#গল্পগুচ্ছ_সমগ্র
#অচেনা_কেউ
#পর্ব_৮
লেখক_আয়াত_মুস্তারিহ_আয়ান
আয়ানের মাথায় বারি দিয়ে কে যেনো আয়েশাকে তুলে নিয়ে গেছে.
এই খবর আয়েশার মায়ের কাছে যখন আসলো তখন সে ভয় পেয়ে গেলো…
এটা কি করে সম্ভব??
আয়েশার সাথে কার এতো শত্রুতা থাকতে পারে??
.
কিন্তু এটা দেখার আগেই তার খেয়াল হয়..আয়ান এর মাথা থেকে তো রক্ত পরতেছে..
.
সে জলদি করে আয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়..
আয়ানের মাথা থেকে অনবরত রক্ত পরতেই আছে..
তাকে ভর্তি করে রক্ত পরা থামানো হয়.
.
শরির থেকে অনেক ব্লাড লস হয়..এখন তার সুস্থ হতে কতক্ষন বা কতদিন লাগবে জানা নেই..
.
আয়ানের পাশেই বসে আছেন আয়েশার মা.।.
আয়েশার বাবা কেউ ফোন করে জানায় আয়েশার মা..
আয়েশার বাবা আয়েশার নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে শক হয়ে যায়.
.
অন্যদিকে আয়েশা আয়ান নামক আরেক লোকের সাথে এখন তার বাসায়.
.
বাসায় ডুকতেই সে চারিদিকে বিভিন্ন রকমের ছবি টানানো দেখতে পায়
.
চারিদিকে ২টা একি ছেলের ছবি..
তারা জময..
কিন্তু ছোট বেলার ছবি এটা তাদের..
.
আচ্ছা এই ছবি গুলো কার??
>চিনবে না তুমি আয়েশা.কারণ তোমার তো মেমোরি লস হইছে..
>আমার মেমোরি লস মানে??
>কাহিনি শুনতে চাও তবে তুমি আয়েশা??.
>কিসের কাহিনি??
>তোমার সিলেটের সেই ঘটনা মনে নেই আয়েশা??
যেই দিন তুমি আর আরিশা এক সাথেই আসছিলে..
আর আসার সময় তোমায় গাড়িতে টক্কর দেয়??
.
>হে আমার মনে আছে..
.
আয়েশা মজার ব্যাপার কি জানো??তোমার সব মনে আছে শুধু আয়ান ফারহান আর আমার প্ল্যানিং এর কথা মনে নেই আয়েশা…।
>প্ল্যানিং মানে??কিসের প্ল্যানিং??
>হাহাহ আয়েশা ডারলিং..সেই দিন তোমাদের এক্সিডেন্ট হয় নি..
আমি করাইছিলাম..
>কি???আপনি??আর আপনি আয়ান নাহ??
>হায়ে আয়েশা..তুমি এখনো বুঝো নি যে আমি আয়ান নাহ??
.
.
>কি চান আপনি??আমাদের এক্সিডেন্ট ই বা আপনি কেনো করাইছিলেন??
>আই এম দ্যা মোস্ট ডিসগাস্টিং কেরেক্টার ইন দ্যা স্টোরি..
.
আয়ান মুশতারিহ জিহান..
>আয়ান আর আপনি জময ভাই??আর ছবিটি আপনাদের??
>হে..এই ছবি গুলো আমাদের..
.
>আপনি কেনো করলেন এতো সব??
>এগুলো পরে যেনো তার আগে বলো..তোমার অচেনা কেউ মানুষটি কে???
>আমি ও তো তাই জানতে চাই অচেনা সেই মানুষ টি কে??.।
.
.
>হাহায়াহা..আলিফা জান্নাত আয়েশা..সেই মানুষটি আর কেউ নয়..আমি নিজে..
তুমি সব বুঝো কিন্তু এই টুকুনি বুঝো নাহ??
তোমার কানের দুলগুলো অনেক সুন্দর হয়…যেই দোকান থেকে কিনো অনেক সহজে তোমার পছন্দ হয়ে যায় সেখান থেকে তাই নাহ??
>হুম..
>আরে সেই সব আমার দেওয়া যাতে মাইক্রোফোন লাগানো..
এর মানে তুমি যা শুনো আমি ও তাই শুনি..ইনফ্যাক্ট তোমার পরিবারের সবার কথা আমি শুনি..
.
তাই সহজেই তোমায় আমি ফলো করতে পারছি..
আমার কথা ছিল তোমার বিশ্বাস অর্জন করা এবং সেই বিশ্বাস কে এমন ভাবে ভাংগা যা তুমি চিন্তাও করতে পারবে নাহ..
.
তুমি এতোদিন আমার ভক্ত হয়ে ছিলে আয়েশা আর আজ থেকে আমার কারাগারে থাকবে তুমি..
.
>না আমি থাকবো না এখানে..দেখিশ আমার আয়ান এসে নিয়ে যাবে আমাকে ঠিক ই..
.
>হাহাহা বাবু..আয়ান কখোনোই আসতে পারবে নাহ..সে আসতে চাইবেও না..সে নিজেও চায় তোমায় খুন করতে আয়েশা ডারলিং..
.
.
>মানে??=কেনো??
>সেই দিন সিলেটে খেলা হচ্ছিলো।।
আয়ান খেলা দেখার জন্য তোমায় আর আরিশাকে জোর করতেছিলো।।
কিন্তু তোমার কি যেনো জরুরি কাজ ছিলো..
যার ফলে তুমি চলে আসতে চাইছিলে..
কিন্তু আরিশা কোন মতেই তোমায় একা আসতে দিবে নাহ..
.
তাই সেও তোমার সাথে আসতে লাগলো..
আমি যেনো ঈদের চাদ হাতে পেয়ে যাই..
আয়ানের কোন ক্ষতি না করতে পারলেও আজ তার জান তার অক্সিজেন কে ঠিকই আমার হাতের মুঠোয় পাবো..
.
তোমরা সি এন জি তে উঠো..
এমন সময় আরিশার ফোনে একটা ফোন আসে..
.
.
হেলো আরিশা??
>জ্বি কে??
>মা তোর বাবার এক্সিডেন্ট হইছে..তুই জলদি আম্বরখানায় চলে আয়..
>তোমাদের যাওয়ার কথা ছিলো একদিকে কিন্তু আমি নিয়ে আসতেছিলাম আরেকদিকে..
.
সেই ফোনটা আমি করছিলাম..
.
আরিশা আর তুমি,যখনই সেই ক্রস করলে সাথে সাথে আমার লোক ট্রাক দিয়ে তোমাদের সি এন জি উড়িয়ে দিলো..।.
আমি সিউর ছিলাম না সে আরিশা করবে..
তাই তার মাথায় রড দিয়ে জোড়ছে আঘাত করি..
.
কিন্তু তাও সে বেচে যায়..
.
আর তুমিও..
কিন্তু মজা ব্যাপার হলো তুমি সবাই কে মনে রাখলেও ফারহানের সাথে তোমার ব্রেক আপের কথা আর আয়ান এর কথা ভুলে যাও..
.
আমি সেই সুযোগ টাই কাজে লাগাই..
ফারহান তোমার ভুলে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে আবার সব ভালোভাবে ঠিক করে আর তোমায় গণ ধর্ষণ এর চেষ্টা করে..
কিন্তু আমি তোমায় বাচাই..কারণ এর থেকে ও বড় শক তোমায় আমি দিবো.মানে তোমায় দিয়ে আয়ানকে আমি শেষ করবো..
.
>না এ হবে নাহ..
>হাহা আয়েশা ডারলিং এখন সবচেয়ে বড় শক খাবে তুমি।।
>কারণ আয়ান এখন হাসপাতালে আর আয়ান এর ও আমি সেই অবস্থাই করেছি যা আরিশাকে করেছিলাম।
.
আয়েশা ক্ষিপ্ত হয়ে আয়াতকে মারতে যায়..
কিন্তু আয়াত আয়েশার হাত ধরে এবং রুমাল দিয়ে মুখ চেপে তাকে অজ্ঞান করে দেয়…।
.
.
আয়ান..এখন তোর আরিশার পালা….
.
হাহাহাহা।।
.
.
.
আয়ান এর মাথার চোট তেমন বেশি নাহ..
৬/৭ ঘন্টার মাঝে জ্ঞান ফিরবে..
.
এদিকে আরিশা যেই হাসপাতালে সেই হাসপাতালে আয়াত যায়.
জময ভাই হওয়াতে আয়াতকে সবাই আয়ানই ভাবছে..
.
কিরে আয়ান??আরিশাকে দেখতে এসেছিশ??(আরহাম)
>হুম.. হুম
>সারপ্রাইজ শুনবি??
>কি??
.
আরিশা ৮০% সুস্থ..যেকোন সময়ে জ্ঞান ফিরতে পারে..
>সত্যি??
>হুম..
>আরিশাকে আমার বাসায় নিয়ে যাই তবে..
>কেনো??
>আরে বাসায় নিয়ে সেবা বেশি করবো..আর আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারতেছি নাহ..
>আরে..
>ভাই প্লিজ..
>আচ্ছা আমি দেখতেছি..
.
.
আরহাম আরিশাকে আয়াতের বাসায় শিফট করার ব্যবস্থা করে দেয়..
.
১ঘন্টার মাঝে আয়াতের বাসায় থাকে আরিশা.
.
এখন আরিশার এবং আয়েশা দুইজন ই আয়াতের কাছে..।
.
.
.
সন্ধ্যার দিকে আয়ানের জ্ঞান ফিরে..
.
সে উঠেই আয়েশার কথা জিজ্ঞেস করে..কিন্তু আয়েশা নেই..
আয়েশাকে পাওয়া যায় নি..
আয়ান তাকে খুজতে যেতে চায়..কিন্তু পারে নাহ..
তাকে কেউ যেতে দেয় নাহ..
.
.
রাত ১টা..
.
আয়ান শুয়ে আছে…
এমন সময় আয়ানের নাম্বারে ফোন আসে…।
.
>হায় আয়ান বাবু..
>কে??
>ভুলে গেছিশ আমায়..ভাইটুস??
>আয়াত??তুই??
>হে আমি..
>তুই এখন ও বেচে আছিশ??.
>হে আমি এখনও বেচে আছি.
আর সবচেয়ে বড় কথা কি জানিশ তোর আরিশা আর নির্দোষ আয়েশা এখন আমার কাছে..
>কি???আয়াত তোরে আমি খুন করবো কিন্তু…
>হাহা..আগে তোর আয়েশা আর আরিশা কে তো বাচা৷
একজন তো বাসায় একজন আমার…
.
আরিশার পাশে লোক রাখা আছে..১ঘন্টায় আরিশার পাশের লোক তার অক্সিজেন এর লাইন কেটে দিবে…
আর অন্যদিকে আয়েশার কাছে কিছু ছেলে আছে..যারা ১ঘন্টা পর থেকে আয়েশার সম্মান লুটতে শুরু করবে..
.
তুই এখন কাকে বাচাবি আয়ান??
।
।
আর সবচেয়ে মজার কথা হলো..আরিশা ৮০% সুস্থ..যেকোন সময় জ্ঞান ফিরতে পারে..
তাহলে এখন তুই কি করবি আয়ান??
.
কাকে বাচাবি???
.
.
.
ঠিক ই তো আয়ান এখন কাকে বাচাবে??আয়েশাকে নাকি আরিশা??
.
আয়েশা আয়ানের জন্য বিপদে পড়ছে আর আরিশা তার ভালোবাসা. তাহলে কি করবে???এখন আয়ান???
চলবে…
👍👍👍গল্পগুচ্ছ সমগ্র