#রোদহীন_বিকালে_তুমি✨
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_১৬
৪৯.
আনিশাকে আজকে পাঁচদিন পর দেখবে আলভি।এই কদিন ব্য’স্ততা’র কারণে দেখা করতে পারেনি।অফিসে অনেক কাজের প্রেশার ছিলো।সামনে ক’দিন যেতে পারবে না তার জন্য।ওরা চারজন না ছয়জন আনিশা আলভি ফারিহা রোদের সাথে আহা আর ইয়ামিনও যাবে।
আলভি আনিশাকে নিতে এসেছে।রোদ কিছু সময় আগেই ফারিহাকে নিয়ে এসেছে।আনিশা আলভি একটা গাড়িতে।রোদ ফারিহা একটা গাড়িতে আর আহা ইয়ামিন বাইকে যাবে।ওরা শপিংমলে পৌছালো।একসাথে নেমে লেহেঙ্গার দোকানে গেলো!আনিশা ফারিহা আর আহা লেহেঙ্গা দেখছে।
আনিশা ফারিহাকে বলল,,,”ফারু তুই কি রঙের লেহেঙ্গা নিবি”
ফারিহা বলল,,,,”আমার ইচ্ছা সাদা রঙের লেহেঙ্গা পরার।চল তুই আর আমি এক রঙের লেহেঙ্গা নেই।আমার অনেক দিনের শখ ছিলো তোর আমার বিয়েটা একসাথে হবে আমি আর তুই এক রঙের লেহেঙ্গা পরবো!”
আনিশা হেসে সম্মতি দেয়।হঠাৎ আলভি একটা সাদা লেহেঙ্গা আনিশার উপর দিয়ে বলে,,,,”এটাতে তোমাকে সুন্দর লাগবে”
আনিশা আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে।আনিশা লেহেঙ্গাটা নিয়ে ট্রা’য়েল রুমে চলে যায়।লেহেঙ্গাটা অ’স’ম্ভ’ব সুন্দর। হয়তো প্রিয় মানুষ পছন্দ করে দিয়েছে বলে আনিশার কাছে একটু বেশিই ভালো লাগছে।রোদও ফারিহাকে একটা সাদা লেহেঙ্গা পছন্দ করে দেয়।ফারিহাও ট্রা’য়াল দিতে যায়।
আনিশা লেহেঙ্গাটা পরে বের হয়।আলভি ফোনে কথা বলছিলো সামনে তাকাতে আনিশাকে দেখে থমকে যায়।তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে কোনো পরির চেয়ে কম সুন্দর লাগছে না।ও হা করে তাকিয়ে থাকে।আনিশা আলভিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে চো’খ নামিয়ে লা*জুক হাসে!আলভি পরে কথা বলবে বলে ফোন রেখে দেয়।
ফারিহা লেহেঙ্গা পরে বের হতেই রোদ ফারিহার কাছে গিয়ে বলে,,,,”তোমাকে এই লুকে দেখে আমি আরো একবার প্রেমে পরলাম ফারুপরী।”
আলভি আনিশার কাছে এসে কানেকানে ফিসফিস করে বলে,,,,”তোমায় যত দেখছি তত মু’গ্ধ হচ্ছি বউজান”
আনিশা কেঁ’পে উঠলো।আলভির ক’ন্ঠে কিছু একটা ছিলো।নে’শালো কন্ঠ। আহা আর ইয়ামিন এসে কে’শে উঠে তাতে আলভি আনিশার পেছন থেকে সরে আসে।আহা হাসতে হাসতে বলে,,,”ভাইয়া ভাবি পা’লি’য়ে যাচ্ছে না আর এইটা কিন্তু শপিংমল ভু*লে যাচ্ছো”
আলভি আহার কান টেনে ধরে বলে,,,,”বড্ড পে’কেছি’স তুই বাড়ি গিয়ে দেখাচ্ছি মজা”
ওরা ওদের প্রয়োজনীয় সব কিনে নিয়ে চলে যায়।রোদ ভাবছে ফারিহা সে প্রথম যদিন দেখেছিলো সেই দিনের কথা।ফারিহা সেদিন কালো কুর্তি পরেছিলো।চুলগুলো ছাড়া ইয়ামিনের সাথেই যাচ্ছিল সেদিনই সে আটকে গেছিলো তার ফারুপরীর মাঝে।তার কিছুদিন পরই রোদ চলে যায় বিদেশে।
৫০.
আলভি আনিশাদের বিয়ের এখনো ৮ দিন বাকি।এই কয়দিন রোদই আনিশাকে ভার্সিটি দিয়ে আসে নিয়ে এসেছে।বে’চারা আলভি তো আনিশাকে দেখতে না পেয়ে দে’বদা’স হয়ে গিয়েছে।তাই আজকে ঠিক করেছে ও আজকে আনিশার সাথে দেখা করেই ছাড়বে।
আলভি বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরে আনিশাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। এখন রাত বারোটা বাজে।আলভি রোদদের বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে নেমে পরে গাড়ি থেকে।গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে দেখে নেয়।নাহ কেউ নেই।আলভি পাইপ বেয়ে আনিশার রুমে ঢোকে।
আজকেও আনিশা এলোমেলো ভাবে শুয়ে আছে।আলভি দেখতে লাগে আনিশাকে।তার আনিশাকে দেখতে ভালো লাগে।ও তাড়াতাড়ি করে আনিশার কিছু পিক তুলে নেয়।ঘুমন্ত অবস্থায় আনিশাকে অনেক সুন্দর লাগছে আলভির কাছে।আলভির মনে হচ্ছে কোনো ঘু’ম’ন্ত পরি তার সামনে ঘুমিয়ে আছে।ও আনিশার কাছে গিয়ে বসে। আনিশা ন’ড়ে’চ’ড়ে উঠে।
আলভি আনিশার দিকে ঝুঁ’কে ওর কপালে চুমু দেয়।আনিশা হুট করে চোখ খোলে। আলভিকে দেখে ভ*য় পেয়ে চি’ৎ’কার করতে নিবে তার আগেই আলভি আনিশার ঠোঁট জো’ড়া দখল করে নেয়।আনিশার চোখ বড়বড় করে ফেলে।আনিশা আলভিকে ছাড়ানোর চে’ষ্টা করে।কিন্তু আলভি ওকে ছাড়ে না।কিছু সময় পর ছেড়ে দেয় আলভি।
দুজনেই হাপাতে থাকে।আনিশা বলে,,,,”আ..পনি এতো রাতে এখানে কি করছেন?”
আলভি ঠোঁট মুছে বলে,,,,”তোমার সাথে রো’মাঞ্চ করতে এসেছি”
আনিশা চোখ বড়বড় করে তাকায় আলভির দিকে আলভি হেসে বলে,,,”ফা’জ’লা’মি করছিলাম।তোমাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবো তাই এসেছি চলো”
আনিশা অবাক হয়ে বলে,,,”আচ্ছা আপনি কোথা থেকে আসলেন।”
আলভি হেসে আনিশার মাথায় গা’ট্টি মে’রে বলে,,,,”ও তোমার জানতে হবে না চলো তুমি আমার সাথে”
ওরা এবার দরজা দিয়েই বের হলো।আলভি জানে আনিশা কখনোই পাইপ বেয়ে নিচে নামতে পারবে না।তাই দরজা দিয়ে বের হলো।আনিশাকে বাইরে এনে বাইকে উঠালো।আলভি আনিশাকে নিয়ে অনেক দূরে একটা জায়গায় আসে।আনিশা আর আলভি দুজন বসে অনেক সময় গল্প করে।
আলভি আনিশাকে নিয়ে একটা চায়ের দোকানে যায়।দোকনটাতে আলভি আর ওর বন্ধুরা রাতে এসে চা খেত তাই আলভি চেনে এই চা ওয়ালাকে।এই দোকানটাই এতো রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।আলভি আর আনিশা চা খায়।আলভি আনিশাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়।
৫১.
তুহিন আজকে ভেবেছে আনিশাকে কি’ডন্যা’প করবে।সব প্লানও করা হয়ে গিয়েছে।ও সুহানকে বলে,,,,”আজকে ওরা সবাই রিসোর্টে যাবে আর আজকেই আমি আনিশাকে নিজের কাছে আনতে চাই”
সুহান বললল,,,”জি স্যার চলুন সব রেডি হয়ে গিয়েছে।”[লেখিকা ইশা আহমেদ]
তুহিন আর সুহান বেরিয়ে পরলো।আনিশাকে ওর বাড়ির সামনে থেকেই তুলে নিয়ে আসবে।
৫২.
আজকে সবাই রিসোর্টের যাবে।সবাই প্রায় চলে গিয়েছে।আলভি আর আনিশা যাবে একটু পর।আলভির অফিসের কাজ শেষ করে আসতে আসতে লেট হয়ে গিয়েছে।ওরা গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই আলভিকে অ’জ্ঞা’ন করে ওখান থেকে আনিশাকে নিয়ে চলে যায় কেউ।আলভির জ্ঞা’ন ফিরতেই ও নিজেকে রোদদের বাড়ি সামনে অ’জ্ঞা’ন অবস্থা আবিষ্কার করে।
ও সবাইকে ফোন করে জানায়।রোদ আর ইয়ামিন সবাইকে পৌঁছে দিয়ে চলে আসে আলভির কাছে।ইয়ামিন রোদ আলভি পা*গ*লের মতো আনিশাকে খুঁজতে থাকে।
আনিশার জ্ঞা’ন ফিরতেই নিজেকে একটা অচেনা রুমে আবিষ্কার করে।মা*থা চে*পে ধরে উঠে বসে।ম’নে করে কি হয়েছিল ওরা গাড়িতে উঠতে নিবে তখনই আনিশাকে কেউ অ’জ্ঞা’ন করে ফেলে তারপর আর কিছু মনে নেই আনিশার।আনিশা আলভির জন্য অস্থির হয়ে পরে।
চলবে…….!