রোদহীন_বিকালে_তুমি✨ #ইশা_আহমেদ #পর্ব_৭

0
327

#রোদহীন_বিকালে_তুমি✨
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_৭

১৮.
itna bata de tujhko
chahat pe apni mujhko
yooo to nahin ikhtiaar
phir bhi ye socha dil ne

ab jo laga hu milne
pucchun tujhe ak baar
Oooooo……
tuhi yeh mujhko bata de.
chahun main ya na……

রোদ তার বেলকনিতে বসে গান গাইছিলো।তার ভেতরেই রোদের মা রুহানা তার কাছে এসে বলে,,,,
“রোদ তুমি যে আমাকে বলেছিলে আমার হবু বউ মার ছবি আমায় দেখাবে তো কই দেখাও”

রোদ হেসে বলল,,,,”মম দাঁড়াও দেখাচ্ছি”

রোদ গিটারটা পাশে রেখে ফোনটা বের করে ফারিহার ছবি দেখিয়ে বলল,,,,”মম এই যে ফারিহা ইয়ানাত।”

রুহারা ছবি দেখে অবাক হয়ে বলে,,,,”ওকে তো চিনি আমি ও আর ওর ফ্রেন্ড একদিন আমায় সাহায্য করেছিলো।”

রোদ কৌ’তু’হল নিয়ে বলে,,,,”কি সাহায্য করেছিলো ফারিহা”

“সেদিন গাড়ি নিয়ে বের হয়নি আমি।রাস্তায় অ’সু’স্থ হয়ে পরেছিলাম।এই মেয়েটা আর ওর বান্ধবী মিলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।ডাক্তারও দেখায় মেয়ে দুইটা খুবই ভালো।ফরিহা নামের মেয়েটা মনে হয় একটু রা*গী আর ওর বান্ধবী ও খুব শান্ত স্বভাবের”

রোদ ক’রু’ন কন্ঠে বলে,,,”হ্যা মম ফারিহা প্রচন্ড রা*গি!কিভাবে ওকে প’টাবো মম তাই ভাবছি”

রুহানা হেসে বলে,,,,”চিন্তা করিস না আমার এতো সুদর্শন ছেলেকে কি কেউ পা’ত্তা না দিয়ে পারে”

রোদন ম’ন খা’রাপ করে বলে,,,”মম ও সবার থেকে আ’লা’দা।ওকে প’টানো অনেক ক’ঠিন”

রুহানা রোদকে শান্তনা দিয়ে চলে গেলো।রোদ বিড়বিড় করে বলল,,,,
“এমন মেয়ে যাকে বাঁচানোর জন্য স্প’র্শ করেছিলাম তাই কতো ঝগড়া করলো বাপরে বাপ।রোদরাজ চৌধুরীর বউ যদি এমন তে*জি না হয় তাহলে কি হয় নাকি।আমার বউ আমার মতোই হয়েছে”

১৯.
সকাল সকাল আলভি আনিশাকে তা*ড়া দিয়ে রেডি করিয়ে ভার্সিটির সামনে চলে আসলো।আনিশার সাথে সাথে আলভিও গাড়ি থেকে নামলো।আনিশা চলে যেতে নিলেই আনিশার হাত ধরে আ’টকে বলে,,,,
“আজকে কিন্তু মোটেও একা যাবে না আমি তোমাকে নিয়ে যাবো এসে।”

আনিশা মা*থা নাড়ায়।আলভি মুচকি হেসে চলে যায়।দূর থেকে ইয়ামিন আর ফারিহা দেখছিলো ওদের।ফারিহা একদৃ’ষ্টিতে তাকিয়ে আছে।হয়তো মানতে ক*ষ্ট হচ্ছে আলভির এমন পরিবর্তন।ইয়ামিন ফারিহাকে বলল,,,,,
“আলভি ভাইয়া এমন আ’চরণ করছে কেনো ফারু উনি কি সত্যিই আনিকে ভালোবাসতে শুরু করেছে”

ফারিহা নিজেকে সামলে বলল,,,,”হয়তো ভালোই হবে।আমি তো এটাই চাইছিলাম ওরা দু’জন ভালো থাকুক।”

আনিশা এসে ওদের পাশে বসে।আজকে ওদের ক্লাস দে’রিতে হবে।তাই সবাই ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে যার যার মতো গল্প করছে।ফারিহা ওদের কিছু বলবে তার আগে ওদের ক্লাসের কিছু মেয়ে আসে ওদের কাছে।মেয়েগুলোর মধ্যে রুনা নামের একটা মেয়ে স’য়’তা’নি হাসি দিয়ে বলে,,,,
“কিরে ফারিহা আলভি না তোর বয়ফ্রন্ড ছিলো তা এখন আনিশার সাথে কি করে।নাকি তোরা একজনকেই দু’জন
মিলে বিয়ে করার ধা’ন্দা’য় আছিস”

ফারিহার প্রচুর রা*গ হলো।কিন্তু নিজেকে সামলে বলল,,,”আমাদের ব্যাপার আমাদের বুঝতে দে তোরা যা এখান থেকে!”

রুনা মুখ বাঁ’কিয়ে বলে,,,,”সত্যি কথা বললে জ্ব*লে না জ্ব*লবেই তো”[লেখিকা ইশা আহমেদ]

কথাটা বলেই রুনা হাসে লাগলো।রুনার সাথে থাকা মেয়েগুলোও হাসতে লাগলো।ফারিহা রে*গে রুনার গা’লে থা-প্প*ড় মা-রতে লাগলো।থা*প্প*ড় মা’র’তে মা’র’তে বলল,,,,,
“বে’হা’য়া র্নি’ল’জ্জ মেয়ে এই তোকে না বলেছি আমাদের বিষয়ে কথা বলবি না তাও কথা বলতে এসেছিস!মানুষকে না জ্বা*লালে হয় না তাই না।”

রুনাকে ফারিহা মে*রেই যাচ্ছে। কেউ কথা বলছে না। আনিশা আর ইয়ামিন হা করে দেখছে।কারো সাহস নেই ফারিহার কাছে এখন যাওয়ার।ভার্সিটির প্রায় সবাই জানে আর কে কিই বা বলবে ভার্সিটির থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট এরা কারো কিছু বলার সা’হস নেই।

রোদ ফারিহাকে দেখতেই ভার্সিটি এসেছিলো।আরো একটা কাজেও এসেছে।ফারিহার এই অবস্থা দেখে।রুনার থেকে টে’নে ছাড়ায় ওকে।রোদও কিছু মা*র খায় ফারিহার হাতে।তবুও কিছু বলে না ও।জানে ভীষণ রেগে আছে ফরিহা।ফারিহাকে ছাড়তেই ফারিহা রে*গে বলল,,,
“আপনি আজকেও আমাকে স্প’র্শ করলেন কি শুরু করেছেনটা কি হ্যা বে’য়াদপ অ’স’ভ্য বেডা আপনারে আমি পুলিশে দেবো”

রোদ ফারিহাকে ধ’ম’ক দিয়ে বলে,,,”just shut up miss fariha.তুমি আমাকে পুলিশে দেবে হা হা হা আমি বরং তোমাকে ভার্সিটি থেকে সাসপেন্ড করতে পারি।তুমি জানো আমি কে!”

ফারিহা রে*গে আ’ঙ্গু’ল তু’লে বলল,,,,”এই কে আপনি হ্যা যে আমাকে সাসপেন্ড করার কথা বলছেন”

রোদ রা*গি দৃ’ষ্টিতে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,”আমি নিউ প্রফেসর এখানের”

আনিশা আ’টকে উঠে ও টেনে ফরিহাকে ইয়ামিনের কাছে দিয়ে রোদকে বলে,,,,”ভাইয়া সরি স্যার আমাদের ক্ষ’মা করে দিবেন। ওর একটু রা*গ বেশি আর রুনাও ফা’ল’তু কথা বলছিলো।”

রোদ হেসে বলল,,,,”ঠিক আছে ভাবি ওপস সরি আমি তো এখানে আপনাদের টিচার সো নাম ধরে ডাকি ঠিক আছে”

আনিশা জোড় পূর্বক হেসে বলে,,,”জী জী স্যার কোনো সমস্যা নেই”

রোদ চলে যায়।ফারিহা এখনো রা*গে ফু’সছে।ফারিহা আনিশাকে বলে,,,,”তোর আজকে সত্যি বলতেই হবে তোট সেই প্রিয় মানুষটা আলভি না”

আনিশা কাঁ’পা কাঁ’পা কন্ঠে বলে,,,,”হ্যা কিন্তু বিশ্বাস কর তোদের রিলেশনের কথা জানার পর আমি আর উনাকে নিয়ে ভাবতে চাইনি কিন্তু ভালোবাসি তো তাই ভু*লতেও পারিনি কি করবো বল কিন্তু আমি কখনো চাইনি উনি আমার হোক”

ফারিহা হেসে বলে,,,,”আমি তোকে চিনি আর কিছু বলতে হবে না আনি”

আনিশাও হাসে।ফারিহার হাসিতে যে এক বুক ক*ষ্ট জমে আছে তা আনিশা খুব ভালো করেই জানে।আলভির এই অ’স্বা’ভাবিক ব্যবহারে যে ফারিহার হৃ’দয়ে আ’গু’ন জ্ব*ল*ছে তাও বুঝতে পারছে। তার তো খুশি হওয়ার কথা আলভির ব্যবহারে তাহলে কেনো সে খুশি হতে পারছে না।

২০.
রোদ কখনোই চাইনি ফারিহার সাথে এমন ব্যবহার করতে কিন্তু শে’ষে বা’ধ্য হয়েই এমন করলো।রোদ জানে ও এমন না করলে কখনোই ফারিহা শান্ত হতো না।রোদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভিসির কাছে যায়।ভিসির সাথে কথা বলে অনেক সময় ধরে।মূলত ফারিহার জন্যই এই ভার্সিটির প্রফেসর হওয়া।রোদ চাই ফারিহা ওকে ভালোবাসুক জো’ড় করে কখনোই ভালোবাসা হয় না তা রোদ জানে।আর ফারিহার মতো মেয়ের সাথে কখনোই না।

আলভি আজকে ওকে দেখা করতে বলেছে।কালকে কথা বলতে পারেনি তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলো অফিস থেকে জরুরি কল আসায়।রোদ ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার আগে ফারিহাকে দেখে যায়।ক্যান্টিনে বসে আছে।রোদ বের হয়ে ছোটবেলায় আলভি রোদ যেই পার্কে খেলা করতো সেখানে।রোদ পার্কে ঢুকতেই একটা বেঞ্চ আলভিকে বসা দেখলো।

আলভিকে দেখে হাসলো রোদ।রোদের ছোটবেলায় কাটানো মূহুর্তের কথা মনে পরে যাচ্ছে।কতো দু’ষ্ট’মিই না করেছে দু’জন আর আজ একজন বিয়েও করে ফেলল।রোদ গিয়ে ঠা’স করে আলভির পাশে বসে পরলো।আলভি গভীর ভাবনায় ম’গ্ন ছিলো।রোদের শব্দ করে বসাতে ঘো’র কাটলো।

আলভি হাসলো।রোদ ওকে বলল,,,”তাহলে আনিশা ভাবিই সেই মেয়ে যাকে তুই ভালোবাসিস!যার কথা সেদিন বলেছিলিস আমায়”

আলভি বলে,,,”ও সে না ওর সাথে আমার হুট করে বিয়ে হয়েছে”

রোদ অবাক হয়ে বলে,,,,”কি সত্যি তাহলে তুই কি এখন আনিশা ভাবিকে ভালোবাসিস”

আলভি রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে,,,,”বাসি তো খুব বাসি!বাদ তোর খবর কি কবে বিয়ে করছিস”

রোদ হতাশ হয়ে বলে,,,,”ভাই বউ রাজি হচ্ছে না কি করবো বল।তাকে পটা’নোর মিশনে নেমেছি”

আলভি বলে,,,”কে রে সেই মেয়ে যে আমার বেস্টফ্রেন্ডকে পা’ত্তা দিচ্ছে না”

রোদ হেসে বলে,,,,”দেখাবো হুট করে একদম বিয়ে করে সারপ্রাইজ দিয়ে দেবো তোকে”

আলভি আর রোদ কথা বলতে থাকে।আলভির মনে এখন কি চলছে কে জানে।বেচারি আনিশার ক’পালে কি আছে।

২১.
রাতে খাবার টেবিলে আলভিসহ সবাই উপস্থিত।সবাই বসে হাসি মুখে খাচ্ছে হঠাৎ আলভির বাবা বলে,,,,”আলভি তোমাদের বিয়ে তো বেশ কিছুূদিন হলো তাই ভাবছি তোমদের রিসিপশনটা করে ফেলি।তুমিও তো মনে হয় আনিশা মাকে মেনে নেওয়ার চে*ষ্টা করছো”

আলভির খাওয়া থামিয়ে দিলো।চো’খ মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই তারমনে কি চলছে।আনিশাসহ সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে উ’ৎসুক দৃ’ষ্টিতে।

চলবে,,,,,?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here