তুমি_অপরূপা(২৩)

0
377

#তুমি_অপরূপা(২৩)
মানুষের মন কচুপাতার পানির মতো। নয়তো যেই মেয়ে শাহেদের হাত ধরে সব ছেড়ে এসেছে সেই মেয়ে কিভাবে অন্য ছেলের সাথে এতো দ্রুত সখ্যতা গড়ে তুলতে পারে!
মনের মানুষের এতো দ্রুত পরিবর্তন হয় কিভাবে?

ইদানীং প্রতিদিন মিলন এই বাড়িতে আসে।যখন তখন চলে আসে।এসেই ভাবী,ভাবী করে অনামিকার খোঁজ করে।রোজিনা বেগম ব্যাপারটা বুঝেও না বুঝার মতো থাকেন।নির্লিপ্ত ব্যবহার করেন।দুজনকে সময় দেয়ার জন্য সরে যান সেখান থেকে।
দুজনে আরো ভালো করে যাতে সম্পর্কে মজে যায়।

এরমধ্যে অনামিকা তিন দিন কলেজের কথা বলে মিলনের সাথে বের হয়েছে। হাসানুজ্জামান দেখেছেন দুজনকে রিকশায়।

সব জেনেও দুজন চুপ করে আছে উপযুক্ত সময়ের।মোক্ষম সময়ে জাল গোটাবেন। যেই জাল হাসানুজ্জামান আর তিনি মিলে সযত্নে বিছিয়েছে এতো দিন ধরে। মাঝেমাঝে কথআর ফাঁকে শাহেদের কানে ও কথাটা তুলেছেন তিনি।শুনে শাহেদ বিরক্ত হয়ে বলতো,এসব শুনতে চাই না মা আমি।রোজিনা বেগম স্বস্তি পান।এটাই তো চেয়েছেন তিনি।তার কোলেপিঠে করে মানুষ করা ছেলে অন্য মেয়ে বিয়ে করবে তাদের মতামত ছাড়া, সেই মেয়ের জন্য তাদের সাথে মুখেমুখে তর্ক করবে এটা কিছুতেই সহ্য করার মতো না।

বারান্দায় বসে এসব ভাবতে লাগলেন রোজিনা বেগম। অনামিকা রান্না করছে রান্না ঘরে। সেই সময় মিলন এলো আবারও। রোজিনার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। মিলন রোজিনাকে দেখে ইতস্তত করে বললো, “কেমন আছেন চাচী,অনামিকা ভাবী কই?”

রোজিনাও সহজভাবে বললো, “আমি ভালা আছি বাবা,যাও ও রান্না করে। ”

রোজিনা বেগম বের হয়ে গেলেন বাড়ি থেকে।

দুপুরে হাসানুজ্জামান খেতে এলো।খাবার খেতে গিয়ে টের পেলেন আজকে রান্নায় লবণ একটু বেশি হয়েছে।
রোজিনা রণমুর্তি ধারন করলো।রেগে বললেন,”মন দিল কই দিয়া রান্না করতে বসছ হারা//মজা//দি, তোর বাপের মাথা রানছস।”

অনামিকার ভীষণ খারাপ লাগলো বাবাকে নিয়ে এভাবে বলায়।শান্তস্বরে বললো,”আমারে যা কওওনের কন আম্মা,আমার আব্বা আম্মা নিয়ে কথা কইয়েন না।”

আগুনে ঘি ঢেলে দিলো অনামিকার এই কথা।রোজিনার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের সবাই ছুটে এলো।অনামিকার নির্লিপ্ততা রোজিনার মেজাজ সপ্তমে উঠে গেলো।
চোখের পলকে ছুটে গিয়ে অনামিকার চুলের মুঠি ধরে কয়েকটা চড়থাপ্পড় লাগিয়ে দিলেন তিনি।অনামিকা হতভম্ব!
রোজিনার এমনে রাগ করবেন অনামিকার উপর। তাই সুযোগ পেলেই অনামিকার গায়ে হাত তোলেন তিনি।অনামিকা সেটা মেনে নিয়েছে।কিন্তু এভাবে এতো মানুষের সামনে ব্যাপারটা অনামিকা মানতে পারলো না। ছুটে গিয়ে নিজের রুমে উপুড় হয়ে কাঁদতে লাগলো।

রোজিনা বেগম হাসানুজ্জামানকে বললেন,”অনেক হইছে,এবার একটা ব্যবস্থা নেন।আমার আর সইয্য হইতেছে না এই ফকিন্নির মাইয়ারে।”

হাসানুজ্জামান ভেবে বললেন, ঠিক আছে।আগামীকাল মিলন যখন আইবো তখনই ধরমু দুইটারে।”

কিন্তু বিধি বাম। বিকেলেই ঘটে গেলো আরেক ঘটনা। অনামিকার বাবা সিরাজ হায়দার এলেন বিকেলে শাহেদদের বাড়িতে।অনামিকা তখনও নিজের রুমে।
হাসানুজ্জামান বারান্দায় বসে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন।

সিরাজ হায়দার এসে গম্ভীর স্বরে বললেন,”অনু,অনু মা।”

হাসানুজ্জামান আগের মতো ভঙ্গিতে বসে আছেন।যেনো উঠানে কেউ নেই,অথবা কুকুর বেড়াল কিছু এসে দাঁড়িয়েছে তাই তাকানোর দরকার নেই।

অনামিকা ছুটে এসে বাবার বুকে ঝাপিয়ে পড়লো। মনের আগল খুলে বাবাকে ধরে কাঁদতে লাগলো। এই কান্না আনন্দের কান্না,বাবার মুখে নিজের আদুরে নাম শোনার কান্না।

রোজিনা ঘ্র থেকে বের হয়ে এলেন।সিরাজ হায়দার মেয়ের কান্না থামতেই বললেন,”চল,আমি তোকে নিয়ে যেতে আসছি।”

রোজিনা হুঙ্কার দিয়ে বললো, “আপনে কে ওরে নেওনের?
কার অনুমতি নিয়া ওরে নিতে কন।ও কোনোখানে যাইবো না।”

সিরাজ হায়দার বললেন, “ক্যান,ফিরিতে কামের মাইয়া পাইছেন এখন চইলা গেলে বিপদে পইরা যাইবেন?”

রোজিনা চিৎকার করে বললো, “কি কইলেন আপনে?
আপনার মতো ফকিরের মাইয়া আমার বাড়িতে আইছে এইডাই তো আপনের সৌভাগ্য। আপনের মাইয়ারে যে দুই লাত্থি মাইরা আমার পোলা এখনো বাড়ি থাইকা বাইর করে নাই তার লাইগা শোকর করেন।”

আশেপাশের মানুষ আবারও ছুটে এলো রোজিনার চিৎকারে।
সিরাজ হায়দার শান্ত স্বরে বললেন,”আমার মাইয়ারে আপনে কোন কারনে বাড়ির বাইওর করবেন।মুঝ সামলাইয়া কথা কন।নয়তো যেই মুখ আমার মাইয়ারে নিত্যদিন গালিগালাজ করে সেই মুখ আর যেই হাত আমার মাইয়ার গায়ে উঠে সেই হাত ভাঙতে আমি এক মুহূর্ত দেরি করমু না।”

সিরাজ হায়দারের রক্তচক্ষুর দিকে তাকিয়ে রোজিনা কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেন।বারান্দায় উঠে গিয়ে বললেন,”নিবেন ই তো,নষ্টা মাইয়া পয়দা করছেন।শিখাইছেন পোলাগো মাথা খাওন,আমার পোলার মাথা খাইছে এখন আবার পরকীয়া শুরু করছে পাশের বাড়ির পোলার লগে।এক সপ্তার মধ্যেই আমার পোলা ডিফোজের কাগজ পাঠাই দিবো।”

সিরাজ হায়দার বললেন, “অপেক্ষায় থাকলাম,আপনে ও অপেক্ষায় থাকেন। ”

আর না দাঁড়িয়ে মেয়ের হাত ধরে বের হয়ে গেলেন।অনামিকা বাড়িতে গিয়ে দেখলো সালমা ঘরের এক কোণে গুটিশুটি মেরে বসে আছে। অনামিকা মা বলে ডাকিতেই আরো গুটিয়ে গেলো।আপনা আপনি বলতে লাগলো, “নাই নাই,অন্তু নাই,অনু নাই কেউ নাই।রূপা মইরা গেছে।নাই নাই।”

অনামিকার কি যেনো হলো।মায়ের দুই পা জড়িয়ে ধরে ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো, “আমারে মাফ কইরা দাও গো মা,ও আল্লাহ আমারে মাফ কইরা দেন।আমার ভুলের লাইগা আমার মা এতো কষ্ট পাইতাছে।আমার সুস্থ মা অসুস্থ আইজ আমার কারনে।আমারে আপনি লইয়া যান তাও আমার মা’রে সুস্থ করেন।”

সিরাজ হায়দার মেয়েকে রেখে দোকানে চলে গেলেন।

অনামিকা চলে যেতেই রোজিনা স্বামীর পাশে বসে বললেন, “কি হইলো এইডা?এতো দিন ধইরা ভাইবা রাখছি কি,অথচ শেষ সময়ে আইসা এমনে নিয়া যাইতে দিলেন আপনে?
এই মাইয়ারে জুতার মালা পরাইয়া আমি বিদায় দিতাম।কি হইছে আপনার, আপনে একটা কথাও তো কইলেন না।”

হাসানুজ্জামান বললেন,”পাগল নি,দুইজন মিইল্লা কথা কইলে গেরামের সবাই আমাগো বিরুদ্ধে চইলা যাইতো। পরবর্তীতে কিছু হইলে সবাই আমাগো দোষ দিতো। তাছাড়া ওই মাইয়ারে বাইওর করন আমাগো উদ্দেশ্য আছিলো, যেমনেই হোক গেছে তো।পোলার লগে এখন মধুর ব্যবহার করবা।পোলারে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা লাগবো। ”

————–

কলেজে যাওয়ার আগে রূপা বাবার সাথে কথা বলে জানতে পারলো, গতকাল মেজো আপা এসেছে। শুনে রূপা কিছুটা স্বস্তি পেলো। বড় আপা মেজো আপা একজন থাকলেও মা একটু সুস্থ হতে পারে।
শুধু রূপাকেই যেনো তিনি সহ্য করতে পারেন না।
ঢাকায় আসার আগে সালমার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। রূপাকে দেখলেন তেড়ে যেতেন খু/ন করার জন্য । বটি নিয়ে ছুটতেন।রূপা ভেবে পায় না কোনো দোষ না করেও সে কেনো দোষী!

কলেজে আজকে শুক্রবারে একদিনের ট্যুরে যাবার ঘোষণা দিলো।জনপ্রতি ফি ১২০০ টাকা।শুনে রূপার গলা শুকিয়ে গেলো। ১২০০ টাকা ওর কাছে ১২০০০ টাকার মতো।ট্যুরের নাম শুনে মনে জ্বলে উঠা উচ্ছ্বাস মুহূর্তে ফাটা বেলুনের ন্যায় চুপসে গেলো।

কলেজ ছুটি হতেই পান্না বললো, “রূপা,যাবি তো ট্যুরে? উফফ,ভীষণ আনন্দ করবো আমরা তিনজন মিলে।আমার তো আর সহ্য হচ্ছে না।”

রূপা হেসে বললো, “হ্যাঁ, অনেক আনন্দ হবে।”

মনে মনে বললো, “সবার সব শখ পূর্ণ হতে নেই। ”

কলেজ ছুটি হবার দুই ঘন্টা আগে এসে সমুদ্র দাঁড়িয়ে আছে কলেজের একটু দূরে। আজকে যাই হয়ে যাক সে রূপার সাথে কথা বলবেই।না হলে প্রাণ যায় যায় তার।রূপা মাথার ভেতর কেমন উদ্দাম নৃত্য করে বেড়াচ্ছে। সমুদ্রের সহ্য হচ্ছে না আর এতো ব্যথা।রূপা ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছে না।রুটিন মতো চলা মানুষটির সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো শুধু একটি মেয়ের জন্য।

সমুদ্রের মা ও টের পেলেন ছেলের পরিবর্তন। যেই ছেলে ঘড়ি ধরে ঘুমাতে যায় আবার এলার্ম শুনে জেগে উঠে। রোজ নিয়ম করে মর্নিং ওয়াক করে। ডায়েট চার্ট ফলো করে খাবার খায়,সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকে সেই ছেলেটা কেমন ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার চোখের নিচে কালো দাগ,খাবারে অনিয়ম,গালভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি, উষ্কখুষ্ক চুল।
এ যেনো অন্য মানুষ, তার ছেলে সমুদ্র নয়।

রেখার ভেতরে ভেতরে ভীষণ ভয় হয়।সমুদ্রের মধ্যে তিনি কবিরের ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন।কবির তার একমাত্র দেবর।যে একজনকে ভালোবেসে তাকে না পেয়ে সব ছন্নছাড়া হয়ে গেছে।বিয়ে নামক শব্দটা যে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে।
নয়তো কতো বছর কেটে গেলো কবির বিয়ে করলো না।দেশে ও আসে না।তার এক কথা, মনে একজনকে রেখে অন্য কারো সাথে সংসার সংসার খেলা সে খেলতে পারবে না।

রেখার ভীষণ ভয় হয়,সমুদ্র ও সেই পথের পথিক নয়তো!

কলেজ ছুটি হতেই সমুদ্র হাটতে শুরু করে। কিছুটা পথ গিয়ে রাস্তা পার হয়ে রূপার পিছনে গিয়ে নরম স্বরে বললো, “রূপা,তোমার সাথে একটু কথা বলার ছিলো। রতজা,পান্না একটু সামনে যাও তোমরা। ”

রত্না সমুদ্রকে দেখে পান্নার হাত ধরে দ্রুত পা চালাতে লাগলো। দাদা যাকে অপছন্দ করে, তারা দুই বোনও তাকে অপছন্দ করে। দাদার চাইতে বেশি অপছন্দ করে।

রূপা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। সমুদ্র নরম হয়ে বললো, “আর কতো পোড়াবে আমাকে তোমার বিরহে?
এতো পুড়লে সোনা ও আরো আগে খাঁটি হয়ে যেতো। আমার ভেতর বাহির সবটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে রূপা।আমি আর পারবো না।একটু কথা বলো, আমি তোমার কথার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে মরে যাচ্ছি। আমাকে এভাবে আর কষ্ট দিও না।কবে যেনো তোমাকে নিজের চাইতে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি রূপা।”

রূপার মায়া হলো সমুদ্রের এই করুণ আকুতি শুনে। বড় আপা, মেজো আপা কি এরকম কথা শুনেই ভুল পথে পা বাড়িয়েছে!

রূপার ভাবনার মধ্যেই চমকে উঠলো বাইকের তীব্র হর্ণ শুনে।রূপক রূপার পেছনে দাঁড়িয়ে হর্ণ দিচ্ছে।
চমকে উঠলো রূপা রূপককে দেখে,সেই সাথে কিছুটা ভয় ও পেলো।রূপকের সাথে রূপার সম্পর্ক অনেকটা বন্ধুর মতো। বিশেষ করে মাহির সামনে দুজন একেবারে রসগোল্লার মতো মিষ্টি মধুর ব্যবহার করে।

রূপকের ভীষণ রাগ হলো রূপাকে সমুদ্রের সাথে কথা বলতে দেখে।রূপক জানে না কেনো সে প্রতিদিন আড়ালে থেকে রূপাকে পাহারা দেয়।রূপক এটুকু জানে একমাথা তেল দেওয়া দুই বিনুনি করা মেয়েটাকে খোলা চুলে দেখলে রূপকের কাছে গ্রীক দেবীর মতো লাগে।যখন মেয়েটা রিনরিনে সুরে হেসে উঠে, রূপকের তখন হাসির ঝঙ্কারে কেমন নেশা নেশা লাগে।দুচোখ ভর্তি কাজল দেখলে রূপকের মনে হয় কাজল নয় তা,দুচোখ ভর্তি মায়া যেনো।

সমুদ্র যে বাসার নিচে,কলেজের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে সবই রূপক জানে।এভাবে রূপাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কথা বলতে যাওয়ায় রূপক এগিয়ে এসেছে।

গম্ভীরমুখে বললো, “বাইকে উঠে বসো অপরূপা।”

রূপার এই মুহূর্তে সমুদ্রের সামনে থেকে সরে যাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। সেজন্য রূপকের সাথে যাওয়ার চাইতে বেটার অপশন রূপা পেলো না।
আস্তে করে বললো, “আমি বাইকে কখনো উঠি নি,কিভানে উঠবো। ”

রূপক বললো, “বাইকে উঠে বসা ভীষণ সহজ,মাঝরাস্তায় অচেনা কোনো ছেলের সাথে কথা বলার চাইতে ও সহজ।”

রূপা ভীষণ লজ্জা পেলো এই কথা শুনে। রূপক কি ভাবছে রূপাকে!
রূপা প্রতিদিন ছেলেদের সাথে এভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলে এরকম ভাবছে না তো রূপক!

কথা না বাড়িয়ে রূপককে ধরে উঠে বসলো রূপা বাইকে।চিলের মতো ছোঁ মেরে রূপক রূপাকে সমুদ্রের সামনে থেকে নিয়ে গেলো।অপমান আর হতাশা নিয়ে সমুদ্র দাঁড়িয়ে সবটা দেখতে লাগলো।

বাসার দিকে না গিয়ে রূপক অন্য দিকে যাচ্ছে দেখে রূপা উৎকণ্ঠিত হয়ে বললো, “কোথায় যাচ্ছেন আপনি?”

রূপক শান্ত স্বরে বললো, “সমুদ্রের সাথে কিসের কথা তোমার?আর কখনো যাতে না দেখি কোনো ছেলের সাথে কথা বলেছো।আমার এসব পছন্দ না।”

রূপা ভ্রুঁ কুঁচকে বললো, “কেনো?আপনার ভালো লাগে না কেনো?আপনার ভালো না লাগলে আমার কী?”

রূপক জবাব না দিয়ে হঠাৎ করে ব্রেক কষলো, ব্রেক করায় রূপা তাল সামলাতে না পেরে রূপকের পিঠের উপর এসে পড়লো। রূপক গান ধরলো, “এই পথ যদি না শেষ হয়……”

বাইক স্টার্ট দিতেই রূপা সরে বসলো। রূপক হেসে আপনমনে বললো, “তুমি সুখ না হইয়া দুঃখ হও!
তাও-অন্যের না হইয়া আমার হও।”

চলবে……

রাজিয়া রহমান

(অনেক টাইপিং মিস্টেক থাকতে পারে। প্লিজ একটু কষ্ট করে বুঝে নিয়েন।অনেক কষ্ট করে লিখতে হয়েছে। দয়া করে সবাই একটা করে কমেন্ট করবেন।পেইজের রিচ কমে যাচ্ছে, আপনাদের কমেন্ট আমার অনুপ্রেরণা।আশা করছি অনুরোধ রাখবেন।লাইকের পাশাপাশি কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here