতে হবে না?’
‘আমি তো বাসায় পড়ছি।’
‘বাসায় পড়া আর ক্লাস করা কি এক হলো? যদি একই হতো তাহলে কেউই আর স্কুলে যেত না। বাসায় পড়ে পড়ে বিদ্যাসাগর হয়ে যেত।’
‘আপনি আমার দিকটা বুঝতে পারছেন না।’
‘আমি সবই বুঝতে পারছি। সেদিনের ঘটনা এখনও মন থেকে পুরোপুরি দূর হয়নি তাই না?’
‘হু।’
‘বেশ! আচ্ছা তুমি যে আমার সাথে বের হয়েছ তোমার কি এখন ভয় লাগছে?’
‘না।’
‘তাহলে তো হয়েই গেল।’
‘কী হয়ে গেল?’
‘কাল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে আমি তোমায় স্কুলে ড্রপ করে দেবো। খবরদার! এখন কোনো বাহানা করবে না। একটু আগে তুমি নিজেই বলেছ আমি সাথে থাকলে তোমার ভয় করে না।’
রুদ্রর কথার ধরণে আমি হেসে ফেললাম। আচ্ছা রুদ্রর মনেও কি আমার জন্য সেম ফিলিংস রয়েছে? যেমনটা ওর প্রতি আমার রয়েছে। নয়তো আপনারাই বলুন, সে কেন শুধু শুধু আমার জন্য এত ভাববে? আমায় এত সাহায্য করবে? আপনাদের কি মনে হয় না সেও আমায় ভালোবাসে?
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here