আন্তঃনগরের_ভালবাসা
লেখকঃ আবির খান
পর্বঃ ০৩
~ মারে এ আমি কি দেখছি! তোর বাবা এই বুড়ো বয়সে আরেকটা বিয়ে করে সাথে একটা ছেলেও নিয়ে এসেছে। হায় হায় এখন আমাদের কি হবে রে?
আণ্টির কথা শুনে আমি তো পুরো বোকা হয়ে যাই। আর এদিকে আঙ্কেল হাসতে হাসতে বলেন,
— মরিয়মের মা তোমার কি মাথা ঠিক আছে? এ জন্যই বলি, পুরো কথা না শুনে আগেই লাফ দিয়ে উঠবে না৷
~ বাবা তাহলে এই ভাইয়াটা কে?
— বলছি মা বলছি। শোন, সকালে যখন নামাজ পড়তে যাই তখন ও আমার পাশেই ওজু করছিল। হঠাৎ খেয়াল করলাম ছেলেটা বাম হাত দিয়ে ওজু করছে। ডান হাতটা একদম ঝুলে আছে। আমি তো সাথে সাথে ওকে বকা দেই। কিন্তু পরমুহূর্তেই ওর কথা শুনে আমি মনের মধ্যে ভীষণ আঘাত পাই।
আঙ্কেল একটু থেমে খুব দুঃখী কণ্ঠে আবার বলেন,
— ও আমাকে বলে, আঙ্কেল আমার ডান হাতটা প্যারালাইজড। বাম হাত দিয়েই সব করতে হয়৷ বিশ্বাস করবেনা মরিয়মের মা তখন যে আমার কতটা খারাপ লাগছিল। তারপর খুব কষ্ট করে ওকে আমার সামনে নামাজ পড়তে দেখি। ওকে দেখে চোখ থেকে অজান্তেই অশ্রু গড়িয়ে পড়ে যে আমরা কত ভালো আছি মহান আল্লাহর রহমতে। নামাজ শেষ হলে ও বের হয়ে যায়। আমি আর ওকে দেখি না। কিন্তু যখন বাইরে আসি, দেখি ছেলেটা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। দ্রুত ওর কাছে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? ও প্রথমে না বলতে চাইলেও শেষমেশ মনের কথাটা বলে দেয়। ও কি বলেছে জানো তোমরা?
~ কি বাবা?
— ছেলেটার হাতের সমস্যার জন্য ওর আপন পরিবার ওকে মৃত ঘোষণা করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ও আর কোন জায়গা না পেয়ে আমাদের রাজশাহীতে চলে এসেছে। এবার তোরাই বল, ওকে যদি আমি সেখানে ফেলে আসতাম আমার বিবেক কি তা মেনে নিতো? বল? তাই ওকে নিয়ে আসলাম আমার সাথে।
আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি৷ খুব কষ্ট হচ্ছিলো। সাথে ভীষণ লজ্জাও পাচ্ছিলাম। হঠাৎই আণ্টি আমার কাছে এসে আমাকে ধরে কান্নাসিক্ত কণ্ঠে বলেন,
~ মরিয়ম হওয়ার পর থেকে আল্লাহর কাছে অনেক অনেক চেয়েছি আল্লাহ আমাকে একটা ছেলে দেও৷ কিন্তু তিনি তখন দেননি৷ উল্টো আর মা ই হতে পারি নি। বুকের ভিতর প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে এতদিন চলছিলাম। কিন্তু আল্লাহ আমাকে নিরাশ করেন নি৷ তিনি আমার চাওয়াটা পূরণ করেছেন। আমি পেয়েছি। আমি আমার ছেলেকে পেয়েছি। বাবা আজ থেকে তুই আমার ছেলে। আমার ছেলের হাত যদি একটা কেন দুইটাও না থাকে তাও আমার কোন সমস্যা নেই৷ শুধু একটা ছেলে চাই আমার। আজ থেকে তুই আমার একমাত্র ছেলে। বুকে আয় বাবা৷
আণ্টির কথা শুনে তার মাঝে মুহূর্তেই মায়ের প্রতিচ্ছবি দেখলাম। অজান্তেই অশ্রুর বাঁধ ভেঙে গেল। চোখের জলে পুরো গাল ভেসে গেল। আণ্টিকে মা বলে জড়িয়ে ধরলাম। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না জীবনটা এভাবে মোড় নিবে৷ এখন উপলব্ধি করছে পারছি, মরে গেলে সত্যিই সব শেষ হয়ে যেত। প্রথম দিকে ইচ্ছা ছিল না মরে যাবার। কিন্তু সবার চাপে আমি মরে যাবার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছিলাম শেষে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার সুন্দর মনের বান্দাদের উছিলায় আমাকে বাঁচিয়ে দেন৷ পুরো একটা পরিবার দিয়ে দেন আমাকে৷ এ যেন স্বপ্নের মতো। অবিশ্বাস্য। আঙ্কেল পাশ থেকে বলে উঠেন,
— একটা ছেলের জন্য আল্লাহর কাছে কত চেয়েছি আমরা। কখনো ভাবি নি এভাবে তিনি দিবেন আমাদের৷ মেয়েটা হওয়ার পর ওকে নিয়ে সবসময় ভয় হতো। আমরা না থাকলে ওর কোন ঠিকানাই থাকবে না। মারে এই দেখ তোর ভাইকে আল্লাহ পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন থেকে আর কোন ভয় নেই আমাদের। কি মরিয়মের মা এবার খুশি তো তুমি? তোমার মেয়েটা ঠিকানা হারা হবে না৷
~ খুশি মানে অনেক অনেক বেশি খুশি। তুমি ওকে এনে অনেক ভালো করেছো। হয়তো আল্লাহই এটা চাচ্ছিলেন। আয় বাবা তুই আগে ফ্রেশ হ। তোকে খাবার দি আমি৷ না খাওয়া মনে হয়৷ মুখটা কত্তো শুকনা লাগছে।
— আমার রুম তো নিচ তলায় আণ্টি। আমি নিচ থেকে ফ্রেশ হয়ে আসি?
~ এই বোকা ছেলে আবার আণ্টি বলছিস কেন? মা বল। আর হ্যাঁরে ওর রুম নিচে মানে? কি গো ওকে কোথায় থাকতে বলেছো?
— না মানে আসলে আমি ভাবি নি তোমরা ওকে এভাবে গ্রহণ করবে। তাই ভাবছিলাম হয়তো ওকে নিচেই থাকতে হবে৷ তাই ওর জন্য নিচের রুমটা গুছা…
~ হয়েছে চুপ করো। বাবা তুই আমাদের বাসায় আমাদের সাথেই থাকবি। এত বড়ো একটা বাসা। আমার সাথে আয়৷ দেখ কত্তো বড়ো রুম আছে তোর জন্য৷
আমার হৃদয় ফেটে যাচ্ছিলো খুশিতে। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছিলো। আমি ওনাদের একটু থামিয়েই বললাম,
— একটুই বেশিই করে ফেলছেন আমার জন্য আপনারা। আমি বরং নিচেই থাকি। আমার মতো একটা অপরিচিত ছেলেকে এভাবে বাসায় থাকতে দেওয়াটা বেমানান হবে। আপনারা এমনিই অনেক কিছু করে ফেলেছেন আমার জন্য। আমি হয়তো কোন দিনই এই ঋণ শোধ করতে পারবো না৷
~ ঘরের ছেলে বাইরে থাকবে! অসম্ভব। এত বছর পর আমি আমার ছেলেকে পেয়েছি। তুই আমার কাছেই থাকবি। আর যদি দূরে থাকতে চাস, তাহলে চলে যা এখনি। আর শোন মায়ের চোখে কে ভালো আর কে খারাপ সেটা এমনিই সে ধরে ফেলতে পারে। তুই যে নিঃসন্দেহে একটা ভালো ছেলে সেটা আমি তোকে দেখেই বুঝছি। আর তুই ভালো না হলে তোর এই নতুন বাবা তোকে কোন দিনও বাসায় আনতো না৷ আর কিছু জানি না তুই আমাদের সাথেই থাকবি। এই তোমরা কিছু বলো না কেন…
~ হ্যাঁ ভাইয়া তুমি নিচে যেয়েও না। আমাদের সাথেই থাকো প্লিজ।
— বাবা আমাদের সাথেই থাক। আমার বাসাটা কত্তো বড়ো দেখ৷ এখন থেকে তো এই সবকিছুই তোদের।
— আপনারা সত্যিই অসম্ভব ভালো মানুষ। আদর্শ বাবা-মা যাকে বলে।
~ মরিয়ম ওকে ওর রুমটায় দিয়ে আয়। আমি নাস্তা রেডি করি ওর জন্য।
— আমি গরম গরম জিলাপি নিয়া আসি আমার ছেলের জন্য। দুই বাপ ছেলে মিলে খাবো।
~ হাহা। আচ্ছা যাও।
এরপর মরিয়ম আমাকে আমার রুমে নিয়ে আসে। আমি রুমে ঢুকে দেখি খুব সুন্দর গোছালো একটা রুম। আমার বেশ পছন্দ হয়। মরিয়ম বলে উঠে,
~ ভাইয়া আজ থেকে এটা আপনার রুম। পছন্দ হয়েছে?
— হ্যাঁ হ্যাঁ। অনেক সুন্দর রুমটা। আর দুঃখিত, হঠাৎ করেই উড়ে এসে জুড়ে বসলাম তোমার বাসায়। তুমি কিছু মনে করো না বোন৷ তোমার আদর সোহাগে ভাগ বসিয়ে দিলাম।
মরিয়ম খুব মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলে,
~ ভাইয়া আমিও কিন্তু খুব খুশি হয়েছি আপনি এসেছেন বলে। কারণ আমারও খুব ইচ্ছা ছিল একটা ভাই পাওয়ার। জানেন, যে বোনের ভাই আছে সে অনেক ভাগ্যবতী। কারণ তাকে ভয় পেতে হয় না কোন কিছুর। আর বাবা-মা যেহেতু আপনার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে আমিও কিন্তু বাদ যায় নি। আপনার কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে ডাক দিবেন। কারণ এখন থেকে আমি কিন্তু আপনার ছোট বোন৷
মরিয়মের কথা শুনে হৃদয়টা ভরে আসে। আমি কিছুটা দুঃখী কণ্ঠে ওকে বলি,
— জানো বোন, তোমার বয়সী আমারও একটা ছোট আপন বোন আছে। কিন্তু বিশ্বাস করো, ও কোন দিন আমার সাথে এভাবে কথা বলে নি। এই যে আমার অকেজো হাতটা দেখছো, এটার জন্য সবসময় ও আমাকে অনেক ঘৃণা করতো। আপন ভাই বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পেত৷ ও যদি কোন দিন তোমার মতো করে আমার সাথে একটু কথা বলতো হয়তো আমি আজ আমার বাসায়ই থাকতাম। কি আর করার। হয়তো আপন লোক গুলোই পর হওয়ার কথা ছিল আর পর গুলো আপন৷ বোন যেকোন প্রয়োজনে আমার দরকার হলে প্লিজ আমাকে বইলো। তোমার ভাইটাকে তুমি পেয়ে যাবে৷
~ সত্যি বলছেন ভাইয়া?
— তিন সত্যিই। (হাসি দিয়ে)
~ থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ। আপনাকে নিয়ে আমি অনেক জায়গায় ঘুরবো। আমার খুব ইচ্ছা ঘুরার। কিন্তু আব্বু আম্মুর সময়ও হয় না এবং সুযোগও না৷ আপনি নিয়ে যাবেন আমাকে?
— প্রমিজ নিয়ে যাবো। তবে আমি তো এখানকার কিছু চিনি না৷ তুমি চিনিয়ে দিও।
~ তা নিয়ে আপনাকে একটুও ভাবতে হবে না৷ আচ্ছা আমি যাই, আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে জানিয়ে আসি আমি একটা বড়ো ভাইয়া পেয়েছি। হিহি।
— আচ্ছা আচ্ছা যাও।
মরিয়ম খুব খুশি হয়ে চলে যায়। আমি বেডের উপর বসে পড়ি। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অবাক হই। গতকাল রাতেও আমি এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে নিয়েছিলাম চিরতরে। কিন্তু আজ আমি একজন বাবা একজন মমতায়ী মা আর একটা আদরের বোন পেয়ে গেলাম। সত্যি আল্লাহ চাইলে কি না পারেন। আমরা মানুষেরাই তার উপর ভরসা রাখতে পারি না শুধু। বিপদের সময় হাল ছেড়ে দি। মনে অনেকটা সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম। সাথে সেই বয়স্ক চাচার জন্য অনেকক্ষণ দোয়া করলাম। হয়তো আল্লাহই তাকে পাঠিয়েছিলেন। আমাকে যে রুম দেওয়া হয় সেখানে এটাচ ওয়াশরুম ছিল। আমি ব্যাগ থেকে একটা টি-শার্ট আর প্যান্ট নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যাই। নিজেকে খুব হালকা লাগছিল। কিন্তু ভিতরটা এখনো কষ্টের আগুনে পুড়ছিল। কেন আমি অন্য কাউকে আমার বাবা-মা বোন বানাবো? যেখানে আমার আপন বাবা ভাই বোন আছে। কিন্তু থাকলেও কি হবে! তারা এখন থেকেও নেই। মনকে দৃঢ় ভাবে বুঝাই আজ থেকে এরাই আমার সব। এদের জন্য লাগলে আমি জীবন দিয়ে দিব৷
অন্যদিকে,
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন জান্নাত। সকাল ৭ টা নাগাদ বাজে। কানের কাছে সেই কখন থেকে ফোনটা বেজেই যাচ্ছে তো বেজেই যাচ্ছে। বেশ বিরক্ত নিয়েই কে কল দিয়েছে সেটা না দেখেই ও কল টা রিসিভ করে কানে দিয়ে বলে,
~ কে রে এত সকালে কল দিয়েছিস?
~ দোস্ত আমি একটা ভাইয়া পেয়ে গিয়েছি। ইয়াহুউউ…
জান্নাত যেন থমকে যায়৷ মুহূর্তেই ওর ঘুম উধাও। একলাফে উঠে বসে সবার আগে ফোনের স্ক্রিনে দেখে কে কল দিয়েছে। আসলে সিউর হচ্ছিল কলটা মরিয়মের কিনা। দেখে যে হ্যাঁ সত্যিই মরিয়মের। জান্নাত ঘুমাতুর কণ্ঠে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
~ মানে! কিসের ভাইয়া পেয়েছিস? কিভাবে কি?
~ হ্যাঁ দোস্ত সত্যি বলছি। ভাইয়া টার নাম আবির। বেশ হ্যান্ডসাম দেখতে। শুধু…
~ শুধু কি আবার? আমি না কিছুই বুঝতেছি না দোস্ত। তুই কি এই সাত সকালে মজা করছিস আমার সাথে?
~ আরে না৷ আচ্ছা দাঁড়া তোকে সবটা খুলে বলছি। আসলে হয়েছে কি…
এরপর মরিয়ম জান্নাতকে সবটা খুলে বলে। জান্নাত সবটা শুনে কখনো মর্মাহত আবার কখনো অবাক আবার কখনো হেসেছে। সব শেষে ও বলে,
~ তোর ভাইয়ের সাথে দেখা করতে হবে তাহলে।
~ হ্যাঁ হ্যাঁ চলে আয়।
~ আরে আজকে না অন্যকোন দিন।
~ আচ্ছা আচ্ছা।
~ ক্লাসে আসবিনা আজকে? নাকি ভাইকে নিয়েই থাকবি?
~ আজকে…উমমম দেখি..হিহি।
~ আচ্ছা কালকে আসিস।
~ আচ্ছা দোস্ত। রাখি তাহলে। তুই ঘুমা।
~ হ্যাঁ এখন আর কি ঘুম হবে৷ সকাল সকাল এত্তো বড়ো একটা নিউজ দিলি।
~ হাহা। আচ্ছা বাই।
মরিয়ম ফোন রেখে দেয়৷ জান্নাত ফোনটা বেডে রেখে উঠে বারান্দায় চলে যায়৷ সকাল সকাল ভোরের ওয়েদারটা ওর খুব প্রিয়। একটা মনমাতানো ঠান্ডা হাওয়া ওর মনকে বিচলিত করে। তবে আজ একটু ব্যতিক্রম হলো। আজ ওর মনে নতুন একটা চরিত্র ঘুরছে। যার নাম আবির৷ আবিরের সম্পর্কে জেনে ওর মনের মধ্যে অন্যরকম একটা কৌতূহল সৃষ্টি হচ্ছে। কেমন হবে আবির? একটা ছেলে যার একটা হাত অকেজো বলে তার সাথে এরকম একটা হৃদয়বিদারক কিছু হয়ে গেল। তার মনের অবস্থা না জানি কেমন। জান্নাত শুধু ভেবেই যাচ্ছে। হঠাৎই পিছন থেকে ওর মা ওকে ডাকতে ডাকতে ওর রুমে ঢুকে। এসে দেখে জান্নাত নেই। ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে বলে,
~ মা আমি বারান্দায়।
জান্নাতের মা ওর কাছে গিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
~ কিরে মা এত সকালে আজ উঠলি কিভাবে?
~ আর বলো না মা। মরি…না মানে এমনিই ঘুম ভেঙে গেল তাই উঠাল। কেন আমি কি উঠতে পারি না বুঝি? (জান্নাত আবিরের বিষয়টা এখন বলল না)
~ না না পারিস। আমার একমাত্র লক্ষ্ণী মেয়ে তুই। কত্তো সুন্দরী। মাশাল্লাহ। কারো বদ নজর না লাগুক আমার পরীটার উপর।
~ বাব্বাহ! এত বড়ো হয়েছি এখনো তোমরা আমাকে সেই বাচ্চাদের মতো ট্রিট করো।
~ বাবা-মার কাছে তার সন্তানেরা কখনো বড়ো হয় না রে মা। ছোটই থাকে।
~ ওহ। জানো মা, অনেকের বাবা-মা না তোমাদের মতো ভালো হয় না। খুব খারাপ হয়। খুব।
জান্নাতের মা ওর গালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
~ কিরে কিছু হয়েছে নাকি?
~ না না। কিছু হয়নি। এমনিই বললাম।
~ ওহ! দেখেছিস যে জন্য আসলাম। শোন আজ কিন্তু ভার্সিটি থেকে তাড়াতাড়ি আসবি।
~ কেন? কেন? (বেশ অবাক হয়ে)
~ তোর জন্য একটা ছেলে দেখতে যাবো তো তাই।
জান্নাত ওর মায়ের কথা শুনে পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ওর মা এটা বলল কি! জান্নাত ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে….
চলবে…?
সবার ভালো সাড়া চাই তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব দেওয়া হবে। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। আগের এবং পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্ট